নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বার বার নিহত হব তোমার অবর্তমানে

যদি ঠাঁই দিলে তবে কেন আজ হৃদয়ে দিলে না প্রেমের নৈবদ্য

বিবাগী বাউল

ইদানিং জ্যোৎস্না দর্শনই হয়ে পড়ে আমার একান্ত জীবনদর্শন!!!

বিবাগী বাউল › বিস্তারিত পোস্টঃ

বহুজাতিক কোম্পানির সঙ্গে জিএম শস্য নিয়ে সম্পাদিত চুক্তি বাতিল করুন

০৩ রা মার্চ, ২০১৪ রাত ১:৪৩

বীজ নিয়ে বহুজাতিক কোম্পানির যে রাজনীতি তার নিষ্করুণ শিকার হচ্ছে বাংলাদেশের কৃষি ও প্রাণবৈচিত্র্য! ব্যাসিলাস থুরিনজেনসিস (বিটি) বেগুন চাষের অনুমোদন দেয়ার পর এবার জেনেটিক্যালি মডিফাইড (জিএম) আলুর ফিল্ড ট্রায়াল চলছে বাংলাদেশে, লক্ষ্য এখানে জিএম আলুর চাষ শুরু করা। জিএম টমেটো, জিএম তুলাও আনার প্রক্রিয়া চলছে। অর্থাত্ বাংলাদেশ এখন বহুজাতিক এগ্রো করপোরেশনের জিএম বাণিজ্যের উর্বর ভূমিতে পরিণত হচ্ছে। জিএম প্রযুক্তি নিয়ে দুনিয়াজুড়ে বিজ্ঞানীরাই দুই ভাগে বিভক্ত। একপক্ষ দাবি করছে জিএম শস্য মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর, আরেক পক্ষ বলছে ক্ষতির সম্ভাবনা নেই। এ স্বাস্থ্যঝুঁকির বিতর্ক বাদ দিলেও জেনেটিক্যালি মডিফাইড অর্গানিজম (জিএমও)-এর সঙ্গে জড়িত হয়ে পড়েছে বীজের মালিকানা, খাদ্যনিরাপত্তা, পেটেন্ট আগ্রাসন তথা বায়োপাইরেসির প্রশ্ন অর্থাত্ এগ্রি-বিজনেস। এর সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছে হাজার হাজার বছরের কৃষকের নিজস্ব সম্পদ নন-জিএম বীজের অবলুপ্তির আশঙ্কা। কৃষিতে জিএম মানে শুধু বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি নয়। জিএম যখন বহুজাতিক এগ্রো-করপোরেশনগুলোর এগ্রি বিজনেসের হাতিয়ার, তখন এর সঙ্গে জড়িয়ে পড়ে বীজ নিয়ে রাজনৈতিক অর্থনীতি। বিজ্ঞান জিএম নিয়ে গবেষণা করতেই পারে, কিন্তু তাকে খাদ্যশস্য হিসেবে প্রয়োগ করার সিদ্ধান্ত নিতে গেলে সামগ্রিকভাবেই বিষয়গুলোকে বিবেচনা করতে হবে। মানবদেহ, পরিবেশ, জীববৈচিত্র্য এসবের ওপর জিএম হুমকি কিনা সে ব্যাপারে নিশ্চিত না হয়েই জিএম বীজের বাণিজ্যিক ব্যবহার যেমন বিপজ্জনক, তেমনি এ জিএম বীজের মধ্য দিয়ে কৃষিতে এগ্রো জায়ান্টদের করপোরেট মনোপলি নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা কৃষি ও কৃষকের স্বার্থপরিপন্থী।



বাংলাদেশে চাষের জন্য অনুমোদিত বিটি বেগুনের মালিকানা কোম্পানির নাকি কৃষকের এটা নিয়েও সৃষ্টি হয়েছে ধূম্রজাল। বারি ও সরকারের পক্ষ থেকে প্রচার করা হচ্ছে, বীজের মালিকানা বাংলাদেশের থাকছে। বারি মহাপরিচালক ড. রফিকুল ইসলাম মণ্ডল বিটি বেগুনের বীজের মালিকানা বারির থাকবে বলে দাবি করেন। কিন্তু বিএনপি নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোট ক্ষমতায় থাকার সময় ২০০৫ সালের ১৪ মার্চ বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বারি), মার্কিন বহুজাতিক বীজ কোম্পানি মনসান্তো পক্ষে ভারতীয় কোম্পানি মহারাষ্ট্র হাইব্রিড সিড কোম্পানি লিমিটেড (মাহিকো) ও ভারতীয় কোম্পানি সাতগুরু ম্যানেজমেন্ট কনসালট্যান্ট প্রাইভেট লিমিটেডের মধ্যে ত্রিপক্ষীয় যে সাব-লাইসেন্স চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়, তাতে সুস্পষ্টভাবে লেখা আছে এ বিটি বেগুনের বীজের মেধাস্বত্ব মনসান্তো-মাহিকো কোম্পানির (ধারা ১.১৯) এবং তা বাংলাদেশের বারিকে কিনে নিতে হবে কোম্পানি থেকেই (ধারা ১.৬)।

