নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অধিকার বঞ্চিত পৃথিবীর উত্তরাধীকারি

প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন

অপরিপক্ক কৃষক

প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন › বিস্তারিত পোস্টঃ

পর্ণআসক্ত সেকুলার ঢাবি অধ্যাপকের কি আর হিজাব পছন্দ হবে!

২৩ শে মে, ২০২৪ দুপুর ২:২৭



ইন্দোনেশিয়ায় জাকার্তায় অনুষ্ঠিত একটা প্রতিযোগিতায় স্বর্ণপদক জিতেছে বাংলাদেশি নারীদের একটা রোবোটিক্স টিম। এই খবর শেয়ার করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন অধ্যাপিকা। সেখানে কমেন্ট করে বসেছেন একই বিশ্ববিদ্যালয়ের আরেকজন শিক্ষক। বলেছেন:
.
‘আপনার দলের ময়েদের কালো হিজাব পরিহিত পোষাক বাঙালি মেয়েদের প্রতিনিধিত্ব করে কি?’
.
কাহিনী হল পুরস্কার জেতা এই দলের যে ছবি প্রকাশিত হয়েছে, সেখানে দেখা যাচ্ছে দলের পাঁচ নারী সদস্যের মধ্যে ৪ জনই মাথায় হিজাব/স্কার্ফ পরে আছেন।
.
এই ছবি দেখার পর রেটোরিকাল প্রশ্নের ছলে এই ব্যক্তি বলছেন, যেহেতু এরা মাথায় কাপড় দিয়েছে তাই এরা বাঙালি মেয়েদের প্রতিনিধিত্ব করে না। আচ্ছা কালো হিজাব যদি বাঙালি মেয়েদের প্রতিনিধিত্ব না করে তাহলে তার কোট-টাই কি বাঙালি পুরুষের প্রতিনিধিত্ব করে? প্যান্ট-শার্ট পরা মেয়ে কি বাঙালি মেয়েদের প্রতিনিধিত্ব করে?
.
যাইহোক, এই কমেন্ট যিনি করেছেন তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাইকোলজি ডিপার্টমেন্টের একজন অধ্যাপক। বেশ ইন্ট্রেস্টিং ক্যারেকটার।
.
আজ থেকে ৮ বছর আগে, নিজের এক ছাত্রীকে বুলি করে এই ব্যক্তি আলোচনায় এসেছিলেন। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল -
.
হিজাব করার কারণে দীর্ঘদিন ধরে বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন ছাত্রীকে মৌখিক অপমান, ক্লাস অ্যাটেন্ড করা সত্ত্বেও অ্যাটেন্ডেন্স দিতে অস্বীকার করা, ক্লাস থেকে বের করে দেয়ার মতো বিভিন্ন ধরণের বৈষম্য এবং ঘৃণামূলক আচরণ করে আসছিলেন তিনি।
.
একদিন বাধ্য সেই ছাত্রী ক্লাসে দাঁড়িয়ে প্রতিবাদ করেন। তখনও তাকে নানাভাবে বুলি করা হয়। অন্য ছাত্রছাত্রীরা পুরো ঘটনার ভিডিও ধারণ করে, এবং সেটা ভাইরাল হয়ে যায়।
.
এভাবেই এই লোকের আলোচনায় আসা।
.
