নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মিশু মিলন

মিশু মিলন

আমি বর্তমানে ইস্টিশন এবং সামহোয়্যার ইন ব্লগে লিখি। আমার সকল লেখা আমি এই দুটি ব্লগেই সংরক্ষণ করে রাখতে চাই। এই দুটি ব্লগের বাইরে অনলাইন পোর্টাল, লিটল ম্যাগাজিন এবং অন্য দু-একটি ব্লগে কিছু লেখা প্রকাশিত হলেও পরবর্তীতে কিছু কিছু লেখা আমি আবার সম্পাদনা করেছি। ফলে ইস্টিশন এবং সামহোয়্যার ইন ব্লগের লেখাই আমার চূড়ান্ত সম্পাদিত লেখা। এই দুটি ব্লগের বাইরে অন্যসব লেখা আমি প্রত্যাহার করছি। মিশু মিলন ঢাকা। ৯ এপ্রিল, ২০১৯।

মিশু মিলন › বিস্তারিত পোস্টঃ

ছায়ানটের ‘বটমূল’ নামকরণ নিয়ে মৌলবাদীদের ব্যাঙ্গোক্তি

১৭ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



পহেলা বৈশাখ পালনের বিরোধীতাকারী কূপমণ্ডুক মৌলবাদীগোষ্ঠী তাদের ফেইসবুক পেইজগুলোতে এই ফটোকার্ডটি পোস্ট করে ব্যঙ্গোক্তি, হাসাহাসি করছে। কেন করছে? এতদিনে তারা উদঘাটন করতে পেরেছে রমনার যে বৃক্ষতলায় ছায়ানটের বর্ষবরণ অনুষ্ঠান হয়, সেটি আসলে বটগাছ নয়, অশ্বত্থগাছ; তাই তারা দাঁত কেলিয়ে হাসছে! কেউ ভাবছে ছায়ানটের সংস্কৃতিকর্মীরা কত বোকা, কত মূর্খ! আবার কেউ ভাবছে ছায়ানটের সংস্কৃতিকর্মীরা অশ্বত্থমূলে বর্ষবরণ অনুষ্ঠান করে বটমূলের নামে প্রচার করে মানুষকে ধোঁকা দিয়েছে! বিদ্রুপকারীরা বিচিত্র সব মন্তব্য করছে, বিচিত্র সব ভাষায়!

এবার দেখা যাক ছায়ানট আসলেও এমন একটি ভুল করেছে কি না। ছায়ানট অশ্বত্থমূলকে কেন বটমূল বলেছে, এই বিষয়টি নিয়ে নতুন করে কেউ যদি হাসতে চায়, হাসতেই পারে, তবে হাসার আগে তার উচিত জ্ঞানেন্দ্রমোহন দাসের ‘বাঙ্গালা ভাষার অভিধান’ বইটি দেখে নেওয়া। বাসায় না থাকলে পিডিএফ ফাইল ডাইনলোড করেও নিতে পারে। এরপর ৮৮৯ পৃষ্ঠা বের করলেই তার হাসিমুখ চুপসে যাবার কথা। পঞ্চবট বলা হয়েছে- অশ্বত্থ, বিল্ব, বট, ধাত্রী ও অশোক বৃক্ষকে। এই পাঁচ বৃক্ষকে পঞ্চবটীও বলা হয়।

সঙ্গত কারণেই ছায়ানটের বটমূল নামকরণের মধ্যে হাস্যকর কিছু নেই, বরং আছে জ্ঞানের পাঠ। অশিক্ষা বড় বালাই, সেটা জাহির করা নিজের জন্যই লজ্জার ও অপমানের। এখন কেউ তা জাহির করবে কি করবে না সেটা তার ব্যাপার। তারপরও কিছু লোক ব্যঙ্গোক্তি করবে, হাসাহাসি করবে। বাঙালির শিল্প-সংস্কৃতি নিয়ে এদের পূর্ব-পুরুষেরাও বিদ্রুপ করেছিল, এদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মও তাই করবে। আর বাঙালির শিল্প-সংস্কৃতি আপন গতিতে এগিয়ে যাবে মহাকালের পথ ধরে।


ঢাকা
১৬ এপ্রিল, ২০২৪

মন্তব্য ১৬ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:৩৯

জ্যাকেল বলেছেন: ছায়ানটের ভেলকি মেলকি এইগুলা এই সেদিনের উদ্ভাবন। এইগুলা হাজার বছরের বাঙালি সংষ্কৃতির প্রতিচ্ছবি তো নয়ই- বরং বিকৃতি।

