| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ডঃ এম এ আলী
সাধারণ পাঠক ও লেখক
আমাদের মানব জীবনে আলো আঁধারের দ্বন্দ্ব চিরন্তন
ইতিহাস বারবার করেছে প্রমান অন্ধকার যত গভীরই হোক
তার ভিতরেই পরবর্তী আলোর বীজ লুকিয়ে করে অঙ্কুরণ।
আঁধারেও আলো থাকে শুধু একটি কবিত্বময় বাক্য নয়
এটি মানব সমাজের বিবর্তন, রাজনীতির পাঠ, ধর্মের দর্শন
আর আধ্যাত্মিকতার সত্যকে একসূত্রে করে দেয় বন্ধন ।
কারণ
অন্ধকার যত গভীরই হোক
তার বুকে থাকে আলোরই বীজ
রাত্রির অন্তরে লুকিয়ে থাকা
ভোরের প্রথম সূর্য কিরণের তেজ।
সমাজ যখন ক্লান্ত হয়ে পড়ে
অন্যায়, দুঃখ, বৈষম্যের ছায়ায়
তখনই মানুষ হাত ধরে মানুষের
আলো জ্বালে মানবতার দায়।
সংকটই শেখায় আঁধারের ভিতরেই
পরিবর্তনের আলো জেগে রয়।
রাজনীতির অমানিশা বাড়ে যখন
অপশাসন ঘিরে ধরে দেশ
তখনই নাগরিকদের চোখে
সত্যের আলো করে প্রবেশ।
বঞ্চনা যত বাড়ে, তত দৃপ্ত হয়ে
জ্বলে স্বাধীনতার দিপ্ত শিখাটি
অন্যায়ের দিকে ধৃষ্ট দৃষ্টি ছুঁড়ে
চলমান আলোরই জাগরণ ফুটি।
মানুষের কষ্ট, ব্যথা, হাহাকার
তাকে শেখায় আরও মমতা
ব্যথার মাঝেও জন্ম নেয় তখন
আলোর পথে চলার দৃঢ়তা।
অন্ধকারের প্রতিটি দিন
এক নতুন আলোকের জন্ম দেয়
সহমর্মিতার ছোট্ট প্রদীপ
মানুষের মনেই জ্বলে–জ্বলে ওঠে।
ধর্মের বাণী বলে চিরকাল
কষ্টের সঙ্গেই স্বস্তি থাকে
অন্ধকার থেকে আলোয় তোলো
প্রার্থনার সুরে এ ডাকই ডাকে।
বিশ্বের সব ধর্মেই হয়েছে বলা
অসৎ শেষতক দমন হবে
সত্য কল্যাণ ন্যায় জয়ী হবে।
ইসলাম ধর্ম বলে, “কষ্টের সঙ্গেই আছে স্বস্তি”
হিন্দুধর্ম বলে, “আঁধার তমসাকে আলোতে নিয়ে চলে”
খ্রিস্টধর্ম বলে “আলো সত্য ও মুক্তির প্রতীক”
ধর্মের এই বারতাগুলো মানুষকে শেখায়
আঁধার ভয় নয়, বরং আলোর পথে
এগোনোকেই শক্তি হিসেবে দেখো।
সত্য, ন্যায়, সৎ পথে যে হাঁটে
তার মনেতে থাকে নূরের দ্যুতি
ধর্ম শেখায়, অন্ধকার শুধু পথ
আলোই আমাদের চূড়ান্ত গতি।
আধ্যাত্মিকতারও নিঃশব্দ কোণে
মানুষ খুঁজে নেয় নিজের আলো
ঝড় ঝঞ্ঝায় সে আলো নিভে না
চেতনার প্রদীপ জ্বলে আরো ভালো।
ধ্যান, প্রার্থনা, আত্ম অন্বেষণ
দেখায় অন্তরের নীল আকাশ
বাহিরে যত রাত, অন্তরের আলো ততই
বলে আমি আছি দিলাম আশ্বাস
শেষমেশ জীবন শেখায় আমায়
অন্ধকারেরও আছে ঘোষণা
যেখানে রাত হয় ঘনীভূত
সেখানে ভোরেরই উন্মেষ রচনা।
তাই আলো খুঁজতে চাইলে আগে
নিজেই হতে হয় আলোর মতো
কারণ, ঘন আঁধারেও আলো থাকে
সে আলো জাগে মানুষের অন্তর তলে।
তাই প্রতিদিন একটি আয়াত
কিংবা একটি ধর্মবাণী কিংবা
নীতি কথা পাঠ ও অনুসরণ
অন্তরে ঘটাবে আলোর বিস্ফোরণ
মানব সমাজ দেশ পাবে সুশাসন।
১৬ ই নভেম্বর, ২০২৫ রাত ১০:৫৭
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
আপনার মর্মস্পর্শী ও স্নেহভরা মন্তব্যের জন্য হৃদয়ের গভীর কৃতজ্ঞতা জানাই। আমার লেখায় আপনি যে অনুপ্রেরণা
খুঁজে পেয়েছেন এটাই একজন লেখকের কাছে সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি। মানবজীবনের আলো–আঁধারের চিরন্তন
গতিপথকে আপনার মতো সূক্ষ্ম দৃষ্টির পাঠক অনুভব করতে পারলে লেখার দায়িত্ব আরও গভীর হয়ে ওঠে।
ধর্ম, দর্শন, রাজনীতি ও আধ্যাত্মিকতার আলোকে মানবজীবনের অন্ধকার ব্যাখ্যার যে প্রয়াস করেছি, তা আপনার
আন্তরিক শব্দে নতুন অর্থ পেল। আপনার শুভকামনা আমার পথচলাকে আরও উজ্জ্বল করল।
আপনারও সুস্বাস্থ্য, হৃদয়ের প্রশান্তি এবং দীর্ঘ সুন্দর জীবনের জন্য অসংখ্য শুভেচ্ছা রইল।
২|
১৬ ই নভেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:১১
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: আমি মন্তব্যে দক্ষ নই। তথাপি বলব আপনার কবিতা সব দিক থেকে ভালো হয়েছে। আল্লাহ আপনার নেক হায়াত দান করুণ- আমিন।
১৬ ই নভেম্বর, ২০২৫ রাত ১১:০৪
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