অর্থাৎ ইসলাম, মুসলিম পরিচয় এবং হিজাব নিয়ে এই ব্যক্তির বিদ্বেষ পুরনো। ফেইসবুকে তার বিভিন্ন পোস্ট ও কমেন্ট থেকেও এটা স্পষ্ট বোঝা যায়। তার আচরণের মধ্যে একটা নির্দিষ্ট প্যাটার্ন আছে।
.
রোবটিক্স দলের সদস্যদের নিয়ে তার সাম্প্রতিক কমেন্টও খতিয়ে দেখার মতো। তার বয়ান হল, যারা হিজাব পরে তারা বাঙালি না। অর্থাৎ যারা ইসলাম পালন করে তারা এই সমাজ ও এই দেশের মানুষ না। তারা ভিন্ন কিছু।
.
ইসলাম ও মুসলিম পরিচয়কে অপরায়ন বা 'আদারিং' এর এই ন্যারেটিভের সাথে আরে. seসের বয়ানের মৌলিক কোন পার্থক্য নেই। বিন্দু ত্বব। দী বয়ানের মূল কথাই হল মুসলিমরা ডারতে অনুপ্রবেশকারী। বহিরাগত আগ্রাসনকারী। এরা এখানকার সমাজ, সংস্কৃতি ও পরিচয়কে গ্রহণ করতে পারেনি। তাই এদের ‘সাইয করতে হবে’।
.
এই অধ্যাপক সেই বিন্দু ত্বব। দী বয়ানের একটি সংস্করণই তুলে ধরেছেন। ইসলাম ও মুসলিম পরিচয়ের বিরুদ্ধে তার তীব্র ঘৃণা বিদ্বেষের পেছনে এই আদর্শের ভূমিকা থাকতে পারে, এমন সম্ভাবনা উড়িয়ে দেয়া যায় না।
.
আরেকটা ইন্ট্রেস্টিং ব্যাপার হল, এই ব্যক্তির টাইমলাইনে গিয়ে দেখা যাচ্ছে তিনি কয়েক ডজন পর. নো গ্রাফ. ইক পেইজ ফলো করছেন। এই পেইজগুলোর এতোই খারাপ অবস্থা যে এগুলোর স্ক্রিনশট শেয়ার করতেও স্বাভাবিক মানুষের সংকোচ হবে।
.
‘ভুলে লাইক পড়ে গেছে’, পেইজ আগে ভালো ছিল পরে ‘হ্যাকড হয়ে’ বা অন্য কোন ভাবে হঠাৎ এমন হয়ে গেছে – এরকম অজুহাত অল্প কিছু পেইজের ক্ষেত্রে হয়তো দেয়া যায়। কিন্তু ডজন ডজন পেইজের ক্ষেত্রে বলার সুযোগ থাকে না।
.
আমি পারফিউম নিয়ে দু’একটা পেইজ লাইক দিয়েছিলাম, এর পর থেকে ক্রমাগত আমার হোম পেইজে শুধু পারফিউম নিয়ে পোস্ট দেখি। এধরণের অভিজ্ঞতা আমাদের সবার আছে।
.
যে লোক কয়েক ডজন পর. নো গ্রাফ. ইক পেইজ ফলো করে তার নিউযফিডের কেমন হবে? এমন লোক সোশ্যাল মিডিয়াকে প. র্ন দেখার জন্য ব্যবহার করছে বললে মনে হয় ভুল হবে না।
.
ক্রমাগত পর. নো গ্রাফি দেখতে থাকলে সেটা দর্শকের মস্তিষ্কে পরিবর্তন আনে। পরিবর্তন আসে তার চিন্তাচেতনায়ও। প. র্ন দৈনন্দিন জীবনের বিভিন্ন স্বাভাবিক প্রেক্ষাপটকে যৌনায়িত করে উপস্থাপন করে। অজ। চ। র, পরকীয়া, শিক্ষক-ছাত্রী রিলেটেড বিভিন্ন ধরণের ফেটিশ প. র্ন ক্রমাগত তৈরি করতে থাকে। [৪]
.
