নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সাজিদ উল হক আবির

সাধু সাবধান ! ব্লগের মালিক বঙ্গালা সাহিত্যকে ধরিয়া বিশাল মাপের ঝাঁকি দিতে নিজেকে শারীরিক ও মানসিক ভাবে প্রস্তুত করিতেছেন। সেই মর্মে তিনি এখন কিটো ডায়েটিং, ডন-বৈঠক ও ভারোত্তলন প্রশিক্ষণে ব্যস্ত। প্রকাশিত গ্রন্থঃ১। শেষ বসন্তের গল্প । (২০১৪)২। মিসিং পারসন - প্যাত্রিক মোদিয়ানো, ২০১৪ সাহিত্যে নোবেল বিজয়ী (অনুবাদ, ২০১৫) ৩। আয়াজ আলীর ডানা (গল্পগ্রন্থ - ২০১৬ ৪। কোমা ও অন্যান্য গল্প(গল্প গ্রন্থ, ২০১৮) ৫। হেমন্তের মর্সিয়া (কবিতা, ২০১৮) ৬। কাঁচের দেয়াল (গল্পগ্রন্থ, ২০১৯)

সাজিদ উল হক আবির › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রসঙ্গঃ পেইড নাস্তিক, পেইড নাস্তিকতা, ইসলামোফোবিয়া, বাংলাদেশ

২৮ শে মে, ২০২০ দুপুর ১:৪৯

বাংলাদেশের তথাকথিত মুক্তমনা সম্প্রদায়ের চরিত্রের কিছু বৈশিষ্ট্য, তার ব্যাখ্যা বিশ্লেষণসহ, কেন তাদের থেকে অনলাইন, এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে চলা উচিৎ বলে আমি মনে করে, তা সংক্রান্ত বিষদ এ লেখা যখন আমি আমার ব্লগে শেয়ার করছি, আমার একটা ভারমুক্তির অনুভূতি হচ্ছে। দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা বাঙ্গালী মুসলমানের বিরুদ্ধে যে পরিচয়সন্ত্রাস একটি সংঘবদ্ধ দল করে চলেছে, তাদের পরিচয়, তাদের কর্মপন্থা নিয়ে যৌক্তিকভাবে কিছু পর্যালোচনার প্রয়োজন ছিল।

এ বিষয়ে আমার পূর্ববর্তি "বাঙ্গাল মস্তিষ্কের বিউপনিবেশায়ন" সিরিজের লেখাগুলো সংশ্লেষণ করে একটি বই হয়তো শীঘ্রই প্রকাশ করবো, বাংলা এবং ইংরাজিতে। "মুক্তমনা" ছদ্মনামের আড়ালে তাঁরা কীভাবে বাংলাদেশে ইসলামবিদ্বেষ, ইসলামোফোবিয়া ছড়িয়েছে, এবং ক্ষেত্রবিশেষে বিবিধ বাংলা ব্লগ কর্তৃপক্ষ সচেতন বা অচেতনভাবে তাদের প্রোপ্যাগান্ডা ছড়ানোয় সাহায্য করেছে, তার বিরুদ্ধে এক প্রামাণ্য দলিল আকারে থেকে যাবে বইটি, আমি দৃঢ়ভাবে আশাবাদী। ইসলামোফবিয়া একটা বৈশ্বিক গবেষণার বিষয়, এবং কীভাবে ইসলামোফোবিয়া বৈশ্বিক মুসলিমদের উপর একটি নেতিবাচক প্রভাবে তৈরি করছে - তা নিয়ে প্রচুর অ্যাকাডেমিক গবেষণা আছে। বাংলাদেশে এমন একটা গবেষণা, হয়তো সময়েরই দাবী।

কেউ যদি নিজেকে গর্বিত ইসলামোফোব বলে দাবী করে, তা সে করতেই পারে, যেহেতু বাংলার ব্লগে "মতপ্রকাশের স্বাধীনতা" আছে। কিন্তু আপনি, একজন আম আদমি যে আজ তার সঙ্গে বন্ধুত্ব পাতাচ্ছেন, তারসঙ্গে খেজুরে আলাপ চালাচ্ছেন, এবং এই করে মনে করছেন - জাতিকে আধুনিকতার চুড়ায় তুলে দিচ্ছেন, আসলেই কি তাই?

প্রশ্ন করি - কেউ যদি নিজেকে হিন্দুফোব বলে গর্বিত ভাবে প্রচার করে, বা পাহাড়িফোব বলে দাবী করে, তবে তার সাথেও কি আপনি এই তুলুমুলু সম্পর্ক বজায় রাখতেন? তবে ইসলামোফোব বলে যারা নিজেদের প্রচার করে, তাদের সাথে আপনার সুসম্পর্কের ব্যাপারে আপনার নৈতিক অবস্থান কী প্রশ্নবিদ্ধ নয়?

আয়নার সামনে যখন দাঁড়ান, নিজের চেহারা দেখে আপনার কষ্ট হয় না?

যাক, আমার নীচের যে দশটি পয়েন্ট, এগুলো খুব শক্তভাবে প্রমাণ করে যে - "মুক্তমনা" হওয়ার দাবীদার এ গোষ্ঠী মূলত বুদ্ধিবৃত্তিক একটি অসৎ জায়গায় দাঁড়িয়ে বাংলাদেশে সচেতনভাবে ইসলামবিদ্বেষ ছড়ায়, এবং কি কারণে তাদের সাথে যেকোনোরূপের ব্লগিয়/ সামাজিক ইন্টার‍্যাকশন থেকে ধর্ম - বর্ণ নির্বিশেষে আমাদের বিরত থাকা উচিৎ।

১। ব্লগিয় ইসলামবিদ্বেষী নাস্তিকেরা মূলত রিডাকশনিস্ট। তাঁরা ১৫০০ বছরের ইতিহাসওয়ালা একটা ধর্ম, যা পৃথিবীর এই মুহূর্তে সবচে দ্রুতগতিতে বর্ধমানশীল জীবনদর্শন - তাঁকে রিডিউস করে একটা জঙ্গিবাদী, অনাধুনিক ধর্ম হিসেবে একপেশে প্রচারণা চালায়। কখনোই ইসলামকে জাস্টিফাই বা ইসলাম সংক্রান্ত কোন ভালো কথা এদের মুখে শুনবেন না।

একপেশে কোন বর্ণনাই বুদ্ধিবৃত্তিক সততার পরিচায়ক না। নিজের বিবেকের দায়েই এই অসৎ গোষ্ঠীর সঙ্গে সকল রকম যোগাযোগ বন্ধ রাখা উচিৎ।

২। এরা মূলত অ্যাটেনশন সিকারের দল। ধর্মবিদ্বেষ ছড়ানোর মত খুব ক্ষুদ্র - নোংরা একটা গণ্ডির মধ্যে এরা সারাজীবন ঘুরপাক খেয়ে মরে। ধর্মবিশ্বাসীদের পশ্চাৎপদ, মধ্যযুগীয় ধ্যানধারণার অধিকারী বলে প্রচার করে। এই ধর্মবিদ্বেষী নেতিবাচকতা ছাড়া এদের আর কি পরিচয় আছে? নেতিবাচক জীবনদর্শনে বিশ্বাসী মানুষের সংস্পর্শ আপনাকে ইতিবাচক মানুষে পরিণত করবে, না আপাদমস্তক নেতিবাচক মানুষে?

ব্লগে যারা ইসলামবিদ্বেষ ছড়ায় - তাঁরা কোন পরিবার থেকে আসা? তাঁরা কোথায় পড়াশোনা করেছে? ব্লগে তাদের তির্যক মন্তব্যের প্রত্যুত্তর না করলে তাঁরা আপনাকে মাথামোটা বলে বাঁকা হাসি হাসছে, কিন্তু ব্যক্তিজীবনে তাদের কারো কি সক্ষমতা আছে তাদের স্বপরিচয়ে এসে আপনার সাথে কথা মুখোমুখি কথা বলবার? যদি উত্তর 'না' হয়ে থাকে, তবে তাদের নিয়ে কেন চিন্তা করা, মাথাব্যাথা করা? এই ইসলামবিদ্বেষীদের মধ্যে কয়জন প্রতিষ্ঠিত - ফিল্মমেকার? মিউজিশিয়ান? ঔপন্যাসিক? ইতিহাসবিদ? বিজ্ঞানী? সমাজহিতৈষী?

শুধু ইসলামবিদ্বেষ ছাড়া - এদের আপনাকে দেয়ার মত, শেখানোর মত আর কিছু আছে কী?


৩। ব্লগিয় ইসলামবিদ্বেষী নাস্তিকদের প্রায়ই দেখবেন একটা কথা বলতে - ঈশ্বর থাকলে প্রমাণ কইরা দেখাও।

ঈশ্বর আছে, নাকি নাই এটা নিয়ে শেষ বাক্য কারো পক্ষে, কোনদিনও, সর্বজনীন অর্থে উচ্চারণ করা সম্ভব না। এই তর্ক বহু পুরনো, এবং অসমাধানযোগ্য। বাংলা ব্লগের ইসলামবিদ্বেষী নাস্তিক গোষ্ঠী এটা জেনেই ক্রমাগত - "যেভাবে আমি ঈশ্বরকে খতম করিলাম", বা "ঈশ্বর নাই তার প্রমাণ" , বা "ঈশ্বরে বিশ্বাসী হয়ে থাকলে যুক্তিতর্কের মাধ্যমে আপনার ঈশ্বরের অস্তিত্ব প্রমাণ করে যান" - এই সমস্ত শিরোনামে ক্রমাগত লিখতে থাকে, যেটা তাদের বুদ্ধিবৃত্তিক অসততার প্রমাণ।

কাজেই ইসলাম বিদ্বেষী নাস্তিকদের এড়িয়ে চলেন।


৪। ঈশ্বর আছে কি নাই - এটা নিয়ে যেমন কোন সর্বজনীন সিদ্ধান্তে পৌঁছানো সম্ভব না, তেমনি থাকলে কীভাবে আছে , আর না থাকলে কতদিনের জন্যে থাকবে না - এটা নিয়েও, মৃত্যুর আগপর্যন্ত কারো পক্ষে শেষ কথা বলা সম্ভব না।

বিশ্বাসীর ঈশ্বর সংক্রান্ত ধারণা বয়স এবং অভিজ্ঞতার সঙ্গে সঙ্গে পাল্টায়।নাস্তিক্য, বা ঈশ্বরে অবিশ্বাসের মাত্রাও স্থির কিছু নয়, বয়স ও অভিজ্ঞতার সাথে সে অবিশ্বাস বাড়ে বা কমে। কাজেই, আমার আপনার মত কোন সাধারণ মানুষের পক্ষে মৃত্যুর আগ মুহূর্তেও ঈশ্বর বিশ্বাসী হওয়া বা নাস্তিক হওয়ার ব্যাপারে সর্বজনীন কোন দলিল দিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। কেননা, একজন মানুষ কেবল নিজের জীবনের অভিজ্ঞতার কথাই শেয়ার করতে পারে, এবং বলতে পারে যে - আমার জীবনে ঈশ্বরে বিশ্বাস/অবিশ্বাস করার সুফল/কুফল হয়েছে এই ... এই ...

