নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

প্রকৃত সত্যের দিকে আমাদের ছুটতে হবে..

রাশিদুল ইসলাম লাবলু

প্রকৃত সত্যকে উপলদ্ধি করতে হবে খোলা মন নিয়ে।

রাশিদুল ইসলাম লাবলু › বিস্তারিত পোস্টঃ

দীপু আমাদের ক্ষমা করা ভাই! আমরা লজ্জিত! আমরা স্তম্ভিত। ( পর্ব -1)

২২ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১:৩১



ধর্ম কি কখনও মানুষকে অন্য ধর্মের প্রতি অসন্মান করতে শেখায়? আমি যতটুকু জেনেছি যতটুকু বুজেছি তাকে এজাতীয় অধর্মের কথা কখনই কোন ধর্ম মানুষকে শেখাতে পারে না। ধর্ম মাণুষকে নৈতিকতা, ন্যায্যতা, ন্যায়পরায়নতা শেখায়। সেই ধর্ম কখনই অধর্মের কাজ করতে শেখায় না। তারপরেও যদি এজাতীয় অনৈতিক কর্মকান্ড ঘটে। তার দায় কখনই ধর্ম নিতে পারে না। এমনি এক অর্ধমের ঘটনা ঘটেছে ।বৃহস্পতিবার রাতে ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলায় উপজেলার স্কয়ার মাস্টারবাড়ী এলাকার ডুবালিয়া পাড়ায় ধর্ম অবমাননার অভিযোগে এক হিন্দু ধর্মাবলম্বী এক যুবককে পিটিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, নিহত যুবকের নাম দীপু চন্দ্র দাস। তিনি স্থানীয় একটি পোশাক কারখানায় কর্মরত ছিলেন এবং ওই এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকতেন । জানা যায় নবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)–কে নিয়ে কটূক্তির অভিযোগ তুলে বৃহস্পতিবার রাত আনুমানিক ৯টার দিকে একদল উত্তেজিত জনতা দীপু চন্দ্র দাসকে ধরে গণপিটুনি দেয়। এতে তিনি মারা যান। জানা গেছে, পিটিয়ে হত্যা পর স্কয়ার মাস্টারবাড়ী এলাকায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের ডিভাইডারের গাছে লাশ ঝুলিয়ে মহাসড়ক অবরোধ করে প্রায় দুই ঘণ্টা উল্লাস করেন এবং আগুন দিয়ে লাশ পুড়িয়ে দেয় উপস্থিত ব্যক্তিরা। এ সময় মহাসড়কে প্রায় ত্রিশ কিলোমিটার যানজটের সৃষ্টি হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পরে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এই যে নিমর্ম ঘটনা আমরা কি করে তার ব্যক্ষা দাড় করাতে পারি? ধর্মের নামে এই অধর্র্মের কমকান্ডের পক্ষে একজন প্রকৃত ধার্মিক কি করে সমর্থন দিতে পারে? বল প্রয়োগ করে কি ইসলাম হয়? তেমনি কোনপ্রকার কটুক্তিগত কারনে কাউকে আইন না মেনে হত্যা করা ইসলাম সর্মর্থন করে না ।ইসলাম কখনোই বিচারবহির্ভূত হত্যা, গণপিটুনি কিংবা সহিংসতার অনুমোদন দেয় না।অভিযোগ থাকলে তার নিষ্পত্তি আদালতের মাধ্যমেই হতে হবে-এটাই আইনের শাসনের মৌলিক নীতি।তারপরেও এজাতীয় ঘটনা আমাদের দেশে মাঝে মাঝেই ঘটে।

