| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
গোলাম মহিউদ্দিন নসু
মনের কথা- সত্য কথা- বাস্তবতা- গবেষণা- সমস্যা- সম্ভাবনা- ইতিহাস- ঐতিহ্য- স্থাপত্য- ফোক কালচার সহ ইত্যাদি বিষয়ে সাংবাদিকতার দৃষ্টিতে লেখা-লিখি।
গোলাম মহিউদ্দিন নসু,নোয়াখালী
লাইসেন্স বিহীন ব্যাটারী ও সিএনজি চালিত অটো-রিক্সা, রিক্সা, হিউম্যান হলার আর লাইসেন্স ছাড়া ড্রাইবার,প্রধান সড়কে ময়লার স্তুপে সয়লাব নোয়াখালী জেলা শহর মাইজদি। প্রধান সড়ক জুড়ে অবৈধ ষ্ট্যান্ড।
জেলার সর্বোচ্চ কর্তাগনসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ নির্বাক থাকায় শহরবাসীর দূর্ভোগ চরমে উঠেছে।
নাম প্রকাশ না করার অনুরোধ করে নোয়াখালী শহরের বেশ কয়েকজন দোকানদার জানান, পুরো শহরের প্রধান সড়কে রিক্সা- সিএনজি দাঁড়িয়ে থেকে রাস্তায় যানজট সৃষ্টি করছে। রাস্তার পাশে সড়ক বিভাগের জায়গায় রিক্সা দাঁড়াবে, বাস থামবে ইত্যাদি সাইন বোর্ড দিয়ে পৌরসভা দায়িত্ব শেষ করেছে। কিন্ত পৌরকর্তৃপক্ষ বা ট্রাপিক পুলিশ এ ক্ষেত্রে কোন দায়িত্ব পালন করছে না। নোয়াখালী পৌরবাজার, মাইজদি বাজারে প্রধান সড়কের ফুটপাতে ময়লার স্তুপ। কেউ যেন দেখে না!
নোয়াখালী জেলা সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ(বিআরটিএ) অফিসের সহকারী পরিচালক অফিসের কাজে ঢাকায় রয়েছেন। প্রধান সহকারী নজির উল্যা জানান, ব্যাটারী চালিত কোন রিক্সার অনুমতি তারা দেন না। ইঞ্জিন চালিত বিধায় নোয়াখালী পৌরসভা এ গুলোর অনুমতি দিতে পারেন না। এ বিষয়ে একাধিকবার জেলা পর্যায়ের কমিটিতে আলোচনা হবার পরও কেন অবৈধ গাড়ী আজো রাস্তায় চলে তা বোধগম্য নয়। জানুয়ারী মাস থেকে সিএনজি চালিত অটো রিক্সার লাইসেন্স দেয়া বন্ধ। এখনো রাস্তায় লাইসেন্স বিহীন অটো রিক্সা,হিউম্যান হলার কি ভাবে চলে তারা বলতে পারবে না।
নোয়াখালী পৌরসভার সচিব খান মোঃ ফরাবি নোয়াখালী শহরের যানঝট, গাড়ীর ষ্ট্যান্ড স্বল্পতা, পরিস্কার পরিচ্ছন্নতায় ব্যর্থতার দায় স্বীকার করেন। তিনি বলেন নোয়াখালী পৌরসভায় সিএনসি অটো বা রিক্সার ষ্ট্যান্ডের জায়গা নির্ধারনের জন্য জেলা উন্নয়ন সভায় প্রায় ২ বছর আগে নোয়াখালী পৌরসভার মেয়রকে আহবায়ক, জেলা বিআরটিএ সহকারী পরিচালক ও জেলা ট্রাপিক ইন্সিপেক্টরকে সদস্য করে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছিল। কিন্ত এ কমিটি কোন কার্যক্রম না করায় শহরে ষ্ট্যান্ডের বিষয়ে কাজ করা যায়নি। ফলে রাস্তায় গাড়ী থাকে বলেই যানঝট হয়। ব্যাটারী চালিত অটোরিক্সা ৫ বছর আগে প্রথম চালু হলে পৌরসভা লাইসেন্স দিয়েছে মাত্র ৬শ গাড়ী । কিন্ত স্থানীয় সরকারের নির্দেশে পৌরসভা লাইসেন্স দেয়া বন্ধ করেছে। লাইসেন্স বিহীন গাড়ী রাস্তা থেকে সরানোর দায় পুলিশের। চাইলে পৌরসভা সহায়তা করবে। নতুন মেয়র শপথ নিলে পুরানো সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে পদক্ষেপ নিতে চেষ্টা করবেন।পৌরসভার কোন সুইপার কলোনী নাই।অর্থ সংকটে কলোনী নির্মান করা যাইতেছে না। তাই সুইপার(পরিচ্ছনতার কর্মী) নিয়োগ দেয়া যাইতেছে না। সুইপার স্বল্পতায় শহরে পরিচ্ছন্নতায় বিঘœ ঘটছে।
নোয়াখালী শহরে কর্মরত ট্রাপিক সাজেন্ট আলী আশরাফ মোল্লা বলেন, শহরের যানঝট নিরসনে নিরলস চেষ্টা করছেন। কিন্ত অনুমোদিত ব্যাটারী চালিত গাড়ী অবাধে রাস্তায় চলে। পৌরসভার কোন ষ্ট্যান্ড না থাকায় সব ধরনের গাড়ীই রাস্তায় পার্কিং করে। হিউম্যান হলার গাড়ী ওয়ালারা বলছে তাদের লাইসেন্স হচ্ছে। বিআরটিএ অফিস যদি তাদেও লিখিত জানায় তবে লাইসেন্স বিহীন এসব গাড়ীর বিষয়ে তারা ব্যবস্থা নিবে। বর্তমান অবস্থা মোকাবিলা করার জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যক ট্রাপিক না থাকায় শহরবাসী দূর্ভোগে আছে।#
গোলাম মহিউদ্দিন নসু
নোয়াখালী
০১৭১৪৮৪০৮৯৪
তারিখ ১৪.০৬.১৬

©somewhere in net ltd.