কাজেই মানুষের ইতিহাসের প্রায় সঙ্গে সঙ্গে চলে আসা বিশ্বাস/ অবিশ্বাসের ব্যাপারে অকালপক্কের মত ক্ষুদ্র একটা আন্ডারস্ট্যান্ডিং নিয়ে, বা অন্ধের হাতী দেখার মত হাতী দেখে ধর্মবিশ্বাস, বা নাস্তিকতা নিয়ে শেষ কথা বলার চেষ্টা করা একটা বুদ্ধিবৃত্তিক অসততা। যদি কারো সৎউদ্দেশ্য থাকে, তবে সে নিজের পরিচিত আত্মীয়স্বজন, বা বন্ধুবান্ধবের একটা গণ্ডির মধ্যে যারা কেয়ারিং, যারা তাঁকে আগে থেকেই চিনে, এবং তার সমস্যার কথা শুনতে চায় - এমন কারো কাছ থেকে ফিডব্যাক নেয়াটা মানা যায়। কিন্তু ব্লগে বা কোন পাবলিক প্ল্যাটফর্মে যে চিৎকার করে নিজের ঈশ্বর সংক্রান্ত - নেতিবাচক, খণ্ডিত, এবং অসম্পূর্ণ ধারণাকে সর্বজনীন আকারে শেয়ার করাটা পল্টনের মোড়ে মাইক টাঙ্গায়ে চিৎকার করে কথা বলার মতই, যেটা ইসলামবিদ্বেষী মুক্তমনা নাস্তিক সম্প্রদায়ের বুদ্ধিবৃত্তিক অসততা।

অতঃপর, তাদের এড়িয়ে চলেন।

৫। বাংলাদেশের ব্লগে সক্রিয় "মুক্তমনা" গোষ্ঠীর মানুষের বিশ্বাসের ব্যাপারে এদের কুরুচিপূর্ণ ভাষার প্রয়োগ, এদের বেআদবি, কোনরকম প্ররোচনা ছাড়াই সাধারণ মানুষের ধর্মীয় সেন্টিমেন্টে এদের আঘাত দেয়ার ধরন দেখেই এদের বোঝা যায় এরা মূলত মানসিক বিকারগ্রস্ত, স্যাডিস্ট, এবং বুদ্ধিবৃত্তিকভাবে অসৎ। রাস্তা ঘাটে এই শ্রেণীর মানুষ দেখলে তো এড়িয়েই চলেন, অনলাইনে কেন এদের সঙ্গে ম্যাতানো?

৬। "মুক্তমনা" রা সাধারণত নিজেদের যুক্তিবাদী, বিজ্ঞানমনস্ক দাবী করলেও মাঝেমাঝেই তাদের লেখায় থাকে বিজ্ঞানের ভুলভাল ব্যাখ্যা, বা বিজ্ঞানের অপপ্রয়োগ, যেমন - নিউটনের সূত্র ধরে ঈশ্বর আছে কি নাই - তা প্রমাণ করবার চেষ্টা।

একটা লেখা চোখে পড়েছিল একদিন এ গল্পটি সহ -

একজন মানুষ মৃত্যুর পর শেষবিচারের সম্মুখীন হয়েছে। ঈশ্বর বলছে - তুই ব্যাটা অপরাধী, তোকে নরকে দেয়া হবে। আর উপস্থিত দেবদূত বলছে কিন্তু ঈশ্বর , সে কিছু কাজ ভালো করেছে, তাঁকে স্বর্গে দেয়া উচিৎ। এভাবে মতবিরোধের মাঝে ঈশ্বর আর দেবদূত দুইজন দুইজনকে ব্রহ্মাস্ত্র ছুড়ল, বা মরটাল কমব্যাট গেমের মত পাওয়ার মারলো, দুইজনেই শেষমেস বাংলা সিনেমার ভিলেনের মত মরে পড়ে রইল, মধ্যখানে মানুষ দাঁত কেলায়ে হেসে বলল - হে ঈশ্বর, হে দেবদূত, তোমরা আমার ইমাজিনেশনের ফসল। আমি থাকলে তোমরা আছো, আমি না থাকলে তোমরা নাই।

কথা হচ্ছে, ইহুদী - খ্রিস্টান - মুসলমানদের ধর্মে জাজমেন্ট ডে আসলে মরটাল কমব্যাট , বা স্ট্রিট ফাইটার গেইম না।

জন্মের পূর্বের, বা মৃত্যুর পরবর্তী যে অবস্থার ওপর আব্রাহামিক রিলেজিয়নে বিশ্বাসীরা ঈমান আনে, সেই পৃথিবী আমাদের এই থ্রি ডাইমেনশনাল ওয়ার্ল্ডের মত না। ওখানে চতুর্থ ডাইমেনশন হিসেবে সময় ও উপস্থিত নাই। জাজমেন্ট ডে'র ব্যাপকত্ত বোঝানোর জন্যে কিছু সময় সংক্রান্ত ধারণা স্ক্রিপচারে এসেছে, কিন্তু সেখানেও সময়, এই পৃথিবীর সময় হিসেবে উপস্থিত না।


ঐ লাইন থেকে শুরু করা যাক গল্পের , যেখানে ঈশ্বর এবং দেবদূত দু'জন দু'জনের দিকে ব্রহ্মাস্ত্র ছুড়ল, বা পাওয়ার মারলো। ঐখানে সেই যে ক্লাস সেভেনে না এইটে থাকতে নিউটনের সেকেন্ড ল শিখেছিলামঃ ফোরস (এফ) = ম্যাস (এম) গুণন অ্যাসিলারেশন (এ), সেই সূত্র খাটবে না। কারণ, ত্বরণ (এ) = সরন (এস)/ সময় (টি)। কিন্তু আলমে বারজাখে যেহেতু সময়কাল (টি) উপস্থিত না, কাজেই এই সূত্র ঐখানে খাটবেও না।

প্রশ্ন হল, সারাপৃথিবীর মানুষের সামনে ঈশ্বরকে কতল করতে আসা এতবড় জ্ঞানী মুক্তমনা কী ক্লাস সেভেন এইটের ফিজিক্স কি বোঝেন না? হয়তো বোঝে না, তবুও দাবী করে সে বিজ্ঞানমুখী। অথবা ঈশ্বররে মারার দায় তার এতই বেশী, যে মাঝে মাঝে ফিজিক্সের বেসিক সূত্রে গরমিল লাগায়ে দিলেও তারমধ্যে অপরাধবোধ কাজ করে না। অথবা, সে হয়তো বেশীরভাগ ধার্মিকরেই গাধা মনে করে।

যুক্তি দিয়ে, টেকনোলজি দিয়ে ঈশ্বর বিশ্বাসের মত একটি আত্মিক ব্যাপারের যৌক্তিকতা নির্ণয়ের চেষ্টা "মুক্তমনা" সম্প্রদায়ের একটি বুদ্ধিবৃত্তিক অসততা।

তাদের এড়িয়ে চলেন।

৭। বাংলাদেশের প্রেক্ষিতে "মুক্তমনা" দের দেশব্যপি আধুনিকতার নামে ঈশ্বর অবিশ্বাস ছড়ানোর যে প্রোপ্যাগান্ডা - তা কোন বাস্তবমুখী প্রোপ্যাগান্ডা না।

তর্কের খাতিরে যদি ধরেও নেই, তাদের দাবী অনুযায়ী, তাঁরা আধুনিকায়নের জন্যেই বাংলাদেশের মানুষদের নাস্তিক বানাতে চায়, প্রায় পনেরো কোটি বিশ লাখের মত মুসলমানকে নাস্তিক বানানোর কোন বাস্তবমুখী পরিকল্পনা কি তাঁরা দেখাতে পারবে?

তর্কের খাতিরে ধরে নিলাম তাঁরা পারবে। তাদের স্বপ্ন অনুযায়ী বাংলাদেশ একটা অবিশ্বাসীদের আখড়ায় পরিণত হল।

এর ফলে আমাদের উপমহাদেশে সাম্প্রদায়িকতা বন্ধ হবে?

গ্লোবাল টেরোরিজম ইনডেক্সের রিপোর্ট ২০১৯ অনুযায়ী পৃথিবীতে বাংলাদেশের অবস্থান ৩১ নম্বরে। আমাদের প্রতিবেশী দেশ ভারতের অবস্থান ৭ নম্বরে।

আমরা ছোট রাষ্ট্র। ওরা বড়।

উপমহাদেশে কাদের, বা কোন ধর্ম সম্প্রদায়ের লোকের আগে ঈশ্বরে অবিশ্বাসী করার চেষ্টা করা দরকার, উপমহাদেশের আধুনিকায়নের, এবং সাম্প্রদায়িকতা বন্ধের জন্যে?

