নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

...............

শ্রাবণধারা

" আমাদের মতো প্রতিভাহীন লোক ঘরে বসিয়া নানারূপ কল্পনা করে, অবশেষে কার্যক্ষেত্রে নামিয়া ঘাড়ে লাঙল বহিয়া পশ্চাৎ হইতে ল্যাজমলা খাইয়া নতশিরে সহিষ্ণুভাবে প্রাত্যহিক মাটি-ভাঙার কাজ করিয়া সন্ধ্যাবেলায় এক-পেট জাবনা খাইতে পাইলেই সন্তুষ্ট থাকে......."

শ্রাবণধারা › বিস্তারিত পোস্টঃ

যে বয়ান ঘিরে জামাতের রাজনীতি: "মুক্তিযুদ্ধ হল ভারতের ষড়যন্ত্র" আর "যুদ্ধাপরাধীরা হল ইসলামের সৈনিক"

২০ শে নভেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:০০



ধানমণ্ডি ৩২ নম্বর আবার ভাঙতে যাবার অর্থ হলো, জামাত ও মৌলবাদীদের প্রতিপক্ষ হাসিনা, হাসিনার স্বৈরশাসন বা আওয়ামী লীগের গুম-খুন-লুটপাট নয়। তাদের প্রকৃত প্রতিপক্ষ মুক্তিযুদ্ধ ও বাঙলা সংস্কৃতি। বাঙালি জাতির যে আত্মঅন্বেষণ ও সাংস্কৃতিক চেতনার উদ্ভাসন মুক্তিযুদ্ধে ঘটেছিল, সেই জায়গাটাই জামাতের বিরোধের মূল কেন্দ্র।

স্বাধীনতার ৫৪ বছর পরে স্বাধীনতা-বিরোধী শক্তিগুলো বাংলাদেশের রাজনীতিতে যতটা সক্রিয় হয়েছে, অতীতে এমনটা দেখা যায়নি। জুলাই আন্দোলনে ছাত্রদের পাশাপাশি সমাজের সর্বস্তরের মানুষ - রিকশাচালক, গার্মেন্টস কর্মী, দিনমজুর, হকারসহ খেটে-খাওয়া মানুষ ছিলেন একেবারে সম্মুখসারিতে। রক্ত ও জীবন দিয়ে প্রথম মূল্য তারাই দিয়েছেন। কিন্তু হাসিনার পলায়নের পর সকল প্রকার আলোচনা থেকে প্রথমে তাদেরই বাদ দেওয়া হলো। হাসিনার পতনের সাথে সাথে আওয়ামী এলিটেরা পালালে জামাতের এলিটেরা ক্ষমতা দখল করলেন।

শুরু হলো বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজ ভবনের নাম পরিবর্তনের জোয়ার। ড. কুদরৎ ই খুদা ভবনের নাম বদলে রাখা হলো জাবির ইবনে হাইয়ান। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে সত্যেন্দ্রনাথ বসু, জগদীশ চন্দ্র বসু ও জীবনানন্দ দাশের নাম মুছে ফেলা হলো। আদর্শিক শক্তির প্রথম আঘাত পড়লো বাঙালি সংস্কৃতি এবং সেক্যুলার রাষ্ট্রচিন্তার ওপর।

জামাতের আমীর নেমে পড়লেন মেয়েদের পেছনে। কখনো তিনি মেয়েদের কর্মঘণ্টা কমানোর কথা বলেন, কখনো ঘরে থাকার জন্য ভাতা দেওয়ার প্রস্তাব দেন। তার কথাবার্তা শুনলে মনে হয়, তিনি নতুন করে দাসপ্রথা চালু করতে চান এবং নারীদের দাসী হিসেবে সমাজে প্রতিষ্ঠা দিতে চান। ভারতে যেমন দলিতদের ওপর নিপীড়ন চলে, মোল্লাতন্ত্রে তেমনভাবে নারীদের দাসী করে রাখার প্রথা। এসব অসলগ্ন কথার আড়ালে তিনি আসলে শরিয়া আইন প্রতিষ্ঠার লিটমাস টেস্ট নিচ্ছেন। যার ফলফল সবসময়ই নারীর মুখে কালি মেখে দেয়া।