১৭ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:৫১

মিশু মিলন বলেছেন: ছায়ানট সংগীত চর্চার একটি প্রতিষ্ঠান। সংগীত চর্চা করা এই উপমহাদেশের হাজার বছরের সংস্কৃতি নয়?
ঘটা করে গরু কোরবানী (যা আরবে দেওয়াই হয় না) দেওয়া, জৌলুসপূর্ণভাবে ঈদ করা, ঈদ বণিজ্য করা, ওয়াজ করা, ধর্ম বিকিয়ে টাকা রোজগার করা, ফেইসবুক-ইউটিউবে ইসলাম প্রচার করাও এই উপমহাদেশের মুসলমানদের ভেলকি। এগুলো সহি ইসলামী সংস্কৃতি নয়, সেদিনের অপসংস্কৃতি ও বিকৃতি। বন্ধ হওয়া উচিত নয়?

২| ১৭ ই এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:২১

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: জঙ্গি মৌ-লোভী বলদ ও ছাগু জামায়াত শিবির এদের পাত্তা দিয়ে লাভ নেই। এদের মূল সমস্যা বাংলা ও বাঙলাদেশের সাথে। ওরা এখনো একটা অখন্ড জঙ্গিস্থান এর স্বপ্ন দেখে।

১৭ ই এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:৩৩

মিশু মিলন বলেছেন: হুম সেটাই। দিনরাত ইসলামবিরোধী কাজ করে, শুধু বাঙালির শিল্প-সংস্কৃতিতেই এদের চুলকানি।

৩| ১৭ ই এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৩৯

রানার ব্লগ বলেছেন: নিজ দেশের সংস্কৃতি ও ইতিহাস নিয়ে পড়াশুনা না করার ফলাফল সেই সাথে উগ্র ও কুশিক্ষার পরিনাম ।

১৭ ই এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৫:০১

মিশু মিলন বলেছেন: হুম। ধন্যবাদ।

৪| ১৭ ই এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:১১

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: সংস্কৃতিকে ধর্মের প্রতিপক্ষ হিসেবে উপস্থাপন করছে একটা গোষ্ঠী। শিক্ষিত-সচেতন গোষ্ঠীও চুপচাপ।

১৭ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:৩৯

মিশু মিলন বলেছেন: শিক্ষিত সমাজ চুপ থাকার ফলেই মৌলবাদের এমন উত্থান ঘটেছে। ধন্যবাদ।

৫| ১৭ ই এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:১৯

কামাল১৮ বলেছেন: কোন গাছ সেটা মূল বিষয় নয়।অনুষ্ঠানটা হলো মূল বিষয়।শিশু পার্কের ওখানে একটা বট গাছ আছে।

১৭ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:৪০

মিশু মিলন বলেছেন: ওদের উদ্দেশ্য আমাদের সংস্কৃতি ধ্বংস করা।

৬| ১৭ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১০:৪২

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:

সমাজ কালচার বা সভ্যতা কখনো স্থিতিশীল নয়। কালের বিবর্তনে পরিবর্তন হয়। মানব কুলের সভ্যতার টাইমলাইন দেখলে বোঝা যায়।
পৃথিবীর সবকিছুই পরিবর্তনশীল।
পৃথিবীর কোন সভ্যতা, কোন ভাষা, কোন সংস্কৃতি একদিনে তৈরি হয়নি।
কোন সংস্কৃতিই একক বা স্বতন্ত্র দাবী করতে পারে না ডাইভারশান ব্যাপক। বিচ্ছিন্ন বা সম্মিলিত ভাবেই সমাজের সব পরিবর্তনগুলো হয়েছে। মানুষ ধীরে ধীরে যান্ত্রিক হয়েছে, ক্যালেন্ডার তৈরি হয়েছে, সুর্য ঘড়ি, জলঘড়ি একসময় যান্ত্রিক ঘড়িও তৈরি হয়েছে, কৃষি অর্থনীতির বিবর্তন হয়েছে। অনেক ধর্মেরও বিবর্তন হয়েছে। মানুষের আচার-আচরণও বদলেছে। বাংলাদেশে সমাজে আর্থিক সক্ষমতা বাড়াতে অনেক অনেক পরিবর্তন হয়ে গেছে। বর্ষবরনে খাবারের মেনুতেও পরিবর্তন হয়ে গেছে আনন্দ সোভাযাত্রার নাম মঙ্গল শোভাযাত্রা হয়েছে এসব তো খুবই সামান্য পরিবর্তন হয়েছে।
কিছু কুলাঙ্গার সমাজ বিরোধীদের পু জলুনিরও বিবর্তন হয়েছে।