অথবা বাংলাদেশ যে রোহিঙ্গা সমস্যার ভারে জর্জর আজ ২০১৭ সাল থেকে, এটা বাংলাদেশের একটা প্রাক্টিক্যাল সমস্যা।

যে আপনারে নাস্তিক্যের উপযোগিতা বর্ণনা করতে আসে, তার ব্লগে গিয়ে দেখেন আরএসএস, বজরঙ্গ দল, দুর্গাবাহিনী, বা মায়ানমারের সামরিক জান্তা, উত্তেজক বৌদ্ধ ভিক্ষু সম্প্রদায়ের ব্যাপারে তাদের কয়টা অ্যানালাইটিক সমালোচনামূলক লেখা আছে।

হিন্দুস্তানে যেহেতু সাম্প্রদায়িকতার উপস্থিতি বৈশ্বিক গবেষণা অনুযায়ী বাংলাদেশের থেকে বেশ কয়েকধাপ বেশী, এবং রোহিঙ্গা ক্রাইসিস আমাদের এই মুহূর্তের অন্যতম ক্রাইসিস, সুতরাং এ সমস্ত ইস্যুর সমালোচনামূলক লেখা আমাদের "বন্ধু" "মুক্তমনা"র ব্লগে মুসলমান, ইসলাম, কোরআন, রাসুল (সঃ) - এর শানে বেআদবিমূলক লেখা থেকে সংখ্যায় বেশী থাকার কথা।

আচ্ছা, বেশী না হয় নাই, দুই একটা না হয় থাকুক? অ্যানালাইটিক? ঠিক জায়গায় প্যারেক ঠোকার মত?

আছে?
তাও নাই?
তবে কি সে সৎ?
তবুও ওর সাথে কেন আলাপে যাচ্ছেন?


বিশ্বরাজনীতি, আঞ্চলিক রাজনীতির ব্যাপারে ন্যুনতম ধারণা রাখে, এমন একজন সচেতন বাঙ্গালী মুসলমানকে নাস্তিক বানানোর প্রচেষ্টাও সফল হবার কথা না। কিন্তু ১৫ কোটি বাঙ্গালী মুসলমানকে তার নিজের পরিচয়েই আর একটু আপডেটেড, ভালোমানুষ , পরোপকারী, শিক্ষাদীক্ষামুখী করার চিন্তাভাবনা কী কখন এই "মুক্তমনা"দের মনে আসে?

তার মানে কি তাঁরা ব্লকহেডেড নয়?

ব্লকহেডেড, বা বিভিন্ন পয়েন্ট অফ ভিউ থেকে চিন্তা করতে পারে না যে, তার সাথে আলাপ কখনো ফলপ্রসূ হয়?

কেন সময় নষ্ট করা?

৮। যদিও আমাদের "মুক্তমনা" বন্ধুরা মুসলমান নয়, তাঁরা ইসলামে বিশ্বাসও করে না, তাদের অনেকে প্রকাশ্যে দাবীও করে যে তাঁরা ইসলামবিদ্বেষী, ইসলামোফোব - তবুও তাদের দাবী, ১৫০০ বছর ধরে চলে আসা, এবং এইমুহূর্তে পৃথিবীর সবচে দ্রুতগতিতে বর্ধমানশীল একটি জীবনদর্শনকে তাঁরা বাইরে থেকেই পরিপূর্ণভাবে বুঝেছে।

যে মানুষ, অথবা, ধরেন প্রাণী - একটি ধর্ম/ আদর্শ/ দর্শন - আন্তরিকভাবে ঘৃণা করে, তার কাছ থেকে সে ব্যাপারে নিরপেক্ষ মত আশা করা কী সম্ভব?


তদুপরি , এই তথাকথিত মুক্তমনা সম্প্রদায়কে দেখা যায় - মুসলিম সম্প্রদায়কে জঙ্গি, মধ্যযুগীয় বর্বর প্রমাণ করার জন্যে "মুক্তমনা" সম্প্রদায়কে প্রায়ই ইন্টারনেট থেকে কেটেছিঁড়ে তথ্য ভুলভাবে উপস্থাপন করতে। এবং যদিও তাঁরা জঙ্গি নাস্তিক (মিলিট্যান্ট এথিস্ট), এবং ইসলামবিদ্বেষী ( আপাতত ইন্টারনেটে আপনার মনের শান্তিকে এরা ছুরিকাঘাত করছে, সুবিধামত অবস্থায় আপনাকে পেলে এরা সেই ছুরি আপনার পেটে চালাবে, এই হচ্ছে বাংলায় লেখে এমন ইসলামবিদ্বেষী/ইসলামোফোবের পরিচয়), কিন্তু ইসলামকে বিশ্বাসের বাইরে থেকে এসে যেভাবে বুঝেছে, কোরআনকে যেভাবে বুঝেছে - তাদের সেই আন্ডারস্ট্যান্ডিং ই একমাত্র সঠিক, এবং প্রকৃত আন্ডারস্ট্যান্ডিং বলে তাঁরা দাবী করে।

তাদের দাবীর সূত্র ধরেই কী বাঙ্গালী মুসলমান যদি - বাংলাদেশে বসে, অ্যামেরিকায় কখনো না গিয়ে, কোন অ্যামেরিকানের সাথে রিয়েল লাইফ ইন্টার্যাকশন ছাড়া স্রেফ সিএনএন নিউজ বা ফ্রেন্ডস/ হাউ আই মেট ইওর মাদার সিটকম দেখে কেউ যদি অ্যামেরিকান লাইফস্টাইলের ব্যাপারে নিজের ধারণাকে আদি ও অকৃত্তিম অ্যামেরিকান লাইফস্টাইল বলে দাবী করে, সে দাবী কি সঠিক?


ধর্মীয় পরিচয়ের নিগড় জাতিগত, বা সাংস্কৃতিক পরিচয়ের বুনন থেকে অনেক সূক্ষ্ম। যেকোনো দর্শন, বা ফিলসফি - তা সে থেইস্টিক হোক, বা নন থেইস্টিক, জীবনের দীর্ঘ একটা সময় , সৎউদ্দেশ্যে, প্রাথমিকভাবে ব্যক্তিজীবনে শান্তি খুঁজবার উদ্দেশ্যে চর্চা না করলে তার রঙ্গ - রূপ বোঝা যায় না। এটা "মুক্তমনা"রা বোঝে না, তা না। কিন্তু তাদের এই বুঝ যদি তাঁরা প্রকাশ করে, তাহলে তো তাদের প্রোপ্যাগান্ডা বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে না।

বুদ্ধিবৃত্তিক অসততা। এড়িয়ে চলেন এদের সংস্পর্শ।

৯। "মুক্তমনা" রা বারবার বলে তাঁরা বিজ্ঞানমুখী, আধুনিকতাপন্থী, ধর্মবিশ্বাস মানুষরে পিছনে ঠেলে দেয়। কিন্তু মানুষের ধর্মবিশ্বাস এবং দৈনন্দিন জীবনে বিজ্ঞানের প্রয়োগক্ষেত্রের ভিন্নতা সত্যেও সমান্তরালে এগুতে থাকা এই দুই বস্তুর মধ্যে ঠোকাঠুকিটা যে ঠিক কোন কোন জায়গায় লাগে, এটা নিয়ে তাঁরা সামগ্রিকভাবে একটা স্পষ্ট বক্তব্য বাঙ্গালী মুসলমান খুঁজে পায় নি।

আমরা কী তাদের কাছে অন্তত একটা পরিপূর্ণ এজেন্ডার লিস্ট চাইতে পারি না, যেখানে উল্লেখ থাকবে দৈনন্দিন জীবনের কোন কোন জায়গায় বিজ্ঞান, ধর্মবিশ্বাসকে কীভাবে কীভাবে রিপ্লেস করবে?

যেমন, ডারউইনের বিবর্তনবাদ। আমি একটা তত্ত্ব হিসেবে এটাকে মানি, এবং সম্মান করি। কিন্তু বিবর্তনবাদের ওপর বিশ্বাস রাখাটা "
সমস্ত মেডিক্যাল সায়েন্স এবং ডাক্তারদের কাছ থেকেও কোন সমাধান না পাওয়া, সুইসাইডাল ডিপ্রেশনে ভোগা মানুষ, সমাধানের সবগুলো দরজা বন্ধ বিবেচনা করে ছোটবেলায় বাবা-মায়ের দেয়া শিক্ষা অনুযায়ী জায়নামাজে দাঁড়ায় এবং ঈশ্বরমুখীনতার ছলে আত্মমুখীন হয়ে সুদুরে একটা আলোর রশ্মি দেখতে পায়" - এই আত্মিক/আধ্যাত্মিক সিচুয়েশনটারে কীভাবে রিপ্লেস করবে?

অথবা, আজ সকালে সদকায়ে ফিতরা নিয়ে পড়তে গিয়ে যেভাবে জানলাম, সকল প্রাপ্তবয়স্ক - অপ্রাপ্তবয়স্ক, এমনকি গর্ভে যে সন্তান আছে, তার তরফ থেকেও দরিদ্র্য মানুষকে সাদকায় ফিতরা দেওয়া বাধ্যতামূলক।

এই যে একটা নির্দিষ্ট ধর্মবিশ্বাস, এরকম আরও একশো রকম উপায়ে সমাজে বঞ্চিত, নিপীড়িত মানুষের পাশে দাঁড়ানোকে বাধ্যতামূলক করে দিচ্ছে, এমন কল্যানকামী বাধ্যতামূলক ব্যবস্থাগুলোকে অনাধুনিক, পশ্চাৎপদ, মধ্যযুগীয় বর্বরতা বলার কারনই বা কি, আর যদি বর্তমান বিশ্বের সাথে সাযুজ্য রেখে চলতে এই ধর্মবিশ্বাসের মানুষদের কোনজায়গায় শর্টকামিং থেকে থাকে, তবে সেটা ভরাট করে সিস্টেমটাকে আরও শক্তিশালী করার বদলে তাঁকে খারিজ করে দেয়ারই বা কারণ কী? এই খারিজ করে দেয়ার মানসিকতা কী সবগুলো পয়েন্ট অফ ভিউ থেকে চিন্তা করার ফসল, নাকি ব্লকহেডেড ইসলামবিদ্বেষ?

