| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |

প্রেমের সংজ্ঞা কি? আবেগ ও অনুভূতির নাম কি প্রেম? কারো অভ্যাসে পড়ে যাওয়া কি প্রেম? অথবা, কাউকে ভালোলাগা কি প্রেম? খুব সম্ভবত এসবের কিছুই নয়। আবেগ ও অনুভূতি একসময় ক্ষয়ে যায়, অভ্যাস পরিবর্তন হতে থাকে আর ভালো তো অনেক মানুষকেই লাগতে পারে। তাহলে প্রেম কি? ঐশ্বরিক কিছু? যদি ঐশ্বরিক বা ডিভাইন কিছুই হয় তাহলেও সেটার স্বরুপ কেমন? মানে একটা সংজ্ঞা তো দরকার! তাই নয় কি?
আচ্ছা, ক্ষমা করে দেওয়া কি প্রেম? কোনো শর্ত ছাড়া কিছু উৎসর্গ করা কি প্রেম? দায়িত্ব নেওয়া মানে কি প্রেমে পড়া? কাউকে সম্মান করা মানে কি তার প্রতি প্রেম বুঝায়? নাহ্, এসবের মধ্যেও মানব-মানবীর প্রেমের সম্পর্ক খুঁজে বের করা খুবই কঠিন। ক্ষমা তো আপনি যে কাউকেই করতে পারেন, শর্ত ছাড়া ভিক্ষুককেও টাকা দান করেন, দায়িত্ব নেওয়ার সাথেও প্রেমের দূরদূর কোনো সম্পর্ক নাই, আর সম্মান তো আপনি রাস্তা দিয়ে হেঁটে গেলে অনেক মানুষকে সালাম/আদাব দিয়েও দেন।
স্বার্থের বাইরে গিয়ে নিঃস্বার্থভাবে সাহায্য করেছেন হয়তো অনেক মানুষকে কিন্তু সেটাকে কি ‘প্রেম’ বলা যায়?
কিন্তু আমি যদি বলি ‘ধর্ম’ আছে বলেই ‘প্রেম’ আছে তাহলে কি একটু অদ্ভুত শোনাবে? হ্যাঁ, আমার মনে হয়, অনেকের কাছেই এটা খুবই অদ্ভুত লাগবে। আমার মতে, যেখানে আল্লাহ্/ঈশ্বরের ধারণা নেই, সেখানে প্রেমও নেই। যে গল্পে ‘ঈশ্বর’ অনুপস্থিত থাকে সে গল্পে প্রেমের উপস্থিতি থাকা অসম্ভব।
এই নির্দিষ্ট প্রশ্নে যে আপনি প্রবেশ করবেন, তা অবশ্যম্ভাবী। কারণ ধর্ম ছাড়া আপনি যখন প্রেমের সংজ্ঞা খুঁজবেন, তখন আপনি পাবেন শুধু মানবীয় সম্পর্কের বিবরণ: ‘Psychology’, ‘Biology’, ‘Sociology’ ইত্যাদি কিন্তু সত্য খুঁজে পাবেন না।
আমি জানি, প্রেমের একটি সার্বজনীন সংজ্ঞা প্রদান করা প্রায় অসম্ভব।
ইসলামে মহানবী (সাঃ) ও আল্লাহ্’র চেয়ে বেশি কাউকে ভালোবাসা নিষিদ্ধ। হোক তিনি আপনার স্বামী বা স্ত্রী, সন্তান বা বাবা-মা। আর প্রেমের বিষয়ে জানতে হলে আপনাকে একটু ফিকহ শাস্ত্র ঘাটতে হবে। ফিকহ অনুযায়ী, স্রষ্টার উপর সৃষ্টিকে ভালোবাসা শিরক। তাই কারো প্রেমে যদি এত বেশি পড়ে যান যে, আপনি আল্লাহ্'র কথা ভুলে যান তবে এমন প্রেম সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ।
একদিন এমনিতেই এ বিষয়ে ঘাঁটছিলাম। একটা সময়ে একজন ইসলামিক দার্শনিকের কিছু কথা পড়ে অবাক হয়ে যাই। তিনি প্রেমের প্রসঙ্গে লিখতে লিখতে এক পর্যায়ে বলেন, কারো প্রতি যদি আপনার আল্লাহ্'র চেয়ে বেশি ভালোবাসা (প্রেম) জন্ম নেয়, তবে আল্লাহ্ তাকে আপনার থেকে দূরে ঠেলে দেয়। আমি সেদিন খুব অবাক হয়েছিলাম। অবাক হওয়ার কারণ হলো, কেউ কেন কাউকে তার স্রষ্টার চেয়ে বেশি ভালোবাসতে যাবেন? বিশেষ করে যিনি ধর্ম মানেন।
