নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সাধারণ পাঠক ও লেখক
দেশ স্বাধিনের পর বিভিন্ন শাসক দল ও তার সহযোগী সংগঠনগুলোর যে আচরণ দেখা যাচ্ছে, তাতে অনেকেই ফ্যাসিজমের কতকগুলো সংকেত দেখতে পাওয়া যাচ্ছেই বলেই মতামত দি্চছেন । এই লক্ষণগুলো ঠিক এই সময়ে এসে আরো বেশী স্পষ্ট হয়ে উঠছে বলে মনে করেন অনেকেই ।
সাধারণ বহু মানুষকে দক্ষিণপন্থীরা বোঝাতে পারছে যে, আসল প্রশ্নটা দেশপ্রেমের। সবাই তো আর নেশনের ক্রিটিক পড়ে না; তাদের দেশ নিয়ে সেন্টিমেন্ট সহজে জাগিয়ে তোলা গেছে। বহু মানুষ সরকারী দলের সমর্থক হয়েও ক্ষুব্ধ হচ্ছেন এই জেনে নিয়ে যে, দেশকে অপমান করা হচ্ছে। দেশ-জাতি-রাষ্ট্র সরলীকরণের বিরুদ্ধে যে লাগাতার তর্ক চালানো দরকার, সেটা অ্যাকাডেমিতে যতটা হয়েছে, রাজনীতির পরিসরে একেবারেই হয়নি। এটা এ দেশের রাজনীতির একটা বড় ব্যর্থতা।
উগ্র জাতীয়তাবাদ সময় সময় ক্ষমতা দখল করার জন্য অথবা ক্ষমতা ধরে রাখার জন্য কাজে আসে বটে, কিন্তু তাকে লাগাম দিয়ে বেঁধে রাখা কঠিন। ইতিহাসে বহু উদাহরণ আছে, যেখানে টগবগে দেশপ্রেমের ঝড় তুলে যারা ক্ষমতা পেয়েছিল, সেই একই ঝড় সামলাতে না পেরে তারা ক্ষমতা থেকে অপসারিত হয়েছে। গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় শাসকেরা অনেক সময় এই সত্যটা ভুলে যায়।
আজ সরকারের বিপক্ষে যেটা দেখছি, সেটা অনেকটাই সিভিল সোসাইটির আন্দোলন। সিভিল সোসাইটির আন্দোলনের সীমাবদ্ধতা নিয়ে কোন সন্দেহ নেই। সিভিল সোসাইটির আজকের আন্দোলন কী রূপ নিতে পারে, কী রূপ তার নেওয়া উচিত তা নিয়ে অনেক তর্ক বিতরক আছে ? ছাত্রদের মধ্যে থেকে কি নতুন পথ, নতুন নেতৃত্ব উঠে আসবে? মনে হয় এখন সেটা অনেক দুরের পথ ।
বরাবর দেখে এসেছি, রাজনৈতিক আন্দোলন করার চেনা ছক হল মিটিং, মিছিল, ছাপা হ্যান্ডবিল-পুস্তিকা বিলি করা, যে সব জায়গায় মানুষ এমনিতেই জড়ো হয় সেখানে গিয়ে প্রচার করা, নেতাদের বক্তৃতা, প্রেস কনফারেন্স। তার পর এল টেলিভিশন চ্যানেল। কোনও কোনও দলের নেতারা সেই নতুন মাধ্যমটা ভাল ব্যবহার করতে শিখলেন, অনেকে পারলেন না। ইদানীং ইন্টারনেটের মাধ্যমে মোবাইল ফোন আর কম্পিউটার-ভিত্তিক যে প্রযুক্তি এসেছে, যার মধ্যে আবার দৈনিক নতুন নতুন কায়দার আবিষ্কার হচ্ছে, উদাহরন শাহবাগের যুবসমাজের গনজাগরণ মঞ্চ।
সামুর এই অঙ্গন থেকে জাতির সামাজিক-সাংস্কৃতিক সচেতনার যে সব কথা পাঠক সমাজের কাছে আজ আসতে শুরু করেছে, সেটা অত্যন্ত ভাল খবর। এতে আর কিছু না হোক, সামাজিক-সাংস্কৃতিক অংগনে এখনো যে সীমাহীন অজ্ঞানতা রয়েছে , সেটা খানিকটা দূর হবে। দেশপ্রেম তো অনেক হল, এ বার দেশজ্ঞান খানিকটা বাড়াতে পারলে ভাল হয়।
২| ১২ ই মার্চ, ২০১৬ ভোর ৪:১৪
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই কালনী নদী । সানু আসলে সামুই হবে । তবেএকটি শব্দের প্রথম বর্ণ ও শেষ বর্ণ নিয়ে সাধারনত শব্দটিকে সংক্ষেপিত করা হয়। তাই করেছিলাম । তবে সামু নামে অধিক পরিচিত বলে সংশোধন করে নিলাম । বাংলা বানান নিয়ে চিরকালই আমার দুর্বলতা ছিল । তাই বাংলা ভাষার বর্ণ সংখা কমানোর জন্য আমার একটা প্রস্তাবনা আছে । দয়া করে সপ্তাহ দুয়েক আগে মামুতে দেয়া একটি পোষ্ট দেখতে পারেন ।
৩| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১২:০১
খায়রুল আহসান বলেছেন: দেশপ্রেম তো অনেক হল, এবার জ্ঞানের আলো জ্বেলে দেশজ্ঞান খানিকটা বাড়াতে পারলে ভাল হয় - চমৎকার একটা প্রসঙ্গের অবতারণা করেছেন। পোস্টে ভাল লাগা + +
২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ২:১৪
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ অনেক পুরানো একটি লেখা দেখে যাওয়ার জন্য । এটা সামুতে আমার প্রথমদিকের একটি পরীক্ষামুলক পোষ্ট ছিল বিধায় এতে অনেক বিষয়ই অপরিপক্ক ও ভুল রয়ে গেছে । তার পরেও পোষ্টটি ভাল লেগেছে জেনে খুশী হলাম ।
