নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বহুদিন আগে কোন এক বারান্দায় শেষ বিকেলের আলোয় আলোকিত উড়ন্ত খোলা চুলের এক তীক্ষ্ণ হৃদয়হরনকারী দৃষ্টি সম্পন্ন তরুনীকে দেখে ভেবেছিলাম, আমি যাদুকর হব। মানুষ বশীকরণের যাদু শিখে, তাকে বশ করে নিশ্চিন্তে কাটিয়ে দিব সারাটি জীবন।

কাল্পনিক_ভালোবাসা

একদিন সব হাসির ময়নাতদন্ত হবে, ফরেনসিক রিপোর্টে লেখা থাকবে - সবই মিথ্যে।

কাল্পনিক_ভালোবাসা › বিস্তারিত পোস্টঃ

কাদা জলে গোসল করে সাবান মেখে কি লাভ ?

২০ শে মার্চ, ২০২৩ দুপুর ১:৫৪



একবার ভারতের একটি ফাঁকা মহাসড়কে আমার গাড়ির ড্রাইভারকে দেখলাম ব্রেক কষে দাঁড়িয়ে পড়তে। জিজ্ঞেস করলাম, কি রে ভাই! তুমি দাঁড়িয়ে আছো কেন?
ড্রাইভার বিরক্ত হয়ে বলল, কেন বাবু! সিগন্যালে লাল বাতি দেখতে পাচ্ছেন না?
আমি মনে মনে বিষ্মিত হয়ে ভাবলাম, এমন দৃশ্য তো বাংলাদেশের ক্ষেত্রে কল্পনাই করা যায় না। ফাঁকা রাস্তায় লাল সিগন্যাল দেখলে আমাদের ড্রাইভাররা বলবে, সিগন্যাল নষ্ট।

ভারত বা পুরো পৃথিবীর মানুষদের সাথে আমাদের দেশের মানুষদের প্রধান পার্থক্য হলো আইন মানার ইচ্ছে এবং আইনের প্রতি শ্রদ্ধা।
আমি ভারতের উদহারন টেনে বলি, সেই দেশের মানুষ আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল কারন এখানে পুলিশে দুর্নীতি থাকলেও পুলিশ গণহারে অনৈতিক ক্ষমতা চর্চা করতে পারে না। একটি জবাবদিহীতার মধ্যে দিয়ে যেতে হয়। ফলে, পুলিশের প্রতি সে দেশের মানুষের একটি সম্মানসূচক ভয় আছে। যা আমাদের দেশে নেই। বাংলাদেশের শতকরা ৯৯% মানুষ মনে করেন - পুলিশ মানেই দুর্নীতিবাজ, ঘুষখোর।
কয়েক বছরে পুলিশের শীর্ষ কর্মকর্তাদের রাজনৈতিক জীবন পর্যালোচনা করলেই এই ব্যাপারে ধারনা পাওয়া যায়। কিভাবে অপরাধীরা চোখের সামনে দিয়ে বিদেশে চলে যায়, কিভাবে একজন সাধারন ব্যক্তি ক্ষমতাশীনদের অন্যায় প্রতিপত্তির কারনে নির্যাতিত হয়। গত কয়েকদিন আগেও রামপুরাতে পুলিশের এক এসআই গাঁজা দিয়ে জনৈক ব্যবসায়ীকে ফাঁসাতে গিয়ে ধরা খেয়েছে। ক্ষমতার অপব্যবহারে পুলিশ অবিশ্বাস্য দক্ষতা অর্জন করেছে।

আমরা অনেকে প্রশ্ন করি যে, সেনানিবাসের ভেতর কেন মানুষ আইন মেনে চলে?
কারন মানুষ জানে এখানে আইনের শাসন আছে, যারা আইন প্রয়োগ করে তারা কঠোরভাবে আইন মেনে চলে। তাই সেনানিবাসে সব কিছু এত সুন্দর। যদি মানুষ কখনও বুঝত সেনাবাহিনী দুর্নীতিগ্রস্থ, এখানে আইনের শাসন নেই। তখন কেউ সেনানিবাসের ভেতর আইন মেনে চলত না। সেখানেও বিশৃংখলার রাজত্ব হতো।