চুক্তির ধারা ৯.২ (গ)তে বলা হয়েছে, ‘This Agreement may be terminated by Sub licensor (read MHSCL) if in Sub licensor’s judgment, reasonably exercised, laws and regulations in the Territory (read Bangladesh) do not provide adequate assurance of protection for commercial and intellectual property rights, including, but not limited to: i) effective, legal and practical protection of Licensed Domestic Eggplant Products, the B.t. Gene and/or MHSCL Technology against unauthorized reproduction; and ii) implementation in the Territory of legislation affording protection for patented technology incorporated in living organisms.’ অর্থাত্ বিটি বেগুন বীজের ও প্রযুক্তির বাণিজ্যিক ও মেধাস্বত্ব অধিকারের সংরক্ষণ লঙ্ঘিত হলে কোম্পানি এ চুক্তি বাতিলের অধিকার রাখে! চুক্তির এসব ধারা অনুযায়ী প্রমাণিত হচ্ছে বাংলাদেশের বেগুন বীজের মালিকানা চলে যাবে মার্কিন-ভারতীয় কোম্পানি মনসান্তো-মাহিকোর কাছেই। এটা বায়োপাইরেসি ছাড়া আর কিছুই নয়। গেটকো এগ্রো ভিশন লিমিটেড এবং সুপ্রিম সিড কোম্পানি লিমিটেড এরই মধ্যে বিটি বেগুন বীজ উত্পাদন ও বাজারজাতকরণের জন্য আবেদন করে রেখেছে বারির কাছে। দেশী-বিদেশী কোম্পানির মুনাফা লাভের বলি হবে এ দেশের নিজস্ব বেগুন জাত। আবার কৃষিমন্ত্রী নিজেই কৃষকদের মাঝে বিটি বেগুনের চারা বিতরণ অনুষ্ঠানে দেয়া ভাষণে বলেছেন, ‘বুদ্ধিবৃত্তিক অধিকার, বাণিজ্য-সংক্রান্ত অধিকার, পেটেন্ট ইত্যাদিসহ বিদ্যমান এবং অনাগত অন্য অনেক বিধিবিধান মেনেই জিএম ফসলের বাস্তবতাকে মানবকল্যাণে ব্যবহার করতে হবে’ অর্থাত্ জিএম ফসলের পেটেন্ট, বাণিজ্য, মালিকানা সবই বহুজাতিক এগ্রো করপোরেশনের হাতে থাকবে, এর মানে বাংলাদেশের ফসল ও সবজির ওপর কোম্পানির একচেটিয়া আধিপত্য প্রতিষ্ঠিত হবে। বাংলাদেশের হাজার বছরের নিজস্ব কৃষিজ সম্পদের ওপর বহুজাতিক কোম্পানির এ আগ্রাসন দেশের কৃষি ও খাদ্যনিরাপত্তাকে যে হুমকির মুখে ঠেলে দেবে, তা মন্ত্রীর কথায়ই বোঝা যায়। এতে মানবকল্যাণ না হয়ে বহুজাতিক এগ্রো করপোরেশনেরই কল্যাণ হবে। এ বীজের বিতরণ, সংরক্ষণ যে কত কঠোরভাবে বহুজাতিক এগ্রো করপোরেশন ও তাদের দেশীয় এজেন্সিগুলো নিয়ন্ত্রণ করবে, তার আরেকটি প্রমাণ সাব লাইসেন্স চুক্তির ৯.৬ ধারা, যেখানে বলা হয়েছে, চুক্তি বাতিলের সঙ্গে সঙ্গে বারিকে বাংলাদেশে এ বিটি বেগুন বীজ বিতরণ বন্ধ করতে হবে এবং সব বীজ ধ্বংস করে ফেলতে হবে। এমনকি বারিকে জিএম বেগুনের সব Germplasm (A collection of genetic sources for example seed collections) কোম্পানির প্রতিনিধির সামনে ধ্বংস করতে হবে এবং ওই প্রতিনিধি এ ব্যাপারে লিখিতভাবে কোম্পানির কাছে প্রতিবেদন দাখিল করবে। ট্রিপস চুক্তির মাধ্যমে বহুজাতিক কোম্পানির পেটেন্ট আগ্রাসন ও বায়োপাইরেসির আমরা বিরোধী বলেই বিশ্ববাণিজ্য সংস্থার আলোচনায় অর্থনীতিতে পিছিয়ে পড়া দেশগুলো সম্মিলিতভাবে তাদের ছাড় দেয়ার দাবি জানালে প্রথমে ২০১৩ এবং পরে ২০২১ সাল পর্যন্ত মেধাস্বত্ববিষয়ক বিধিনিষেধ থেকে ছাড় পাওয়া যায়। কিন্তু ডব্লিউটিওর এ আইনও লঙ্ঘন করা হয়েছে মনসান্তো-মাহিকো কোম্পানি এবং বারির মাঝে ২০০৫ সালে স্বাক্ষরিত সাব-লাইসেন্স চুক্তিতে। বিটি বেগুন বীজের মেধাস্বত্ব অধিকার কোম্পানির বলে স্বীকৃতি দেয়ায় এ চুক্তি তাই ডব্লিউটিও থেকে বাংলাদেশের পাওয়া সুবিধারও সুস্পষ্ট লঙ্ঘন এবং তাই অবৈধ। এসব গণবিরোধী চুক্তি বাংলাদেশের হাজার বছরের লোকায়ত জ্ঞান, বীজ সম্পদসহ সামগ্রিক কৃষি ব্যবস্থাকে বহুজাতিক কোম্পানির করপোরেট নিয়ন্ত্রণে নিয়ে যাবে। বাংলাদেশে গোল্ডেন রাইস প্রবর্তনের জন্য বহুজাতিক কোম্পানি সিনজেন্তা এবং বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের মধ্যেও একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। জিএম আলুর জন্যও চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়, এসব চুক্তিতেও বাণিজ্যিক ও মেধাস্বত্ব অধিকার কোম্পানির বলেই বিশেষজ্ঞরা ভাবছেন। সংবিধানের ১৪৫ (ক) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, প্রতিটি আন্তর্জাতিক চুক্তি সংসদে তুলতে বাধ্যবাধকতা আছে। বলা আছে, জাতীয় নিরাপত্তা-সংক্রান্ত হলে সংসদের গোপন বৈঠকে উত্থাপন করতে হবে। জিএম শস্য নিয়ে ২০০৫ সালে করা চুক্তি তত্কালীন বিএনপি সরকার সংসদে আলোচনা করেছে বলে আমাদের জানা নেই। এসব চুক্তি সংসদে আলোচনা না করেই, দেশের বিশেষজ্ঞ ও নাগরিক সমাজের সঙ্গে পরামর্শ না করেই গোপনে স্বাক্ষর করার মাজেজা কি? নাকি এক্ষেত্রে সংবিধান লঙ্ঘন হলেও বহুজাতিক কোম্পানির স্বার্থে তা জায়েজ!



এখন বাংলাদেশের বেগুন বীজের ওপর মার্কিন ও ভারতীয় কোম্পানি মনসান্তো-মাহিকোর এ পেটেন্ট আগ্রাসনের বিরূপ প্রভাব কি হবে? প্রথমত বিটি বেগুনের বাণিজ্যিক ব্যবহার আমাদের বেগুনের জেনেটিক বৈচিত্র্যকে হুমকির মুখে ফেলে দেবে। অধিক ফলনের বিজ্ঞাপন দিয়ে বিটি বেগুন চাষে কৃষকদের উত্সাহিত করা হলে কৃষকরা শুধু জিএম জাতের ফলনের দিকে নজর দেবে ফলে ঐতিহ্যবাহী লোকায়ত জাতগুলোর জায়গা দখল করে নেবে জিএম বীজ। দ্বিতীয়ত পরাগায়নের মাধ্যমে বিটি বেগুনের বাইরে জিনটি বাংলাদেশের নিজস্ব অন্য জাতের বেগুনে প্রবেশ করলে এসব জাতও জেনেটিক দূষণের কবলে পড়বে এবং কোম্পানি তারও মালিকানা দাবি করতে পারে। ফলে বাংলাদেশের নিজস্ব জাতের সব বেগুনের ওপর কোম্পানির মেধাস্বত্ব প্রতিষ্ঠিত হওয়ার আশঙ্কা আছে। আবার বিটি বেগুনের মধ্যে থাকা বিটি টক্সিনের প্রতি প্রতিরোধী হয়ে উঠতে পারে বেগুনের পোকা। উদাহরণস্বরূপ ২০০৯ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে রুট ওয়ার্ম নামের পোকা দমনকারী বিটি ভুট্টার বিটি টক্সিন প্রতিরোধী রুট ওয়ার্মের সন্ধান পাওয়া যায়। ফলে বিটি ভুট্টা চাষের মূল লক্ষ্যই ভেস্তে যেতে পারে। মাহিকো কোম্পানির সঙ্গে বারির সাব লাইসেন্স চুক্তির ৯.২ (ই) ধারায়ও বলা হয়েছে, ‘বারি এ চুক্তি বাতিল করতে পারবে যদি পোকা এ বিটি বেগুনের প্রতি প্রতিরোধী হয়ে উঠে।’ শুধু বিটি বেগুনেই সীমাবদ্ধ না, জিএম আলুর ফিল্ড ট্রায়ালও চালাচ্ছে বারি। এ জিএম আলু প্রকল্প হচ্ছে মার্কিন সংস্থা ইউএসএআইডির অর্থায়নে; উদ্দেশ্য এ দেশের শস্য-বীজের ওপর মার্কিন কোম্পানির মনোপলি নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা। এভাবে একে একে কৃষিতে বীজ আগ্রাসন আমাদের হাজার বছরের বীজবৈচিত্র্যকে হুমকির মুখে ঠেলে দেবে। ফলন বৃদ্ধির নামে বীজ মালিকানা নিজের দখলে নেয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে এগ্রো জায়ান্টরা। এবারতো আলুর বাম্পার ফলন হয়েছে বলে মন্ত্রণালয় প্রচার চালাচ্ছে, পত্রিকায় খবর এল কৃষক আলুর দাম না পেয়ে প্রচুর আলু রাস্তায় ফেলে দিয়ে প্রতিবাদ জানাচ্ছেন। তো তার পরও জিএম আলুর কি দরকার?



