| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ইসানুর রহমান
ইসলামিক ব্লগ! মুসলমানদের জন্য।ব্লগ অর্কাইভঃ islamicjibon.blogspot.com
একজন ধর্ম-বিদ্বেষী ব্যক্তি সম্পর্কে শুনেছি যে, সে দ্বীনী মাদরাসা সম্পর্কে সমালোচনা করে লিখেছে, এসব প্রতিষ্ঠানে শিশুদেরকে শিক্ষা দেওয়া হয়, কোনো বিধর্মীর মৃত্যুর সংবাদ পেলে ‘ফী নারি জাহান্নাম খালিদীনা ফীহা’ বলতে হয়! আল্লাহ তাআলা তাদেরকে মিথ্যাচার ত্যাগ করার তাওফীক দান করুন।
উপরোক্ত বক্তব্য শরীয়ত ও দ্বীনী মাদরাসা উভয়ের সম্পর্কেই মিথ্যাচার। না মাদরাসায় এই শিক্ষা দেওয়া হয় আর না শরীয়তে কোথাও এই আদেশ দেওয়া হয়েছে। একজন ব্যক্তি জীবদ্দশায় কাফির হলেও তার মৃত্যু কোন হালতে হয়েছে তা তো গায়েবী বিষয়, যা একমাত্র আল্লাহ তাআলাই জানেন। যাদের কাফের অবস্থায় মৃত্যুবরণের সংবাদ শরীয়তের দলীল দ্বারা প্রমাণিত, তাদের বিষয় আলাদা।
এছাড়া সাধারণভাবে কারো সম্পর্কে নিশ্চিতভাবে বলা যায় না যে, সে কাফের অবস্থাতেই মৃত্যু বরণ করেছে। অতএব তার মৃত্যুতে ‘ফী নারি জাহান্নামা’ কীভাবে বলা যায়? উপরন্তু কাফের অবস্থায় মারা গেলেও এই বাক্য পড়তে হয়-এই বিধান কোথায় আছে? কারো সম্পর্কে কিছু বলার ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করা শুধু শরীয়তেরই বিধান নয়, সভ্যতা ও শরাফতেরও অপরিহার্য দাবি। আল্লাহ আমাদের সবাইকে এই শরাফত দান করুন। আমীন।
তথ্যসূত্র কৃতজ্ঞতায়ঃ মাসিক আলকাউসার।
১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১০ সকাল ৯:৩৯
ইসানুর রহমান বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ।
২|
১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১০ সকাল ৯:৩৫
লাল দরজা বলেছেন: ছোট বেলায় আমাদের মাদ্রাসার হুজুর শিখাইছিল, মুসলমান মরলে ইন্নালিল্লাহ... পড়তে হয় আর হিন্দু বা অন্নান্য কাফির মরলে পড়তে হয় খালিদিনা ফিনারে...
১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১০ সকাল ৯:৪৭
ইসানুর রহমান বলেছেন: আপনি কোন মাদ্রাসায় পড়েছেন? আপনি সম্ভবত কোন অ/অর্ধশিক্ষিত মৌলভীর কাছে ধর্ম শিখতে গিয়েছিলেন।
৩|
১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১০ সকাল ৯:৫৭
সহজপাঁচালি বলেছেন: ইসানুর রহমান ভাই
ভালো করে খবর নিয়ে দেখেন মাদ্রাসায় আর কি শেখানো হয়।
আমি কোন মাদ্রাসায় পড়াশুনা করিনি কিন্তু আমার কিছু আত্মিয়স্বজনের কাছ থেকেই শুনেছিলাম "ফি নারে..... " পড়ার কথা।
আপনার জ্ঞাতার্থে আরো কিছু তথ্য দিয়ে রাখি।
একটা আমার এক হাফেজি মাদ্রাসা পড়ৃয়া ভাইয়ের কাছ থেকে জানা। তিনি বলতেন "দাড়ি কেটে ফেললে নাকি রাসুলের কলিজায় ছুরি চালানো হয়"
আমি একটা মসজিদের দেয়ালে টাঙানো দেখেছি
"হাদিসে আছে - যে নারী বেপর্দা হয়ে ঘুরিয়া বেরাইবে কেয়ামতের দিন তাহার স্বামীকে জাহান্নামের আগুনে পুড়িতে হইবে"
১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১০ সকাল ১০:১১
ইসানুর রহমান বলেছেন: কোন মাদ্রাসার সিলেবাসভুক্ত কিতাবে এই উক্তি ("কোন কাফের মারা গেলে ‘ফী নারি জাহান্নামা’ বলতে হয়") আছে। এটা কি কেউ দেখাতে পারবে?