বাস্তবতা হচ্ছে, একটা দেশের আইন শৃংখলা বাহিনীর উপর যদি গণ মানুষের এতটা অবিশ্বাস, সন্দেহ, ঘৃণা বা ক্ষোভ থাকে, তাহলে সেই দেশের জনগন আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হবে না, এটাই স্বাভাবিক। মানুষ ভাবে, কাদা জলে গোসল করে সাবান মেখে কি লাভ?

ব্যক্তিগতভাবে আমি চাই, পুলিশের সম্মান, গৌরব পুলিশ ফিরে পাক। কয়জন বাংলাদেশী সুপার কপ বা সেলিব্রেটি পুলিশ কর্মকর্তা দেখেছি তারা চেষ্টা করছেন, পুলিশ সম্পর্কে ইতিবাচক ধারনা দিতে। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে - পুলিশের সামগ্রিক দুর্নীতি আর অপকর্মের তুলনায় তাদের এই প্রচেষ্টা খুবই নগন্য।

পুলিশের ব্র্যান্ড ঠিক না হলে, তাদের ইমেইজ ইতিবাচক না হলে কোন লাভ নাই। আমরা গার্বেজ, গার্বেজই থাকবো।

মন্তব্য ২২ টি রেটিং +১০/-০

মন্তব্য (২২) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে মার্চ, ২০২৩ দুপুর ২:১০

নাহল তরকারি বলেছেন: আমি একবার বিপদে পড়েছিলাম। পুলিশ আমাকে খুব ভালো ভাবে সাহায্য করেছিলো।

২০ শে মার্চ, ২০২৩ দুপুর ২:৩৭

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: আপনার যে অঞ্চল, সেই অঞ্চলের মধ্যে দিয়ে যে মহাসড়ক গেছে তা ডাকাতির জন্য কুখ্যাত। পুলিশ সাহায্য করে, এটা মিথ্যে নয়। তবে স্বাভাবিক সাহায্য পাওয়া বেশ বিরল ব্যাপার।

২| ২০ শে মার্চ, ২০২৩ দুপুর ২:১৫

ঋণাত্মক শূণ্য বলেছেন: আমাদের সমস্যার থেকে বড় সমস্যা হচ্ছে, সমস্যাটাকে আমরা এখনও সমস্যা বলে মার্ক করতে পারিনি। ফলে কেউ সেটাকে সমাধানের চেষ্টা করছে না।

সৌদীতে একবার একটা জায়গায় গাড়ি নিয়ে ফেঁসে গেছিলাম, লাল-নীল আলো জ্বালিয়ে পুলিশের গাড়ি আসছে দেখে আস্বস্ত হয়েছিলাম এটা ভেবে যে সাহায্য খুব কাছে। কক্সবাজারের পথে একবার একই রকম ভাবে গাড়ি নিয়ে ফেঁসেছিলাম। উদ্ধার দূরে থাক, পুরা গাড়ি তল্লাশি সহ রাত-বিরাতে মেয়ে মানুষ নিয়ে কেন বের হয়েছি তা নিয়ে খুব বাজে গালি খেতে হয়েছিলো। বন্ধুর সাথে বন্ধুর বোন ছিলো, তাকে পুলিশ ভাইয়েরা কথায় কথায় পতিতার পর্যায়ে ঠেলে দিয়েছিলো!

২০ শে মার্চ, ২০২৩ দুপুর ২:৩৭

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: দুঃখজনক। আমার জানা মতে পৃথিবীর আর অন্য কোথাও এই ধরনের সমস্যা হয় না।

৩| ২০ শে মার্চ, ২০২৩ বিকাল ৩:০৬

ডার্ক ম্যান বলেছেন: পুলিশের অধঃপতনের মূল কারণ কি রাজনৈতিক অপব্যবহার নাকি অর্থনৈতিক??

