| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
খানিকটা কৌতুহল থেকে লিখলাম এই পোস্ট। জানতে চাওয়ার জন্য। আমাদের দেশ পাকিস্তান থেকে আলাদা হয়েছে অনেক আগে, সেই একাত্তরে। লম্বা একটা সময়। সেই সময়ে যারা বুঝতে শিখেছে তারা আজকে জীবনের শেষ পর্যায়ে পার করছে। তারা যদি অখন্ড পাকিস্তান নিয়ে মন খারাপ করে সেটাও না হয় একটা ব্যাখ্যা পাওয়া যায়। কিন্তু আমার প্রশ্ন হচ্ছে এখন যাদের ভেতরে ভেতরে পাকিস্তান প্রেম দেখা যাচ্ছে তাদের জন্ম স্বাধীন বাংলাদেশে। স্বাধীনতার অনেক পড়ে। এমন একটা সময়ে যেখানে পাকিদের কিছুই নেই এই দেশে। বাংলার হাওয়া পানি খেয়েই তারা বড় হয়েছে। কিন্তু তাদের পছন্দ পাকিস্তান? তাদের এই পছন্দের কারণটা কী? কোন যুক্তিতে ?
তাদের দেহে কিন্তু বিহারী রক্তও না। একেবারে বাঙালি রক্ত।
বাঙালি সব সময় স্বতন্ত্র জাতি। পাকিদের সাথে আমাদের কোন মিল নেই। ওদের পাঞ্জাবি, পশতুন, সিদ্ধি এই রকম আরও যত জাতি রয়েছে তাদের সাথে আমাদের মিল নেই। ব্যাপারটা যদি এমন হত যে তাদের সাথে আমাদের নৃতাত্তিক মিল রয়েছে, বংশগত মিল রয়েছে কিংবা উৎপত্তিগত মিল রয়েছে তাদের আমরা সেই হারিয়ে যাওয়া মিল থেকে তাদের প্রতি ভালোবাসা অনুভব করতে পারতাম। সেটা তো না। তাহলে?
আচ্ছা মিল বাদ দিয়ে ব্যাপারটা এমন হত যে দেশে সৃষ্টির পর থেকে আমরা অনেক মিল মহব্বত নিয়ে বসবাস করেছি, তারা আমাদের সাথে বড় ভাল ব্যবহার করেছে তাহলেও একটা কথা ছিল। পশ্চিম পাকিস্তানের লোকজন ২৩ বছর ধরে আমাদেরকে কেবল শোষণ করেই করেছে। আমাদের সাথে শোষকের মত করে আচরণ করে গেছে।তাহলে তাদের প্রতি এই প্রেমের কারণ কী?
এছাড়া এমন যদি হত পাকিস্তান খুব উন্নত জাতিতে পরিণত হয়েছে। তাদের অর্থনীতিতে বিশ্বের প্রথম সারির অর্থনীতি। তারা এখন ফার্স্ট ওয়ার্ল্ড কান্ট্রি হয়ে গেছে তাহলেও একটা কারণ বোঝা যেত যে এখন যদি আমরা তাদের সাথে আবার যুক্ত হই তাহলে আমরাও উন্নত হব। আপনারা হয়তো জানেন না যে দুনিয়াতে ইকোনোমিক মোটিভেশন থেকে বড় মোটিভেশন আর কিছু নেই। এর সামনে দেশপ্রেমও তুচ্ছ হয়ে যায়। কিন্তু দেখা যাচ্ছে এখানেও পাকিস্তান একেবারে পিছিয়ে। সেটা একটা ফেইল্ড ইকোনোমি।
আমাদের দুই দেশের অবস্থান যদি লাগোয়া হত? ভারতের কোলকাতার মত, প্রিপুরার মত। সেটাও একটা হতে পারতো। কিন্তু দুই দেশের মধ্যে হাজার হাজার মাইল দুরত্ব! চোখের আড়াল মানে তো মনের আড়াল। কিন্তু দেখা যাচ্ছে কাছে তারা এখনোও মনের আড়াল হয় নি। কোন কিছুতেই আমরা পাকিদের সাথে যাই না। তাহলে তাদের প্রতি এই প্রেমের কারণ কী?