দুই দশক ধরেই বহুজাতিক কোম্পানিগুলো তৃতীয় বিশ্বের ঐতিহ্যবাহী লোকায়ত জ্ঞান, প্রাণ বৈচিত্র্য তথা জেনেটিক সম্পদকে অবৈধভাবে পেটেন্ট করে নিয়ে এসব সম্পদের ওপর তাদের নিরঙ্কুশ মালিকানা প্রতিষ্ঠা করার প্রচেষ্টা চালিয়ে আসছে। এ ধরনের পেটেন্ট আগ্রাসনের সুযোগ করে দিয়েছে বিশ্ববাণিজ্য সংস্থার ট্রিপস চুক্তির ২৭.৩ (খ) ধারা, যেখানে দুনিয়ার সব প্রাণ ও প্রাকৃতিক প্রক্রিয়ার ওপর পেটেন্ট করার বৈধ অধিকার রাখা হয়েছে। প্রাণ এবং জীবনের পেটেন্টকরণ শুধু অনৈতিক এবং অন্যায়ই নয়, তা জীববৈচিত্র্যের পণ্যকরণ ও বাণিজ্যিকীকরণের মাধ্যমে তৃতীয় বিশ্বের স্থানীয় জনসাধারণের নিজস্ব লোকায়ত জ্ঞানের ওপর বহুজাতিক করপোরেশনের মালিকানা প্রতিষ্ঠা করে ঐতিহ্যবাহী সম্পদের লুণ্ঠনের পথ প্রশস্ত করে দেবে। জিএম দিয়ে পেটেন্ট আগ্রাসন চালিয়ে কোম্পানি যখন বায়োপাইরেসি করে আর এর মাধ্যমে আমাদের হাজার হাজার বছরের শস্যবীজের মালিকানা দাবি করে, তখন তাকে আর নির্মোহ বিজ্ঞান বলা যায় না— এটা করপোরেটের হাতিয়ার হিসেবেই কাজ করে। এ পেটেন্ট আগ্রাসন, এ বায়োপাইরেসি আমাদের খাদ্যনিরাপত্তা আর প্রাণ বৈচিত্র্য ধ্বংস করতে উদ্যত, এ আগ্রাসন থেকে আমাদের কৃষিকে রক্ষা করতে হবে। আমরা মনে করি, বহুজাতিক কোম্পানির সঙ্গে জিএম শস্য নিয়ে সম্পাদিত চুক্তির ফলে বাংলাদেশের ফসল ও সবজির ওপর কোম্পানির একচেটিয়া আধিপত্য প্রতিষ্ঠিত হবে। অবিলম্বে এসব চুক্তি বাতিল করে দেশের কৃষিতে করপোরেট আগ্রাসন বন্ধ করার দাবি জানাই।



এই লেখায় বীজ মালিকানাই মুখ্য বিষয়। তবে অনেকেই নানান মন্তব্য করছেন দেখে আরও কিছু লিংক দিচ্ছি ফলে বিটি বেগুন নিয়ে বিতর্ক আমরা ধরতে পারব-



Click This Link



Click This Link



পুনশ্চ ঃ



Article 1.6: It is expressly understood by Sublicensee (BARI) that this sublicense is granted solely for the distribution of ‘Licensed Domestic Eggplant products’ (i.e. Bt seeds) at Cost (defined in article 1.6 and elaborated in Annexure 2)



Article 9.2 (c): Early termination: This Agreement may be terminated by Sublicensor (read MHSCL) if in Sublicensor’s judgement, reasonably exercised, laws and regulations in the Territory (read Bangladesh) do not provide adequate assurance of protection for commercial and intellectual property rights, including, but not limited to: i) effective, legal and practical protection of Licensed Domestic Eggplant Products, the B.t. Gene and/or MHSCL Technology against unauthorized reproduction; and ii) implementation in the Territory of legislation affording protection for patented technology incorporated in living organisms;



মন্তব্য ৭৭ টি রেটিং +৬/-০

মন্তব্য (৭৭) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা মার্চ, ২০১৪ রাত ২:২৪

*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: জিএম দিয়ে পেটেন্ট আগ্রাসন চালিয়ে কোম্পানি যখন বায়োপাইরেসি করে আর এর মাধ্যমে আমাদের হাজার হাজার বছরের শস্যবীজের মালিকানা দাবি করে, তখন তাকে আর নির্মোহ বিজ্ঞান বলা যায় না— এটা করপোরেটের হাতিয়ার হিসেবেই কাজ করে। এ পেটেন্ট আগ্রাসন, এ বায়োপাইরেসি আমাদের খাদ্যনিরাপত্তা আর প্রাণ বৈচিত্র্য ধ্বংস করতে উদ্যত, এ আগ্রাসন থেকে আমাদের কৃষিকে রক্ষা করতে হবে।

কর্পোরেট বহুজাতিক কোম্পানির কাছে বিক্রিত আমাদের মন্ত্রণালয় এবং মিডিয়ার কর্তারা। তীব্র আন্দোলন ছাড়া এইসব বন্ধ করা প্রায় অসম্ভব। কিন্তু দেশে ক্ষমতায় যাওয়া না যাওয়া নিয়ে এত বেশী আন্দোলন আলোচনা যে, মাঝে মাঝে ভাবতে বাধ্য হই দেশের রাজনীতি কি শুধুই জনগণের চোখে বায়োস্কোপ ধরিয়ে রাখা নাকি যাতে অন্যদিকে দেখতে না পায়।


পোষ্ট স্টিকি হোক।

০৪ ঠা মার্চ, ২০১৪ রাত ১০:২৩

বিবাগী বাউল বলেছেন: ভাই, ধন্যবাদ, এই চুক্তি স্বাক্ষর করছে তৎকালীন বিএনপি সরকার, আর বর্তমান সরকারও এই চুক্তি বাস্তবায়ন করে চলেছে, এই দেশের মূল ধারার রাজনৈতিক দলগুলা বহুজাতিক কোম্পানির স্বার্থে একই আচরন করে, এ কারনে বিটি বেগুন নিয়ে বিএনপি ও চুপ, ফলে দেশের সিভিল সমাজকেই এগিয়ে আসতে হবে, আওয়াজ তুলতে হবে দেশের কৃষি ও কৃষকের স্বার্থ সুরক্ষার দাবিতে।

২| ০৩ রা মার্চ, ২০১৪ রাত ৩:০৬

মেলবোর্ন বলেছেন: পোষ্ট স্টিকি হোক।

০৪ ঠা মার্চ, ২০১৪ রাত ১০:২৫

বিবাগী বাউল বলেছেন: ভাই, ধন্যবাদ

৩| ০৩ রা মার্চ, ২০১৪ সকাল ৮:৪৭

আমিনুর রহমান বলেছেন:




সামু কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি পোষ্টটি স্টিকি করার জন্য।

০৪ ঠা মার্চ, ২০১৪ রাত ১০:২৬

বিবাগী বাউল বলেছেন: সামুকে ধন্যবাদ এই গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় ইস্যুতে পোষ্টটি স্টিকি করায়।

৪| ০৩ রা মার্চ, ২০১৪ সকাল ৮:৫৯

আতাউররহমান১২০০৭ বলেছেন: সুন্দর লেখা । আমার ব্লগে আমন্ত্রন। :-B :-B Click This Link

০৪ ঠা মার্চ, ২০১৪ রাত ১০:২৭

বিবাগী বাউল বলেছেন: ধন্যবাদ , রহমান ভাই,

৫| ০৩ রা মার্চ, ২০১৪ সকাল ৯:৫৮

কলাবাগান১ বলেছেন: আমাদের দেশে যারা জিএম শস্যের বিরুদ্ধে কথা বলেন, তাদের অধিকাংশইর বায়োটেকনোলজি সন্মন্ধে কোন অভিজ্ঞতা নাই......

