নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সাহিত্য, সংস্কৃতি, কবিতা এবং সমসাময়িক সামাজিক বিষয়াদি নিয়ে গঠনমুলক লেখা লেখি ও মুক্ত আলোচনা

ডঃ এম এ আলী

সাধারণ পাঠক ও লেখক

ডঃ এম এ আলী › বিস্তারিত পোস্টঃ

ব্লগে প্রকাশিত লেখাকে ‘গার্বেজ’ আখ্যা দেওয়া: বৈজ্ঞানিক যুক্তিমুলক মূল্যায়ন নয়

১৮ ই নভেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:৫৮


ইন্টারনেট যুগে জ্ঞানচর্চা ও তথ্যবিনিময়ের প্রধান মাধ্যমগুলোর একটি হলো ব্লগ।ব্লগে বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা , গবেষনা , গল্প , কবিতা, উপন্যাস, প্রবন্ধ , নিবন্ধ , ফিচার , ছবিব্লগ, ভ্রমন কাহিনী প্রভৃতি প্রকাশ পায়, এবং বহুমাত্রিক পাঠকসমাজ সেগুলি থেকে উপকৃত হয়। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে দেখা যাচ্ছে, অল্প বোধগম্যতা কিংবা ব্যক্তিগত অস্বস্তি থেকে কেউ কেউ এসব জ্ঞানগর্ব বা চিন্তাকেন্দ্রিক লেখাকে “গার্বেজ” বলে অবজ্ঞা করছেন। এই ধরনের মন্তব্য এবং ক্ষেত্র বিশেষে কারো নাম উল্লেখপুর্বক পোস্টও প্রকাশ করা হয় , তা শুধু বুদ্ধিবৃত্তিক পরিবেশকে ক্ষতিগ্রস্ত করে না; বরং জ্ঞানের মৌলিক মূল্যবোধকে ভুলভাবে উপস্থাপন করে। বৈজ্ঞানিক যুক্তিতর্ক অনুসারে কেন এমন মূল্যায়ন বিভ্রান্তিকর তার কয়েকটি দিক এখানে বিশ্লেষণ করা হলো।

১. “গার্বেজ” শব্দটি মুলত কোন বৈজ্ঞানিক যুক্তিমুলক মূল্যায়ন নয় এটি একটি আবেগজনিত প্রতিক্রিয়া।
কোন লেখার উপর সমালোচনার মূল নীতি হলো:-
যে দাবি করা হচ্ছে, তা প্রমাণ/যুক্তি নির্ভর কি না?
ক্ষেত্রবিশেষে তার যুক্তিগুলো কতটা যাচাইযোগ্য বা গ্রহনযোগ্য ?
কিন্তু “গার্বেজ” শব্দটি এমন কোনো বিশ্লেষণ দেয় না। এটি কেবল আবেগ-নির্ভর, বিষয়টিকে বোঝার চেষ্টাহীন একটি প্রতিক্রিয়া। পাঠকের বোঝাপড়ার ঘাটতি থাকলেও লেখাটি ‘ব্যর্থ’ হয় না; বরং পাঠককে নতুন করে চিন্তা করতে আমন্ত্রণ জানায়। বিজ্ঞানেও একই নীতি যথা কোয়ান্টাম মেকানিক্স, টপোলজি অথবা জেনেটিক্স প্রভৃতি সংক্রান্ত কোন কিছুর আলোচনা অস্পষ্ট জটিল বা বোধগম্যহীন বা খ্রান্ত বলে মনে হলেও সেগুলোকে “গার্বেজ” বলা যায় না, কারণ ভ্রান্ত হলেও সেগুলির বৈজ্ঞানিক যুক্তি তর্ক থাকে ।

২. কগনিটিভ লোড থিওরির আলোকে পাঠক বোধের সীমাবদ্ধতা
শিক্ষাবিজ্ঞানের Cognitive Load Theory দেখায়, জটিল ধারণা প্রথমবার পড়লে মানুষের মস্তিষ্কে অতিরিক্ত চাপ তৈরি হতে পারে। তখন অনেকেই বিষয়টিকে ভুল বা “অকার্যকর” মনে করেন। কিন্তু এর মানে এই নয় যে লেখাটি খারাপ; বরং পাঠকের তথ্য প্রক্রিয়াকরণে আরও সময় বা অভ্যাস প্রয়োজন।
অর্থাৎ, কারো জন্য কঠিন হওয়া = লেখাটি গার্বেজ
এটি একটি মারাত্বক বিভ্রম, যা নিজেদের সীমাবদ্ধতাকে লেখকের উপর চাপিয়ে দেওয়ার সমান।

৩. ব্লগে ভদ্রজনোচিত যে কোন লেখাই একটি তথ্য-ইকোসিসটেম সৃষ্টি করে
একটি লেখাকে গার্বেজ তথা মূল্যহীন বলার আগে দেখতে হবে, সেটির ইনফরমেশন ভ্যালু কী:
এটি নতুন ধারণা দিচ্ছে কি?
এটি কোনো কল্যানমুখী দিক নির্দেশ করছে কি?
এটি পাঠককে নতুন চিন্তাভাবনার দিকে ঠেলে দিচ্ছে কি?
ব্লগে ভদ্রজনোচিত ভাষায় কল্যানকামী যে কোন গল্প কবিতা উপন্যাস, প্রবন্ধ, ফিচার প্রভৃতি সাধারণত জ্ঞানতাত্ত্বিকভাবে মূল্যবান। তথ্যবিজ্ঞান বা ভাববোধক কথাসমৃদ্ধ কোনো লেখা যদি জটিল ধারণাকে প্রসারিত করে যথা আঁধারের মাঝেও আলো থাকে , এ ধরনের কাব্যিক কথামালার মধ্যে একটি উচ্চ semantic density থাকে। কারণ “আধারের মাঝেও আলো থাকে “ কবিতার এই কথাগুলির ব্যাপক ভাব সম্প্রসারন রয়েছে যা নীজস্ব চিন্তাশক্তি প্রয়োগ করে বুঝতে হয়। একজন দক্ষমাঝি যেমন তার পালের নৌকাকে অনুকুল কিংবা প্রতিকুল বায়ু ব্যবহার করে তার গন্তব্যের পথে চালিত করতে পারেন তেমনি উচ্চ semantic density যুক্ত লেখাকে নিম্ন বোধগম্য পাঠক “গার্বেজ” বললেও, বৈজ্ঞানিক মানদণ্ডে এটি আসলে আরও অনেক উন্নত।

৪.কোন সমালোচনা বৈজ্ঞানিক হতে হলে যুক্তি চাই, নিন্দা নয়
বৈজ্ঞানিক সমালোচনার চারটি ভিত্তি রয়েছে:-
১. সুনির্দিষ্ট বক্তব্য
২. যাচাইযোগ্য প্রমাণ
৩. যৌক্তিক বিশ্লেষণ
৪.প্রাসঙ্গিকতা
কিন্তু “গার্বেজ” মন্তব্য এগুলোর কোনোটাই পূরণ করে না।এটি আসলে একটি Argumentum ad Hominem অর্থাৎ ব্যক্তি বা লেখার চরিত্রকে আক্রমণ করা, তার বিষয়বস্তুকে না বুঝেই।
এটি সমালোচনা নয়; এটি বুদ্ধিবৃত্তিক আলসেমি।

৫.ব্লগে জ্ঞানগর্বমুলক যেকোন লেখার অস্তিত্বই বুদ্ধিবৃত্তিক বৈচিত্র্যের লক্ষণ
উদাহরন হিসাবে একটি নমুনা নীচে তুলা ধরা হল ;

এই সামু ব্লগে সাম্প্রতিক প্রকাশিত “আঁধারের মাঝেও আলো আছে” শীর্ষক একটি কবিতায় কিছু পঙতিতে বলা হয়েছে -

মানুষের কষ্ট, ব্যথা, হাহাকার
তাকে শেখায় আরও মমতা
ব্যথার মাঝেও জন্ম নেয় তখন
আলোর পথে চলার দৃঢ়তা।

অন্ধকারের প্রতিটি দিন
এক নতুন আলোকের জন্ম দেয়
সহমর্মিতার ছোট্ট প্রদীপ
মানুষের মনেই জ্বলে জ্বলে ওঠে।

শেষমেশ জীবন শেখায় আমায়
অন্ধকারেরও আছে ঘোষণা
যেখানে রাত হয় ঘনীভূত
সেখানে ভোরেরই উন্মেষ রচনা।

তাই আলো খুঁজতে চাইলে আগে
নিজেই হতে হয় আলোর মতো
কারণ, ঘন আঁধারেও আলো থাকে
সে আলো জাগে মানুষের অন্তর তলে।

তাই প্রতিদিন একটি আয়াত
কিংবা একটি ধর্মবাণী কিংবা
নীতি কথা পাঠ ও অনুসরণ
অন্তরে ঘটাবে আলোর বিস্ফোরণ
মানব সমাজ দেশ পাবে সুশাসন।

সেই লেখাটিতে থাকা পুর্বাপর লেখাগুলি পাঠ কিংবা আমলে না নিয়ে
কবিতাংশটির মাত্র দুটি লাইন তথা –

