নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

www.oputanvir.com

অপু তানভীর

আমার চোখে ঠোঁটে মুখে তুমি লেগে আছো

অপু তানভীর › বিস্তারিত পোস্টঃ

সাইকো গল্পঃ পাত্রী চাই !

১৭ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১০:০২

-হ্যালো ! প্রথম আলু পত্রিকা অফিস ?

-জি বলছি !

-আমি একটা বিজ্ঞাপন দিতে চাই !

-কিসের বিজ্ঞাপন ?

-পাত্রী চাই বিজ্ঞাপন !

-আপনাকে তো আমাদের বিজ্ঞাপন বুথে আসতে হবে !

-ঠিকানাটা বলবেন প্লিজ !



*****

মেয়েটি চোখে মেলে তাকালো । প্রথমে কিছুক্ষন বুঝতে পারলো না কোথায় আছে ! একটু যেন অন্ধকার ঠেকছে চোখে ।

বাইরে কি অন্ধকার নেমে গেছে ? নাকি ঘরের লাইট গুলো এখনও জ্বালানো হয় নি । সব কিছু এমন অন্ধকার কেন লাগছে ।

মেয়েটি হাত দিয়ে নিজের চোখ মুছতে গেল । ঠিক তখনই অবাক বিশ্ময়ে লক্ষ্য করলো যে সে হাত দিয়ে চোখ মুছতে পারছে না । তার হাত দুটো বাঁধা ।

দুই হাত দুইদিকে শক্ত করে কিছুর সাথে তাকে বেঁধে রাখা হয়েছে ।

মেয়েটি তা পা দুটি নাড়াতে চেষ্টা করলো । কিন্তু সফল হয় না । পা দুটোও যথা সম্ভব ফাঁকা করে বেধে রাখা হয়েছে তার ।

তীব্র এক আতংক পেয়ে বসলো মেয়েটাকে ।





****

-আপনি কিছু নিচ্ছেন না কেন ?

আবীর কথাটা শুনে লজ্জা পেল । সোনিয়ার দৃশ্যটা কেন জানি ভাল লাগলো দেখে । আজকাল এমন লাজুর ছেলে আছে নাকি ? কি সারল্য হাসিতে ।

আবীর একটু হেসে বলল

-এই তো নিচ্ছি ! আপনিও নিন ।

প্রতি উত্তরে সোনিয়া একটু হেসে কফির পেয়ালা টা হাতে নিল !

কফির কাপে একটা চুমুক দিয়ে কাপটা নামিয়ে রাখলো । কফিটা খুব বেশি ভাল হয় নি । চিনি একটু বেশি হয়েছে । শরবত বানিয়ে ফেলেছে ।

আবীর সোনিয়ার দিকে তাকিয়ে বলল

-কফি চাল হয় নাই তাই না ?

-হুম !

-এরা কি শরবৎ বানায় নাকি কফি ? বেশি চিনি ওয়ালা চা খাওয়া যায় কিন্তু কফো খাওয়া যায় না । আর এক কাপ দিতে বলবো ?

-না না ! দরকার নাই । আরো তো অনেক কিছু রয়েছে ।

-সিওর ?

-হুম !

আবার দুজনেই চুপ কিছুক্ষন ! আবীর বেশি চিনিওয়ালা কাফিতেই চুমুক দিচ্ছে । সোনিয়ার আবিরের কাপে চুমুক দেওয়াটাও ভাল লাগলো বেশ ।

আচ্ছা কি হচ্ছে ?

সোনিয়া একটু চিন্তিত হল । ছেলেটার সাথে পরিচয় হয়েছে সব মিলিয়ে মাসখানে । এর ভিতরেই সোনিয়ার ছেলেটার সব কিছুই ভাল লাগতে শুরু করেছে !

সোনিয়া কি ছেলেটার প্রেমে পরেছে ?

সোনিয়ার মুখে একটা মৃদু হাসি দেখা গেল ।

-হাসছে ন যে ?

