নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বিএনপি আর আওয়ামী লীগের কিছু কিছু নেতাদের কাজ কর্মের বেশ সাদৃশ্য রয়েছে, সম্ভবত যোগসুত্রও রয়েছে। দু চারজন পার্টনারশীপে ব্যবসা বাণিজ্যও করেন বলে আগেও খবর বের হয়েছে। ফলে যখনই কোন বিষয়ে যৌথ বা কমন স্বার্থে আঘাত লাগে, তখন তারা এক যোগে খেপে উঠেন। যেমনটি উঠেছিলেন, সাবেক রাষ্ট্রপতি ও বিচারপতি সাহাবুদ্দিনের ব্যাপারে, যেমনটি উঠেছিলেন ১/১১ এর তত্বাবধায়ক সরকারের ব্যাপারে। এবার আবার খেপেছেন প্রধান বিচারপতির সাম্প্রতিক এক বক্তব্যের বিষয়ে।
খেয়াল করে দেখবেন, যখনই আপনি কোন গতানুগতিক কাজ করবেন বা করে যাবেন, আপনি নিশ্চিত থাকুন কেউ আপনাকে নিয়ে মাথা ঘামাবে না। যখনই আপনি কোন সমস্যার গোড়ায় হাত দিবেন, সমস্যা সমাধানের প্রকৃত উদ্যোগ নিবেন, তখনই স্বার্থান্বেষী মহল, বিশেষ করে যারা ষ্টেইক হোল্ডার তারা খা খা করে উঠবেন। ব্যাম্বু বলে কথা!
মাননীয় প্রধান বিচারপতি যখনই আইনের শাষনের কথা বলেছেন, তার নিজ ক্ষমতার ও আওতার মধ্যেকার একটা বিশাল অনিয়মের কথা বলেছেন, এ্যাড্রেস করেছেন, সমাধানের চেষ্টা করছেন, সে মুহুর্তে সকল দেশ প্রেমিক নাগরিক, রাজনীতিবিদের উচিত ছিল তার এই কাজে সহায়তা করা। তা না করে, বাবু সুরন্জিত সংসদে এমন সব খিস্তি খেউর করলেন যা তার স্বভাবজাত। তাতে আওয়ামী লীগের সকলের সায় আছে কিনা সন্দেহ আছে।
আবার বিএনপির মেজর হাফিজ ও অন্যান্য কেউ কেউ বলছেন, প্রধান বিচারপতির বক্তব্যে সরকারের আভ্যন্তরিন কোন্দল প্রকাশ পেয়েছে, ধ্বস শুরু হয়েছে। এই বক্তব্যটা শাব্দিক অর্থে সুরন্জিত বাবুর চেয়ে ভিন্ন হলেও মুলত এক উদ্দেশ্যেই করা বলে আমার কাছে মনে হয়। আর তা হলো, প্রধান বিচারপতি যেন গতানুগতিক কাজ করে তার টার্ম শেষ করে বাড়ী চলে যান। কোন অনিয়ম অন্যায় কাজ সংশোধনে যেন মাথা না ঘামান। কি অদ্ভুত মিল রাজনীতিজীবিদের।
তাই বলে দেশের সিংহভাগ সচেতন মানুষ কিন্তু তাদের দলে নেই। আমার ধারনা, সত্যিকার জনমত যাচাই হলে দেখা যাবে, প্রধান বিচারপতির বক্তব্যের পক্ষে ৯০/৯৫ ভাগ মানুষের সমর্থন রয়েছে। মাননীয় প্রধান বিচারপতি এগিয়ে যান দৃঢ় চিত্তে। সময় ও সুযোগ সবার জীবনে সব সময় আসে না। কিছু করার এখনই সময়।
©somewhere in net ltd.
১| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:৩৩
তৌফিক মাসুদ বলেছেন: ভয় হয়, না জানি উনাকেও খারাপ লোকেরা বিপদে ফেলে।