৬| ০৩ রা মার্চ, ২০১৪ সকাল ১০:৪৭

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: *কুনোব্যাঙ* এর সংগে কন্ঠে কন্ঠ মিলিয়ে বলতে চাই।










জিএম দিয়ে পেটেন্ট আগ্রাসন চালিয়ে কোম্পানি যখন বায়োপাইরেসি করে আর এর মাধ্যমে আমাদের হাজার হাজার বছরের শস্যবীজের মালিকানা দাবি করে, তখন তাকে আর নির্মোহ বিজ্ঞান বলা যায় না— এটা করপোরেটের হাতিয়ার হিসেবেই কাজ করে। এ পেটেন্ট আগ্রাসন, এ বায়োপাইরেসি আমাদের খাদ্যনিরাপত্তা আর প্রাণ বৈচিত্র্য ধ্বংস করতে উদ্যত, এ আগ্রাসন থেকে আমাদের কৃষিকে রক্ষা করতে হবে।








কর্পোরেট বহুজাতিক কোম্পানির কাছে বিক্রিত আমাদের মন্ত্রণালয় এবং মিডিয়ার কর্তারা। তীব্র আন্দোলন ছাড়া এইসব বন্ধ করা প্রায় অসম্ভব। কিন্তু দেশে ক্ষমতায় যাওয়া না যাওয়া নিয়ে এত বেশী আন্দোলন আলোচনা যে, মাঝে মাঝে ভাবতে বাধ্য হই দেশের রাজনীতি কি শুধুই জনগণের চোখে বায়োস্কোপ ধরিয়ে রাখা নাকি যাতে অন্যদিকে দেখতে না পায়।


পোষ্ট স্টিকি হোক।

০৪ ঠা মার্চ, ২০১৪ রাত ১১:২০

বিবাগী বাউল বলেছেন: পোষ্ট স্টিকি করার জন্য আহবান জানানোর জন্য ধন্যবাদ

৭| ০৩ রা মার্চ, ২০১৪ দুপুর ১২:২২

মাহাদি হাসান বলেছেন: ইউরোপের বেশ কিছু দেশে মনসেন্টোকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে, শুধু তাই নয় মনসেন্টোর বিরুদ্ধে অনেক ইউরোপিয়ান দেশে আইনী লড়াই চলছে।
এই কাজগুলো জ্ঞান বিজ্ঞানে উন্নতদেশগুলোতে হবার কারনে সবাইকে বায়োটেকলজিতে ডিগ্রী নেবার প্রয়োজন কতটুকু সেটা বোধগম্য নয়।
কথায় আছে নিজের ভাল পাগলেও বোঝে। মনসেন্টোকে নিয়ে কেবল মাত্র আমাদের দেশেই কতিপয় অতি উৎসাহী লোকদেরকে দেখা যায়।

মনসেন্টোর বীজের ব্যাপারে অধিকতর তদন্তের প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্থ করতে মনসেন্টো বহু ধরনের ছলনার আশ্র্য় নিচ্ছে, সম্প্রতি ফ্রান্সের ল্যাবগুলোতে মনসেন্টোর ল্যাবটেস্ট করার প্রক্রিয়া চালান হয়। সেখানে যা ঘটেছে তা নিজের চোখেই দেখুন, Click This Link
বাংলাদেশেই শুধুমাত্র যেন খারাপ কিছু ব্যাপারে প্রতিবাদ করতে বিভিন্ন ডিগ্রী লাগবে!

০৪ ঠা মার্চ, ২০১৪ রাত ১০:২৮

বিবাগী বাউল বলেছেন: কিছু লোক অতি বিজ্ঞানবাদি তো , এরা মনসেন্টোর বিজ্ঞানে বিশ্বাস করে , বিজ্ঞানে না।

৮| ০৩ রা মার্চ, ২০১৪ দুপুর ১:১৯

একজন আরমান বলেছেন:
*কুনোব্যাঙ* বলেছেন:

কর্পোরেট বহুজাতিক কোম্পানির কাছে বিক্রিত আমাদের মন্ত্রণালয় এবং মিডিয়ার কর্তারা। তীব্র আন্দোলন ছাড়া এইসব বন্ধ করা প্রায় অসম্ভব। কিন্তু দেশে ক্ষমতায় যাওয়া না যাওয়া নিয়ে এত বেশী আন্দোলন আলোচনা যে, মাঝে মাঝে ভাবতে বাধ্য হই দেশের রাজনীতি কি শুধুই জনগণের চোখে বায়োস্কোপ ধরিয়ে রাখা নাকি যাতে অন্যদিকে দেখতে না পায়।

সহমত।


পোষ্ট স্টিকি হোক।

৯| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৪ রাত ১২:০১

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: খুবই গুরুত্বপূর্ন পোষ্ট! আপনার পোষ্ট বুকমার্ক করলাম। পরে এসে আবার মন্তব্য করব।

০৪ ঠা মার্চ, ২০১৪ রাত ১১:২২

বিবাগী বাউল বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই।

১০| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৪ রাত ১২:১৪

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


সামু কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি পোষ্টটি স্টিকি করার জন্য।

১১| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৪ রাত ১২:২৮

*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: @কলাবাগান১ , বায়োটেকের কতটুকু অগ্রগতি হয়েছে না হয়েছে সেটার চাইতে এখানে যে ব্যাপারটি গুরুত্ব দেয়া হয়েছে বলে মনে হয় সেটা হচ্ছে এই ধরনের জিএম এর প্যাটেন্ট বা বীজের মালিকানা নিয়ে। অবশ্য এখানে একটা আশার কথা হচ্ছে বাংলাদেশের কৃষকরা স্বপ্রণোদিত হয়ে হাইব্রিড বন্ধ্যা বীজ অলমোষ্ট প্রত্যাখ্যান করেছে এবং আশা করা যায় পাবলিকলি জিএমও প্রত্যাখ্যাত হবে। বর্তমান শস্যের বীজ সব যে কৃষকরা নিজেদের জন্য নিজেরা উৎপাদন করে তা ঠিক নয় তবে অনেকে বাণিজ্যিক ভাবে বীজের উৎপাদন করে বা করতে পারে। কৃষি এখন নানাভাবে বহুজাতিক কোম্পানিগুলোর আগ্রাসনে চলে গেছে। সার, কীটনাশক সহ নানা ধরনের কৃষি উপকরণে কৃষক এখন বহুজাতিক কোম্পানী নির্ভর। এর মধ্যে বীজটাও যদি বহুজাতিক আগ্রাসনে চলে যায় তাহলে যেটা হবে সেটা হচ্ছে আমাদের টিকিয়ে রাখা শস্যের মধ্যে কিছু রঙ চড়িয়ে সেটার মালিকানা কোম্পানী নিয়ে নিবে। আমরা হব নিজ ভূমে পরবাসীর মতো।

সব হোক, দিনে দিনে উন্নত জাতের ফসল এসেছে সমৃদ্ধতর হয়েছে আমাদের খাদ্য ভান্ডার, বিপ্লব ঘটেছে উৎপাদনে। কিন্তু এখন পর্যন্ত ফসলের জন্মের মালিকানা কেউ দাবী করেনি যেটা বর্তমান সময় হচ্ছে। আর এখানেই বিরোধীতা। আর এই বিরোধীতা শুধু বিরোধীতা করেই হবেনা সাথে প্রয়োজন সকলের সচেতনতা। আমাদের রাষ্ট্রীয় নীতি নির্ধারকরা যে শুধু লোভী নয় সাথে গর্ধবও তার বড় প্রমাণ হচ্ছে পরিবেশের জন্য হানিকর জীব বৈচিত্র ধ্বংসকারী আকাশমনি ইউক্যালিপটাস গাছের মতো গাছ দিয়ে সরকারী ভাবে বনায়ন।

১২| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৪ বিকাল ৩:৫২

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: সামু কর্তৃপক্ষকে আন্তরিক ধন্যবাদ এই গুরুত্বপূর্ন পোষ্টটি স্টিকি করার জন্য। আশা করি বহুজাতিক কোম্পানির সঙ্গে জিএম শস্য নিয়ে সম্পাদিত চুক্তির ভয়াবহতা নিয়ে সবাই সচেতন হবেন পাশাপাশি যারা এই বিষয়ে ভালো জানেন, তারা তাদের অভিজ্ঞতা বা মতামত সকলের সাথে শেয়ার করবেন।

১৩| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৪ বিকাল ৪:১৭

পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: গুরুত্বপূর্ণ পোস্টের জন্য ধন্যবাদ
এ বিষয়ে আমাদের গন সচেতনতা বাড়াতে হবে ।।

১৪| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৪ বিকাল ৪:৩১

*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: অত্যন্ত গুরুত্বপুর্ণ একটি বিষয়ে সচেতনতা তৈরীর কোন বিকল্প নেই। বরাবরের মতোই জাতীয় গুরুত্বপুর্ণ বিষয়ে সামু কর্তৃপক্ষর সচেতন অবস্থানের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই। আশাকরি পাঠক এবং পোষ্টদাতার পারষ্পরিক আলোচনা এর ভেতরের আরো কিছু গুরুত্বপুর্ণ বিষয় উন্মোচিত করবে।