জামাত যদি ক্ষমতায় আসে, সমস্যা কী? সমস্যা হল, জামাত ধর্মভিত্তিক, জঙ্গিবাদী, বর্ণবাদী ও নারী-বিদ্বেষী রাজনীতি করে। তাদের ভিত্তি দাঁড়িয়ে আছে বর্ণবাদ, ধর্মীয় গোড়ামি, কুসংস্কার ও মিথ্যাচারের ওপর। যেমন জায়নবাদের বিশ্বাস, ইহুদিরা শ্রেষ্ঠ জাতি, হিন্দুত্ববাদী আরএসএসরা উচ্চবর্ণবাদী, কিংবা নাজিদের আর্য শ্রেষ্ঠত্বের মতই জামাতের রাজনীতিও একই ধরনের মুসলমানী শ্রেষ্ঠত্ববাদী ধারণার প্রতিফলন।

পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী যেমন বাঙালি সংস্কৃতিকে ঘৃণা করত, জামাতও একই মনোভাব বহন করে। ফলে তাদের সমস্ত কার্যক্রমই মূলত মুক্তিযুদ্ধ এবং বাঙালি সংস্কৃতির বিরুদ্ধে যুদ্ধ। জামাতের রাজনৈতিক কাঠামো পাকিস্তানি সামরিক ও অভিজাত শ্রেণির উত্তরাধিকারে ও পৃষ্ঠপোষকতায় বিকশিত। এটি বাঙালি হিন্দু- মুসলিম, বৌদ্ধ- খ্রিষ্টান-আদিবাসীদের রাজনীতি নয়। মানুষের অধিকার নয়, মানুষের ওপর চাপিয়ে দেওয়া ধারণাই এখানে মুখ্য। তাই হত্যা, নিপীড়ন ও দমন-পীড়ন এদের রাজনীতির কেন্দ্র।

মোতাহের হোসেন চৌধুরী তাঁর "সংস্কৃতি-কথা" প্রবন্ধে লিখেছিলেন: ধর্ম সাধারণ লোকের কালচার, আর কালচার শিক্ষিত, মার্জিত লোকের ধর্ম… কালচার মানে উন্নততর জীবন সম্বন্ধে চেতনা… বাইরের আদেশ নয়, ভেতরের সূক্ষ্মচেতনাই তাদের চালক।

দেখার বিষয়, বাংলাদেশে মননশীল ও উন্নত চরিত্রের বাঙালি সংস্কৃতির জয় হয়, নাকি রাজাকার-জঙ্গি-বর্ণবাদীদের ধর্মের নামে বানানো অধর্মের জয় হয়।

মন্তব্য ৩৮ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (৩৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে নভেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:৪৮

অপু তানভীর বলেছেন: বাংলাদেশের ভোটের রাজনীতিতে কে জয়ী হবে এটা নির্ভর করে পাবলিক কোন পক্ষের উপর বেশি ক্ষ্যাপা তার উপর । এখানে ধর্মীয় চেতনা, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, জুলাই চেতনা বা অন্য যে কোনো পক্ষে কারা আছে সেটার থেকে পাবলিকের কার উপরে বেশি রাগ, কার উপরে বেশি অসন্তুষ্ট সেটার উপর নির্ভর করে।

জামাতের আসলে ভোটে জয়ী হওয়ার সম্ভবনা নেই। এই টুকু বলতে পারি অনলাইনে তাদের ভাব চক্ষর দেখে মনে হতে পারে যে পুরো দেশ বুঝি তাদের পক্ষে। বাস্তবে মাঠের চিত্র অন্য। আমাদের এলাকাতে জামাত প্রার্থী কে কেউ চেনেই না। বেশির ভাগ অঞ্চলেই দেখবেন এই একই অবস্থা। বড় বড় জায়গাতে তাদের কর্যক্রম রয়েছে। কিন্তু ৩০০ আসলের তুলানায় সেই সংখ্যা অল্প। তবে এটা সত্য যে আগের থেকে তারা সিট বেশি পাবে।

২১ শে নভেম্বর, ২০২৫ ভোর ৪:১৩

শ্রাবণধারা বলেছেন: আপনার ধারণা সঠিক বলেই মনে করি। আমাদের ভোটের মনস্তত্ত্ব মূলত Process of elimination দ্বারা নির্ধারিত। তবে এই মনস্তত্ত্বকে কখনও কখনও কৃত্রিম লোভ দেখিয়ে, ঘৃণা বা ভয় দেখিয়ে খুব খারাপভাবে প্রভাবিত করা যায়।

এখানেই জামাতের রাজনীতি অন্য দলগুলোর চেয়ে এগিয়ে আছে। আর এটাই আমার উদ্বেগ।

২| ২০ শে নভেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:৪৯

অপু তানভীর বলেছেন: আপনার কাছে আমার একটা ব্যাপার জানার আছে? আপনি মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বলতে মূলত কী কী ব্যাপার বোঝেন?

