নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সাজিদ উল হক আবির

সাধু সাবধান ! ব্লগের মালিক বঙ্গালা সাহিত্যকে ধরিয়া বিশাল মাপের ঝাঁকি দিতে নিজেকে শারীরিক ও মানসিক ভাবে প্রস্তুত করিতেছেন। সেই মর্মে তিনি এখন কিটো ডায়েটিং, ডন-বৈঠক ও ভারোত্তলন প্রশিক্ষণে ব্যস্ত। প্রকাশিত গ্রন্থঃ১। শেষ বসন্তের গল্প । (২০১৪)২। মিসিং পারসন - প্যাত্রিক মোদিয়ানো, ২০১৪ সাহিত্যে নোবেল বিজয়ী (অনুবাদ, ২০১৫) ৩। আয়াজ আলীর ডানা (গল্পগ্রন্থ - ২০১৬ ৪। কোমা ও অন্যান্য গল্প(গল্প গ্রন্থ, ২০১৮) ৫। হেমন্তের মর্সিয়া (কবিতা, ২০১৮) ৬। কাঁচের দেয়াল (গল্পগ্রন্থ, ২০১৯)

সাজিদ উল হক আবির › বিস্তারিত পোস্টঃ

চিন্তার কারখানা ৬ঃ মিলিট্যান্ট এথিজম / ষ্টেট এথিজমের করায়ত্ব পৃথিবী কেমন হবে?

০২ রা মার্চ, ২০২১ সকাল ১১:৪৩



১।
সিলেটে একটা লম্বা ট্যুর দিয়ে এসে গত সপ্তাহ দুই ধরে লেখার ধারাবাহিকতা হারিয়ে ফেলেছি। মধ্যখানে, ভাষা নিয়ে কিছুদিন চিন্তাভাবনা করলাম। ফলিত ভাষাতত্ত্ব ও ইংরেজি - এটা আমার অ্যাকাডেমিক কাজের জায়গা। ধীরে ধীরে আগ্রহ বাড়ছে ওটা নিয়ে কাজ করবার, কিন্তু সেটা গবেষণার বিষয় হিসেবে, বা পরবর্তী উচ্চতর শিক্ষার ফোকাস। সহজ বাংলায় তুলনামূলক ভাষাতত্ত্ব নিয়ে লেখার জন্যে আমার আরও কিছুদিন অপেক্ষা করা লাগবে। রুটলেজ হতে প্রকাশিতব্য একটা বইয়ের বুক চ্যাপ্টার নিয়ে কাজ করছি, আগামী দু'মাসের মধ্যে সেটা জমা দিতে হবে সম্পাদক পর্ষদের কাছে। নিজের প্রথম উপন্যাসটা গত ২ বছর যাবত কাটছাঁট করছি, কিছুতেই মনে শান্তি আসছে না। যদি খালি জনপ্রিয় ধারার লেখকদের লেখা পড়তাম, তাহলে মনে হয় না নিজের লেখা নিয়ে এতো দুশ্চিন্তা করতাম। আমি সর্বদা আমার পরিচিত সার্কেলের বন্ধুবান্ধবকে বেশী পড়তে উৎসাহিত করি। কিন্তু বেশী পড়াশোনার এক আলাদা গ্যাঞ্জাম আছে।

যাই হোক, ব্লগে খেয়াল করলাম ইদানিং নাস্তিক্যের পক্ষে বিপক্ষে আবারো আলোচনা শুরু হয়েছে। গতবছর এ সময়েই করোনা লকডাউন শুরু হওয়ায় ব্লগে, প্রায় ছ' বছর পর নিয়মিত বেসিসে লেখা শুরু করি। আচরি মুসলিম হওয়ায় সে সময়ে সক্রিয় নাস্তিক ও ইসলামোফোব / ইসলামবিদ্বেষীদের সঙ্গে তুমুল বাদানুবাদে জড়াই। তারপর, এই বিতর্কের সার্কুলার রূপ উদ্ঘাটন করবার পর, একসময় উত্তেজনা ধীরে ধীরে স্তিমিত হয়ে আসে। তবে এ নিয়ে চিন্তাভাবনা, পড়াশোনা থেমে থাকে নি। এ প্রসঙ্গে সাম্প্রতিক কিছু চিন্তা, ভাবলাম ভাগ করে নেয়া যাক।

২।
আমার ফেইথ আমাকে এই ডগমার অধীন করে নাই যে - নাস্তিক দেখলেই তাদের আমি সঙ্গে সঙ্গে ঘৃণা করা শুরু করি। বিশেষত যদি তা আমার পরিচিত সার্কেলে হয়। আমার পরিচিতদের ভেতর না বুঝে ধর্ম যারা পালন করে, বা যাদের সঙ্গে আল্লার ওয়ান টু ওয়ান সম্পর্ক নাই, যারা ব্যাখ্যা করতে পারে না তাদের আল্লার সঙ্গে পার্সোনাল লেভেলে সম্পর্ক কিরূপ, তাদের সঙ্গে আলাপ করে আমি সুখ পাই না। কিন্তু যারা নাস্তিক, তাদের ঈশ্বরহীনতার একটা ব্যাখ্যা আছে। তারা ক্রিটিকাল। আমার বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাসমেট, আমার সিনিয়র - জুনিয়র, আমার কর্মক্ষেত্রের কলিগ, সাংস্কৃতিক জগতের বন্ধুদের মধ্যে অনেকেই অ্যাগনস্টিক, কেউ কেউ এইথিস্ট। পারস্পারিক শ্রদ্ধার জায়গায় থেকে তাদের সঙ্গে তর্ক বিতর্ক আমার একটা পছন্দের অবসর কাটানোর উপায়।