এখন চিন্তা করে দেখুন। একজন মানুষ ক্রমাগত সোশ্যাল মিডিয়াতে প. র্ন দেখছে। দেখতে দেখতে তার চিন্তাভাবনার বারোটা বেজে গেছে। দৈনন্দিন জীবনের বিভিন্ন ঘটনাকে সেক্সুয়ালাইয করে সে ফ্যান্টাসিতে ভুগছে। এই একই লোক যখন বিশ্ববিদ্যালয়ে তরুনী ছাত্রীদের সামনে দাঁড়িয়ে ক্লাস নিচ্ছে। তাদের পোশাকআশাক নিয়ে ব্যাপক মাথা ঘামাচ্ছে।
.
ক্লাসে তরুণী মেয়েদের সামনে দাঁড়িয়ে থাকার সময় এধরনের একজন প. র্ন অ্যাডিক্ট মানুষের মাথার ভেতরে কী চলে?
.
হিজাব নিয়ে বিদ্বেষের পেছনেও এই ধরণের বিকৃতির একটা ভূমিকা থাকা অস্বাভাবিক না। এ ব্যাপারে কুরআন থেকে আমরা বেশ কিছু ইনসাইট পাই। লূত আলাইহিস সালাম যখন তাঁর কওমের বিকৃতির বিরোধিতা করেছিলেন, তখন তারা উপহাস আর ঘৃণা ভরে বলেছিল, এদেরকে বের করে দাও, এরা তো ‘অতি পবিত্র’ হতে চায়।
.
এই আয়াত থেকে বিকৃতির নেশায় আসক্ত মানুষের চিরন্তন এক মনস্তত্ত্ব আমাদের চোখে ধরা পড়ে। যারা সীমালঙ্ঘন করে, নিজেদের কর্মকাণ্ডের বিরোধিতা তারা মেনে নিতে পারে না। অন্যদেরকেও তারা নিজেদের মতো বানাতে চায়। কারণ এটাই তাদের বিকৃতিকে স্বাভাবিক বানানোর উপায়।
.
বর্তমান বিশ্বে চলা বিকৃতির আন্দোলনের প্রধান তাত্ত্বিকদের প্রায় সবাই ব্যক্তিগত জীবনে নানা ধরণের জঘন্য কর্মকাণ্ডে আসক্ত ছিল। অবক্ষয়কাল- বইতে এ নিয়ে আমি বিস্তারিত আলোচনা করেছি। [৬]
.
কাজেই যে লোক প. র্ন অ্যাডিক্ট, যে নানা রকম ফেটিশ আর ফ্যাটাসিতে ভোগে, সে তো আসলে হিজাবকে মানতে পারবে না। নিজের নফসের পূজা করা লোক তাই অবধারিতভাবেবেই হিজাবের বিরোধিতা করবে।
.
ক্লাসের মেয়েরা শরীর ঢেকে আসলে সেটা তার ভয়ারিসম বা 'চোখের সুখের' জন্য সমস্যা। অন্যদিকে আদর্শিকভাবে হিজাবকে তার পক্ষে মানা সম্ভব না। কারণ হিজাব হল আল্লাহর আনুগত্য আর আল্লাহর কাছে আত্মসমর্পণ করে নিজেকে নিয়ন্ত্রন করার প্রতীক।
.
একজন ব্যক্তিকে নিয়ে এতো কথা বলার দরকার ছিল না। তবে আমার মতে এই পুরো ব্যাপারটা আমাদের সমাজের একটা স্ন্যাপশট হিসেবে দেখা যায়। আমাদের সমাজের সেক্যুলার গোষ্ঠীর উল্লেখযোগ্য একটা অংশ এই লোকের মতোই চিন্তা করে, এবং তার মতোই বিভিন্ন রোগ ও আসক্তিতে ভোগে। তারা ঐ জায়গা থেকে ইসলামের বিরোধিতা করে যে জায়গা থেকে মহান আল্লাহর প্রেরিত নবীর বিরোধিতা করেছিল কওমে লূত।
.
নিজেদের এরা প্রগতিশীল বলে পরিচয় দেয়, তবে এদের আসল পরিচয় হল এরা নফস পূজারী। নিজেদের খেয়ালখুশিকে তারা ইলাহ হিসেবে গ্রহণ করেছে। আর তাই বিশ্বাসীদের দেখলে তারা ক্রুদ্ধ হয়ে ওঠে।

