নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

www.oputanvir.com

অপু তানভীর

আমার চোখে ঠোঁটে মুখে তুমি লেগে আছো

অপু তানভীর › বিস্তারিত পোস্টঃ

গল্পঃ ফিলিং, নিশিরে বিয়া করুম !

১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:০৪





-আরে আপনি ?

-আপনি !!

নিশিকে এখানে আবার দেখবো ভাবি নি ! একটুও বদলায় নাই বরং আর যেন একটু সুন্দর হয়েছে !

নিশি আমার দিকে বলল

-আপনি এখানে কি করেন ?

-আপনার পিছু চলে এসেছি !

-বাহ ! আমার পিছু পিছু আসতে এক বছর লাগিয়ে দিলেন ?



কত দিন আগে মেয়েটির সাথে দেখা হয়েছিল । এখনও মনে আছে । যেন কালকেই দেখা হল মেয়েটির সাথে ! অবশ্য মনে থাকার আরো অনেক কারন আছে !

এখন মনে হচ্ছে কালকেই যেন মা বাবার সাথে নিশিকে দেখতে গিয়েছিলাম ! নিশি লজ্জা লজ্জা চোখে আমার দিকে তাকাচ্ছিল ! মায়ের প্রশ্নের জবাব দিচ্ছিল !

আর আজকে এখানে দেখা হল !



-আপনি কোথায় যাবেন এখন ?

-কোথাও না ! এখানে এসেছিলাম একটা কাজে ! কাজ শেষ !

-আসুন কফি খাওয়া যাক !

-আমি কফি খাই না যে !

-চা ?

নিশি আবার মুখটা কেমন করলো !

-নাহ ! আসলে বাইরের চাও ঠিক চলে না আমার !

-আচ্ছা ! পানি তো খান নাকি ? পানি খাওয়া যাক !

নিশি আমার দিকে তাকিয়ে হেসে ফেলল ! বলল

-চলুন ! পানি খাওয়া যাক ! সামনের ঐ রেস্টুরেন্টে ভাল পানি পাওয়া যায় !





নিশিকে প্রথম চিনতাম পারিবারিক ভাবেই । যখন সবে মাত্র চাকরি পেয়েছি তখনই মা একদম উঠে পরে লেগে গেল আমার বিয়ে দেওয়ার জন্য ! এতো দিন মানা করে আসছিলাম কোন কিছু না করার জন্য কিন্তু এখন আর কোন কারনই দেখাতে পারলাম না । শুরু করে দিলাম মেয়ে দেখা ! কয়েকটা মেয়ে দেখলাম আর রিজেক্ট করতে শুরু করলাম ! আসলে মেয়ে ঠিক পছন্দ হচ্ছিল না । আমার আবার কোন কিছু বা কাউকে খুব সহজে পছন্দ হয় না ! তার উপর আমার মায়ের পছন্দের বিষয় আছে ! আমার আগে আমার মাও না করে দেয় ! আমি কেবল মেয়েটাকে দেখি আমার মা মেয়ের ফ্যামিলি থেকে শুরু করে সব কিছু দেখে ! সব কিছু তার মন মত হওয়া চাই !

কিন্তু নিশিকে পছন্দ হল ! বলতে গেলে খুব ভাল করেই পছন্দ হল !

বিশেষ করে নিশির লজ্জা ভরা চোখে ও যখন আমার সাথে কথা বলছিল ! আমি ওকে নিজের বউ হিসাবে কল্পনা করে ফেললাম !

ঠিক করে ফেললাম যে নিশিকে বিয়ে করবোএবং মোটামুটি সিওর ছিলাম যে নিশির সাথে বিয়েটা হয়ে যাচ্ছে ! মাকেও বলে দিলাম যে মেয়ে পছন্দ হয়েছে ! তোমরা ব্যাবস্থা নাও ! পারিবারক বিষয় গুলো অবশ্য মা বাবাই দেখবে !



কিন্তু মেয়ে দেখার তিন পর মা যখন আমাকে অন্য একটা মেয়ে দেখতে যাওয়ার কথা বলল আমি খানিকটা অবাক হলাম । বললাম

-আবার মেয়ে দেখার কি দরকার ? মেয়ে তো পছন্দই হয়েছে !