খুব স্বাভাবিকভাবেই ব্লগে কোন নিক থেকে কেউ এই বিষয়ে আলাপ করতে এলে আমি তাতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি না, তার প্রথম কারন হচ্ছে - এই লোকের ব্যাকগ্রাউন্ড আমার জানা নাই। তার পড়াশোনা কোন লাইনে, কোন ইন্সটিটিউটে, কোন ক্লাসে, তার সামাজিক কনটেক্সট কি, ধর্ম - নাস্তিক্য এরকম একটা সেনসিটিভ বিষয়ে এই তথ্যগুলি, বিতর্কটারে একটা উগ্র ব্যক্তিগত ঘৃণা ছোড়াছুড়ির পর্যায়ে না নিয়ে যাওয়ার জন্যে গুরুত্বপূর্ণ। ব্লগে, আগের আলোচনা পর্যালোচনাগুলোয় আমি খেয়াল করসি, আমি যখন তথ্য দিতে থাকি, তার ফ্লোতে অনেক ইনফরমেশন বিটুইন দা লাইন থেকে যায়, এবং যারা সেগুলি রিড করতে পারে না, আমার পিছনে ফিরে ফিরে সেইটা বুঝিয়ে ব্যাখ্যা করা লাগে - আমার তাতে ধৈর্যে কুলায় না। দ্বিতীয়ত, যদি সেই নিকের পূর্ববর্তী সব লেখা, বা মন্তব্যে অন্ধ ইসলাম বিদ্বেষ প্রকাশ পায়, আমার আগ্রহ আরও কমতে থাকে। কারন, এই ধরনের তর্ক, স্রেফ তর্ক করার জন্যেই তর্ক করা।

ধর্ম হোক, বা নাস্তিক্য, দুইটাই "বাদ" / "ইজম" । "ধর্মবাদ" বা "নাস্তিক্যবাদ" । যেকোনো "বাদ" টেক্সট হিসেবে একটা ইউটোপিয়ান অবস্থায় থাকে। প্রয়োগের জায়গায় এলে, যেহেতু মানুষই বিবিধ "বাদ" -এর প্রয়োগকর্তা, কাজেই তাতে মানুষের নিজস্ব সীমাবদ্ধতা এসে সংযুক্ত হয়, এবং উক্ত "বাদ" এর ভুল, ভ্রান্ত, উগ্র, স্বার্থান্বেষী প্রয়োগ অবধারিত হয়। এটা আদর্শিক অর্থে যে বাদ, সেটার সমস্যা না। বরং, মানুষের প্রয়োগের সমস্যা।

যেমন ইসলাম উগ্রতা প্রমোট করে বলে একটা কথা প্রচলিত আছে।

আমি ব্যাপারটা এভাবে চিন্তা করি যে - উগ্রতা কি ইসলামৈ প্রমোট করে, নাকি উগ্রতা মানুষের একটা ইনহেরেন্ট কোয়ালিটি?

কোন "বাদ" বা "ইজম" এমন আছে, যেটারে পলিটিক্যালি ইমপ্লিমেন্ট করলে উগ্রতার সহায়তা নিতে হয় না?

নাস্তিক্য নিয়ে পরে কথা বলি। গণতন্ত্র? সমাজতন্ত্র? এগুলিরে যখন আপনি ষ্টেটে ফিক্স করতে চাবেন, উগ্রতা, রক্তক্ষরণ ছাড়া তা কী সম্ভব?

উগ্রতা, মানুষের চারিত্রিক একটা বৈশিষ্ট্য, বিবিধ "বাদ" কে রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে সামনে আনতে যাকে মানুষ ব্যবহার করে। এমতাবস্থায় আরেকটি প্রশ্ন প্রাসঙ্গিক হয় -

উগ্রতা ( ব্যক্তিমানুষের চরিত্রের এক কোর কোয়ালিটি হিসেবে) দমনে গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র কোন প্রেসক্রিপশন দেয় কি না?

ধর্মবিশ্বাস দেয়।

মানুষের ধর্মবিশ্বাস ব্যক্তিগতপর্যায়ে উগ্রতা, ক্রোধ পরিহার করতে উৎসাহ প্রদান করে।

উগ্রতা হতে উৎসারিত যেকোনো কাজ মানুষের সৎকর্ম সমূহকে ধ্বংস করে দেয় - এমত মতবাদ প্রচার করে।

৩।
ধার্মিকরা সুযোগ পাইলেই নাস্তিকদের উপর চড়াও হয় বলে একপেশে একটা কথা প্রচলিত আছে।

আমি ধার্মিক, এবং আমি ব্যক্তিগতভাবে যেকোনো লেভেলে হেইট স্পিচ ছড়ানোর বিপক্ষে। কোন নাস্তিক যদি যৌক্তিকভাবে, ধর্মবিশ্বাসীদের বুদ্ধিমত্তা নিয়ে টিটকারি না মেরে, তাদের ধর্মগুরুদের নিয়ে হাসিতামাশা না করে, তাদের হেয় না করে, কীভাবে ঈশ্বরহীনতা তাকে মুক্তি দিল - এটা গুছিয়ে লিখে, আমি তার এই লেখার স্বাধীনতার পক্ষে। আমাদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজির মাস্টার্সের ক্লাসে আলবেয়ার কাম্যুর বিখ্যাত উপন্যাস দা আউটসাইডার কি পড়ানো হয় না? সেখানে উপন্যাসের মুখ্যচরিত্র মারস'র এক বিশাল বক্তৃতা আছে, ঈশ্বরহীনতার পক্ষে। তার ব্যক্তিগত জীবনের প্রেক্ষিতে কীভাবে ধর্ম, এবং একজন ঈশ্বরের উপস্থিতি অপ্রাসঙ্গিক, সেটা নিয়ে তার খোলামেলা বক্তৃতা আমি মুগ্ধতার সঙ্গে পড়েছি।

দ্যাট বিয়িং সেইড, যেহেতু আমি আচরি মুসলিম, "মাথামোটা গরুখোর মুসলমানেরা সুযোগ পাইলেই তরোয়াল লইয়া লাফ দেয়, যখন যুক্তিতে পারে না" - নাস্তিক্যের মুখোশে হেইট স্পিচ ছড়ানো ইসলামবিদ্বেষীদের এই অভিযোগ, আমারেও রেহাই দেয় না। নিজের স্বজাতির বিরুদ্ধে উত্থিত একটা অভিযোগরে স্রেফ এড়ায়ে গেলে, বা চাপা দিয়ে গেলে তো তা থেকে মুক্তি মিলে না। ফলে আমি খোঁজ নেয়া শুরু করলাম, নাস্তিকরা যখন রাষ্ট্রক্ষমতায় আসে, তাদের আচরণ কেমন হয়।