২১ শে নভেম্বর, ২০২৫ ভোর ৪:৪১

শ্রাবণধারা বলেছেন: আওয়ামী লীগ মুক্তিযুদ্ধের চেতনা কথাটিকে একেবারে পচিয়ে ফেলেছে। চেতনা মানে সচেতনতা। যেখানে মনের আলো পড়েছে এবং বিষয়টি নিজের করে অনুভব করেছি। আমি এই পোস্টে ‘সাংস্কৃতিক চেতনা’র কথা উল্লেখ করেছি।

মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বা আদর্শ বলতে যেটা মনে হয় সেটা হল: মুক্তিযুদ্ধ অর্থনৈতিক মুক্তির সংগ্রাম। মুক্তিযুদ্ধ মুক্তির জন্য, অসাম্প্রদায়িক, বৈষম্যহীন বাংলাদেশের জন্য যুদ্ধ। মুক্তিযুদ্ধ আমাদের সাংস্কৃতিকভাবে স্বতন্ত্র হওয়ার সংগ্রাম। যারা আমাদের সংস্কৃতিকে অবজ্ঞা করেছিল, তাদের আমরা জবাব দিয়েছিলাম। মুক্তিযুদ্ধ প্রগতিশীল। ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে আমরা এক হয়েছিলাম।লক্ষ্য ছিল এমন এক দেশের যেখানে ধর্ম, জাত-পাত, শ্রেণির ঊর্ধ্বে সকল নাগরিকের সমান মর্যাদা থাকবে।

৩| ২০ শে নভেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:৫৩

কলাবাগান১ বলেছেন: পাকিস্হানী এক হুজুর কে দেখলাম হেলিকপ্টার এ কোন শহরে এসেছেন বাংলাদেশে ওয়াজ করতে...ওফ যে লেভেলের সম্মর্ধনা ...একজন রাস্ট্রের প্রধান ও পান কিনা সন্দেহ। হাজার হাজার থেকে লাখ লাখ আবাল বৃদ্ধ মাদ্রাসার শিশু শিক্ষার্থী- জনতা ইসলামী পতাকা ঝান্ডায় উড়িয়ে মিছিল করছেন তার আগমনে। বড় দু:খ হল মানব জাতির এমন উন্মাদনা দেখে...আহ কি অপচয় মানব জাতির মনন এর...একজন সাইনটিস্ট/শিক্ষক এর কাছ থেকে কিছু জ্ঞান অর্জন করা যায় আর ওয়াজ শুনে জ্ঞান এর চেয়ে বেশী 'অজ্ঞান' ই শিখা হয়

২১ শে নভেম্বর, ২০২৫ ভোর ৪:৫০

শ্রাবণধারা বলেছেন: এখনও যে সুস্থ আছি এর একটি কারণ হলো এখনো খুব বেশি বাংলাদেশের খবর দেখি না। ছোটবেলায় মাঠে খেলতে গিয়ে যেভাবে কোনো প্রাণীর মল বালি দিয়ে ঢেকে রাখতাম, তেমনভাবেই এখন এইসব হুজুরের বয়ান, পিনাকি, ইলিয়াস ঢেকে রাখি।

আমাদের শিক্ষাব্যবস্থায় খুব বড় দুর্যোগ ঘটে গেছে। সময় গেলে সাধন হবে না - এই কথাটাই এখন বেশি করে মনে হয়। যারা শিক্ষিত হওয়ার, মানুষ হওয়ার কথা ছিল তারা হয়েছে, আমরা হতে পারিনি। আর সময় আছে বলে মনে হয় না।