আপনার আন্তরিক ও বিনম্র মন্তব্যের জন্য হৃদয়ের গভীর কৃতজ্ঞতা। আপনি মন্তব্যে দক্ষ কি না তা মোটেও গুরুত্বপূর্ণ
নয়; তবে আপনি কবিতা , কোরানের আয়াতের সুন্দর ব্যখ্যা, তরজমা , প্রাসঙ্গিক বিশ্লেষন ও দেশের বর্তমান রাজনৈতিক
দিকসমুহ নিয়ে অন্তরদৃষ্টিমুলক ও দিক নির্দেশনামুলক লেখালেখিতে অত্যন্ত পারদর্শিকতার স্বাক্ষর রেখে চলেছেন।
যাহোক আপনার শুভকামনা ও সৎ অনুভূতির মূল্যই আসল। আমার কবিতা আপনার ভালো লেগেছে,এটাই আমার
জন্য সবচেয়ে বড় আনন্দ।
আল্লাহ আপনাকেও উত্তম প্রতিদান দিন, সুস্বাস্থ্য ও নেক হায়াত দান করুন । আমিন।
৩|
১৬ ই নভেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:২৮
সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: দারুন হয়েছে কবিতা।
১৬ ই নভেম্বর, ২০২৫ রাত ১১:১০
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
আপনার সুন্দর মন্তব্য আমার লেখার প্রতি ভালোবাসাকে আরও গভীর করলো।
আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ ।
আপনার এমন উৎসাহই নতুন নতুন শব্দ খুঁজে পেতে প্রেরণা দেয়।
শুভেচ্ছা রইল
৪|
১৬ ই নভেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:০৪
খায়রুল আহসান বলেছেন: আঁধারের মাঝেও আলো থাকে - তবে সব চোখ সে আলো দেখতে পায় না। কিছু ক্ষতিগ্রস্থ চোখ আলোকেও আঁধারের চেয়ে কালো দেখে।
"বাহিরে যত রাত, অন্তরের আলো ততই
বলে আমি আছি দিলাম আশ্বাস" - মানুষের মনের এই অন্তর্নিহিত আলোই এক সময় তার জ্বরাগ্রস্ত মনের চালিকাশক্তি হয়ে দাঁড়ায়, তাকে তার গন্তব্যের দিকে এগিয়ে নিয়ে যায়।
১৬ ই নভেম্বর, ২০২৫ রাত ১১:২৭
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
আপনার কথাগুলো যেন মানবমনের অন্ধকার-আলো দ্বন্দ্বের এক গভীর ব্যাখ্যা। “আঁধারের মাঝেও আলো থাকে”
এই লাইনটি শুধু কবিতার সত্য নয়, এটি মানুষের মনস্তত্ত্বেরও এক অনির্বচনীয় বাস্তবতা। কারণ আলো বাইরে যেমন
থাকে, তেমনি থাকে মানুষের অন্তরে; কিন্তু আপনি যেমন সূক্ষ্মভাবে বলেছেন সব চোখ সে আলো দেখতে পায় না
সেটাও বেশ প্রনিধান যোগ্য ।
জীবনের প্রচণ্ড ধাক্কা, ঘাত-প্রতিঘাত, অবিরাম ক্ষত, মানসিক আঘাত এসব কিছু চোখকে শুধু ক্ষতিগ্রস্তই করে না,
বরং সেই চোখ আলোকেও আঁধারের চেয়ে কালো দেখাতে শুরু করে। এটিই হলো trauma-induced perception,
যেখানে বাস্তবতা ঢেকে যায় ভীতির কুয়াশায়।আপনার মন্তব্য এই মনস্তাত্ত্বিক সত্যকে কাব্যের মাধ্যমে এমনভাবে
প্রকাশ করেছে, যা একই সঙ্গে বেদনাময় এবং আশ্বাসবহ।
“বাহিরে যত রাত, অন্তরের আলো ততই বলে আমি আছি”এই পঙক্তিটির তাৎপর্য অসামান্য।
মানুষের ভেতরের আলো কখনো বাইরে থেকে আসা আলো নয়; এটি জন্মায় বিশ্বাস, স্মৃতি, প্রত্যয়, এবং বেঁচে থাকার
সহজাত তাড়না থেকে। বাইরের রাত যত গাঢ় হতে থাকে, এই অন্তরের আলো ততই তীব্র হয়ে ওঠে এ এক
বিরোধীসত্ত্বার মহিমা।
এই অন্তর্লোকের দীপ্তিই মানুষকে পথ দেখায়, যখন বাহ্যজগতের সব দিক জুড়ে নেমে আসে অনিশ্চয়তার অন্ধকার।
আপনি দারুণভাবে বলেছেন, এই অন্তর্নিহিত আলোই এক সময় জ্বরাগ্রস্ত, অবসন্ন, ক্লান্ত মনের চালিকাশক্তি হয়ে দাঁড়ায়।
মানুষের মানসিক শক্তি কীভাবে অবচেতন স্তর থেকে উঠে এসে আবার তাকে দাঁড় করায় আপনার কথায় তারই
নিখুঁত চিত্রণ।
এই আলো বাহিরের নয় এ আলো আত্মার।
এ আলো মশালের নয় এ আলো প্রত্যয়ের।
এ আলো চোখে দেখা যায় না কিন্তু আত্মা অনুভব করে।
এ আলোই মানুষকে বলে:
তুমি পড়ে গেছো, কিন্তু শেষ হওনি।
তোমার ভেতরে এখনও এমন কিছু আছে, যা অন্ধকারকে ভয় পায় না।
চল, আবার শুরু করি।
আপনার বক্তব্য শুধু একটি মতামত নয়, বরং এটি মানুষের অভ্যন্তরীণ জার্নির এক গভীর দর্শন। এমন মন্তব্য
আমাদের হৃদয়ে আলো জ্বালায়, আর ল মনে করিয়ে দেয় শব্দের শক্তি ঠিক কতটা অনন্ত, আর অন্তরের আলো
কতটা অদম্য।
বেশ কিছুদিন বিবিধ কারনে ব্লগে নিয়মিত না থাকার কারণে আপনার মুল্যবান লেখাগুলি বিশেষ করে হ্জ্জ নিয়ে