তারা মুসলমান বলে?
০৯ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:৩৯
অপু তানভীর বলেছেন: পাকিস্তানের দিক থেকে হিসাব করলে শেখ মুজিব তাদের কাছে গাদ্দারই। এটাই তো স্বাভাবিক। যেমন আমাদের বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান পাকিস্তানে গাদ্দার হিসাবে পরিচিত। বিজয়ী দেশের বীর পরাজিত দেশে গাদ্দার হিসাবেই পরিচিত হবে। তাদের এই বক্তব্যে অন্তত এটা পরিস্কার যে শেখ মুজিব আমাদের দেশের স্বাধীনতা অগ্রপ্রতীক। একাত্তরের স্বাধীনতার প্রশ্নে পাকিস্তান যাদের যাদের শত্র বলে মনে করবে তারাই বাংলাদেশের বন্ধু।
২|
০৯ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:৫৪
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: দফাদার@পাকিরা গাদ্দার বললে রাগ করার কিছুই নেই। কিনতু এদশের কিছু রাজাকার শাবক একই কথা বলে।
০৯ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:৪১
অপু তানভীর বলেছেন: বাংলাদেশীরা শেখ মুজিবকে গাদ্দার বলে না। পাকিস্তানিরা বলে। এদেশে যারা বলে তারাও পাকিস্তানি। শেখ মুজিবের অনেক দোষ থাকতে পারে, স্বাধীনতার পরে তার দেশ শাসন নিয়ে অনেক অভিযোগ থাকতে পারে কিন্তু বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতার অগ্রপ্রতীক, এটা নিয়ে কোন আলোচনার দরকার নেই। এটা যারা মানে না তাদের সাথে কথা বলারও কোন দরকার দেখি না।
৩|
০৯ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:৫৫
মাথা পাগলা বলেছেন: পাকিস্তানিরা বলে মুজিবের কারনে পাকিস্তান ভেংগে দুই টুকরা হয়ে খান-খান হয়ে গেছে আর বাংলাদেশে তাদের ছানা-পোনারা ২৪-এ এসে বলছে মুজিব চান নাই দেশ স্বাধীন হোক। কাদের কথা বিশ্বাস করা ঠিক হবে?
@দফাদার ভিনদেশীর পদলেহন করা কি অদ্ভুত এক জাতি?
আমারা বাইট্টা-লম্বা, নাক বুচা-চুক্কা, ফর্সা-ধলা সংকর জাতি একটা। আমাগো নৈতকিতা নাই, শিক্ষা কম।
০৯ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:৪৩
অপু তানভীর বলেছেন: পাকিস্তানিরা বলে মুজিবের কারনে পাকিস্তান ভেংগে দুই টুকরা হয়ে খান-খান হয়ে গেছে - এটা তো অবশ্যই সত্য কথা।
৪|
০৯ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১:১১
শ্রাবণধারা বলেছেন: না মানে, বেহেস্তে অনন্তকাল তো এদের সাথেই থাকতে হবে, নয় কি? আর সেকারণেই তারা-আমরা ভাই ভাই!
![]()
আমি মধ্যপ্রাচ্যে যাওয়ার পরে একবার স্ত্রী-কন্যাকে নিয়ে পাকিস্তানিদের একটা মেলায় গিয়েছিলাম। গিয়ে অনুভব করলাম, পাকিস্তানিদের সাথে আমাদের কোথাও কোন মিল নেই।
শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিনের একটি লেখা পড়েছিলাম। যেখানে তিনি বিদেশের কোনও আন্তর্জাতিক আর্ট প্রদর্শনীতে গিয়ে তার অনুভূতি লিখেছিলেন। সেখানে বলেছিলেন, অন্য সব দেশের আঁকা ছবির মধ্যে তিনি সেই দেশের মানুষের আবেগ-অনুভূতির একটি চিত্র পেলেন, কিন্তু পাকিস্তানিদের আঁকা ছবির মধ্যে এসবের কিছুই নাই। আচার্যের সেই অনুভূতির কিছুটা আমারও সেই পাকি মেলায় গিয়ে হয়েছিল। মনে হয়েছিল, ধুর, কিসের মধ্যে আসলাম!