৪| ২০ শে নভেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:৪৩

মাথা পাগলা বলেছেন: সবাই লীগের দোষ, নির্বাচন নিয়ে পড়ে আছে। কিন্তু ইউনুসের কর্মকান্ড নিয়ে কেউ প্রশ্ন তুলছে না। এই মুহুর্তে ইউনুস শাসনে বাংলাদেশ প্রতিদিনই এক বছর করে পিছোচ্ছে এই ব্যাপারটা বুঝলেই হবে। দোষ কার সেটা ঘাঁটাঘাঁটি না করে শুধু বর্তমান সমস্যাগুলোকে ফোকাস করে লেখার জন্য ধন্যবাদ।

২১ শে নভেম্বর, ২০২৫ ভোর ৪:৫৩

শ্রাবণধারা বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ। ড. ইউনূসকে আমি কিছু অন্যরকম ভেবেছিলাম। ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত অপেক্ষা করে দেখা যাক পরিস্থিতি কোন দিকে যায়।

৫| ২০ শে নভেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১:১৭

রাজীব নুর বলেছেন: আমি কোনো মন্তব্য করবো না। সময় খারাপ যাচ্ছে তাই।

২১ শে নভেম্বর, ২০২৫ ভোর ৪:৫৫

শ্রাবণধারা বলেছেন: এসেছেন যখন তখন মন্তব্য করেই যেতেন। খারাপ সময় এখনও আসেনি বলে আমার মনে হয়। তবে খারাপ সময় আসছে পারে, সেখানেই ভয়।

৬| ২০ শে নভেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:১৯

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: হুমমমমম.... কিন্তু আম পাবলিককে এসব বুঝাবে কে? ভালো মন্দ যাই হোক সেন্টিমেন্টাল আম জনতা এবার ধুমাইয়া জামাতকেই ভোট দেবে কারন তারা বিএনপির উপর বিরক্ত।

২১ শে নভেম্বর, ২০২৫ ভোর ৪:৫৮

শ্রাবণধারা বলেছেন: আমার মতে, সাধারণ মানুষকে আলাদাভাবে বোঝানোর প্রয়োজন নেই। শুধু মিথ্যা কথা দিয়ে, বেহেশতের লোভ দেখিয়ে, অকারণে জুজুর ভয় দেখিয়ে, অন্য ধর্মের মানুষ ও নারীর প্রতি ঘৃণা জাগিয়ে যেন প্রভাবিত করা না হয় - এইটুকুই যথেষ্ট।

৭| ২০ শে নভেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:৫৭

রাসেল বলেছেন: একাত্তরের মহান মুক্তিযোদ্ধারা কি ১৭৫৭ সালের পলাশী যুদ্ধের ব্রিটিশ দালালদের নিয়ে তর্ক যুদ্ধে ব্যস্ত ছিলেন ?

২১ শে নভেম্বর, ২০২৫ ভোর ৪:৫৯

শ্রাবণধারা বলেছেন: এখানে ঠিক তর্ক তো করিনি। জামাতের রাজনীতি সম্পর্কে আমার ধারনার কথা ব্যাখ্যা করেছি মাত্র।

৮| ২০ শে নভেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৫:৫১

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: দেখেন আপনারা যা ভালো মনে করেন ।

২১ শে নভেম্বর, ২০২৫ ভোর ৫:০০

শ্রাবণধারা বলেছেন: এটা কেমন মন্তব্য করলেন। আমি যেটা ভালো মনে করি সেটাতো লিখলাম, আপনি কি মনে করেন সেটা না লিখবেন!

৯| ২০ শে নভেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:২২

ঊণকৌটী বলেছেন: তাহলে তো এইটাই প্রমাণিত হচ্ছে 1971 এর যুদ্ধ ভারত আর পাকিস্তানের ছিলো 16 ডিসেম্বর আর বাংলাদেশের না |মানে বাংলাদেশটা উজ্জ মাত্র আসলে পূর্ব পাকিস্তান, আর যুদ্ধ টা সম্পূর্ণ ভারত পাকিস্তানের| বাংলাদেশ নাম টা ফালতু, 71 থেকে এই পূর্ব পাকিস্তান ভারতের দখলে ছিলো এখন পাকিস্তানের হাতে মানে স্বাধীনতা এদের কাছে সোনার পাথর বাটি |