২০ শে মার্চ, ২০২৩ বিকাল ৩:১০

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: দুটোই। তবে রাজনৈতিক প্রভাবটাই বেশি।

৪| ২০ শে মার্চ, ২০২৩ বিকাল ৩:৫৩

গেঁয়ো ভূত বলেছেন: ব্যাক্তিগতভাবে আমি মনে করি আমাদের দেশের অধিকাংশ সমস্যার জনক-জননী হলো দুর্নীতি। দুর্নীতি হলো এক অত্যাশ্চার্য বিষবৃক্ষ। এই বিষবৃক্ষের ফল হচ্ছে আমাদের বেশিরভাগ সমস্যাগুলো। বিষবৃক্ষের শিকড় কোথায় এবং শিকড় সহ বৃক্ষটিকে উৎপাটনের কায়দাটা কি? এই কাজটা কে করবে?

২১ শে মার্চ, ২০২৩ রাত ১২:৪১

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: দেখেন দুর্নীতি কেন হয়? দুর্নীতি হয় সঠিক আইনের শাসন না থাকলে! আইনের সঠিক শাসন হয় মানুষের ভোট দেয়ার অধিকার থাকলে। যা প্রশ্নবিদ্ধ বাংলাদেশে।

৫| ২০ শে মার্চ, ২০২৩ বিকাল ৪:১৮

রাজীব নুর বলেছেন: ১। বহু লোক পুলিশে যোগ দেয় শুধু মাত্র ঘুষ খাওয়ার জন্য।
২। টহলের নামে পুলিশ সাধারন চ্যাংড়া পোলাপানকে ধরে। তারপর টাকা দিয়ে বাবা মা তাদের ছেলেকে ছাড়িয়ে আনে।
৩। আমাদের দেশে সৎ পুলিশ খুঁজে পাওয়া মুশকিল।
৪। ঢাকা শহর ফুটপাত দখল মুক্ত হয় না শুধু মাত্র পুলিশদের কারনে। কারন ফুটপাতের দোকান গুলো থেকে পুলিশ প্রতিদিন চাঁদা নেয়।
৫। পুলিশ চাইলে দিনকে রাত করতে পারে। রাতকে দিন।

২১ শে মার্চ, ২০২৩ রাত ১২:৪৬

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: পুলিশকে আবার ৭০% বাধ্য করে প্রশাসন ও সরকার। বাকিটা পুলিশ নিজে থেকে নষ্ট হয়।

৬| ২০ শে মার্চ, ২০২৩ বিকাল ৪:২৪

নীল আকাশ বলেছেন: শুধু পুলিশের নন অফিসার পোস্টে চাকরি পেতে কত টাকা ঘুস দিতে হয় শুনলে অবাক হয়ে যাবেন। এত টাকা ঘুস দিয়ে চাকরি নিয়ে এরা কি সমাজ সেবা করবে? বাপের ট্যাকের টাকা উঠাতেই তো কয়েকবছর লেগে যায়। তার উপরে আবার প্রোমোশনের জন্য ঘুস, ভালো জায়গায় পোস্টিংয়ের জন্য ঘুস। না দিলে বান্দরবানে ট্রান্সফার করে দেবে।
পুরো প্রকৃয়াটাই এখন উপরির উপরে চলছে।

২১ শে মার্চ, ২০২৩ রাত ১:২১

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: সবচেয়ে বড় কথা - দেশে আইনের শাসন এবং জবাবদিহীতা নেই বলেই এই অবস্থা চলছে।

৭| ২০ শে মার্চ, ২০২৩ বিকাল ৫:০৯

ঢাবিয়ান বলেছেন: আসলে জবাবদিহিতা ও গনতন্ত্র শব্দদুটো একে অপরের পরিপুরক। গনতন্ত্র থাকলে জবাবদিহিতা থাকবে এবং গনতন্ত্র না থাকলে জবাবদিহিতাও কর্পুরের মত উড়ে যায়।