০৯ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:৪৬
অপু তানভীর বলেছেন: সত্যি বলতে কি আমার এই যাবত কালের মধ্যে পাকিস্তানের প্রতি এই প্রেমের বিন্দু মাত্র জন্মে নি। তবে বর্তমান পাকিস্তানের প্রতি আমার ঘৃণার পরিমান কমে গেছে। সেখানে একটা করুণা জন্মেছে কেবল। তাদের নিজেদের যা অবস্থা তাদেরকে ঘৃণা করে লাভ কি !
এমন একটা জাতি যাদের দেওয়ার মত কিছুই নেই, তাদের প্রতি এই প্রেম কেন ? এই প্রশ্নটার উত্তর আমি এখনও পেলাম না!
৫|
০৯ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ২:৩০
স্বপ্নের শঙ্খচিল বলেছেন: ব্লগে কিছু পাকিস্হানী এজেন্ট ঢুকেছে
তাদের গোপন মিশন বাস্তবায়নের জন্য,
..........................................................................
তাদের জিজ্ঞাসা করুন
প্রয়োজনে জান্নাতের টিকিট ও মিলতে পারে ।
০৯ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:৪৮
অপু তানভীর বলেছেন: কিসের গোপন মিশন? আর সেইগোপনের জন্যই বা এদেশের মানুষ যারা বাংলার পানি মাটি হাওয়া খেয়ে বড় হয়েছে তারা কী মোটিভেশন খুজে পায়? সেইটাই জানার ইচ্ছে?
পাকিস্তানের প্রতি ভালোবাসা জন্মালে জান্নাতের টিকিট পাবে এমন বোকাচোদা নিশ্চয়ই তারা না।
৬|
০৯ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ ভোর ৫:০২
আলামিন১০৪ বলেছেন: ভুট্রোকে ধন্যবাদ, তার আর ইহায়িয়ার ছাগলামির কারণে আমরা স্বাধীন বাংলাদেশ পেয়েছি, আল্লাহর কাছে শুকরিয়া। মুজিব যে বাংলাদেশের পরিবর্তে পাক প্রধানমন্ত্রিত্ব চেয়েছিল তাতে কোনই সন্দেহ নেই, এ বিষয়ে তাজুল কন্যার বইটি পড়ে আসতে পারেন।
[link|https://youtu.be/z_uD_OVQ-Lo?t=606|ভুট্রো যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব ছিড়ে ফেলেছিল আর পকিরা তো বরাবরই ভীতু, গাজাতে ঈসরাইলে বর্বরতার বিরুদ্ধে ট্রাম্পের পদলেহী কুকুর একটা শব্দও উচ্চারণ করে নাই
মুজিব ভুট্রোকে তিক্ততা ভুলে বন্ধু হওয়ার আহবান জানায় (১:৫৭)
পুনশ্চঃ ভারত কোন সময়য়েই বাংলাদেশের বন্ধু ছিল না, ইন্দিরার উদ্দেশ্য ছিল পাকিস্তান ভাঙ্গা আর কিছু নয়। এ প্রসঙ্গে ফিল্ড মার্শাল মানিক শ’ বলেন, ইন্দিরা যখন তাকে রিফুজীর বন্যা ঠেকাতে তিনি কী পদক্ষেপ নিয়েছেন জিজ্ঞাসা করেন, তখন মানেক শ’র উত্তর “ আমি কী করার আছে? আপনি তো পূর্ব পকিস্তানীদের ক্ষেপিয়ে তোলার আগের আগে আমাকে জিজ্ঞাসা করেন নাই....
০৯ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:৫১
অপু তানভীর বলেছেন: আপনি আমার পোস্টের জানতে চাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে কিছু বললেন না।
আরেকটা কথা হচ্ছে আমি ভিডিও দেখে ইতিহাস শিখি নি। তাই কে কি চেয়েছিল, আর কে কি বলেছিল সেটা আমার খুব ভাল করেই জানা আছে।
৭|
০৯ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:১১
দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: এসব হলো ভারতীয় বয়ান। আপনার মতে আরো কত শতাব্দী পাকিস্তানকে ঘৃণা করে ভারতকে পুজা করতে হবে? পাকিস্তান স্বাধীনতার সময় কী মুসলমান ছিলনা? নাকি এখন নতুন মুসলমান হলো পাকিস্তান?