২১ শে নভেম্বর, ২০২৫ ভোর ৫:০৬

শ্রাবণধারা বলেছেন: আমাদের মুক্তিযুদ্ধ ছিল আমাদেরই মুক্তির যুদ্ধ। ভারত ও পাকিস্তানের যুদ্ধ নয়।

ধর্মীয় অনুভূতিকে খুব নোংরা কৌশলে একটি ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দল কাজে লাগানোর চেষ্টা করছে। আপনাদের দেশে বিজেপি একই কাজ করেছে এবং সফল হয়েছে। আমাদের দেশে এখনো তারা সফল হতে পারেনি।

১০| ২০ শে নভেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:৫৮

ঊণকৌটী বলেছেন: মোটামুটি এইটা পরিষ্কার 1947/1971/2024 আগস্ট তিন বারের স্বাধীনতা পেয়েছে তো সত্য কোনটা? নাকি আরো স্বাধীনতার স্বাদ পাবে |

২১ শে নভেম্বর, ২০২৫ ভোর ৫:০৯

শ্রাবণধারা বলেছেন: আপনার প্রশ্নটি সম্ভবত প্রশ্ন নয়, উপহাসমূলক মন্তব্য। আপাতত উপেক্ষা করলাম।

১১| ২০ শে নভেম্বর, ২০২৫ রাত ১০:০৩

ঊণকৌটী বলেছেন: আপনারা নিশ্চয়ই তিন ছাগলের গল্প শুনেছেন,,দুই ছাগল দুধ খায় তিন নাম্বারটা নাচে, তবে নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন তিন নাম্বার টা কেডা |

২১ শে নভেম্বর, ২০২৫ ভোর ৫:১০

শ্রাবণধারা বলেছেন: আমি কিন্তু আমার পোস্টে কিছুটা হলেও শিক্ষিত ও সভ্য একজন ভারতীয়ের মন্তব্য আশা করেছিলাম।

১২| ২০ শে নভেম্বর, ২০২৫ রাত ১০:০৩

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: মন্তব্য পড়ে আরও হতাশ হবেন। তারচেয়ে ভালো সব এড়িয়ে নিজের মতো থাকার চেষ্টা করা। প্রবাসে আছেন যেহেতু নিরাপত্তার কোনো সমস্যা হয়তো নেই।

২১ শে নভেম্বর, ২০২৫ ভোর ৫:১৩

শ্রাবণধারা বলেছেন: ধন্যবাদ রূপক বিধৌত সাধু। তবে পরিস্থিতিটা এত খারাপ বলেই লিখছি। ভালো হলে আমি বরং গান শুনে বা গল্প-উপন্যাস পড়ে সময় কাটাতাম।

১৩| ২০ শে নভেম্বর, ২০২৫ রাত ১০:০৪

আমি নই বলেছেন: প্রথম মন্তব্যের সাথে একমত। খেটেখাওয়া মানুষরা ধর্মীয় চেতনা, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা এগুলা নিয়ে মাথা ঘামায় না। যাদের সংসার চলে দৈনিক ইনকামের উপর তাদের ঐসকল চেতনা নিয়ে ভাববার সময় নেই। যাদের ভাতের চিন্তা করতে হয় না ঐগুলো তাদের ভাবনা। যদি কোনো পক্ষ তাদের নিয়ে ভাবে তাহলে তারা সেই দিকেই যাবে, কোনো পক্ষ বিরক্ত করলে তাদের পক্ষে যাবে না এটাই সাভাবিক।

আমার মনে হয়না এবার জামাত ক্ষমতায় আসবে, কিন্তু তারা যদি খেটে খাওয়া মানুষকে গুরুত্ব দেয় তাহলে ভবিস্যতে হয়ত তারাই বড় দাবীদার হয়ে যাবে।

২১ শে নভেম্বর, ২০২৫ ভোর ৫:১৯

শ্রাবণধারা বলেছেন: আপনি জানেন কি না জানি না, মুক্তিযুদ্ধে কিন্তু একেবারে খেটে-খাওয়া মানুষেরাই সবচেয়ে বেশি অংশ নিয়েছিলেন।

আর আমার এই পোস্টটি ধর্মীয় চেতনা বা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা নিয়ে নয়। এটি সম্পূর্ণভাবে জামাতের রাজনৈতিক বয়ান নিয়ে। আমাদের দেশের মানুষেরা এই বিষয়টি নিয়ে সচেতন না হতে পারেন, কিন্তু তাদের মনের গভীরে এই কথাগুলো কিন্তু আছে।