আমার বেশীদূর যাওয়া লাগে নাই। হালের চায়নার রুলিং গভর্নমেন্ট, সিসিপি, বা চায়নিজ কম্যুনিস্ট পার্টি ষ্টেট এথিজমের একজন ধারকবাহক। তারা সমস্ত জাতিসত্ত্বারে বিলীন কইরা দিয়া সবাইরে আগে চায়নিজ বানাইতে চায়। এবং সেইটা খুব সুখকরভাবে না। হালের উইঘুর মুসলিমদের অবস্থা পড়ে দেখেন। বিস্তারিত লেখার সময় নাই। এটার উপর একহাজার পাতার একটা বৈ লেখা যায়। জোসেফ স্তালিনের সময়কালীন USSR anti-religious campaign of 1928–1941 লিখে গুগল করেন, পাবেন সমাজতন্ত্র গেলানোর নামে মাইনরিটিদের উপর অকথ্য নির্যাতন চালানোর পরিসংখ্যান। দেখবেন ১৯১৭ সাল থেকে নিয়ে ১৯৩৫ সালের মধ্যকার সময়ে, মাত্র ১৮ বছরে সোভিয়েত ইউনিয়নে মসজিদের সংখ্যা ২০,০০০ থেকে মাত্র ৬০ এ নেমে আসে। সোভিয়েতের অভ্যন্তরে মুসলিমদের হত্যা নির্যাতনের পরিসংখ্যান নিয়ে আলাপ না ই বা করলাম।

আমি উইঘুরের মুসলমানদের পিটায়ে প্রথমে তক্তা, এবং দ্বিতীয়তে চাইনিজ বানানো হচ্ছে, এটা নিয়ে আলাদা ইমোশন দেখাতে, এই লেখায়, অনিচ্ছুক। পৃথিবীর সমস্ত জায়গায় সংখ্যালঘুরা একইভাবে নির্যাতিত হয়। তবে চিন্তার জন্যে কিছু প্রশ্ন রেখে যাই -

ক) বাংলাদেশে পাহাড়িদের সন্তানদের, রাষ্ট্রীয়ভাবে তাদের বাবা মায়ের থেকে বিচ্ছিন্ন করে, তাদের সংস্কৃতি, তাদের পিতৃপুরুষের ধর্মবিশ্বাস থেকে আলাদা করে, "বাঙ্গালী" করে তোলার কোন উপায় আছে কী, যদিও সাংবিধানিকভাবে বাংলাদেশের রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম, এবং বাংলাদেশে 'গণতন্ত্র' আছে?

এই অমানবিক কাজটা চায়নায় সম্ভব। তাদের রাষ্ট্রযন্ত্র এথিস্ট, তারা আইন করে, সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে সংখ্যালঘুদের উপর দমনপীড়ন চালাতে পারে।

খ) রেডিকেল ধর্মীয় জঙ্গিগোষ্ঠীগুলিরে আপনি বৈশ্বিক আইনের আওতায় আনতে পারেন। চায়নারে কেমনে আনবেন? বা সোভিয়েতরে কেউ পারসিলো, আইনের আওতায় আনতে?

গ) এটা কী তবে পরিস্কার না যে, নাস্তিকদের হাতে রাষ্ট্রক্ষমতা গেলে, ইতিহাস বলে, তাদের সংখ্যালঘুদের উপর দমনপীড়ন অত্যাচার আরও সিস্টেমিক, লিগ্যাল, এবং ব্রুটাল হয়?

৪।
আরও একটা পয়েন্টে কিছু কথাবার্তা বলি। পৃথিবীখ্যাত দার্শনিকদের অনেকেই মতামত দেন, নাস্তিক্যবাদ, নিজেই একটা ধর্ম।

ফেনোমেনোলজি, এবং অস্তিত্ববাদী দর্শনে বিংশ শতাব্দীর সবচে বিখ্যাত দার্শনিকদের একজন, জার্মানির মারটিন হাইডেগারের একটা সাক্ষাতকারে সেদিন দেখলাম একজন বৌদ্ধ ভিক্ষুর সঙ্গে, যেখানে হাইডেগার বলছেন -

'Religion means, as the word implies, a reconnection to powers, forces, and laws that exceed the human capability. There one can speak of an atheistic religion, like Buddhism, which knows no God. But, nonetheless, is that religion that contains a bond in itself, that people also, like the communists, for example, have a religion: namely, they believe in Science. And this unconditional believe, that is, the trust in the security of scientific results, is a faith, and, in a sense, something, that goes beyond the individual person, and hence is a religion. I would say that no person is without religion... '

পুরোটা সহজ ইংরেজিতে লেখা। হাইডেগার প্রথমে ধর্মের সংজ্ঞায়ন করছেন এই বলে যে - মনুষ্যক্ষমতার থেকে উচ্চতর কোন ক্ষমতা, শক্তি, বা নিয়মের সঙ্গে সংযোগ স্থাপনের নাম ধর্ম। ধর্মের এই সংজ্ঞার উপর ভিত্তি করে তিনি বলছেন, কমিউনিস্ট (যারা ষ্টেট এইথিজমের চর্চা করে) তাদের ধর্মের নাম বিজ্ঞান। কারন - তারা ধার্মিকদের মতই বৈজ্ঞানিক পরীক্ষানিরীক্ষার ফলাফলের উপর বিশ্বাস রাখে। শেষে গিয়ে তিনি বলেন, ধর্মের বাইরে কেউই নাই।

আমি এই পুরো আলোচনা থেকে এই অংশটুকুই গ্রহণ করতে চাই যে - যে সমস্ত নাস্তিক অন্ধভাবে বৈজ্ঞানিক পরীক্ষানিরীক্ষার ফলাফলের উপরে ঈমান রাখে, তারাও ধার্মিক। বিজ্ঞান ধর্মের বিশ্বাসী। আমি এই ডিবেটে যাচ্ছি না যে, তাদের এই ধর্মবিশ্বাস অন্যান্য স্বীকৃত ধর্মবিশ্বাসের চে' ভালো না মন্দ।

আবার পৃথিবীর সবচে বড় সেলিব্রেটি দুজন নাস্তিক, প্রয়াত ক্রিস্টোফার হিচেন্স, এবং স্যাম হ্যারিসের ব্যাপারে নোম চমস্কির মতামত চাওয়া হয় একটি পাবলিক ফোরামে, সেমিনারে প্রদত্ত চমস্কির বক্তৃতা শেষে। ওয়েস্টার্ন এইথিজমের ফোর হর্সম্যানের অন্যতম দুইজনের ব্যাপারে চমস্কির মতামত হল -