হেফাজতে ইসলামের মত একটা দল, যাদের নিজেদের একটা ওয়েবসাইটও নাই, তাদেরও তো ১৩ দফা দাবী ছিল।

বাংলাদেশের নাস্তিক ব্লগার কমিউনিটি সর্বসম্মতিক্রমে তাদের একটা সম্মিলিত এজেন্ডা প্রচার করুক পারলে, যাতে তাঁরা স্পষ্ট করে দেখাবে - কোন বৈজ্ঞানিক বিশ্বাস বাঙ্গালী মুসলমানের ব্যাবহারিক জীবনের সাথে যায় না বলে বাঙ্গালী মুসলমানকে পশ্চাৎপদ বলা যায়।

১০। বাংলাদেশের "মুক্তমনা" গ্রুপটাকে আপাত নাইভ মনে হলেও , তাদের কি আদৌ কোন রাজনৈতিক এজেন্ডা নাই, যেটা তাঁরা বুঝে বা না বুঝে ফরোয়ার্ড করছে?

বাংলাদেশের ভৌগলিক অবস্থান চিন্তা করেন। বাংলাদেশের আশেপাশে কোন রাষ্ট্রগুলির সাথে বর্ডার আছে চিন্তা করেন। সে সমস্ত দেশের সরকার ব্যবস্থা, এবং রাজনৈতিক অবস্থান চিন্তা করেন।

তর্কের খাতিরে ধরে নিলাম, বাংলাদেশের সব মুসলমান নাস্তিক হয়ে গেলো।

এতে রাজনৈতিক সুবিধা কার? কে গিলবে বাংলাদেশ?

আপনার কী মনে হয় "ইসলামোফোব মুক্তমনা" রা এটা বোঝে না?

যে অনলাইন প্ল্যাটফর্মে ইসলামবিদ্বেষ ছড়ায়, বাঙ্গালী মুসলমান কী নিশ্চিতভাবে জানে যে সেই মুক্তমনাটি বাংলাদেশের কোন জেলার কোন পরিবার থেকে উঠে আসা মানুষ? এর বা এদের সাথে বাঙ্গালী মুসলমানের কখনো মুখোমুখি দেখা হয়? তাহলে বাঙ্গালী মুসলমানের পক্ষে কীভাবে নিশ্চিত হওয়া সম্ভব যে এই ইসলামোফোব জঙ্গি নাস্তিকদের কোন রাজনৈতিক এজেন্ডা নাই?

উপরুল্লেখিত অসততা, ধান্দাবাজি যার মধ্যেই দেখতে পান, প্রিন্টে বা ইলেকট্রনিক হরফে , তাদের এড়িয়ে যান। তাদের চিহ্নিত করে রাখুন, তাদের বন্ধুবান্ধবদের চিহ্নিত করে রাখুন। তাদের নীরব শুভানুধ্যায়ীদের চিহ্নিত করে রাখুন। তাদের চিহ্নিত করে রাখুন, যারা আপনার এই ভণ্ড মুক্তমনা গ্রুপটির প্রতি আপনার অসন্তোষ প্রকাশ্যে জাহির করবার কারণে আপনার থেকে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে একটা ভালো ইমেজ বজায় রেখে চলার চেষ্টা করছে। চিহ্নিত করার পর নৈতিক দায়িত্বের জায়গা থেকেই এই দলটির সদস্যদের সাথে সবরকম সম্পর্কচ্ছেদ করুন। ওরা বেঁচে আছে আপনার দেয়া অ্যাটেনশনের উপর ভিত্তি করে। আপনি যত অ্যাটেনশন দেবেন, ওদের এজেন্ডাগুলি ততবেশী ছড়াবে সমাজে। বাংলাদেশে অস্থিতিশীলতা তৈরি হবে। সহিংসতা বাড়বে। ওরা যতই ম্যাতাক - বাংলাদেশের সরকারের আইসিটি অ্যাক্ট যে বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক সহিংসতা ও ধর্মীয় সহিষ্ণুতা রক্ষার্থে বাংলাদেশের আইনজ্ঞদের দ্বারা সচেতনভাবেই তৈরি একটি অ্যাক্ট - এ ব্যাপারে সন্দেহ প্রকাশ করার অবকাশ নেই।

আমার কাছে যেটা গুরুত্বপূর্ণ মনে হয়, তা হল ব্লগে নিজ ধর্মের শ্রেষ্ঠত্ব বর্ণনা করার প্রচেষ্টা বর্জন করার চেষ্টা করা উচিৎ। কারণ, বাংলাদেশ মুসলিম প্রধান দেশ, এখানে বারবার ইসলাম ধর্মের শ্রেষ্ঠত্ব নিয়ে লেখা বা পোস্ট শেয়ার করা বাংলাদেশের অন্যান্য ধর্ম সম্প্রদায়ের মানুষের ওপর চাপ সৃষ্টি করার মতই। কারণ একজন হিন্দুর পক্ষে কেন হিন্দু ধর্ম শ্রেষ্ঠ, বা কেন হিন্দু হিসেবে আমি গর্ববোধ করি - এধরণের লেখা শেয়ার করা অতটা সহজ না, যতটা মুসলমানের পক্ষে সহজ।

এবং, কোরআন হাদিস দিয়ে অন্যধর্মের মানুষ বা নাস্তিক সম্প্রদায়কে ইসলাম বোঝানোর চেষ্টা করাটাও ফলপ্রসূ হবে না, কারণ আমাদের কাছে কোরআনের যে মূল্য, অন্যধর্মের মানুষ বা নাস্তিক সম্প্রদায়ের কাছে কোরআনের সে মূল্যায়ন নেই। বরং একটা নিক থেকে এসে ইসলাম আর কোরআনকে আরও দুটো গালি দেয়ার সুযোগ আপনি করে দিলেন। কাজেই ধর্মবিশ্বাসীদের জন্যেও ব্লগকে আসলে ধর্মপ্রচারের জায়গা হিসেবে বিবেচনা না করাই উচিৎ।

বরং বাঙ্গালী মুসলমান নিজের ধর্মীয় শিক্ষাকে নিজের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব নিরসনের, নিজেকে আরও ভালো একজন মানুষ হিসেবে তৈরি করবার একটি সূত্র হিসেবে বিবেচনা করুক। নিজের পাড়াপ্রতিবেশীর, আত্মীয়স্বজনের সাথে সম্পর্ক উন্নয়নের জন্যে ব্যাবহার করুক। নিজের পেশাগত দায়িত্ব একশো ভাগ মনোযোগ দিয়ে, ভালোবাসার সঙ্গে পালন করুক। দেশ ও দেশের মানুষকে ভালোবাসুক , তা সে যে ধর্ম বা মতপথেরই হোক না কেন। দিনের শেষে সিনা টান করে নিজের বাঙ্গালী মুসলমান পরিচয় বিনাদ্বিধায়, বিনা লজ্জায় সবার সঙ্গে শেয়ার করুক।


মন্তব্য ৩৫ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (৩৫) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে মে, ২০২০ দুপুর ২:১০

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: স্যার অব এশিয়া পসিফিক

ডারউইন তার কোন বইতে বলে গেছে বানর থেকে মানুষ হইছে?


আপনি শিক্ষক মানুষ, আপনি ভুল করবেন সেটা মেনে নিতে পারি না। তার ওপর ডিইউ মানে প্রাচ্যের অক্সফোর্ড পাশ। একটু জানতে আগ্রহী স্যার

২| ২৮ শে মে, ২০২০ দুপুর ২:২১

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: আমি কে এবং দেশে থাকতে কি করেছিলাম সেটা ব্লগ থেকে শুরু করে আই ইবির অনেকেই জানে। ধরেই নিন আমি ইস্ট ওয়েস্টের ছাত্র যদিই পরাইভেট নিয়ে ব্লগে আমার বিষেদগার বেশ পুরোনো।
তার আগে আমার প্রশ্নের উত্তর দিন

আপনি একজন শিক্ষক এবং দাবী করেন অনেক বই পড়েছেন। আপনার ব্লগ ভরেই আমিত্বের ঠাসবুনোন।

সেই পড়াশোনা থেকেই বলুন.... ডারউইন তার কুন বইতে বলেছে বানর থেকে মানুষের বিবর্তন? সিম্পল কুশ্চেন

২৯ শে মে, ২০২০ দুপুর ১:৩৭

সাজিদ উল হক আবির বলেছেন: আপনি একজন স্বস্বীকৃত ইসলামোফোব। আমি আমার ব্যক্তিজীবনে কোন ইসলামোফোব, হিন্দুফোব, পাহাড়িফোব - বা কোন নির্দিষ্ট জাতিগোষ্ঠীর প্রতি একচোখা বিদ্বেষ রাখে এমন কারো সাথে আলাপে যাই না। এছাড়াও আপনার এই লেখাটির ৫ নং মন্তব্যের উত্তরে
আপনার - "ধর্মানুভূতিতে আঘাত করা, মুহাম্মদকে লেংটা করে তার ইজ্জত হাটে উঠানো ফ্রান্স আমেরিকা ইংল্যান্ড সহ নানা দেশে জায়েজ।" প্রতিমন্তব্যের কারণে আমি আপনার, এবং আপনার সাথে সুসম্পর্ক রাখে এমন সবার সাথেই সবরকম ব্লগিয় ইন্টার‍্যাকশন থেকে নিজেকে বিরত রাখার ঘোষণা দিচ্ছি।

৩| ২৮ শে মে, ২০২০ দুপুর ২:২৭

বিজয় নিশান ৯০ বলেছেন: আপনার মত বিদ্বান আমি নই । আপনার পোস্ট বুঝতে হলে সময় দিতে হবে যেটা আমার নেই।
এই তথাকথিত মুক্তমনা গ্রুপ দুই ভাগে বিভক্ত । প্রো-আমেরিকান এবং প্রো-ইউরোপিয়ান। যেকজন মারা গেছেন সবাই প্রো-আমেরিকান ।
একসময় istishon blog চমৎকার প্লাটফরম ছিল । কিন্তু ২০১৪ সালের পর থেকে এরা পুরোপুরি ইসলামবিদ্বেষী হয়ে পড়ে । এই ব্লগের সাথে জড়িতরা আজ জার্মানি আর সুইডেনে এসাইলাম নিয়ে আছে ।