লেখা আপনার ভ্রমন পর্বগুলি দেয়া হয়ে উঠেনি । তবে আপনার হজ্জ বিবরণীর প্রথম পর্বটি দেখে সেখানে একটি
মন্তব্য রেখে এসেছি । জানিনা অনেক পুরাতন পোস্টে পাঠক মন্তব্যের নোটিশ আপনার নিকট যায় কিনা , আমার
কাছে সেরকম পোস্টে করা মন্তব্যের কোন নোটিশ আসেনা , তাই বিষয়টি এখানে আপনাকে জানালাম ।
অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল
৫|
১৬ ই নভেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:২০
শেরজা তপন বলেছেন: আমি আপনার পোস্ট না দেখেই আমার লেখায় প্রতিমন্তব্য করে এসেছি।*
ধর্মের কিছু কথায় কারো কারো মতভেদ থাকলেও আপনার কবিতার অন্তর্নিহিত অর্থ একদম ঠিক।
কপি করতে পারছি না বলে আপনার লেখার অংশবিশেষ তুলে মন্তব্য করতে পারলাম না ![]()
১৭ ই নভেম্বর, ২০২৫ ভোর ৬:১৭
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
আপনার আন্তরিক মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
ধর্মীয় বিষয়ে মতভেদ থাকা স্বাভাবিক, তবে আপনি আমার কবিতার অন্তর্নিহিত ভাবকে গ্রহণ করেছেন।
এটাই আমার জন্য সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি।
কপি করতে না পারায় অসুবিধায় পড়েছেন জেনে দুঃখিত।
তবু আপনার সৌজন্যপূর্ণ মন্তব্য আমার লেখাকে সমৃদ্ধ করেছে।
হৃদয়ের শব্দ/কথা পৌঁছে দেওয়াই তো আসল কথা।
আপনার পোস্টে করা মন্তব্যের উপর প্রতিমন্তব্যখানি দেখে এসেছি
ও সেখানে আপনার জিজ্ঞাসার বিষয়ে কথা বলে এসেছি ।
আবারও কৃতজ্ঞতা । আপনার সাথে এমন সুন্দর বিনিময়
ভবিষ্যতেও হোক।
শুভেচ্ছা রইল
৬|
১৬ ই নভেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১:১৬
আহমেদ জী এস বলেছেন: ডঃ এম এ আলী,
অন্ধকার যত গভীরই হোক
তার বুকে থাকে আলোরই বীজ
রাত্রির অন্তরে লুকিয়ে থাকা
ভোরের প্রথম সূর্য কিরণের তেজ।
যথার্থ লিখেছেন, ভোরের সূর্য্যালোকের মতোই অমোঘ একটি সত্য। দীর্ঘ এই কবিতার মূল কথাটিই এই যে, অন্ধকার বিদির্ণ করে আলো জ্বালতে হবে অন্তরে তবেই মানব সমাজে হবে আলোর বিস্ফোরণ।
খায়রুল আহসান এর মন্তব্যটি চমৎকার।
শুভেচ্ছান্তে।
১৭ ই নভেম্বর, ২০২৫ ভোর ৬:২৭
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
আপনার কথাগুলো সত্যিই হৃদয়ে দাগ কাটল। অন্ধকার যত গভীরই হোক, তার অন্তর্গত বীজে যে আলো লুকিয়ে
থাকে এই উপলব্ধিটাই মানবজীবনের সবচেয়ে আশা-জাগানো সত্য। আপনি যেভাবে ভোরের প্রথম সূর্যকিরণের
উদাহরণ দিয়েছেন, তা যেন আমাদের মনে করিয়ে দেয় যে রাত যতই দীর্ঘ হোক, সূর্য তার আবির্ভাব অবধারিত
ভাবেই ঘটায়।
এই কবিতার মূল বক্তব্যটিকে আপনি অসাধারণভাবে ধরতে পেরেছেন। অন্ধকারকে ভেদ করে আলোর জন্ম দিতে
হলে প্রথমেই আলো জ্বালাতে হবে নিজের ভেতরে। মানুষের হৃদয়ে, বিবেকে, নৈতিকতায় যখন আলোর আগুন
জ্বলে ওঠে, তখন সমাজও ধীরে ধীরে তার আলোয় আলোকিত হয়ে ওঠে। বাহিরের অন্ধকারকে দূর করতে
চাইলে আগে ভেতরের অজ্ঞানতা, ভয়, সংশয় আর অবহেলার অন্ধকার কাটাতে হয়।
কবিতাটি মূলত সেই আত্মপ্রকাশের, আত্মজাগরণের এবং আত্মালোকে মানবতাকে রূপান্তরিত করার আহ্বান।
আর আপনি সে কথাটিই অত্যন্ত সাবলীলভাবে বিশ্লেষণ করেছেন। অন্তরের আলো কখনও নিভে যেতে দেওয়া
যায় না, কারণ সেই আলোই একদিন সমাজে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে মানবকল্যাণের সূচনা করবে।
আপনার মন্তব্য কবিতাটির ভাবকে শুধু পুনরুচ্চারিত করেনি, বরং গভীরতর অর্থে প্রসারিত করেছে। এমন আন্তরিক,
হৃদয়গ্রাহী এবং ভাবনাজাগানো প্রতিক্রিয়া লেখালেখির জন্য দারুনভাবে আনুপ্রেরনা যুগায় ।
যতার্থই বলেছেন , শ্রদ্ধেয় ব্লগার খায়রুল আহসানের মন্তব্য সত্যিই চমৎকার ।
নিরন্তর শুভকামনা রইল
৭|
১৬ ই নভেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১:৫১
সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:
অসাধারণ, ডঃ এম এ আলী ভাই!
