নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বার বার নিহত হব তোমার অবর্তমানে

যদি ঠাঁই দিলে তবে কেন আজ হৃদয়ে দিলে না প্রেমের নৈবদ্য

বিবাগী বাউল

ইদানিং জ্যোৎস্না দর্শনই হয়ে পড়ে আমার একান্ত জীবনদর্শন!!!

বিবাগী বাউল › বিস্তারিত পোস্টঃ

কেন এই অস্ত্র বিলাস

১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:৩৮

যে দেশের সরকার মানবেতর জীবনযাপনকারী হাজার হাজার শিক্ষকের (যাদের বেতন মাত্র মাসিক ১৭০০-২০০০ টাকা) এমপিও ভুক্তির দাবিতে আন্দোলনের মুখেও সাফ জানিয়ে দেয় সরকারী কোষাগার খালি, তাই এমপিও ভুক্তির জন্য ৬০০-১২০০ কোটি টাকার যোগান দিতে যে সরকার অপারগ; যে দেশের সরকার জ্বালানি তেলে হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দিতে পারে না বলে বার বার তেলের দাম এবং বিদ্যুতের দাম বাড়িয়ে জনগনের নাভিশ্বাস উঠাতে কুণ্ঠিত হয় না; যে দেশের সরকার কৃষি, শিল্প থেকে শুরু করে সমস্ত সেবাখাত (স্বাস্থ্য, রেল সহ ) থেকে সরকারী ভর্তুকি কমিয়ে দিয়ে ক্রমান্বয়ে তা শূন্যের কোটায় নিয়ে আসার পরিকল্পনা বাস্তবায়নে সিদ্ধহস্ত, সেই সরকারই যখন দেখি রাশিয়া থেকে ৮ হাজার কোটি টাকার ঋণ (শর্তযুক্ত এবং সুদসহ) নিয়ে সমরাস্ত্র কেনার চুক্তি সম্পাদন করছে, তখন বিস্ময়ে হতবাক হতে হয় আমাদের! এই অস্ত্র বিলাসের কোন মানে আছে? দেশের লক্ষ লক্ষ শিক্ষককে অভুক্ত রেখে, দেশের সাধারণ মানুষের জ্বালানি নিরাপত্তার নিশ্চয়তা না দিয়ে, কৃষি- শিল্প সহ সেবাখাতে ভর্তুকি হ্রাস করে দেশের সামগ্রিক উন্নয়নকে বিকশিত হতে না দিয়ে কেন এই অস্ত্র বিলাস? সীমান্তে বিএস এফ যখন শত শত বাঙ্গালীকে পাখির মত গুলি করে হত্যা করে তার প্রতিবাদে বিজেবিকে একটা পাল্টা গুলি ছোঁড়ার নির্দেশ দেয়ার মত হিম্মত এবং স্বাধীনতা নেই যে দেশের রাষ্ট্রনায়কদের তারা এই ৮ হাজার কোটি টাকার সমরাস্ত্র সামরিক জাদুঘরে সাজিয়ে রাখা ছাড়া আর কি কাজে ব্যাবহার করবেন? রাষ্ট্রনায়ক, সরকার প্রধান, মন্ত্রি থেকে শুরু করে দেশের রাজনীতিবিদের নিজস্ব স্বাধীন চেতা মনোভাব, আত্মমর্যাদাবোধ না থাকলে পারমানবিক অস্ত্র থাকলেও তা যে দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষার ক্ষেত্রে কোনই কাজে আসবে না তার বড় উদাহরণ তো পাকিস্তান। অথচ সামরিক দিক দিয়ে নিতান্তই দুর্বল বলিভিয়ার ইভো মোরালেস সরকার কিছুদিন আগেও মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে বহিষ্কার করে দেখিয়ে দিল অস্ত্র নয় গণশক্তিতে বলিয়ান মানবিক স্বাধীনচেতা মনোভাবই শক্তির উৎস, ইকুয়েডর, ভেনেজুয়েলা , ইরান এরকম অনেক উদাহরণ দেয়া যাবে যারা এই শক্তির বলেই নিজেদের সার্বভৌমত্ব রক্ষা করে যাচ্ছে! তাই সার্বভৌমত্ব রক্ষার যুক্তিতে অস্ত্র কেনার কোন যৌক্তিকতা নেই যখন এদেশের রাজনীতিবিদরা (দুই একজন ছাড়া) প্রত্যেকেই পরাশক্তির ও আঞ্চলিক আধিপত্যবাদী শক্তির দাসত্ব করার ক্ষেত্রে রীতিমত লজ্জাস্কর প্রতিযোগিতায় লিপ্ত, এমনকি মার্কিন রাষ্ট্রদূত কিংবা ভারতীয় হাই কমিশনারের কাছেও এরা অনুগত সেবাদাস এর মত নতজানু থাকতে পছন্দ করেন! যুগান্তর এর এক রিপোর্ট অনুযায়ী বাংলাদেশের প্রধান প্রধান রাজনৈতিক দলের প্রত্যেকেই তার প্রতিনিধির মাধ্যমে নিয়মিত মার্কিন দূতাবাসে গিয়ে রিপোর্ট পেশ করেন তাদের অবস্থান সম্পর্কে (মানে কে কত মার্কিন দালালি করবেন তার ফিরিস্তি তুলে ধরেন)! এই হল স্বাধীন বাংলাদেশের স্বাধীন রাজনীতিবিদদের অবস্থা? এরাই যখন ৮ হাজার কোটি টাকার সমরাস্ত্র কিনে তখন বুঝতে অসুবিধা হয় না এই অস্ত্র দেশের স্বাধীনতা রক্ষার কাজে নয়, দেশ রক্ষার কাজেও নয়, এই অস্ত্র কেনা হচ্ছে স্রেফ বিদেশি পরাশক্তির মিলিটারি পুঁজিবাদের বিকাশের স্বার্থেই! এই ঋণের সুদসহ অন্য শর্ত সম্পর্কে কোনো রিপোর্ট সংবাদপত্রে না থাকলেও আগের কিছু সূত্র থেকে জানা যায় যে, সুদের হার বেশ উঁচুই রাখা হয়েছে। কিন্তু গণঅসন্তোষের ভয়ে সরকার সব গোপন রাখছে। দিপু মনিকে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করেন, এই চুক্তির শর্ত কি সহজ নাকি কঠিন ?" তিনি উত্তর দিলেন, "এর কোনটাই না" এভাবে অত্যন্ত কৌশলে উত্তর প্রদান ই প্রমান করে এই চুক্তি কঠিন শর্তেই করা হয়েছে। কই যামুরে , আমাদের জনগনের টাকায় অস্ত্র কিনব, আবার সুদে আসলে ঋণের টাকা শোধ করতে হবে, ভাত না খেয়ে এখন থেকে অস্ত্র খেতে হবে জনগণকে। বাংলাদেশের আর্থ সামাজিক পরিস্থিতিতে এই অস্ত্র বিলাস সম্পূর্ণ অপ্রয়োজনীয়। এটা দেশের নিপীড়িত জনগনের সাথে হাসি তামাশা ছাড়া আর কিছুই নয়! এই ধরনের অযৌক্তিক সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা জানাই এবং অতিদ্রুত এই চুক্তি প্রত্যাখ্যানের দাবি জানাচ্ছি।