গত বৎসর একজন হিন্দু যুবককে গন পিটুনিতে নিহত হবার ঘটনা ঘটে। জানা যায় যুবকটি হযরত মুহাম্মদ সা” আঃে কে নিয়ে কটিুক্তি করেছিলো। ঘটনার বিবরনে জানা গিয়েছিলো ছেলেটির বন্ধু ছেলেটির দেবতাদের নিয়ে উপহাস সুচক কথা বলেছিলো। ফলে হিন্দু ছেলেটি তার বন্ধুকে মুহাম্মদ সাঃ আঃ কে কটুক্তি করে কথা বলে। কিন্তু ঘটনা মুসলিম ছেলেটি তার বাবাকে জানায় । তার বাবা এলাকার লোকজনকে জানায়।পরবর্তীতে এলাকার বিশাল বাহিনী হিন্দু ছেলেটিকে ডেকে নিয়ে এনে গনপিটুনীতে হত্যা করে।বিষয়টি ভেবে দেখুন।সংখ্যাগরীষ্ঠ মুসলিম যখন সংখ্যালঘুকে উপহাস করে। অথচ সংখ্যালঘু যখন উপহাস করে তখন আইন নিজ হাতে তুলে নিয়ে হত্যা করা।এই জাতীয় অন্যায় কি কখনই ইসলাম সমর্থন করে? করতে পারে না।আসুন আমরা আল কোরআনে দিকে তাকায়।“আল্লাহকে ছেড়ে যাদেরকে তারা ডাকে তাদেরকে তোমরা গালি দিও না; কারণ এতে তারাও সীমালংঘন করে অজ্ঞতাবশত আল্লাহকে গালি দিবে।”-সূরা আল-আন'আম, আয়াত ১০৮।খুবই সহজ বোধগম্যতা। আপনি যদি কোন হিন্দুকে তার দেব দেবী বা অন্যে কোন বিষয় নিয়ে উপহাস বা টিটকারী মূলক নোংরা কথা বলেন তাহলে সে ও তো আল কোরআনের ভাষায় সীমালংঘন করে নোংরা কথা বলে বসতে পারে। আর তার এই নোংরা কথা কে পুজি করে তৌহিদী জনতার নামে মব ঘটানো বা নৃশংশভাবে হত্যা করা কি জায়েজ হয়? হয় না। সুতরাং এজাতীয় কর্মকান্ড যারা ঘটাচ্ছে ষংখ্যাগরীষ্ঠতার ক্ষমতা দেখিয়ে তারা আল্লার দরবারে অবশ্যই একজন খুনি বলেই গণ্য হবে। কারন ইসলামে পরধর্ম সহিষ্ণুতার ব্যাপারে অনন্য শিক্ষা রয়েছে। পৃথিবীর যে কোন ধর্মকে গালি দেয়া, কটু কথা বলা ইসলামে নিষিদ্ধ।একজন প্রকৃত মুসলমান কখনোই ভিন্নধর্মাবলম্বীদের অনুভব-অনুভূতিতে আঘাত আসে এমন কোনো কাজ করতে পারে না। রাসুল (স) বলেছেন, ''কোনো মুসলমান যদি ভিন্নধর্মাবলম্বীদের অধিকার ক্ষুণ্ন করে কিংবা তাদের ওপর জুলুম করে, তবে কেয়ামতের দিন আমি মুহাম্মদ ওই মুসলমানের বিরুদ্ধে আল্লাহর আদালতে লড়াই করব।'' (আবু দাউদ : ৩০৫২)ইসলাম ভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের প্রতি ধর্মপালনে তাদের কখনও বাধাগ্রস্ত করে না। যেমন একদিন আবু বকর (রা.) একটি কাফেলাকে দাওয়াতের উদ্দেশ্যে প্রেরণ করে বললেন, ‘তোমাদের পথিমধ্যে অমুক ধর্মের অনুসারীদের উপাসনালয় পড়বে। খবরদার, সেগুলো তোমরা ভেঙ্গ না। কারণ তারাও সেখানে আল্লাহকে পাওয়ার উদ্দেশে উপাসনা করে।’ (ফুতুহুস শাম, ওয়াকিদি : ১/৮)।সুতরাং ধর্মের নামে মব জাস্টিস অন্যায়।
এখন প্রশ্ন হলো দীপু চন্দ্র দাস কে কেনো এভাবে হত্যা করা হলো? তিনি নবী রাসুল বা আল্লাহ বা দ্বীন সম্পর্কে কি বলেছে? তার অপরাধ কি? র্যা ব বলছে ধর্ম অবমাননার কোন প্রমান পাওয়া যায় নাই। র্যা ব জানায়, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর ফ্যাক্টরির ভিতরে কিছু শ্রমিক দলবদ্ধ হয়ে দিপুকে মারধর শুরু করেন। এ সময় তার বিরুদ্ধে নবী ও ধর্ম নিয়ে কটূক্তির অভিযোগ তোলা হয়। মুখে মুখে ছড়িয়ে পড়ে, তিনি নাকি চায়ের দোকানে বসে এমন মন্তব্য করেছিলেন। তবে কেউই সরাসরি এমন কিছু শোনা বা দেখার কথা স্বীকার করেননি।তাহলে দীপুকে কেনো এমন নৃশংষ ভাবে হত্য করা হলো কেনো? আর হুজুগে মানুষগুলো কেনো জানা নেই প্রমান নেই কোন বিছু বুঝে উঠার আগে পিটিয়ে হত্যা করা হলো? রাষ্ট্রীয়ভাবে এজাতীয় মবের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলা উচিত। আমি মনে করি আইন করা উচিত।ষড়যন্ত্রভাবে মিথ্যা অজুহাতে মিথ্যা বেসাতি দিয়ে হত্যা করার ঘটনা মাঝে মাঝেই ঘটে।