২৮ শে মে, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৪৯

সাজিদ উল হক আবির বলেছেন: ধন্যবাদ। বাংলাদেশে ব্লগে ইসলামবিদ্বেষ, আর ইসলামপ্রচার সংক্রান্ত লেখা ছাড়া মানসম্মত সৃজনশীল লেখা চোখে তেমন একটা পড়ে না। পীড়াদায়ক একটা অবস্থা।

৪| ২৮ শে মে, ২০২০ দুপুর ২:৩০

নতুন নকিব বলেছেন:



ধন্যবাদ। +

৫| ২৮ শে মে, ২০২০ দুপুর ২:৫৯

নেওয়াজ আলি বলেছেন: বাংলাদেশ যেত দিন থাকবে মুক্তমনাও থাকবে ।

৬| ২৮ শে মে, ২০২০ বিকাল ৩:০২

খাঁজা বাবা বলেছেন: এই মুক্তমনাদের সম্পর্কে আমার পর্যবেক্ষন হোল,
এরা ইসলাম ও এর ইতিহাস নিয়ে মোটামুটি পড়াশুনা করে, এর পর এরা বিভিন্ন, হাদিস কোরানের আলোকে সুকৌশলে গল্প ফাদে। ইসলামকে এরা এমন ভাবে উপস্থাপন করে যেন দেখলেই মনে হবে এটার উদ্দেশ্য শুধুমাত্র দুনিয়াবি। বাকি সব ধোকা। মুসলিম মানেই জংগি। এরা যে রেফারেন্স গুলি দেয় তা সহি।

সমস্যা হচ্ছে এরা কোরান, হাদিসের যে ব্যাখ্যা দেয় তা সুকৌশলে ভুল ব্যাখ্যা দেয়। একটা আয়াত বা হাদিস অন্য একটি ঘটনার সাথে লিংক করিয়ে দেখায় এবং ঘটনা খুব সুক্ষ ভাবে কিছুটা পরিবর্তন করে ফেলে।

আপনি এদের লেখা পড়ে যখন রেফারেন্স খুজবেন তখন তা পেয়ে যাবেন এবং তখন আপনার মনে সন্দেহ ঢুকে যাবে, যা আপনার ইমান দূর্বল করে দেবে। এরা সংঘবদ্ধ ভাবে একটি চক্র যে কোন একটি উদ্দেশ্যে এ কাজটি করে থাকে।

এখন আপনার যদি বলেন এদের লেখা আপনি বা যারা জ্ঞানী তারা উপেক্ষা করবে, সেটা হবে ভুল। কারন এরা কিছু মানুষকে বিভ্রান্ত করে ফেলবে।
আপনার যদি ইসলাম সম্পর্কে পর্যাপ্ত জ্ঞান থাকে তবে এদের মতামত গুলিকে যুক্তি এবং রেফারেন্স দিয়ে জবাব দেয়া উচিত। সেটা ব্লগ, বই বা ইউটিউব চ্যানেল যাই হোক না কেন।

সম্প্রতি আমার এক বন্ধু এই মুক্তমনা গোষ্ঠির জালে আটকায়। এরা তার ব্রেইন ওয়াশ করা শুরু করে বিভিন্ন রেফারেন্স দিয়ে, যা সহি। আমার বন্ধু যখন আমার যাথে তা সেয়ার করে আমি তাকে বুঝাতে পারছিলাম না। কারন ইসলামের ইতিহাস, কোরান হাদিস সম্পর্কে আমার ওত গভীর জ্ঞান নাই। তখন আমি আর আমার আর এক বন্ধু মিলে ওই রেফারেন্স গুলি আর ঘটনা গুলি ধরে খুজতে গিয়ে আসল ঘটনা উন্মোচন করি।

০৫ ই জুন, ২০২০ দুপুর ১:২১

সাজিদ উল হক আবির বলেছেন: বড় একটা মন্তব্য লিখেছেন, সৎ অনুপ্রেরণার জায়গা থেকে। আপনাকে ধন্যবাদ দিই।

আমার তরফ থেকে জবাব এতটুকুই, যেটা আগেও বলে এসেছি -

ইসলামকে ডিফেন্ড করবার কোন মিশন আমার নেই, সে যোগ্যতাও আমার নেই। আমি বাঙ্গালী মুসলমানদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের ব্লগসাইটগুলোতে ইসলামবিদ্বেষী ও স্বস্বীকৃতি ইসলামোফোবেরা যেভাবে ধারাবাহিক পরিচয়সন্ত্রাস ছড়িয়ে এসেছে, তার বিরুদ্ধে লিখছি, আপাতত। শুধু এই বিষয়েই আজীবন লিখবো, এমনটাও নয়। ইসলাম সংক্রান্ত বুনিয়াদী প্রশ্নউত্তরের জবাব দেয়ার কাজ বাংলাদেশের প্রফেশনাল মাওলানা সাহেবদের। যারা ইসলাম বিদ্বেষী, তাদের জন্যেও নৈতিক ভাবে সৎ একটা কাজ হত, যদি তাঁরা প্রশ্নগুলি এই ওপেন প্ল্যাটফর্মে ছুঁড়ে না দিয়ে ইসলাম বিশেষজ্ঞদের সাথে গিয়ে আলোচনা করতো। আপনার বন্ধুর প্রতিও একই পরামর্শ, যদি তার আসলেই ইসলাম সংক্রান্ত প্রশ্ন থেকে থাকে, তাঁকে কোন ইসলাম বিশেষজ্ঞের কাছে নিয়ে যান।

শুভকামনা।

৭| ২৮ শে মে, ২০২০ বিকাল ৩:১৪

শূন্য সারমর্ম বলেছেন: ইস্টিশন ও মুক্তমনায় ডুকলে মনে হয় সময়ের অপচয়। ব্লগারেরা শুধু শুধু এসব নিয়ে পড়ে থাকে।

৮| ২৮ শে মে, ২০২০ বিকাল ৩:৫৭

মাহিরাহি বলেছেন: সবচাইতে লজ্জার ব্যপার এদের সাথে বুঝে না বুঝে সুর মেলায় অনেকে।

বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই এদের আচরণ হয় অশালীন, বেপরোয়া। ব্যক্তি আক্রমনের স্বীকার হয় সবাই।


৯| ২৮ শে মে, ২০২০ বিকাল ৪:১৪

রাজীব নুর বলেছেন: নিরপেক্ষ থাকাই ভালো।

১০| ২৮ শে মে, ২০২০ বিকাল ৪:৪৯

সত্যপীরবাবা বলেছেন: আমার একটা পর্যবেক্ষন এই ব্লগে, ধর্ম নিয়ে লেখালেখি যারা করেন (তিনি আস্তিক বা নাস্তিক যাই হোন) তাঁরা ধর্মের আধ্যাত্মিক বা পারমার্থিক দিকের চাইতে আনুষ্ঠানিক বা আচরণিক বিষয়ে আলোচনায় উৎসাহি।

০৫ ই জুন, ২০২০ দুপুর ১:২২

সাজিদ উল হক আবির বলেছেন: একমত, আপনার সাথে।

১১| ২৮ শে মে, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৪৩

নিরীক্ষক৩২৭ বলেছেন: শুধু ৯ নম্বর পয়েন্টের কথা বলব।
আপনি যদি বলেন 'আমি থিওরি অফ গ্রাভিটিকে সম্মান করি, কিন্তু বিশ্বাস করি না' তাহলে একই রকম শোনাবে।
সুইসাইডাল ডিপ্রেশনে ভোগা মানুষকে বাচানোর কাজ কোনো থিওরির না, সে কাজ ডাক্তার বা সে ধরনের কোনো প্রফেসনালের।

স্প্রিরিচুয়াল ব্যাপারে ধর্ম হেল্প করতে পারে, কিন্তু সেটা যখন অন্যের ক্ষতির কারন হয়ে দা্ড়ায়? যখন হুজুর বলে করোনা ভাইরাস মুসলিমদের হবে না, যখন তারা বলে ছোঁয়াচে রোগ বলে কিছু নাই? খেয়াল করে দেখবেন তাদের ফ্যানবেজ তাদের কথা কিভাবে মানে। ইভেন হেফাজতের কারনে সিলেবাস পর্যন্ত বদলাতে হয়ে ছিল। ফিজিক্স পড়লে থিওরি অফ গ্রাভিটি যেমন পড়া লাগবে বায়োলোজি পড়তে গেলে, ইভোলুশোনও পড়া লাগবে। আর এগুলা যদি বলেন শুধু পড়ার জন্যই পড়তে তাহলে আমার কিছু বলার নাই, হুদাই কমেন্ট লিখলাম। এখন কথা হইলো এগুলা নিয়ে হুজুররা কি বলে কারন তাদের এক বিশাল ফ্যানবেজ আছে এদেশে। হেফাজতের কারনে সিলেবাস চেন্জ করা লাগছিল, আর কিছু বলবো না একটু কষ্ট করে বুঝে নিয়েন।
ধর্ম পারসোনালি যার যার স্প্রিরিচুয়াল প্রয়োজন অনুযায়ী প্রাকটিস করাই ভালো। সামাজিক বা রাজনৈতিক রুপ দেওয়া উচিত না।

"জার্মানির ল অনেক ভালো" আর "জার্মানরা ল মানে" দুইটা আলাদা কথা। দেশের মানুষ ইসলাম মানলে দেশ দূর্নীতিতে প্রথম কেন হয়?


১২| ২৮ শে মে, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৪৮

চাঁদগাজী বলেছেন:



আপনার পকেটে রগ কাটার যন্ত্র থাকে সব সময়?

