নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

...............

শ্রাবণধারা

" আমাদের মতো প্রতিভাহীন লোক ঘরে বসিয়া নানারূপ কল্পনা করে, অবশেষে কার্যক্ষেত্রে নামিয়া ঘাড়ে লাঙল বহিয়া পশ্চাৎ হইতে ল্যাজমলা খাইয়া নতশিরে সহিষ্ণুভাবে প্রাত্যহিক মাটি-ভাঙার কাজ করিয়া সন্ধ্যাবেলায় এক-পেট জাবনা খাইতে পাইলেই সন্তুষ্ট থাকে......."

শ্রাবণধারা › বিস্তারিত পোস্টঃ

রাজাকার-আলবদর চাই না, কিন্তু হাসিনাকেও চাই না!

১৪ ই নভেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:৩৫



হাসিনার কর্তৃত্ববাদী শাসনের সবচেয়ে অপকৃষ্ট দৃষ্টান্ত ছিল হাসিনার মুখের ভাষা। পৃথিবীতে আর কোনো সরকার প্রধান তার মতো ইতর ভাষায় জনগণকে হুমকি-ধামকি দিয়েছেন বলে আমার জানা নেই। মনে পড়ে তার সেই উক্তি: "তাহলে বিদ্যুত কেন্দ্র বন্ধ করে দেই, পানি দেওয়া বন্ধ করে দেই, সার বন্ধ করে দেই। সব বন্ধ করে বসাই রাখি। আমার রিজার্ভ ভাল থাকবে।" লক্ষ্য করুন "আমার রিজার্ভ।' দেশের সরকার প্রধান থেকে তিনি দেশের মালকিন হয়ে গিয়েছিলেন। বিদ্যুৎ, পানি, সার - সবই তার; জনগণ তার প্রজা মাত্র। রিজার্ভের ডলারও তার। আর তার ক্ষমতাকে কেউই চ্যালেঞ্জ করতে পারে না। চ্যালেঞ্জ করা দূরের কথা, কোনো প্রকার সমালোচনা করলেই র‌্যাব উঠিয়ে এনে ক্রসফায়ারে দিয়ে দেবে।

পদ্মাসেতু উদ্বোধনের বক্তৃতায় খালেদা জিয়া ও ড. ইউনূসকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন: "মরে যাতে না যায়, পদ্মা নদীতে একটু চুবানি দিয়ে, সেতুতে তুলে দেওয়া উচিত।" এখানে তিনি ক্ষমতার অধিকারি বিশেষ মাস্তান। তিনি যা ইচ্ছা তাই বলতে পারেন। তার ক্ষমতা প্রয়োগের জন্য, কটু কথার জন্য কোনো জবাবদিহিতা নেই।

গণতন্ত্রের সব কাঠামো তিনি ধ্বংস করেছেন। নির্বাচন, বিচারব্যবস্থা, গণমাধ্যম এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠান- সব জায়গাতেই তার স্বেচ্ছাচারিতা ও দুঃশাসন কাজ করেছে। ভারতের সঙ্গে আঁতাত করে তিনি ভেবেছিলেন ক্ষমতাকে চিরস্থায়ী করে ফেলেছেন। ভোটের আগের রাতে ব্যালট ভর্তি করা, কেন্দ্র দখল এবং হাতুড়ি-হেলমেট বাহিনীর মাধ্যমে ভোটকেন্দ্র নিয়ন্ত্রণ - এসবই জনগণের প্রতি হাসিনার তীব্র তাচ্ছিল্যের প্রকাশ মাত্র।

হাসিনা শাসনের সবচেয়ে অন্ধকার দিক ছিল গুম, খুন এবং পুলিশ হেফাজতে নির্যাতন। বিরোধী কর্মী, সমালোচক বা ভিন্নমতের মানুষ নিখোঁজ হয়ে যেত। নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে আটক হওয়ার পর মানুষ আর ফিরে আসত না। পুলিশ হেফাজতে মৃত্যুকে নিয়মিতভাবে "হৃদরোগে মৃত্যু" বলে ঢেকে ফেলা হতো। রাষ্ট্র-সমর্থিত এই দমননীতি শুধু ভয় সৃষ্টি করেনি, বরং জনগণের নিরাপত্তা ও মানবাধিকারের ধারণাকেও ধ্বংস করেছে।