না এমনি ! আপনার কফি খাওয়া দেখছি । ছোট ছোট করে কপে চুমুক দিচ্ছেন । এটা ভাল লাগছে ! ছোট বেলায় আমাদের বাসায় একটা বিড়াল ছিল । সেই বিড়াল টাও আপনার মত করে চা খেত !

এই কথা বলেই সোনিয়া হাসতে লাগল ! বেশ জোরেই হেসে উঠলো !





*****

মেয়েটি কিছুই বুঝতে পারছে না । এমন কেন হচ্ছে তার সাথে ? মেয়েটি আতংক বোধ করছে । বেশ আতংক বোধ করছে । একটু আগেই সে বুঝতে পেরেছে তার হাত পা বেশ ভাল করে বাঁধা । অনেক্ষন টানা টানি করে পরীক্ষা করে দেখেছে । বিন্দু মাত্র লাভ হয় নি । যে এই কাজটা করেছে বেশ ভাল করেই বেঁধেছে ।

হাত পা বাঁধা দেখে মেয়েটি মুখ দিয়ে কিছু বলার চেষ্টা করছিল । আশা ছিল আসে পাশে নিশ্চই কেউ না কেউ আছে । তার চিৎকার শুনে তাকে বাঁচাতে এগিয়ে আসবে । কিন্তু সেটাও সম্ভব নি । মেয়েটির মুখও আটকনো ! একগাদা কাপড়ের দলা মেয়েটির মুখের ভিতর দিয়ে মেডিক্যাল টেপ দিয়ে আটকানো !

মুখ দিয়ে কিছু বলতে চেষ্টা করলে কেবল গোঙ্গানীর মত মৃদু কিছু একটা আওয়াজের মত বের হয় । যেটা মেয়েটির নিজের কানেই ঠিক মত ধরা পরে না । বাইরের মানুষ কিভাবে বুঝবে ।





*****

সোনিয়ার জন্য যখন পাত্র দেখা শুরু কয় তখন থেকেই নানান জায়গা থেকে পাত্রের জন্য সন্ধান আসতে থাকে । তেমনই একজনের কাছ থেকে আবীরের খোজ আসে । অন্য সব পাত্র থেকে আবীরের যে যোগ্যতাটা বেশি ছিল সেটা হল আবীরের একটা আমেরিকান পাসপোর্ট ছিল । আবীর দেশে এসেছে বিয়ে করার জন্যই !

আর প্রথম দেখাতেই সোনিয়ার কেন জানি আবীরের কে ভাল লেগে যায় । বিশেষ করে ওর সহজ সারল্য মাখা চোখের জন্য । সারাক্ষনই একটা চঞ্চল্য খেলা করছে সেখানে ।



তারপর থেকেই ওদের কথা হতে থাকে । কদিন দেখাও হতে থাকে । এখানে সেখানে ।

সোনিয়ার কেন জানি মনে হতে থাকে এই ছেলেটাকে সে অনেক আগে থেকেই চেনে । ছেলেটা যাই করুক না কেন সোনিয়ার সেটা এক মনেই মেনে নিতে শুরু করলো ।



দুই দিন আগের কথা । সোনিয়ার পরদিন পরিক্ষা ছিল । রাত জেগে পরতেছিল । এমন সময় আবীরে ফোন ।

-কি খবর ?

-কাল পরীক্ষা ! পড়ছি ।

-এখনও পড়ছো ? আর কত পড়বে ? পড়ার দরকার নাই । দেখো বাইরে খুব চমচৎকার জোঁছনা উঠেছে । এসো একসাথে জোছনা দেখি ,

-জি না । কালকে আমার পরীক্ষা আছে । আপনি এখন ঘুমান জনাব ! ঠিক আছে । আর আমাকেও পড়তে দিন ।

-আহা ! এমন কেন করছো ! এমন রাত আর আসবে না

-আসবে ! ফোন রাখুন !