১৩| ২৯ শে মে, ২০২০ ভোর ৫:৫১

স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: বাংলাদেশে সেকুলার চিন্তাধারার শীর্ষস্থানীয় লেখক-প্রাবন্ধিকদের মধ্যে বদরুদ্দীন উমর, হাসান আজিজুল হক অন্যতম | এদের লেখায় ধর্ম বা ধর্মভাবানুতিকে আক্রমণ করে স্ট্যান্টবাজি করার প্রবণতা লক্ষ্য করা যায় না, কারণ সময়ের পরিক্রমণে তাদের চিন্তাচেতনায় অনেক পরিণত ও পরিমিতিবোধ এসেছে |

এই ধরণের পরিমিতিবোধ তরুণ প্রজন্মের মধ্যে আশা করা বোধহয় ঠিক হবে না | মনে আছে এরশাদবিরোধী আন্দোলনের সময় আমার কৈশোর ও যৌবনের কথা | সে সময় তার লাঠিয়াল বাহিনীর ছুরি, চাপাতি বা হকিস্টিক অথবা মিছিলে পুলিশের গুলি, ট্রাক তুলে দেয়াও স্বৈরাচার বিরোধিতায় আমাদেরকে দমাতে পারতো না | এখন ওই বয়সের ওই সকল কর্মকান্ডকে অনেক হটকারী বলেই আমার কাছে মনে হয় | তরুণ প্রজন্ম আবেগের বশবর্তী হয়ে যে কোনো যে দল বা মতাদর্শের প্রতি চরমভাবে ঝুঁকে পড়ে - তা সে আস্তিকতা হক বা নাস্তিকতা হক | সুতরাং যে সকল তরুণরা এই দুই চরম পন্থার ধ্যানধারণা নিয়ে যুদ্ধংদেহি মনোভাব প্রদর্শন করছে, সময়ের পরিক্রমায় তারাও একদিন তাদের আচার আচরণে অনেক সংযত ও পরিমিতিবোধের প্রদর্শন করবে বলেই আমার বিশ্বাস |

তবে বাংলাদেশের বর্তমান তরুণ প্রজন্মের মধ্যে যে গুণাবলীগুলোর অভাব খুব অনুভব করি তা হচ্ছে সততা ও মানবিকতার অভাব | এই বিষয়গুলো কি নাস্তিক কি আস্তিক সবার মধ্য থেকেই হারিয়ে যাচ্ছে ।

২৯ শে মে, ২০২০ দুপুর ২:০৫

সাজিদ উল হক আবির বলেছেন: স্বামীজী, আপনার মন্তব্যটি সুন্দর। আমিও, এই লেখাতে বারবার বুদ্ধিবৃত্তিক সততার প্রশ্নটাই সামনে আনছিলাম। বিষদ আলোচনা হয়তো হবে ভবিষ্যতে। কিন্তু এই লেখার পীঠে আর নয়। শুভকামনা রইল।

০৫ ই জুন, ২০২০ দুপুর ১:১০

সাজিদ উল হক আবির বলেছেন: স্বামীজি, আবারো ফিরে এলাম আপনার মন্তব্যে। কিছু বিষয় আনটাচড থেকে গিয়েছিল, যেগুলো আলোচনা না করে এড়িয়ে যাওয়া ঠিক হবেনা।

যেমন দু'জন প্রথিতযশা লেখকের কথা বললেন। উমর সাহেব, এবং আজিজুল হক সাহেব।

যখন কারো অন্তর্ভেদী দৃষ্টিশক্তি থাকে, অন্তর দিয়ে অনুধাবন করবার ক্ষমতা থাকে, এবং বলবার মত অনেক গল্প থাকে - তখন আর তারপক্ষে ধর্ম নিয়ে স্টান্টবাজি করবার প্রয়োজন পড়ে না। রবীন্দ্রনাথের গোরা - উপন্যাসটিকেই ধরা যাক। বৈদিক সমাজ ব্যবস্থার এমন ক্ষুরধার সমালোচনা - বিশ্ব সাহিত্যের ইতিহাসেই বিরল। তবুও, রবীন্দ্রনাথের তো মানুষের সেন্টিমেন্টে খোঁচা দেয়ার মত নিম্নশ্রেণীর বুদ্ধিবৃত্তিক কাজ করবার প্রয়োজন পড়ে নি।

তরুণ প্রজন্মের সততা ও মানবিকতার অভাবের কথা বললেন। আমি বরাবরই অল্প বয়সে পৃথিবীতে গভীর ভূমিকা রেখে চলে গেছেন, এমন সব সৃষ্টিশীল মানুষের দিকেই তাকাই, অনুপ্রেরণার জন্যে। যেমন , রবীন্দ্রনাথ নিজেও শান্তিনিকেতনে জন কিটসের কবিতা পড়াতেন, এবং স্বরচিত কবিতার সাথে ২৬ বছর বয়সে মৃত্যু বরন করা কিটসের কবিতার সাযুজ্য খুঁজে পেয়ে আত্মশ্লাঘা অনুভব করতেন। বস্তুত, জীবনকে তার দৈর্ঘ্য দিয়ে মাপার বদলে তীব্রতা দিয়ে মাপাই শ্রেয়, বড়মাপের মানুষেরা তাই করেছেন সর্বদা।

কিন্তু এখন এমন একটা সময়ে আমরা বাস করি, যেখানে কাপড় খুলে পর্ণ ইন্ডাস্ট্রিতে যোগ দিলে যেমন অল্প সময়ে অধিক আলোচনা - সমালোচনা - এমনকি অর্থকড়ির রমরমা অবস্থা হাতিয়ে নেয়া যায়, ঠিক একই ভাবে বুদ্ধিবৃত্তিকভাবে উলঙ্গ হয়ে বাপ -দাদার ধর্ম, সমাজ, সংস্কৃতি থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে রাস্তায় নেমে খ্যামটা নাচন দিলেও মানুষের মনোযোগ কাড়া, এমনকি পাশ্চাত্যের দেশগুলোতে পেইড অ্যাসাইলেম নেয়া যায়।

পর্ণ ইন্ডাস্ট্রিকে যেভাবে সর্বতউপায়ে আর উধাও করা সম্ভব হবে না অন্তরজাল থেকে, একইভাবে, বিবিধ সামাজিক প্রোপ্যাগান্ডাবাজদেরও আর পুরোপুরি দমিয়ে ফেলা যাবে না, অন্তত অনলাইনে। এর মধ্যেই, একটা সরু - সংকীর্ণ - বিপদসংকুল পথ দিয়ে আমাদের অগ্রগমন হবে, আলোর দিকে।

শুভেচ্ছা জানবেন।

১৪| ২৯ শে মে, ২০২০ দুপুর ১২:৩০

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: @ স্বামী বিশুদ্ধনান্দ


একটা কথা শেয়ার করি। উনি একজন শিক্ষক মানুষ। সম্মান করি। স্বভাবতই সে যাই লিখুক বলুক আমরা সঠিক তথ্য আশা করি। আগেও লিখেছি কথা বেশী প্যাচাতে গিয়ে বাক্যের প্রথমে সিদ্ধান্ত নিয়ে পরের অংশে কঠিন টার্ম জুড়ে দেন। ধর্ম ও দর্শন সংক্রান্ত অনেক ভুল আছে।

ডারউইনের ব্যাপারে যেটা বলেছেন সেটা আরো একটা বড় ভুল। আমি শেষবার যখন একটা ভুল ধরানোর চেস্টা করি, শুধু আমি না, অনেকেই কিছু বলার চেস্টা করেন, উনি রেগে কাই হয়ে ১০-১২ টা প্রতিউত্তরে বযাক্তি আক্রমণ ও গুলিস্তানের পাতী নেতার যে জ্বালাময়ী বক্তৃতা, কথায় কথায় যেমন বঙ্গবন্ধু এনে আবেগী আহ্বান সেসব বৈ আর কিছু নাই। কিন্তু এগুলো বললে রেহাই নেই। একজন শিক্ষককে যদি প্রশ্ন করলে এমন রেগে কাই হয়ে বযাক্তি আক্রমণ করেন সে কেমন ধারার মানুষ

তারপরও গালির ধার ধরলাম না। কারন ডারউইনের নামে এমন শিশুতোষ মিথযাচার যারা কিনা রাস্তার অশিক্ষিত ওয়াজী মুমিনরা করে সেটা যদি ব্লগে প্রাইভেটের এক শিক্ষকের এত বড় পোস্টে করতে দেখি, তখন বাংলাদেশের শিক্ষাব্যাবস্থা নিয়ে প্রমাদ গুনতে হয়।

আর ব্লগে কথায় কথায় থ্রেট, এবং একটা রিপ্লাইতে দিলেন এই ব্লগে নাকি ভালো লেখা তেমন নাই।

এমন হাস্যকর দম্ভোক্তি।

বাংলাদেশে হক মাওলা বলে সব যেমন খাওয়ানো যায়, গতকাল কে যেনো বলেছিলো, ইনি সর্বোত্তম উদাহারন

এবং আপনি ধরে রাখুন ডারউইনের প্রশ্নের উত্তরে কতগুলো বিষেদগার ও থ্রেট দেয়

অনলের ফটোকপি

১৫| ২৯ শে মে, ২০২০ দুপুর ১:৩২

বিজয় নিশান ৯০ বলেছেন: মানসম্মত সৃজনশীল লেখা অবশ্যই আছে । আপনার দৃষ্টিতে হয়তো পড়ে নি ।

০৫ ই জুন, ২০২০ দুপুর ১:২৮

সাজিদ উল হক আবির বলেছেন: মানসম্মত বলতে, আমি যে স্ট্যান্ডার্ডের লেখা পছন্দ করি, বা গবেষণার কাজে নিয়মিত আমার পড়া লাগে, যেমন - আহমদ শরীফ, আহমেদ ছফা, আখতারুজ্জামান ইলিয়াস, শহিদুল জহির, সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, বদরুদ্দিন উমর, চমস্কি, বা সায়ীদ, সে স্ট্যান্ডার্ডের লেখা এখানে পাই না। এই ধরনের লেখা ব্লগ পর্যায়ে খোঁজাও হয়তো আমারি ভুল।

১৬| ২৯ শে মে, ২০২০ দুপুর ১:৪৩

সাজিদ উল হক আবির বলেছেন: ব্লগের যারাই এই লেখাটি পড়ে পড়তে আসবেন, ব্লগার উদাসী স্বপ্নের দ্বিতীয় মন্তব্যের জেরে হয়তো আপনারা বুঝতে পারছেন যে কেন তার সাথে যে কোন আলাপে যাওয়াই আমার রুচিতে বৈরিতা তৈরি করে। কিন্তু তার প্রথম ও দ্বিতীয় মন্তব্যের গতিপ্রকৃতি বোঝা, আমার - আপনার সবার জন্যেই প্রয়োজন।

১। তার একদম প্রথম মন্তব্যটি ছিল -

স্যার অব এশিয়া পসিফিক
ডারউইন তার কোন বইতে বলে গেছে বানর থেকে মানুষ হইছে?