তাই প্রতিদিন একটি আয়াত
কিংবা একটি ধর্মবাণী

এই গুটি কথক কথার সুত্র ধরে লেখক বা লেখাকে গার্বেজ বলা খুব একটি বিজ্ঞতাসুলভ আচরণ নয় ।
কারণ সমালোচক আরো একটু কষ্ট করলে পরের লাইনেই দেখতে পেতেন বলা হয়েছে-
নীতি কথা পাঠ ও অনুসরণ

“নীতি কথা পাঠ ও অনুসরণ” একটি বহুমাত্রিক উপলব্ধি
“নীতি কথা পাঠ ও অনুসরণ” কেবল নৈতিক বাণী পড়া নয়; এটি মানুষের জ্ঞান, চেতনা, আচরণ ও সামাজিক কাঠামোকে গভীরভাবে প্রভাবিত করে এমন এক সমন্বিত প্রক্রিয়া।
বৈজ্ঞানিকভাবে, নীতি-শিক্ষা মানব মস্তিষ্কের নির্বাহী কার্যকলাপকে (executive functions) পরিশীলিত করে, সিদ্ধান্ত গ্রহণ, Self-regulation এবং আচরণ নিয়ন্ত্রণে সহায়ক হয়। দার্শনিক দৃষ্টিতে, নীতিকথা মানুষের অস্তিত্ব, কর্তব্য, ন্যায় অন্যায়ের সীমা ও জীবনের উদ্দেশ্য সম্পর্কে ভাবতে শেখায়। যুক্তিক বিশ্লেষণ এ ধারণাকে আরও দৃঢ় করে, কারণ নীতি অনুসরণ মানেই সত্য-মিথ্যা পৃথক করতে যুক্তি প্রয়োগ, প্রমাণ বিচার এবং বিবেক-নির্ভর সিদ্ধান্ত গ্রহণ। ধর্মনৈতিক দৃষ্টিকোণে, নীতি কথা মানব চরিত্র, পরহিতব্রত, ন্যায়পরায়ণতা ও সৃষ্টিকর্তার উপর বিশ্বাসের আলোকে জীবনকে শুদ্ধ পথে পরিচালনার দীক্ষা দেয়।

অতএব, “নীতি কথা পাঠ ও অনুসরণ” মানবজীবনে নৈতিক বিকাশের পাশাপাশি জ্ঞানবিজ্ঞান, দর্শন, যুক্তি ও ধর্মনৈতিকতার এক সুসমন্বিত পথরেখা যা ব্যক্তিকে শুদ্ধ চরিত্র, সুশৃঙ্খল সমাজ ও অর্থবোধক জীবনযাপনের দিকে এগিয়ে নেয়। তাই এ ধরণের জ্ঞান গর্বমুলক একটি কথা বলার নিমিত্ত কাওকে নবুয়তি লাভের মত বাক্যবাণে বিদ্ধ করার প্রয়োজন হয়না, কেননা এ কথা বলার জন্য সামান্য জ্ঞান বুদ্ধি সমপন্ন হলেই চলে ।

গবেষণা দেখায়, যেসব সমাজে জটিল, বুদ্ধিবৃত্তিক আলোচনার সুযোগ বেশি, সেসব সমাজের উদ্ভাবন, নৈতিকতা ও চিন্তার গভীরতা বেশি হয়। ব্লগের মতো খোলা প্ল্যাটফর্মে যদি চিন্তার উচ্চতার জন্য লেখাকে গার্বেজ বলা হয়, তাহলে সম্পূর্ণ প্ল্যাটফর্মেই Anti -Intellectualism ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি থাকে।Anti-Intellectualism শেষ পর্যন্ত জ্ঞানবিস্তারকে দমন করে যা কোনো সমাজের জন্যই মঙ্গলজনক নয়।

৬. সামু ব্লগের মত প্রগতিশীল একটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম দেখায় চ্যালেঞ্জিং লেখা প্রগতির ইন্ধন
মানব সভ্যতার আদি থেকে আজ পর্যন্ত, প্রতিটি যুগান্তকারী চিন্তাই প্রথমে “অতিরঞ্জিত”, “অপ্রয়োজনীয়”, বা “বোঝা কঠিন” বলে আখ্যা পেয়েছে।কিন্তু সময় প্রমাণ করেছে-
জটিল চিন্তা = জ্ঞানের বিবর্তন।
ব্লগের জ্ঞানগর্ব লেখা পাঠককে স্থিরতায় রাখতে নয়, বরং আরো জানতে বা প্রশ্ন করতে প্রলুব্ধ করে যাতে তারা বাধ্য হয় প্রশ্ন করতে, শিখতে, এবং ভাবতে উদ্যোগী হয় ।
এই প্রলুব্দতাই জ্ঞানবিকাশের চালিকা শক্তি।

পরিশেষে বলতে চাই, জ্ঞানচর্চার প্রধান উদ্দেশ্য হলো মানুষকে চিন্তা করানো, প্রশ্নের মুখোমুখি দাঁড় করানো, এবং বোধকে প্রসারিত করা। কিন্তু দুঃখজনকভাবে আজকের তথ্যবিস্ফোরণের যুগে বিশেষ কথক পাঠক আছেন যারা নিজেদের বোধের সংকীর্ণতাকে ঢাকতে গিয়ে ব্লগের জ্ঞানগর্ব, গবেষণাভিত্তিক বা চিন্তামূলক লেখাগুলোকে নির্দ্বিধায় “গার্বেজ” বলে অপমান করেন মর্মে দেখতে পাওয়া যায়।
এই অভিযোগ শুধু অযৌক্তিকই নয়, এটি এক ধরনের অজ্ঞতার প্রদর্শনী।

ব্লগের জ্ঞানগর্ব লেখাকে “গার্বেজ” বলা বিশেষজ্ঞতা নয়; এটি একটি বোধগত সংকীর্ণতা। বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিকোণ থেকে জ্ঞানের মান নির্ধারিত হয় যুক্তি, তথ্য, বিশ্লেষণ ও প্রাসঙ্গিকতার ভিত্তিতে, কোনো ব্যক্তিগত অস্বস্তি বা বোঝাপড়ার সীমার ভিত্তিতে নয়। তাই জ্ঞানের প্রসার ঘটে এমন কোন জ্ঞানগর্ব লেখাকে ‘গার্বেজ’ বলা: যুক্তিহীনতার এক বিপজ্জনক লক্ষণ।

এমতাবস্থায়, যে কোন অযৌক্তিক গার্বেজ জাতীয় কথামালার বিপক্ষে দাঁড়ানো কেবল লেখকের মান রক্ষার প্রশ্ন নয়; এটি জ্ঞানচর্চার সামগ্রিক পরিবেশ রক্ষারও দায়িত্ব। একজন অতি সাধারণ বয়োবৃদ্ধ ব্লগারের দায়বদ্ধতার প্রেক্ষাপটে এই লেখাটির অবতারনা ।

সকলের প্রতি শুভেচ্ছা ও সুখী সমৃদ্ধ জীবনের জন্য দোয়া তথা প্রার্থনা রইল ।

মন্তব্য ৫৪ টি রেটিং +১৩/-০

মন্তব্য (৫৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই নভেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:১০

নজসু বলেছেন:


আস সালামু আলাইকুম প্রিয় ভাই। আশা করি আল্লাহতায়ালার অশেষ রহমতে ভালো আছেন।

১৮ ই নভেম্বর, ২০২৫ রাত ১১:২৪

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:




ওয়ালাইকুম সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহ ওয়া বারাকাতুহু ,
আল্লাহতায়ালার অশেষ রহমতে এখন ভাল আছি ।
আশা করি আল্লাহর অশেষ রহমতে ভাল আছেন ।
শুভেচ্ছা রইল

২| ১৮ ই নভেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:১৭

সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: আপনার চমৎকার লেখাটিকে ভালো না বলে উপায় আছে। সত্যি চমৎকার লিখেছেন গার্বেজ আখ্যা নিয়ে।

১৮ ই নভেম্বর, ২০২৫ রাত ১১:২৮

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:



লেখাটি চমৎকার অনুভুত হওয়ার জন্য ধন্যবাদ ।

শুভেচ্ছা রইল ।

৩| ১৮ ই নভেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:৩৫

নজসু বলেছেন:







আপনার লেখাটির বিষয়বস্তু ভালো লাগলো প্রিয় ভাই। এই প্রথম একমাত্র আপনি এই বিষয়টি উপস্থাপন করলেন। আপনি অত্যন্ত শান্তভাবে, ঠান্ডা মাথায় এবং যুক্তিসম্মত কথাগুলো বলেছেন। আমারও মনে হয় কোনো লেখা জটিল, গভীর বা ধর্ম-নীতিবোধ সম্পর্কে (বিশেষ করে ইসলামিক) হলেই সেটিকে গার্বেজ বলে অপমানিত করা ঠিক নয়। লেখার মান বিচার করার নিয়ম আছে। যুক্তি, প্রাসঙ্গিকতা, ব্যাখ্যা ও তথ্য এসব দিয়ে বিচার হওয়া উচিত। কিন্তু ব্যক্তিগত বোধের সীমা বা অস্বস্তি দিয়ে সেই মানদণ্ড বিচার করলে তা হবে হাস্যকর।