আর কারো ব্যক্তিগত ভুলের জন্য সম্পূর্ণ প্রতিষ্ঠানের উপর দায় চাপানো যায় না।
৪|
১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১০ সকাল ৯:৫৮
পারভেজ আলম বলেছেন: লেখক বলেছেন: আপনি কোন মাদ্রাসায় পড়েছেন? আপনি সম্ভবত কোন অ/অর্ধশিক্ষিত মৌলভীর কাছে ধর্ম শিখতে গিয়েছিলেন।
ঘটনাটাযে ঘটে তা তো বুঝতে পারছেন। যে ব্যাক্তি বলেছেন সে তো একেবারে মিথ্যা বলে নাই। বাঙলাদেশে ছোট-বড় মিলিয়ে কওমি মাদ্রাসার সংখ্যা অনেক, মক্তবও কম না। এই যায়গা গুলোতে উপরক্ত শিক্ষা দেয়ার মতো মৌলভী কিন্তু কম নাই। এই ঘটনাটার ব্যাপারে অনেকেই অবহিত আছেন। আমি নিজেই আমার কোরআন শিক্ষক মৌলুবির কাছে শিখেছি, তিনি আমাদের মসজিদের ইমাম ছিলেন।
১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১০ সকাল ১০:১৫
ইসানুর রহমান বলেছেন: কারো ব্যক্তিগত ভুলের জন্য সম্পূর্ণ প্রতিষ্ঠানের উপর দায় চাপানো যুক্তিযুক্ত নয়।
তাছাড়া এ ধরনের কথা কি কোন বিখ্যাত/প্রতিষ্ঠিত/বড় মাদ্রাসা থেকে বলা হয়? কেউ কি বলতে পারবেন?
৫|
১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১০ সকাল ১০:৩১
মৈত্রী বলেছেন: চমৎকার লাগলো, অপূর্ব!
আমিও কোরান নিয়ে এরকম একটা পোস্ট দেব।
১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১০ সকাল ১০:৩২
ইসানুর রহমান বলেছেন: ধন্যবাদ।
৬|
১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১০ সকাল ১০:৪৭
দ্যা আহমেদ মামুন বলেছেন: চমৎকার একটি পোষ্ট।
আনাকে ধন্যবাদ।
দোয়া রইল।
ভালো থাকুন।
আর এমন সুন্দর পোষ্ট আরো লিখুন।
১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১০ দুপুর ১:৪৮
ইসানুর রহমান বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে।
৭|
১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১০ দুপুর ১২:৫৩
রবিনহুড বলেছেন: আপনার কথার যুক্তি ধরে বলতে হয়, আপনি যখন একজন মৃত ব্যক্তির জানাজা পরেন তখন আপনি কি ১০০% শিওর উনি মুসলমান ছিলেন? {আপনার কথার যুক্তি ধরে যদি বলি... "(এছাড়া সাধারণভাবে কারো সম্পর্কে নিশ্চিতভাবে বলা যায় না যে, সে কাফের অবস্থাতেই মৃত্যু বরণ করেছে)}
এটা বলার কারন, কাফের অবস্তায় নিশ্চিত ভাবে বলা যদি না যায়, তা হলে মুসলমান অবস্থায় আপনি কি করে নিশ্চিত হলেন? (মুখে মুসলমান বলে অন্তরেও তো কাফের হয়ে থাকতে পারে... তর্কের খাতিরে বললাম।)
মূল বিষয়টা হলো আমরা যা করি সেটা আমাদের জ্ঞানের মধ্যে যতটুকু জানি তা দিয়েই বিচার করে করে থাকি এবং সেই ভাবেই বিচার করতে হবে।
সেই হিসাবে আপনার জানা মতে বা জ্ঞানের পরিধির মাঝে যদি মনে হয় উক্ত ব্যক্তি কাফের ছিলেন, সেই ক্ষেত্রে আপনি তার প্রতি কাফের হিসাবেই আচরন করুন।
১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১০ দুপুর ২:০৮
ইসানুর রহমান বলেছেন: কাফের অবস্থায় মারা গেলেও কিন্তু এই বাক্য পড়ার কোন নিয়ম নাই।
©somewhere in net ltd.
১|
১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১০ সকাল ৯:৩৪
ভোরের আলো বলেছেন: চমৎকার একটি বিষয় নিয়ে লেখার জন্য ধন্যবাদ।