প্রশ্নটা বাদ দিই। এই সম্ভাষণটাই একটা ইতরের মত সম্ভাষণ। একটি নির্দিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়, তথা এশিয়া প্যাসিফিক ইউনিভার্সিটির শিক্ষকদের প্রতি অবজ্ঞা স্পষ্টভাবে ফুটে আছে এই সম্ভাষণেই।

ইতরামি - ইসলামবিদ্বেষ যারা ছড়ায়, তাদের অনলাইন আচরণের একটা ওতপ্রোত অনুষঙ্গ। ব্লগ যেহেতু একটা বাপ - মা ছাড়া জায়গা, স্রেফ নিজের নামধাম বদলে যার সাথে যেরকম ইতরামি করা সম্ভব, তাঁরা করে, মূলত - যে জায়গায় তাদের ধান্দার গোঁড়ায় আঘাত লাগে।

১৭| ২৯ শে মে, ২০২০ দুপুর ১:৪৬

সাজিদ উল হক আবির বলেছেন: ২। আমি যখন প্রশ্ন করলাম, আপনার পড়াশোনা কোথায়, ব্লগার উদাসী স্বপ্নের উত্তর ছিল -

আমি কে এবং দেশে থাকতে কি করেছিলাম সেটা ব্লগ থেকে শুরু করে আই ইবির অনেকেই জানে।

আমি জানি না সে দেশে থাকতে কি করেছে, বা সে কে। আমার উত্তরটা স্পেসিফিকভাবে জানা প্রয়োজন, কারণ প্রথম সম্ভাষণই ইতরের মত তার আমার জ্ঞানের পরিধি মাপার যে প্রচেষ্টা, তার প্রত্যুত্তর কেবল সে আসলে মানুষটা কে, তার বাপ - মা কি করে, সে কোন পরিবেশে মানুষ, তার পড়াশোনা কোথায় এগুলো জানার পরেই হতে পারে।

আর যদি উদাসী স্বপ্ন নামের এই ব্লগারের ব্লগে গিয়ে তার পরিচয় উদ্ঘাটন করার চেষ্টা করি তবে দেখা যাবে ড্রেন থেকে আবর্জনা উপচায়ে যেভাবে পড়ে, সেভাবে কেবল ইসলামবিদ্বেষ উপচায়ে পড়ছে। ইহজনমে ইসলাম আর মুসলমানদের গালি দেয়া ছাড়া আর কোন কাজ না করেই যদি সে তার ভাষ্য মতে আসলেই বিখ্যাত হয়ে থাকে - তাহলে বুঝতে হবে, বাংলা ব্লগের খুব খারাপ একটা সময় চলছে।

১৮| ২৯ শে মে, ২০২০ দুপুর ১:৪৭

সাজিদ উল হক আবির বলেছেন: ৩। উদাসী স্বপ্ন পরে যুক্ত করলেন -

"ধরেই নিন আমি ইস্ট ওয়েস্টের ছাত্র যদিই পরাইভেট নিয়ে ব্লগে আমার বিষেদগার বেশ পুরোনো।"

মন্তব্যের এই অংশটি খেয়াল করুন - বেশীরভাগ সময় এদের কথাবার্তা - এদের পরিচয় "ধরে নিন" থেকে শুরু হয়। নিজের আত্মপরিচয় যারা এতো খেলোভাবে উপস্থাপন করে - তাদের সাথে কোন আত্মমর্যাদাবান মানুষ কেন কথা বলতে যাবে?

১৯| ২৯ শে মে, ২০২০ দুপুর ১:৫৫

সাজিদ উল হক আবির বলেছেন: ৪। এবং উদাসী স্বপ্ন বললেন - তার আগে আমার প্রশ্নের উত্তর দিন - ডারউইন তার কোন বইতে বলছে মানুষ বান্দর থেকে আসছে।

প্রথমত, আমার মূল লেখায় আমি ডারউইনকে বিবর্তনবাদের জনক হিসেবে উল্লেখ করেছি। উদাসী স্বপ্নের প্রশ্নের ফ্রেইজিংটা ওনার নিজের বানানো। আমার মূল লেখা থেকে নেয়া না।

দ্বিতীয়ত, উক্ত ব্লগার আমার পুরো লেখা থেকে যে উক্তিটাকে বিতর্কের প্রথম ও প্রধান বিষয় হিসেবে বিবেচনা করলেন, বাংলার ইসলামবিদ্বেষী, ইসলামোফোবদের কেন এড়িয়ে চলতে হবে - সে সংক্রান্ত যে দশটা পয়েন্ট আমি উল্লেখ করেছি, তার একটারও উত্তর দেয় না, কিন্তু তার প্রশ্নটি মূল আলোচনাটাকে ঘুরায়ে এমন একটা দিকে প্রবাহিত করে, যাতে ওর ইসলামকে আরও দুটো গালি দেয়ার সুযোগ হয়, এবং একই সঙ্গে আমার ক্যারেক্টার অ্যাসাসিনেশনে সুবিধা হয়।

তৃতীয়ত, মূল লেখার যে পয়েন্ট থেকে উনি এ প্রশ্নটি তৈরি করলেন, সে পয়েন্টের মূল আর্গুমেন্ট ছিল - বিজ্ঞান আর ধর্ম , বাংলার মুসলমানের দৈনন্দিন জীবনে কোন কোন জায়গায় বিবাদ তৈরি করে, এটার একটা সামগ্রিক ফর্দ, মুক্তমনাদেরই তৈরি করে দেয়া উচিৎ।

উদাসী স্বপ্ন, সে কাজ করেছেন?


আমার লেখা ভুলভাবে ব্যাখ্যা করে, মূল প্রশ্নের উত্তর না দিয়ে, মনগড়া একটা প্রশ্ন বানিয়ে যদি সে আলোচনা ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে চায়, আমি তাঁকে সে সুযোগ কেন দেব?

বরং আমি উল্টো প্রশ্ন করি - আমার মেধামননের ব্যাপারে তার সন্দেহ নিরসনের দারভার আমাকে কে দিয়েছে?

২০| ২৯ শে মে, ২০২০ দুপুর ১:৫৫

বিজয় নিশান ৯০ বলেছেন: আপনার লিঙ্ক এর সূত্র ধরে ঐ পোস্টে গেলাম। এমন অরুচির বক্তব্য এখনো ব্লগ থেকে ডিলিট হয় নাই। সম্ভবত মডারেটর দেখতে পাননি ।
উদাসী তাসনিম খলিল এর জাত ভাই

২১| ২৯ শে মে, ২০২০ দুপুর ১:৫৬

সাজিদ উল হক আবির বলেছেন: ৫। উদাসী স্বপ্ন উল্লেখ করলেন - "আপনি একজন শিক্ষক এবং দাবী করেন অনেক বই পড়েছেন।"

আমাকে বারবার "শিক্ষকতার" পরিচয়ে দেখা হচ্ছে, যেটা এই আলোচনার সাথে কোনভাবেই প্রাসঙ্গিক না।

এবং তিনি বললেন - "আপনার ব্লগ ভরেই আমিত্বের ঠাসবুনোন।"

এই হচ্ছে উদাসী স্বপ্নের দ্বিচারিতার প্রকৃত উদাহরণ। এমনিতে তাঁরা ইন্ডিভিজুয়ালিজমের পক্ষে কথা বলবে , কিন্তু যদি কারো বিরুদ্ধে যাওয়া লাগে - তখন তাঁরা সেই ব্যক্তিশ্বাতন্ত্রকেই তার নেতিবাচক পয়েন্ট হিসেবে বিবেচনা করবে

২২| ২৯ শে মে, ২০২০ দুপুর ২:০০

সাজিদ উল হক আবির বলেছেন: ৭।
উদাসী স্বপ্নের ২য় মন্তব্যের শেষ উক্তি -

সেই পড়াশোনা থেকেই বলুন.... ডারউইন তার কুন বইতে বলেছে বানর থেকে মানুষের বিবর্তন? সিম্পল কুশ্চেন।

এখন, প্রাথমিকভাবেই ইতরামির পরিচয় দেয়া, একটা নির্দিষ্ট ইউনিভার্সিটির শিক্ষক শ্রেণীরে অবজ্ঞা প্রদর্শন করা, ইসলামোফোব হিসেবে গর্ব করা, ইসলামবিদ্বেষ ছড়ানো, বেশীর ভাগ আলোচনা "ধরে নিন" দিয়ে শুরু করা, তার দিকে ছুঁড়ে দেয়া প্রশ্ন ডজ দিয়ে উল্টা প্রশ্ন করে আলোচনা ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার ফাতরামি করা, দ্বিচারী একটা লোক, যার বংশ পরিচয়, কোথা থেকে এসেছে, কোথায় থাকে, কোথায় পড়াশোনা করেছে এটা বলার মত মুখ রাখে না এমন কেউ যদি ব্যক্তিজীবনে সামনাসামনি আমার সাথে আলাপে জড়ানোর চেষ্টা করতো, আমি কি তার প্রশ্নের উত্তর দেয়া নিজের জন্যে বাধ্যতামূলক মনে করতাম?
আমি মনে করতাম না।

উদাসী স্বপ্ন একজন ইসলাম এবং মুসলিমবিদ্বেষী। সে একজন স্বীকৃত ইসলামোফোব। তার ব্লগে সে পৃথিবীর ২০০ কোটির বেশী মুসলিম, এবং বাংলাদেশের ১৫.২ কোটি মুসলমানদের বিশ্বাস, তাদের রাসুলের ব্যাপারে এমন নোংরা মন্তব্য করে, সে যদি তার মায়ের কবরের পাশে গিয়ে দাঁড়ায়, তার মৃত মা কবর থেকে উঠে এসে ওর মুখে থুতু দিতো। এহেন ইসলামোফোব - হিন্দুফোব - পাহাড়িফোব এই জাতীয় কোন লোকের সঙ্গে কোন রকম কথাবার্তা বলা একজন মানুষের জন্যে অসম্মানজনক মনে করি।


উদাসী স্বপ্ন, বা ওর ব্লগে যাদের নিয়মিত গতায়াত আছে, তাদের সবার ব্যাপারেও আমার একই নৈতিক অবস্থান । কোন আলাপ নাই। কোন প্রত্যুত্তর নাই তাদের সাথে। এই লেখার পীঠে, এবং অন্যান্য সমস্ত লেখার পীঠেও। এর ফলে যদি একজন পাঠক ও আমার ব্লগে এর কারণে না আসে, তবুও।

২৩| ২৯ শে মে, ২০২০ দুপুর ২:০০

আমি সাজিদ বলেছেন: একটা মানুষ কিভাবে ইংরেজিও টিচার হতে পারে আবার ফাইন আর্টসেরও? একই সাথে রগ কাটার যন্ত্র নিয়ে ঘুরে বেড়ানোর পটেনশিয়াল ধারনাও রাখে? ব্যাপারটা তো একসাথে এমপি, মন্ত্রী, সংসদীয় কমিটির চেয়ারম্যান, গ্রুপ অব কোম্পানির এমডি, সাথে স্পিকার হওয়ার মতোই চ্যালেঞ্জিংং!