"I think they are religious fanatics! They happen to believe in state religion, which is much more dangerous, than other religions in most of the parts. So they, and both of them, happened to be defenders of state religion, namely their religion that says - 'we have to support violence and atrocities that are run by the state, Because it’s being done for all sorts of wonderful reasons', and that is what everyone says in every state. And that's another religion. It just doesn't happen to be a religion where you pray every once a week, but it's just another religion and that's very destructive. "

অর্থাৎ, চমস্কি বলেন, এই মিলিট্যান্ট নাস্তিকরাও ধর্মীয় উগ্রবাদী। তাদের ধর্মের নাম রাষ্ট্র। রাষ্ট্রযন্ত্রের যেকোনো দমন নিপীড়নের পক্ষে সাফাই গাইতে এদের দেখা যায়, যেই আচরণ কোনভাবেই কোন ধর্মীয় উগ্রবাদীর চে' উত্তম না।

চমস্কির বক্তব্যের পক্ষে একটা সরল উদাহরণ - ইসলামিস্ট টেরোরিস্টদের ব্যাপারে বলা হয় যে, তারা ইসলাম কায়েম করতে সারা বিশ্বে সন্ত্রাসবাদী কার্যক্রম চালায়। অ্যামেরিকা গণতন্ত্র নিশ্চিত করার নামে মধ্যপ্রাচ্যে, এবং আফগানিস্তানে তাহলে কি করছে?

উল্লেখ্য, ক্রিস্টোফার হিচেন্স প্রাথমিকভাবে মারক্সিস্ট জারনালিস্ট হিসেবে ক্যারিয়ার শুরু করলেও ইরাক যুদ্ধের সমর্থন করেন, এবং ব্যাপক সমালোচনার মুখোমুখি হন। ব্রিটিশ এমপি জর্জ গ্যালওয়ের সঙ্গে হিচেন্সের ইরাক যুদ্ধ নিয়ে ডিবেট ইউটিউবে আছে। দেখতে পারেন এই মহান ইসলামোফোব কীভাবে নিজের দ্বিচারিতার কারনে হাসির পাত্রে পরিণত হন। অপরদিকে স্যাম হ্যারিস ট্রাম্প, এবং হোয়াইট সুপ্রিমিজমের পক্ষে সময়ে সময়ে নিজের অবস্থান ব্যক্ত করেন। তাদের এই দ্বিমুখী মানবতাবাদ নিয়ে পরে কোন সময় বিস্তারিত লিখব।

৫।
সবশেষ কথা এই যে, নাস্তিক্যবাদ, এখন একটা ক্যারিয়ারও। এথিজম অ্যাজ এ ক্যারিয়ার লিখে গুগল করেন, স্বপক্ষে অনেক তথ্য পাবেন। ইসলামোফোব বিল মাহেরের টক শোতে হলিউড সুপারস্টার বেন অ্যাফ্লেক স্যাম হ্যারিসকে ইসলামোফোবিয়া স্প্রেড করাকে হ্যারিস নিজের ক্যারিয়ার হিসেবে নিয়েছেন বলে অভিযুক্ত করেন।

এই ক্যাপিটালিজমের নামে টেকনো ফিউডালিজমের যুগে যেকোনো কর্পোরেট প্রফেশনে নিজের পয়েন্ট অফ ভিউটা খাড়া করায়ে রাখাই মূল লক্ষ্য, নীতিনৈতিকতা অনেক পরের ব্যাপার। এথিজম, এবং ইসলামোফোবিয়া যারা পেশা হিসেবে নিয়েছেন, এক্স মুসলিম অ্যাসোসিয়েশন তৈরি করে যারা ইউরোপে অ্যাসাইলেমসহ কিছু রাজনৈতিক সুবিধা আদায় করে নিয়েছেন, তারা যা বলবেন তার সবই সার্বজনীন, এবং নৈতিক - আমি তা মানতে রাজি না।

সূত্রঃ

১। মারটিন হাইডেগারের সাক্ষাৎকার - view this link

২। ক্রিস্টোফার হিচেন্স, স্যাম হ্যারিসের ব্যাপারে নোম চমস্কি - view this link

৩। ইরাকে ইঙ্গো মার্কিন যুদ্ধের বিষয়ে জর্জ গ্যালওয়ে, আর ক্রিস্টোফার হিচেন্সের ডিবেট - view this link

৪। বিল মাহেরের টক শোতে স্যাম হ্যারিসের ইসলামোফোবিয়া ব্যবসায় নিয়ে বেন অ্যাফ্লিকের মন্তব্য - view this link


মন্তব্য ১৮ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১৮) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা মার্চ, ২০২১ দুপুর ১২:২৮

রাজীব নুর বলেছেন: জীবন ও জগতকে জানার এই আদীম প্রক্রিয়ায় সকলের অবদান সমানভাবে আছে। আস্তিক, নাস্তিক, খৃষ্টান, মুসলিম, ইহুদি, হিন্দু, বৌদ্ধ সকলেই এতে শামিল আছেন। কেউ এই দাবী করেননাই যে, বিজ্ঞান আমাদের নিজস্ব সম্পদ।

কয়েকশ বছরের পুরাতন কট্টর মতবাদ বিজ্ঞানকে কুক্ষিগত করে রাখছে। সামনে এগিয়ে নেয়ার পরিবর্তে পিছনে টেনে ধরছে। এই গোঁড়ামি না থাকলে বিজ্ঞান আরও উন্নতি লাভ করতো, আরও উন্মুক্ত ও গতিশীল হতো।

০২ রা মার্চ, ২০২১ দুপুর ২:০২

সাজিদ উল হক আবির বলেছেন: রাজীব ভাই, আমার টেক্সটের ইনফো কে আমার বিরুদ্ধে দাঁড়া করাইতে চাচ্ছেন কী? চাচ্ছেন যে, আপনার কোহিয়ারেন্সবিহীন মন্তব্যের ফাঁকে ফাঁকে যে কথাগুলি অস্পষ্ট রয়ে গেলো, সেগুলি আন্দাজ করে নিয়ে তারপর প্রত্যুত্তর করবো? আমার আগ্রহ নাই তাতে।