লেখক হিসেবে আমার কাজ গণমানুষের মনের ভেতরের কথাগুলোকেই ধ্বনিত করা।

১৪| ২০ শে নভেম্বর, ২০২৫ রাত ১০:১৬

ঊণকৌটী বলেছেন: আরে একটা দেশের মানুষ যখন শিক্ষিত হয় সে ভালো মন্দ বিচার করতে পারে কিন্তু একটা অশিক্ষিত মাদ্রাসা শিক্ষিত জাতি নিজেরা নিজেদের কপাল পুড়েছেন মোটামুটি 90% জাতী নিজের দেশের ভালো মন্দা বোঝেনা যাই হোক সমস্যা টা আপনাদের |

২১ শে নভেম্বর, ২০২৫ ভোর ৫:২১

শ্রাবণধারা বলেছেন: হ্যা, সমস্যাটা একান্তই আমাদেরই। আপনার উদ্বেগের জায়গা কোথায়? হাসিনার অসম চুক্তিগুলোর খুব বেশি তো বাতিল হয়নি!

১৫| ২১ শে নভেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:২৯

ঊণকৌটী বলেছেন: হাসিনার অসম চুক্তিগুলোর খুব বেশি তো বাতিল হয়নি! কিন্তু অসম চুক্তি দেখা যাচ্ছে ভারতেই বাতিল করছে ইউনুস সরকার তো একটাও বাতিল করলো না,কোনটা সত্য আর কোনটা মিথ্যে সেটাই তো মাথায় ঢুকে না |

২২ শে নভেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:১৬

শ্রাবণধারা বলেছেন: ধন্যবাদ। ভারতেরই বাতিল করার কথা - বাংলাদেশ ছোট দেশ, অর্থনৈতিক ভাবে ভারতের সমকক্ষ নয়।

আপনি হয়ত এটাই শুনতে চাচ্ছিলেন! এখন আসুন!

১৬| ২১ শে নভেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:৪৭

রাজীব নুর বলেছেন: পোষ্টে আবার এলাম। কে কি মন্তব্য করেছেন সেটা জানতে।

২২ শে নভেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:১৭

শ্রাবণধারা বলেছেন: ধন্যবাদ!

১৭| ২১ শে নভেম্বর, ২০২৫ রাত ১০:৪২

অপু তানভীর বলেছেন: আপনিও দেখি সবার মত আসল কথাটাই লিখলেন না। যদি সত্তরের নির্বাচনের ফল মেনে নিয়ে ইয়াহিয়া শেখ মুজিবের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করতো তবে কি একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধ হত বা হওয়ার দরকার পরতো? মুক্তিযুদ্ধ হওয়ার পেছনে প্রধান কারণই ছিল পাক আর্মি কর্তৃক বাঙালির গনতান্ত্রিক অধিকার হরণ। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় গনতন্ত্র সবার আগে।

২২ শে নভেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:১৮

শ্রাবণধারা বলেছেন: ধন্যবাদ অপু তানভীর। "মুক্তিযুদ্ধ হওয়ার পেছনে প্রধান কারণ কী" - এটা কিন্তু একটা ভিন্ন প্রশ্ন বলে আমি মনে করি, যেটার ব্যাখ্যা ইতিহাসের বিশেষ কিছু ঘটনা দিয়ে দেওয়া সম্ভব। তার প্রধানটি "পাক আর্মি কর্তৃক বাঙালির গণতান্ত্রিক অধিকার হরণ", যেটা আপনি উল্লেখ করেছেন।

কিন্তু মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ বা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার প্রশ্নটি আমার কাছে ভিন্ন বলে মনে হয়, এবং তার ব্যাখ্যায় কারণেরও কারণ বা একটা বিস্তৃত এবং ব্যাপক কারনের দিকে যেতে হয়। যেমন ধরুন, "দেশভাগ" সে ধরনের একটি কারণ। সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের বাবা নাকি বলতেন, ৪৭-এ দেশ স্বাধীন হলো, আর আমরা দেশ হারালাম। কিন্তু সে যাক। সে অনেক কথা, আর কথার পরে কথা... কি দরকার!