২৪| ২৯ শে মে, ২০২০ বিকাল ৪:০৫

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: ডারউইনের বানর থেকে মানুষ সেটার রেফারেন্স নেই।

ক্রোধান্বিত হয়ে আমার মৃত মা কেও ছাড়লেন না।

দারুন ইসলামী শিক্ষা এবং এরাই বাংলাদেশের উচ্চশিক্ষাতে শিক্ষকতার পদ নিয়ে বুদ্ধিজীবি খেতাব লাগাচ্ছেন।

ব্রাভো!

আমার পুরোনো পোস্টে আমার ছবি নাম ঠিকানা সবই পাবেন। জাস্ট টু লেট ইউ নো। কারন আপনি অবসেসড। রাত দিন লগ ইন হলেই আপনার সর্বশেষ পরিদর্শনকারীর প্রথম লিস্টে থাকে।

এনিওয়ে ডারউইনের প্রশ্নের উত্তর দিতে পারবেন না। কারন মিথ্যা কখনো সত্য হয় না।


=p~ =p~ =p~ :D

২৫| ২৯ শে মে, ২০২০ রাত ১০:১১

সোনালি কাবিন বলেছেন: আমি সাজিদ বলেছেন: একটা মানুষ কিভাবে ইংরেজিও টিচার হতে পারে আবার ফাইন আর্টসেরও? একই সাথে রগ কাটার যন্ত্র নিয়ে ঘুরে বেড়ানোর পটেনশিয়াল ধারনাও রাখে? ব্যাপারটা তো একসাথে এমপি, মন্ত্রী, সংসদীয় কমিটির চেয়ারম্যান, গ্রুপ অব কোম্পানির এমডি, সাথে স্পিকার হওয়ার মতোই চ্যালেঞ্জিংং!

:-B :-B

২৬| ০৪ ঠা জুন, ২০২০ ভোর ৬:২৭

আশাবাদী অধম বলেছেন: এই উদাসী স্বপ্ন একটা আত্মস্বীকৃত মানসিক রোগী। একে ইগনোর করুন।

আপনার পোস্টটি আমার অনেক ভালো লেগেছে। আন্তরিক ধন্যবাদ।

০৫ ই জুন, ২০২০ দুপুর ১:৩২

সাজিদ উল হক আবির বলেছেন: ইগনোরের বদলে "বয়কট" - এ আগ্রহী আমি। মন্তব্যের জন্যে আপনাকেও ধন্যবাদ !

২৭| ২৬ শে আগস্ট, ২০২০ দুপুর ২:৩২

সাকিবুল ইসলাম সাজ্জাদ বলেছেন: প্রথমত আমি লেখাটাতে কোন রকম মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকতে চেয়েছিলাম, কিন্তু পারলাম না। প্রথমেই বলে রাখি লেখাটা আমার একদমই ভাল লাগে নাই। আপনি যেসব লেখকদের বই পরেন বললেন, লেখায় সেই ধরনের দর্শন আমি একদমই পাই নি। পুর লেখাটা পরে মনে হচ্ছে আপনি যারা নাস্তিক, ইসলামফোব তাদের যেমন একটা নির্দিষ্ট বিদ্বেষ থাকে ইসলামের ব্যাপারে, আপনার ঠিক একই রকম বিদ্বেষ আছে নাস্তিকদের ব্যাপারে। একজন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকের কখনই ইগোসেন্ত্রিজম হওয়া উচিত না বলে মনে করি। তার সকল মত নেয়ার মত উদার হওয়া উচিত। আর একটা মন্তব্ব্যে দেখলাম আপনি বলছেন যে আপনার ব্লগিয় পরিচয় আর শিক্ষক পরিচয় দুইটা আলাদা রাখাটা আপনার পছন্দ। কেমন যেন হাস্যকর মনে হল কথাটা। কেন হাস্যকর বলছি- কারন আপনি যে ধরনের দর্শনের কথা ব্লগে বলেন সেইটা আপনি একজন শিক্ষক সেই আইডেন্টিটি দিয়ে জাস্টিফাই করার চেষ্টা করেন। একটু উদাহরন দেই- কেউ নারীদের সাথে বাজে ব্যবহার করার পর যখন বলে আমার ঘরে মা-বোন আছে এইটা যেমন একটা হাস্যকর জাস্টিফাই খুজার চেষ্টা তেমনি ব্লগ আর শিক্ষক দুইটা আলাদা আইডেন্টিটি বলার চেষ্টা একই রকম হাস্যকর। আসলে আমরা মানুষ সবসময় একটা আইডেন্টিটি দিয়ে আরেকটা আইডেন্টিটী বিচার করি অথবা প্রমোট করি, এইটা এড়ানো খুবই দৃষ্টিকটু।

এইবার আসি কেন এই লেখা আমার একদম ভাল লাগে নাই। এক বাক্যে উত্তর দিলে বলতে হবে- এক পাক্ষিক ছিল। পুরোই বায়াজড একটা লেখা। যেমন আপনি বলেন প্রথম পয়েন্টে নাস্তিকরা রিডাকশনিস্ট, যেই ব্যাখ্যা দিলেন সেইম ব্যাখ্যা তো সকল ধর্মের ক্ষেত্রে যায়। সকল ধর্মের মুল উদ্দেশ্য কি? একটা শান্তি খুজা, অথবা এমন একটা জীবনপ্রণালী ফলো করা যেইখানে হ্যাপিনেস খুজার চেষ্টা হয়। যা একটা অসম্ভব চিন্তা। এই হ্যাপিনেস্টা খুজতে যেয়ে ইসলাম ধর্ম বলছে- আজ থেকে ইসলাম পরিপূর্ণ, এইখানে সব পাওয়া যাবে, সকল জীবন প্রণালী এইখানে বলা আছে। এত সুপ্রিম লেভেলের কথা ইসলাম বলার পরও যদি মনে হয় ইসলাম রিডাকশনিস্ট না আমার কিছু বলার নাই- চাইলে আমার ভুল ভাঙ্গাতে পারেন।

দ্বিতীয় পয়েন্ট বললেন- এরা কোথা থেকে আসছে? সেম প্রশ্ন আমার এত বাজে লেখা আপনি কোথা থেকে শিখছেন? আপনি ব্লগ বাদে অন্য কোথাও পারসনালি বলতে পারবেন? আমি আপনাকে চ্যালেঞ্জ করলাম আমি আপনার সাথে অনলাইনে, জুম মিটিং চাইলে সামনাসামনিও কথা বলব আপনার সাথে। কি নিয়ে বলব- আপনি এই লেখাটা পুরোই এক পাক্ষিক লেখা লিখছেন, আরেকদিক না ভেবেই লিখছেন। দেখুন বিশ্বাস এক জিনিস, আমি ধর্মে বিশ্বাস করি তার মানে এই না যে আমি নাস্তিকদের পুরোপুরি এভয়েড করব। আমি ওদের কথাও শুনি, ওদের ফিলসফি বুঝতে চাই। কিন্তু আমার আপত্তি হচ্ছে যারা যেকোনো র‍্যাডিকাল মত মানে। একদম ধার্মিক অন্য কোন কিছু শুনা যাবে না, আবার নাস্তিক হুজুররা ভণ্ড এইসব ই বিরক্তিকর।

আপনি মনে হয় ভাল নাস্তিক ভাল হুজুর কোনটারই সান্নিধ্য পান নাই। তিন নাম্বার পয়েন্টে যেই বিষয় আনলেন- পারলে ঈশ্বর প্রমান কর, ম্যাথম্যাটিকস দিয়ে সময় নাই তাই ত্বরণ খাটবে না বললেন, খুবই বস্তাপচা ছিল। একটু বলে রাখি ত্বরনের যে সমীকরণ লিখছেন তাও ভুল, ত্বরন হচ্ছে ভেলসিটির ডেরিভেটিভ, ক্লাসিকাল ফিজিক্স অনুযায়ী। ঈশ্বর লিটারেলি একটা ইমাজিনেশন এন্টিটি- যদি আমি দর্শন দিয়ে বলি। কারন আমি আপনি দেখি নাই, এখন আপনি বিশ্বাস করেন ঈশ্বর আছে কারন আপনি আরেকটা এন্টিটি অথবা ফিলসফি দিয়ে তাকে জাজ করেন। এখন আপনি ধর্মীয় দর্শন বাদ দিলে আমি আসলেও ঈশ্বরের কোন প্রয়োজন দেখি না, কিন্তু আমি ঈশ্বর কে বিশ্বাস করি। এইটা খুবই জাচ্ছেতাই একটা আর্গুমেন্টের বিষয়।

আশা করি আপনি একটা প্রানবন্ত মন্তব্য উপহার দিবেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.