১৭ ই নভেম্বর, ২০২৫ ভোর ৬:৩২
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
কবিতাটি অসাধারণ অনুভুত হওয়ার জন্য ধন্যবাদ ।
ব্যস্ততার জন্য ব্লগে অনিয়মিত থাকায় আপনার
লেখা অনেক মুল্যবান পোষ্ট দেয়া হয়ে উঠেনি ।
চেষ্টা করব লেখাগুলি পাঠের জন্য ।
শুভেচ্ছা রইল
৮|
১৬ ই নভেম্বর, ২০২৫ দুপুর ২:৫২
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: অসাধারণ সুন্দর ভাইয়া
আলোর বিস্ফোরণ ঘটুক অন্তরে
দেশে যাক সুশাসন ঝরে।
১৭ ই নভেম্বর, ২০২৫ ভোর ৬:৩৭
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
আপনার এতো সুন্দর প্রশংসা ও শুভকামনার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ। সত্যিই, আলোর বিস্ফোরণ যদি প্রথমে ঘটে
মানুষের অন্তরে চিন্তায়, চরিত্রে, আর নৈতিকতায় তাহলেই সেই আলো বাইরে ছড়িয়ে পড়ে সমাজকে পরিবর্তন
করতে পারে। অভ্যন্তরের আলোই বাহিরের সুশাসনের জন্ম দেয়; মানুষের মন পরিষ্কার হলে দেশও স্বচ্ছতা, ন্যায়
ও কল্যাণে ভরে ওঠে।
আপনার শেষ লাইনটি শুধু একটি কামনা নয়,এটি একটি পথনির্দেশও বটে। আলোর বিস্তার শুরু হোক হৃদয়ে, আর
সেই আলোই আমাদের দেশকে শাসনব্যবস্থা থেকে সমাজব্যবস্থা পর্যন্ত সবখানে নির্মলতার শীতল ছায়া দিক।
আপনার এভাবে পাশে থাকা, উৎসাহ ও শুভকামনায় আলো ছড়ানোই প্রকৃতপক্ষে পরিবর্তনের প্রথম স্ফুলিঙ্গ।
অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল
৯|
১৬ ই নভেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:০০
বাজ ৩ বলেছেন: মাশাআল্লাহ, এম আলি ভাই—
আপনার কবিতাটি যেন অন্ধকার রাতে একটি বাতিঘর। মানুষের অন্তরের ভাঙাচোরা মুহূর্তে এমন কবিতা সত্যিই আশার আলো হয়ে দাঁড়ায়।
অন্ধকার না থাকলে আলোকে মানুষ চিনতে পারত না।
দুঃখ না থাকলে সুখের মাধুর্য হৃদয়ে ধরা দিত না।
হতাশার গভীরতা না থাকলে আশার রঙ এত উজ্জ্বল হতো না।
মানুষ নিশ্চিন্তে ঘুমায় শুধু এই বিশ্বাসে—
রাত যতই গভীর হোক,
ভোর ঠিকই আসবে।
ঠিক তেমনই, যদি তওবার দরজা খোলা না থাকত, তবে মানুষ গুনাহের অন্ধকারে পথ হারিয়ে ফেলত। আল্লাহর রহমতই মানুষকে ফিরিয়ে আনে আলোয়।
কবি অত্যন্ত সত্য বলেছেন—
অন্ধকার যত গভীর হয়, সকাল তত কাছে আসে।
মাওলানা সাদী (রহ.) কত সুন্দর করে বলেছেন—
নাকানি–চুবানি না খেলে, নৌকায় বসার আনন্দ কেউ বুঝতে পারে না।
তাই জীবনের দুঃখ–কষ্ট আসা মানেই ধ্বংস নয়;
বরং তা মানুষকে দৃঢ়, ধৈর্যশীল ও শোকরগুজার করে তোলে।
আল্লাহর কাছে দোয়া—
যে পরীক্ষাই আসুক, তা যেন আমাদের সহ্যের মধ্যে থাকে।
আর মৃত্যু হোক সব দুঃখ-কষ্টের শান্ত সমাপ্তি।
সত্যিই, হৃদয় ছুঁয়ে যাওয়া এই কবিতার জন্য আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই।
১৭ ই নভেম্বর, ২০২৫ ভোর ৬:৫১
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
মাশাআল্লাহ।
আপনার মন্তব্যটি নিজেই যেন এক অনুপম ব্যাখ্যা, এক মহিমান্বিত অনুরণন, যেখানে কবিতার আলো আরও দীপ্ত,
আরও জীবন্ত হয়ে উঠেছে। আপনার প্রতিটি শব্দ যেন হৃদয়ের অভিজ্ঞতা থেকে ঝরে পড়া মুক্তোর মতো স্পষ্ট,
নির্মল, পথদ্রষ্টা। সে-কারণেই আপনার এই মূল্যবান প্রতিক্রিয়ার প্রতি একান্ত গভীর কৃতজ্ঞতা জানাই।
আপনি সত্যিই দারুণভাবে স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন;
অন্ধকারের প্রয়োজন আছে, কারণ আলোকে জানার পথ সেখান থেকেই শুরু।