আপনার পুরা মন্তব্যের এক কথায় জবাব দিই। আপনি বিজ্ঞান (বিজ্ঞান বলতে ফলিত অর্থে , না ক্লাসিক অর্থে ব্যবহার করছেন, না টেকনোলজি অর্থে ব্যবহার করছেন সেটা পরিস্কার করেন নাই) , আর থিওলজিরে মুখোমুখি / সাংঘর্ষিক মনে করেন। আমি তা মনে করি না। বাহাস শেষ।

আপনি, খুব বুদ্ধিমান মানুষ। প্রায়ই যে দুই নৌকায় পা দেয়া লেখা লিখেন, বা মন্তব্য করেন - যাতে আপনার অবস্থান পরিস্কার হয় না কখনোই, এই কাজটা, আমার ধারনা, আপনি পেশাগত জায়গা থেকে করেন। আমার তাতে আপত্তি নাই। যাই লিখি, আপনিই, একা এসে মন্তব্য টন্তব্য করে যান। আপনার প্রতি তাই ভালো লাগা কাজ করে একটা। নিজের যত্ন নিয়েন। প্রফেশনের প্রয়োজনে দরকারের চে' বেশী রিস্ক নিয়েন না। এই বিষয়ে আরও কথা, সাক্ষাৎ হইলে মুখোমুখি বলব কোন দিন। চাঁদগাজিরে আমার সালাম দিয়েন, নুরুল ইসলারেও। বইলেন, খিলগাঁওের আপন কফিশপে একদিন কফি খাওয়ার ইচ্ছা তাদের সাথে।

০২ রা মার্চ, ২০২১ বিকাল ৪:৩৯

সাজিদ উল হক আবির বলেছেন: রাজীব ভাই, আপনার ৫ আর ৬ নং কমেন্টের জবাব নিয়ে ফিরে আসতেসি একটু পরে। বাট রাগ করে এইরকম পার্সোনাল লেভেলে গালাগালি কইরেন না।

০৩ রা মার্চ, ২০২১ সকাল ৯:২৭

সাজিদ উল হক আবির বলেছেন: ১। শুভসকাল রাজীব ভাই। চাঁদগাজী, আর নুরুল ইস্লা - নিক থেকে করা আপনার মন্তব্যগুলির উত্তর দিই।

৫ নং মন্তব্যে, আপনার ভাষাজনিত দুর্বলতার কারনে অস্পষ্ট থেকে যাওয়া প্রশ্নগুলোকে পরিস্কার করি (কাজটা করতে আসলেই কষ্ট লাগে, বিনা পয়সায় ফাউ খাটা, তাও যদি আপনার বাংলা খানিকটা শুধরাতো। দিনকে দিন তিনচারটা নিক রান করতে গিয়ে ইহা উহা কুহা ফুহা মিলিয়ে ভাষার ব্যতিক্রম সৃষ্টি করতে গিয়ে ভজঘট পাকিয়ে ফেলেন একদম।)
আপনার প্রথম প্রশ্ন বোধয় এটা - আমি যেই ধর্মের অনুসারী, তার অনুসরনের পেছনে কোন যুক্তি আছে কি না। নাকি বাপদাদার সূত্রেই পেয়েছি।

আমার উত্তর হল, জন্মসূত্রে আমি মুসলমান, যদিও আমার বাবা অ্যাগনস্টিক ছিলেন। তিনি সত্তরের দশকের ঢাবির বাংলা বিভাগের ছাত্র। ডঃ আহমদ শরীফ, আর ডঃ হুমায়ূন আজাদ - এই দুজনেরই খুব ঘনিষ্ঠ ছাত্র ছিলেন। পরবর্তীতে বাবা সাংবাদিকতায় ঢুকলে তাদের সঙ্গে হৃদ্যতা আরও গাঢ় হয়। মানে, ইসলামের কোন মূলনীতিই আসলে আমি পারিবারিক সূত্রে শিখি নি, যেটাকে বাপদাদার সূত্রে পাওয়া বলা যেতে পারে।

তবে কেউ যদি পিতৃসূত্রে মুসলমান হয়, ক্ষতি কি? বিল গেটস বা মার্ক জুকারবারগের ছেলেপেলে নিশ্চয়ই তাদের বাবার রেখে যাওয়া সম্পত্তি অধিগ্রহণ করতে আপত্তি করবে না। বাবার যদি অঢেল সম্পত্তি থাকে, সন্তান কেন পৈতৃক সূত্রে সে সম্পত্তি পাওয়াকে নেতিবাচক চোখে দেখবে?

মূল ইস্যুটা হচ্ছে, আপনি ফেইথ বিষয়টাকে কোন দৃষ্টিভঙ্গি থেকে দেখেন। আফসোসের ব্যাপার এই যে, ইসলাম নিয়ে আপনার শক্ত চুলকানি আছে। আমি যেকোনো ধর্মে প্রকৃতঅর্থে বিশ্বাসী যারা, তাদের শ্রদ্ধার সঙ্গে দেখি। এবং বিশ্বাসকে আত্মিক সম্পত্তি হিসেবে বিবেচনা করি, তা পিতৃসূত্র পারিবারিকভাবে পাওয়া হলেও।

০৩ রা মার্চ, ২০২১ সকাল ৯:২৮

সাজিদ উল হক আবির বলেছেন:
২। আপনার দ্বিতীয় প্রশ্ন বোধয় এটা - ধর্মের জন্যে ক্রুসেড, আর সমাজতন্ত্র / জাতীয়তাবাদ / ইম্পেরিয়ালিজম ইত্যাদির নামে যুদ্ধের মধ্যে কোনটার মূল্যায়ন আমি কীভাবে করি।

আমার উত্তর হল, এই তুলনামূলক প্রশ্ন আমার পোস্টের সঙ্গে অপ্রাসঙ্গিক। বরং, এই প্রশ্নটা তোলা প্রমাণ করে, আপনি সমাজতন্ত্র / জাতীয়তাবাদ/ সাম্রাজ্যবাদের নামে মানুষ খুন করার সমর্থক। সবার রক্তের দাম আপনার কাছে একরকম নয়। যদি তাই হয়ে থাকে, সমাজতন্ত্র / জাতীয়তাবাদ/ গণতন্ত্র/ সাম্রাজ্যবাদ -এর ফেরিওয়ালারা জোর করে আপনাকে তাদের তত্ত্ব গেলানোর সময় আপনার পরিণতিও খোদা না খাস্তা একরকম হলে, কেউ আপনার জন্যে দু' ফোঁটা চোখের পানি ফেলবে না।