০৯ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:৫২
অপু তানভীর বলেছেন: আপনি তো আমার প্রশ্নের জবাব দিলেন না। পাকিস্তান প্রেমের কারণ কী?
৮|
০৯ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:৫২
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
আমার জন্ম, বাল্যকাল ও কিশোর বয়স কেটেছে পাকি আমলে, আমি দেখেছি পাকিদের কাজকর্ম। এখনো ভিন দেশে
চারি পাশে পাকি আর পাকি, আমাদের দেখলে কি চোখে তাকায় তা অনুভব করতে পারি। যাহোক অবস্থা দৃস্টে
দেখা যাচ্ছে তারা মুজিব চেতনাকে আবার নতুনভাবে উজ্জিবীত করছে তাদেরই অদুরদর্শী কথায় আর
কাজে । আপনার মত আমিউ কথাটি ভাবি , এই পোস্টে পাঠক মন্ত্যবের মাঝে উত্তরের কিছু ঈ্ঙ্গিত দেখা যাচ্ছে।
জোয়ার ভাটার দেশ, কখন যে মানুষের মনের জোয়ার কোন দিকে যাবে তা সর্বজান্তা আল্লাহই ভাল জানেন ।
শুভেচ্ছা রইল
৯|
০৯ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:১০
নতুন বলেছেন: ধমান্ধতা পাকিপ্রেমের একটা বড় কারন। তারা মুসলমান ভাই।
পাকিপন্হিরা বঙ্গবন্ধুকে দেখতে পারবেনা সেটাই সাভাবিক। তাদের ঘেউ ঘেউ এ মাথা ঘামানোর কিছুই নাই।
১৯৭১ এ বঙ্গবন্ধুর আহবানেই মানুষ যুদ্ধ করেছে, জীবনের ঝুকি নিয়েছে। মুক্তিযোদ্ধারা " আমার নেতা, তোমার নেতা শেখ মুজিব শেখ মুজিব" জয় বাংলা স্লোগান দিয়েছে।
তাই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবরের ভুমিকা কি ছিলো তা নিয়ে কোন পাকিবীজের সাটিফিকেটের দরকার নাই।
শেখ হাসিনা খুনিদের হুকুম দিয়েছে, তার ফাসির রায় যথাযত, এবং এমন একটা দৃস্টামুলক রায় এবং সাজার দরকার আছে।
কিছু অন্ধভক্ত আছে যারা শেখ হাসিনাকে পীরের মতন ভক্তি করে। তারা এতোটা অন্ধ যে এতো মানুষের মৃত্যু তাদের নজরে পরে না।
রাজনিতিক দলের সমর্থন আর তাদের কমীর মাঝে পার্থক্য আছে, কিছু ব্লগার আছে যারা আয়ামীলীগের নেতাদের মতন কথা বলে।
১০|
০৯ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:৪৯
কলিমুদ্দি দফাদার বলেছেন:
আমি হয়তো মন্তব্যটি ঠিক মতো বুঝাতে পারিনি! ইহা আমার দৈন্যতা......
পাকিস্তানের দিক থেকে হিসাব করলে শেখ মুজিব তাদের কাছে গাদ্দারই। এটাই তো স্বাভাবিক। না পাকিস্তান মিডিয়ার সামনে এভাবে তারা বলতে পারে না, কারন ইহা রাষ্ট্রীয় একটি সর্বোচ্চ বাহিনীর থেকে আসা এক প্রকার অফিসিয়াল স্টেটমেন্ট।স্বাধীন বাংলাদেশের শুরু ১৯৭১ সাল থেকে এবং শেখ মুজিবের ইতিহাস এর সাথে যুক্ত। In that case, Sheikh Mujib hold & represent Bangladeshi flag, freedom fighters & citizen who wanted independent.