দুঃখের প্রয়োজন আছে, কারণ সুখের স্বাদ তার বিপরীতে দাঁড়িয়েই উপলব্ধ হয়।
হতাশার গভীরতা না থাকলে আশার রং কখনো এত উজ্জ্বল হতো না,এই সত্যটিকে আপনি যে ভাষায় ফুটিয়ে
তুলেছেন, তা হৃদয়কে নতুন করে ভাবতে বাধ্য করে।
মানুষ রাতকে ভয় পায়, কিন্তু ভয় পেলেও মানুষ ঘুমিয়ে পড়ে শুধু এই বিশ্বাসে যে ভোর আসবেই।
এই বিশ্বাসই তো জীবনের সবচেয়ে বড় প্রেরণা, সবচেয়ে বড় আলোকবর্তিকা।
ঠিক তেমনি, তওবার দরজা না থাকলে, মানুষের ফিরে আসার পথও থাকত না। পাপের আঁধার যতই গভীর হোক
না কেন, আল্লাহর রহমতের একটি আলো জ্বালিয়ে রাখেন, যাতে হারিয়ে যাওয়া কোনো আত্মা একেবারে নষ্ট হয়ে
না যায়। আপনার এই উপলব্ধি সত্যিই হৃদয় ছুঁয়ে যায়।
আপনি উল্লেখ করেছেন;
“অন্ধকার যত গভীর হয়, সকাল তত কাছে আসে।”
শুধু কবির কথাই নয় , আপনি সেই কথার অন্তর্নিহিত দ্যোতনাও উন্মোচন করেছেন।
মাওলানা সাদী (রহ.)এর সেই চিরসত্য উক্তিটি;
“নাকানি-চুবানি না খেলে, নৌকায় বসার আনন্দ কেউ বুঝতে পারে না।”
জীবনের কঠিন সময়কে তিনি যেমন রূপক দিয়ে ব্যাখ্যা করেছেন, আপনিও তেমনি গভীর অনুভূতি দিয়ে
তা স্মরণ করালেন।
দুঃখ কষ্ট ধ্বংস নয়, এটিকে আপনি যে শক্তি, ধৈর্য ও শোকরের প্রশিক্ষণ হিসেবে দেখিয়েছেন, তা সত্যিই
মণিমুক্তার মতো মূল্যবান উপলব্ধি। জীবনের ঝড় আমাদের ভাঙে না; বরং আমাদের দাঁড়াতে শেখায় ,
এ কথাটি আপনার লেখায় নতুন অর্থ পায়।
পরিশেষে আপনার সেই হৃদয়স্পর্শী দোয়া;
যে পরীক্ষা আসে, তা যেন সহ্যের মধ্যে থাকে,
আর মৃত্যু যেন হয় শান্ত সমাপ্তি,
এই দোয়া প্রতিটি মুমিনের হৃদয়ের আরজ, আর আপনার ভাষায় তা আরও কোমল,
আরও স্নিগ্ধ হয়ে ধরা দেয় আমাদের কাছে ।
প্রিয় ভাই, আপনার এমন মনোজ্ঞ, হৃদয়ছোঁয়া প্রতিমন্তব্যের জন্য আপনাকে অন্তরের গভীর থেকে ধন্যবাদ ও
কৃতজ্ঞতা জানাই। আপনার শব্দগুলি শুধু প্রশংসা নয়,এ যেন কবিতার অন্তর্নিহিত আলোককে আরও উজ্জ্বল
করে তুলে, আমাদের হৃদয়ে নতুন অনুরণন জাগিয়ে তোলে।
আল্লাহ আপনাকে উত্তম প্রতিদান দিন, আপনার ভাবনা ও কলমকে আরও নূরের পথে, কল্যাণের পথে
পরিচালিত করুন।আমিন।
১০|
১৬ ই নভেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:৪৫
বাজ ৩ বলেছেন: সামুতে মন্তব্য করলে ডিলেট কেন করা যায়না,দুঃখজনক।আমার ব্লগ ঘুরে আসার আমন্ত্রন রইলো,এম আলী ভাই
১৭ ই নভেম্বর, ২০২৫ সকাল ৭:৩১
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
আপনার ব্লগবাড়ী ঘুরে এসেছি ।
সেখানে আপনার কবিতার উপরে
মন্তব্যের ঘরে আপনার জন্য
ছোট্ট একটি কবিতে রেখে এসেছি ।
শুভেচ্ছা রইল
১১|
১৬ ই নভেম্বর, ২০২৫ রাত ৮:৩৭
শায়মা বলেছেন: কবিতার শিরোনাম, কবিতা সবই উৎসাহ সঞ্জীবনী সূধার মত।
ভাইয়া তোমার শরীর কেমন? তুমি আর্থারাইটিসে ভুগছিলে। অনেক বেশি ভুগছিলে সেটা শুনেছিলাম। আর আমার নিজের অভিজ্ঞতায় ২০১৫ তে হাতে ব্যথা নিয়ে সিআরপিতে ফিজিও থেরাপী করে এই ১০ বছর একদম ভালো ছিলাম। এতটাই ভালো যে আমার কোনো রকম কর্মকান্ডই ব্যহত হয়নি। কোভিডের মধ্যে মাঝে মধ্যে একটু আধটু ব্যথা হত এখানে সেখানে তবে তেমন কিছু না।
হঠাৎ এই ২০২৫ এ এসে হাতে ব্যাথা ফিরে এলো। পাপেট শো ছিলো । আমি পাপেট ধরিওনি। যা করার টিম মেম্বাররা করেছে তারপরেও একটু আধটু যা দেখিয়েছিলাম তাতেই ব্যাথা শুরু হলো। এমনই ব্যথা যে চিরকাল ডক্টর বিমুখ আমি সেই ডক্টরের কাছেই যেতে হলো। আর এবারে ধরা পড়লো আরএ !!!