-রাখবো না । তুমি যদি এখন আমার সাথে কথা না বল তাহলে সারা রাত তোমার বাড়ির সামনে দাড়িয়ে থাকবো !



সোনিয়া কিছুক্ষন কোন কথা বলতে পারলো না । একবার মনে হল যেন ও ভুল শুনছে । চট করেই ঘরের জানলা দিয়ে সামনের রাস্তার দিকে তাকালো !

হুম ! ঐ তো দেখা যাচ্ছে ! কানে ফোন নিয়ে দাড়িয়ে আছে । সোনিয়া কেবল তাকিয়েই রইলো কিছুক্ষন ছেলেটার দিকে । এমন পাগলামো কেন করে !

সারা রাত সোনিয়া বারান্দায় কাটিয়ে দিল !





****

মেয়েটি কিছু বুঝতে পারছে না । এমন কেন হবে তার সাথে ? তার বাবা খুব বশি বড়লোক না যে তাকে কিডন্যাপ করে মুক্তিপন আদায় করবে । তা ছাড়া কিডন্যাপ করলে কেউ তাকে এভাবে কেন আটকে রাখবে ?

মেয়েটিকে ইংরেজি এক্স এর মত করে চার হাত পা চার দিকে দিয়ে বেঁধে রাখা হয়েছে । আর সব থেকে অবাক হওয়ার বিষয় মেয়েটির সারা শরীরে এক প্রকার তেলতেলে পদার্থ মাখানো ! সারা শরীর থেকে একটা অদ্ভুদ গন্ধ ভেসে আসছে । এখন অন্ধকার বলে কিছু বোঝা যাচ্ছে না । এমন করে আটকে রাখার তো কোন মানে নাই ।

মেয়েটি কিছু বুঝতে পারছে না । এমন তো হবার কথা না । কিডন্যাপ করলেও তার এই অবস্থা তো করার কথা না ।





******

-কোথায় যাচ্ছিস ?

সোনিয়া বের হচ্ছিল । মায়ের কথা শুনে দাড়াল ।

-কেন মা ?

-আবীরের কাছে ?

-হুম ! কেন ? আজকে ওর সাথে দেখা করার কথা আছে !

-ওর সাথে আর দেখা করা লাগবে না !

সোনিয়া যেন আকাশ থেকে পড়লো । ঠিক বুঝতে পারছে না তার মা কি বলছে ।

-কেন মা এই কথা কেন বলছো ?

-তোর বাবা খোজ নিয়েছে । ছেলেটা একটা ভুয়া । ওর আগে একটা বিয়ে হয়েছিল আমেরিকায় !

সোনিয়ার মনে হল ওর ভুল শুনছে । আবীবের আরেকটা বিয়ে হয়েছে ? এই ছেলেটা এই ভাবে কেন সত্যটা গোপন করলো ! সোনিয়া সত্যি সত্যি আবীরকে পছন্দ করতে শুরু করতে শুরু করেছিল ।

সোনিয়ার মা বলল

-আজ থেকে আবীরের সাথে দেখা করা একদম বন্ধ ! ও আরো কত কিছু লুকিয়েছে কে জানে ? দেখবি হয়তো এইডস টেইডসও আছে ।

সোনিয়া আসলেই ভাবতে পারছে না ! এমন কিছু একটা তাকে শুনতে হতে পারে ।





****

হঠাৎ অন্ধারের ভিতর এক ঝলক আলো দেখা দিল । কেউ যেন ঘরের আলো জেলে দিল ! অনেক্ষন অন্ধকারে থাকার পরে হঠাৎই আলো আসাতে মেয়েটি নিজের চোখ বন্ধ করে দিলো !

একটু পরে যখন চোখ খুলল

তখন সামনে একা কালো পোষাক পরা লোককে দেখতে পেল । পুরো শরীর কালো আলখাল্লা দিয়ে ঢাকা । মুখে একটা কালো মাস্ক ! হাতে কালো হাত মোজা !

