নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আরব্য উপন্যাসের সেই মরুচারী যে সত্যান্বেষণে জীবন উৎসর্গ করে। সেই উপন্যাসের চরিত্র নিজের ভিতরে লালন পালন ও প্রতিষ্ঠিত করার লক্ষ্যে এই পথচলা।

মামুন রেজওয়ান

মামুন রেজওয়ান › বিস্তারিত পোস্টঃ

"Boiling Frog: দুই পেয়ে মেরুদন্ডহীন বুদ্ধিমান প্রাণী "

০২ রা জুন, ২০১৯ রাত ১১:৪০

জুম্মার নামাযে হুজুর খুৎবা দিচ্ছেন। পীরের সাথে কুকুরের কথা বলার একটা ঘটনা বর্ননা করছেন সম্ভবত। কিন্তু আমি ঢুকেছি ফেসবুকে । সার্চ অপশনে গিয়ে আসিফ ভাইয়ের নাম লিখে সার্চ করলাম। একে একে সবগুলো আর্টিকেল পড়ছি আর চোখটা পানিতে ঝাপসা হয়ে আসছে। আমরা সত্যি Boiling Frog এখন। মস্তিষ্ক, মেরুদন্ডবিহীন Boiling frog. তাপমাত্রা ইতোমধ্যে ২৫ পার করে ফেলেছে তারপরেও নিজের মাংস পোড়ার গন্ধ পাচ্ছি না।

এখানে একটু থামি। Boiling Frog ব্যাপারটা আসলে কি এটা প্রথমে জানা দরকার। প্রায় দেড়শ বছর আগে জার্মান ফিযিওলজিস্ট ফ্রেইডরিখ লিওপোল্ড গল্টয ব্যস্ত ছিলেন বৈজ্ঞানিক ভাবে মানুষের আত্মা বা রূহের বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যার খোঁজে। এই এক্সপেরিন্টের জন্য তিনি কিছু ব্যাঙ নেন। সেগুলোকে স্বাভাবিক তাপমাত্রায় পানিতে রাখেন। তারপর ধীরে ধীরে পানির তাপমাত্রা বাড়াতে থাকেন। Boiling Frog এর মীথ অনুসারে "ব্যাঙকে গরম পানিতে ছেড়ে দিলেই সেটা সাথে সাথে সেই পানি থেকে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করবে। আর যদি ব্যাঙকে প্রথমে স্বাভাবিক তাপমাত্রায় পানিতে রাখা হয় এবং ধীরে ধীরে তাপমাত্রা বাড়ার সাথে সাথে ব্যাঙ সেই তাপমাত্রা মানিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করবে। এবং একসময় পুরে ফ্রাই হয়ে যাবে কিন্তু কিছুই বুঝতে পারবে না।



চিত্র:- মিথ অনুযায়ী বয়েলিং ফ্রগ (গুগল)

কিন্তু বাস্তবতা ভিন্ন। তাপমাত্রা ২৫ ডিগ্রী সেলিসিয়াস পার হওয়ার সাথে সাথেই ব্যাঙটি পানি থেকে উঠে পড়ার চেষ্টা করে এবং বের হতে না পারলে খিচুনির মত শরীর বাঁকা হয়ে ব্যাঙটি মারা যায়।



চিত্র:- মিথের বাস্তবিক রুপ (গুগল)

এরকম একটা মিথ তাহলে শতবছর কিভাবে টিকে থাকল? এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে লাগলেন ফিজিওলজিস্ট গল্টয। তিনি ব্যাঙটির কিছু নার্ভ কেটে দিলেন। এবং সাথে সাথে ফলাফল পেলেন। এবার তিনি লক্ষ্য করে দেখলেন তাপমাত্রা বাড়ার পরও ব্যাঙটি কোন রিএকশন দেখাচ্ছে না। এছাড়া কিছু নেশা জাতীয় দ্রব্য ব্যাঙটির শরীরে পুশ করেও তিনি একই ফলাফল পেলেন। অর্থাৎ ব্যাঙটির শরীর পুরে যাচ্ছে তারপরও কোন প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছে না। তবুও প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে তাহলে মিথটা কিভাবে এত বছর মানুষ ধরে রেখেছে?