৮| ২০ শে মার্চ, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৩৫

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: ভারত বা পুরো পৃথিবীর মানুষদের সাথে আমাদের দেশের মানুষদের প্রধান পার্থক্য হলো আইন মানার ইচ্ছে এবং আইনের প্রতি শ্রদ্ধা। - এটা লিখে আবার আপনিই কারণগুলো বলে দিয়েছেন। তাহলে মূল সমস্যা মানুষের মধ্যে না, আইনের মধ্যে। একই মানুষ দু্ই পরিবেশে দুই রকম আচরণ কীভাবে করতে পারে? আইন প্রয়োগ করার দায়িত্ব যাদের তারা যেহেতু এত বছরেও পারেনি, তাই আমার মতে, এই জাতির জন্য একমাত্র ক্যান্টনম্যান্টই সমাধান (বর্তমানে যা চলছে সেটারে গণতন্ত্র বলে না)...

৯| ২০ শে মার্চ, ২০২৩ রাত ৮:২৩

বাকপ্রবাস বলেছেন: পুলিশ তথা দেশের আইন শৃংখলা নিয়ম কানুন ঠিক রাখার জন্য প্রথমত রাজনৈতিক স্বদিচ্ছা প্রয়োজন। পুলিশ নিয়োগ হতে শুরু করে সব কিছুতে উদ্দেশ্য কী সেটা জানতে হবে, সেটার উদ্দেশ্য যদি হয় ৫বছর পর ভোট হবে পুলিশ এর কাজ সেই ভোটে জিতার জন্য পুরো সময়টা জুড়ে বিরোধী দলকে ধরা মারা এবং সেটা ঠিক থাকলে পুলিশ যা ইচ্ছা করবে তার কোন বিচার হবেনা তাহলে পুলিশকে আর দোষ দেয়া যায়না, কারন আমরা দলিয় ক্যাডার নিয়োগ দিচ্ছি পুলিশ নয়, শুধু ইউনিফর্মটাই দেখতে পাই, ভেতরে দলিয় ক্যাডার

১০| ২০ শে মার্চ, ২০২৩ রাত ৮:৩৫

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: সাবানের ফেনায় কিছু কাঁদা যদি সাদা হয়, হোক না...

আমি পুরাই বোকা হয়েছিলাম ব্যাঙ্গালোরে। ২০১৭ সালে সলো ট্যুর ছিলো চেন্নাই-কোদাইকানাল-উটি-কুনুর-মাইসুর-ব্যাঙ্গালোর। তো উটি থেকে নাইট কোচে ব্যাঙ্গালোর এলাম ভোররাতের আগে। নানান ঘটনার পর হোটেলে চেকইন করে লম্বা ঘুম দিয়ে বের হলাম নাস্তা করতে। হোটেল হতে বের হয়ে ফুটপাথ দিয়ে হেঁটে যাচ্ছি, হঠাৎ মনে হলো সামথিং রং... চেয়ে দেখি আমার সাথে যেসকল মানুষেরা হাঁটছিল তাঁরা সবাই আমার দিকে তাকিয়ে আছে... জায়গাটা ছিলো একটা তিন রাস্তার ক্রসিং টাইপ, পথচারী পারাপারে লালবাতি জ্বলছিলো, যদিও রাস্তায় তখন গাড়ী তেমন না থাকায় আমি নিজের মনে রাস্তা পার হচ্ছিলাম, সিগ্ন্যাল দেখার প্রশ্নই আসে না, হাজার হলেও ঢাকা শহরের হাতের ইশারায় চলন্ত বাস থামিয়ে দেয়া মানুষ আমরা। তো এত্তগুলো মানুষ অবাক হয়ে দেখছিলো আমার সিগ্ন্যাল অমান্য করে রাস্তায় নেমে যাওয়াটা। টের পেয়ে উঠে এলাম ফুটপাথে, ফের পথচারী পারাপার গ্রীণ হলে সবার সাথে রাস্তা পার হলাম। এরপর তিন দিন ছিলাম ব্যাঙ্গালোর, প্রতিবার সিগ্ন্যাল লক্ষ্য করে চলেছি।

১১| ২১ শে মার্চ, ২০২৩ রাত ১২:৪৩

আহমেদ জী এস বলেছেন: কাল্পনিক_ভালোবাসা,




কাদা জলে গোসল করে সাবান মেখে কি লাভ ? আসলেই কোনও লাভ নেই!