০৬ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ১০:০৩

বিবাগী বাউল বলেছেন: হুম, ঠিক বলেছেন ভাই, আলাপ চালিয়ে যেতে হবে, তর্ক জারি থাকুক

১৫| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৪ বিকাল ৪:৩৩

ঢাকাবাসী বলেছেন: আমাদের সরকারের আমলাদের আর নেতাদের প্রধান টার্গেট হল ঘুষ আর কমিশন খাওয়া। দেশের অর্থনীিতি খাদ্য ফাদ্য গোল্লায় যাক।

১৬| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৪ বিকাল ৫:০৮

দালাল০০৭০০৭ বলেছেন:

এবং

০৪ ঠা মার্চ, ২০১৪ রাত ১১:২৩

বিবাগী বাউল বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই, বহুজাতিক কোম্পানির বীজ আগ্রাসনের বিরুদ্ধে আগুনে আন্দোলন দরকার

১৭| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৪ বিকাল ৫:২৫

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: দুই দশক ধরেই বহুজাতিক কোম্পানিগুলো তৃতীয় বিশ্বের ঐতিহ্যবাহী লোকায়ত জ্ঞান, প্রাণ বৈচিত্র্য তথা জেনেটিক সম্পদকে অবৈধভাবে পেটেন্ট করে নিয়ে এসব সম্পদের ওপর তাদের নিরঙ্কুশ মালিকানা প্রতিষ্ঠা করার প্রচেষ্টা চালিয়ে আসছে। এ ধরনের পেটেন্ট আগ্রাসনের সুযোগ করে দিয়েছে বিশ্ববাণিজ্য সংস্থার ট্রিপস চুক্তির ২৭.৩ (খ) ধারা, যেখানে দুনিয়ার সব প্রাণ ও প্রাকৃতিক প্রক্রিয়ার ওপর পেটেন্ট করার বৈধ অধিকার রাখা হয়েছে। প্রাণ এবং জীবনের পেটেন্টকরণ শুধু অনৈতিক এবং অন্যায়ই নয়, তা জীববৈচিত্র্যের পণ্যকরণ ও বাণিজ্যিকীকরণের মাধ্যমে তৃতীয় বিশ্বের স্থানীয় জনসাধারণের নিজস্ব লোকায়ত জ্ঞানের ওপর বহুজাতিক করপোরেশনের মালিকানা প্রতিষ্ঠা করে ঐতিহ্যবাহী সম্পদের লুণ্ঠনের পথ প্রশস্ত করে দেবে। জিএম দিয়ে পেটেন্ট আগ্রাসন চালিয়ে কোম্পানি যখন বায়োপাইরেসি করে আর এর মাধ্যমে আমাদের হাজার হাজার বছরের শস্যবীজের মালিকানা দাবি করে, তখন তাকে আর নির্মোহ বিজ্ঞান বলা যায় না— এটা করপোরেটের হাতিয়ার হিসেবেই কাজ করে। এ পেটেন্ট আগ্রাসন, এ বায়োপাইরেসি আমাদের খাদ্যনিরাপত্তা আর প্রাণ বৈচিত্র্য ধ্বংস করতে উদ্যত, এ আগ্রাসন থেকে আমাদের কৃষিকে রক্ষা করতে হবে



এ যেন সেই নিলকরদের ডিজিটাল রুপে প্রত্যাবর্তন!!!!!!

সকল কৃষক, মেহনতি মানুষ এবং দেশপ্রেমিক নেতাদের সোচ্চার হবার আহবান রইল।

০৪ ঠা মার্চ, ২০১৪ রাত ১০:৩১

বিবাগী বাউল বলেছেন: এ যেন সেই নিলকরদের ডিজিটাল রুপে প্রত্যাবর্তন!!!!!! ঠিক বলেছেন, ভাই!

১৮| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৪ বিকাল ৫:৫৫

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: পোষ্ট স্টিকি করার জন্য কর্তৃপক্ষ্যকে ধন্যবাদ।

১৯| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৩২

মনিরা সুলতানা বলেছেন: বাংলাদেশের হাজার বছরের নিজস্ব কৃষিজ সম্পদের ওপর বহুজাতিক কোম্পানির এ আগ্রাসন দেশের কৃষি ও খাদ্যনিরাপত্তাকে যে হুমকির মুখে ঠেলে দেবে বোঝাই যাচ্ছে ...

সব জাচ্ছে সব যাবে ।।
আমরা একদল ব্যাক্তি স্বার্থের কাছে এই সব কিছুই বিকিয়ে দিব :(

০৫ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ১২:১৩

বিবাগী বাউল বলেছেন: ভারত ও ফিলিপাইনে বিটি বেগুনের বাজারজাতকরণ বাতিল হওয়ায় মার্কিন বহুজাতিক কর্পোরেশন মনসান্তো এখন তা বাংলাদেশে বাজারজাতকরণে মরিয়া হয়ে উঠেছে, ঢালছে প্রচুর অঙ্কের টাকা , লোভনীয় অফারও দিচ্ছে বেশ। আন্তর্জাতিক এই জায়ান্ট কর্পোরেট কোম্পানির লক্ষ্য বাংলাদেশের বীজ নিরাপত্তা এবং খাদ্য নিরাপত্তা ভূলুণ্ঠিত করে এদেশের কৃষিতে নিজেদের আধিপত্য প্রতিষ্ঠা, বিটি বেগুন হচ্ছে এর শুরু মাত্র। বাঙলাদেশে কৃষির আন্তর্জাতিক কর্পোরেট লবি এই উপলক্ষে সক্রিয় অনেক দিন ধরেই। কৃষকের বীজ নিরাপত্তা, খাদ্যনিরাপত্তা, মানবদেহ, পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্যের জন্য হুমকি হলেও এই বিটি বেগুনের পক্ষে প্রচার চালিয়েছে ডেইলি স্টার, বেশ কয়েকবার বিটি বেগুনের পক্ষে লিড নিউজ করেছে তারা। বিটি বেগুনের বাজারজাতকরণ করলে জনৈক মন্ত্রীকে উপদেষ্টা করার অপার দিয়েছে মনসান্তো। দেশীয় এসব নানান এজেন্সির কায়েমি স্বার্থে এদেশের কৃষিতে পাকাপোক্ত হবে মার্কিন বহুজাতিক কোম্পানির আধিপত্য। বিজ্ঞান যে মাঝে মাঝে কর্পোরেট পুঁজির গোলামে পরিণত হয় তা অস্বীকার করে অনেকেই বিজ্ঞানবাদি হয়ে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির যে কোন ব্যাবহারকেই প্রগতি বলে চালিয়ে দেন, এদের এই প্রগতির দুর্গতি আরও বেশ বেগবান হয়ে উঠে যখন কর্পোরেট মিডিয়া এর পক্ষে হেজিমনিক প্রচারণা চালায়।

২০| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:২৯

মাহাদি হাসান বলেছেন: করপোরেশনগুলো এই সময়ে শুধুমাত্র বিজ্ঞানকে আশ্রয় করে কথা বলছে অথবা তারা যা বলছে সেটাই বিজ্ঞান এই ধারনায় বশবর্তী হবার মত মানুষ সমাজে বিদ্যমান ব্যাপকভাবেই। করপোরেট priest দের sacred text গুলোই বিজ্ঞান এই বিষয়টাকে খুব ভালভাবেই মাথায় গেথে ফেলা হয়েছে। এইটুকু সফলতা করপোরেশনগুলো পেতেই পারে। কিন্তু তার ইতিহাসকে উপেক্ষা করে বর্তমান সময় বোঝা কঠিন। কিভাবে সেটা ঘটল, কিভাবে বিজ্ঞান করপোরেট লক্ষ্য হাসিলে একটি পদ্ধতিতে পরিনত হল। বিজ্ঞানকে পুঁজির স্বার্থে প্রকৃতি ও মানব সভ্যতা ধ্বংসে ব্যবহার করতে পারার সফলতা আধুনিক সময়ে করপোরেশনগুলোর। এই কাজ করতে গিয়ে করপোরেশনগুলো্র হাতে তৈরী হয়েছে অনেক এক্সপার্ট, উন্নত ল্যাব সন্দেহ নেই। কিন্তু সেই ল্যাবগুলোর বা তাদের এক্সপার্টদের কাজের একটা ছক আছে। এমন কাজ তারা করেন না বা করতে পারেন না যাতে তাদের অন্নদাতা করপোরেশনের উৎপাদিত পন্যের বাজারজাতে সমস্যা বা মুনাফা লাভে জটিলতা তৈরী হয়। তাই বিশ্বাস অবিশ্বাসের বাইনারী দৃষ্টিভঙ্গির বাইরেও করপোরেট “বিজ্ঞান”কে মোকাবেলার জন্য বিজ্ঞানের মধ্য থেকেই প্রয়াস চালানো গুরুত্বপূর্ন।
দেখুনঃ Click This Link
তবে সেক্ষেত্রে বিপত্তি হল সেই করপোরেট priest রা যারা তর্ককে শেষমেষ ডিগ্রীর দৌড়ে নিতে চান। ধরা যাক, মনসেন্টোর বীজের ব্যাপারে বাংলাদেশে কোন গবেষনা হলে তার কনটেন্ট কি তার থেকে গুরুত্বপূর্ন করে তোলার চেষ্ঠা হবে গবেষকদের ডিগ্রীর দৌড় কত। কথা শুনলে মনে হয় বিজ্ঞান যেন মনসেন্টোর ল্যাবের কয়েদি। সেখান থেকে বের হয়ে বাংলাদেশের পাড়াগায়ে সে যেতে পারবে না।