উত্তর খুব স্পষ্ট। এই ঘটনা আমরা প্রতিনিয়ত আমাদের সমাজে দেখছি। আমরা বিপিএল, আইপিএল, হলিউড, বলিউড, নেশাজাতদ্রব্য, অবাধ যৌনাচারের নেশায় ডুবে আছি ঠিক সেই ব্যাঙটার মত, যার শরীরে নেশাজাতদ্রব্য পুশ করা হয়েছে। আর আমার আশেপাশের তাপমাত্রা ক্রমশ বাড়ছে অর্থাৎ আমার দাঁড়িকে বলা হচ্ছে জঙ্গির চিহ্ন, ইসলামি শাসন ব্যবস্থার প্রতি আগ্রহ থাকলে আমাকে বলা হচ্ছে উগ্রবাদী মুসলিম, অবৈধ সম্পর্কের শিকল টেনে ধরতে চাইলে আমাকে বলা হচ্ছে সেকেলে। আর আমরাও মেরুদন্ডহীন সেই ব্যাঙটির মত নেশায় বুঁদ হয়ে সব মেনে নিচ্ছি। কিছুদিন পর নিজের পোড়া মাংশের গন্ধ নিজেই পাব কিন্তু বুঝতে পারব না কিছুই।

মন্তব্য ১৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা জুন, ২০১৯ রাত ১১:৪৯

আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: সাপের বিষও ধীরেধীরে নিতে থাকলে এক সময় দেহে সহ্য হয়ে যায়।

০৩ রা জুন, ২০১৯ সকাল ১১:১৬

মামুন রেজওয়ান বলেছেন: ব্যাঙের ক্ষেত্রে এটা প্রযোজ্য নহে।

২| ০৩ রা জুন, ২০১৯ সকাল ১০:৪৭

টারজান০০০০৭ বলেছেন: এখন তাইলে কি করিতে হইবেক?

০৩ রা জুন, ২০১৯ সকাল ১১:১৭

মামুন রেজওয়ান বলেছেন: মাংশ পোড়ার গব্ধ শুঁঁকে মনে মনে বলতে হবে পাশের বাড়িতে বার্বিকিউ চলতিছে।

৩| ০৩ রা জুন, ২০১৯ দুপুর ২:৪৪

মেঘ প্রিয় বালক বলেছেন: কথাগুলো সত্য বলেছেন। আমার দাঁড়িকে বলা হচ্ছে জঙ্গির চিহ্ন, ইসলামি শাসন ব্যবস্থার প্রতি আগ্রহ থাকলে আমাকে বলা হচ্ছে উগ্রবাদী মুসলিম, অবৈধ সম্পর্কের শিকল টেনে ধরতে চাইলে আমাকে বলা হচ্ছে সেকেলে। সুন্দর ও বাস্তব একটি লাইন,যার কথাগুলো বর্তমান সমাজে অবলোকন করা যায় প্রতিনিয়ত। এমনকি এগুলো নিয়ে পত্র-পত্রিকা ও ব্লগেও লেখা হয়।

০৪ ঠা জুন, ২০১৯ রাত ৯:৪৫

মামুন রেজওয়ান বলেছেন: আমরা সত্যিই নেশায় বুঁদ হয়ে আছি। আমার পরিচয় নিয়ে এখন সংকটে আছি। আমরাতো অনেকেই এখন নিজেকে মুসলিম বলতে কিরকম কুণ্ঠাবোধ করি।

৪| ০৩ রা জুন, ২০১৯ বিকাল ৩:১৩

রাজীব নুর বলেছেন: খুৎবা না শুনে অন্যায় করেছেন। এরপর থেকে মসজিদে মোবাইল নিয়ে যাবেন না।

০৪ ঠা জুন, ২০১৯ রাত ৯:৪৬

মামুন রেজওয়ান বলেছেন: রেফারেন্সবিহীন কেচ্ছা কাহিনীতে আমি তেমন আগ্রহ পাই না।

৫| ০৩ রা জুন, ২০১৯ বিকাল ৩:১৭

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: সারা বিেশ্বই একই দু:খজনক চিত্র!!

জাগ্রত আত্মা চাই
জাগ্রত স্বত্ত্বায় হু হুংকারে যে বাজাবে রণ দামামা
কুরশী কাঁপিয়ে ওঠা চীৎকারে ডাকবে সবে -
জাগো- বাহে !! জাগো!!!

০৪ ঠা জুন, ২০১৯ রাত ৯:৪৯

মামুন রেজওয়ান বলেছেন: কখন পাব সেই ইস্পাতদৃঢ় নেতা!!

৬| ০৩ রা জুন, ২০১৯ বিকাল ৩:৪৪

নীলপরি বলেছেন: কিছু মানুষকে দেখলে নির্লিপ্ত বলে মনে হয় । আশাবাদী থাকা ভালো ।

০৪ ঠা জুন, ২০১৯ রাত ৯:৫১

মামুন রেজওয়ান বলেছেন: বর্তমান সমাজের পরিস্থিতি দেখে এখনও চুপ করে আশা নিয়ে বসে থাকার সময় আছে??

৭| ০৩ রা জুন, ২০১৯ রাত ১১:৫৬

নাসির ইয়ামান বলেছেন: সত্যিই আমাদের এখনকার অবস্থা খুবই দুঃখজনক,
জাতি নিজের পরিচয় কখন পাবে?

০৪ ঠা জুন, ২০১৯ রাত ৯:৫৩

মামুন রেজওয়ান বলেছেন: এর থেকে পরিত্রানের উপায়ও আমাদেরই চিন্তা করতে হবে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.