অর্থনীতির নামে হাসিনা গোষ্ঠী পুরো জাতিকে ধোকা দিয়েছিল বাংলাদেশে এক ধরনের দস্যুতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করে। কয়েকজন লুটেরা হাজার কোটি টাকার মালিক হয়েছিল। তাদের দোসর, কর্মচারী ও চাকর-বাকরেরা স্বল্প মেয়াদে কিছু টাকা পেয়েছিল ঠিকই, কিন্তু এই উন্নয়ন টেকসই হয়নি, এবং সেটা ধ্বংসপ্রায় অবস্থায় পৌঁছেছিল। ব্যাংকগুলো ফাঁকা হয়ে গিয়েছিল।

হাসিনার পতন আমাদের কাছে মুক্তির সম্ভাবনা এনেছিল ঠিকই, কিন্তু পরবর্তী ঘটনাবলি দেখিয়েছে সেই সম্ভাবনা বাস্তবায়নের বদলে দেশ নতুন ধরনের অস্থিরতার দিকে ধাবিত হয়েছে। মানুষ ভেবেছিল রাজনৈতিক পরিবর্তন সামাজিক স্থিতি, নিরাপত্তা এবং সুশাসন নিয়ে আসবে, কিন্তু সেই আশা অল্প সময়ের মধ্যেই ব্যর্থ হয়েছে।

এতদিনে স্পষ্ট হয়েছে যে ক্ষমতার শূন্যস্থান পূরণ করেছে স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি - রাজাকার, আলবদর ও জঙ্গি-মৌলবাদীরা। প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরে, বিশ্ববিদ্যালয়ে, সরকারের উচ্চ পদগুলোতে তাদের পুনঃপ্রতিষ্ঠা ঘটেছে। প্রকাশ্যে আবির্ভূত হয়েছে কুখ্যাত রাজাকারের সন্তানেরা, যারা মুক্তিযুদ্ধ, জাতীয় সংগীত এবং রাষ্ট্রের ধর্মনিরপেক্ষ কাঠামোর বিরুদ্ধে প্রকাশ্য বক্তব্য দিয়ে জনমানসকে বিভক্ত করেছে।

তাই বলতেই হচ্ছে - রাজাকার-আলবদর চাই না, কিন্তু হাসিনাকেও চাই না!

মন্তব্য ৩৮ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (৩৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই নভেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:৪১

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: জামাতের আমীর আদাজল খেয়ে মেয়েদের পিছনে লেগেছেন । মেয়েদের চাকুরি উনার ভালো লাগছে না । নিজের ওয়াইফ চিকিৎসক এবং ২০০১ সালের সংরক্ষিত নারী আসনের এমপি ছিলেন । মৌলবাদি যতই এডুকেটেড হোক দিন শেষে মৌলবাদিই থেকে যায় । :-B

১৪ ই নভেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:৪৬

শ্রাবণধারা বলেছেন: এটার কারণ আপনার কি বলে মনে হয়? এই বুইড়া গাধাটাকে সামনে রেখে পিছনে জামাত আর কাউকে তৈরি করছে বলে আমার মনে হয়। মনে রাখবেন, জামাতের এবিসিডি টিমের মত, এবিসিডি প্রতারনা স্কৃপ্টও রেডি আছে।

২| ১৪ ই নভেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:৪২

অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: আলজাজিরার প্রতিবেদনঃ নতুন শাসনে পুরোনো পদ্ধতিতে খুন বিচারবহির্ভূত হত্যা অব্যাহত, ১৪ মাসে বিচারবহির্ভূত হত্যার শিকার ৪০ জন

১৪ ই নভেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:৪৮

শ্রাবণধারা বলেছেন: এটা অব্যাহত না থাকার কারন ঘটেনি। ড. ইউনূস বিদেশি প্রভু নিয়ে ব্যস্ত আছেন বলে মনে হয়।

৩| ১৪ ই নভেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:৪৩

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: শেখ হাসিনাকে কেউ চায় না নিজ দলের লোকজন ছাড়া ।

১৪ ই নভেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:৫০

শ্রাবণধারা বলেছেন: হ্যা, পুরাতন সংস্কার মনের মধ্যে ময়লার যে স্তর তৈরি করে, সেটাকে যুক্তি-বুদ্ধি দিয়ে পরিষ্কার করা কঠিন কাজ বটে।