লেখাঃ আসিফ আদনান
পর্ণআসক্ত সেকুলার ঢাবি অধ্যাপকের ফেসবুক প্রোফাইল দেখতে এখানে ক্লিক করুন

মন্তব্য ১৯ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (১৯) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৩:১৮

মোঃ খালিদ সাইফুল্লাহ্‌ বলেছেন: খুব বেশী হলে এই লোক আর ৩০/৪০ বছর বাঁচবে। এর পর তার আল্লাহর কাছে জবাবদিহীতার পালা। এদের পরণতির কথা ভাবলে করুণা হয়!

২| ২৩ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৩:৩৪

আবদুল্লাহ মুনতাসিন বলেছেন: পোশাকের স্বাধীনতার ওপর হস্তক্ষেপ করা কোনোভাবেই কাম্য নয়। তবে আপনি কি সেক্যুলার বলতে ধর্ম বিদ্বেষীদের বুঝিয়েছেন? বুঝে থাকলে, আপনার কাছে অনুরোধ থাকবে কোন একটি শব্দ ব্যবহারের আগে তার অর্থ ভালোভাবে জানা।

৩| ২৩ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৩:৩৪

আবদুল্লাহ মুনতাসিন বলেছেন: পোশাকের স্বাধীনতার ওপর হস্তক্ষেপ করা কোনোভাবেই কাম্য নয়। তবে আপনি কি সেক্যুলার বলতে ধর্ম বিদ্বেষীদের বুঝিয়েছেন? বুঝে থাকলে, আপনার কাছে অনুরোধ থাকবে কোন একটি শব্দ ব্যবহারের আগে তার অর্থ ভালোভাবে জানা।

৪| ২৩ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৩:৩৪

আবদুল্লাহ মুনতাসিন বলেছেন: পোশাকের স্বাধীনতার ওপর হস্তক্ষেপ করা কোনোভাবেই কাম্য নয়। তবে আপনি কি সেক্যুলার বলতে ধর্ম বিদ্বেষীদের বুঝিয়েছেন? বুঝে থাকলে, আপনার কাছে অনুরোধ থাকবে কোন একটি শব্দ ব্যবহারের আগে তার অর্থ ভালোভাবে জানা।

৫| ২৩ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৪:৪২

আঁধার রাত বলেছেন: অধ্যাপক সাহেবের পছন্দ না হওয়ার কথা।
রোবটিক নারী টিমকে অভিনন্দন। তারা দেশ, প্রতিষ্ঠান ও তার নিজেদের জন্য সম্মান অর্জন করেছেন জ্ঞান শিক্ষার দ্বারা।
তারা ইসলামী পোশাক পড়েছেন। মাহশাল্লাহ। তারা ইসলামের বিধান ভঙ্গ করে এ অর্জন গুলো করেছেন। সম্ভবত আল্লাহ তাতে খুশি হয়ে পুরস্কার না দেওয়ার অন্তত দুইটা কারণ রয়েছে।
১। তারা ইলমে কালাম শিক্ষা করেছেন। ড. জাকারিয়াসহ অনেক আলেমদের মতে ইলমে কালাম অধ্যায়ণ করা হারাম। কেবল ইলমে আকিদা শিক্ষা করা জায়েজ।
২। নারী ঘরে থাকবে এইটা ইসলামের প্রসিদ্ধ মত। তারা মাহারাম ছাড়া(সম্ভবত) বিদেশ গেছেন।
বোঝা যাচ্ছে যে, যে পর্দার নির্দেশ সুস্পষ্ট ভাবে নাই তা পালন করে ইসলামে যা করতে নিষেধ তা করলে আল্লাহ কিভাবে খুশি হবে, পুরুস্কার দেবে জানি না।
অধ্যাপক সাহেব- ভাল হয়ে যান। ভাল হতে পয়সা লাগে না।

৬| ২৩ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৫:০৪

সম্রাট সাদ্দাম বলেছেন: আমি বুঝি না, এরা কবে মানুষ হবে? যেকোন পোশাকের স্বাধীনতা দিতে হবে। বোরখা, শাড়ি, ওয়েস্টার্ন যার যা খুশি সে তাই পরবে।

৭| ২৩ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৫:৫৯

করুণাধারা বলেছেন:

এই ছবির সাথে পত্রিকার খবরঃ
An all-female robotics team from Bangladesh won the gold medal at the 2024 World Science, Environment, and Engineering Competition (WSEEC) in Jakarta, Indonesia yesterday (19 May).

সারা বিশ্বের প্রতিযোগীদের মধ্যে ১ম হয়ে স্বর্ণপদক আনলো, সেটা না দেখে এদের পোশাক দেখছে!