০৩ রা মার্চ, ২০২১ সকাল ৯:৩৪

সাজিদ উল হক আবির বলেছেন: ৩। আর নুরুল ইস্লা অ্যাকাউন্ট থেকে করা আপনার বেইট স্পিচ / হেইচ স্পিচ সংক্রান্ত প্রশ্নটা বোধয় এরকম - আমি আপনার কাছ থেকে কোরআন কীভাবে হেইট স্পিচ শিক্ষা দেয়, তা শিখতে চাই কি না।

আমার উত্তর হচ্ছে - কে যায় বিএনপির কাছে আওয়ামী লীগের ব্যাপারে জানতে বলুন?

আর কোরআন কীভাবে হেইট স্পিচ শেখায়, এ ব্যাপারে আমি সচেতন আছি কি না - এই প্রশ্নের উত্তর আমি বহুআগেই দিয়েছি এই ব্লগে। আমার উত্তর হচ্ছে - এটা ইন্টারপ্রিটেশনের ব্যাপার। আপনি ইসলামকে একটা সমস্যা হিসেবে বিবেচনা করেন, এইজন্যে কোরআনকে ভুলভাবে রিপ্রেজেন্ট করতে পছন্দ করেন। জঙ্গিবাদের উৎস, খুন - রাহজানি করতে এই ধর্মগ্রন্থ উৎসাহ দেয় বলে মনে করেন। আমার মত হল এই যে - কোরআনের শিক্ষা দয়া, করুনা, ভালোবাসা। রাহমান - শব্দটি কোরআনের সবচে রিকারিং ফ্রেইজ।

প্রতিদিন আমি একটু একটু করে মুফতি শফি সাহেবের তাফসিরে মাআরেফুল কুরআন পড়ি। এখন সুরা আনআমে আছি। সম্প্রতি পড়া সুরা আনআমের একটি আয়াত আপনার সঙ্গে ভাগ করি -

وَإِذَا رَأَيْتَ ٱلَّذِينَ يَخُوضُونَ فِىٓ ءَايَـٰتِنَا فَأَعْرِضْ عَنْهُمْ حَتَّىٰ يَخُوضُوا۟ فِى حَدِيثٍ غَيْرِهِۦ ۚ وَإِمَّا يُنسِيَنَّكَ ٱلشَّيْطَـٰنُ فَلَا تَقْعُدْ بَعْدَ ٱلذِّكْرَىٰ مَعَ ٱلْقَوْمِ ٱلظَّـٰلِمِينَ

"যারাই এই পবিত্র গ্রন্থের ব্যাপারে ছিদ্রান্নেসন করে, তা নিয়ে হাসিতামাশা করে, তাদের সঙ্গ পরিত্যাগ করো, যে পর্যন্ত না তারা অন্য আলোচনায় লিপ্ত হয়।" (৬৮)

দেখুন, এই আয়াত আপনার জন্যে আয়না হিসেবে কাজ করে কিনা।

০৩ রা মার্চ, ২০২১ সকাল ৯:৪২

সাজিদ উল হক আবির বলেছেন: ৪। আর আপনার মন্তব্যের ছুটাছাটা অংশ, যেগুলি মূলত আমার প্রতি আপনার বিদ্বেষ প্রসূত সেগুলি ধর্তব্যে নিচ্ছি না -

"আপনার পুরো লেখা প্রমাণ করেছে যে, আপনি যেই বিষয় নিয়ে আলোচনা করছেন, ইহার স্হুল দিকগুলো নিয়ে আপনি বাতাসে যা শুনেছেন, তাই বলতে চেয়েছেন।
যেই বিষয়ে আপনি লিখেছেন, সেই বিষয়ে সঠিক ধারণা না থাকায়, পুরো লেখা এত দুর্বল যে, আপনাকে যারা চাকুরী দি্যেছেন, তাদের কেহ এই লেখা পড়লে, আপনার দক্ষতার অভাব সহজে বুঝতে পারবেন, ও আপনার চাকুরী থাকার কথা নয়।"

কারন, আমি মনে করি না আপনার যোগ্যতা আছে আমাকে মূল্যায়ন করবার।

আপনি রাজীব নূর নিক থেকে এসে বহুদিন ধরে মিষ্টি মিষ্টি কথা বলেন, পরবর্তীতে আপনার চাঁদগাজী আর নুরুল ইস্লা নিক থেকে এসে বাজে মন্তব্য করেন। এটা দুর্ভাগ্যজনক ব্যাপার। আপনি চাঁদগাজী নিক থেকে আমাকে জামাত শিবিরের লোক বলে ট্যাগ দেয়ার চেষ্টা করেছিলেন, আমি পকেটে অস্ত্র নিয়ে ঘুরি এমন মন্তব্যও করেছিলেন। আমি জানি না আপনার ধারনা আছে কি না যে - এই ধরনের মিথ্যা, ঘৃণা ছড়ানো মন্তব্য আমার মতো যারা ব্যক্তিপরিচয়ে ব্লগিং করে, তাদের পেশাগত, পারিবারিক, সামাজিক, রাষ্ট্রীয় জীবনে কতবড় ক্ষতির সম্মুখীন করতে পারে। এই জন্যেই আপনার উপর আমার বিরক্তি। আশা করি আপনি বিষয়গুলির গুরুত্ব বুঝবেন, এবং একজন চিন্তাশীল নাস্তিক হিসেবে মানুষকে চিপায় ফেলে, মিথ্যা অপবাদ দিয়ে, ট্যাগিং এর নোংরা গেইম খেলে তার বাক স্বাধীনতা রোধ করবার চেষ্টা করবেন না।

এই ময়লা পুনর্বার ঘাটতে অনাগ্রহী আমি। তাই চাঁদগাজী, নুরুল ইস্লা, সাজ্জাদ কি যেন - এই সমস্ত নিক থেকে মন্তব্য না করে নিজের রিয়েল অ্যাকাউন্ট যেটা, রাজীব নূর, সেটা থেকে এসে ভবিষ্যতে মন্তব্য করার অনুরোধ করছি। না করলেও আপত্তি নেই। সুখে থাকেন। সুখে থাকতে দেন।