৪| ১৪ ই নভেম্বর, ২০২৫ দুপুর ২:৩৩

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
আওয়ামী লীগ বাংলাদেশের একমাত্র নিয়মতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল।
আওয়ামী লীগ কখনো নির্বাচন বাদে বিদেশী শক্তির সাহায্যে ষড়যন্ত্র চক্রান্ত করে সরকার দখল করেনি।
একমাত্র আওয়ামীলীগই নির্বাচন ক‌রে সাম‌নের দরজা দি‌য়ে বারবার ক্ষমতায় এসে‌ছে।
আওয়ামী লীগ কখনো সেনাতন্ত্র বা ষড়যন্ত্র করে বা খুনখারাপি করে সরকার দখল করেনি। ইতিহাসে নেই।
আওয়ামী লীগ কখনো পিছনের দরজা দিয়ে ক্ষমতায় আসেনি। ইতিহাসে বাংলাদেশ পাকিস্তান কোন সেনাতন্ত্র কখনোই আওয়ামীলীগের পক্ষে ছিল না।
ব্রীটিষরা চলে যাওয়ার পর ইতিহাসে এই অঞ্চলে একমাত্র শান্তিপূর্ণ ক্ষমতা হস্তান্তর কারি সরকারি দল আওয়ামী লীগ।
বাংলাদেশ ও পাক-বাংলার ইতিহাসে একমাত্র আওয়ামী লীগ ক্ষমতা গ্রহণ এরপর ৫ বছর পর শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর করেছিল ২০০১ এ।
রাজনৈতিক দল হিসেবে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে আওয়ামীলীগ বাংলাদেশের জন্ম দিয়েছে,এবং আজকের দিন এপর্যন্ত আওয়ামীলীগই মুক্তিযুদ্ধকে বুকে ধারন করে। এটা ৫৫ বছর পর আবারও প্রমানিত।

রাজনীতিতে আওয়ামীলীগ ফেরেস্তা না,তাদেরও ভুল ত্রুটি আছে,
কিন্তুু স্বাধীনতার পর এই ৫৫ বছরের ইতিহসে বাংলাদেশে এ জাবৎ যা কিছু অর্জন হয়েছিল এটা একমাত্র, হ্যা একমাত্র আওয়ামী লীগের হাত ধরেই হয়েছে।

১৪ ই নভেম্বর, ২০২৫ রাত ৮:১৪

শ্রাবণধারা বলেছেন: আপনার মন্তব্যের বাক্যগুলোকে present tense থেকে past tense এ পরিবর্তন করলে, অনেকগুলো কথার সাথেই আমি একমত হব। কিন্তু বাস্তবতা হলো, বিগত ১৬ বছরে হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ একটি স্বৈরাচারী, জনবিচ্ছিন্ন, দানবীয় ডাকাত-লুটেরা ও চাটুকারদের দলে পরিণত হয়েছিল।

আপাতত আওয়ামী লীগের কাজ হলো আয়নায় নিজের মুখ দেখার চেষ্টা করা। জানি, আপনাদের জন্য এটা খুবই কঠিন কাজ! :)

৫| ১৪ ই নভেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:৩৫

বিষন্ন পথিক বলেছেন: যে কেউ চাকরি করলে যত ছোট আর বড় চাকরি করুক, সাধারণত বলে "আমার কোম্পানি " এতে কি সে কোম্পানির মালিক হয়ে যায়? এখনকার শাসন নিয়ে কিছু বলুন, নাকি দেশে এসে শান্তিনিকেতন খুঁজছেন?

১৪ ই নভেম্বর, ২০২৫ রাত ৮:১৮

শ্রাবণধারা বলেছেন: হা হা ধন্যবাদ! :)

"আমার কোম্পানি", এমনটি বলে - এটা সঠিক, তবে কোম্পানির টাকাকে কেউ "আমার টাকা" এমনটি বলে না। অবশ্য আপনারা বলে থাকতে পারেন। হাজার হলেও আপনাদেরই টাকাতো!!! :)

৬| ১৪ ই নভেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:৫৬

নতুন বলেছেন: হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
আওয়ামী লীগ বাংলাদেশের একমাত্র নিয়মতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল।


হাকা ভাই আয়ামীলীগই নিয়মতান্ত্রিক ভাবেই নির্বাচন করে ক্ষমতায় ছিলো। B-)) ( এটা একটা জোকস, আয়ামীলীগের অল্প কিছু অন্ধ ভক্ত ছাড়া বাকী সবাই মজা পাবে)