আন্তর্জাতিক ভাবে স্বীকৃত ছাড়া সন্ত্রাসী/ "গাদ্দার" এই ধরনের শব্দ কুটনৈতিক টার্ম বা রাষ্ট্রীয়ভাবে অন্য কোন দেশের নাগরিক কে উদ্দেশ্য করে ব্যবহার করা যায় না। ধরেন বৃটিশ গভর্নমেন্ট থেকে এখন সুভাষচন্দ্র বসু কে গাদ্দার/বিশ্বাসঘাতক কিংবা সন্ত্রাসী হিসেবে একটি স্টেটমেন্ট দিলো, ইহা কি ভারত মেনে নিবে কিংবা জর্জ ওয়াশিংটন কে?
১১|
০৯ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১:৩২
ভুয়া মফিজ বলেছেন: আপনার কথিত পাকিপ্রেমের বিষয়টা মনস্তাত্বিক। মুসলমান মুসলমান ভালোবাসার একটা ব্যাপার অবশ্যই আছে, তবে সেটা খুবই দূর্বল ভালোবাসা। এখানের ব্যাপারটা অন্যরকমের।
আপনাকে প্রথমে একটা হিন্ট দেই।
বাংলাদেশের রাজনীতিতে জামায়াতের জনপ্রিয়তা আজকে যেই অবস্থায় আছে, এটা এই অবস্থায় কোনদিনই আসতো না, যদি না আওয়ামী লীগ আর বিএনপি সঠিক রাস্তায় থাকতো। তাদের ইতরামীর কারনেই আজ জামায়াতকে মানুষ বিকল্প হিসাবে পজিটিভলি ভাবতে শুরু করেছে।
একইভাবে ভারত স্বাধীনতার পর থেকে আজ পর্যন্ত যতো ধরনের ইতরামী করেছে বা করছে সেই কারনে জনগনের মনে পাকিস্তানের প্রতি টান বাড়ছে। ভারত যদি সুপ্রতিবেশীসুলভ আচরণ করতো, বাংলাদেশের সাধারন মানুষ পাকিস্তানের নাম মুখেও নিতো না। এখানে ''শত্রুর শত্রু বন্ধু'' সাইকোলজিও কাজ করছে। পাকিস্তানের প্রতি ভালোবাসা দেখালে যেহেতু ভারতের জ্বলে, কাজেই পাকিপ্রেম দেখাও। এটাকে একটা সাইকোলজিক্যাল ওয়ারফেয়ারও বলতে পারেন। বটম লাইন হলো, পাকিস্তানের প্রতি ভালোবাসা যতোটা না আছে, ভারতের প্রতি ঘৃণা তার চাইতে অনেক বেশী। ফলে প্রকাশটা হচ্ছে তথাকথিত পাকিপ্রেমের মাধ্যমে। মনোঃকষ্টে ভারতীয় হনুমানদের লাফালাফি দেখলেই বিষয়টা পরিস্কার বুঝতে পারবেন।
ভালোভাবে বোঝানোর জন্য বেশ লম্বা ব্যাখ্যা দরকার। এখানে সংক্ষেপে বললাম, তাই কতোটুকু বোঝাতে পারলাম জানিনা। মাস তিনেক আগে এটা নিয়ে লিখেছিলাম একটা পত্রিকার জন্য। স্বনামে লেখায় এখানে লিঙ্ক দিতে পারছি না। দুঃখিত!!! ![]()
১২|
০৯ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১:৪৩
কিরকুট বলেছেন: সংক্ষিপ্তভাবে বললে, বিষয়টা ঐতিহাসিক, রাজনৈতিক এবং পরিচয়-সংকটের মিশ্রণ। নিচে মূল কারণগুলো পরিষ্কারভাবে দিলাম:
১. ১৯৭১-পূর্ব রাজনৈতিক অবস্থান
বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার আগে জামায়াতে ইসলামী পাকিস্তানের মধ্যে একটি ধর্মভিত্তিক রাষ্ট্রব্যবস্থাকে সমর্থন করত। তাদের রাজনৈতিক দর্শনে পাকিস্তান ছিল একটি “ইসলামিক রাষ্ট্র প্রকল্প।” সেই মানসিক ধারা অনেকের মধ্যে টিকে গেছে।
২. রাষ্ট্রচিন্তায় ধর্মকে কেন্দ্রে রাখা