০৫ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ১২:২৯

বিবাগী বাউল বলেছেন: "করপোরেট priest দের sacred text গুলোই বিজ্ঞান এই বিষয়টাকে খুব ভালভাবেই মাথায় গেথে ফেলা হয়েছে। "

২১| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৩২

আশরাফ মাহমুদ মুন্না বলেছেন: .








জি.এম.ও নিয়ে আমার লেখা নিচের সিরিজে ঐ ছবিগুলো আছে। যাতে পুরো ব্যাপারটা কাভার করেছে বলে মনে করি। এ্যা পিকচার টেলছ্ থাওজেন্ড ওয়ার্ডস্। তাই না? সম্ভবত আমিই প্রথম সামুতে এ ব্যাপারে দৃষ্টি আকর্ষণ করার চেষ্টা করি। নিচের সিরিজটি ঘুরে আসতে পারেন। ধন্যবাদ। পোষ্টে প্লাস।

----------------------------------------------------

ছবি বাঙময়ঃ কথা বলে, ভাবায়, তথ্য দেয়, জ্ঞান দেয়, প্রতারিত করে, আশা জাগায়, আলোড়িত করে এবং সৌন্দর্য ও আনন্দ দেয়। বর্তমান সভ্যতার অবস্থা নির্দেশক নির্বাচিত ছবি সংগ্রহ। পর্বঃ (৫/৫)

২২| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৫৩

মদন বলেছেন: +++++++++++++++++++

২৩| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৪ রাত ৮:০৩

মোঃ নুরুল আমিন বলেছেন: বাংলাদেশ মানেই কৃষি আর কৃষক।
কৃষকের স্বার্থ বিরোধী কিছু করা যাবেই না।

২৪| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৪ রাত ৮:০৭

আশরাফ মাহমুদ মুন্না বলেছেন: .
অনেকগুলো দেখা ভিডিও থেকে মাত্র ৩টি গুরুত্বপূর্ণ ও মূল্যবান ভিডিও এখানে এমবেড করলাম। সবাইকে দেখতে বলি। ধন্যবাদ।




Genetically Modified Food Dangers - Alex Jones


GMOs explained - a public service announcement from the Health Ranger / Natural News


Seeds Of Death - Full Movie

:) :) :)

২৫| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৪ রাত ৮:৪৭

বিপ্লব06 বলেছেন: পোস্টের জন্য লেখককে অনেক ধন্যবাদ।

বেগুনের পেটেন্ট বাইরে চলে গেলে সেটা আমাদের জন্য অনেক বড় সমস্যা তৈরি করবে। এটা প্রতিহত করতে হবে। কমপক্ষে আমরা যেন ইচ্ছা করলে বীজ নিজেরা উৎপাদন করতে পারি তার অধিকার সংরক্ষণ করতে হবে।

আজ হোক কাল হোক নতুন টেকনোলজিকে আমাদের এডাপ্ট করতেই হবে। দেখার বিষয় হল এতে আমরা কি পাচ্ছি। দেশের লাভ কতটা লাভ হচ্ছে।

০৪ ঠা মার্চ, ২০১৪ রাত ১০:৩৮

বিবাগী বাউল বলেছেন: ধন্যবাদ বিপ্লব ভাই, বীজের মালিকানা হারাতে চাই না, বহুজাতিকের বীজ আগ্রাসন বন্ধ করতে হবে

২৬| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৪ রাত ৯:০৮

সেতু আশরাফুল হক বলেছেন: এদেশের বিভিন্ন জাতের সবজি থেকে শুরু করে গাছপালা নিজেদের কোম্পানির নামে পেট্ন্টে নিচ্ছে তারা। আর সে কাজে সহযোগীতা করছে আমাদের দেশের সরকারি আমলারা (তথাকথিত বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা)। যারা সরকারি চাকুরীতে বৈজ্ঞানিক হিসেবে নিয়োগ প্রাপ্ত কিন্তু আদৌ গবেষণা করেন কোন টা, ঈশ্বর জানেন।

২৭| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৪ রাত ১০:৫২

বিবাগী বাউল বলেছেন: দুনিয়া জুড়ে জিএম বিটি বেগুন কেউ অনুমোদন দেয় নাই। এই বেগুনের উদ্ভাবক মাহিকো নিজের দেশ ভারতেই এটা অনুমোদন পায় নাই, ভারত ও ফিলিপাইনে বাজারজাত করতে না পেরে মুনাফাখোর কোম্পানি বাংলাদেশকে বেছে নিয়েছে। এদেশ এখন ডাম্পিং স্টেট। এদেশের কৃষি গবেষণা কাউন্সিল এর মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা এদেশের জনগণকে গিনিপিগ মনে করেন বলেই বলে দিয়েছেন, “ বিটি বেগুন পরিবেশ ও মানুষের জন্য ক্ষতিকর কিনা সেটা যাচাই করতেই এই বেগুনের স্বল্প চাষের অনুমোদন দেয়া। “ এই বিজ্ঞানী কি জানে না যে কোন ঝুঁকিপূর্ণ ড্রাগ, টক্সিন এর রিস্ক এসেসমেন্ট মানুষের উপর করতে হয় শেষ ধাপে, প্রাথমিক ধাপে লোয়ার এনিম্যাল এর উপর টক্সিসিটি টেস্ট করতে হয়? এসব প্রাথমিক পরীক্ষা নিরীক্ষাও পর্যাপ্তভাবে না করেই কেন তা চাষের অনুমতি দেয়া হল?

বারি কেন গবেষণা রিপোর্ট প্রকাশ করছে না? কতদিনের স্টাডি করা হয়েছে? হাইকোর্ট নাকি গবেষণা রিপোর্ট প্রকাশ করতে বারিকে নির্দেশনা দিয়েছে, তো সেই নির্দেশনা না মেনেই কেন তড়িঘড়ি করে এই বেগুন চাষের জন্য উঠেপড়ে লেগেছেন? নাকি এখন আর আদালতের নির্দেশনার দাম নাই? মাহিকো যে ৯০ দিনের স্টাডি করেছে তার ডাটা এনালাইসিস করেই বিজ্ঞানিরা জানান বিটি বেগুন ইঁদুরের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর ( যদিও কোম্পানি জালিয়াতি করে রিপোর্ট দেয় যে তাতে ক্ষতি হবে না!!) ফার্মাকোলজি/ টক্সিকোলজির নিয়ম অনুসারে এসব ক্রনিক টক্সিকলজিক্যাল স্টাডি ৯০ দিন থেকে ২ বছর পর্যন্ত করতে হয়। তা না করেই অর্থাৎ পর্যাপ্ত রিস্ক এসেসমেন্ট না করেই জিএম বীজের চাষ গণস্বাস্থ্যকে ঝুকির মুখে ঠেলে দিবে। আবার এই জিএম জাতের সাথে ক্রসিং ওভার হয়ে বেগুন এর কাছাকাছি অন্যান্য জাত ( এবং অন্যান্য উদ্ভিদ) জেনেটিকালি দূষণের কবলে পড়বে। মনসান্তো –মাহিকো- ইউএস এআইডি এর প্রযুক্তি ও আর্থিক সহায়তায় যে বীজ তার মালিক হবে এসব কোম্পানি, কৃষকের বীজ নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়বে। জেনেটিকালি দূষণ আর পেটেন্ট আগ্রাসনের কারনে হারিয়ে যেতে পারে এদেশের অসংখ্য বেগুন বীজ। এদেশের কৃষি বীজের উপর এই বায়ো সন্ত্রাস রুখতে হবে।

