নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মহিউদ্দিন নসু

মনের কথা- সত্য কথা- বাস্তবতা- গবেষণা- সমস্যা- সম্ভাবনা- ইতিহাস- ঐতিহ্য- স্থাপত্য- ফোক কালচার সহ ইত্যাদি বিষয়ে সাংবাদিকতার দৃষ্টিতে লেখা-লিখি।

গোলাম মহিউদ্দিন নসু

মনের কথা- সত্য কথা- বাস্তবতা- গবেষণা- সমস্যা- সম্ভাবনা- ইতিহাস- ঐতিহ্য- স্থাপত্য- ফোক কালচার সহ ইত্যাদি বিষয়ে সাংবাদিকতার দৃষ্টিতে লেখা-লিখি।

গোলাম মহিউদ্দিন নসু › বিস্তারিত পোস্টঃ

চৌমুহনী পৌরসভার নির্বাচনে --আওয়ামী প্রার্থীর প্রচার তুঙ্গে, বিএনপি চলছে ডিমেতালে

২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:৪৮


গোলাম মহিউদ্দিন নসু , নায়াখালীঃ

দেশের প্রসিদ্ধ এবং নোয়াখালী জেলার বিশাল বানিজ্যিক শহর চৌমুহনী বাজার। চৌমুহনী বাজারের আশপাশ এলাকা নিয়ে ২০ বর্গ কিলোমিটারে বর্তমান জন সংখ্যা ১ লাখ ৬০ হাজারের অধিক। পুরুষ ভোটার ২৪ হাজার ৪৭২,নারী ভোটার ২২ হাজার ১১১জন, মোট ভোটার সংখ্যা ৪৬ হাজার ৫৮৩ জন। এটি একটি প্রথম শ্রেনীর পৌরসভা।
আসন্ন নির্বাচনে আওয়ামীলীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী বর্তমান মেয়র,চৌমুহনী পৌর আওয়ামীলীগ সভাপতি আক্তার হোসেন ফয়সল, বিএনপি মনোনীত প্রার্থী পৌর বিএনপির সভাপতি জহির উদ্দিন হারুন এবং ইসলামী শাসনতন্ত্র দলের জাকির হোসেন।

সংরক্ষিত নারী আসনে কাউন্সিলর পদে ১ নং ওয়ার্ডে-৫ জন, ২নং ওয়ার্ডে- ৬ জন, ৩নং ওয়ার্ডে- ৫জন জন নারী প্রার্থী রয়েছে।
সাধারন আসনে কাউন্সিলর পদে ১নং ওয়ার্ডে ৫ জন,২নং ওয়ার্ডে ৪জন, ৩নং ওয়ার্ডে ৬ জন, ৪নং ওয়ার্ডে ৩ জন, ৪ নং ওয়ার্ডে ৩ জন, ৫ নং ওয়ার্ডে ২ জন, ৬নং ওয়ার্ডে ৩ জন, ৭ নং ওয়ার্ডে ৪ জন, ৮নং ওয়ার্ডে ৩ জন এবং ৯ নং ওয়ার্ডে ৬ জন প্রার্থী নির্বাচনে লড়ছেন।

নির্বাচনী প্রচারনায় একাধিক মাইক ব্যবহার ও দেয়ালে পোষ্টার লাগানোর দায়ে ইতোমধ্যে একজন মেয়র ও দুইজন কাউন্সিলর প্রার্থীকে জেলা নির্বাচন অফিস সতর্ক করেছেন।

মেয়রপদে আওয়ামীলীগ ও বিএনপি প্রাথীর মধ্যেই লড়াই হবে । তবে বর্তমানে আওয়ামী প্রার্থীর প্রচার তুঙ্গে, বিএনপি চলছে ডিমেতালে। এছাড়া জাকির হোসেন নামে অপর প্রার্থীর নাম অফিসে জানা গেলেও মাঠে ময়দানে,তেমন কোন প্রচারনা চোখে পড়ছে না।

আওয়ামীলীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী আক্তার হোসেন ফয়সল ছাত্রজীবন থেকেই আওয়ামী রাজনীতিতে নেতৃত্বে দিয়ে আসছেন। বর্তমানে তিনি চৌমুহনী পৌর আওয়ামীলীগ সভাপতি। তিনি বাংলাদেশ শ্রমিকলীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, নোয়াখালীর প্রস্তাবিত গভর্ণর জননেতা মরহুম নুরুƒল হক এর নাতি হিসাবে পারিবারিক ঐতিহ্য টেনে চলেছেন। বিগত সেশনের মেয়র মামুনুর রশিদ কিরন ৫ জানুয়ারী/১৪এর নির্বাচনে নোয়াখালী -৩ আসনের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হলে মেয়র পদ শূন্য হয়।’১৪ সালের উপনির্বাচনে তিনি মেয়র নির্বাচিত হন।

