নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আরব্য উপন্যাসের সেই মরুচারী যে সত্যান্বেষণে জীবন উৎসর্গ করে। সেই উপন্যাসের চরিত্র নিজের ভিতরে লালন পালন ও প্রতিষ্ঠিত করার লক্ষ্যে এই পথচলা।

মামুন রেজওয়ান

মামুন রেজওয়ান › বিস্তারিত পোস্টঃ

"ইতিহাস সমাচার/ ০১"

০৫ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ২:১২

ইসলামি শাসন কি জানেন? মহানবী (সাঃ) যেই শাসনের রুপরেখার প্রবর্তক আল্লাহর বিধান আনুসারে। আর তাঁর (সাঃ) চার খলিফা ছিলেন উত্তম দৃষ্টান্ত। পরবর্তিতে এই শাসনের রুপরেখা অনেক অনেক প্রজন্ম ধরে চলমান থেকেছে এবং এখনও আছে। উসমানী সাম্রাজ্যের কয়েকজন সুলতানের শাসন আমলের ইতিহাস বিকৃত করে পুরো উসমানী সাম্রাজ্যকে কলুষিত করা হচ্ছে বিভিন্ন মাধ্যমে। যার নিকৃষ্ট দৃষ্টান্ত হিসাবে দীপ্ত চ্যানেলে অনুষ্ঠিত সুলতান সুলেমান নামক ধারাবাহিকটি উল্লেখযোগ্য। কিন্তু সুলতান শাসন কেমন ছিল চলুন একটা ঘটনার মাধ্যমে উপলব্ধি করার চেষ্টা করি।

উসমানী সাম্রাজ্যের ৪র্থ সুলতান সুলতান প্রথম বায়েজিদ বিন মুরাদ বিন উরখানকে একবার কোন এক বিচারাধীন মামলার সাক্ষী হিসাবে আদালতে তলব করা হয়। বিচারপতি ছিলেন কাজি শামসুদ্দিন ফানারি। যিনি প্রশংসিত আলেম এবং প্রজ্ঞাবান হিসেবে সুপরিচিত ছিলেন। বিচারকার্য শুরু হলে শামসুদ্দিন ফানারি সুলতানের দিকে একপলক তাকিয়ে রায় দিলেন "সুলতানের সাক্ষ্য আদালতে গ্রহনযোগ্য নয়। কারণ, তিনি মসজিদে গিয়ে নামায আদায় করেন না। যৌক্তিক কারণ ছাড়া যিনি জামা'আতে নামায আদায় করেন না তার পক্ষে মিথ্যা সাক্ষ্য দেওয়া অসম্ভব নয়।" এটা বলে বিচারপতি উঠে দাঁড়ালেন এবং এজলাস ছেড়ে চলে গেলেন।

সুলতানের উপস্থিতিতে তাঁকে লক্ষ করে বিচারকের এমন মন্তব্যে স্তব্ধতা নেমে এল পুরো বিচারকক্ষে। এভাবে সুলতানকে অপমান করার পরিণতি কী হতে পারে, ভাবতেই গা শিঁউড়ে উঠছে মামলার বাদী ও বিবাদীর। কিন্তু কিছুই ঘটল না! সুলতান বায়েজিদ নীরবে আদালত ত্যাগ করলেন। শহরজুড়ে সাধারণ মানুষের মুখে মুখে ছড়িয়ে পড়ল এমন বিস্ময়কর ঘটনা। সামান্য একজন বিচারক সুলতানের সাক্ষ্য গ্রহণে অসম্মতি জানিয়েছে। ভাবা যায়! আর সুলতানও কতটা ন্যায়পরায়ণ হলে নীরবে কাজির কথায় সম্মতি জ্ঞাপন করেন! শুধু সম্মতি জ্ঞাপনই করেন নি বরং তৎক্ষণাৎ নিজ প্রাসাদের বাইরে মসজিদ নির্মানের আদেশ দেন। এবং পরবর্তি দিন থেকে সেই মসজিদে জামা'আতের সহিত নামায আদায় শুরু করেন।

এই ন্যায়পরায়ণ সুলতানের ইতিহাস বিকৃত করে তাঁদের চরিত্রে কালিমা লেপন করা মিডিয়াগুলোকে কী বলা যায়? এই মিডিয়া কিছুদিন পর হাইলাইটে আসার জন্য মহানবী (সাঃ) এর জীবন নিয়ে কলঙ্ক লেপন করবে না তার কি গ্যারান্টি? সঠিক ইতিহাস জানতে চাইলে কোর'আন আর হাদীসের দারস্থ হওয়াই আবশ্যক। বেশীরভাগ মিডিয়ার মূল উদ্দেশ্য টি.আর.পি বাড়ানো। "ইতিহাসকে একটু রসালো করতে পারলে পাবলিক ভাল খায়" এই নীতিতে বিশ্বাসী মিডিয়াগুলো থেকে কিভাবে আশা করবেন সঠিক ইতিহাসের?


Sources:-
1.SULTAN KAHINI
Tamim Raihan
2.Hakikatus Salatin
Osman Nazzar

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই এপ্রিল, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:০২

আলোর পথে বিডি বলেছেন: মুসলিম শাসকদের সঠিক ইতিহাস জানা খুবই প্রয়োজনীয় । না হলে মিথ্যাচারে কলুষিত হবে মুসলিম শাসকদের ইতিহাস ।

পোষ্টের জন্য ধন্যবাদ । জাজাক আল্লাহ খাইরান ।

২৯ শে এপ্রিল, ২০১৮ রাত ৩:৪৫

মামুন রেজওয়ান বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ পোস্টটা কষ্ট করে পড়ার জন্য।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.