এখান থেকে একটু দ্রুত কাট টু নিয়ে আত্মার ধারণায় প্রবেশ করা যাক। যেকোনো ধর্মে আত্মার ধারণা আছে। আত্মার ধারণা ছাড়া ধর্ম অসম্ভব। মানে যেখানে আল্লাহ্/ঈশ্বর আছেন সেখানে আত্মার ধারণাও আছে। আমাদের মধ্যে কেউ কেউ বলেন, “আচ্ছা আপনার/তোমার ‘Soulmate’ কে?” এই ‘Soulmate’ দিয়ে সরাসরি নারী-পুরুষের প্রেমের সম্পর্কে বুঝায়। কিন্তু কেন বুঝায়? প্রসঙ্গত, কিছু ধর্মে আবার আত্মার ধারণা থাকলে আল্লাহ্/ঈশ্বরের স্পষ্ট বা সুনির্দিষ্ট ধারণা নেই।
আচ্ছা, আমরা এমনিতেও ‘মেট (Mate)’ শব্দ ব্যবহার করি যেমন: ক্লাসমেট, রুমমেট ইত্যাদি। ক্লাসমেট মানে কি? সহপাঠী। আবার রুমমেট মানে যখন দুই বা তারও বেশি মানুষ একসাথে এক রুমে থাকেন। কিন্তু স্বামী/স্ত্রী কেন রুমমেট নন? টেকনিক্যালি তো রুমমেট কিন্তু আমরা রুমমেট বলি না কেন?
কারণ তিনি আপনার ‘সোলমেট (Soulmate)’। মানে আত্মার সঙ্গী। ক্লাসমেট যেমন একসাথে পড়ে তেমনি আপনার সোলমেটের আত্মাও আপনার আত্মার সাথে জড়িত থাকে। আর এর ফলে আপনি একটি ঐশ্বরিক বা ডিভাইন সম্পর্ক অনুভব করেন। একটা কানেকশন। আপনি চিন্তা করছেন অথচ সে এমনিতেই সেসব বুঝতে পারছে। মাঝখানে কোনো ব্লু-টুথ বা ওয়াও-ফাই কানেকশন নাই।
আপনি অবাক হবেন, “আচ্ছা, ও আমার সম্পর্কে এতকিছু কীভাবে জানে বা বুঝে?”
আর ঐ কানেকশন কে-ই আমি ‘প্রেম’ বলবো। সুতরাং প্রেম প্রেম… শব্দে এই মুখর বাজারে শুধুমাত্র কতিপয় ভাগ্যবান ছাড়া প্রেমের সন্ধ্যান সহজে কেউ-ই খুঁজে পায় না, বেশিরভাগ মানুষ ‘প্রেম প্রেম’ ভান করেন।
এখন কিছু শব্দ একটু মনোযোগ দিয়ে পড়ুন নতুবা আমার পুরো এই লেখা পণ্ডশ্রমে পরিণত হবে। খেয়াল করুন, আপনি ঐ আত্মার সাথে সহাবস্থান করছেন, তার সাথে আপনার কানেকশন আছে কিন্তু আপনি কোনোভাবেই তার নিয়ন্ত্রক নন বা মালিক নন। আপনারা এক সফরে আছেন, আর ঐ সফরে দুই আত্মা একসাথে পথ হাঁটছেন শুধু। এখানে কেউ কারো মালিক নন।
এই কথাগুলোর ইসলামিক রেফারেন্স পবিত্র আল-কোরআনে সরাসরি আছে। মহান আল্লাহ্ আমাদের জোড়ায় জোড়ায় তৈরি করেছেন। এবং তারপর তিনি আমাদের মধ্যে আত্মাও ইন্ট্রেগেট করেছেন। আর এই পবিত্র সম্পর্কের নাম-ই হলো, ‘প্রেম’।
আবার যেকোনো ধর্মে পরমাত্মার খোঁজ পাবেন। পরমাত্মা হলো, যিনি সকল আত্মার মালিক। যিনি সকল আত্মাকে সৃষ্টি করেছেন এবং নিয়ন্ত্রণ করছেন। আপনি যখন দোআ করেন যে, “আল্লাহ্, আপনাকে হেদায়েত দান করুক।” কিন্তু এই ‘হেদায়েত’ বা সঠিক নির্দেশনা আল্লাহ্ আপনার মনে বা আত্মায় দিতে পারেন কিন্তু শরীরে নয়।