আমি বহুবছর পূর্বে তৎকালীন সময়ের কট্টর আফগানিস্তানের একটি ঘটনা তুলে ধরি। আফগানিস্তানে তাবিজ কবজের ব্যবসা রমরমা। ফারখুন্দা নোমের একজন আফগান নারী এই কুসংস্কার ও শোষণের বিরুদ্ধে চুপ থাকতে পারেন নি। তিনি একদিন তাবিজ কবজের ব্যবসায়ী জয়নুদ্দিনকে চ্যালেঞ্জ করেন এবং বলেন, "এসব তাবিজ-কবজ ইসলাম সম্মত নয়, আপনি কেন মানুষের ঈমান নিয়ে ব্যবসা করছেন?" একজন নারীর মুখে এমন সত্য কথা এবং ব্যবসার ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা মোল্লাকে ক্ষিপ্ত করে তোলে। আত্মরক্ষার উপায় হিসেবে সে তৎক্ষণাৎ চিৎকার করে মিথ্যা অভিযোগ তোলে—"এই নারী কোরআন পুড়িয়েছে! সে আমেরিকার চর! তাকে ধরো!" মোল্লার চিৎকারে মুহূর্তের মধ্যে সেখানে শতশত মানুষ জড়ো হয়। তারা যাচাই করার বিন্দুমাত্র প্রয়োজনবোধ করেনি। ফারখুন্দা বারবার চিৎকার করে বলছিলেন, "আমি মুসলিম, আমি কোরআন পোড়াইনি, আমি নির্দোষ!" কিন্তু ধর্মান্ধ ও উন্মত্ত জনতা তার আর্তনাদ শুনতে পায় নি। শুরু হয় নির্মম নির্যাতন। প্রথমে চড়-থাপ্পড়, এরপর লাথি ও ঘুষি। ভিড় বাড়তে থাকে, জনতা তাকে ঘিরে ধরে। পুলিশ সেখানে উপস্থিত ছিল, কিন্তু তারা নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করে। জনতা ফারখুন্দাকে ছাদ থেকে নিচে ফেলে দেয়।এরপর শুরু হয় পাথর ও কাঠের তক্তা দিয়ে আঘাত। রক্তাক্ত ফারখুন্দা যখন নড়াচড়ার শক্তি হারিয়ে ফেলেন, তখনো জনতার আক্রোশ কমেনি। তার শরীরের ওপর দিয়ে একটি গাড়ি চালিয়ে দেওয়া হয়। এরপর তার নিথর দেহটি কেরশিন দিয়ে বেঁধে প্রায় ২০০ মিটার টেনে হিঁচড়ে কাবুলনদীর তীরে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তার শরীরে পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। অবশেষে বিচারের মাধ্যমে সঠিক সত্য ঘটনা জানা যায় ফারখুন্দা একজন নিরীহ ভালো মানুষ ছিলো।

এখন আমার প্রশ্ন কেনো হঠাৎ দীপুকে ধর্ম অবমাননার অভিযোগ তোলা হয়। ‘কোম্পানির বাইরে কোনো চায়ের দোকানে দিপু হজরত মুহাম্মদ (সা.)–কে নিয়ে কটূক্তি করেছেন, এমন খবরে কারখানার ভেতরের শ্রমিকদের মধ্যে উত্তেজনা তৈরি হয়। ওই সময় কারখানার বাইরেও একদল লোক এসে জড়ো হয়। পরিস্থিতি সামাল দিতে কারখানা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। কারখানার ভেতরে ও বাইরে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি ছিল। উত্তেজিত লোকজন দিপুকে নিয়ে গিয়ে এ ঘটনা ঘটায়।’ কিন্তু কেউ কোন প্রমান জানতেও চাই নাই। একজন মুখের কথার উপর ভিত্তি করে এত বড় ঘটনা ঘটে যায়। কিন্তু কেনো মানুষ এই ধরনের ঘচনার ক্ষেত্রে উন্মাদ হয়ে পড়ে। সরকারিভাবে এর একটা এই বিহীত করা দরকার। আইন ব্যবস্থা। তৌহিদী জনতার নামে ক্ষমতার প্রকাশ বা আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়ার মতো ন্যাক্কার জনক ঘটনা। যা ধর্ম মানুষকে শেখায় নাই।
(পরবর্তী পর্বে আমি লিখবো কেনো মাঝে মাঝে মানুষ এতটাই ধর্মভীরু হয়ে পড়ে। তার বৈজ্ঞানিক কারনই বা কি হয়ে থাকে)
রাশিদুল ইসলাম লাবলু
লেখব, গবেষক ও কনটেন্ট ক্রিয়েটর