মন্তব্য ১১ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (১১) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:৪৯

প্রতিবাদকন্ঠ বলেছেন: দেশটা আমাদের না ভাই দেশটা হল হাসিনা দাদীর

১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:৫৯

বিবাগী বাউল বলেছেন: কি কন ভাই, দেশটা যতটা না হাসিনা দাদির তার চেয়ে বেশি পরাশক্তির, পুতিন, অবামা , মনমোহনের

২| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:৫৭

মনে নাই বলেছেন: পদ্মাসেতুর ১০% পকেটে ভরতে পারেনি, কিন্তুক অস্ত্র কেনার পার্সেন্টেজ পকেটে ভরতে কোন সমস্যাই হবেনা।

আমেরিকার বাজারে আমাদের গার্মেন্টস শিল্পের কোটামুক্ত প্রবেশাধিকার বাতিল করার নোটিস দিয়েছে, আর সরকার গিয়ে রাশিয়া থেকে আট হাজার কোটি টাকার অস্ত্র কেনার চুক্তি করছে!!! সরকার যে কি চাইতেছে, বুঝতেছি না।

১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ২:০১

বিবাগী বাউল বলেছেন: পদ্মাসেতুর ১০% পকেটে ভরতে পারেনি, কিন্তুক অস্ত্র কেনার পার্সেন্টেজ পকেটে ভরতে কোন সমস্যাই হবেনা। সহমত

মনে আছে ভাই , আগে রাশিয়া থেকে একবার মিগ-২৯ দুর্নীতির কথা ৭২৯ কোটি টাঁকা গচ্চা দিয়ে নকল মিগ নিল সরকার।

৩| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ২:২৩

সচেতন বলেছেন: কেনার সিস্টেম টা একটু দেখবেন প্লিজ !
*আর চুরির কথা তো বলা লাগে না!