আমরা এত তলিয়ে ভাবি না বলেই তো বলিউডে ইমতিয়াজ আলীর সিনেমা শুরুর দিকে ব্যর্থ হয় এবং পরবর্তীতে কাল্ট ক্লাসিকে রুপান্তরিত হয়। অথবা, ইমরান হাশমির আওরাপান সিনেমা ফ্লপ যায়। কারণ এসব সিনেমার গভীরতা এত বেশি যা ভীড় কে সহজে আকর্ষণ করতে পারে না। ভীড় জানে না, ‘ইয়ে দিল হ্যা মুশকিল’ সিনেমায় ঐশ্বরিয়া রায় কেমন প্রেমে পড়েছেন? ফলে হাসাহাসি চলতে থাকে। ঠাট্টা-তামাশাও ভালোই হয়।
কিন্তু এখানে শিরক কোথায়? আপনি যখন নির্দ্বিধায় ‘পরমাত্মা’ ও ‘আত্মা’ কে নিজের মনমর্জি গুলিয়ে ফেলেন। উদাহরণস্বরূপ: প্রেমে ব্যর্থ হয়ে আত্মহত্যা। মানে আত্মার হত্যা। যা ইসলামে কবিরা বা বড় গুনাহ্ হিসেবে বিবেচনায় করা হয়। কারণ সিস্টেমটা হলো, আপনি ঐ ঐশ্বরিক কানেকশনের নিয়ন্ত্রক বা মালিক নন। আপনি শুধুমাত্র একজন সঙ্গী বা সাথী।
ফলে কানেকশন নষ্ট হলে মনে হয় আপনি আপনাকে হারিয়ে ফেলেছেন। এতে ভয়ানক একাকীত্ব চলে আসে এবং অনেক মানুষ নিজেকে সামলাতে না পেরে আত্মহত্যার পথ খুঁজে নেন। কেউ কেউ বেঁচে থাকার অর্থ পর্যন্ত হারিয়ে ফেলেন।
ইসলাম ধর্মের স্পষ্ট যুক্তি হলো, আপনি আল্লাহ্’র জন্যই কারো প্রেমে পড়েছেন। কিন্তু বাস্তবতায় দেখি উল্টো, আপনি প্রেমের জন্যই আল্লাহ্’র প্রতি অনুগত হয়েছেন (প্রেমের দ্বারা নয়)। ইমরান হাশমি আওরাপান সিনেমায় একজন কে গুলি করে হত্যা করতে পারছিলেন না। হাত কাঁপছে। কেন? কারণ তিনি ঐশ্বরিক কিছু একটা খুঁজে পেয়েছেন। তিনি হরমোন, বিবর্তন বা সোশ্যাল কন্ট্রাক্টে আটকা পড়েন নাই।
শিরক নিয়ে মির্জা গালিবের বিখ্যাত উক্তি,
“যখনই দেখেছি তাকে আমি অন্য কারো সাথে,
তখনই বুঝেছি খোদা শিরক কেন ক্ষমা করেন না।”
মনে হচ্ছে, তিনি প্রেম কে আল্লাহ্’র উপর গুরুত্ব দিচ্ছেন (নাউজুবিল্লাহ)। না, বরং তিনি প্রেমের প্রকৃত সংজ্ঞা দিয়েছেন। কারণ আপনি যদি ঐশ্বরিক কিছুর প্রশংসা করতে যান তাহলে আপনার সর্বোচ্চ একটি মাপকাঠি লাগবে। আপনি যখন কাউকে চাঁদের মত সুন্দর বলছেন সেটা যেমন বাহ্যিক সৌন্দর্য বা শরীরের সৌন্দর্য প্রকাশ করে। তেমনি মন বা আত্মার তুলনা করতে হলে আপনাকে আধ্যাত্মিক জগতের কোনো মাপকাঠি লাগবে। এখানে চাঁদ একটি মেটাফোর ঠিক তেমনি ‘খোদা’ শব্দটিও একটি মেটাফোর ছাড়া আর কিছুই নয়।
একটি জনপ্রিয় হিন্দি গান আছে, লিখেছেন রত্না পাঠক শাহ। ঐ গানের কিছু লাইন, হিন্দি ও ইংরেজিতে,
“Khuda jaane ke main fida hoon
Khuda jaane ke main mit gaya
Khuda jaane ye kyun hua hai
Ke ban gaya ho tum meri khuda”
(ইংরেজি: God knows how devoted I am/God knows how I have lost myself/God knows why this happened/That you have become my God.)