মা আমার কথার ঠিক জবাব দিল না ! কথা ঘুড়িয়ে বলল

-চল দেখে রাখি ! দেখে রাখতে তো সমস্যা নাই !

-আরে আশ্চার্য ! দেখার কি দরকর ?

মা কিছুক্ষন চুপ করে রইলো ! তারপর বলল

-মেয়ে তোকে পছন্দ করে নি !

আমি এই কথাটা শোনার জন্য মোটেই প্রস্তুত ছিলাম না !

মেয়ে আমাকে পছন্দ করে নি !

আমি আসলে এইটা ভাবতেই পারি নি ! আমি যখন অন্য মেয়েদের কে রিজেক্ট করেছি আমার মনে এই কথাটা কখনও আসেই নি যে কোন মেয়ে আমাকে রিজেক্ট করতে পারে !





বাঁ দিকের একটা টেবিলে আমি বসলাম নিশি কে নিয়ে !

-তারপর ?

নিশি আমার দিকে তাকিয়ে বলল

-তারপর মানে ?

-মানে দিন কাল কেমন যাচ্ছে ?

-এ তো ভাল ! চাকরি করছি ! খাচ্ছি দাচ্ছি ঘুরে বেড়াচ্ছি ! ভালই তো যাচ্ছে !

-আপনার ?

-আমারও !

-বিয়ে করেছেন কবে ?

-আমি ?

-হুম !

-রিজেক্টেড পোলাদের সহজে বিয়ে হয় না জানেন না ?

নিশি মনে হয় আমার কথা ঠিক মত বুঝতে পারলো না ! আমার দিকে জিজ্ঞাসু চোখে তাকিয়ে রইলো কিছুক্ষন ! তারপর বলল

-আপনি রিজেক্টেড ? কে রিজেক্ট করলো শুনি ?

-আপনি এমন একটা ভাব করছেন যেন আপনি কিছুই জানেন না ?

-আমি আসলেই জানি না কিছু !

এই বলে দুজনই চুপ করে রইলাম কিছুক্ষন ! আইসক্রিমের অর্ডার দিয়েছিলাম এসে হাজির !



এক চামুস আইসক্রিম মুখে নিয়ে বললাম

-আপনি বিয়ে করেন নি কেন ?

-কে বলল আম বিয়ে করি নি !

-আমার মন বলছে যে আপনিও বিয়ে করেন নি !

-তাই ? তা আপনার মন আর কি কি বলছে ?

-সোজা প্রশ্নের উত্তর দিন । বিয়ে করেন নি কেন ?

-দেখুন আপনি আমার স্যার না যে আপনার প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে ! আর আমি আপনার কাছে ঠিক বাধ্যও না প্রশ্নের উত্তর দিতে !

শেষ কথাটা নিশি বেশ খানিকটা কঠিন গলায় বলল !

আমার কেন জানি মনে হল নিশি কথাটা বলল খানিকটা অভিমান ভরা গলায় ! কেন ?

আমার উপর অভিমান ?



আর কি বলবো ঠিক বুঝতে পারছিলাম না ! নিশি দ্রুত আইসক্রিম শেষ করলো ! তারপর এক প্রকার তাড়াহুড়া করেই উঠে পড়লো ! আমার আরও একটু সময় ইচ্ছা ছিল নিশির সাথে থাকতে !



নিশি কে আসলেই বেশ খানিকটা পছন্দ হয়ে গিয়েছিল ! বলবো না প্রথম দেখাতেই তার প্রেমে দিওয়ানা হয়ে গিয়েছিলাম বা লাভ এট ফার্ষ্ট সাইট টাইপের কিছু একটা ! কিন্তু প্রথম দেখাতেই নিশিকে মনে ধরে ছিল খুব !

তার উপর আমাকে রিজেক্ট করাটা আমি ঠিক ভাবে মেনেও নিতে পারছিলাম না !

বেশ কয়েকবার ওর ক্যাম্পাসের কাছে গিয়ে ছিলাম ! দুর থেকেও দেখেছি ওকে । অনেকবার প্রশ্ন করছে ইচ্ছ হয়েছে তুমি কেন আমাকে রিজেক্ট করছ ? কি এমন যোগ্যতা আমার নেই !

কিন্তু কিছু একটা সংকোচের কারনে সেই প্রশ্ন করা হয় নি ! নিশির সামনেও যাওয়া হয় নি !