তাদের ভাবাদর্শে ধর্মীয় পরিচয় জাতিগত বা ভাষাভিত্তিক পরিচয়ের আগেই আসে। তাই পাকিস্তানের “মুসলিম উম্মাহ” ধারণা তাদের কাছে আবেগী গুরুত্ব পায়।
৩. স্বাধীনতার ইতিহাসের সাথে বিরোধ
জামায়াত ১৯৭১ সালে পাকিস্তানপন্থী অবস্থানে ছিল। স্বাধীনতার পর তারা সেই অবস্থানকে পুরোপুরি রাজনৈতিকভাবে বদলাতে পারেনি। ফলে ঐতিহাসিক দায়ের কারণে পাকিস্তানকে নিয়ে এক ধরনের প্রতিরক্ষামূলক মনোভাব তাদের মধ্যে দেখা যায়।
৪. রাজনৈতিক লাভের হিসাব
বাংলাদেশের ভেতরে নিজেদের রাজনৈতিক অবস্থান শক্ত করতে তারা কখনো কখনো পাকিস্তানের প্রতি নরম বা সহানুভূতিশীল অবস্থান দেখায়, কারণ এতে তাদের কোর সাপোর্ট বেস সন্তুষ্ট থাকে।
৫. সাংগঠনিক সম্পর্ক
জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ এবং পাকিস্তানের জামায়াতের মধ্যে আদর্শগত ও সাংগঠনিক যোগসূত্র আছে। এতে আবেগী ও রাজনৈতিক সংহতি তৈরি হয়।
৬. পরিচয়-সংকট ও ন্যারেটিভ ধরে রাখা
স্বাধীনতার সময় যেসব রাজনৈতিক যুক্তি তারা ব্যবহার করেছিলো, তার বিপরীতে দাঁড়ানো মানে নিজের অতীত রাজনৈতিক অবস্থানকে ভুল বলা। তাই পুরোনো ন্যারেটিভ ধরে রাখাও একটি কারণ।
১৩|
০৯ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:০১
ভুয়া মফিজ বলেছেন: আরেকটা ব্যাপার আপনেরে বলি।
ছোটকালে ইস্কুলে আমরা বিভিন্ন কারনে কিছু পোলাপাইনরে ক্ষেপাইতাম। যে যতোবেশী ক্ষেপতো, তারে আরো বেশী ক্ষেপাইতাম। আপনেরাও নিশ্চয়ই এই কাম করছেন। ইনফ্যাক্ট, একদম মেন্দামারা না হইলে সবাই কোন না কোন সময়ে এইকাম করছে। এখন আমরা পাকিপ্রেম দেখাইলে ভারতের হনুমানগুলি যতো লাফাবে; আমরা, বাংলাদেশীরা ততোবেশী পাকিপ্রেম দেখামু। তারা বাংলাদেশের সাথে যতোবেশী দুই নাম্বারী করবে, আমাগো পাকিপ্রেম সমানুপাতিক হারে বাড়বে। তারা জ্বলতে থাকুক। জ্বলতে জ্বলতে একসময়ে ছাই হয়া যাবে। বড়োই সৌন্দর্য। দেইখা চরম আনন্দ লাগে!!!!
সিনটা একবার কল্পনা করেন...........ভারতের তেজাস আসমান থিকা ভাইঙ্গা পড়লো...........আর আমরা পাকিস্তান থিকা JF-17 Thunder Block III কিনলাম। ভারতের কেমন জ্বলার কথা!!! মজাই মজা!!!!! ![]()
©somewhere in net ltd.
১|
০৯ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:৪৩
কলিমুদ্দি দফাদার বলেছেন:
হ্যাঁ। তারা মুসলমান বলে। আর ভারতের আধিপত্যবাদ রুখতে পাকিরা বাঙালির ত্রাতা হয়ে আসবে এই আশায়....
পাকি আইএসপিআর থেকে শেখ মুজিব কে গাদ্দার বলা হয়েছে, তা ও আবার বিজয়ের মাসে।
রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে একটা প্রতিবাদ ও করলো না.... ভিনদেশীর পদলেহন করা কি অদ্ভুত এক জাতি?