| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আরািফন
স্বয়ী ইন্দ্রিয়ানুভূতির ওপর বিশ্বাস না করলে কোন জ্ঞানই আয়ত্ত করা যায় না । ইন্দ্রিয় হয়তো অনেক ভুল করায় , কিন্তু বারংবার চর্চা দ্বারা তাকে সংশোধন করে উৎকর্ষ লাভ করা সম্ভব।
একটু খেয়াল করে দেখুন, ফরিদপুরের সেই ঘটনার পর বাংলাদেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায় সহানুভূতি প্রদর্শন তো দূর, দৃশ্যমান কোন নিন্দাও জ্ঞাপন করেনি।
চট্টগ্রামে অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম আলিফকে জবেহ করে হত্যর পরে একজন হিন্দুও পোস্ট করেনি– ''হিন্দু হয়ে আমি লজ্জিত''।
বিপরীতে, ময়মনসিংহের ঘটনায় সাধারণ মুসলিমদের অনেকে তো পোস্ট করেছেই, এমনকি অনেক ইসলামপন্থীকেও দেখলাম বিষয়টা নিয়ে খুব শোক প্রকাশ করতে।
এখানে এসে অনেকেই প্রশ্ন করবেন, "আমরাও যদি ওদের মত হই তাহলে ওদের আর আমাদের মাঝে পার্থক্য থাকলো কী?"
খুবই সরলমনের প্রশ্ন। পৃথিবীকে শিশুদের মত সরল দৃষ্টিতে দেখলে এমন প্রশ্ন মনে আসতেই পারে।
তারপরও উত্তর দিচ্ছি।
কোন মুসলিমের হাতে সংখ্যালঘু মবের শিকার হলে–
- সংখ্যালঘুরা সরব হয়ে পড়ে।
- আপনিও সরব হয়ে পড়েন। দুঃখ-নিন্দা-লজ্জা প্রকাশ করেন।
- প্রথমকালো, দিল্লিস্টারসহ দেশীয় সমস্ত মিডিয়া বিশাল হেডলাইন করে খবর প্রকাশ করে।
- প্রশাসন কর্তৃক কঠোর পদক্ষেপ নেয়া হয়, দ্রুত দোষীদের আইনের আওতায় আনা হয়।
সংখ্যালঘুর হাতে কোন মুসলিম মবের শিকার হলে –
- শুধু আপনিই সরব হয়ে পড়েন।
- সংখ্যালঘুরা টু-শব্দটি করেনা। দেখেও না দেখার ভান করে থাকে, সম্ভব হলে অপরাধীকে বাঁচানোর চেষ্টা করে।
- মিডিয়া দায়সারা নিউজ করে, সম্ভব হলে অপরাধীর ধর্মপরিচয় আড়াল করে/এড়িয়ে যায়।
- ঘটনা ভাইরাল না হলে প্রশাসন তেমন দ্রুত কোন পদক্ষেপ নেয়না।
এবার নিজেই উত্তর দিন, সব ইস্যুতে এত নিন্দা জ্ঞাপন করে কাদের পাল্লায় ওজন বাড়াচ্ছেন?
প্রকৃত বিষয়টা হলো– তারা জানে ও বোঝে যে, সমস্ত ইস্যুতে কথা বলা, সুশীলতা প্রদর্শন তাদের জন্য জরুরি নয়, এমনকি অনেক ক্ষেত্রে নিজের ক্ষতিরও কারণ।
কিন্তু আপনি এই স্ট্র্যাটেজিটা বোঝেন না।
তাই আপনি সবার জন্য কাঁদেন। সবার বিপদে অংশীদার হন।
কিন্তু দিনশেষে নিজের বিপদে কাউকে পাশে পান না।
২|
২২ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:৪৪
ধুলো মেঘ বলেছেন: আমি দিপুকে নিয়ে গলা ফাটাচ্ছি। আমি এই ঘটনায় জাহান্নামী তৌহিদী জনতার মুখে পেচ্ছাব করে দেই। দেখুন আমার প্রোফাইল চেক করে কোন পস্টে ভাদা আর আওয়ামী দোসরের লক্ষণ পান জানান আমাকে।
২২ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ২:৪৩
আরািফন বলেছেন: ধর্ম অবমাননার অভিযোগ তুলে ময়মনসিংহের ভালুকায় পোশাকশ্রমিক দিপু চন্দ্র দাসকে হত্যার আগে পরিকল্পিতভাবে চাকরি ছাড়তে বাধ্য করা হয়েছিল। এরপর তাকে উত্তেজিত জনতার হাতে তুলে দেওয়া হয়। এই চাঞ্চল্যকর তথ্য জানিয়েছে র্যাব।
৩|
২২ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:৪৯
রাসেল বলেছেন: চিরচারিত ধর্মকে আশ্রয় করে আমাদের অপরাজনীতি।
৪|
২২ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:৫৮
আলামিন১০৪ বলেছেন: ধুলো মেঘ, তাঁহাদের ব্লগ অনুসন্ধান করে দেখুন তো, সেই সময়ে হিন্দু পুজারীদের হাতে নিহত শ্রমিকদ্বয়ের ঘটনা নিয়ে কোন পোস্ট প্রসব করেছে কি না। কিরকুট সমগোত্রীয়রা এ জন্য এক চোখ কানা।
আপনি নিজে গায়ে মাখলেন কেন?
৫|
২২ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১০:৫৮
কামাল১৮ বলেছেন: ধর্মের কারণে যত মানুষ মারা গেছে অন্য কোন কারনে অত মানুষ মারা যায় নাই।ধর্মই যত অশান্তির মূল।
৬|
২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১:৫৫
রাজীব নুর বলেছেন: ধর্ম না থাকলে প্রিথিবটা অনেক বেশি আনন্দময় হতো।
৭|
২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:৫৫
ধুলো মেঘ বলেছেন: আমি গায়ে মেখেছি কারণ দিপু চন্দ্র দাসের ঘটনা আমি মেনে নিতে পারছিনা। এই ধরণের ঘটনা কোনভাবেই বরদাশত করা যায়না।
©somewhere in net ltd.
১|
২২ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:৪২
আলামিন১০৪ বলেছেন: এখনকার ব্লগাররা যারা দিপুকে নিয়ে গলা ফাটাচ্ছে তাদের ব্লগ চেক করে দেখূন কোন পোস্ট দিয়েছে কিনা, এরা সবাই ভাদা আার আওযামী দোসর জেনে রাখুন