৮| ২৩ শে মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৪৪

প্রামানিক বলেছেন: এরা বাংলাদশের মহিলাদের কৃতীত্ব না দেখে পোশাক দেখে।

৯| ২৩ শে মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:২৯

শ্রাবণধারা বলেছেন: ঢাবির ঐ শিক্ষক অপ্রাসঙ্গিকভাবে পোশাকের কথা টিনে নিয়ে এসে নিজের বিদ্বেষ পোষণকারী মনোভাবের পরিচয় দিয়েছেন। কিন্তু আপনি কী করে বুঝলেন যে সেই শিক্ষক পর্ণআসক্ত?

২৩ শে মে, ২০২৪ রাত ১০:৪৮

প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন বলেছেন:



লুচ্চাডার প্রফাইলে যান তাইলেই বুঝতে পারবেন আমি কেমনে বুঝেছি।

১০| ২৩ শে মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৩১

নতুন বলেছেন: উপরের নারীরাও তো আপনার স্ট্রান্ডাড অনুযায়ী পর্দা করেনাই। মাহরাম ছাড়া বিদেশে ভ্রমন করেছে (সম্ভবত) মাদ্রাসাতে হাফেজী বা কোরান হাদিস না পড়ে রোবটিংস পড়তে গেছে। কলেজও ১০০% নারী শিক্ষক দারা পরিচালিত না। ইসলামী পরিবেশ নাই ঐ কলেজে। ফ্রী মিস্কিং করে তো আর ভালো মা হতে পারবেন না এরা (ক্রিকেটার হযরত সাকিব কমেন্ট করেছিলেন) ;)


কোরানে বর্তমানের তথাগত বোরকার কোন নির্দেশনা নাই। যেটা আমাদের চলছে সেটা মোল্যাতন্ত্রের চাপিয়ে দেওয়া মাত্র।

দেশের রাস্তায় ৯০% মেয়ে বোরকা পরে কিন্তু তার ৫% ও কি ৫ওয়াক্তি ফরজ নামাজ পরে?

অর্থ বর্তমানের সমাজের পুরুষ মোল্যারা পর্দা কায়েম করতে পেরেছে ঠিকই কিন্তু নামাজ কায়েম করতে পারেনাই।

স্বালীন পোষাক বিশ্বের সকল সমাজের মানুষই চায়। যারা ভাবে বিদেশীরা বিকিনি পরে ঘুরে বেড়ায় তারা উসৃংখন জীবন জাপন করে ... ব্লা ব্লা ব্লা.... তারা বিদেশীদের সাথে চলাফেরা করেনাই, শুধুই পর্ন আর হলিউডি মুভি দেখে বিদেশীদের জীবন জাপনের ধারনা নিয়ে বসে আছে।

বিদেশীরা বিচে বিকিনি পরে, স্কুলে ইউর্ফরম পরে, ক্যাজুয়াল পোষাক পরে, ডিনারে বা পাটিকে এলিগ্যেন্ট পোষাক পরে। এরা সোসালী ড্রিং করে, তার অর্থ এইনা যে বোতলের পরে বোতল খালাস করে...

ওদের সমাজে ভদ্ররা স্বালীন পোষাকই পরিধান করে।

সব সমাজেই ভালো মন্দ আছে, আমাদের দেশেও পতিতা পল্লী আছে, আমাদে দেশের পোলাপাইনেও মদ খায়, নারী নিয়ে ফুর্তি করে, মুসলমান সম্রাটের হেরেমেও নারী/মদ সবই ছিলো।

১১| ২৩ শে মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৪৮

নাহল তরকারি বলেছেন: সময়ের অভাবে আপনার ব্লগটি সম্পর্ন্ন পড়তে পারলাম না। তবে এটা ঠিক যে, বোরকা পড়লে কিছু প্রগতিশীল বুদ্ধিজীবী কেন জানি ভয় পায়? তারা মনে করে মুসলিম মানেই জঙ্গি। তারা হিন্দুদের ধরে খুন করে। তারা বোমা মারে। এমনটিই মনে মরে প্রগতিশীল বৃদ্ধিজীবী বলিউডের সিনেমা। আসলে এগুলো সত্য না।

১২| ২৩ শে মে, ২০২৪ রাত ৮:২৩

আদিবাসী শামুক বলেছেন: আপনার ফেভারিট পর্ন ক্যাটাগরি কী? না কি ধার্মিকরা পর্ন দেখে না?

