| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
গোলাম মহিউদ্দিন নসু
মনের কথা- সত্য কথা- বাস্তবতা- গবেষণা- সমস্যা- সম্ভাবনা- ইতিহাস- ঐতিহ্য- স্থাপত্য- ফোক কালচার সহ ইত্যাদি বিষয়ে সাংবাদিকতার দৃষ্টিতে লেখা-লিখি।
নোয়াখালী জেনারেল হাসতাপাল দুদর্শাগ্রস্থ -১
ঝুকিপূর্ন ভবনে চিকিৎসায় থেকে আতঙ্কে রোগীরা/
গোলাম মহিউদ্দিন নসু ; নোয়াখালী(দক্ষিন) প্রতিনিধি
নোয়াখালী জেলা সদরের ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালটি সরকারের গনপূর্ত বিভাগ ঝুকিপূর্ন বলে বিকল্প ব্যবস্থা গ্রহনের পরামর্শ দিয়েছে। ঝুকিপূর্ন ভবনে প্রতিদিন ৩ শতাধিক রোগীর চিকিৎসা চলছেই। মৌসুমী টানা বর্ষনের ফলে ঝুকপূর্ন ভবনে চিকিৎসাধীন নীচ তলার রোগীরা চরম দূর্ভোগে এবং আতঙ্কে রয়েছে। সংশ্লিষ্টদের দাবী ঝুকিপূর্ন ভবনে রোগীর চিকিৎসার আগে ভবনের চিকিৎসা জরুরী।
নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের তত্বাবদায়ক ডাঃ এ কেএম শামছুল করিম জানান,৪৫ বছরের পুরাতন ভবনটি ১০০ শয্যার হাসপাতাল ছিল। পর্যায় ক্রমে ১৫০ এবং ২৫০ শর্যায় উন্নীত করলেইও এর অবকাঠামোর উন্নয়ন করা হয়নি। বর্তমানে এ ভবনে দৈনিক ২৫০/৩০০ জন রোগী আবাসিকভাবে চিকিৎসাধীন থাকে। তাছাড়া উক্ত ভবনে অফিস, ফার্মেসী, জরুরী বিভাগ,ষ্টোর ও বহিঃবিভাগ কার্যক্রম চালানো হয়। অপর দিকে উক্ত হাসপাতালে আবদুল মালেক উকিল মেডিকেল কলেজের সকল কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।
৪৫ বছরের এ পুরাতন ভবনিটি ঝুকিপূর্ন বলে হাসপাতালে কার্যক্রমের বিকল্প ব্যবস্থার জন্য গনপূর্ত বিভাগ গত বছরের ডিসেম্বর মাসে চিঠি দেয়। এ সংক্রান্ত বিষয়ে হাসপাতালের যাবতীয় সমস্যসহ মে মাসে স্থানীয় এমপির ডিও লেটার সহ স্বাস্থ্য ও পরিবাবর কল্যান মন্ত্রনালয়ের সচিবের নিকট চিঠি দেয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত তিনি আরো জানান, গত তিন বছর যাবত হাসাপাতালের নিজস্ব কোন এম্বুলেন্স নেই। কোম্পনীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পুরানো এম্বুলেন্স দিয়ে জরুরী কাজ চালানো হয়। এটি ২৫০ শয্যার হাসপাতাল হলেও দৈনিক ৪৫০-৫০০ জন রোগী এখানে অবস্থান করে।এ হাসপাতালে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহের কোন ব্যবস্থা নেই। পৌরসভা যে পরিমান পানি সরবরাহ করে, তা পর্যাপ্ত নয়। হাসপাতাল কমপ্লেক্স এলাকা হাসপাতাল সড়কসহ পাশ্ববর্তী এলাকা থেকে নীচ্।ু অল্প বৃষ্টিতে পানি জমে চলাচল অনুপযোগী হয়ে পড়ে। হাসপাতাল সড়কটি অনেকদিন থেকে মারত্বক ভাবে বিধস্ত। মেরামতের উদ্যোগ নেই।
নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতাল সড়কের বিষয়ে আলাপ করলে নোয়াখালী পৌরসভার সচিব সুজিত রঞ্জন বলেন, সাময়িক সমস্যা সমাধানের জন্য ইটের কনকর ফেলানো হবে। মৌসুমে পূর্নাঙ্গভাবে মেরামত করা হবে
ডাক্তার এসোসিয়েশনের সাধারন সম্পাদক (ভারপ্রাপ্ত) ডাঃ ফজলে এলাহী খান জানান, ১শ শয্যার হাসপাতালকে ২৫০ শয্যার ঘোষনা দেয়া হয়েছে। ডাক্তার পোিিষ্ট ং দেয়া হলেও হাসপাতালের অবকাঠামোর উন্নয়ন করা হয়নি। তা ছাড়া সম্প্রতি জেনারেল হাসপাতালের পুরানো ভবনকে পরিত্যাক্ত ঘোষনা করা হয়েছে কিন্ত আজো ভবন নির্মানের উদ্যোগ নেয়া হয়নি। একটু বৃষ্টি হলেই রোগীরা নানা ধরনের দুরাবস্থার শিকার হন। গত দুই দিনের বৃষ্টিতে নীচ তলার রোগীরা চরম ভোগান্তিতে রয়েছে।

©somewhere in net ltd.