নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি ঘুড্ডির পাইলট; বিমানের না।।

তুমি আমি সে

বহুপথ হেঁটে আমি বড় ক্লান্ত; দোর খুলে নেমেছি সেই কবে তোমার দুয়ারে দাঁড়াব বলে.

তুমি আমি সে › বিস্তারিত পোস্টঃ

ও-তে “ওড়না” ওড়না চাই;

০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১০:০৭

ও-তে “ওড়না” ওড়না চাই;
ঔ-তে “ঔষধ” ঔষধ খাই।

এ বছর প্রথম শ্রেনীর পাঠ্যবইয়ের ১২ নাম্বার পৃষ্ঠায় কোমলমতি শিশুদেরকে বর্ণ পরিচয় অধ্যায়ের অক্ষর জ্ঞান সূচিতে “ও” অক্ষর চেনানোর উপকরন হিসেবে ও-তে “ওড়না” ব্যবহার করা হয়েছে। আর শব্দটির জন্য বাক্য তৈরী করা হয়েছে “ওড়না চাই”। আর ঔ -এর জন্য “ঔষধ” বাক্য তৈরী করা হয়েছে “ঔষধ খাই”। অর্থাৎ বাচ্চারা ছড়ার মতো মাথা দুলিয়ে দুলিয়ে পড়বে ও-তে ওড়না, ওড়না চাই; ঔ-তে ঔষধ, ঔষধ খাই।

পাঠ্যপুস্তক বোর্ডকে একটা ফ্রি পরামর্শ দেই। আপনারা ধ-তে “ধর্ষক” যুক্ত করে দিন। বাক্য হবে “র্ধষককে ঘৃণা করি”। পরের অক্ষর ন-তে হবে “নাটক”। বাক্য হকে “আইনের নাটক বন্ধ করি”। বাচ্চারা ছড়া মিলিয়ে পড়বে ধ-তে ধর্ষক, ধর্ষককে ঘৃণা করি; ন-তে নাটক, আইনের নাটক বন্ধ করি।

একটি শিক্ষা ব্যবস্থায় কোমলমতি শিশুদের জন্য এই ধরনের শব্দ দিয়ে পরিচিতি কখনোই কাম্য নয়। বাচ্চাদের সব সময় শিক্ষা দিতে হবে কমন বিষয় দিয়ে। কখনো তাদেরকে জেন্ডার বৈষম্য প্রকাশ পায় এমন শব্দের সাথে পরিচয় করানো ঠিক না, এই যে শব্দ ‘ও’ তে ওড়না চাই, এখন এই বাক্য দিয়ে তারা কী শিখবে? একটি মেয়ে শিখবে, এই কাপড়টি মেয়েদেরকে পরতে হবে, আর ছেলেটা শিখবে এই কাপড়টি মেয়েদের জন্য বরাদ্দ। এই বিষয় থেকে শুধুমাত্র জেন্ডারভিত্তিক শারীরিক পরিচয় বেরিয়ে আসে।

বাচ্চারা ছোটবেলাায় যা পড়বে মনের মধ্যে তো তাই গেথে যাবে; তাই না?

অনুলিপি - আফরিন শরীফ বিথী।

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১০:৫০

আহলান বলেছেন: তুতীয় শ্রেনীর বইতে আদর্শ ছেলে কবিতারও পোষ্ট মার্টেম করে ছেড়ে দিয়েছে ... কি হচ্ছে এসব ! ! আমরা কোথায় যাচ্ছি .... কারা আমাদের পরিচালনা করছে ?

২| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১১:১৪

মূর্খ বিজ্ঞানি বলেছেন: জাতি কি এই শিক্ষা ব্যবস্থা চেয়েছিলো!?!?

৩| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১১:৫৬

নীল_অপরাজিতা বলেছেন: আমাদের শিক্ষা ব্যবস্হায় বড় কোন গলদ আছে, তা না হলে দিন দিন মানুষের এত নৈতিক অধঃপতন কেনো? শিক্ষীত লোকজন যেভাবে দূর্নিতীবাজ হয়ে উঠছে তাতে করে শিক্ষা ব্যবস্হাকে নতুন করে সাজানো প্রোয়জন। এটা নিয়ে সরকারের উচ্চপর্যায়ের লোকজনদের কাজ করা দরকার।

৪| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১২:০০

বিজন রয় বলেছেন: ফলাফল নিন্মচাপ।

৫| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৩:৫৭

মঈনুদ্দিন অারিফ মিরসরায়ী বলেছেন: গান্জাখোরী গুলো শিক্ষা বোর্ডে...........?

৬| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১১:২৪

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: বছরের পর বছর 'জ্ঞান পাপী'দের শাস্তি হয় না বলে এরা এসব বিষয় নিয়ে বার বার পরীক্ষা নিরীক্ষা চালায়...

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.