১৭ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১০:৫৪

মিশু মিলন বলেছেন: নিশ্চয়। সমাজ, সংস্কৃতি ও সভ্যতা যুগে যুগে বদলায়। কূপমণ্ডুক মৌলবাদীরা কোনো পরিবর্তনই মেনে নিতে পারে না। ধর্মকে ব্যবহার করে সংস্কৃতি ধ্বংস করতে চায়।

৭| ১৭ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:২৬

মুহাম্মদ মামুনূর রশীদ বলেছেন: "ঘটা করে গরু কোরবানী (যা আরবে দেওয়াই হয় না) দেওয়া, জৌলুসপূর্ণভাবে ঈদ করা, ঈদ বণিজ্য করা, ওয়াজ করা, ধর্ম বিকিয়ে টাকা রোজগার করা, ফেইসবুক-ইউটিউবে ইসলাম প্রচার করাও এই উপমহাদেশের মুসলমানদের ভেলকি"।

ভাবখানা এমন যেন এ উপমহাদেশের মুসলমানরাই কেবল ধর্ম বিকোয়। এর বিপরীতে, এ উপমহাদেশে আপনার হিন্দু পুরোহিতরা কতই না সজ্জন ব্যাক্তি, নির্রবিরোধী আলাভোলা মানুষ। আপনার অনুবীক্ষন যন্ত্রে কেবল মুসলমানরাই ধরা খায়। খাবে না কেন, কারন ঐ অনুবীক্ষন যন্ত্র তো সেভাবেই ক্যালিব্রেট করা।

"কোরান কোনো ঐশ্বরিক বিষয় নয়। ওগুলো কিছু মুহম্মদের নিজের আর কিছু তৎকালীন আরবীয় কবি ও চিন্তুাবিদদের দ্বারা প্রভাবিত চিন্তার ফসল, যা মুহম্মদ আল্লার নামে চালিয়ে দিয়েছে"।
(সু্ত্রঃ আমার ১৯. মন্তব্যের বিপরীতে লেখকের উত্তরের শেষের দিককার দুটি বাক্য (উপরোল্লিখিত)। মৌলবাদ বিরোধী মুখোশের আড়ালে চরম ইসলাম বিদ্বেষ। পাল্টা তো কটু কথা বলাই যেত। কিন্তু ইসলাম ধর্মের অনুশাসন অনুযায়ী অন্য ধর্মের দেবতাকে গালি গালাজ করা নিষেধ। হিন্দুদের ভাবতে হবে ভোট এবং রাজনীতি নিয়ে)

১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৩:৪৯

মিশু মিলন বলেছেন: আপনার বা আপনার মতো আরও অনেকের সমস্যা হচ্ছে, চিন্তার পরিপূর্ণ বিকাশ হয়নি, দোষ আপনাদের নয়, বিকাশ ঘটতে দেওয়া হয়নি, এমনই ধর্ম অন্ধতার ছাঁচে ঢেলে আপনাদের বড় করা হয়েছে। ফলে আপনারা সব লেখাতেই ইসলাম ব্যতিত অন্য ধর্মের বিরুদ্ধে লেখা আশা করেন। আমার এই পোস্ট নিয়ে আপনার কোনো বক্তব্য নেই? একমত বা দ্বিমত কিছু একটা তো থাকার কথা। নাকি সরাসরি পহেলা বৈশাখের বিরুদ্ধে কিছু বলতে পারছেন না বলে কৌশলে আলোচনা অন্যদিকে ঘুরাতে চাইছেন? আমি আরেকজনের মন্তব্যের উত্তরে কী লিখেছি সেটা নিয়ে লেগে গেলেন! কবে আরেকটি পোস্টে কী লিখেছি সেটা নিয়ে লেগে গেলেন? কিন্তু আমার বর্তমান পোস্ট নিয়ে আপনি নীরব!