সম্পূর্ণ লেখাটার বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ মনে হয়েছে, যেখানে আপনি বলেছেন একজন লেখকের কঠিন বা চিন্তাশীল লেখা পাঠকের ধৈর্য্য, মনোযোগ ও ভাবার ইচ্ছা চায়। সবাই তো আর সবকিছু একইভাবে বুঝবে না। তাই বলে সেটা বোঝার ক্ষমতা নেই বলে বা মেনে নেয়া অসম্ভব বলে সেটা গার্বেজ হবে এই প্রবণতা আসলে এই ব্লগের মতো জ্ঞানচর্চার পরিবেশকে ক্ষতিগ্রস্ত করে।

প্রিয় ভাই ধর্ম, নীতিকথা বা আধ্যাত্মিকতার কোনো উল্লেখ থাকলেই লেখাটিকে বাতিল করার প্রবণতা অযৌক্তিক। আপনি যেভাবে উদাহরণ দিয়ে দেখিয়েছেন যে পুরো লেখার ধারাবাহিকতা না বুঝে মাত্র দুই লাইন ধরে সমালোচনা করা অন্যায়ের শামিল। যারা এটা করে তারা আসলেই বুঝদার পাঠক নাকি ইসলাম বিরোধী সেটা সত্যিই ভাবার মতো।

যাইহো, সব মিলিয়ে, আপনার লেখাটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মনে হয়েছে আমার আছে। আপনার কণ্ঠে কণ্ঠ মিলিয়ে বলতে চাই ব্লগে যেন যুক্তিভিত্তিক পাঠ, ভদ্র সমালোচনা ও জ্ঞানবিনিময়ের সংস্কৃতি বজায় থাকে। আরও আগে ব্লগস্পেসে এই ধরনের কথা বলা প্রয়োজন ছিল। দেরিতে হলেও আপনি সেটি খুব স্থির ও পরিষ্কারভাবে তুলে ধরেছেন, প্রতিবাদ করেছেন এজন্য ধন্যবাদ জানাই আপনাকে।

আপনার সুস্থতা এবং মঙ্গল কামনা করছি। আপনি এবং আপনার পরিবারের সবার জন্য অন্তরভরা দোয়া রইলো। দোয়া করবেন আমার জন্য। ব্লগের সবার জন্য শুভকামনা ও দোয়া। শুভ ব্লগিং।

১৮ ই নভেম্বর, ২০২৫ রাত ১১:৩৯

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:



সুপ্রিয় নজসু ভাই,
প্রিয় ভাই,

আপনার এত বিস্তারিত, আন্তরিক ও মননশীল মন্তব্য পড়ে সত্যিই অভিভূত হলাম। আপনি শুধু আমার লেখার
সমর্থন করেননি, বরং বিষয়টির মূলগত মূল্য, পাঠ-সংস্কৃতির মানদণ্ড এবং যুক্তিনিষ্ঠ সমালোচনার প্রয়োজনীয়তাকে
যেভাবে তুলে ধরেছেন, তা গভীরভাবে অনুপ্রেরণাদায়ী।

ব্লগে লেখা আসলে লেখক ও পাঠকের একটি সম্মিলিত যাত্রা যেখানে ধৈর্য, মনোযোগ এবং ভাবনার প্রস্তুতি দু’পক্ষ
থেকেই প্রত্যাশিত। কোনো লেখা গভীর বা আধ্যাত্মিক পর্যায়ে গেলেই সেটিকে তুচ্ছ করা কিংবা এক-দুই লাইন
ধরে পুরো বক্তব্যকে বাতিল করে দেওয়া শুধু লেখকের প্রতি নয়, জ্ঞানচর্চার পরিবেশের প্রতিও অবিচার। আপনি
যেভাবে বিষয়টি ব্যাখ্যা করেছেন, তা যুক্তি, নীতি ও পরিমিতবোধের এক সুন্দর উদাহরণ।

আপনার মতো সচেতন পাঠকরা আছেন বলেই ব্লগস্পেসে যুক্তি, ভদ্রতা ও পারস্পরিক সম্মানের চর্চা টিকে থাকে।
আপনার বক্তব্য আমাকে শক্তি দিয়েছে এবং আমাদের এই পরিসরকে আরও পরিশীলিত রাখার দায় মনে করিয়ে
দিয়েছে। এজন্য আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।

আপনার জন্যও অসীম শুভকামনা ও দোয়া রইল। আল্লাহ আপনাকে এবং আপনার পরিবারকে সুস্থতা,
শান্তি ও বরকত দান করুন। আমার জন্যও দোয়া রাখবেন।

শুভেচ্ছা রইল

৪| ১৮ ই নভেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১:১২

ভুয়া মফিজ বলেছেন: টেনশান নিয়েন না। আপনার এই যুক্তিনির্ভর লেখাটা আটলান্টিকের ওই পাড়ে বসবাসকারী গলুর মাথার দশহাত উপর দিয়ে যাবে এবং সে এটাকেও যথারীতি গার্বেজ বলবে!!! =p~

১৮ ই নভেম্বর, ২০২৫ রাত ১১:৪৭

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:



পোস্টে আগমনে ধন্য হলাম । না মোটেও টেনশন নিচ্ছিনা । আমার লেখার সঠিক মুল্যায়ন সম্পর্কে আমি যথেষ্ট
ধারনা রাখি। াআমি ভাল করে জানি লেখাটি উহার দশ/বার হাত মাথার উপর দিয়েই যাবে । তবে বড় লেখাটি
পাঠ না করলেও সন্মানিত সকল পাঠকের মন্তব্যগুলি তার অন্তরের অন্তস্থল দিয়ে বয়ে যাবে ।

শুভেচ্ছা রইল ।

৫| ১৮ ই নভেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১:২২

নতুন বলেছেন: আপনি অযাথাই সময় নস্ট করলেন ভাই। যে অন্য কারুর লেখাকে গার্বেজ বলে তার জ্ঞানে অভাব আছে, নতুবা কারুর লেখাতেই গার্বেজ বলতো না। ভালো ভাবে সমালোচনা করতো।

১৯ শে নভেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:০১

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:



মোটেও সময় নষ্ট হয় নি । আলোচনা সমালোচনামুলক সকল লেখাই ফলপ্রসু কিছু না কিছু নিয়ে আসে ।
প্রতিক্রিয়া দেখে মনে হল এবার হয়ত পোস্টের লেখা কিছুটা পাঠ করা হয়েছে , শুধু পোস্টের লেখা নয়
পাঠকের করা মন্তব্য গুলিও হদয়ঙ্গম করা হয়েছে । আমার মুল লক্ষ্য ছিল মন্তব্য করার আগে পোস্টের
লেখাটি যেন পাঠ করা হয় । মনে হল এ লক্ষ্য কিছুটা পুরণ হয়েছে ।

৬| ১৮ ই নভেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১:৩৮

যারীন তাসনীম আরিশা বলেছেন: আপনার লেখা পড়ে মুগ্ধ হলাম।

২০ শে নভেম্বর, ২০২৫ সকাল ৭:১৪

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:



লেখাটি পাঠে মুগ্ধ হয়েছেন শুনে খুশী হলাম ।
একরাশ শুভেচ্ছা রইল

৭| ১৮ ই নভেম্বর, ২০২৫ দুপুর ২:১৮

আফলাতুন হায়দার চৌধুরী বলেছেন: .
জনাব, আস্‌সালামুআলাইকুম।
আপনি এই গার্বেজকে নিয়ে আপনার জীবনের এতগুলা সময় নষ্ট করে লিখলেন? এইগুলারে লাথির উপর রাখতে হয়।

১৯ শে নভেম্বর, ২০২৫ রাত ১:১০

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:




ওয়ালাইকুম সালাম । গঠনমুলক লেখালেখিকে আমি সময়ের অপচয় বলে মনে করিনা ।
আমি সকল লেখাকেই যথাযথ মুল্যায়নের চেষ্টা করি , এবং সে অনুযায়ী মনের
মাধুরী মিসিয়ে গদ্যে পদ্যে মন্তব্য, প্রতিমন্তব্য কিংবা ক্ষেত্র বিশেষে পৃথক পোস্ট দিয়ে থাকি । এখানে
এই সামু ব্লগে বিচরনের প্রথম দিক হতেই আমি বিশাল বিশাল মন্তব্য গদ্যে পদ্যে দিয়ে আসছি । অনেক
সময় আমার মন্তব্য মুল লেখকের পোস্টের লেখা থেকেও কয়েকগুন বড় হয়েছে । এমনকি লেখাকে গার্বেজ
আখ্যানকারীর পোষ্টেও কথা , ছবি , গ্রাফ, বার চার্ট সহ বিশাল আকারের মন্তব্য করেছি সেই পোস্টের
মেরিট অনুযায়ী ।সেখানে কিন্তু মন্তব্যের জন্য কোন শব্দ সংখ্যা বা লাইন গুনতে দেখিনি ।