২| ০২ রা মার্চ, ২০২১ দুপুর ১:২২

রবিন.হুড বলেছেন: সুন্দর বিশ্লেষনধর্মী লেখা। আল্লাহ সবাইকে সঠিক বিষয়ে সম্যক ধারনা লাভ করার তৌফিক দিন। আমিন

০২ রা মার্চ, ২০২১ দুপুর ২:০৩

সাজিদ উল হক আবির বলেছেন: শুকরিয়া। আমিন।

৩| ০২ রা মার্চ, ২০২১ দুপুর ২:৩৫

মাহিরাহি বলেছেন: পৃথিবীর প্রথম নাস্তিক দেশটি কেমন ছিল?
ছোটকালে শুনতাম ইউরোপের একমাত্র মুসলিম দেশ হল গিয়ে আলবেনিয়া। অথচ এটির ছিল পৃথিবীর প্রথম এবং একমাত্র নাস্তিক দেশ।
পৃথিবীর প্রথম নাস্তিক দেশটির আয়ুস্কাল ছিল ১৯৬৭সাল থেকে ১৯৯১সাল পর্যন্ত। সকল ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দিয় আনোয়ার হোজ্জা, আলবেনিয়াকে পৃথিবীর প্রথম নাস্তিক দেশ (এথ্যায়িস্ট স্ট্যাট) সরকারি ভাবে হিসাবে ঘোষনা দেন।
সকল ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের সম্পদ দখল করে নেয়া হয়া, ধর্মীয় নেতাদের বিদেশি শক্তিগুলোর সাথে সহযোগীতা বন্ধ করে দেয়া হয়। বিভিন্নভাবে তাদেরকে আক্রমনের লক্ষ্যবস্তু করা হয়। কাউকে পাঠানো হয় জেলে, কাউকে বাধ্য করা হয় কলকারখানায় কাজ করতে।
এসবকিছুর পরও ধর্মীয়গোস্টিকে দমনে ব্যর্থ হয়ে হোজ্জার পার্টি শিক্ষাপ্রতিস্ঠানে নাস্তিকীয় শিক্ষা প্রচারে মনোনিবশন করে।
রমজানের মত পবিত্রদিনগুলোতে তারা হারাম খাদ্য পরিবেশন করা শুরু করে কারখানা এবং শিক্ষা প্রতিস্ঠান গুলোতে। খাবার গ্রহনে অস্বীকৃতি জানালে তাদেরকে লান্ছ্বিত করা হত।
২,১৮৯টি মসজিদ এবং চার্চ বন্ধ করে দেয়া হয়। নাস্তিকবাদ অফিসিয়াল পলিসিতে পরিনত হয়। ধর্মীয় নামের শহর, নগরগুলোকে নতুন নাম দেয়া হয়, ব্যক্তির নামও বদলে ফেলা হয়। ১৯৮২ মানুষের নামের ডিকশনারি বের করা হয়। যার মধ্যে ৩,০০০ সেক্যুলার নাম ছিল। এরা ক্ষমতায় আসার সময় ৩০০ প্রিষ্ট ছিলেন, যাদের মধ্যে মাত্র ৩০জন প্রানে বাচতে পেরেছিলেন।
সমস্ত ধর্মীয় আচার অনুস্ঠান বন্ধ করে দেয়া হয়। ১৯৬৭সাল থেকে ১৯৯১সাল পর্যন্ত এই নাস্তিক দেশটিতে যারা জন্ম নিয়েছিল তারা ধর্মের ব্যপারে কিছুই জানত না। তাই তাই তারা ছিল হয় নাস্তিক নয়ত এ্যাগোনস্টিক।
আনোয়ার হোজ্জাকে চিত্রায়িত করা হয় এমন একজন জিনিয়সা হিসাবে যিনি কিনা সংস্কৃতি, অর্থনীতি, সামরিক ইত্যাদি জীবনের প্রতিটি নৈতিক উপদেশ দান করে গেছেন। প্রত্যেকটা স্কুলের বইতে সে যে বিষয়ের উপরই হোক না কেন তার উক্তি উদ্ধৃত করা হত। . এক আলবেনিয়ান তাই আক্ষেপ করে বলেছিলেন ফিজিক্সের ক্লাসে মধ্যাকর্ষ শক্তির সুত্রটির জন্য কৃতিত্বটা পেতেন হোজ্জা যা ছিল কিনা নিউটনের পাওনা। আলবেনিয়া সিক্রেট পুলিশ এজেন্সি কে জি মত সবধরনের দমনমুলক পন্হা অবলম্বন করত। আলবেনিয়ার প্রতি তিনজন নাগরিকের একজনকে হয়ত লেবার ক্যাম্পে কাটাতে হত কিংবা সম্মুখীন হতে হত আলবেনিয়া সিক্রেট পুলিশ অফিসারদের জেরার।

১৯৮১সালে হোজ্জা অনেক পার্টির নেতা এবং সরকারী কর্মকর্তাকে শুলে চড়ান। প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ শেহু এইসময় আত্মহত্যা করেন অন্তর্দলীয় কোন্দলের কারনে। এটি ব্যপকভাবে বিস্বাস করা হয় যে তাকে হত্যা করা হয়েছিল।

আজ আলবেনিয়া হোজ্জা লিগ্যাসীর সামান্য কিছুই অবশিস্ট আছে। ধর্মীয় স্বাধীনতা জনগনকে ফিরিয়ে দেয়া হয়েছে। আরও মজার ব্যপার আলবেনিয়া এখন ওআইসির সদস্য।



https://www.somewhereinblog.net/blog/mahirahiblog/28851229

০২ রা মার্চ, ২০২১ বিকাল ৪:৩৮

সাজিদ উল হক আবির বলেছেন: ভাই ইনফরমেশন তো সব উইকিপিডিয়ার থেকে নেয়া। আপনার পয়েন্ট টা কি সেটা স্পষ্ট করেন কাইন্ডলি।

৪| ০২ রা মার্চ, ২০২১ দুপুর ২:৩৬

মাহিরাহি বলেছেন: https://www.somewhereinblog.net/blog/mahirahiblog/28851229

৫| ০২ রা মার্চ, ২০২১ বিকাল ৩:৩৮

চাঁদগাজী বলেছেন:



লেখার ৩য় ভাগে আপনি লিখেছেন যে, আপনি ধার্মিক; ধর্ম তো একটা নয়, অনেকগুলো, আপনি কি সবগুলোর অনুসারী? যদি ১ টা, বা একাধিকের অনুসারী হয়ে থাকেন, উহার কোন কারণ ও লজিক আপনার কাছে আছে?