এই অসুখের কথা ইন্টারনেটে পড়তে পড়তে আমি পুরাই হিরো থেকে জিরো হয়ে গেছি ভাইয়া। ব্যাথাও কমছে না আমার গুলশানে একটা ফিজিও থেরাপী সেন্টার আছে ব্যাক ইন মোশান সেখানে গিয়ে ব্যাথার সাথে আরও মনের ব্যথাও শুরু হয়েছে ।
ভাইয়া।
কোন শত্তুরের বদদোয়ায় যে আমার এই হাল হলো ভাবছি। ![]()
১৭ ই নভেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:২৬
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
বুঝতে পারলাম না কবিতার শিরোনামটা আমার জন্য রেখে গেলে নাকি অ
যাহোক যে অভিপ্রায়েই রাখোনা কেন এটা দিয়ে গেল এই শিরোনামে কবিতা লেখার জন্য উৎসাহ একটি ।
কবিতা না হলেও কবিতার মত দেখায় লেখা লিখলাম একটি ।
কবিতা সবই উৎসাহ সঞ্জীবনী সূধার মত
কবিতা যেন অনন্ত সকালের প্রথম আলো
মনের আঙিনায় হঠাৎ জ্বলে ওঠা উষ্ণ সূর্যরেখা
ক্লান্ত পথিকের কানে বলে দেয়
চলতে থাকো, পথ শেষ হয়নি এখনও।
প্রতিটি শব্দ যেন নবজন্মের শ্বাস
শুষ্ক হৃদয়ে বয়ে দেয় জলের মতো স্নিগ্ধতা
নৈরাশ্যের গভীর অন্ধকারে
একটি দপদপে প্রদীপ হয়ে দাঁড়ায় কবিতা
বলে, ভয় পেয়ো না, তুমি একা নও।
কখনো সে মায়ের কোমল আশীর্বাদ
কখনো বন্ধুর কাঁধে হাত রাখার নিশ্চুপ সহমর্মিতা
হঠাৎ আসা ঝড়ে ছিঁড়ে যাওয়া স্বপ্নকে
আবার জুড়ে দেওয়ার নরম শক্তি রাখে কবিতা
শেখায়, ভেঙে গেলেই শেষ নয়; আবার যায় গড়া।
কবিতা সবই উৎসাহ
সঞ্জীবনী সূধার মত নবউত্থানের শক্তি
যা মলিন দিনগুলোতেও
জাগিয়ে তোলে জীবনের রঙিন ধ্বনি।
প্রতিটি পঙ্ক্তি যেন বলে যায়
তুমি পারবে, তুমি আবার উঠবে,
তোমার পথচলা এখনো বাকি।
এবার আসি তোমার মন্তব্যের বাকি কথায় ।
মন্তব্যের ঘরে বলা তোমার কথাগুলো যেন একেকটা দীর্ঘশ্বাস, শরীরের ব্যথা আর মনের আঘাত মিলেমিশে যে
অসহায়তার ছবি তৈরি করেছে, তা স্পষ্টই বোঝা যায়। এমন দীর্ঘ দশ বছর ভালো থাকার পর হঠাৎ পুরোনো
ব্যথার ফিরে আসা সত্যিই মন ভেঙে দেওয়ার মতো। পাপেট শোতে নিজে তেমন কিছু না করেও আবার ব্যথা
শুরু হওয়া, ডাক্তার-বিমুখ হয়েও ডাক্তার দেখাতে বাধ্য হওয়া,সব মিলিয়ে তোমার মধ্যে যে মানসিক চাপ তৈরি
হয়েছে, তা এত দুরে বসেও অনুভব করছি।
আরএ (Rheumatoid arthritis) রোগের নামটা শুনলেই যে কেউ ভয় পায়, ইন্টারনেট তো সেই ভয়কে আরও
বাড়িয়েই দেয়। তার ওপর ফিজিও সেন্টারে গিয়ে ব্যথা না কমে বরং মনের ভার বাড়ার অভিজ্ঞতা। এসবই
কাউকে সহজেই ভেঙে দিতে পারে। তবুও তোমার কথায় যে অসহায় আর প্রশ্নমুখর দৃষ্টি “কোনো শত্রুর
বদদোয়ায় কি এমন হলো?”সেটাই সবচেয়ে বেশি কষ্ট দেয়। কারণ এ রোগ শত্রুর বদদোয়ায় আসে না,
কিন্তু মনের হতাশা এ ধরনের ভাবনা জাগায়।
এপ্রসঙ্গে আমার নীজের অভিজ্ঞতার কথাই বলি । বছর দুয়েক আগে এনুয়েল হেল্থ রিভিউ করার জন্য আমাদের
ডাক্তার পাড়ায় ( General Practitioner (GP) Surgery ) যাওয়ার পর ডাক্তার প্রয়োজনীয় সব পরীক্ষা, চেকিং
করার পর আমার শরীরের কিছু অংগ প্রতংগের ব্যথা ও মাঝে মাঝে হাত পায়ের কিছু জায়গা ফুলে উঠার কথা
শুনে বললেন আমার মধ্যে নাকি arthritis এর লক্ষন সুপষ্ট । তাই তিনি বমাকে ফিজিউতে রেফার করলেন ।
বাছ আর যায় কোথায় , হল শুরু দৌড়াদৌরী থেরাপিস্টের কাছে । যত না তার কাছে দৌড়াদৌরি, তার থেকে
বেশী হল ঘরে নিয়মিত হাত পা নারাচাড়া করে শুয়া বসা আর খাড়া ব্যয়াম এক্সারসাইজ । একদিকে আর্থাইটিসের
সম্ভাব্য পরিনতি, আর দিকে ব্যয়ামের চাপ, জীবন অতিস্ট করে তুলেছিল । যাহোক কঠিন সে নিয়ম কানুন মেনে