যাহোক, বুঝতে পারছি তিনি আমাকে সমসাময়িক বিষয়াদি নিয়ে লিখতে প্ররোচিত করছেন
উনার নীজস্ব বিশেষ প্যটার্নের রুচি ও চিরায়িত বিশেষ অভ্যাস অনুযায়ী । রাজনৈতিক জটিল বিষয়াদি
সমন্পর্কে আমি বেশ অনবিজ্ঞ থাকায় সে বিষয়াদি নিয়ে এই সামু ব্লগে সাধারণত লেখালেখি করিনা ।
তবে দেশের সামগ্রিক উন্নয়নের জন্য এ ব্লগে উন্নয়ন রূপকল্পসহ অনেক অনেক গুরুত্বপূর্ণ গবেষনামূলক
লেখা পোস্ট করা হয়েছে এবং সেগুলি পাঠক প্রিয়তাসহ দেশেও নীতি নির্ধারকদের কাছে গুরুত্ব পেয়েছে ।
উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে কিভাবে দেশের উন্নয়ন করা যায় , কিভাবে দেশের শিল্পায়ন করা যায় , দেশের
ও বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনের প্রেক্ষিতে দেশের বিপন্ন উপকুলকে কিভাবে রক্ষা করা যায় , দেশে
কিভাবে সার্বজনিন পেনসন স্কীম চালু করা যায়, সরকারী বেসরকারী চাকুরিতে কিভাবে সমতা রক্ষা করা যায়।
দেশের আর্থ সামাজিক ও উন্নয়নমুলক দিকনির্দেশনা ও রূপকল্প নিয়ে অনেক লেখা সামুতে পোস্ট করেছি ।

এখন দেশে একটি অন্তবর্তী সরকার কাঠামো চলছে এবং দেশে সরকার পরিবর্তনের একটি সামগ্রিক
প্রক্রিয়া চলমান , উন্নয়ন ও দেশ গঠনমুলক কোন পরামর্শ এখনকার সরকার যে একেবারেই আমলে নিবেনা
তা যে কেও বুঝে। জানিনা দেশে রাজনৈতিক পরিস্থিতি কি হতে চলেছে । ব্লগে চলমান লেখালেখিতে
দেখা যায় প্রায় সকলেই উদ্বিগ্ন । তাই একটি স্থিতিশীল সরকার কাঠামো না আসা পর্যন্ত কোন ওয়াজ নসিহতই
যে আমলে নেয়া হবেনা বা কাঝে আসবেনা তা বলার অপেক্ষা রাখনা । গার্বেজ চেতনা ধারীরা একথাটি না
বুঝার কথা না ।

এই মহুর্তে নীজদেরকে দেশের ভবিষ্যত উন্নয়নকর্মকান্ডে যথাসময়ে যথোপযুক্তভাবে শরীক করার লক্ষ্যে
নীজ প্রস্তুতি গ্রহনটাই এখন বেশী জরুরি।

তাই বলেছি। নীজেদের মধ্যে জমে উঠা আঁধার দুর করে আলোর পথে হাটার জন্য প্রস্তুতি গ্রহন করতে ।
ধর্মবাণী , নীতিকথা বা বিজ্ঞান চর্চা এর যে কোন বিষয় অনুসরন ও অবলম্বন করে ঘন আঁধারের মাঝেও
আলোক বিস্ফোরণ ঘটানো এখন অতি জরুরী , যেন সত্য ও ন্যয় প্রতিষ্ঠিত হতে পারে এবং দায়িত্বশীল
সকলে যেন দেশ গড়া ও উন্নয়নের লক্ষ্যে যথাযথ ভুমিকা পালন করতে পারে ।

ভিন্নমত পোষনকারীদের মনে সময়ের করনীয় বিষয়ে সঠিক উপলব্দি আসুক এ কামনাই করি ।

আপনার মুল্যবান মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ।

শুভেচ্ছা রইল

৮| ১৮ ই নভেম্বর, ২০২৫ দুপুর ২:২৪

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: এখানে তো দুই ল যুক্ত বদ
তারা জ্ঞানে পরিপূর্ণ আর অন্যরা লিখে গার্বেজ
কথাটা শুনলেই মেজাজ খারাপ হয়।

১৯ শে নভেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:০২

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:



জ্ঞানে পরিপূর্ণরাই বিশেষজ্ঞ ।
আর বিশেষজ্ঞের সন্ধিবিচ্ছেদ হল
বিশেষ + অজ্ঞ = বিশেষজ্ঞ।
অর্থাৎ, যিনি বিশেষভাবে অজ্ঞ তিনিই তো প্রকৃত বিশেষজ্ঞ! তথা জ্ঞানী!

আজকালকার এমন বিশেষজ্ঞদের দৈনিক কর্মসূচি বড় সহজ।
সকালে ঘুম ভাঙতেই প্রথম কাজ নিজের অজ্ঞতা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ডেলে দেয়া ।
তারপর দম ফেলার আগেই আরো দু চার জায়গায় নীজ বিশেষ+ অজ্ঞতা জানানো,

সন্ধিবিচ্ছেদকৃত বিশেষ+অজ্ঞদের= বিশেষজ্ঞদের সবচেয়ে বড় গুণ হলো তারা ভুল হতে ভয় পান না,
বরং ভুলটাকেই ব্র্যান্ড বানিয়ে ফেলেন।

বিশেষজ্ঞরা যখন কথা বলেন, মানুষ বিভ্রান্ত হয়;
আর যখন চুপ করেন, মানুষ আরও বিভ্রান্ত হয়
চুপ কেন?
নতুন কোনো অজানা অজ্ঞতা কি গবেষণার টেবিলে?

এঁদের দেখলে মনে হয়, অজ্ঞতা একটা শিল্প
আর সন্ধি বিচ্ছেদকৃত বিশেষজ্ঞরা সেই শিল্পের সর্বোচ্চ শিল্পী।

শেষমেশ বোঝা যায়
এই দেশে জ্ঞানের চেয়ে “বিশেষ অজ্ঞতা” র দামই বেশি।
কারণ সে সব বিশেষজ্ঞরা তো জানেনই
জানার দরকার নেই;তাই জানার মতো বিষয় সকলই গার্বেজ ।

৯| ১৮ ই নভেম্বর, ২০২৫ দুপুর ২:২৫

সুলাইমান হোসেন বলেছেন: সাধারন একটি শব্দ নিয়ে যে বিশ্লেষন আপনি আপনি করেছেন তা অসাধারন।আপনার ধৈর্য এবং বিনয় প্রশংসাযোগ্য।

গার্বেজ শ্বটা এই ব্লগে গুটিকয়েক ব্লগার ব্যাবহার করে,ব্লগারদের আত্মবিশ্বাস বিনষ্ট কররার জন্য।জেনারেশন একাত্তর নামক একজন ব্লগার শ্বদটি ব্যাবহার করেন।এবং তিিনি মনে করেন,এতে সংশ্লিষ্ট ব্লগার লেখা ছেড়ে দিবে অথবা লেখার মান এবং মানষিকতা পরিবর্তন করবে।
অনেক ভালো গঠনমূলক লেখাকে তিনি গার্বেজ বলে থাকেেন।এতে বোঝা যায় তিনি চোখে নীল চশমা পরে হয়তে লেখা পাঠ করেন,

যাইহোক উক্ত ব্লগারের গার্বেজ বলার কারনে লেখক বিরক্ত হয়না,কারন লেখক জানে যিনি লেখাটিকে গার্বেজ বলেছেন,তিনি কোন মকাম এবং মর্যাদা্র ব্লগার।
যদি কোনো লেখাকে একজন ডক্টরেট বা পি এইচ ডি ডিগ্রি ধারি ব্যাক্তি গার্বেজ বলে, তাহলে লেখক চিন্তিত হয়ে পড়বে,কারন, তখন লেখাটি সত্যিই গার্বেজের আওতায় াআসবে।

কিন্তু জেনারেশন একাত্তরের মতো একজন কলুর বলদ যখন একটি লেখাকে গার্বেজ বলেন তখন সেটা হাস্যকর হবে।
ধন্যবাদ,আবারও আপনার টাইপিং দক্ষতা এবং ধৈর্যের প্রশংসা করছি

২০ শে নভেম্বর, ২০২৫ ভোর ৪:২২

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:




আপনার সুচিন্তিত মন্তব্যের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ।

আমি মনে করি কোন গঠনমূলক আলোচনায় মতভেদ থাকতেই পারে, কিন্তু তির্যক শব্দ বা কাউকে হেয় করার চেষ্টা
কোনো লেখাকে মূল্যায়নের সঠিক পদ্ধতি নয়। যিনি সত্যিই পড়েন, বোঝেন ও বিশ্লেষণ করেন তিনি কখনোই
অমূলক অবমূল্যায়নে যান না। তাই কোনো লেখাকে “গার্বেজ” বলা হলে আমি ব্যক্তিগতভাবে আহত হই না;
বরং বুঝতে চেষ্টা করি সমালোচক কতটা যোগ্য, নিরপেক্ষ ও যুক্তিবাদী দৃষ্টিভঙ্গি ধারণ করেন।

আসল কথা, মূল্যবান সমালোচনা আসে জ্ঞানী এবং অভিজ্ঞ মানুষের কাছ থেকে যা লেখককে উন্নত করে।
কিন্তু ব্যক্তিগত আক্রোশ বা আত্মবিশ্বাস ভাঙার উদ্দেশ্যে করা মন্তব্য নিজের সীমাবদ্ধতাকেই প্রকাশ করে।

আপনার সৌজন্য ও ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গির জন্য আবারও ধন্যবাদ। এমন আন্তরিক পাঠকরাই সকল ব্লগারের
লেখালেখির শক্তি বাড়িয়ে দেন।

শুভেচ্ছা রইল

১০| ১৮ ই নভেম্বর, ২০২৫ দুপুর ২:২৬

অধীতি বলেছেন: যিনি বা যারা গার্বেজ বলে তারা নিজেদের দিকটা দেখেনা। আমাদের দেশের মুরুব্বিদের বড় একটা অংশ বয়সে বড় বিধায় নিজেদের অনেক জানাশোনা জ্ঞানী লোক মনে করে। ব্লগ হচ্ছে একজন লেখকের জন্য আদর্শ জায়গা। লেখক এখানে নিজেকে ভাঙ্গে, গড়ে লেখায় বৈচিত্র আনে। অনেক অনেক ধন্যবাদ এমন গোছালো একটা প্রতিবেদনের জন্য।