খুব সম্ভবত এই গানটিও বেশ সমালোচিত। কারণ যদি আপনি কট্টোর আক্ষরিক ভাবে চিন্তা করেন তবে এই গানের বক্তব্য ধারণ করাও শিরক। কিন্তু গানের শুরু ও শেষের লাইনগুলো ভালো করে শুনলে বুঝবেন এখানেও ‘খোদা’ শব্দটি মেটাফোর।
এই গানের সাথে কিছুটা মিল পাওয়া যায় জালালুদ্দিন রুমির কবিতায়। এখানে নিজেকে হারিয়ে আল্লাহ্/ঈশ্বরের সাথে মিলিত হওয়ার কথা বলা হয়,
“Lose yourself, lose yourself in this love. When you lose yourself in this love, you will find everything.”
অথবা, আল্লাম ইকবালের কবিতায় প্রেম কে তাওহীদের শক্তি হিসেবে দেখা হয়,
“The Ego is fortified by love (ishq). This word is used in a very wide sense and means the desire to assimilate, to absorb. Its highest form is the desire to absorb God.”
পরিশেষে, আমি মনে করছি প্রেমের সংজ্ঞা আশা করি স্পষ্ট। শিরক নিয়েও কিছুটা জানা গেল। কিন্তু শিরক বিষয়টি ইসলাম ধর্মে একটু জটিল। কারণ ইসলাম ধর্মে মনে করা হয়, আল্লাহ্ হয়তো আমাদের বাকি সমস্ত গোনাহ্ ক্ষমা করে দিতে পারেন কিন্তু শিরকের গুনাহ্ তিনি ক্ষমা করবেন না।
আর এ-কারণেই প্রাকটিসিং মুসলিম হোক আর নন-প্রাকটিসিং মুসলিম হোক কেউ-ই শিরক এর কাছাকাছি যায় এমন কিছু লিখতে বা বলতে বা ধারণ করতে চান না। প্রচার করা তো অনেক দূরের বিষয়। আবার এসব জানতে হলে প্রচুর পড়তে হবে। এবং এটা শুধু ওয়াহাবি বা সালাফী লেন্সে দেখলেও চলবে না। ওঁরা প্রথমেই এসবকে ‘শিরক’ বলে খারিজ করে দেবে।
শেষ প্রশ্ন, আমার মত নন-প্রাকটিসিং মুসলিমরা কি করবে? উত্তর সোজা: শিরক বা শিরকের কাছাকাছি যায় এমন কিছু থেকে দূরে থাকা। কারণ দিনে দিনে পাপে ভারি হয়ে যাচ্ছে আমাদের আত্মা। অন্তত ‘শিরক’ না করি!