আপনার পুরো লেখা প্রমাণ করেছে যে, আপনি যেই বিষয় নিয়ে আলোচনা করছেন, ইহার স্হুল দিকগুলো নিয়ে আপনি বাতাসে যা শুনেছেন, তাই বলতে চেয়েছেন।

মানুষ প্রজাতন্ত্র, ক্যাপিটেলিজম, সমাজতন্ত্র প্রটিষ্ঠা করার জন্য বিপ্বব করেছেন, এখানে সহিংসতা ঘটেছে যুগে যুগে; আবার ইসলাম ও খৃশ্চিয়ানিজমের মাঝে ২ শত বছর যুদ্ধ হয়েছে জেরুসালেমে, ইহাতেও সহিংসতা ঘটেছিলো; আপনি সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য সহিংসতা ও ক্রুসেডের সহিংসতাকে কিভাবে দেখেন, কিভাবে বুঝেন?

৬| ০২ রা মার্চ, ২০২১ রাত ১০:৪৩

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: আপনি বেইট স্পিচ এর কথা বলেছেন।সব থেকে বেশি হেইচ স্পিচ লিখা আছে ধর্মগ্রন্থ গুলোতে এটা পড়ে দেখেছেন।নাকি আমি আপনাকে দেখাব।

৭| ০৩ রা মার্চ, ২০২১ দুপুর ১২:৫৭

সাজিদ উল হক আবির বলেছেন: আরেকটা বিষয়, সাধারণভাবে যারা এই লেখা পড়ে পড়তে আসবেন, তাদের সবার জন্যে উল্লেখ করে রাখি।

আমার অ্যানালাইটিকেল লেখাগুলিতে প্রায়ই এমন মন্তব্য জমা পড়ে - 'আপনি যে বিষয় নিয়া লিখেন, তা পুরা বুঝে লিখেন?' । এই মন্তব্য অনেকে করসে, অনেক আগে থেকে করতেসে, এই পোস্টেও এই মন্তব্য আছে, এবং কোন সন্দেহ ছাড়া এটা একটা বিদ্বেষপ্রসূত ষ্টেটমেন্ট।

ফর ওয়ান্স অ্যান্ড ফর অল এই প্রশ্নের ব্যাপারে আমার মতামত জানায়ে রাখি।

আমার উত্তর হচ্ছে, প্রথমত, এই ধরনের বেয়াদবি ও অসৌজন্যতামূলক, অভব্য, প্রশ্ন কোন উত্তর পাওয়ার যোগ্যতা রাখে না। দ্বিতীয়ত, আমার এমন লেখা আছে এমন, ব্লগে, যেগুলি যে তত্ত্বগুলি আমি ব্যবহার করে নিজের আর্গুমেন্ট তৈরি করেছি, সেসমস্ত তত্ত্বের স্বপক্ষে অনেক ব্যাখ্যা বিস্লেশন, এবং উদাহরণ দেয়া আছে। সেই সমস্ত লেখায় আবার আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলা হয় লেখা অযথা টেনে লম্বা করার। কাজেই এটা একটা উভয় সংকট আমার জন্যে যে বিষদে লিখলে টেনে লম্বা করার অভিযোগ, এবং সংক্ষেপে লিখলে বুঝি নাই এই অপবাদ। তৃতীয়ত, আমি প্রফেশনাল লাইফে একটা ৪০ মিনিটের অ্যাকাডেমিক বক্তৃতা দিয়ে ৪০০০ টাকা পাই। যার ধারনা, আমি না বুঝেই লিখি, কোন বিষয়, বা তত্ত্ব, তারে আমি তার পছন্দসই কোন অ্যাকাডেমিকের স্ট্যান্ডার্ডে বক্তৃতা দিয়ে তার প্রয়োজনীয় বিষয় বুঝাইতে পারব। আমার দিক থেকে প্রশ্ন হচ্ছে - এই বক্তৃতা দেয়ার জন্যে আমি যে পরিমাণ টাকা ডিমান্ড করবো সে আমারে সেই টাকা দেয়ার ক্ষমতা রাখে কি না। এবং ফাইনালি, সবসময়ই সুযোগ থাকে, লেখকরে বেয়াদবের মতো 'আপনি না বুইঝা লেখতেছেন' দায়ে অভিযুক্ত না কইরা নিজের জ্ঞানবুদ্ধির কমতির কারনে বিটুইন দা লাইন পড়তে, বা লেখার ইঙ্গিত ধরতে কষ্ট হইতেছে কিনা, এই ব্যাপারটা নিয়া চিন্তা করা। এই চর্চা আমি করি। যারা সুযোগ পাইলেই আমারে তীরবিদ্ধ করার চেষ্টা করেন, তারাও আগে নিজেরে প্রশ্ন করার অভ্যাস তৈরি করেন।

তাকাব্বুর হারাম। তাকাব্বুর করতেসি না। নিজের ব্যাখ্যাটা দিলাম।

৮| ০৩ রা মার্চ, ২০২১ বিকাল ৫:৫৪

চাঁদগাজী বলেছেন:




আপনি আপনার ছাত্রদের প্রশ্নফাঁসে সাহায্য করেন?

০৪ ঠা মার্চ, ২০২১ সকাল ১০:০৩

সাজিদ উল হক আবির বলেছেন: না রাজীব ভাই। আমার স্টুডেন্টদের মেধা আপনার চে' ভালো।

৯| ০৩ রা মার্চ, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৪৩

চাঁদগাজী বলেছেন:



ব্লগে আপনিসহ বেশ কয়েকজন শিক্ষক আছেন, আপনাদের সবার জ্ঞানের লেভেল বেশীরভাগ গড় ব্লগারদের চেয়ে নীচু।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.