নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সবাই যখন নীরব, আমি একা চীৎকার করি \n-আমি অন্ধের দেশে চশমা বিক্রি করি।

গিয়াস উদ্দিন লিটন

এত বুড়ো কোনোকালে হব নাকো আমি, হাসি-তামাশারে যবে কব ছ্যাব্‌লামি। - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

গিয়াস উদ্দিন লিটন › বিস্তারিত পোস্টঃ

রম্য: টিপ

১৫ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:৩৫




ক্লাস থ্রীয়ে পড়ার সময় জীবনের প্রথম ক্লাস টু'এর এক রমনিকে টিপ দিয়েছিলাম। সলজ্জ হেসে সেই রমনি আমার টিপ গ্রহণ করলেও পরে তার সখীগণের প্ররোচনায় টিপ দেওয়ার কথা হেড স্যারকে জানিয়ে দেয়।

হৈ হৈ কাণ্ড রৈ রৈ ব্যাপার!

পরমূহুর্তেই বিদ্যালয়ের সকলেই ইহা জানিয়া গেল যে, ক্লাস থ্রী'এর লিটু জুনিয়র এক বালিকাকে টিপ দিয়াছে।

বহুদিন পর লিটুকে শায়েস্তা করিবার মোক্ষম উপলক্ষ পাওয়া গিয়াছে। আমাদিগের হেড স্যার শুভ কাজে বিলম্ব করিতেন না ! অনতিবিলম্বে তিনি আমাকে অফিস কক্ষে ডাকিয়া পাঠাইলেন।


আমি দোআ ইউনূস পড়িতে পড়িতে অফিস কক্ষে প্রবেশ করিলাম!
তখন বেলা দ্বিপ্রহর, মধ্য গগণে লোহিত সূর্য গনগন করিয়া জ্বলিতেছিল। বিধাতা তাহার করুণার দ্বার রুদ্ধ করিয়া রাখিয়াছিল বিধায় আমার দোআ রুদ্ধ দ্বার অতিক্রম করিল না।

অফিস কক্ষ হইতে যখন বাহির হইলাম ততোক্ষণে আমার শ্যামবরন নিতম্বখানা সিঁদুরে মেঘের ন্যায় লালবর্ণ ধারন করিয়াছে। (নিতম্ব বরাবর হাফ প্যান্টের নিচের রানের অবস্থা দেখিয়া অনুমিত)

স্কুলের সিনিয়র জুনিয়র সকল বালিকাগণ আমাকে দেখার নিমিত্তে বাহিরে অধির আগ্রহে অপেক্ষা করিতেছিল। আমার ধনুক বাঁকা পশ্চাৎদেশ ও সিদুর বরন রান দেখিয়া তাহারা সকলে সন্তুষ্টি প্রকাশক ধ্বনি উচ্চারণ করিতে লাগিল।

অসীম দুঃখ ও ক্ষোভে স্কুল পরিত্যাগপূর্বক গৃহে প্রত্যাবর্তন করিলাম। বাটীতে ফিরিয়া দেখি আমার বড় ভগ্নি গৃহ সম্মূখে ধুলিময় মৃত্তিকায় সর্পের ন্যায় গড়াগড়ি করিয়া ক্রন্দন করিতেছে।

মা জননীকে শুধাইলাম, উহার কী হইয়াছে? এমন করিয়া ক্রন্দন করিতেছে কেন ?
প্রত্যুত্তরে মা জননী কহিলেন, তোমার ভগ্নির ক্রয়কৃত একখানা নতুন টিপের পাতা পাওয়া যাইতেছে না!

ডজনখানেক রঙিন টিপ সংবলিত একখানা টিপের পাতা আমার বড় ভগ্নি তাহার বিজ্ঞান গ্রন্থের অভ্যন্তরে রাখিয়াছিল। পরিতাপের বিষয় এখন নাকি তাহা পাওয়া যাইতেছেনা।

আমি ভগ্নিকে নিকটে ডাকিয়া তাহার টিপের পাতা রিটার্ন দিয়া কহিলাম,
- এই লহ তব টিপের পত্র। ইহা যাহার লাগিয়া আত্মসাৎ করিয়াছিলেম সে তাহা গভীর বেদনা সহ ফেরত দিয়াছে। অতএব ইহা নিষ্প্রয়োজন!


(উদবাস্তু অনিকেত, ঈষৎ সম্পাদিত)

মন্তব্য ১২ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (১২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:০৩

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: উপহারের কারণে প্রহারের কাজটা ঠিক হয় নাই।

১৫ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:০৮

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: যথার্থ বলেছেন মহাজাগতিক চিন্তা।

২| ১৫ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:৩২

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:



অত কম বয়সে সেই আমলে আপনি দোয়া ইউনুস পুরোটাই মুখস্ত করে ফেলেছিলেন!!
ইহা তো বিরাট আচানক ঘটনা!!

১৫ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:২১

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: লা ইলাহা ইল্লা আনতা সুবহানাকা ইন্নি কুনতু মিনাজ জ-লিমিন। তেমন বড়তো না!

৩| ১৫ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:৩৫

রানার ব্লগ বলেছেন: আমি একটা ব্যাপার বুঝি না, উপহার যে রমনী যে দেয়া হয় তাহার কোন আপত্তি থাকে না যতো আপত্তি তাহার উট মুখ ছাগলের লেজ সমৃধ্য কেশ গুচ্ছা ওয়ালী বান্ধুবী নামক পিশাচিনিদের কেনো? এর জবাব জানা জরুরি।

আপনার দুঃখে আমি সমব্যাথী। তিন দিন টানা জ্বরে ভুগে ছিলাম। কিন্তু সস্তির বিষয় কি জানেন আমার মানষ কন্যা দ্বিতীয় দিন আমাকে দেখতে এসে মাথায় দুই ঘটি জল ঢেলে ছিলো। এর জন্য আবার নাকি তাহার সেই সব বান্ধুবিদের কাছে ভৎষনা শুনতে হয়েছিলো।

উপহারঃ আমার মায়ের মাথার ক্লিপ :``>>

১৫ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:২৪

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: শ্রেফ হিংসা থেকে তারা এসব করে।
মায়ের ক্লিপ? বিরাট রিস্ক নিয়েছেন। দেখ গেল 'মানস কণ্যার' মাথায় ক্লিপ আবিস্কার করে আপনার মা না আবার চোর সাব্যস্ত করে।

৪| ১৬ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৪৬

শেরজা তপন বলেছেন: ওই বয়সে আপনি দোয়া ইউনুস জানতেন? আপনি তো কামিল লোক লিটন ভাই :)

১৬ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:৩৬

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: আধা লাইনের দোয়া, সম্ভবত জানতাম।

৫| ১৬ ই এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৪০

মনিরা সুলতানা বলেছেন: আপনি না হয় ধার করে, সম্পাদিত লেখা দুঃখ শেয়ার করেছেন আর এদিকে রানার ব্লগের জীবন থেকে নেয়া অভিজ্ঞতা তো কাঁদিয়ে ছাড়লো =p~

১৬ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:৩৭

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: বুঝিনাই বুবু।

৬| ১৬ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:৪৪

শায়মা বলেছেন: আহারে ভাইয়া।

চুরির শাস্তি অন্যভাবে পেয়েছিলে আর কি। :(

১৬ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:৩৮

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: বড় ভইনের বদ দোয়া লেগেছিল।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.