লোকটা হাতে একটা কালো চামড়ার চাবুক !

লোকটা কি করতে যাচ্ছে ?

মেয়েটি আবারও নিজেকে মুক্ত করার চেষ্টা করল কিন্তু কোন লাভ হল না । মেয়েটি যখন মুখ দিয়ে কিছু বলতে চাইলো কিন্তু কোন শব্দ বের হল না । মুখোস পরা লোকটির হাতের চাবুকটা গর্জে উঠলো !

প্রচন্ড ব্যাথায় মেয়েটি কাঁকিয়ে উঠলেও মুখ দিয়ে একটা টু শব্দও করতে পারলো না মেয়েটি ।

আবার গের্জে উঠলো চাবুক !

এবাও মেয়েটির মুখ দিয়ে কোন আওয়াজ বের হল না । কেবল শরীরটা যতটুকু নড়াচড়া করা সম্ভব ততটুকুই নড়াতে পারলো । চোখ দিয়ে বেরিয়ে পরলো পানি । জন্মের পর থেকে এমন আঘাত সে আর কোনদিনই পাই নি !

চলতেই থাকলো চাবুকের আঘাত । মেয়েটির সহ্যের সীমা যখন পার হয়ে গেল তখন চাবুকের আঘাত থামলো না । মেয়েটির শরীরের বিভিন্ন জায়গার ফেটে রক্ত বেরিয়ে এল ।

মেয়েটি কেবল দেখলো মুখোশের আড়ালে লুকানো চোখ দুটো তার শরীরের বিভিন্ন জায়গা থেকে বের হওয়া রক্তের দিকে একভাবে তাকিয়ে আছে ।

চেতনা হারানোর আগ পর্যন্ত মেয়েটির কাছে ঐ চোখ গুলো কেন জানি একটু পরিচিত মনে হল !





*****

কলিংবেল বাজতেছিল অনেক্ষন ধরেই । আবীর দরজা খুলেই একটু অবাক হল !

পুলিশ !

পুলিশের পোষাক পরা পাঁচজন লোক তার দরজার সামনে দাড়িয়ে আছে ।

পুলিশ দের একজন বলল

-আপনি আবীর হায়দার ?

-জি ?

-সোনিয়া খানমকে চিনেন !

-জি চিনি !

-কিভাবে চিনেন ?

-কেন ? ও কি আমার নামে কোন কেস করেছে ?

-আগে প্রশ্নের জবাব দিন ! কিভাবে চিনেন ?

-দেখুন আমি এখানে থাকি না । উইএস থাকি । এখানে এসেছি বিয়ে করার জন্য ! একটা ম্যাচ মেকিংয়ের মাধ্যমে সোনিয়া আর ওদের পরিবারের সাথে পরিচয় হয় !

-তারপর ?

-কিছুদিন আমি ওর সাথে কথা বার্তা বলি ! সব কিছু ঠিকই ছিল । তারপর ..।

আবীর একটু চুপ করে গেল !

-তারপর ?

-আসলে আমেরিকায় আমি একবার contract মেরেজ করেছিলাম গ্রিন কার্ড পাওয়ার জন্য ! এটা ওরা জেনে ফেলে । তারপর থেকেই বিয়ের কথা বার্তা থেমে যায় !

পুলিশ অফিসার আবীরের দিকে অনেক্ষন তাকিয়ে রইলো একই ভাবে ।

আবীর বলল

-দেখুন ওর বাবা ওর সাথে দেখা করতে মানা করে দিয়ে ছিল আসল খবর জানা পরে । তারপর থেকে আমি ওর সাথে দেখা করার চেষ্টা করি নি । আর এটার জন্য নিশ্চই পুলিশ কেস করার কোন মানে নাই ।

পুলিশ অফিসার আবীরের দিকে তাকিয়ে বলল

-শেষ করবে আপনার সাথে সোনিয়ার দেখা হয়েছে ?