২৮| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৪ রাত ১০:৫৮

বিবাগী বাউল বলেছেন: বহুজাতিক কোম্পানি কিভাবে বীজের উপর মনপলি নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করে কায়েম করে কর্পোরেট ফুড রেজিম তার কিছু নমুনা পাবেন লিংকের লেখাগুলায়ঃ Click This Link

Click This Link

Click This Link

Click This Link
Click This Link

২৯| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৪ রাত ১১:২৪

রোদেলা দুপুর বলেছেন: ভাল লাগলো......।। ++++++++++++

০৪ ঠা মার্চ, ২০১৪ রাত ১১:৩৪

বিবাগী বাউল বলেছেন: ধন্যবাদ

৩০| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৪ রাত ১১:৪৯

বিবাগী বাউল বলেছেন: http://www.bampontha.com/post_id/1300

৩১| ০৫ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ১:০৭

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
GM ফুড নিয়ে অস্পষ্টতায় আছি।

সুধু কি বিটি বেগুন?

আর কি কি 'GM ফুড' প্রচলিত আছে?

ব্রয়লার মুরগী
ডিম
আফ্রিকান মাগুড়
বড় তেলাপিয়া
স্বর্না চাল
কাজি পেয়ারা
বড় বরই (কুল)

এই ৬ খাদ্য সম্ভবত জেনেটিক্যালি মডিফাইড জাত।

৩২| ০৫ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ১:১৩

তৌফিক মাসুদ বলেছেন: আমাদের অর্থনৈতিক উন্নয়নকে বহুজাতিক কোম্পানীগুলো নিজেদের সুযোগ হিসেবে কাজে লাগাচ্ছে। আমাদের সরকার এটা নিয়ে সাবধান না হলে হাজার হাজার কোটি টাকা চলে যাবে বিদেশীদের হাতে। আর কৃষকেরা থেকে যাবে দরিদ্রের খাতায়।

৩৩| ০৫ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ১:২৫

মোহাম্মদ সোহেল হাসান বলেছেন: শাইখ সিরাজরে আরেকটা চ্যানেল দেয়া যাই কিনা । X( X( X(

৩৪| ০৫ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ১:২৫

মোহাম্মদ সোহেল হাসান বলেছেন: শাইখ সিরাজরে আরেকটা চ্যানেল দেয়া যাই কিনা । X( X( X(

৩৫| ০৫ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ১:২৫

মোহাম্মদ সোহেল হাসান বলেছেন: শাইখ সিরাজরে আরেকটা চ্যানেল দেয়া যাই কিনা । X( X( X(

৩৬| ০৫ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ২:০০

বিপ্লব06 বলেছেন: @হাসান কালবৈশাখী
ওইগুলান জেনেটিকালি মডিফায়েড না।

আমি দুটা লিঙ্ক দিচ্ছি আপনার কাজে লাগতে পারে।

১। Click This Link

২। Click This Link

৩৭| ০৫ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ২:০৯

বিপ্লব06 বলেছেন: তবে আরেকটা কথা না বলেই নয়, আমাদের চাষিরা এখন যে ভুট্টা লাগায় তার বীজ কিন্তু কিনেই লাগায়। কেউ বীজ তৈরি করার ঝামেলায় যেতে চায় না।
বীজের মালিকানা মন্সেন্টর মানে এই না যে তারা পুরা বেগুনের বীজের মালিকানা পাচ্ছে। এর মানে হল, আমাদের/ইন্ডিয়ার বেগুন থেকে ওরা যে স্পেশাল বেগুনটা বানিয়েছে তার বীজের মালিক ওরা। এখানে বিজনেসটা হল, ওদের আবিষ্কৃত বেগুন চাষ করলে ওদের কাছ থেকে বীজ কিনতে হবে।

কিন্তু সমস্যাটা হল এটার এক্সটেনসিভ ফিল্ড ট্রায়াল এখন হয়নি।

৩৮| ০৫ ই মার্চ, ২০১৪ সকাল ৯:২২

আশরাফ মাহমুদ মুন্না বলেছেন: .
মাত্র ৯ মিনিটের একটি এনিমেটেড ফিল্মে গোটা জি.এম.ও ব্যাপারটা তুলে ধরা হয়েছে। দারুণ একটা ভিডিও। সহজবোধ্য করে সকলের জন্য। ওয়ান্ডারফুল! :)




GMO A Go Go - Truth about GMOs explained in new animated cartoon

৩৯| ০৫ ই মার্চ, ২০১৪ দুপুর ১২:২৬

মুহাম্মদ এরশাদুল করিম বলেছেন: সময় ২০০২, জাম্বিয়াতে আমিরিকান কোম্পানীরা জি.এম. ফুড ফ্রি দিতে চাইছিল। তাদের প্রেসিডেন্টের মেরুদন্ড এই টুকু শক্ত ছিল যে, তারা তা নিতে অস্বীকার করেছিল। বিবিসির রিপোর্টে বলছে যে,-

"Simply because my people are hungry, that is no justification to give them poison, to give them food that is intrinsically dangerous to their health," Mr Mwanawasa told journalists at the World Summit on Sustainable Development in Johannesburg.

আমাদের সরকারের অবস্থা এতো খারাপ কেন?

পোষ্টে প্লাস। ++++++++++

০৬ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ১২:০৩

বিবাগী বাউল বলেছেন: হাইতিকেও মার্কিন কোম্পানি মনসান্ত ফ্রি দিতে চাইছিল জিএম বীজ , ওরা নেয় নাই।

৪০| ০৫ ই মার্চ, ২০১৪ দুপুর ২:১৯

না পারভীন বলেছেন: দেশের সবকিছুই অন্যদের হাতে চলে যাচ্ছে । বড়ই হতাশ হয়ে যাই ভাবলে ।

৪১| ০৫ ই মার্চ, ২০১৪ বিকাল ৩:৩১

ৎঁৎঁৎঁ বলেছেন: পোস্ট স্টিকি হওয়ার জন্য ধন্যবাদ! এভাবে ধীরে ধীরে লুট হচ্ছি কেবল, ভেতরে-বাইরে সর্বত্র! সবাই মিলে সচেতন হওয়া আর প্রতিরোধ ছাড়া তো কোনো পথ দেখি না, দুর্বল রাষ্ট্র পরিচালনায় কর্পোরেট কোম্পানী গুলার জন্য কয়েকডজন আমলা- এমপি- মন্ত্রী কিনে নেওয়া কোনো ব্যাপারই না, কিন্তু ওরা কিনতে পারে না জন মানুষের রোষ, গনস্বার্থ! আমাদেরকেই প্রতিরোধে নামতে হবে! কিন্তু কীভাবে?
বিবাগী ভাইকে বিশেষ অভিনন্দন পোস্টের জন্য!