ফুটনোট: এই প্রবন্ধটি মূলত প্রেম (Love), রুহ (Soul) এবং ধর্মতত্ত্বের মধ্যেকার দার্শনিক সংযোগ অনুসন্ধান করে। এখানে ব্যবহৃত ‘পরমাত্মা (Paramatma/Brahman)’ শব্দটি প্রধানত হিন্দুধর্মের (বিশেষত অদ্বৈত বেদান্তের) ধারণা অনুযায়ী ব্যবহৃত হয়েছে, যেখানে জীবাত্মাকে পরমাত্মার অংশ মনে করা হয়।
ইসলামি ধর্মতত্ত্বে আল্লাহ্ কোনো আত্মা বা রুহ নন; তিনি রুহের স্রষ্টা ও নিয়ন্ত্রক। ইসলামে তাওহীদের (আল্লাহর এককত্ব) কঠোরতা বজায় রেখে, আল্লাহর সত্তা ও সৃষ্টির (রুহ) মধ্যে কোনো মিলন বা একীভূতকরণ (Merger) সম্ভব নয়।
এই লেখায় যেখানে প্রেমাস্পদকে ‘খোদা’ বা ‘পরমাত্মা’-এর মতো শব্দ দ্বারা উল্লেখ করা হয়েছে, তা সম্পূর্ণরূপে কাব্যিক রূপক (Poetic Metaphor) বা আধ্যাত্মিক তীব্রতা (Spiritual Intensity) বোঝাতে ব্যবহৃত হয়েছে। এই জাতীয় রূপক ব্যবহার ইসলামি আকিদা (বিশ্বাস)-এর দৃষ্টিকোণ থেকে শিরক-এর কাছাকাছি আসতে পারে এবং অনুশীলনকারী মুসলিমদের জন্য অত্যন্ত সংবেদনশীল।
এই ব্যাখ্যাগুলো সুফি ও দার্শনিক দৃষ্টিকোণ থেকে উপস্থাপিত, যা আক্ষরিক ধর্মীয় ফিকহ-এর (আইনশাস্ত্রের) ব্যাখ্যার সাথে ভিন্ন হতে পারে।
ছবি: Qwen
Also Read It On: খোদা জানে কে ম্যায় ফিদা হুঁ: প্রেম, আত্মা এবং শিরকের দর্শন
২|
২২ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৩:১৮
আরোগ্য বলেছেন: মন্তব্য লিখেছিলাম কিন্তু সাবমিট করার পর দেখি লগআউট। কালকে ইনশাআল্লাহ বিস্তারিত করবো আপাতত কিছু প্রশ্ন রেখে যাই,
১. ভালোবাসা ও প্রেমের সংজ্ঞা কি?
২. ভালোবাসা ও প্রেমের তফাত কি?
৩. দাম্পত্য জীবন ব্যতিত কি আদৌ প্রেম সম্ভব? (বলা বাহুল্য যে নিষ্কাম প্রেমের থিওরীতে আমি বিশ্বাসী নই)
৪. সালাফিইজম ও সুফিইজম এর দৃষ্টিতে উভয়ের অবস্থান কি?
৩|
২২ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:৫৮
রাসেল বলেছেন: বিষয়টা খুবই জটিল ও উপভোগ্য মনে হলো, তাই প্রিয়তে রাখলাম, পরে আবার পড়ার জন্য। আপনার লেখার সাথে অনেকক্ষেত্রে আপাতত একমত হতে পারি নাই, দ্বিমতের ধারণাটা কি হবে সেটাও চিন্তা করতে পারছি না। শিরকের বিষয়ে মির্জা গালিবের কথাটা খুব স্বচ্ছ মনে হলো, যদি ইহার সাথে প্রেমের সংযুক্তি থাকে। প্রেম সম্পর্কে আমার ধারণা পুরোপুরি ধোঁয়াশা।
ধন্যবাদ আপনার এই লেখার জন্য, ভবিষ্যতে আরো লেখা আশা করি অত্র বিষয়ে।
৪|
২২ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১:৩৮
রাজীব নুর বলেছেন: পড়লাম।
©somewhere in net ltd.
১|
২২ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১:৩০
স্বপ্নের শঙ্খচিল বলেছেন: আবেগ ও অনুভূতির নাম কি প্রেম?
....................................................................
ভালবাসা !
প্রেম ক্ষনস্হায়ী, কিন্ত ভালবাসা অনন্ত অসীম ।