২০ শে নভেম্বর, ২০২৫ ভোর ৪:২৭

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:



আপনার মন্তব্যটি অত্যন্ত গভীর ও বাস্তবধর্মী। সত্যিই, অনেক সময় সমালোচকেরা নিজেদের সীমাবদ্ধতা দেখার
আগেই অন্যকে ‘গার্বেজ’ বলে অবমূল্যায়ন করেন। অথচ লেখালেখি এমনই এক শিল্প যেখানে লেখক নিজেকে
ভাঙতে গড়তে গড়তে ধীরে ধীরে পরিণত হন এবং ব্লগ সেই অনুশীলনের জন্য উন্মুক্ত এক বিদ্যালয়।

আপনার মতো পাঠকদের আন্তরিকতা ও উদার দৃষ্টিভঙ্গিই ব্লগারদের এগিয়ে যেতে সাহস দেয়।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এমন আন্তরিক মতামতের জন্য।
শুভেচ্ছা রইল

১১| ১৮ ই নভেম্বর, ২০২৫ দুপুর ২:৪২

কোমলমতিরপ্যাদানি বলেছেন: রানু আর তার উস্তাদ সবসময় মনে হয় চোলাই মদের উপ্রে থাকে, নাইলে এরাম উলটাপালটা কমেন্ট আর পোস্ট করে ক্যাম্নে :-*

২০ শে নভেম্বর, ২০২৫ ভোর ৪:৩০

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:




সত্যিই বিষয়টি খুবই ভাবনার ।
কামনা করি সকলের বোধদয় হোক
লেখালেখি ও মন্তব্যদান উভয়ক্ষেত্রেই ।

শুভেচ্ছা রইল

১২| ১৮ ই নভেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:৩৭

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
- গুরুজ্বী যদি এই পোস্টকেই গার্বেজ আখ্যা দেন!!

২০ শে নভেম্বর, ২০২৫ ভোর ৪:৩৩

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:


মনে হয় না তাতে নীজ মনে খুব একটা শান্তনা পাবে!

১৩| ১৮ ই নভেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:৪৭

শায়মা বলেছেন: ভাইয়া
যে কোনো লেখার মান ভালো খারাপ মনে হলে সাধারণ ভদ্রতা দিয়েও মন্তব্য করা যায়। লেখা ও লেখকের সঠিক ফিডব্যাক দেওয়া যায় যথেষ্ঠ ভদ্রভাবে। তাই বলে গার্বেজ বলে বসে থাকা মানে পুরাটাই বেক্কলী কাজ যা দেখলে গা জ্বলে বটে তবে যে বলে তারও ইমম্যাচুরিটি বুঝতে বাকী থাকে না।

পৃথিবীতে বেক্কলেরাই নিজেদেরকে সবজান্তা শমসের মনে করে। :) তাই নিজেদের হনু ভাবে আর অন্যদের মনু আর গার্বেজ.... :)

২০ শে নভেম্বর, ২০২৫ ভোর ৪:৪২

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:



আপু
তোমার কথাগুলো সত্যিই যথার্থ ও প্রয়োজনীয়।
ভালো মন্দ যে কোনো লেখাই পাঠকের মতামত পাওয়ার অধিকার রাখে ।কিন্তু সেই মতামত প্রকাশের ভদ্রতা ও
পরিপক্বতাই শেষ পর্যন্ত মানুষটিকে চেনায়।

কেউ যখন পরিশ্রমের ফলকে ‘গার্বেজ’ বলে উড়িয়ে দেয়, তখন সেটা লেখার মান নয় তার নিজের চরিত্র ও
সীমাবদ্ধতাকেই বেশি উন্মোচিত করে।গঠনমূলক সমালোচনা সবসময়ই গ্রহণযোগ্য; সেটা লেখককে
বাড়তে সাহায্য করে।

কিন্তু কারো কোন লেখাকে অবমূল্যায়ন নয়, সম্মান ও সৌজন্যই একজন পাঠককে সত্যিকারের
পাঠক করে তোলে। বিশেষ করে সামুর মত একটি বিশ্বজনীন লেখালেখির প্লাটফর্মে বিচরণকারী
লেখক/ব্লগারবৃদ্ধকে ।

শুভেচ্ছা রইল

১৪| ১৮ ই নভেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:২৬

মেঠোপথ২৩ বলেছেন: শ্রদ্ধেয় ব্লগার আপনার অমূল্য লেখাখানি জনৈক ব্লগারের ক্ষেত্রে নেহাতই উলবনে মুক্তো ছড়ানো। জেনারেল ও নিক ব্যানের রেকর্ড গড়েও কোন শিক্ষা হয় না এই বিশিষ্ট গার্বেজ বিশারদের।

২০ শে নভেম্বর, ২০২৫ ভোর ৪:৪৮

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:




আপনার মুল্যবান মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। ভিন্নমত থাকা স্বাভাবিক, তবে ব্যক্তিগত আক্রমণ বা তাচ্ছিল্য
কোনও আলোচনাকেই সমৃদ্ধ করে না। লেখার মূল বিষয়বস্তুর প্রতি দৃষ্টি রেখে যুক্তির মাধ্যমে মতভেদ
জানালে তা সকলের জন্যই উপকারী হয়।

আমরা সকলে মত অভিমতের বিনিময়ের মাধ্যমে শেখার সুযোগ পাই ।সেই সম্ভাবনাটুকু অযথা অবমূল্যায়ন
বা অবজ্ঞার ভাষায় নষ্ট না করাই শ্রেয় বলে মনে করি ।

শুভেচ্ছা রইল

১৫| ১৮ ই নভেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:৪৮

রৌশন বলেছেন: ময়লা যত ঘাটবেন দুর্গন্ধ ততই ছড়াবে।

২০ শে নভেম্বর, ২০২৫ ভোর ৪:৫১

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:



ধন্যবাদ একেবারে খাটি একটি কথা বলেছেন ।

শুভেচ্ছা রইল

১৬| ১৮ ই নভেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:৫৮

মেঘনা বলেছেন: ভিন্ন মত সহ্য করতে নাপারা, সমাজের জন্য বড় দূরচিন্তা।

২০ শে নভেম্বর, ২০২৫ ভোর ৪:৫৮

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:



ধন্যবাদ । আপনার উদ্বেগকে সাধুবাদ জানাই । যে সমাজে মানুষ পরস্পরের ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি, চিন্তা কিংবা মতামতকে
সহ্য করতে পারে না, সেখানে প্রকৃত উন্নতি বা শান্তির পথ সংকুচিত হয়ে আসে। মতের অমিল মানবজীবনের
স্বাভাবিক বৈশিষ্ট্য সবার অভিজ্ঞতা, শিক্ষা, পরিবেশ ও চিন্তার ধরন আলাদা হওয়ায় মতের বৈচিত্র্য থাকবেই। কিন্তু
এই বৈচিত্র্যকে যদি হুমকি বলে মনে করা হয়, আর সামান্য মতপার্থক্যে মানুষ যদি রূঢ়তা, বিদ্বেষ বা সহিংসতা
বেছে নেয়, তবে সমাজ ধীরে ধীরে ভীত, বিভক্ত ও অস্থির হয়ে পড়ে।

সহনশীলতা সেখানে শুধু নৈতিক গুণ নয়; এটি সমাজের স্থিতিশীলতা ও অগ্রগতির ভিত্তি। ভিন্ন মত শোনার
ক্ষমতা মানুষকে সত্যের কাছে যেতে সাহায্য করে, ভুল সংশোধনে সহায়তা করে, আর পারস্পরিক শ্রদ্ধার
বাতাবরণ তৈরি করে। অথচ অসহিষ্ণু মনোভাব মানুষকে অন্ধ করে, সংকীর্ণতায় বন্দি রাখে, এবং ছোট ছোট
বিরোধকে বড় সংঘর্ষে রূপ দেয়।

অতএব, ভিন্ন মত সহ্য করতে না পারার প্রবণতা সমাজের জন্য নিঃসন্দেহে এক বড় দুরচিন্তা। এটি শুধু সম্পর্ক
নষ্ট করে না, নষ্ট করে সমাজের মানবিক মূল্যবোধ, গণতান্ত্রিক ঐতিহ্য ও সমষ্টিগত অগ্রগতির সম্ভাবনাও।
তাই সহনশীলতার অনুশীলন এবং ভিন্ন মতকে সম্মান করার সংস্কৃতি গড়ে তোলা আজ সময়ের অন্যতম
জরুরি দাবি।