১৩| ২৩ শে মে, ২০২৪ রাত ৮:৩৬

ঢাবিয়ান বলেছেন: ঐ প্রফেসর সাবকে উন্নত বিশ্বের ভার্সিটি ঘুরিয়ে দেখানো দরকার যে সেখানেও প্রচুর হিজাবি ছাত্রী আছে। একজন অধ্যাপক হয়েও পোষাকের স্বাধীনতার বিষয়ে উনার কোন জ্ঞানই নাই।

১৪| ২৩ শে মে, ২০২৪ রাত ১১:০৪

তানভির জুমার বলেছেন: এইসব বাঙ্গু-প্রগতিশীল প্রফেসররা মূলত ইসলাম বিদ্বেষী। এরকম আরো শত শত প্রফেসর আছে বাংলাদেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে । এরা নিজেরা ভন্ড, প্রতারক, লুচ্ছা, আর বদমাইশ। ইসলামের কোন কিছু দেখলেই এদের চুলকায়।

১৫| ২৩ শে মে, ২০২৪ রাত ১১:৩২

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: পড়ানো বাদ দিয়ে অধ্যাপক পড়ে আছেন পোশাক-আশাক নিয়ে, আর প্রকৌশলী পড়ে আছেন অধ্যাপক কী বলছেন, লিখছেন সেটা নিয়ে। সেটা আবার অন্যের লেখা শেয়ার। এই হলো দেশের অবস্থা। কার কী কাজ সেটা সবাই ভুলে আছে।

১৬| ২৩ শে মে, ২০২৪ রাত ১১:৫৮

ভুয়া মফিজ বলেছেন: এই অধ্যাপক আমার পরিচিত। তার যে আলুর দোষ আছে সেটাও আমি জানি। এই ধরনের পোষ্ট সামুতে আসলে একটা বিষয় খেয়াল করবেন, কিছু ব্লগার মূল বিষয় এড়িয়ে অন্য বিষয়ে ফোকাস করে পোষ্টের গুরুত্বকে ডাইভার্ট করে দিবে। আলোচনার সময় এদের থেকে সাবধান থাকবেন। কুমিরের খাজকাটা......খাজকাটা......খাজকাটা গল্পটা তো জানেন, তাই না!!! :P

করুণাধারা বলেছেন: সারা বিশ্বের প্রতিযোগীদের মধ্যে ১ম হয়ে স্বর্ণপদক আনলো, সেটা না দেখে এদের পোশাক দেখছে! তাইতো দেখবে আপা। যার যেটাতে ইন্টারেস্ট!! ব্লগেও এই রকমের কিছু ব্লগার আছে। এরা চায় মেয়েরা পর্দা না করে খুল্লামখুল্লা চলাফেরা করুক। তাতে তাদের বেশ সুবিধা হয়। :-B

ঢাবিয়ান বলেছেন: ঐ প্রফেসর সাবকে উন্নত বিশ্বের ভার্সিটি ঘুরিয়ে দেখানো দরকার যে সেখানেও প্রচুর হিজাবি ছাত্রী আছে। উনার উন্নত বিশ্ব দেখা আছে। ওখানকার খুল্লামখুল্লা পরিস্থিতি দেখেই তো উনার খায়েশ হয়েছে আমাদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েও এমন পরিবেশ কায়েম করার। ;)

১৭| ২৪ শে মে, ২০২৪ সকাল ৭:৪১

রিদওয়ান খান বলেছেন: অথচ সে নিজেও টাই পড়া ছবি ডিপিতে ঝুলিয়ে রেখেছে।
টাই পড়া কি বাঙ্গালিয়ানা ?

১৮| ২৪ শে মে, ২০২৪ দুপুর ২:২৫

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: বাংলাদেশের মেয়েরা পর্দা করে নিজের ইচ্ছাতে ৯৫% ক্ষেত্রে। বোঝা যাচ্ছে এই শিক্ষক একটা লম্পট টাইপের লোক। এই মেয়েগুলির মেধার প্রশংসা না করে সে পোশাক নিয়ে খোটা দিচ্ছে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.