বাইরের দেশে পুলিশে দুর্নীতি থাকলেও পুলিশ কিন্তু গণহারে অনৈতিক ক্ষমতা চর্চা করেনা এবং করতে পারেও না। তাদেরকে একটি জবাবদিহীতার মধ্যে দিয়ে যেতে হয়। অনৈতিক কাজ করলে শাস্তি স্বরূপ তাদের আমাদের মতো এ এলাকা থেকে শুধু আরেক এলাকায় বদলি করা হয়না। সমূলে চাকুরিচ্যুতি সহ জেল হাজতে বাস করতে পাঠানো হয়। তাই পুলিশ কোনও অনিয়মতান্ত্রিক কাজে সাহস পায়না এবং করেনা। ফলে, পুলিশের প্রতি সে দেশের মানুষের একটি সম্মানসূচক ভয় আছে। যা আমাদের দেশে নেই।

বাংলাদেশের শতকরা ৯৯% মানুষ মনে করেন - পুলিশ মানেই দুর্নীতিবাজ, ঘুষখোর। ৯৯% নয়, ১০০% লোকই তেমনটা মনে করেন।

ক্ষমতার অপব্যবহারে পুলিশ অবিশ্বাস্য দক্ষতা অর্জন করেছে। আর কিছুতে তেমন সাফল্য বা মানুষের বন্ধু হবার দক্ষতা না থাকলেও পুলিশের সাফল্য শুধু এই ক্ষমতার অপব্যবহারেই!

বাকপ্রবাস ঠিকই বলেছেন: পুলিশ তথা দেশের আইন শৃংখলা নিয়ম কানুন ঠিক রাখার জন্য প্রথমত রাজনৈতিক স্বদিচ্ছা প্রয়োজন। পুলিশ নিয়োগ হতে শুরু করে সব কিছুতে উদ্দেশ্য কী সেটা জানতে হবে, সেটার উদ্দেশ্য যদি হয় ৫বছর পর ভোট হবে পুলিশ এর কাজ সেই ভোটে জিতার জন্য পুরো সময়টা জুড়ে বিরোধী দলকে ধরা মারা এবং সেটা ঠিক থাকলে পুলিশ যা ইচ্ছা করবে তার কোন বিচার হবেনা তাহলে পুলিশকে আর দোষ দেয়া যায়না, কারন আমরা দলিয় ক্যাডার নিয়োগ দিচ্ছি পুলিশ নয়, শুধু ইউনিফর্মটাই দেখতে পাই, ভেতরে দলিয় ক্যাডার।

আপনিও ঠিক বলেছেন - একটা দেশের আইন শৃংখলা বাহিনীর উপর যদি গণ মানুষের এতটা অবিশ্বাস, সন্দেহ, ঘৃণা বা ক্ষোভ থাকে, তাহলে সেই দেশের জনগন আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হবে না, এটাই স্বাভাবিক।

আরও বলেছেন - পুলিশের সম্মান, গৌরব পুলিশ ফিরে পাক
কিন্তু কথা হলো, ব্যতিক্রম বাদে আমাদের পুলিশের সেই গৌরব আর সন্মান কবে ছিলো ? তবুও নিজেদের গার্বেজ ঠাওরাতে ভালো লাগেনা বলে আমরাও চাই পুলিশের সম্মান, গৌরব পুলিশ ফিরে পাক বা সর্বাত্মক চেষ্টা করুক তা ফিরিয়ে আনতে ।

১২| ২১ শে মার্চ, ২০২৩ রাত ১:৪০

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: কি আর বলবো!! 'আমরা গার্বেজ ছিলাম, গার্বেজই থেকে যাবো' এটাই হচ্ছে আমার শেষ কথা।