১৮| ২৪ শে নভেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:২৪

অপু তানভীর বলেছেন: আপনি এবার যদি ব্লগের হাকাকে জিজ্ঞেস করেন তখন দেখবেন যে তারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বলতে বোঝে আওয়ামীলীগকে ক্ষমতায়। আওয়ামীলীগ যা করে তাই তাদের কাছে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা। কদিন আগে প্রাথমিকে গানের শিক্ষক নিয়োগের ব্যাপারে একজনের পোস্টে যুক্তিতর্কের ভেতরে তিনি বললেন যে মুক্তিযুদ্ধের সময়ে যেহেতু দেশাত্ববোধক গান আমাদের উৎসাহ দিয়েছে প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ না দেওয়াটা হচ্ছে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিরোধী। আপনি এভাবে নিজের পছন্দমত সব বিষয়ের সাথে চেতনা যুক্ত করে দিয়ে সুবিধা নিতে পারবেন। বিগত ১৫ বছর এই হয়েছে। যে যার মত পছন্দের বিষয়কে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার নাম দিয়েছে। সব কিছু জায়েজ হয়ে গেছে।
আওয়ামীলীগের দশ বছরের অবৈধ শাসনও এই চেতনার দোহাই দিয়ে বৈধ করা হয়েছে । চেতনাকে সবার উপরে স্থান দিয়ে দেশ শাসনের বিপদ টের পাচ্ছেন কি?

২৪ শে নভেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:১৪

শ্রাবণধারা বলেছেন: অপু তানভীর বলেছেন: আওয়ামীলীগের দশ বছরের অবৈধ শাসনও এই চেতনার দোহাই দিয়ে বৈধ করা হয়েছে ।

"মুক্তিযুদ্ধের চেতনা" কথাটি আমি একারণে সচেতনভাবে এড়িয়ে গেছি। আমার ধারণা, এই "চেতনা" তারা আমজনতার কাছে বিক্রি করলেও, তাদের ক্ষমতার মূল চাবিকাঠি ছিল টাকা। আরও স্পষ্টভাবে বললে অবৈধ টাকা। আওয়ামী লীগ একটা ব্ল্যাক মার্কেট ইকোনমি সৃষ্টি করতে সক্ষম হয়েছিল।

খুবই ইন্টারেস্টিংলি, এই ব্ল্যাক মার্কেট ইকোনমির বাই-প্রোডাক্ট হচ্ছে আজকের তৌহিদি জনতা, যারা আওয়ামী চোর-ডাকাত-ঘুষখোরদের চুরির টাকায় কওমি মাদ্রাসায় পড়ালেখা করে এখন বাউলদের পেটাচ্ছে।

১৯| ২৪ শে নভেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:৩৯

নতুন বলেছেন: রাজনিতিকদের কাছে ক্ষমতাই আসল। চেতনা মেতনা কিছুনা।

চেতনা হইলো দেশের আমজনতাকে দলে রাখা মাত্র। আসল চেতনা হইলো ক্ষমতায় থাকলে মাল কামানো যাবে।

আয়ামীলীগ মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিক্রি করেছে। জামাতকে ভিলেন দেখাইতে এতো বছর পরেও ১৯৭১ এর অপরাধকেই টেনে আনে।

যেই দলই দেশের জন্য কাজ করবে জনগন তাদের সমর্থন করবে।

২৫ শে নভেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১:১৫

শ্রাবণধারা বলেছেন: নতুন বলেছেন: রাজনিতিকদের কাছে ক্ষমতাই আসল। চেতনা মেতনা কিছুনা।

হ্যাঁ, অবশ্যই তাই। পুলিশ প্রধান বেনজির গ্যাং-এর মাধ্যমে আয়ামীলীগ মানুষ হত্যা করাতে পেরেছে, শত কোটি টাকার বিনিময়ে, এবং আমজনতার কাছে বিক্রি করেছে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা।

এখন রাজাকার-আলবদর ও জঙ্গিরা ধর্ম আর বেহেশত বিক্রি করছে, কিন্তু তাদের ক্ষমতার মূল চাবিকাঠি অবৈধ টাকাই। শুধু মানুষ গুলা ভিন্ন, আর তার ভাগ-বাটোয়ারা কেমন হবে, সেটা নিয়ে ক্ষমতার রাজনীতি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.