১৪ ই নভেম্বর, ২০২৫ রাত ৮:৫৯

শ্রাবণধারা বলেছেন: Train to Pakistan-এর লেখক খুশবন্ত সিং একটি জোকসের বই লিখেছিলেন, যেটা খুবই জনপ্রিয় হয়েছিল।

হাকা ভাইয়েরও আওয়ামী লীগকে নিয়ে একটি জোকসের বই লেখার সময় হয়ে গেছে বলে আমার মনে হয়। গত কয়েক বছরে ব্লগে তার মন্তব্যগুলো সামান্য অদলবদল করলেই সিং-এর মতো একটি কৌতুকের বই দাঁড়িয়ে যাবে!

৭| ১৪ ই নভেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:০৬

আমি নই বলেছেন: বার বার নতুন মোড়কে পুরাতন পন্য দেখে হতাশ হয়ে যাচ্ছি। বিএনপির নেতাদের কথা লীগের নেতাদের মতই মনে হচ্ছে আর জামাত ক্ষমতায় যেতে পারবেনা।

@হাসান কালবৈশাখী, আপনি অন্ধ মুরিদ, যে কোনো রাজনৈতিক দলের অন্ধ মুরিদরা দেশের শত্রু, কারন তারা দলের অপকর্ম খুজে পায় না। আপনার কাছে একটা প্রশ্ন, এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের অর্থনিতির মুল দুই শক্তি পোশাক রপ্তানি (এরশাদ) আর মানব সম্পদ রপ্তানি (জিয়া) এই দুইটার একটাও আওয়ামীলীগের হাত ধরে হয় নাই। আজকেই এই দুইটা খাত বন্ধ হরে কালকেই ভিক্ষা শুরু করতে হবে, এর চাইতেও বড় অর্জন আর কি আছে??

@বিষন্ন পথিক, আমার কোম্পানি বললেও তার আচরনে কখনই প্রকাশ পায় না সে মালিক।

১৪ ই নভেম্বর, ২০২৫ রাত ১০:৪৮

শ্রাবণধারা বলেছেন: জনগণের ভোটে জামায়াত ক্ষমতায় যেতে পারবে না, এটা সত্যি। তবে তাদের নেতা-কর্মীদের অনেকেই নাকি জ্বিনের সর্দার-এমনটাও শুনে থাকি। কে জানে, জ্বিন-পরীদের নিয়ে তারা আবার আওয়ামী লীগের শেখানো রাস্তায় রাতের অন্ধকারে ব্যালট ভরার ফন্দি আঁটছে কি না!

ফন্দি-ফিকিরের পাশাপাশি জামাতের লোকদের বিনয় আমাকে মুগ্ধ করে। ক্ষমতায় যাওয়ার পরেও হয়ত তারা বলবে, আমরা ক্ষমতায় নই, আসলে বিএনপিই ক্ষমতায়! :)

৮| ১৪ ই নভেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:১১

নতুন নকিব বলেছেন:



ফ্যাসিবাদ আর নয়।

১৪ ই নভেম্বর, ২০২৫ রাত ১০:৪৯

শ্রাবণধারা বলেছেন: ধন্যবাদ। যে কোন ফ্যাসিবাদকেই রূখে দিতে হবে!

৯| ১৪ ই নভেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৫:১০

জেনারেশন একাত্তর বলেছেন:



আপনি ২০ কোটীর মাঝে ১ জন, যিনি মিলিটারীর ( জিয়া, এরশাদ, বেগম জিয়া ও ইউনুসের ) সাগরেদ, থাকেন কানাডায়, কোনদিন চাকুরীও করেননি। দেখা যাক, আপনার চাওয়া-পাওয়ার বিষয়টি কিভাবে কানাডিয়ান সরকার পুরণ করে!

১৪ ই নভেম্বর, ২০২৫ রাত ১১:০৩

শ্রাবণধারা বলেছেন: আমার এই পোস্টের কোন লাইনটা পড়ে আপনার মনে হলো আমি মিলিটারি (জিয়া, এরশাদ, বেগম জিয়া ও ইউনুসের) সাগরেদ? সাগরেদ হওয়ার জন্য আপনার লেভেলের বুদ্ধিবৃত্তি থাকতে হয়, আমার সেটা নয়!

