নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি ঘুড্ডির পাইলট; বিমানের না।।

তুমি আমি সে

বহুপথ হেঁটে আমি বড় ক্লান্ত; দোর খুলে নেমেছি সেই কবে তোমার দুয়ারে দাঁড়াব বলে.

তুমি আমি সে › বিস্তারিত পোস্টঃ

বন্ধুত্বদের জন্য বন্ধুত্বপনা

১১ ই জুন, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৩৯

বেঞ্চের এক পাশে আমি; আর বিপরীত দিকে অর্থনীতি বিভাগের এক ছেলে. আমি একটু দেড়ি করে পরীক্ষার সেন্টারে পৌছলাম. তাড়াহুড়া করে সিট খুজে বসে পড়লাম নিজের বেঞ্চে. বিপরীত দিকের ওই ছেলেটির ডান হাতটা ভাঙ্গা. হাতটা বেন্ডেজ করে গলায় ঝুলিয়ে নিয়ে বসে আছে. ছেলেটির সামনের বেঞ্চে একটি ছেলে ও পিছনের বেঞ্চে একটি মেয়ে বসে আছে. তারা তিন জন খুব গল্প স্বপ করছে...
- কি রে তোর হাতটা ভাঙ্গল কি ভাবে?
- আর কইসনা.
- কেন, কি হইছে?
- মটর সাইকেলে একসিডেন্ড করছি.
- ওহহ!! ইসস!!!, কিন্তুক তোর তো ডান হাতটাই ভাঙ্গছে, কি ভাবে লিখবি? আর পড়াশুনা কি কিছু করছিস? পরিক্ষা দিবি কি ভাবে?
- পড়াশুনা করতে পারি নাই, দুদিন আগেই তো হাসপাতাল থেকে রিলিজ পেলাম. কিছুই পড়তে পারি নাই. আর আমার লিখতে হাতের কোন সম্যাস হচ্ছে না; আমি লিখতে পারব. আমাকে তোরা একটু হেল্প করিস. আমাকে তোদের দেখে দেখে লেখার সুযোগ করে দিস. আমি তোদের দেখে দেখে লিখব. আচ্ছা...
- আচ্ছা, কোন সমস্যা নাই, আমার তোকে দেখাবে. তু্ই আমাদের দেখে দেখে লিখিস.
তাদের গল্প গুলো শুনে আমাকেও ভাল লাগলো. সুন্দর বন্ধুত্ব আছে তাদের মাঝে; অবিশ্বাস করার মত কোন ধরনের অবকাশ নেই সেখানে. কিন্তুক পরীক্ষার ২০-২৫ মিনিট পরে ছেলেটি পিছনে দিকে তাকিয়ে মেয়েটির দেখে দেখে লিখতে চাইলে মেয়ে বলে উঠল
- আমি দেখাতে পারবো না.
- কেন রে. এমন কথা বলছিস কেন?
- দেখ, পরীক্ষা হল এটা যুদ্ধক্ষেত্র. সেই যুদ্ধুক্ষেত্রে নিজেকে ছাড়া অন্যকে জয়ী করা যায় না.
- কেন তুই কি এক(১) রোল করবি না কি?
- দেখ!! আমি আত সত বুঝিনা. আমি কাউকে দেখাতে পারবো না.
বলে মেয়েটি খাতায় হাত রেখে লেখা আরাম্ভ করল. আমার মনে হয়- পরীক্ষার চার(৪) ঘন্টা সময়ে ছেলেটি ২য় বারের মতো ভুল করেও কখনো পিছনের দিকে তাকায় নি.

মন্তব্য ০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.