০৬ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ১২:০৬

বিবাগী বাউল বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই, গণপ্রতিরোধ ছাড়া উপায় নাই। প্রাণের উপর প্যাটেন্ট মানি না। আমাদের সম্পদের উপর বহুজাতিক কোম্পানির মালিকানা মানি না। এই অবৈধ চুক্তি বাতিল করা হোক।

৪২| ০৫ ই মার্চ, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:০৪

নিশাত তাসনিম বলেছেন: দেশের নিশ্চিত ক্ষতি হবে ও সুন্দরবন ধ্বংস হবে জেনেও যেখানে রামপাল চুক্তি বাতিল হয়না সেখানে বহুজাতিক কোম্পানির সঙ্গে জিএম শস্য নিয়ে সম্পাদিত চুক্তি বাতিল করা হবে এই বিশ্বাস অন্তত আমি করিনা।

মূল্যবান বিষয় উল্লেখ পূর্বক পোস্টের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।

৪৩| ০৫ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ৯:০১

বোধহীন স্বপ্ন বলেছেন: বিটি বেগুনে জেনেটিক ইঞ্জিয়ারিং এর মাধ্যমে বিটি টক্সিন নামে একটা প্রোটিনের জ্বীন ডুকিয়ে দেয়া হয়েছে। ক্ষতিকারক পোকা মাকড় যদি ফসলে আক্রোমণ করে তবে এই প্রোটিনের কারণে মারা পরবে। এতে করে কীটনাশক ব্যবহারের যে খ্রচ হয় সেটা বেঁচে গেল। কিন্তু অধিক ফলনের কথা পড়েছি বলে মনে পরে না। বিশ্বজুড়ে এটা এখনো বিতর্কিত। প্রথমতঃ কেউ কেউ মনে করেন এটা মানব দেহের জন্যও ক্ষতিকারক হতে পারে। এলার্জি দেখা দিতে পারে। অনেক জায়গায় এই বেগুন চাষের জন্য সম্পূর্ণ আলাদা জমি ব্যবহারের কথা বলা হয় যেন এটা জীব-বৈচিত্র নষ্ট করার কারণ না হতে পারে।

এই বিষয়ের একজন ছাত্র হিসেবে মনে করি জিএমও প্রযুক্তি আরো বাড়ানো উচিৎ, বর্তমান বৈশ্বিক পরিস্থিতির জন্য এটা জরূরী হয়ে পরেছে। তবে সেটা পেটেন্টের এইসব ছলাকলা দিয়ে নয়। জীব-বৈচিত্র ধ্বংস করেও নয়। কর্পোরেট বাণিজ্যের হাতে খেলনা হিসেবেও নয়।

পোস্ট স্টিকি দেখে খুশি হলাম।

০৬ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ১২:০৭

বিবাগী বাউল বলেছেন: প্রাণের উপর প্যাটেন্ট মানি না। আমাদের সম্পদের উপর বহুজাতিক কোম্পানির মালিকানা মানি না। এই অবৈধ চুক্তি বাতিল করা হোক।

৪৪| ০৫ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ৯:২৪

আমি বাংলাদেশের বলেছেন: কি সব লেখেন এত জঘন্য ...

৪৫| ০৫ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ১১:২৯

গৃহ বন্দিনী বলেছেন: বিটি বেগুন , তুলার কথা ইদানিং খুব শুনা যাচ্ছে । আমার ব্যক্তিগত চিন্তা থেকে আমার মনে হয় জিএম শস্যএর উপকারি দিক বেশি হবে যদি এটা যথাযথ পরীক্ষা নিরিক্ষার মাধ্যমে বাজারে ছাড়া হয় ।
সবচেয়ে দুঃখের বিষয় এইসব পরীক্ষা নিরিক্ষার গিনিপিগ হই আমাদের মত তৃতীয় বিশ্বের মানুষগুলো ।

৪৬| ০৬ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ১২:৪১

নীল কথন বলেছেন: বন্ধুবর যুবায়ের, বর্ণনাকুশল লেখা। এই বিষয়ে বেশিরভাগ মানুষই জানে না বা অসচেতন। তোমার লেখা পড়ে আঁতকে উঠলাম, আমরা অন্যদের ব্যবহার শিকার হতে যাচ্ছি। অবশ্যই অবিলম্বে এসব চুক্তি বাতিল করে দেশের কৃষিতে করপোরেট আগ্রাসন বন্ধ করার দাবি জানাই।
-
এমন পোষ্ট স্টিকি দেখে সত্যি বেশ প্রীত হলাম।
-
তোমার ব্লগ বাড়িতে প্রথম আগমন। সতত ভালো থাকা হোক।

০৬ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ১:০৪

বিবাগী বাউল বলেছেন: বন্ধুবর নীল কথন, ধন্যবাদ ।

প্রাণের উপর প্যাটেন্ট মানি না। আমাদের সম্পদের উপর বহুজাতিক কোম্পানির মালিকানা মানি না। এই অবৈধ চুক্তি বাতিল করা হোক।

৪৭| ০৬ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ৩:৪৩

কবিয়fল দস্তগীর বলেছেন: বেশ ভালো লাগলো....

০৬ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ৯:৪৮

বিবাগী বাউল বলেছেন: ধন্যবাদ

৪৮| ০৬ ই মার্চ, ২০১৪ ভোর ৪:০১

পাঠক১৯৭১ বলেছেন: দেশে নিজের ফসল ধরে রাখার জন্য কি করা দরকার?

৪৯| ০৬ ই মার্চ, ২০১৪ ভোর ৪:০৩

পাঠক১৯৭১ বলেছেন:


" এই লেখায় বীজ মালিকানাই মুখ্য বিষয়। "


-যাতে বীজ মালিকানা আমাদের কৃষকদের হাতে থাকে তার জন্য কি করতে হবে?

০৬ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ৯:৫৯

বিবাগী বাউল বলেছেন: বীজ মালিকানা আমাদের কৃষকদের হাতে রাখতে হলে-

১। প্যাটেন্ট আগ্রাসনের বিরুদ্ধে অবস্থান নিতে হবে, প্রাণের উপর প্যাটেন্ট করার বিধান মানা যাবে না, ট্রিপস চুক্তির ২৭।৩ (খ) ধারা বাতিল করার দাবি জানাতে হবে।
২। বীজ মালিকানা বহুজাতিক কোম্পানির রেখে করা চুক্তি বাতিল করতে হবে

৩। সিড ব্যাংক করতে হবে

৪। ট্রিপস চুক্তির ২৭।৩ (খ) বাতিল না হলে বাংলাদেশের প্যাটেন্ট আইন শক্ত করে তাতে উল্লেখ করতে হবে সামান্য মোডিফিকেশন করলেই প্যাটেন্ট দেয়া যাবে না, মৌলিক উদ্ভাবন হতে হবে।

৫। বায়োপাইরেসির দায়ে মামলা করা যায় কোম্পানির বিরুদ্ধে

৫০| ০৬ ই মার্চ, ২০১৪ দুপুর ১:০২

রন৬৬৬ বলেছেন: Very informative post. I highly appreciate the writer to write this type of article. Be aware of corrupt Ministers and Advisors of political parties. They are all purchased people. They sold our country back in 1757 and the selling process: 'to be continued'.

০৬ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ৯:৪৮

বিবাগী বাউল বলেছেন: সহমত ভাই

৫১| ০৬ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ১১:২১

মোঃ রুহুল আমীন২০১২ বলেছেন: Highly informative and important as this post is, it deserves to be a stick
post ..... Thanks for such a post.

০৬ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ১১:৩৩

বিবাগী বাউল বলেছেন: রুহুল ভাই, ধন্যবাদ, ভাল থাকবেন।

৫২| ০৭ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ৩:১৪

ছারমী বলেছেন: একটাই আওয়াজ- মানিনা, মানবোনা।

০৭ ই মার্চ, ২০১৪ বিকাল ৩:১১

বিবাগী বাউল বলেছেন: বীজ মালিকানা বহুজাতিক কোম্পানির রেখে করা চুক্তি বাতিল করতে হবে

৫৩| ০৭ ই মার্চ, ২০১৪ সকাল ১১:১২

বঙ্গভূমির রঙ্গমেলায় বলেছেন: ধন্যবাদ গুরুত্বপুর্ন একটি বিষয় শেয়ার করার জন।।

সরকারের উচিত এ বিষয়ে আর সচেতন ও দায়িত্ববান হওয়া।

কিন্তু আমাদের সরকার প্রধানদের সেই মাথাব্যথা আছে কিনা?

তারা মজে আছে একে অপরের নিন্দা ও কুৎসা রটনায় । আর আছে হিংসা চরিতার্থ করায় আর দেশটাকে লুটপাট করে নিজেদের আখের গুছাতে।

০৭ ই মার্চ, ২০১৪ বিকাল ৩:১১

বিবাগী বাউল বলেছেন: বীজ মালিকানা বহুজাতিক কোম্পানির রেখে করা চুক্তি বাতিল করতে হবে

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.