শুভেচ্ছা রইল

১৭| ১৯ শে নভেম্বর, ২০২৫ ভোর ৬:৪৩

গোবিন্দলগোবেচারা বলেছেন: লোটা কম্বলের মাস্টার মশাই বলেছিলেন 'দাগ রেখে যা'। গরু গোবর দিয়ে দাগ রেখে যায়, সারমেয় জল বিয়োগ করে। রবীন্দ্রনাথও নিজের লেখার নিচে 'শ্রী রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর' লিখে দাগ রেখে গেছেন। জয়নুল আবেদিন, মাইকেল এন্জেলো, ডাইনোসর, ম্যামথ সকলেই দাগ রেখে যায়।
আমরা যারা সাধারণ মানুষ, ছাপার অক্ষরে দাগ রাখতে পারলে ভালো লাগে বলে ফেসবুক-টেলিগ্রাম-ব্লগে কত কিছু লিখে যাই। ব্লগ মেনেজমেন্ট আমাদের দাগ রাখা সহজ করার জন্য ব্যবস্থা রেখেছে- লেখা পোস্ট কর্লে অটমেটিক সাথে পোস্টকারীর নাম চলে আসে, কমেন্ট কর্লে কমেন্টকারীর নাম।।কেউ কেউ আবার এটাতে সন্তষ্ট না, লেখার ভিতরেআরেকবার নিজের নাম জুড়ে দেন।





আবার যারা একটু কম শিক্ষিত, তারাও দাগ রাখতে চান। বাসে বা ট্রেনের সিটে, টয়লেটে, টাকায় নিজের নাম লিখে রাখেন।
আমাদের গলুও দাগ রাখতে চায়।
তবে মায়ের দেয়া নাম 'গলু' তার পছন্দের না। এফিডেভিট করা নাম 'গার্বেজ' তার বড় পছন্দের। এজন্য পাতায় পাতায় যেয়ে নিজের নাম লিখে আসে।
ব্লগ মেনেজমেন্টের সাথে গলুর সম্পর্ক অনেকটা লা ওয়ারিস সিনেমায় অমিতাভ বচ্চনের সাথে আমজাদ খানের সম্পর্কের মত। কোন কারনে এক আইডি বাতিল হলে আরেক আইডিকে প্রথম পাতায় দ্রুত এক্সেস দেয়া, বিভিন্ন সময়ে গলু কত বড় মাপের লেখক মেঙ্গো পাবলিককে সেই সবক দেয়া সহ অনেক পদক্ষেপই তো ব্লগ মেনেজমেন্ট নিয়েছে। তারা কি পারে না গলুকে 'গার্বেজ' নামের পার্মানেন্ট আইডি খুলে সেটা থেকে ব্লগিং কর্তে দিতে? তাহলে গলুকে আর যায়গায় যায়গায় এক পা তুলে সিগনেচার কর্তে হয় না, একটা ডট রেখে গেলেও বোঝা যাবে গার্বেজ এখানে এসেছিল।

২০ শে নভেম্বর, ২০২৫ ভোর ৫:১২

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:



আপনার মন্তব্যে ‘দাগ রেখে যাওয়া’ প্রসঙ্গটি ব্যঙ্গের ছলে যেভাবে তুলে ধরা হয়েছে, তা পড়তে নিঃসন্দেহে
মজাই লাগে। তবে একই সঙ্গে মনে হয় যারা লেখালেখি বা আলোচনার জগতে চলাফেরা করি, তাদের সবারই
একটা পরিচয়ের প্রয়োজন থাকে, এবং সেই প্রয়োজন থেকেই অনেকে নিজের নাম বা স্বাক্ষর দৃশ্যমান রাখতে চান।
এতে হয়তো বাড়তি অহংকার থাকে, আবার অনেক সময় থাকে দায়িত্ববোধও । নিজের কথার পাশে নিজের
পরিচয় দাঁড় করানোর দায়।

কোনো ব্যক্তির লেখাকে ইঙ্গিত করে অবমাননাকর তুলনা টেনে আনা বা ‘গার্বেজ’ জাতীয় নাম দিয়ে চিহ্নিত
করা আলোচনার পরিবেশকে কঠিন করে তোলে। সমালোচনা অবশ্যই করা যায়, কিন্তু সেটা যদি আন্তরিক ও
গঠনমূলক হয়, তাহলে পাঠক লেখক সবার জন্যই তা স্বাস্থ্যকর হয়।

শেষ পর্যন্ত নামের দাগের চেয়ে লেখার দাগটাই বেশি স্থায়ী। তাই সেরকম লেখকদের চেষ্টাটা হওয়া উচিত
যে দাগটা রেখে যায়, সেটা যেন শব্দের গভীরতা আর আচরণের সৌজন্য দিয়ে ঘেরা থাকে।যাহোক
কামনা করি সংস্লিষ্ট সকলের বোধদয় ঘটুক ।

শুভেচ্ছা রইল

১৮| ১৯ শে নভেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৩

রাজীব নুর বলেছেন: স্যার আসসালামু আলাইকুম।
শুভ সকাল। সকালের প্রথম চায়ে চুমুক দিয়ে আপনার লেখাটি দ্বিতীয় বারের মতো পড়লাম। গতকাল পড়েছিলাম। কিন্তু সময়ের অভাবে মন্তব্য করতে পারিনি।

চাঁদগাজী আপনাকে পছন্দ করেন। উনি প্রায় সময় আপনার লেখা ''আম্রপলি'' নিয়ে কথা বলেছেন। যা ব্লগের আর কেউ কখনও বলেননি।

একটা মানুষকে (চাঁদগাজী) দীর্ঘদিন ধরে কমেন্ট ব্যান, প্রথম পাতা ব্যান, নতুন নিক খুললে সেটাও ব্যান, এক কথায় উনাকে শান্তিতে ব্লগিং করতে দেওয়া হচ্ছে না। বছরের পর বছর একই ঘটনা! তারও তো একটা সহ্য ধৈর্য্য আছে। মানুষটা যথেষ্ট সহ্য করেছে। কিন্তু আর কত!!

অনেক অগা মগা জগা ভুলভাল ব্লগিং করছে, আর একজন শিক্ষিত, মুক্তিযোদ্ধা, পিএইচডিধারী, শিক্ষক- মানবিক মানুষ ব্লগিং করতে পারিবে না?

যাইহোক, এখন সময় হয়েছে- সমস্ত ব্লগার মিলে ব্লগটিমকে বুঝানো- তাকে শান্তিতে ব্লগিং করতে দেওয়া হোক। আর এই দায়িত্ব আপনার কাছ থেকেই শুরু হোক। আমরা আপনার সাথে আছি।

২০ শে নভেম্বর, ২০২৫ ভোর ৫:৩৮

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:



ওয়া আলাইকুমুস সালাম।
আপনার মনোযোগী পাঠ, আন্তরিকতার সঙ্গে তুলে ধরা অভিমত ও শুভেচ্ছার জন্য ধন্যবাদ।
প্রথমেই বলতে চাই আপনি যে একজন পাঠক হিসেবে লেখাগুলোকে গুরুত্ব দিয়ে দ্বিতীয়বার পাঠ করেছেন এবং
মন্তব্যে সময় দিয়েছেন, সেটিই অত্যন্ত মূল্যবান। ব্লগ পরিমণ্ডলে পারস্পরিক সম্মান, বোঝাপড়া ও নির্মল যোগাযোগ
বজায় রাখার ক্ষেত্রে এমন মনোভাব সত্যিই প্রসংসাজনক

আপনি যাঁর কথা উল্লেখ করেছেন তিনি যে বিভিন্ন সময় ব্যান, সীমাবদ্ধতা কিংবা অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতির মুখোমুখি
হয়েছেন, সে বিষয়ে স্বাভাবিকভাবেই ক্ষোভ বা হতাশা থাকা অস্বাভাবিক নয়। তবে এখানে আমাদের সবারই
উচিত বিষয়টিকে ব্যক্তিগত আবেগ নয়, বরং ন্যায়সংগত প্রক্রিয়া, তথ্য এবং ব্লগনীতির আলোকে দেখা।

একজন ব্লগারের যোগ্যতা, শিক্ষাগত পরিচয়, দেশপ্রেম বা মানবিকতা সবই মূল্যবান; তবে ব্লগিংয়ের ক্ষেত্রে নিয়মের
প্রয়োগ হওয়া উচিত একই ও সর্বজনীন। তাই আমরা যদি ন্যায়সঙ্গত পরিবেশ নিশ্চিত করতে চাই, তাহলে প্রয়োজন
তথ্যভিত্তিক আলোচনার, শান্ত ও পরিমিত ভাষায় অবস্থান উপস্থাপনের এবং ব্লগটিমকে গঠনমূলক উপায়ে বিষয়টি
ভাবার সুযোগ দেওয়ার।

আপনার আহ্বানের জায়গাটি ইতিবাচক, সবাই মিলে একটি সুস্থ ব্লগ পরিবেশ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কথা বলা।
তবে দায়িত্ববোধের জায়গা থেকে বলবো, আমরা যতক্ষণ না পুরো ঘটনা, কারণ, প্রেক্ষাপট ও নিয়মভিত্তিক
বিষয়গুলো পরিষ্কারভাবে জানছি, ততক্ষণ যেকোনো পক্ষ নেয়া বা চাপ প্রয়োগের চেষ্টা করার আগে সতর্ক,
পরিমিত ও নিরপেক্ষ থাকা উত্তম।

আপনার মন্তব্যের মর্মার্থ বুঝেছি, শান্তিপূর্ণ, ন্যায়নিষ্ঠ ব্লগিং পরিবেশ সবারই প্রাপ্য। সেই পরিবেশ তৈরি করতে
আমরা অবশ্যই গঠনমূলক পথে এগোতে পারি, সম্মানজনক ভাষায়, পক্ষপাতহীন যুক্তিতে, এবং সকলের মত
প্রকাশের স্বাধীনতা ও নিরাপত্তাকে মূল্যায়ন করে।