জেনারেশন একাত্তর বলেছেন: “থাকেন কানাডায়, কোনদিন চাকরিও করেননি।”

আপনার জীবনের ক্যারিয়ারসংক্রান্ত হতাশার কিছুটা আমি বুঝতে পারি। আপনার সময়ে যারা আমেরিকায় পড়তে গিয়েছিলেন, আপনি পেশাগত জীবনে তাদের মতো সফল হতে পারেননি। তাই বলে আপনার পেশাগত জীবনের হতাশার সেই অন্ধকার, অন্যের দিকে অর্বাচীনের মত ছুড়ে দেওয়াটা কি ঠিক?

১০| ১৪ ই নভেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:২৯

বিষক্ষয়রিটার্নস বলেছেন: নাৎসি পার্টির খুনিদের মতো খুনি হাসিনা এবং গনহত্যাকারি দল আওয়ামি লীগের খুনিদের বিচার এবং প্রকাশ্য ফাসি চাই।

১৪ ই নভেম্বর, ২০২৫ রাত ১১:০৬

শ্রাবণধারা বলেছেন: হ্যা, আওয়ামী লীগের খুনি, লুটেরা এবং হেলমেট-হাতুড়ি ওয়ালাদের সঠিক বিচার এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হোক।

১১| ১৪ ই নভেম্বর, ২০২৫ রাত ৮:৩৯

কিরকুট বলেছেন: এই রাষ্ট্রের আকাশে কোন শকুনের ছায়া চাই না।

১৪ ই নভেম্বর, ২০২৫ রাত ১১:০৭

শ্রাবণধারা বলেছেন: শকুনের ছায়া শুধু নয়, রীতিমতো শকুনের ওড়াউড়িও দেখতে পাচ্ছি।

১২| ১৪ ই নভেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:২০

কামাল১৮ বলেছেন: জনগনের চাওয়াই শেষ কথা।

১৪ ই নভেম্বর, ২০২৫ রাত ১১:০৮

শ্রাবণধারা বলেছেন: ধন্যবাদ। মনে হচ্ছে, অনেকদিন পড়ে একটা ভালো কথা বললেন!

১৩| ১৪ ই নভেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:৫৭

কলিমুদ্দি দফাদার বলেছেন:
এয়ারপোর্ট, নৌবন্দরের মতো একটি দেশের শাসনতন্ত্র, প্রসাশন উন্নত কোন দেশের কাছে লিজ বা পরিচালনা করার কোন পদ্ধতি বের করা যায় না? ধরেন জাস্টিন টুরডো বা জাপান এসে দেশ পরিচালনা করবে। এদেশের কোন‌ রাজনৈতিক দল কে তো আর বিশ্বাস বা পারবে বলে মনে হচ্ছে না?

১৪ ই নভেম্বর, ২০২৫ রাত ১১:২৬

শ্রাবণধারা বলেছেন: হা হা ধন্যবাদ। একদম কলিমুদ্দি দফাদারের মতোই রসালো মন্তব্য!

আধুনিক ঔপনিবেশিক শক্তি দেশ পরিচালনার মতো দুরূহ কাজে আগ্রহী নয়। তাদের দরকার অন্যদেশের সম্পদ এবং সম্পদ পাচারের রাউটের উপর নিয়ন্ত্রণ। আপনি দেখবেন, কোল্ড ওয়ারের পরে আমেরিকা তাদের সামরিক বেসগুলো এবং ন্যাটোকে ব্যবহার করে এই কাজটাই করে আসছে। আগস্ট ২০২৪ আন্দোলন-পরবর্তী সরকার নিজেদের নিরাপত্তার বিনিময়ে তাই নৌবন্দর লিজ দেওয়ার জন্য এত উৎগ্রীব। জনগণের ক্ষমতার উপর তাদের ক্ষমতার ভিত্তি নয়, ভিত্তিটা চলে গেছে পরাশক্তির হাতে।