-জি গত সপ্তাহে ! ওর সাথে পিংসিটিতে লাঞ্চে গেছিলাম !

-তারপর আর হয় নাই ?

-তারপর আর হয় নাই !

পুলিশ অফিসার আরো কিছু প্রশ্ন করে চলে গেল । তবে বলে গেল প্রয়োজনে আবারও আসবে । সে যেন শহর ছেড়ে না যায় !



পুলিশ অফিসার চলে যাওয়ার পরে আবীর দরজা বন্ধ করলো ! অবীর কে একটু চিন্তিত মনে হচ্ছে । পুলিশ কে সে একটু মিথ্যা কথা বলেছে । কারন গত পরশুই সোনিয়ার সাথে তার দেখা হয়েছে ।

ব্যাপারটা জানা জানির পরেই সোনিয়া আসে ওর সাথে শেষ বারের মত দেখা করার জন্য ! অবীর বাসাতেই ছিল !



দরজায় কলিংবেল বাজতেই আবীর দরজা খুলে দিল ! দরজা খুলে আবীর কেবল সোনিয়া দাড়িয়ে আছে ।



কোন কথা না বলে কেবল দরজার দিয়ে ঘরের ভিতর ঢুকলো । আবীর দরজা বন্ধ করে দিল !





***

মেয়েটি চোখ খুলল । মেয়েটির সারা শরীরে কাটা ছেড়ার দাগ । গত দুই দিন ধরে মেয়েটাকে বহু বার যন্ত্রনা দেওয়া হয়েছে । যতবার মেয়েটার জ্ঞান ফিয়ে এসেছে প্রতিবারই তার উপর চাবুক চালানো হয়েছে । মেয়েটি বেদনায় চিৎকার করতে চেয়েছে কিন্তু মুখ দিয়ে একটু আওয়াজও বের করতে সক্ষম হয় নি !



মেয়েটি চোখ খুলেই দেখলো আজকে তার অবস্থা একটু পরিবর্তন হয়েছে । আজকে তাকে একটা টুলের উপর দাড় করিয়ে রাখা হয়েছে । তার হাত দুটো পেছন দিয়ে বাঁধা । তার পা দুটো এক সাথে বাধা শক্ত করে । এবং আজকে মেয়েটার গলায় দড়ি দিয়ে সিলিংয়ের সাথে বাঁধা !

মেয়েটি প্রথমে কিছু বুঝতে না পারলেও একটু পরেও বুঝে গেল যে আজকে হয়তো তার শেষ দিন । তবে আজকে তার মুখ খোলা !

লোকটা হয়তো আজকে তাকে মেরে ফেলবে । এই জন্য তাকে এভাবে রেখেছে ।



মেয়েটি একটু ব্যালেন্স রাখার চেষ্টা করলো ! কারন এখনই যদি সে ব্যালেন্স হারিয়ে ফেলে তাহলে এখনই সে উপরে চলে যাবে ।



কয়েক মিনির পরেই সেই কালো পোষাক পরা লোকটি ঘরে প্রবেশ করলো ।

-কে তুমি ?

লোকটা কোন কথা বলল না !

-তুমি কে ? আমি তোমার কি করেছি ? আমাকে এতো কষ্ট কেন দিচ্ছ ?

আমি কি করেছি ?

হঠাৎই লোকটা কথা বলে উঠলো !

-তুমি কিছু করনি ডিয়ার সোনিয়া !

-আবীর ??

সোনিয়া নিজের চোখ কে বিশ্বাস করতে পারছে না । এই মানুষটাই কি সেই মানুষটা যাকে সে পছন্দ করেছিল ! যার সারল্য দেখে যাকে পছন্দ করেছিল ! এই কদিন আবীর তাকে কি পরিমান যান্ত্রনাই দিয়েছে ।





*****

-দেখ আমি তোমার কাছে লুকাতে চাই নি !

-তাহলে কেন বলেন নি ! কেন ? বিয়ের পরে বলতেন !