নিশি রিক্সায় উঠে চলে যাচ্ছে আমি তাকিয়ে রয়েছি ওর দিকে ! তখনই হঠাৎ করে আমার মনে হল নিশি আমার দিকে ফিরে তাকাবে !

তাকাবে তো ?

আমি অধীর আগ্রহ নিয়ে নিশির চলে যাওয়া রিক্সার দিকে তাকিয়ে রইলাম !

তাকাবে !



সত্যি সত্যিই ফিরে তাকালো !

নিশির ফিরে তাকানো দেখে আমার কেবল এই কথাটাই মনে হল এই মেয়ে আমাকে কিছুতেই রিজেক্ট করতে পারে না ! অসম্ভব !

এর ভিতর অন্য কিছু ব্যাপার আছে !

থাকতে বাধ্য !





রাতে বেলা খাওয়ার পরে বাবাকে ধরলাম ! মাকে তো এই সব কিছু জিজ্ঞেস করা যাবে না ! রাতে খাওয়ার পরে বাবা ছাদে উঠে একটা সিগারেট খায় ! ঘরে মায়ের চিৎকার চেঁচামিচির কারনে তো আর খাওয়ার উপায় নাই !



বাবা সবে মাত্র সিগরেট ধরিয়েছিল আমি হাজির হলাম ! আমাকে দেখে তাড়াতাড়ি করে সিগরেট ফেলে দিলেন ! যদিও বাবা জানেন যে বাবার সিগরেট খাওয়ার বিষয়টা আমি খুব ভাল করে জানি ! তবু নিজের ছেলের সামনে সিগারেট খাওয়াটা কেমন দেখায় ! বাবা আমার দিকে তাকিয়ে বলল

-তুই এখানে কি করছিস ?

-কিছু না ! তুমি ?

-আমিও কিছু না ! এমনি হাটাহাটি করছি ! খাওয়ার পরে একটু হাটা হাটি করতে হয় ! স্বাস্থ্য ভাল থাকে !

-হুম !

আমি কোন কথা না বলে পকেট থেকে নতুন কেনা এক প্যাকেট বেনসন বাবার দিকে বাড়িয়ে দিলাম ! আমি তাকিয়ে আছি অন্য দিকে বাবাও তাকিয়ে আছে অন্য দিকে । বাবা অন্য দিকে তাকিয়ে সিগারেটের প্যাকেট টা পকেটে ঢুকিয়ে দিলেন ! অন্য দিকে তাকিয়েই বললেন

-কি জানতে চাস বল ?

-নিশি কথা মনে আছে ?

-কোন নিশি ! জফির সাহেবের মেয়ে ? ঐ আমরা দেখতে গিয়েছিলাম ?

-হুম !

-কি হয়েছে বল ?

আমি বললাম

-মেয়েটাকে তো আমার পছন্দ হয়েছিল ! যতদুর জানি তোমার আর মায়েরও পছন্দ হয়েছিল তাহলে বাতিল হয়ে গেল কেন ?

-তোর মা বলে নি ? ময়েটা তোকে পছন্দ করে নি !

আমি বাবার মুখোমুখি হলাম ! বাবার চোখের দিকে তাকিয়েই মনে হল বাবা কিছু একটা লুকাচ্ছে !

আমি বাবার দিকেই তাকিয়েই রইলাম ! বাবা কিছুক্ষন গাইগুই করে তারপর বলল

-আসলে তোর মায়ের পছন্দ ছিল কিন্তু একটা জায়গায় একটু বেঁকে বসেছিল !

-কোন জায়গায় ?

-মেয়ের মা নেই তুই তো জানিস ! মারা গেছে অনেক আগে !

-এটা কোন কারন হল ?

-তোর মায়ের কাছে কারন ! তোর মায়ের ভাষ্য মতে ঐ বাড়িতে তোর বিয়ে হলে তুই নাকি শশুর বাড়ির আদর পাবি না !

-মানে কি ?

-এটাই !

-তুমি কিছু বললা না ? আর তার উপর আমাকে সত্যটা কেন জানালা না ?

-আসলে তোর মা চাচ্ছিল না ! তোর মাও বুঝতে পেরেছিল যে মেয়েটাকে তোর পছন্দ হয়েছিল ! আর কারন দেখালে তুই শুনবি কিনা কে জানে ! তাই আর কি !!