১৪| ১৪ ই নভেম্বর, ২০২৫ রাত ১১:৪৩

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন: @ নতুন: আওয়ামী লীগ অবশ্যই দেশের একমাত্র নিয়মতান্ত্রিক পরিপূর্ণ রাজনৈতিক দল।
আওয়ামী লীগ নির্বাচনে কারচুপি করেনি, একতরফা নির্বাচনে আবার কারচুপি করা লাগে নাকি?
আর আওয়ামী লীগ একতরফা নির্বাচন করেছে সেটাও মিথ্যা। কারণ অনেক চেষ্টা ছিল আহ্বান ছিল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার জন্য সব দলের প্রতি, নির্বাচনের আগে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সহ গুরুত্বপূর্ণ চারজন মন্ত্রী নিয়োগ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি ছিল নির্বাচনের সময়কালে। এরপরেও বিএনপি জামাত আসেনি। লিটারেলি আওয়ামী লীগের নির্বাচনগুলো একতরফা নির্বাচন বলা যায় না কোন ভাবেই।
কারণ বিএনপি-জামাত চায় আওয়ামী লীগ বাদে নিজেরা নির্বাচন করবে। এই চেষ্টা করেছে পুরো 18 টি বছর হাসিনা হত্যা প্রচেষ্টা করে। এরপর বিদেশি প্রভুদের মাধ্যমে সেনাপ্রধান কে হাত করে ৪% ভোটের জামাত ক্ষমতা দখল করেছে। এরপর আওয়ামী লীগকে বিতাড়িত করে নিজেরা নিজেরা নির্বাচন করবে। এটাই নাকি সর্বদলীয় নিরপেক্ষ নির্বাচন।
এরপরেও তারা জিতবে না এই আতঙ্কে চুনোপটি দল জাতীয় পার্টি কেও নিষিদ্ধ করল। হাসবো?
যারা সামান্য চুনোপুঁটির জাতীয় পার্টিকে ভয় পায় এরা নাকি নতুন সাহেবের কাছে বিশাল জনপ্রিয় দল।
এখন চার পার্সেন্ট ভোটের জামাত বিএনপিকে মূলা দেখিয়ে ফলাফল কারচুপি করে ক্ষমতা দখল করবে। কেউটু শব্দ করবে না বিএনপিও না।
যেমন তার নীলক্ষেত ব্যালটের ডাকসু নির্বাচনে ফলাফল ছিনিয়ে নেওয়ার পরেও বিএনপি একটা প্রতিবাদ মিছিলও করতে পারেনি। পারবেও না কারণ নতুনদের মত দেশে অনেক নতুন নতুন আছে।

১৫ ই নভেম্বর, ২০২৫ ভোর ৪:২৮

শ্রাবণধারা বলেছেন: @ হাসান কালবৈশাখী বলেছেন: আওয়ামী লীগ নির্বাচনে কারচুপি করেনি, একতরফা নির্বাচনে আবার কারচুপি করা লাগে নাকি?
আর আওয়ামী লীগ একতরফা নির্বাচন করেছে সেটাও মিথ্যা।

গরম মাথা ঠাণ্ডা করতে হবে তো! "আওয়ামী লীগ একতরফা নির্বাচন করেছে" এটা মিথ্যা হলে, আপনাকে, "আওয়ামী লীগ নির্বাচনে কারচুপি করেনি" এটা প্রমাণ করতে হবে। এটা না করে, উল্টো করে "আওয়ামী লীগ একতরফা নির্বাচন করেছে" এটা সত্য হলে "একতরফা নির্বাচনে আবার কারচুপি করা লাগে নাকি" এটা বললে তো বাঙলা ভাষা এবং যুক্তিবিদ্যাকে ধর্ষণ করা হয়ে যায়।

১৫| ১৫ ই নভেম্বর, ২০২৫ রাত ২:০৫

স্বকীয়তা বলেছেন: মুসোলিনির সাথে হাসিনার পরিণতি প্রায় পুরোপুরিই মিলে যাচ্ছে। হিটলারের জায়গায় মোদি।

১৫ ই নভেম্বর, ২০২৫ ভোর ৪:৩১

শ্রাবণধারা বলেছেন: তুলনাটা কতদূর যথার্থ, আমি সেটা নিশ্চিৎ নই, তবে এটা যদি আপনার ঘৃণা প্রকাশ হয়ে থাকে তাহলে হয়তবা ঠিকই আছে।