সমপ্রতি এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানান,বর্তমান সময়ে নির্বাচিত হয়ে নিজের রাজনৈতিক ক্ষমতা,পারিবারিক পরিচয় এবং স্থানীয় সাংসদসহ জেলার নেতা-মন্ত্রী ও ক্ষতাবানদের কাজে লাগিয়ে ২ বছরে অন্তত ২শ কোটি টাকার পৌর উন্নয়ন কাজ করেছেন। আরো ৫০ কোটি টাকার কাজ প্রক্রিয়াধীন আছে । তিনি তাঁর অসমাপ্তকাজ সম্পন্ন করতে সকলের সহযোগিতা নিয়ে আবারো মেয়র পদে নির্বাচন করছেন। তাঁর প্রচেষ্টায় দীর্ঘদিনের সমস্যা চৌমুহনীর যানজট নিরসনে এমপি-মন্ত্রীর সহায়তায় সাড়ে ৫ কোটি টাকার ফোরলেন রাস্তার ৭৫ ভাগ কাজ শেষ হয়েছেন। ফোর লেন কাজ সমাপ্ত করা, চৌমুহনীকে আধুনিক নগরায়নের রুপ দেয়া, স্থায়ীভাবে বাস র্টামিনাল, সিএনজি ষ্ট্যান্ড ও ট্রাকের মালামাল লোড- আনলোডে ডাম্পিং ষ্ট্যান্ড করার পরিকল্পনা রয়েছে। চৌমুহনী ব্যবসায়ীক শ্রী বৃদ্ধি করতে পৌর অর্থায়নে দুইটি ৫ তলা আধুনিক ভবন নির্মান কাজ চলছে। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার রাস্তা গুলো মেরামতের জন্য প্রস্তাবিত ২৪ কোটি টাকার বিশেষ বরাদ্ধের অনুমোদন পাওয়া গেলে অচিরেই কাজ শুরু করা, চৌরাস্তার কালাপোল এলাকায় সুইপারদের জন্য একটি বহুতল ভবন নির্মানের অনুমোদনের জন্য চেষ্টা করছেন। তিনি নির্বাচিত হলে এসব কাজগুলো দ্রুত সম্পন্ন করবেন।

বিএনপি মনোনীত প্রার্থী জহিরউদ্দিন হারুন চৌমুহনী বাজারের একজন প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী। চৌমুহনী পৌর ব্যবসায়ী সমিতির সহ-সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। তিনি পৌর বিএনপির সভাপতি হিসাবে দলীয় নেতাকর্মীদের সাথে নিবিড় যোগাযোগ রক্ষার চেষ্টা করছেন। তিনি মনে করেন চৌমুহনীতে আওয়ামী বিরোধী জনগোষ্ঠীর সংখ্যা বেশ্।ী সুষ্ঠ নির্বাচন হলে তিনি নির্বাচিত হবেন। তিনি নির্বাচিত হলে চৌমুহনীকে একটি আধুনিক শহরে রুপান্তরিত করবেন।

রাজনৈতিক বিশ্লেষনে বেগমগঞ্জ তথা চৌমুহনী এলাকা আওয়ামী বিরোধীদের সংখ্যাধিক্য দীর্ঘদিন। । আওয়ামীলগের আভ্যন্তরিন কোন্দলের কারনে তাদেরকে অনেক সময়ে ক্ষমতার বাহিরে থাকতে হয়েছে। বর্তমান সময়ে আওয়ামী শিবিরে সর্বাত্বক ঐক্য তৈরী হয়েছে বলে দেখা যায়। বিশেষ করে এমপি মামুনুর রশিদ কিরনের ভাই খালেদ সাইফুল্ল্যাহ স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে মনোনয়ন দাখিল করলেও তা প্রত্যাহার করেন। বর্তমানে তিনি নিজে এবং তার ভাই যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সহ- সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম স্বপন ও গ্লোব গ্র“পের চেয়ারম্যান হারুনর রশিদ স্বয়ং মেয়র ফয়সলের পক্ষে জন সংযোগ করছেন। জন নেতা মরহুম নূরুল হক এর ছেলে জেলা আওয়ামীলীিগর সাংগঠনিক সম্পাদক ওমর ফারুক বাদশা সহ দলের সকল পর্যায়ের নেতারাই দলীয় বিজয়ের লক্ষ্যে নিরলস কাজ করছেন। সেনা শাসন সময়ে বেগমগঞ্জের ব্যপক উন্নয়নকারী,২০০৮সালের এমপি প্রার্থী মিনহাজ আহাম্ম জাবেদ জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি হিসাবে যোগদান করেছেন এবং আওয়ামী প্রার্থীর পক্ষে গনসংযোগ করছেন।
অপর দিকে বিএনপির প্রার্থী জহির উদ্দিনের পক্ষে দলের শীর্ষ নেতাদের কেউ এখনো মাঠ না নামলেও স্থানীয় নেতারা অনেকেই জন সংযোগে অংশ নিতে দেখা গেছে। তাছাড়া জামাতের ভিন্ন কোন প্রার্থী না থাকায় জোটের নেতা সর্ম্থকরা ধানের শীষের বিজয়ে কাজ করছেন। তবে অবরোধ সময়ে চৌমুহনীর ডাবল মার্ডার মামলায় জোটের সাড়ে তিনশ নেতাকর্মী আসামী হয়েছে।অনেকে জামিনে এসে দলের জন্য সম্ভব কাজ করতে দেখা গেছে। তবে ধর্মীয় রাজনীতির নামের প্রার্থী জাকির হোসেন শেষতক নির্বাচনে থাকলে বিএনপি প্রার্থীর সমূহ অসুবিধা হতে পারে বলে ভোটাররা মনে করে। #

গোলাম মহিউদ্দিন নসু
০১৭১৪৮৪০৮৯৪
তারখি ২১.১২.১৫


মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.