-আসলে আমি তোমাকে হারাতে চাই নি !

সোনিয়া কিছু বলতে গিয়েও বলল না । আবীর বলল

-দেখো ! আমেরিকায় আমার যেই বিয়েটা হয়েছিল সেটা কেবল আমার গ্রিন কার্ড পাওয়ার জন্য ! আর কোন কারন নেই ! বিশ্বাস কর । ক্লারা কোন দিন আমার ওয়াইফ ছিল না ।

-ক্লারা কেন ?

-যার সাথে আমার বিয়ে হয়েছিল !

-বাহ ! তার নাম মনেও রেখেছেন ?

-সানি ! প্লিজ ! একটু বোঝার চেষ্টা কর !

-আমার বোঝার দরকার নাই ! আমি কেবল বলতে এসেছি আজকের পরে আমার সাথে আপনি দেখা করার চেষ্টা করবেন না ।

-শোন একটু প্লিজ !

-কোন শোনা শুনি নাই !

-আচ্ছা কেবল একটা কথা শুনো ! মাত্র একটা !

-কি !

-আমার উত্তরার শেষ মাথায় একটা বাগানবাড়ি আছে । সেখানে গেলে তোমার ভাল লাগবে ! আমার সাথে তো আর দেখাই করবে না কেবল একটা ঘন্টা আমার সাথে সেখানে কাটাও ! ওখানে একটা পুকুর আছে । সান বাধানো পুকুর ! ঐটা আমা রখুব পছন্দের একটা জায়গা ! আমার মন যখন খুব খারাপ বা ভাল হয় তখন আমি ওখানে যাই ! আজকে যাবে আমার সাথে সেখানে ?

-কেন যাবো ?

-একবার ! প্লিজ !





******

-তুমি কেন করছো এসব ? আমাকে ছেড়ে দাও ! প্লিজ আমাকে ছেড়ে দাও !

আবীর তার মুখোস খুলে ফেলল । সোনিয়া কেবল অবাক হয়ে আবীরের চেহারা দিকে তাকিয়ে রইলো ! সেই সারল্য চোখ আর দেখতে পেল সেখানে কেবল একটা পৌশাচিক আভা দেখতে পেল !



সোনিয়া আরো কিছু বলতে চাইলো কিন্তু তার আগেই আবীর টুলটা ধরে টান দিয়ে দিল । আস্তে আস্তে নিস্তেজ হয়ে গেল সোনিয়ার দেহ টা !





****

আজকে আবীরের জন্য একটা আনন্দের দিন ! প্রতিবার সে যখন একজনকে মেরে ফেলে সেদিন সে খুব আনন্দিত অনুভব করে ! সোনিয়াকে নিয়ে সর্ব মোট এগারো জন কে সে এভাবে কষ্ট দিয়ে মেরেছে ।

ছোটা বেলা থেকেই সে তার মাকে দেখে এসেছে । প্রচন্দ একটা ঘৃণা সে তা মায়ের জন্য অনুভব করতো । তার মায়ের কাজ কর্মকে কে প্রচন্ড ঘৃণা করতো ! তার মায়ের কারনে আবীরের বাবা মারা গেছে ! কষ্ট পেয়ে মারা গেছে !



প্রতিটা মেয়েকে যখন সে কষ্ট দেয় সে তার বাবার কথা মনে করে । যতটা কষ্ট তার বাবা পেয়ে মারা গেছে ততটা ঘৃণা সে সব মেয়ের উপর অনুভব করে ! প্রতিটা মেয়ের মৃত্যুর সাথে একটা আনন্দ অনুভুব করে।





*******

-হ্যালো ! প্রথম আলু পত্রিকা অফিস ?

-জি বলছি !

-আমি একটা বিজ্ঞাপন দিতে চাই !

-কিসের বিজ্ঞাপন ?

-পাত্রী চাই বিজ্ঞাপন !