১৬| ১৫ ই নভেম্বর, ২০২৫ রাত ২:৫৯

ক্লোন রাফা বলেছেন: রাজাকার আলবদর চান কি না চান সেটার কোনো প্রমাণ আপনারা আধ‍্যাবদি দিতে পারেন নাই। আওয়ামী লীগ চান নাই সেটা আপনাদের রক্তের ডি,এন, এ টেস্টে প্রমাণ হয়ে গেছে। তাহলে দেশে আছে এখন রাজাকারের তোষণ করা একটি ক্লাব। তারা নিজেরা দাবি করে তারা একই মায়ের পেটের সন্তান।আবার এরাই বলে এরা নাকি মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি। আর আছে মৌলবাদী অপশক্তি/ এবং জঙ্গিবাদ অপশক্তির জোট।
এখন বলুন আপনার দল কোনটি? নাকি সুদী মহাজন ঔপনিবেশিক অপশক্তির দালাল এনজিওদের পক্ষে আপনার অবস্থান।
নাকি বিকল্প কোনো দলের সঙ্গে হাত আছে আপনার, সেটা উত্তর পাড়ার ⁉️

১৫ ই নভেম্বর, ২০২৫ ভোর ৪:৪৭

শ্রাবণধারা বলেছেন: আপনার কথার কোনো সারবত্তাই আমি খুঁজে পেলাম না। পোস্টের কোন পয়েন্টে আপনার দ্বিমত থাকলে সেটি উল্লেখ করুন।

আপনি হয়তো বলতে চাচ্ছেন, রাজাকার-আলবদর না হওয়া মানেই হাসিনার গুণগ্রাহী বা হেলমেট-হাতুড়িদের দোসর হওয়া। এই দুইয়ের বাইরে আর কোনো দল বা মত থাকতে পারে না। এর বাইরেও যে মত আছে, তার প্রমাণই তো আমার এই পোস্ট। এখনে আপনি কীসের ডিএনএ টেস্টের কথা বলছেন? আপনি খুবই অপ্রাসঙ্গিক আলাপে আটকা পড়েছেন - এটা ভেবে দেখেছেন কি?

১৭| ১৫ ই নভেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০০

রাজীব নুর বলেছেন: আওয়ামীলীগ মন্দের ভালো হলেও ভালো।
তাদের চেয়ে ভালো দেশে আর কে আছে? বিএনপি? বিএনপি উন্নয়ন বুঝে না। আর জামাত? জামাত ক্ষমতায় এলে দেশ হবে আফগানিস্তান।

১৬ ই নভেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:১৭

শ্রাবণধারা বলেছেন: স্বাধীনতার আগে নাকি পরে? না মানে আপনার এই কথাগুলো পাস্ট টেন্সে ৭১ সাল বা তার আগের হলে ঠিক আছে।
ফিতা আটকিয়ে গেলে তো মুশকিল!

১৮| ১৬ ই নভেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:৪৬

সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: বহুদিন পর গোয়েবলসকে দেখে দারুণ মজা লাগছে। :D

১৬ ই নভেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:২৬

শ্রাবণধারা বলেছেন: হা হা, ঠিক আছে মজা নেন! :)

আপনি যদি সরকারি দপ্তর থেকে হাকা ভাইয়ের মতো এখন নিয়োগ পান, তাহলে আমাদের মিষ্টি খাওয়াতে ভুলবেন না যেন!

১৯| ১৬ ই নভেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:০৯

অপু তানভীর বলেছেন: দুই দলের ঠিকই মনভাব। তাদের আকাম কুকামের কথা কইলেই এরা চোখ বন্ধ করে অন্য দলে ফেলে দেয়। এদের সাথে তর্ক করা মানে নিজের সময় সব থেকে বেহুদা কাজে নষ্ট করা। আপনার ধৈর্য দেখে আমি মাঝে মাঝে অবাক না হয়ে পারি না।

হাকার মন্তব্য দেখে আমি না হেসে পারলাম না। এই একই মন্তব্য সে আরও কয়েক জায়গায় পোস্ট করেছে। সম্ভবত তার ডক ফাইলে এই রকম মন্তব্য আগে থেকেই লেখা থাকে সব সময়। সেখান থেকে এনে পোস্ট পোস্টে কপি পেস্ট করে। আপনি এদের সাথে কী যুক্তি দিয়ে তর্ক করবেন বলেন!

১৬ ই নভেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:৪৪

শ্রাবণধারা বলেছেন: রাজনৈতিক এই মেরুকরণটা কিন্তু খুবই ইন্টারেস্টিং বিষয়। হয় আওয়ামী লীগ, নয় জামাত- মাঝারি কোনো জায়গা নেই। ক্ষমতা কুক্ষিগত করার সমীকরন হিসেবে এক্সট্রিমিস্টের জন্য এই মেরুকরণ খুব সুবিধাজনক।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.