১৩| ২১ শে মার্চ, ২০২৩ রাত ২:০৯

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: আজ রাত ৯ টার দিকে যমুনা ফিউচার পার্কের পাশে ফলের দোকান থেকে এক পুলিশ ১৫০০ টাকার ফল কিনে ১০০ টাকা কম দিয়ে বীর বিক্রমে চলে গেলো, দোকানদার বার বার বলছিল স্যার ১০০ টাকা আমাকে দিতেই হবে, আমি আপনাকে যে রেটে ফল দিছি তাতেই আমার লস, ১০০ টাকা কম দিলে আরও লস হবে। দোকানদার মিনতি করা সত্যেও পুলিশ ১০০ টাকা কম দিয়ে দ্রুত চলে যাচ্ছিল, দোকানদারও পুলিশের পিছু নিলো স্যার ১০০ টাকা দিতেই হবে, আমার এমনিতেই লস হচ্ছে.. স্যার টাকাটা দিয়ে যান.. কিন্তু পুলিশ চলেই গেলো। পুরো ঘটনা আমি দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখলাম, দোকনদার ফিরে এসে আমার কাছে বিচার দিলো, বলে হালার পো হালায় এইডা কোন কাম করলো!! হের কাছে ফল বেইচা এমনিতেই আমার লস হইছে তার উপর আরও ১০০ টাকা কম দিলো, দোকানদারের চেহারায় বিরক্তির ভাব দেখে স্পষ্ট বুঝা যাচ্ছে তার লস হয়েছে। আমি বললাম কি আর করবেন, সে যে সবগুলো ফল ফ্রীতে নেই নাই সেটাই তো অনেক কিছু, পুলিশ মানুষ টাকা দিয়ে ফল কিনছে এটাই তো বড় কথা; বাদ দেন, আমাকে কয়টা ফল দেন।

আমার কথা হচ্ছে ১৫০০ টাকার ফল কিনতে পারলে ১০০ টাকার জন্য ছেচরামি করার দরকার কি, নাকি ছেচরামি না করতে পারলে পুলিশের মান ইজ্জত থাকে না, পুলিশ বলে কথা। !!!



১৪| ২১ শে মার্চ, ২০২৩ সকাল ১১:৪১

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
এসবকিছুর মূল্যে দুর্নীতি রয়েছে। দুর্নীতি মুক্ত হতে পারলে পুলিশের বদনাম ঘুচে যাবে।

১৫| ২১ শে মার্চ, ২০২৩ দুপুর ২:৩৮

রাজীব নুর বলেছেন: পোষ্টে আবার এলাম।
কে কি মন্তব্য করেছেন সেটা জানতে।

১৬| ২২ শে মার্চ, ২০২৩ সকাল ১১:৪৯

গেঁয়ো ভূত বলেছেন: লেখক বলেছেন: দেখেন দুর্নীতি কেন হয়? দুর্নীতি হয় সঠিক আইনের শাসন না থাকলে! আইনের সঠিক শাসন হয় মানুষের ভোট দেয়ার অধিকার থাকলে।

২০০১ সালের অক্টবরের ১ তারিখে যে নির্বাচন হয়েছিল সেটা ছিল স্মরণকালের মধ্যে সর্বাধিক সুষ্ঠ, মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে সেই নির্বাচনে ভোট দিয়েছিল। তখন দুর্নীতিতে দেশ বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হলো কেন? তখন আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা হলো না কেন? তখনকার সরকারের ছত্রছায়ায় তৎকালীন বিরোধী দলের উপর ২০০৪ সালের ২১শে অগাস্ট ভয়ঙ্কর নির্মম ভাবে গ্রেনেড হামলা করা হয়েছিল কোন আইনের শাসনের বলে?

আমি কারো পক্ষ-বিপক্ষ নই, জাস্ট আপনার প্রতিমন্তব্য পরে আমার মাথায় প্রশ্নগুলো আসলো।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.