নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আরব্য উপন্যাসের সেই মরুচারী যে সত্যান্বেষণে জীবন উৎসর্গ করে। সেই উপন্যাসের চরিত্র নিজের ভিতরে লালন পালন ও প্রতিষ্ঠিত করার লক্ষ্যে এই পথচলা।

মামুন রেজওয়ান

মামুন রেজওয়ান › বিস্তারিত পোস্টঃ

"স্বর্গীয় অনুভুতির সাথে একদিন"

২৯ শে এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১:৩১



দীর্ঘদিন পরীক্ষার দরুন ব্যাস্ত ছিলাম তাই ব্লগে নিয়মিত হতে পারি নি। এখনও পরীক্ষা চলছে তবে আজকে একটু সময় পেয়েছিলাম তাই কল্পনার আঁচড় কাটতে বসে গেলাম আমার এই কল্পনার জগতে।

চলুন একটু স্বর্গীয় অনুভূতির ঘ্রাণ নিয়ে আসি। এই অনুভূতি পেতে চাইলে আপনাকে কল্পনার জগতে সামান্য সময়ের জন্য ডুব দিতে হবে। দু'টি ঘটনা আলোকপাত করব এবং ঘটনা দু'টির শেষে আপনারাই সিদ্ধান্ত নিবেন আসলেই এগুলো স্বর্গীয় অনুভূতি কিনা?

ঘটনা ১
রাত তিনটা বাজে। হঠাৎ বুকের বা অংশে চিনচিন করে একটা ব্যাথা অনুভুত হল আপনার। ডান হাতটা বাড়িয়ে যখনই বুকের বামপাশে রাখতে গেলেন তখনই আপনাকে থমকে যেতে হল। আপনার বুকের উপর একরাশ ঘন কালো চুল ছড়িয়ে আছে। সেই চুলের ফাঁকে উঁকি দিচ্ছে আপনার প্রিয়তমার নিষ্পাপ মায়াবী মুখটা। আপনি তার চুলগুলো আলতো করে সরিয়ে অপলক নয়নে তার চেহারার দিকে তাকিয়ে থাকতে বাধ্য হবেন। বুকের বামপাশে আপনার প্রিয়তমার মাথা থাকার কারনে যে চিনচিনে ব্যাথা অনুভুত হচ্ছিল তা আপনি আজীবন সহ্য করতে পারবেন এই মুহূর্তের নিষ্পাপ মুখটি দেখার জন্য। তাই নয় কি?



ঘটনা ২
মধ্যরাতে খুব সন্তর্পণে তাহাজ্জুদ পড়বেন বলে ঘুম থেকে উঠেছেন। পা টিপে টিপে ও'যু করতে বাথরুমে প্রবেশ করলেন। এত গোপনীয়তার উদ্দেশ্য নিজের প্রিয়তমাকে চমকে দেওয়া এবং সাথে পরাজিত করা। কারণ আপনার প্রিয়তমা প্রতিদিন আপনার আগে তাহাজ্জুদ পড়তে উঠে এবং আপনাকে ওঠায়। তাই এবার নিজে আগে উঠে নিজ প্রিয়তমাকে পরাজিত করার ইচ্ছা জেগেছে। সব কিছু ঠিকঠাকই প্ল্যানমত হচ্ছিল কিন্তু শোবার ঘরে এসে দেখলেন আপনার প্রিয়তমা বিছানায় নেই। খুঁজতে লাগলেন অন্যান্য রুমে। ড্রয়িং রুমে গিয়ে দেখতে পেলেন আপাদ মস্তক ওড়না দিয়ে মোড়ানো আপনার প্রিয়তমা সলাত আদায় করছে এবং শেষ বৈঠকে আছে। প্রিয়তমার নিকট পরাজিত হয়েও আপনাকে থমকে যেতে হল সলাতরত অবস্থায় আপনার অর্ধাঙ্গিনীর নিষ্পাপ মায়াবী মুখটি দেখে। আপাদমস্তক মোড়ানো এই রমনীর সলাতরত অবস্থার শুধুমাত্র মুখটা দেখে কি আপনার সারাজীবন এইভাবে পরাজিত হতে ইচ্ছা করবে না?




বাস্তবতা হয়তোবা এরচেয়ে মধুর হয়। কিংবা কেউ কেউ পরীক্ষায় পড়েন, কঠোর একটা সংগ্রামী জীবনের। কিন্তু আল্লাহর উপর ভরসা করলে অনেক কষ্টের মাঝেও এই স্বর্গীয় সুখগুলো থেকে আল্লাহ কখনও বঞ্চিত করেন না। তাই অনুরোধ যাদের সামর্থ্য আছে দ্রুত এই অনুভূতিগুলোর সাথে পরিচিত হওয়ার ব্যবস্থা করুন। কি খাওয়াবেন নিজের প্রিয়তমাকে, নিজেই এখনও ব্যাংক ব্যালেন্স করা হল না এইসব চিন্তা কেন করছেন? এটাতো দেখবেন আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'আলা।

বিঃদ্রঃ- সবগুলো ছবি গুগলকৃত।

মন্তব্য ১২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১:৫৫

চাঁদগাজী বলেছেন:


পোষ্ট ভালো লেগেছে; পরীক্ষার সময় ব্লগে পোষ্ট লিখছেন, ফাাঁস-করা-প্রশ্ন পেয়েছেন নাকি?