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১:৪৫

জ্যাক স্মিথ বলেছেন:

২| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৩:০৩

কলাবাগান১ বলেছেন: একজিন পোস্ট দিয়েছেন বাংলাদেশকে মাথা উচু করে দাড়াতে, সেখানে আমার কমেন্ট:
চ্যাট জিপিটি কে জিজ্ঞেস করে দেখতে পারেন যে ধর্মান্ধ আর বিজ্ঞানমনস্ক ব্যক্তির IQ এর লেভেল। যেখানে বিজ্ঞান মনস্ক লোকের গড় IQ 100 এর উপরে...রিলিজিয়াস পিপল এর গড় IQ ৬০ এর কাছাকাছি যেটা মেন্টাল রিটার্ডেশান লেভেল এর কাছাকাী। গুগল বলছে
"Across many studies, the correlation between IQ and strength of religious beliefs ranges from approximately -0.14 to -0.25." Negative correlation. More religious less IQ.

তো এই আইকিউ নিয়ে দেশকে এগিয়ে নিবেন কিভাবে? হাদির জানাজায় একজনকে দেখলাম বলছে আনবিক বোমা আলু ভর্তা দিয়ে খেয়ে ফেলবে.... এক বয়স্ক ৭০-৭৫ বছর হবে লাল লম্বা দাড়ি আরেক বয়স্ক লাল লম্বা দাড়ি ওয়ালা লোকের ঘাড়ের উপর ঘোড়সরোয়ার হয়ে চিৎকার দিচ্ছে নায়ারে তাকবির!!!! তো এরা যখন দেশ শাসন করবে, তখন পর্যন্ত্য আপনাদের কে ইহুদি-নাসারাদের বানানো ইন্টারনেট, কম্পিউটার, এআই দিয়ে ছবি বানিয়ে ই চলতে হবে নিজে কিছুই করতে পারবেন না"

৩| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ ভোর ৫:২১

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
শা** মা** ছিড়া ফালামু!
খা**

৪| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:২১

রাসেল বলেছেন: দেশপ্রেমিকরা এখানেও সচেতনভাবে রাজনীতি ঢুকিয়ে দিয়েছে, উদ্দেশ্য ব্যক্তিগত লাভ।

৫| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:৩৮

রাজীব নুর বলেছেন: ধর্মের নামে মানুষ হত্যা কবে বন্ধ হবে? শুধু এই কথার উত্তর দেন?

৬| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:৫২

আলামিন১০৪ বলেছেন: এই ব্লগে বেশিরভাগই আওয়ামী ভাদা, কমেন্টগুলো দেখুন..

লাবলু, বাংলাদেশে ‍সেকুলার শাসন বিদ্যমান, এখানে ইচ্ছা করলেই আপনি ধর্ষকের রজমের শাস্তি দিতে পারবেন না, এতে ফিতনা সৃষ্টি হবে, আর ফিতনা হত্যা অপেক্ষা গুরুতর অপরাধ।

ইসলামী রাষ্ট্রে রাসুল (সঃ) কে কটু্ক্তিকারীর শাস্তি মৃত্যুদন্ড বলে অনেক ইমামের অভিমত। রাসুল (সঃ) কে যদি কেউ আপনার সামনে গালি দেয় তাহলে রাগ সংবরণ করা কঠিন। অভিযুক্তকে ঘরবন্দী করে রাখা উচিত ছিল যতক্ষণ না পুলিশ না আসে। মবকে সামলানোর জন্য সচেতনতা জরুরী। মিডিয়াগুলো একপেশে সংবাদ পরিবেশন করছে। যেহেতু গ্রেফতার আতঙ্কে কেউ কটুক্তির বিষয়ে মুখ খুলছে না। মিডিয়ার উচিত ব্লাসফেমী আইন সম্পর্কে মানুষকে সতর্ক করা। তা না হলে এ রকম ঘটনা আরো ঘটতে থাকবে। চোর ধরা পড়লে অনেক সময় পুলিশে না দিয়ে উত্তম-মধ্যম দিয়ে মেরে ফেলা হয়। বিষয়টা এরকম অনেকটা। এ নিয়ে এ চিল্লাচিল্লি না করে জনগণকে সচেতন করা জরুরী।

গণপিটুনিতে নিহত পকেটমারকে নিয়ে এরকম পোস্ট চোখে না পড়ার কারণ কি বলে আপনার মনে হয়?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.