আর কথা না বলে নিচে নেমে এলাম ! কেন জানি মেজাজ টা এতো গরম হচ্ছিল ! কিছুতেই বোঝাতে পারবো না !

বিছানায়া শুয়ে শুয়ে সারাটাতেও এক ফোটা ঘুম এল না ! কি করবো আসলেই বুঝতে পারছিলাম না ! সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠে সোজা হাজির হয়ে গেলাম নিশি দের বাসায় ! নিশির বাবা আর নিশি তখন টেবিলে নাস্তা করছে ! আমাকে দেখে দুজনেই বেশ অবাক হল !

নিশির বাবা আমাকে প্রথমে মনে হয় আমাকে ঠিক চিনতে পারেন নি ! বাবার নাম বলতে অবশ্য চিনতে পারলেন ! খুব একটা খুশি হলেন বলে মনে হল না ! তবুও ভদ্রতা করে নাস্তা খাওয়ার আমন্ত্রন জানালেন !

আমিও বসে গেলাম !

কেন আসলাম জানি না ! কেবল মনে হচ্ছিল যে আমার এখানে আসা দরকার ! নিশির সাথে কথা বলা দরকার !



খাওয়ার এক পর্যায়ে নিশির বাবা বললেন

-তা বাবা এতো সকালে এখানে আসার কারনটা কি ?

-জি আঙ্কেল ! নিশির সাথে একটা জরুরী কাজ ছিল ! ওকে কয়েকটা কথা বলা দরকার খুব !

-ও ! আচ্ছা !



আর কোন কথা হল না ! নাস্তা শেষ নিশির বাবা অফিসের দিকে রওনা দিলেন ! আমি ড্রয়িং রুমে বসে রইলাম ! নিশি এতোক্ষন আমার সাথে একটা কথাও বলে নি ! কেবল আমার দিকে তাকিয়ে ছিল । প্রথম প্রথম একটু অবাক চোখে তাকিয়েছিল কিন্তু তারপর ওর চোখে কেমন একটা দুষ্টামি দেখতে পাচ্ছিলাম !



-তো মিস্টাস অপু হাসান ! কি আপনার জরুরী কথা শুনি !

আমার সামনে বসতে বসতে নিশি বলল !

-একটু তাড়াতাড়ি বলতে হবে ! আমার অফিস আছে !

-আজকে অফিস না গেলে হয় না ?

নিশি বলল

-কেন ? খুব কি সময় লাগবে ? উমমম আচ্ছা যান ! আজকে অফিস যাবো না ! বুয়াকে চা দিতে বলি ? চা খেতে খেতে কথা বলি !

-কাল না বললেন যে আপনি চাখান না ?

-নিশি হেসে বলল

-বাইরে খাই না ! বাসায় খাই !

-ও ! আচ্ছা ! চা দিতে হবে না ! আপনি চট করে একটু রেডি হয়ে আসুন !

-বাইরে যাবেন ?

-জি !

-কোথায় ?

-যাবো এক জায়গায় ? আপনি প্লিজ একটু রেডি হয়ে আসুন !

নিশি কিছু বলল না অবশ্য ! উঠে গেল ! আমি আবার বললাম

-শুনুন !

-জি !

-শাড়ি পড়লে ভাল হয় ?

আবারও নিশি কিছুক্ষন আমার দিকে তাকিয়ে রইলো ! কিছু না বলে ঘরের ভিতরে চলে গেল !





রিক্সা চলছে ! নিশি আমার পাশে বসে আছে ! কোথায় যাচ্ছি জানি না ! কেবল সামনের দিকে চলছে । একটু পরপর রিক্সা সিগনাল জ্যামে থামছে । আমি হঠাৎ করে বললাম

-আমি প্রায় দিনেই তোমার ক্যাম্পাসে যেতাম ! তখন .......।

-কেন ?

-জানি না !

-জানেন না ?

তারপরে আবার খানিকক্ষন নিরবতা !

আমি কি বলবো ঠিক মত বুঝতে পারছি না । কেনই বা ওকে এভাবে নিয়ে আসলাম তাও বুঝতে পারছি না । ঠিক মত বুঝতে পারছি না ওকে কিভাবে বলি যে আমাকে জানানো হয়েছিল যে তুমি আমাকে রিজেষ্ট করেছিল । আমি তোমাকে মানা করি নি বিশ্বাস কর !