আপনার শুভেচ্ছা, আন্তরিকতা ও ব্লগের মানোন্নয়নের আগ্রহকে সাধুবাদ জানাই।
যে কোন বিষয়ে শান্তিপূর্ণ, ব্লগের নীতিমালা অনুযায়ী ন্যায়সঙ্গত ও ইতিবাচক যোগাযোগ বজায় রাখার
পক্ষে আমিও আছি।

শুছেচ্ছা রইল




১৯| ১৯ শে নভেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:২৯

খায়রুল আহসান বলেছেন: "গার্বেজ" কথাটি জনৈক বয়স্ক ব্লগার কর্তক তার অপছন্দের অন্যান্য ব্লগারগণকে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য যত্রতত্র আপন খেয়াল খুশিমত ব্যবহৃত হচ্ছে। এটা করতে গিয়ে তিনি নিজেই নিজেকে নিজের অজান্তেই হয়তো বা, একটি পুঁতিগন্ধময় গার্বেজ বিন এ পরিণত করেছেন। অথচ, পরিণত বয়স এবং কর্মময় জীবনের নানা অভিজ্ঞতায় সমৃদ্ধ তিনি হতে পারতেন অন্যান্য ব্লগারদের জন্য একজন পথপ্রদর্শক ও অভিভাবক, একটি অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত। এই কুপ্রথা ও কুপ্রয়াসের বিরুদ্ধে আপনি আপন প্রজ্ঞায় কলম ধরেছেন, এজন্য আপনাকে ধন্যবাদ।

যত্রতত্র "গার্বেজ" কথাটি ব্যবহারের পেছনে Argumentum ad Hominem মনোভাবই কাজ করে থাকে বেশি।

২০ শে নভেম্বর, ২০২৫ ভোর ৬:৩৫

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:




আপনার পর্যবেক্ষণটি অত্যন্ত যৌক্তিক ও সময়োপযোগী। ব্যক্তিগত বিরাগ বা বিরূপতা প্রকাশের হাতিয়ার
হিসেবে “গার্বেজ” শব্দের এমন অবাধ ও অবিবেচনাপ্রসূত ব্যবহার আসলে যুক্তি নয়।

এটি নিছকই Argumentum ad Hominem এর বিপজ্জনক আশ্রয়। যুক্তির ক্ষেত্র পরিশীলিত হয় যুক্তি দিয়ে;
ব্যক্তিগত আক্রমণ সেখানে কেবল আলোচনার মানকেই ক্ষুণ্ন করে না, বরং ব্যবহারকারীর নিজস্ব ভাবমর্যাদকেও
প্রশ্নবিদ্ধ করে।

দুঃখজনক হলেও সত্য, সম্মানজনক বয়স ও অভিজ্ঞতার যে আলো দিয়ে তিনি ব্লগ বা সহ-ব্লগারদের পথ দেখাতে
পারতেন, সেই তিনিই যদি বিদ্বেষের ভাষায় ভুগতে থাকেন তবে তা শেষ পর্যন্ত আত্মনিন্দারই আরেক রূপ হয়ে
দাঁড়ায় এবং সেটাই সারা ব্লগ জুরে প্রতিষ্ঠা পায় ।

এই অস্বাস্থ্যকর প্রবণতার বিপক্ষে আপনি যে প্রজ্ঞামুলক মন্তব্য করেছেন তা সত্যিই প্রশংসনীয়। যুক্তি ও মর্যাদার
জায়গা থেকেই বিরূপতার বদলে সংযম ও আলোচনাশীলতা প্রতিষ্ঠা করার প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে আপনার মন্তব্য
পরিস্কার একটি বারতা দেয়।

শুভেচ্ছা রইল

২০| ১৯ শে নভেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:৫১

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
যিনি ব্লগের পাতায় পাতায়, কমেন্টের ছাতায় ছাতায় বলে বেড়াচ্ছেন তার কথায় কোন কিছু গার্বেজ হয়ে যায় না।ধন্যবাদ। +++

২০ শে নভেম্বর, ২০২৫ ভোর ৬:৪৬

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:




যিনি পাতায় পাতায়, মন্তব্যের ছাতায় ছাতায় বলে বেড়ান একই কথা এবং তার কথায় তাতে কিছু ‘গার্বেজ’
হয়ে যায় সেটা আসলে তার ভুল ধারণা। একটি লেখা বা আলোচনার মান নির্ভর করে এর ভাব, নির্মাণ এবং
পাঠকের গ্রহণক্ষমতার উপর। কারও ব্যক্তিগত মন্তব্যে একটি সৃষ্টিশীল কাজের মর্যাদা ক্ষুণ্ন হয় না; বরং বিভিন্ন
মতের আদান প্রদানই আলোচনাকে আরও সমৃদ্ধ করে।

এটাই তো মুক্ত পাঠপরিসরের সৌন্দর্য যেখানে সবাই বলতে পারে, আর আমরা বেছে নিতে পারি কোন কথাটি
গ্রহণযোগ্য, আর কোনটি উপেক্ষাযোগ্য। তাই এসব নিয়ে দুশ্চিন্তা না করে নীজের লেখার শক্তি, অর্থ ও সৌন্দর্য
নিয়েই আত্মবিশ্বাসী থাকাকেই আমি বেশী পছন্দ করি ।
মুল্যবান মন্তব্য সাথে অনেক প্লাস মার্ক দেয়ার জন্য ধন্যবাদ ।

শুভেচ্ছা রইল

২১| ১৯ শে নভেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:১০

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
সকল পাঠকের মুল্যবান মন্তব্য এক নজর দেখে গেলাম ।
সকলের মুল্যবান মন্তব্যের জবাব খুব শিঘ্রই দিব ইনসাল্লাহ ।

২০ শে নভেম্বর, ২০২৫ সকাল ৭:১০

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:

এখন পর্যন্ত প্রাপ্ত সকল মন্তব্যের উত্তর দেয়া হয়েছে ।

২২| ১৯ শে নভেম্বর, ২০২৫ রাত ৮:০৫

ৃসসৃদজসৃ বলেছেন: mr flip game is a physics-based 3D arcade game where you control Mr Flip, a rag doll character, performing flips and landing perfectly on the target area.

২০ শে নভেম্বর, ২০২৫ সকাল ৭:০৮

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:




Your comment does not contain any direct criticism or praise, so I think/understand this
purely as an informative text . Your comment appears to intend only to convey a brief
overview of the game’s nature and the player’s role, without expressing support for or
opposition to any particular viewpoint

২৩| ১৯ শে নভেম্বর, ২০২৫ রাত ৮:০৬

ৃসসৃদজসৃ বলেছেন: Mr Flip is a physics-based 3D arcade game where you control Mr Flip, a rag doll character, performing flips and landing perfectly on the target area. https://mrflip.io/

২০ শে নভেম্বর, ২০২৫ সকাল ৭:০৯

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:



Your comment does not contain any direct criticism or praise, so I think/understand this
purely as an informative text . Your comment appears to intend only to convey a brief
overview of the game’s nature and the player’s role, without expressing support for or
opposition to any particular viewpoint,

২৪| ২০ শে নভেম্বর, ২০২৫ দুপুর ২:১৩

রাজীব নুর বলেছেন: আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ আমার মন্তব্যের সুন্দর উত্তর দেওয়ার জন্য।

২১ শে নভেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:১০

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:


উত্তর মনপুত হওয়ার জন্য ধন্যবাদ ।

শুভেচ্ছা রইল

২৫| ২০ শে নভেম্বর, ২০২৫ দুপুর ২:২০

জুন বলেছেন: আমি অনেক ব্যাক্তিকেই দেখি কি অবলীলায় একজন আর একজনকে অপদস্ত করছে, হেয় করছে। লেখা ভালো না লাগলে না পড়লেই হয়। এখানে কোন কালীদাস, রবীন্দ্র, নজরুলরা লিখতে আসে না। আমাদের মত গার্বেজরাই এখানে অধিকাংশ লেখক। সুতরাং গার্বেজ লেখকদের গার্বেজ লেখা পড়ে গার্বেজ বলাটা কোন বুদ্ধিমত্তার পরিচয় না। আর উনার বোঝা উচিত এত বছরেও সে আমাদের সামু ব্লগের গাধাগুলো ( গার্বেজ লেখক) পিটায় গরু বানাতে পারে নাই। তার তো এখন ক্ষ্যান্ত দেয়া উচিত =p~
উহা যে কেন ডাস্টবিনে পরে আছে বছরের পর বছর এটাই আমি বুঝতে পারছি না আলী ভাই :(
আপনার লেখাটি অসাধারণ হয়েছে কিন্ত কাজে লাগ্লে হয়।

২১ শে নভেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:২০

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:



আপনার মন্তব্যটিকে আমি খুবই সম্মানের সঙ্গে নিচ্ছি। মন্তব্যটিতে এক ধরনের আত্মসমালোচনা ও বাস্তববোধ আছে।
সত্যি কথা বলতে লেখালেখির এই অনলাইন প্ল্যাটফর্মটি মূলত প্রতিজন ব্লগারের নিজের ভাবনা প্রকাশের জায়গা।
এখানে সবাই সাহিত্যিক হতে আসে না; আসে অনুভূতি, অভিজ্ঞতা আর ভাবনার অংশীদার হতে ও কর।

