| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
গোলাম মহিউদ্দিন নসু
মনের কথা- সত্য কথা- বাস্তবতা- গবেষণা- সমস্যা- সম্ভাবনা- ইতিহাস- ঐতিহ্য- স্থাপত্য- ফোক কালচার সহ ইত্যাদি বিষয়ে সাংবাদিকতার দৃষ্টিতে লেখা-লিখি।
গোলাম মহিউদ্দিন নসু,নোয়াখালী
অসহায় দরিদ্র লোকদের চোখের চিকিৎসার জন্য নোয়াখালীর সোনাইমুড়িতে গড়ে ঊঠছে আধুনিক চক্ষু হাসাপাতাল । যেখানে স্বল্প খরচে আধুনিক যন্ত্রপাতি দ্বারা নিজ এলাকায় চোখের সু-চিকিৎসা করাতে পারবেন।
হাসপাতালটি অচিরেই উদ্বোধন হবে বলে জানিয়েছেন সোনাইমুড়ী অন্ধ কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম মোস্তফা ভুঁইয়া।
তিনি আরো জানান, ‘দেশ সেবাই মানুষকে মহৎ করে’ এ স্লোগানকে সামনে রেখে ১৯৭৮ সালে কয়েকজন মহতী মানুষের উদ্যোগ ও অনুপ্রেরণায় সোনাইমুড়ী অন্ধ কল্যাণ সমিতি প্রতিষ্ঠা হয়। বৃহত্তর নোয়াখালীসহ পার্শ্ববর্তী কুমিল্লা জেলার কিছু অংশ নিয়ে প্রায় ৪০ লাখ লোকের বিনা মূল্যে চোখের চিকিৎসার জন্য এখানে একটি হাসপাতাল নির্মাণ দীর্ঘ দিনের লালিত স্বপ্ন।
সমিতির সভাপতি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সচিব (বর্তমানে ভিয়েতনামের রাষ্ট্রদূত) সাহাব উল্লাহ ২০১১ সালের ১৩ আগস্ট সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয় থেকে প্রস্তাবিত দি ইস্টাব্লিশমেন্ট অব সোনাইমুড়ী অন্ধ কল্যাণ সমিতি আই হসপিটাল শীর্ষক প্রকল্পটি পরিকল্পনা মন্ত্রী কৃর্তক অনুমোদন গ্রহন করেন। যার নাম “ঘড়ধশযধষর-ঊুব-ঐড়ংঢ়রঃধষ”।
২০১১-২০১২ অর্থবছরে সরকারের সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয় ৮০% ও সোনাইমুড়ী অন্ধ কল্যাণ সমিতির ২০% অর্থায়নে ১৫ কোটি ৫০ লাখ টাকা বরাদ্ধ করা হয়। সোনাইমুড়ী পৌর এলাকার পাপুয়া গ্রামে ১৪৫ ডিং ভূমির ওপর ৩০ শয্যা বিশিষ্ট একটি হাসাপাতালের ভবন নির্মান কাজ শেষ পর্যায়ে । ইতোমধ্যে হাসপাতালের জন্য অ্যাম্বুলেন্সসহ প্রয়োজনীয় আধুনিক মানের যন্ত্রপাতিসহ বিভিন্ন আসবাবপত্র আনা হয়েছে। বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়া ও হাসপাতালের প্রধান সড়ক নির্মান কাজ চলছে।
প্রকল্পের চুক্তি অনুসারে সমিতি ২০ শতাংশ হারে ৩ কোটি ১০ লাখ টাকার মধ্যে ২ কোটি ৪০ লাখ টাকা পরিশোধ করেছে। বাকী ৭০ লাখ টাকা পরিশোধ করে ৩১ ডিসেম্বর সরকার থেকে হাসাপাতাল ভবন বুঝে নেয়ার সিদ্ধান্ত রয়েছে। সমিতির দায় ৭০ লাখ টাকা পরিশোধ করতে বিত্তবানদের সহযোগাীতা দরকার।
এমন একটি সেবা মূলক প্রতিষ্ঠান তৈরী করায় এলাকাবাসি সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছে। সমিতি সদস্য স্থানীয় আবদুল গফুর(৬০) জানান, তার চোখের চিকিৎসায় তিনি চট্রগ্রামে গিয়েছিলেন। এ হাসপাতাল কাজ শুরু করলে চোখের চিকিৎসার জন্য ঢাকা-চট্রগ্রামে যেতে হবে না। বাড়ির কাছে স্বল্প খরচে উন্নতমানের চোখের চিকিৎসা পাবে। পাশাপাশি এলাকার শিক্ষিত যুবকদের কর্মসংস্থানের সুযোগ হবে।
হাসপাতাল প্রকল্প পরিচালক নোয়াখালী সমাজ সেবা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আবদুর রহমান জানান, অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে বৃহত্তর নোয়াখালী জেলায় সরকারের এত বড় প্রকল্প আর নেই। হাসাপাতালটি পুরো দমে চালু করা হলে সোনাইমুড়ী উপজেলাসহ আশপাশের জেলাগুলোর মানুষও এখানে চোখের চিকিৎসা করাতে পারবে। সরকারের সাথে সমিতির চুক্তি মতে ভবন হস্তান্তরের পর নিয়মিত চিকিৎসা ও প্রশাসনিক কার্যক্রম সোনাইমুড়ি অন্ধ কল্যন সমিতি পরিচালনা করবে। এক্ষেত্রে ৩০% রোগীকে বিনামূলে চিকিৎসা দিবেন। বাকি ৭০% রোগী হতে প্রাপ্ত আয় থেকে ডাক্তার সম্মানীসহ প্রাসঙ্গিক প্রশাসনিক ব্যয় বহন করবে।
উল্লেখ্য, সোনাইমুড়ী অন্ধ কল্যাণ সমিতির উদ্যোগে এ পর্যন্ত ২৯ টি ভ্রাম্যামাণ আই ক্যাম্প করা হয়েছে। আউটডোরের মাধ্যমে প্রায় ৫৪ হাজার রোগীকে বিনামূল্যে চক্ষু সেবা দেয়া ছাড়াও ৯ হাজার ৭শ জন রোগীর চোখে বিনামূল্যে লেন্স প্রতিস্থাপন করা হয়েছে এবং ৩ হাজার ৪শ জনকে সান গ্লাস দেয়া হয়েছে।#
গোলাম মহিউদ্দিননসু
০১৭১৪৮৪০৮৯৪
তারিখ ঃ ৯.১২.১৫

©somewhere in net ltd.