-আপনাকে তো আমাদের বিজ্ঞাপন বুথে আসতে হবে !

-ঠিকানাটা বলবেন প্লিজ !





:::::::: X :::::::::



(লজিক ছাড়া একটা সাইকো গল্প লেখার চেষ্ট ! সিরিয়াসলী নেওয়া কিছু নাই)





Click This Link

মন্তব্য ৩৮ টি রেটিং +১২/-০

মন্তব্য (৩৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১০:২০

মদন বলেছেন: ++++++++++++++++++++++

১৭ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১০:৩০

অপু তানভীর বলেছেন: :):):):):)

২| ১৭ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১০:২৩

অচিন তারা বলেছেন: ভয়ঙ্কর

১৭ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১০:৩১

অপু তানভীর বলেছেন: B-) B-) B-)

৩| ১৭ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১০:৩৫

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: গল্পের থিমটা ভাল লাগেনি , এক ধরনের অস্বস্তি লেগেছে ।
সিরিয়াস ভাবে না নিলে , ঠিকই আছে । :-B

১৭ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১০:৪৩

অপু তানভীর বলেছেন: ভাল না লাগারই কথা !! সাইকো গল্প ভাল লাগলেই তো সমস্যা ! :D :D

৪| ১৭ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১০:৪২

অনন্ত জীবন বলেছেন: ভাল হয়েছে। মিসির আলীর দেবী'র মতই

১৭ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১০:৪৬

অপু তানভীর বলেছেন: মিসির আলীর দেবতে কি এরকম হয়েছিল ?
কে জানে ?? :|| :||

ধন্যবাদ !! :) :)

৫| ১৭ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১১:০৪

সহজ সাপটা বলেছেন: ভালো হয়েছে। আর যারা এইভাবে বাইরের পাত্র খুজে তাদের জন্য ভালো লেসন....... :)

১৭ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১১:৩৯

অপু তানভীর বলেছেন: হাহাহাহাহাহা

ধন্যবাদ !!

৬| ১৭ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১১:২৭

বটবৃক্ষ~ বলেছেন: একটানে পড়ে ফেলেছি, বাট এই ধরনের গল্প আর পড়তে চাইনা!! :-/ :-/
তবে গল্পে কয়েক যায়গায় অস্পষ্টতা রয়েছে যা সাইকোতে অবশ্যই ক্লিয়ার করা দরকার। ছেলেটার মায়ের ঘটনা কি ছিলো সেটা অস্পষ্ট লেগেছে.....
পাঠক হিসেবে মতামত দিলাম, আমি কোন গল্পকার নই!! ইউ নো! :-0 :D
++++ অবশ্যই

১৭ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১১:৪০

অপু তানভীর বলেছেন: না থিক আছে ।
কিছু অস্পষ্টতা ইচ্ছে করেই রেখেছি !! অবশ্য সব অস্পষ্টতা দুর করতে গেলে অনেক বড় হয়ে যেত গল্পটা !!

ধন্যবাদ !!

৭| ১৭ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১১:৩৬

হিমুস্টাইন বলেছেন:

১৭ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১১:৪১

অপু তানভীর বলেছেন: :):):):)

৮| ১৮ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১২:০৯

শাহরিয়ার রিয়াদ বলেছেন:
সাসপেন্সটা ভাল ছিল। গুড ওয়ান।

শুভ রাত্রি।

১৮ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১২:২৩

অপু তানভীর বলেছেন: ধন্যবাদ !!