১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:১৬

বিবাগী বাউল বলেছেন: সচেতন ভাই, কঠিন শর্তে আর চড়া সুদে অস্ত্র কেনার কি দরকার বুঝলাম না, বাংলাদেশের সরকারগুলা আজ পর্যন্ত বিদেশীদের সাথে কোন চুক্তি উইন উইন করতে পারল না ।

৪| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ২:৫৩

কিংবদন্তী হাসিব বলেছেন: এই সরকারের শেষ মেয়াদ এ বছর। আলগা কামানোর আশায় আরো অনেক কিছুই করবে, শুধো দেখতে থাকুন।

১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:১৭

বিবাগী বাউল বলেছেন: কুইক রেন্টাল এর মাধ্যমে ২০ হাজার কোটি টাকা লুটের পর আরও আলগা কামানোর সাধ তাদের। কই যামু!

৫| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ২:৫৭

রিওমারে বলেছেন: আওয়ামীলিগের কেনা অস্ত্র দিয়েই আওয়ামীলিগ নিধন করা হবে।। কিছু দিন অপেক্ষা করেন ।।

৬| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৩:৫৬

জেনারেশন সুপারস্টার বলেছেন: একপেশে সবযুক্তি।যদিও সময়ই সবকিছু বলে দেবে এরপরেও এটা অস্বীকার করার উপায় নেই যে অর্থনীতি তুলনামূলকভাবে অনেক ভালো আছে।জিডিপি উল্লেখযোগ্যহারে বেড়েছে।দেশ এখন দূর্নীতিতে দুনিয়াব্যাপী শীর্ষে যায়না।পরিসংখ্যংনগুলোতে দেখা যায় বিগত কয়েকবছরে খাদ্যসম্ভার,নিম্নবিত্তের আয় বৃদ্ধি,বিদ্যুৎসংকট থেকে মুক্তি,রেমিটেন্সবৃদ্ধি,সেনাশাসন এসে যাওয়ার হুজুগ বিলুপ্তি,সন্ত্রাস-বোমাবাজি বন্ধ করে অর্থনৈতিক স্হিতি ও গতিশীলতার কারণে অর্থনীতি আগের চেয়ে সন্তোষজনক পর্যায়ে রয়েছে।আর মূল কথা হল প্রতিরক্ষাবাহিনীতে অফিসার সংকটদীর্ঘদিনের।তাই এমনও হতে পারে লোকবল বৃদ্ধিকরে তাদের অধিক পরিমাণে অস্ত্র দিয়ে তাদের কার্যক্রমকে বিস্তৃত করার পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে এবং সেটা বর্তমান পরিস্হিতিতে সেরা ডিসিশন।ওয়েট এন্ড সি।

১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:০৬

বিবাগী বাউল বলেছেন: জিডিপি বাড়া মানেই দেশের অবস্থা ভাল তা না, ধরেন দেশের হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাট করল কিছু মন্ত্রী বা বাবসায়ি , তাতে কিন্তু জিডিপি ঠিকই থাকবে কিন্তু আপামর জনগণের দুর্ভোগ চরমে উঠবে । কুইক রেন্টাল এর মাধ্যমে সরকারের নিজের লোকদের ২০ হাজার কোটি টাকা লুটপাট , শেয়ার বাজারের হাজার হাজার কোটি টাকা লোপাট , হল মার্ক দুর্নীতি এভাবে বললে তো ফিরিস্তি লেখা লাগবে , এভাবে জনগণের সম্পদ লুণ্ঠন করে সরকারী কোষাগার খালি করে আবার আই এম এফ এবং বিশ্ব ব্যাংকের কথামত ভর্তুকি কমিয়ে এনে তেলের দাম এবং বিদ্যুতের দাম বার বার বাড়িয়ে দিয়ে জনগনের নাভিশ্বাস উঠানোর কাহিনি সবাই জানে। সেটার প্রতিবাদ করলেই পিপার স্প্রে (মরিচ গুড়া ) করে আন্দোলন দমানো হচ্ছে। বি এনপি আসলেও আবার একই কাজ করবে, বার বার দাম বাড়াবে কারন উভয় দলই আই এম এফ এবং বিশ্ব ব্যাংকের কথামত উঠে বসে। তাই বিকল্প বের করতেই হবে। প্রচলিত রাজনীতির বিপরীতে জনগনের সত্যিকারের রাজনীতি আনতে হবে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.