ভাল থাকার শুভ কামনা রইল ।
৪| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ৭:৪৪
মলাসইলমুইনা বলেছেন: আলী ভাই লেখাটা রিপোস্ট করুন | দুবছর পরেও লেখাটা একই রকম প্রাসঙ্গিক আছে | অনেকে তাহলে আবার পড়তে পারবে | লেখার সাথে একমত | চমৎকার হয়েছে |
২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ২:৫১
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ অনেক পুরানো একটি লেখা দেখে যাওয়ার জন্য । পোষ্টটি চমৎকার হয়েছে শুনে ভাল লাগল ।
আপনার অনুরোধ রাখার চেষ্টা করব । এ মহুর্তে ছোট্ট একটি দরকারী লেখা নিয়ে ব্যস্ত আছি,
পোষ্ট দিলে এসে দেখে গেলে খুশী হব ।
শুভেচ্ছা রইল ।
৫| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ ভোর ৫:১৯
মলাসইলমুইনা বলেছেন: আলী ভাই (আমি সব সময়ই ভাবি আপনি ডক্টর আলী না আলী ভাই কোন এডড্রেসটা পছন্দ করবেন |আমাকে বললে আমি খুবই খুশি হয়ে সেটা বলবো), অবশ্যই দেখবো | আপনার লেখার জন্য আমরা অপেক্ষা করে থাকি সব সময় |লুকিয়ে রাখতে পারবেন না | পোস্ট করার সাথে সাথেই আমরা পোস্ট পড়ার জন্য মিছিলের মতো লেগে যাবো |
২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:২৯
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ আবার আসার জন্য । এই ব্লগে রেজিস্ট্রেশন নেয়ার পুর্বে বেশ কিছু পোষ্টের লেখা অনলাইনে দেখেছিলাম , সেখানে অনেক লেখা দেখে এবং কিছু কিছু পোষ্টের নীচে অনেকের কমেন্টের ভাষা দেখে নীজকে সংবরন করে রেখে শালীনতার ভিতরে থেকে মন্তব্য করা আসলেই বেশ কস্টকর হবে ভেবেছিলাম । তখন ভাবলাম নীজকে সংযত রেখে এই ব্লগে বিচরণ করতে হলে নামের আগে ডঃ টা লাগিয়ে রাখলে তা নীজকে সংযত রেখে বস্তুনিষ্ট ও তথ্য নির্ভর লেখা লিখতে সহায়তা করবে । সেরকম বিবচনাতে ডঃ চিহ্নটা নামের আগে ব্যবহার করেছি । এই ব্লগে আমার নিক ব্যতিত আর কোথাও আমি এটা পারতপক্ষে ব্যবহার করিনা । আমি জানি ডক্টরেট তেমন কোন বিষয় নয়, এটা এ ব্লগের অনেকেরই আছে, সম্ভবত আপনিও এর ব্যতিক্রম নন । পরবর্তীতে নিক হতে ডঃ টা তুলে দিতে চেয়েছিলাম কিন্তু সেটা খুব সহজ কর্ম নয় বুঝতে পেরে বিরত থাকি । তাছাড়া যতই দিন যাচ্ছে ও ব্লগের কিছু কিছু জায়গার অবস্থা দেখে মনে হচ্চে নীজের নামের প্রতি সুবিচার করার জন্য এটা বেশ সহায়তা করছে । তা না হলে হয়তবা খুব বেশী বিচার বিবেচনা না করেই বেফাস কিছু বলে নীজের ক্ষতিটুকুই শুধু ডেকে আনতাম । যাহোক, আলী নামটাই আমার কাছে বেশী প্রিয় । তবে আপনি যে ভাবেই সম্বোধন করেন তাতেই আমি খুশী হব । পোষ্ট পাঠের মিছিলে নেমে যাবেন শুনে ভাল লাগল ।
অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল ।
৬| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১১:০৪
টারজান০০০০৭ বলেছেন: ঠিকই বলেছেন, অনেক দিকেই আমরা আগাইতেছি, আর জ্ঞান অর্জনে পিছাইতেছি ! জ্ঞান অর্জনে আরেকটা বিপ্লব দরকার !
২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৩১
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ খুবই মুল্যবান কথা বলেছেন
জ্ঞান অর্জনে আরেকটা বিপ্লব দরকার
শুভেচ্ছা রইল
©somewhere in net ltd.
১| ১২ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ২:৩০
কালনী নদী বলেছেন: Mostly Appreciate!
শেষের বানান টা সানু না হয়ে সামু হবে নিশ্চয়।
এরকম কয়েকটি বানানে টাইপজনিত দুই একটা মিসটেক ছিল আশা করি সংশোধন করে নিবেন।
ঠিক বলছেন লোক দেখানো ভালোবাসা দেখিয়ে কোন কিছুই হবে না, সৃষ্টিশীলতাকে তুলে দড়তে হবে!
আপনাকে অভিনন্দন এ বিষয়ে সজাগ দৃষ্টি রাখার জন্য। আশা করি আপনার কথায় আর অনেকে আলোকিত হবে।