ছায়ানটের ভেলকি মেলকি এইগুলা এই সেদিনের উদ্ভাবন। এইগুলা হাজার বছরের বাঙালি সংষ্কৃতির প্রতিচ্ছবি তো নয়ই- বরং বিকৃতি।

ব্লগার জ্যাকেলের উপরোক্ত এই মন্তব্যের উত্তরে আমি উত্তর দিয়েছি-
ছায়ানট সংগীত চর্চার একটি প্রতিষ্ঠান। সংগীত চর্চা করা এই উপমহাদেশের হাজার বছরের সংস্কৃতি নয়?
ঘটা করে গরু কোরবানী (যা আরবে দেওয়াই হয় না) দেওয়া, জৌলুসপূর্ণভাবে ঈদ করা, ঈদ বণিজ্য করা, ওয়াজ করা, ধর্ম বিকিয়ে টাকা রোজগার করা, ফেইসবুক-ইউটিউবে ইসলাম প্রচার করাও এই উপমহাদেশের মুসলমানদের ভেলকি। এগুলো সহি ইসলামী সংস্কৃতি নয়, সেদিনের অপসংস্কৃতি ও বিকৃতি। বন্ধ হওয়া উচিত নয়?


জ্যাকেল যে মন্তব্য করেছেন সেই অনুযায়ী আমি উত্তর দিয়েছি। এখানে অপ্রাসঙ্গিকভাবে আমি অন্য কোনো ধর্ম নিয়ে বলতে যাবো কেন? ইসলাম ব্যতিত অন্য কোনো ধর্ম কি নববর্ষ পালনের বিরোধীতা করে? অন্য কোনো ধর্মের মানুষ কি ছায়ানটের বর্ষবরণ উৎসবকে সেদিনের ভেলকি বলে? বললে আমি অবশ্যই তাদের ধর্মের উদাহরণ দিয়ে উত্তর দেব।

আমি কি আমার অতীতের কোনো লেখায় বলেছি যে হিন্দু পুরোহিতরা ধর্ম ব্যবসা করেন না? তারা সবাই সজ্জ্বন, সবাই নির্বিরোধী? দেখাতে পারবেন আমার এমন কোনো বক্তব্য?
ইমাম, পুরোহিত, যাজক, ভন্তে এরা সবাই ধর্ম ব্যবসা করে, মানুষকে ধর্ধের নামে প্রতারিত করে। আর সজ্জন কিংবা নির্বিরোধী এটা ব্যক্তিবিশেষে নির্ভর করে। উপরোক্তসকল পেশার মানুষের মধ্যেই সজ্জন আছেন আবার দুর্জনও আছেন। তবে এটা সত্য যে বর্তমান পৃথিবীতে পুরোহিত, যাজক, ভন্তে এরা ধর্মের নামে মানুষ হত্যা করে না। কিন্তু আলেমরা মানুষ হত্যা করে। ইসলাম এখনও খুনোখুনির মতো বর্বর পর্যায়ে আছে।

আপনি ইসলাম ধর্মের বিরুদ্ধে আমার লেখা পড়েছেন। হিন্দু ধর্মের বিরুদ্ধে লেখা পড়েননি? নাকি পড়েও এড়িয়ে যাচ্ছেন? আমার উপন্যাস গাওয়াল, নাগরী, গোধূলিবাড়ি, দেবদ্রোহ পড়ুন। প্রভু গল্পটি পড়ুন। তাহলেই দেখতে পাবেন যে আমি হিন্দুধর্মের বিরুদ্ধে কিছু লিখেছি কি না? হিন্দুরা ভাবে আমি কুলাঙ্গার, আর মুসলিমরা ভাবে হিন্দুদের কোনো ত্রুটি আমার চোখে পড়ে না, আমি মুসলিমবিদ্বেষী।