কাউকে ছোট করা, হেয় করা এসব যে কেবল অশালীনই নয়, বরং নিজের সীমাবদ্ধতাকেও প্রকাশ করে, সেটিই
অনেকের বোঝা প্রয়োজন। লেখাটা ভালো না লাগতেই পারে, কিন্তু সেটি “গার্বেজ” বলা কোনো পরিপক্ব দৃষ্টিভঙ্গির
পরিচয় দেয় না।

বরং বছরের পর বছর যে মানুষগুলো এখানে লিখে যাচ্ছে, তারা টিকে আছে তাদের আন্তরিকতা আর সৃজনশীলতার
টানে কাউকে খাটো করার ক্ষমতায় নয়। তাই অপমানকে হাতিয়ার বানিয়ে কারও কিছু পরিবর্তন করা যায় না; যায়
শুধুই সৌজন্য, সংলাপ আর পারস্পরিক সম্মানের মাধ্যমে।

আপনার পর্যবেক্ষণটি সত্যিই একটি বড় সত্য কথা ;পাঠকের দায়িত্ব আগুন লাগানো নয়, আলো জ্বালানো।
আমিউ আমার লেখায় আলো জ্বালানোর কথাই বলেছি ।

শুভেচ্ছা রইল

২৬| ২২ শে নভেম্বর, ২০২৫ রাত ২:১২

আহমেদ জী এস বলেছেন: ডঃ এম এ আলী,



তথ্য আর তত্ত্বের চমৎকার ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ সহ ব্লগের একটি অপশব্দ "গার্বেজ" নিয়ে যথার্থই বলেছেন।
এ প্রসঙ্গে মুল লেখা ও দু'একটি মন্তব্যের জবাব তুলে দিতে চাই শুধু----

মুল লেখা থেকে ----- "ইন্টারনেট যুগে জ্ঞানচর্চা ও তথ্যবিনিময়ের প্রধান মাধ্যমগুলোর একটি হলো ব্লগ। ব্লগে বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা , গবেষনা , গল্প , কবিতা, উপন্যাস, প্রবন্ধ , নিবন্ধ , ফিচার , ছবিব্লগ, ভ্রমন কাহিনী প্রভৃতি প্রকাশ পায়, এবং বহুমাত্রিক পাঠকসমাজ সেগুলি থেকে উপকৃত হয়। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে দেখা যাচ্ছে, অল্প বোধগম্যতা কিংবা ব্যক্তিগত অস্বস্তি থেকে কেউ কেউ এসব জ্ঞানগর্ভ বা চিন্তাকেন্দ্রিক লেখাকে “গার্বেজ” বলে অবজ্ঞা করছেন। এই ধরনের মন্তব্য এবং ক্ষেত্র বিশেষে কারো নাম উল্লেখপুর্বক পোস্টও প্রকাশ করা হয় , তা শুধু বুদ্ধিবৃত্তিক পরিবেশকে ক্ষতিগ্রস্ত করে না; বরং জ্ঞানের মৌলিক মূল্যবোধকে ভুলভাবে উপস্থাপন করে।"


মন্তব্যের জবাব থেকে ___ "একজন ব্লগারের যোগ্যতা, শিক্ষাগত পরিচয়, দেশপ্রেম বা মানবিকতা সবই মূল্যবান; তবে ব্লগিংয়ের ক্ষেত্রে নিয়মের
প্রয়োগ হওয়া উচিত একই ও সর্বজনীন। তাই আমরা যদি ন্যায়সঙ্গত পরিবেশ নিশ্চিত করতে চাই, তাহলে প্রয়োজন তথ্যভিত্তিক আলোচনার, শান্ত ও পরিমিত ভাষায় অবস্থান উপস্থাপনের । "


মন্তব্যের জবাব থেকে __ "যুক্তির ক্ষেত্র পরিশীলিত হয় যুক্তি দিয়ে; ব্যক্তিগত আক্রমণ সেখানে কেবল আলোচনার মানকেই ক্ষুণ্ন করে না, বরং ব্যবহারকারীর নিজস্ব ভাবমর্যাদকেও প্রশ্নবিদ্ধ করে।"

২২ শে নভেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:৪০

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:



চমৎকার মন্তব্যটির জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ। মূল লেখার আলোচনাগুলো যেমন তথ্যনিষ্ঠ ও তাত্ত্বিক ভিত্তিতে দাঁড়ানো
আপনার পর্যবেক্ষণও সেই একই বুদ্ধিবৃত্তিক শৃঙ্খলার প্রতি আস্থা প্রকাশ করেছে ।

আবারো এখানে বলতে চাই ব্লগ কেবল মতামতের ভিড় নয়; এটি জ্ঞানচর্চার এক উন্মুক্ত অঙ্গন, যেখানে বৈচিত্র্যময় ভাবনা পরস্পরকে সমৃদ্ধ করে। তাই কোনো মানসম্মত রচনা বা গবেষণাধর্মী লেখাকে “গার্বেজ” বলে অবমাননা করা নিছক
শব্দচয়নগত সীমাবদ্ধতা নয় এটি মূলত চিন্তার প্রতি অশ্রদ্ধা এবং আলোচনার স্বচ্ছতাকে ব্যাহত করার নামান্তর।

প্রতিমন্তব্যের কথামালাকে গুরুত্ব দেয়ার জন্য আবারে ধন্যবাদ । তথ্যভিত্তিক যুক্তি, শান্ত ভাষা এবং পরিমিত অভিব্যক্তিই একটি সুস্থ আলোচনামঞ্চ গড়ে তোলে। যুক্তিকে পরিশীলিত করার একমাত্র উপায় যুক্তি, ব্যক্তিগত আক্রমণ বা অপশব্দ সেখানে শুধু ব্যর্থতার স্বাক্ষরই বহন করে, আশা সংস্লিষ্টদের মাঝে সঠিক অনুধাবনতা আসবে ।

আমরা যদি সত্যিই চিন্তা, জ্ঞান ও বিতর্কের সভ্য পরিবেশ বজায় রাখতে চাই, তাহলে শব্দে শৃঙ্খলা, মতভেদে সৌজন্য, আর সমালোচনায় বস্তুনিষ্ঠতা এই তিনটিই আমাদের পথপ্রদর্শক হওয়া উচিত।

শুভ কামনা রইল

২৭| ২২ শে নভেম্বর, ২০২৫ দুপুর ২:০৬

করুণাধারা বলেছেন: প্রথমেই একটি সুন্দর বাক্য সম্বলিত ছবি দিয়েছেন, যেটা পোস্টের মূলভাব প্রকাশ করে। এই বাক্য এবং ছবি তৈরি কি আপনিই করেছেন? খুব সুন্দর হয়েছে।

আমরা সকল ব্লগাররাই চেষ্টা করি ভাল একটা পোস্ট দিতে। সেই প্রচেষ্টাকে স্বাগত না জানিয়ে কেউ গার্বেজ বলে আখ্যায়িত করলে অবশ্যই খারাপ লাগে। কিন্তু কথাটা তাকে বুঝিয়ে বলতে পারছিলাম না। তাই আপনি যখন এই পোস্টের মাধ্যমে বলছেন এই আচরণ ঠিক নয়, তথ্য এবং যুক্তি দিয়ে সুন্দর ভাবে আপনার বক্তব্যকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন, তখন আশাকরি যিনি এমন উক্তি করেন তিনি বুঝতে পারবেন এবং ভবিষ্যতে আর কারো পোস্ট কে গার্বেজ বলবেন না।

অনেক ধন্যবাদ আপনাকে এই সুন্দর পোস্ট দেবার জন্য। ভালো লাগছে আপনাকে আবার ফিরে আসতে দেখে। ভালো থাকুন। শুভকামনা রইল।

২২ শে নভেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:৪৬

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:



আপনার আন্তরিক ও হৃদয়গ্রাহী মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। সুন্দর কথা বলার যে সৌন্দর্য আপনি সেই
সৌন্দর্যকেই আরও উজ্জ্বল করেছেন।

হ্যাঁ, পোস্টের মূলভাব ফুটিয়ে তুলতে ছবিটি এবং বাক্যটি আমি নিজেই তৈরি করেছিলাম। জেনে ভালো লাগছে
যে তা আপনার নজর এড়ায়নি এবং আপনার কাছে সুন্দর লেগেছে।

আপনি খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় তুলে ধরেছেন ,আমরা যারা লিখি, তারা প্রত্যেকে আন্তরিকভাবে চেষ্টা করি
ভালো কিছু ভাগ করে নিতে। সেই প্রচেষ্টাকে অস্বীকার করে কারো কাজকে ‘গার্বেজ’ বলে ছোট করে দেওয়া
যেমন নিরুৎসাহিত করে, তেমনি তা একটি সুস্থ অনলাইন সংস্কৃতিরও পরিপন্থী। আপনার মতো পাঠক যখন
যুক্তি ও ভদ্রতাকে মূল্যায়ন করেন, তখন সত্যিই অনুপ্রাণিত হই।

আশা করি, এমন আলোচনা যারা পড়বেন তারা উপলব্ধি করবেন যে মতভেদ থাকা স্বাভাবিক, কিন্তু অসম্মান
কখনোই গ্রহণযোগ্য নয়।

আপনার শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা পেয়ে সত্যিই ভালো লাগছে। আপনিও ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন

শুভকামনা রইল।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.