চলায় আল্লার রহমতে অর্থাইটিসের লক্ষন এখন বলতে গেলে সম্পুর্ণ দুরিভুত হয়েছে । তাইতো ঝাড়া হাত পা
আঙ্গুল নিয়ে এখন প্রাণখুলে লিখতে পারছি ।
তাই আমি তোমাকে বলি ব্যথা যতই হোক, এটা কোনো অভিশাপ নয়; বরং শরীরের একটি চ্যালেঞ্জ, যা ধীরে
ধীরে সামাল দেওয়া যায়। এমনকি অনেকেই RA নিয়ে বহু বছর স্বাভাবিক জীবন কাটান ।সঠিক চিকিৎসা,
ফলোআপ ও নিজের প্রতি যত্নই এখানে বড় ভরসা। আর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ তুমি একা নও। আমার মতো
তোমার চারপাশে থাকা আন্তরিক মানুষের সমর্থনই তোমার মানসিক শক্তি ফিরে পেতে সাহায্য করবে ইনসাল্লাহ ।
মোদ্দা কথা হল শরীরের ব্যথা সময় নিয়ে কমবে, কিন্তু মন ভেঙে গেলে সেরে উঠতে দেরি হয়। তাই ভয় নয়,
ধৈর্য আর ভরসাই হোক তার সঙ্গী। সম্পুর্ণ স্বাভাবিক জীবন চালিয়ে যাও।
তোমার শিরোনাম দেয়া উপরের কবিতাটিতে এ বিষয়ে প্রাসঙ্গিক বিবেচনায় কিছু উৎসাহ ব্যঞ্জক কথামালার
অবতারনা করেছি তা হয়ত কবিতাটি পাঠে বুঝতে পেরেছ ।
অনেক অনেক শুভকামনা রইল
১২|
১৭ ই নভেম্বর, ২০২৫ রাত ২:৪৭
ক্লোন রাফা বলেছেন: কোনো সন্দেহ নেই,আঁধারেই নিহিত আছে আলোর দিশা। কিংবা আঁধার যত নিকশ কালো আলো তত সন্নিকট।
ধ্বংস যেমন সৃষ্টির স্পৃহা জাগায় অন্ধকার তেমনি আলোর জন্য তৃষ্ণা সৃষ্টি করে। তা না হলে সবকিছু হারিয়ে যাবে।
১৭ ই নভেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:২৬
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
যতার্থ বলেছেন । আপনার কথাগুলো যেন অন্ধকার থেকে আলোর দিকে যাত্রার এক চিরন্তন সত্যকে নতুন করে
জাগিয়ে তোলে। সত্যিই, গভীরতম অন্ধকারই আমাদের আলোর প্রতি আকুল তৃষ্ণা শেখায়, এবং ধ্বংসের মধ্যেই
সৃষ্টির সম্ভাবনার প্রথম স্পন্দন শোনা যায়।
মানুষ তার পথ হারালেই পথ খোঁজার প্রবলতা বাড়ে, আর নিস্তব্ধ রাতই ভোরের প্রথম আলোকে সবচেয়ে উজ্জ্বল
করে তোলে। আপনার ভাবনা তাই শুধু দর্শন নয় এ এক প্রত্যয়, যে পতনই পুনরুত্থানের ইশারা, আর আঁধারই
আলোকে আরও মূল্যবান করে তোলে।
ধন্যবাদ এমন গভীর ও তীক্ষ্ণ দৃষ্টিভঙ্গি ভাগ করে নেওয়ার জন্য; আপনার চিন্তা আলো ছড়াক এ কামনাই করি।
১৩|
১৭ ই নভেম্বর, ২০২৫ দুপুর ২:৩৪
রাজীব নুর বলেছেন: আসসালামু আলাইকুম স্যার।
অত্যন্ত মনোমুগ্ধকর। আপনার লেখা আমার পছন্দ। আপনি পরিস্কার পরিচ্ছন্ন লিখেন। আপনি একজন ঝামেলাবিহীন ব্লগার।
আমার ওস্তাদ চাঁদগাজী আপনার লেখা পছন্দ করেন। বিশেষ করে আজও আপনার লেখা আম্রপলি'র কথা উনি স্মরন করেন।
১৮ ই নভেম্বর, ২০২৫ রাত ১:৪৪
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
মনোমুগ্ধকর অনুভুত হওয়ার জন্য ধন্যবাদ ।
আমার লেখা আপনাদের ভালো লাগছে এটাই সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি।
সকলের ঝামেলাবিহীন জীবন আমার কাছে কাম্য ।
চাঁদগাজী আমার লেখার কথা স্মরণ করেছেন জেনে সম্মানিত বোধ করছি।
আপনাদের সকলের উৎসাহই আমাকে আরও মনোযোগ দিয়ে লিখতে প্রেরণা দেয়।
১৪|
১৭ ই নভেম্বর, ২০২৫ দুপুর ২:৫৮
রাজীব নুর বলেছেন: আপনার লেখার আরেকটা দিক হচ্ছে বানান ভুল থাকে না।
১৮ ই নভেম্বর, ২০২৫ রাত ১:৫১
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
যদিও বয়সের কারণে চোখে এখন আর আগেরমত ভাল দেখিনা
তাএ সাধ্যমত চেষ্টা করি বানান ভুল কম করার জন্য।তারপরেও