হ্যাঁ, আমি অবশ্যই ইসলামের মতো একটি সন্ত্রাসবাদী ও রাজনৈতিক মতবাদকে ঘৃণা করি। পাশাপাশি আমি চাই হিন্দু, খ্রিষ্টান, বৌদ্ধ প্রভৃতি ধর্মও বিলুপ্ত হোক। মানুষ হয়ে বাঁচুক সবাই।
আমি সবচেয়ে বেশি সমালোচনা করি ইসলামের। এরপরই হিন্দু ধর্মের। ইসলামের বিরুদ্ধে সবচেয়ে বেশি লেখার জন্য ইসলামই দায়ী। কেননা প্রতিদিনের যাপিত জীবনে ইসলাম আমাকে বিরক্ত করে। দিনে পাঁচবার আজান দিয়ে, রাস্তা আটকে নামাজ পড়ে, রোজার মাসে ভোরবেলায় ডেকে, হোটেল বন্ধ রেখে ইসলাম আমাকে বিরক্ত করে। ইসলাম পহেলা বৈশাখসহ বাঙালির অন্যান্য উৎসব পালনের অধিকার কেড়ে নিতে চায়। বাঙালি সংস্কৃতির বিরুদ্ধে কুৎসা রটায়। অন্যান্য ধর্মের বিরুদ্ধেও মিথ্যা বানোয়াট কথা বলে, কুৎসা রটায়। ইসলাম ছবি আঁকা, গান গাওয়া, নাচার অধিকার কেড়ে নিতে চায়। পাঠপুস্তকে থেকে ছবি বাদ দেওয়াসহ নানা পরিবর্তনের জন্য আন্দোলন করে। ভাস্কর্য ভাঙে। বিমান বন্দরে লালনের ভাস্কর্য হতে দেয়নি। ইসলাম নারীদের স্বাধীনভাবে চলাফেরা, তাদের লেখাপড়া, চাকরি করা এবং পোশাক নিয়ে নেতিবাচক প্রচার চালায়। কুতসিৎ কথা বলে।
এখন বলেন আর কোনো ধর্ম মানুষকে এত বিরক্ত করে? মানুষের এইসব মৌলিক অধিকারের বিরুদ্ধে কথা বলে? বলে না। তাহলে ইসলামের বিরুদ্ধে সবচেয়ে বেশি লিখবো না কেন?






৮| ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:০২

ঢাবিয়ান বলেছেন: হ্যাঁ, আমি অবশ্যই ইসলামের মতো একটি সন্ত্রাসবাদী ও রাজনৈতিক মতবাদকে ঘৃণা করি। এখন বলেন আর কোনো ধর্ম মানুষকে এত বিরক্ত করে? তাহলে ইসলামের বিরুদ্ধে সবচেয়ে বেশি লিখবো না কেন?



ভেবেছিলাম ছায়ানটের পক্ষ নিয়ে কিছু লিখব। কিন্ত আপনার মত উগ্র ইসলামোফোবের পোস্টে কিছু বলাই অর্থহীন।

১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:৩৬

মিশু মিলন বলেছেন: আপনি না লিখলেও ছায়ানটের অনুষ্ঠান বন্ধ থাকবে না, আর লিখলেও ইসলামী সন্ত্রাস ও আগ্রাসন বন্ধ হবে না।

আমি সবচেয়ে বেশি সমালোচনা করি ইসলামের। এরপরই হিন্দু ধর্মের। ইসলামের বিরুদ্ধে সবচেয়ে বেশি লেখার জন্য ইসলামই দায়ী। কেননা প্রতিদিনের যাপিত জীবনে ইসলাম আমাকে বিরক্ত করে। দিনে পাঁচবার আজান দিয়ে, রাস্তা আটকে নামাজ পড়ে, রোজার মাসে ভোরবেলায় ডেকে, হোটেল বন্ধ রেখে ইসলাম আমাকে বিরক্ত করে। ইসলাম পহেলা বৈশাখসহ বাঙালির অন্যান্য উৎসব পালনের অধিকার কেড়ে নিতে চায়। বাঙালি সংস্কৃতির বিরুদ্ধে কুৎসা রটায়। অন্যান্য ধর্মের বিরুদ্ধেও মিথ্যা বানোয়াট কথা বলে, কুৎসা রটায়। ইসলাম ছবি আঁকা, গান গাওয়া, নাচার অধিকার কেড়ে নিতে চায়। পাঠপুস্তকে থেকে ছবি বাদ দেওয়াসহ নানা পরিবর্তনের জন্য আন্দোলন করে। ভাস্কর্য ভাঙে। বিমান বন্দরে লালনের ভাস্কর্য হতে দেয়নি। ইসলাম নারীদের স্বাধীনভাবে চলাফেরা, তাদের লেখাপড়া, চাকরি করা এবং পোশাক নিয়ে নেতিবাচক প্রচার চালায়। কুতসিৎ কথা বলে।
এখন বলেন আর কোনো ধর্ম মানুষকে এত বিরক্ত করে? মানুষের এইসব মৌলিক অধিকারের বিরুদ্ধে কথা বলে? বলে না। তাহলে ইসলামের বিরুদ্ধে সবচেয়ে বেশি লিখবো না কেন?


এই প্যারায় ভুলটা লিখলাম কোথায়?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.