২৯ শে এপ্রিল, ২০১৮ রাত ৩:২৪

মামুন রেজওয়ান বলেছেন: পোস্ট ভাল লাগার জন্য অবশ্যই ধন্যবাদ। চাঁদ্গাজী ভাই অন্তত আপনার কাছ থেকে এরকম অপরিপক্ক প্রশ্ন আশা করি নি। "ফাাঁস-করা-প্রশ্ন পেয়েছেন নাকি?" প্রশ্নটা কেমন বাচ্চা বাচ্চা হয়ে গেল না? আপনি কি ধরেই নিয়েছেন দুনিয়ায় সব শিক্ষার্থী এস.এস.সি কিংবা এইচ.এস.সি দিচ্ছে? নাকি এটা জানেন না আন্ডারগ্রাজুয়েশন লেভেলে পরীক্ষাগুলোর মাঝে যথেষ্ট গ্যাপ থাকে?

২| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১:৫৯

চাঁদগাজী বলেছেন:


আপনার বুকের বাম পাশে কি নিয়মিতই চিনচিন করে? পরীক্ষার সময়ও কি একই পাশে চিনচিন করে?

২৯ শে এপ্রিল, ২০১৮ রাত ৩:২৯

মামুন রেজওয়ান বলেছেন: খুব অবাক হলাম ভাই আপনার মন্তব্য দেখে। আমি পোস্টের কোথায় উল্লেখ করেছি যে, আমার বুকের বাম পাশে ব্যাথা করে? আর যদি করেও এটা কি খুব অস্বাভাবিক যে, একজনের মাথার ওজন আপনার বুকের বামপাশে থাকবে আর আপনার একটুও ব্যাথা অনুভুত হবে না? সমালোচনা করতে হবে এই তাড়ায় বোধহয় পোস্টটা ভাল মত পড়া হয় নি। তবে যাই বলেন আপনি কিন্তু আমার আদর্শ এই প্ল্যাটফর্মে।

৩| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৮ রাত ২:৪১

অনল চৌধুরী বলেছেন: আপনার বুকের বাম পাশে কি নিয়মিতই চিনচিন করে? পরীক্ষার সময়ও কি একই পাশে চিনচিন করে-কথাগুলি ভালো লাগলো না,টিটকারীর মতো মনে হচ্ছে।করলে আপনার সমস্যা কোথায়?

৪| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৮ রাত ২:৫৬

চাঁদগাজী বলেছেন:


@অনল চৌধুরী ,

এই ব্লগার ছাত্র; কিসের ছাত্র বলেননি; সবকিছুর একটা সময় আছে; এখন উনার বুকের বাম পাশে চিনচিন করার সময় নয়; যদি করে, করতেও পারে; শুকনো দিনেও ব্যাং ডাকতে পারে।

৫| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ৯:৩৭

তারেক_মাহমুদ বলেছেন: পোষ্ট ভাল হয়েছে পরিক্ষা শেষ করে নিয়মিত হোন।

২৯ শে এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ১:০৩

মামুন রেজওয়ান বলেছেন: ধন্যবাদ পোস্টটা কষ্ট করে পুরোটা পড়ার জন্য।

৬| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ১১:৫১

রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ।
পোষ্ট পড়লাম।
আপনার কি আজ মন ভালো নেই?
চাঁদগাজী যে মন্তব্যই করছেন, আপনি রেগে যাচ্ছেন কেন? সহজ ভাবে নিন, তিনি সহজ ভাবেই মন্তব্য করেছেন।

২৯ শে এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ১:০১

মামুন রেজওয়ান বলেছেন: সত্যি কথা বলতে কি চাঁদ্গাজী ভাইকে আমি মনে মনে খুব শ্রদ্ধা করি ,তিনি আমাকে বিভিন্ন পরামর্শ দিয়ে সাহায্য করেছেন। তাই তার কাছ থেকে আমার এক্সপেকটেশন অনেক বেশী। কিন্তু সমালোচনা যদি সংশোধনের জন্য না হয়ে অন্য কোন কারনে হয় তবে এটাতে এই ধরনের অপরিপক্ক প্রশ্ন উঠে আসে। তবুও আমি চাঁদ্গাজী ভাইয়ের নিকট ক্ষমাপ্রার্থী।

৭| ০৪ ঠা মে, ২০১৮ দুপুর ২:৪২

রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: সত্যি কথা বলতে কি চাঁদ্গাজী ভাইকে আমি মনে মনে খুব শ্রদ্ধা করি ,তিনি আমাকে বিভিন্ন পরামর্শ দিয়ে সাহায্য করেছেন। তাই তার কাছ থেকে আমার এক্সপেকটেশন অনেক বেশী। কিন্তু সমালোচনা যদি সংশোধনের জন্য না হয়ে অন্য কোন কারনে হয় তবে এটাতে এই ধরনের অপরিপক্ক প্রশ্ন উঠে আসে। তবুও আমি চাঁদ্গাজী ভাইয়ের নিকট ক্ষমাপ্রার্থী।


ভালোবাসা নিরন্তর।

৮| ০৪ ঠা মে, ২০১৮ বিকাল ৩:০৬

রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: সত্যি কথা বলতে কি চাঁদ্গাজী ভাইকে আমি মনে মনে খুব শ্রদ্ধা করি ,তিনি আমাকে বিভিন্ন পরামর্শ দিয়ে সাহায্য করেছেন। তাই তার কাছ থেকে আমার এক্সপেকটেশন অনেক বেশী। কিন্তু সমালোচনা যদি সংশোধনের জন্য না হয়ে অন্য কোন কারনে হয় তবে এটাতে এই ধরনের অপরিপক্ক প্রশ্ন উঠে আসে। তবুও আমি চাঁদ্গাজী ভাইয়ের নিকট ক্ষমাপ্রার্থী।


অনেক বড় মনের পরিচয় দিলেন।

ভালোবাসা নিরন্তর।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.