কিভাবে বলি ?

আমি ভাবছি কি বলবো তখন নিশি আমাকে অবাক করে দিয়ে বলল

-আমিও আপনার অফিসের সামনে দাড়িয়ে থাকতাম ! অনেক দিন দাড়িয়েছি !!

আমি নিশির দিকে তাকিয়ে দেখি ও অন্য দিকে তাকিয়ে আছে ! ওর চুল গুলো বাতাসে উড়ছে ! আমার বুঝতে একটুও বাকি রইলো না নিশি কাঁদছে ! চোখের পানি আড়াল করার জন্যই অন্য দিকে তাকিয়ে আছে !

এখন ?



রিক্সা ততক্ষনে বাংলামোটরের কাছাকাছি চলে এসেছে !

আমি বললাম

-নিশি তোমার কোন বন্ধু-বান্ধবী থাকে আসেপাশে ?

-কেন ?

-আহা ! থাকে কি না বল ?

-থাকে ! কেন ?

-কারন পরে বলছি ! এখনই ফোন দাও ওকে । বল এখনই মগবাজার মোড়ে আসতে !

-কেন ?

-কারন তোমাকে বিয়ে করবো ! এখনই !

-আমি যদি না করি !

-তুমি বিয়ে করবে না ?

নিশি এই প্রশ্নের উত্তর দিল না ! আমি রিক্সাওয়ালা থামতে বললাম ! তারপর নিশির হাত ধরে বললাম

-যদি তুমি আমাকে এখন বিয়ে করতে প্রস্তু না থাকো তাহলে এই তোমার হাত ধরলাম এই ছাড়িয়ে রিক্সা থেকে নেমে যাও ! আমি কিছু বলবো না । আর কোনদিন তোমার সামনে যাবো না !





নিশি কিছু বলল না ! হাত ছাড়িয়ে নিল না । রিক্সা থেকে নেমেও গেল না !

আমি রিক্সাওয়ালাকে বললাম

-মামা ! মগবাজার কাজী অফিসের দিকে চলেন !

মন্তব্য ৩৪ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (৩৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:১৫

শিলা সুলতানা বলেছেন:

!!!!
পাগল!!!

১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৫৯

অপু তানভীর বলেছেন: কে পাগল ?

আমি ?
:-* :-*

২| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:১৫

শিলা সুলতানা বলেছেন:

!!!!
পাগল!!!

১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:০০

অপু তানভীর বলেছেন: :#) :#) :#)

৩| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৪৮

এ.টি.এম.মোস্তফা কামাল বলেছেন: ভালো লাগলো খুব।

১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:০০

অপু তানভীর বলেছেন: ধন্যবাদ :):)

৪| ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১:৪৫

নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন: হুম, বুঝছি! তোমারে এখন একটা বিয়া দেওয়া দরকার! ;)

১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১:৫৯

অপু তানভীর বলেছেন: না রে ভাই বিয়া দরকার নাই । বিয়া দিলে এই স্বাধীনতা আর পাইতাম না !
আমি পরাধীন হইতাম চাই না !!

৫| ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৩২

আসাদ /পারেভজ বলেছেন: এই রকম একটা কাম ক ইরা caught খাইিছ.... :)

১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:০৬

অপু তানভীর বলেছেন: সত্য নাকি ?
পরের কাহিনী কি ? ;) ;)

৬| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:৩৬

অশ্রু কারিগড় বলেছেন: বহুত দিন পর আবার নিশি । +

১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:৫৩

অপু তানভীর বলেছেন: হুম ! অনেক দিন পরে আবার নিশি !!

:):):)

৭| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৪৬

হান্টার১ বলেছেন: কাজি অফিস পর্যন্ত যান, ঠিক আছে কিন্তু তারপর আর জাইয়েন না , পিলাস+

১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:৫৪

অপু তানভীর বলেছেন: এই জন্যই তো গল্প এখানে শেষ করছি !
গলায় দড়ি পড়লে উপায় আছে ? :P :P ;)

৮| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:৫৯

শেরজা তপন বলেছেন: লেখাটায় দারুন গতি ছিল-একটানে শেষ করলাম! ভাল লাগল...

২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:২৮

অপু তানভীর বলেছেন: যাক মাঝ খানে থামতে হয় নাই ভাল কথা ! থামলে আবার অন্য দিকে মন চইল যাইতো !!