আপনাকেও শুভ রাত্রি। :):)

৯| ১৮ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১২:২৮

রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: ভালো হয়েছে

১৮ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১:০২

অপু তানভীর বলেছেন: ধন্যবাদ !! :):)

১০| ১৮ ই জুলাই, ২০১৩ সকাল ৯:২১

অপূর্ণ রায়হান বলেছেন: বেস্ট ওয়ান +++++++++++

১৮ ই জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১২:১৭

অপু তানভীর বলেছেন: ধন্যবাদ !!! :):):):)

১১| ১৮ ই জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১:০৮

অচিন তারা বলেছেন: হুমায়ুন আহমেদ এর দেবী আমি পরেছি স্কুলে পরার সময়। "দেবী" "নিশীথিনি" "নিষাদ" এই ৩টি পর্ব নিয়ে ওই উপন্যাস। তবে যতদুর মনে পরে এই গল্পের সাথে দেবী গল্পের কোন মিল নেই। ওই গল্পে মেয়েটির সাথে একটি ছায়াসঙ্গী(মেয়ে) থাকে। যাকে দেবী হিসেবে বলা হয়েছে।

১৮ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ৯:২৮

অপু তানভীর বলেছেন: কি জানি মিল আছে কি না ! তবে আমি এটুকু নিশ্চিত করে বলতে পারি যে লেখার সময় আমার সেই গল্পের কথা মনে আসে নি ।

ধন্যবাদ !! :)

১২| ১৯ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ২:২২

নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন:
মিসির আলির দেবির সাথে কিঞ্চিৎ মিল আছে। ওখানে একজন এইরকম সাইকো দেখানো হয়েছিল। তবে আপনার লেখায় অনেক নতুনত্ব আছে। :)

১৯ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ২:৪৯

অপু তানভীর বলেছেন: ধন্যবাদ !! :):):)

১৩| ১৯ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ২:৫৫

আরজু পনি বলেছেন:

মানুষের সাইকো হওয়ার পেছনে বেশ কিছু কষ্ট থাকে যা সে ভুলতে পারে না আর সহ্যও করতে পারে না ।

অনেক ভালো লাগা রইল, অপু।।

১৯ শে জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১২:৫৬

অপু তানভীর বলেছেন: হুম । কথাটা সত্য !

একটু ভয়ে ভয়ে ছিলাম যে গল্পটা কেমন হবে কে জানে !

ধন্যবাদ !! :):)

১৪| ১৯ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ৩:২৪

অনাহূত বলেছেন: গল্প ভালো লেগেছে। ++

১৯ শে জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১:০৪

অপু তানভীর বলেছেন: ধন্যবাদ !!

১৫| ১৯ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১১:২৬

ফারিয়া বলেছেন: বানানটা ঠিক থাকলে আরো ভালো লাগতো!

২০ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১২:০৯

অপু তানভীর বলেছেন: আপু আপনি তো জানেনই যে আমার গল্পের একটা প্রধান বৈশিষ্ট হল সেখানে অবশ্যই বানান ভুল থাকবে !!

:D :D

১৬| ২৭ শে জুলাই, ২০১৩ ভোর ৪:১৩

আমি তুমি আমরা বলেছেন: মিসির আলির দেবির সাথে কিঞ্চিৎ মিল আছে। +++

২৭ শে জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১:১২

অপু তানভীর বলেছেন: সবাই খালী এই কথা কয় !! খেলুম না ! :(:(

১৭| ২৭ শে জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১:৩২

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: কয়েকট টাইপো পাওয়া গেল। গল্পটা ভাললেগেছে। সাইকো কম বেশি সবাই। শুধু নিজে সাইকো নই। :)

২৭ শে জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১:৫১

অপু তানভীর বলেছেন: আমার গল্পে টাইপো থাকবেই বলতে পারেন এটা আমার গল্পের একটা বৈশষ্ট্য !!

আমি নিজেও সাইকো নই !!
ধন্যবাদ !!

১৮| ০১ লা আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪০

ইরফান আহমেদ বর্ষণ বলেছেন: ভালা হইছে

০১ লা আগস্ট, ২০১৩ রাত ১০:২৮

অপু তানভীর বলেছেন: ভাল তো হবেই !! :):)

১৯| ০৩ রা আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৪:২৭

আমি রেদওয়ান বলেছেন: ভালো লাগলো।++

০৩ রা আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৪:৪৪

অপু তানভীর বলেছেন: ধন্যবাদ !! :):):)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.