লেখায় অনেক বানান ভুল থেকেই যায় । বিশেষ করে অভ্র কি
বোর্ডে কিছুটা পরিবর্তন আসায় ভুলবসত আগের নিয়মে বাটন
চেপে ফেলায় অনেক ভুল হয়ে যায় ।
১৫|
১৭ ই নভেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:৪৪
শায়মা বলেছেন: হা হা ভাইয়া মনের ব্যাথা আর শরীরের ব্যাথা ঠিক বলেছো বটে। আমার ডক্টরও বলেছে চেপে থাকা রাগ দুঃখ ক্ষোভ থেকে নাকি আমার এই ইনফ্লামেশন হঠাৎ বেড়েছে। কারণ আমি সব সময় আনন্দময় জীবন কাটাবার চেষ্টা করি জীবনের যা কিছু অপ্রাপ্তি বা রাগ দুঃখ বেদনাকে ঘুম পাড়িয়ে। মাঝে মাঝে শয়তানগুলা ঘুম থেকে জেগে ওঠে তখনই এই সমস্যা হয় হয়ত।
এবারের সমস্যাটার কারনও বুঝতে পারছি কিন্তু কিছু করার নেই। মানসিক চাপ নেবেন না বললেই কি সেটা করা সম্ভব এই কঠিন দুনিয়ায়!!! আমি এমনিতেই সবখানে ফার্স্ট হবার জন্য আমার সকল কিছুতেই প্রানপনে লেগে থাকি সেটাও একটা স্ট্রেস তার উপরে যদি একটু আধটু মানুষের দেওয়া স্ট্রেস হয় যা আমার হাতে নেই তবে কিছু করার থাকে না আর এই সব ঘুমন্ত শয়তানেরা জেগে ওঠে হা হা ভাইয়া।
যাইহোক আমি ভয় করবো না ভয় করবো না
দুবেলা মরার আগে মরবো না ভাই মরবো না ........
আমি ফিজিও থেরাপীতে রেগুলার যাচ্ছি ব্যাক ইন মোশানে কিন্তু সেখানের খরচ অনেক বেশি। অনেক আগে সি আর পি তে গেছিলাম সেখানে আবার অনেক কম। কিন্তু সেই দশ বছর আগের সহজ জীবন এখন ব্যস্ত সময়ে পরিনত হয়েছে। তাই সময় বাঁচাতে আশে পাশে যাওয়া। কিন্তু সেই আকাশচুম্বী খরচ দেখে মনে হচ্ছে আহা কতগুলা শাড়ি গয়না সাজগুজু কেনা যেত তানা কি যন্ত্রনা এলো জীবনে.....
১৮ ই নভেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:০১
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
হাল নাগাদ কথামালা শুনে কিছুটা স্বস্তি পেলেও তোমার অর্থ ব্যয়ের ক্ষেত্র প্রয়োজনীয় আরো ভিন্ন খাতে প্রবাহিত
হয়ে কতগুলা শাড়ি গয়না সাজগুজু কেনাকাটায় বিঘ্নতা সৃস্টির কথা শুনে বেশ মর্মাহত হলাম ।
তোমার মন্তব্যের বিষদ উত্তর দিতে ফিরে আসব পরে । এখন একটি সময়ের কাজ সময়ে করার জন্য নতুন
একটি পোস্ট দেয়ার কাজে ব্যস্ততার মাঝে আছি ।
শুভেচ্ছা রইল
১৬|
১৮ ই নভেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:৩০
শায়মা বলেছেন: হা হা এই সব হলো দুঃখের মধ্যে একটু ফান করার চেষ্টা জীবনই না বাঁচলে শাড়ি দিয়ে কি হবে? ![]()
১৭|
১৮ ই নভেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৩৬
মেঠোপথ২৩ বলেছেন: হ্রদয়ে প্রশান্তি ছড়িয়ে যাওয়ার মত একটা লেখা। অনেক অনেক ভাল লাগলো পড়ে।
শায়মা আপু, দেশে ফিজিওথেরাপি আসলে ঠিক কি আমার জানা নাই। বিদেশে ফিজিওথেরাপি মানেই হচ্ছে স্পেশাল এক্সারসাইজ । ফিজিওথেরাপিস্ট শিখিয়ে দেয় । এরপর ঘরে রেগুলারলি করতে হয়। যেহেতু নিজে করতে হয়, তাই খরচ অনেক কম ।
©somewhere in net ltd.
১|
১৬ ই নভেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:১৯
নতুন নকিব বলেছেন:
প্রিয় আলী ভাই, আপনার গভীর, হৃদয়স্পর্শী এবং আলোকময় লেখাটি শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। মানবজীবনের অন্ধকারকে যেভাবে আপনি ধর্ম, দর্শন, রাজনীতি এবং আধ্যাত্মিকতার আলো দিয়ে ব্যাখ্যা করেছেন, তা সত্যিই অনুপ্রেরণার।
আলো–আঁধারের এই চিরন্তন দ্বন্দ্বকে এমন সুন্দরভাবে তুলে ধরার জন্য আপনাকে আন্তরিক কৃতজ্ঞতা ও শুভেচ্ছা। আপনার সুস্বাস্থ্য এবং দীর্ঘায়ু কামনা করছি।