ধন্যবাদ !!

৯| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:৪৮

তাসজিদ বলেছেন: অতি জলদি বিয়ে করানো উচিৎ কাওকে।

বওয়ের ঝাড়ি না খেলে অপু মিয়ার মাথা থেকে প্রেম নামক ভুত নামবে না।

২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:২৯

অপু তানভীর বলেছেন: না রে ভাই এই জিনিস এতো সহজে গলায় পরতে রাজি না আমি ! এতো জলদি পরাধীন হইলে কি চলে নাকি কন ?

সময় এখনও অনেক বাকি !

:):)

১০| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:৪৯

তাসজিদ বলেছেন: নিশি আসলো। টিয়া পাখি কি দোষ করল

২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:৩০

অপু তানভীর বলেছেন: কেউ আসবে কেউ যাবে ! এটাই তো জীবন !

এবার নিশি এসেছে আরেকবার টিয়াপাখিও আসবে !! কোন টেনশন নিয়েন না ! :)

১১| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:৫১

তাসজিদ বলেছেন: জলদি অপু রে বিয়া দেয়া হোক।

২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৩৬

অপু তানভীর বলেছেন: জি না ! এতো জলদি বিয়া করা যাইবে না !!

১২| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:২৮

তাসজিদ বলেছেন: ওহে ব্লগার বটবৃক্ষ, জলদি কিছু কর।

তা না হলে কিন্তু অপু মিয়া তেতুলবৃক্ষর খুজিয়া লইবে।


মতি গতি ভাল না এই পুলার।

২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:৩৩

অপু তানভীর বলেছেন: বটবৃক্ষের ইখানে কুনো কিছু করার নাই !! ;););)

১৩| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:৩৩

তাসজিদ বলেছেন: বিয়া না দিলে এই পুলার লুলামি কমত না।

২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:৩৪

অপু তানভীর বলেছেন: আমি এতো জলদি কিছুতেই গলায় দড়ি পড়তাম না ! :-0 :-0 :-0

১৪| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:২৬

মৌমিতা আহমেদ মৌ বলেছেন: ভাইরে সবই তো বুঝলাম। কিন্তু দুনিয়ার হগ্গলে খালি মগবাজার কাজী অফিসে বিয়া করে ক্যান ভাই?? =p~ =p~ =p~

২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১:০৫

অপু তানভীর বলেছেন: আমি যে অন্য কোন কাজী অফিস চিনি না । দেখা যাক পরের বার অন্য কোথাও বিয়ে করা যায় নাকি !!

সব চেয়ে ভাল হয় আপনি যদি একটা কাজী অফিসের ঠিকানা বলে দিতেন !

১৫| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১:১৯

ঘোর ছাড়া এক সুখি ছেলে বলেছেন: এরপরে মিরপুরে কাজী অফিসে বিয়া করবেন B-))

২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ৩:২৬

অপু তানভীর বলেছেন: ঠিকানা পাঠায়া দেন ! এর পরে সে খানেই যাবো .....

১৬| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:৫২

মৌমিতা আহমেদ মৌ বলেছেন: ভাই গো ভাই। আমারও তো চোক্ষের সামনে একটাই কাজী অফিস। মগবাজার কাজী অফিস। নাইলে আপনেরে কেন এইডা কইতাম ,কন তো?? নতুন কোনো সাজেশন দেন ভাই। কাজে লাগবে । নিজের জন্যে না। বন্ধু গো লাইগ্যা। B-)) =p~ =p~ =p~

২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৪৩

অপু তানভীর বলেছেন: নিজের জন্য না কেন ?

বিয়া কি কইরা ফালাইছেন !! ;);)

১৭| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:১৭

মৌমিতা আহমেদ মৌ বলেছেন: নাহ রে ভাই। বিয়া করুম না। খালি খালি ঝামেলায় যায় কে?? আর বিয়া করে কয়টা মানুষ সুখে আছে ?? দেখতেছেন না চারিদিকে খালি ২য়, ৩য়,৪র্থ বিয়ের ট্র্যাডিশন চলতেছে??? :-0 =p~ =p~

২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:১৩

অপু তানভীর বলেছেন: কথা অতি সত্য !!

ঝামেলায় কে যায় ..........

পূর্ণ সহমত জানাইলাম ! ;) ;)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.