নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বাড়ির কাছে আরশিনগর সেথা পড়শি বসত করে, একঘর পড়শি বসত করে আমি একদিনও না দেখিলাম তারে।

অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য

মানুষ পথিক বেশে ঘুরছে দেশে দেশে একটু ছায়াতলে থমকে দাঁড়ায়, স্মৃতিটুকু রেখে শুধু একদিন তো চলে যায়।

অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য › বিস্তারিত পোস্টঃ

এখন আর আকাশ-বাতাস কাঁপে না?

১৪ ই নভেম্বর, ২০২৫ রাত ৮:৪০


গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল সোয়া ১০টার দিকে ধানমন্ডির ৩২ নম্বর এলাকা থেকে এক কিশোরকে আটক করেছিল পুলিশ। তার পরনে ছিল প্যান্ট-কোট-টাই। হাতে ছিল একটি ব্যাগ। সে আসলে স্কুলছাত্র ছিল। তার ব্যাগে ছিল মুক্তিযুদ্ধের বই। প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন সংগ্রহ করা তার নেশা। ধানমন্ডির ৩২-এ সে গিয়েছিল ইট সংগ্রহ করতে। পুলিশ তাকে সন্দেহভাজন হিসেবে আটক করে। সে নিশ্চয়ই বড় অপরাধ করে ফেলেছিল!

গত বছরের জুলাইতে এরচেয়ে একটু বড় একজনকে পুলিশ আটক করেছিল। তার জন্য মানুষের কান্নাকাটির শেষ ছিল না। তার বিরুদ্ধে আবার পুলিশ হত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগ আছে। অথচ এই যে কিশোর, সে শুধু দুটো ইট আনতে গেল, তার জন্য পুলিশ তাকে ধরে নিয়ে গেল? বেশিক্ষণ আটকে রাখেনি অবশ্য। পুলিশের দয়ার শরীর। ছেলের মায়ের কাছ থেকে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দিয়েছে।

একইদিন আরো একটা ঘটনা ঘটেছিল। ধানমন্ডির ৩২ নম্বর সড়কে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়ির সামনে মারধরের শিকার হন সালমা ইসলাম (৪০) নামে এক মধ্যবয়সী নারী। তাকে লাঠি দিয়ে পেটাচ্ছিল জান্নাত খান নামে ২০-২২ বছর বয়সী এক নারী। সে একসময় নার্স ছিল। সেসব ছেড়ে এখন এনসিপির রাজনীতি করে।

মজার ব্যাপার হলো, সে একসময় আওয়ামী লীগের রাজনীতি করত। এখন ‘মোর খ্রিষ্টান দ্যান পোপ’ হয়ে গেছে। ছাত্রলীগের লুঙ্গির নিচে এত বছর থাকা সৈনিকের যেমন এখন বিরাট বিপ্লবী হয়ে গেছে। তো যে মহিলাকে পেটাচ্ছিল, তিনি বোরখা পরিহিত ছিলেন। যে পেটাচ্ছে সে কিন্তু বেপর্দা। তাও তার সমর্থন বেশি। অথচ অন্য সময় হলে বিরাট হৈচৈ পড়ে যেত। ধর্ম অবমাননাও হতে পারত। রাজনীতিকে এমন পর্যায়ে নিয়ে গেছে, এখন ধর্মও ফেইল। আমার প্রশ্ন হলো, নিরস্ত্র একজন মহিলা কী এমন করছিলেন বা করতে পারতেন?

যাহোক, মারধরের শিকার সালমা ইসলামকে ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটির বিবিএ তৃতীয় বর্ষের ছাত্র আবু সাইদ মু. সাইম হত্যাচেষ্টা মামলায় কারাগারে পাঠানো হয়েছে। ভাবা যায়? পুলিশ মোবাইল চেক করলে এখন আর মৌলিক অধিকার লঙ্ঘন হয় না। গত একবছরে এত এত মানুষ মারধরের শিকার হলো, হত্যাকাণ্ডের শিকার হলো, এত এত ধর্ষণের ঘটনা ঘটল, তাও এখন আর আকাশ-বাতাস কাঁপে না।

মন্তব্য ২০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২০) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই নভেম্বর, ২০২৫ রাত ৮:৪৫

জেনারেশন একাত্তর বলেছেন:




পুলিশের পরিবার আছে, ওরা ঘুষ দিয়ে চাকুরী নিয়েছে শেখ হাসিনার আমলে।

১৪ ই নভেম্বর, ২০২৫ রাত ৮:৪৭

অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: শেখ হাসিনার আমলে অতি-উৎসাহী কিছু ছিল, এখনো আছে অনেক। পরে কী হতে পারে, সেই চিন্তা ওদের মাথায় কাজ করে না।

২| ১৪ ই নভেম্বর, ২০২৫ রাত ৮:৫৪

কামাল১৮ বলেছেন: জামাত পন্থি পুলিশ।

১৪ ই নভেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:২৬

অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: কিছু অতি-উৎসাহী, কিছু প্রশাসনের চাপে।

৩| ১৪ ই নভেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:০৩

আমি নই বলেছেন: পুলিশ ছেরে দিয়েছে, তাইলে আকাশ-বাতাস কাপবে কেন? অন্য যার কথা বলছিলেন সেতো জেল খেটেছিল। এই ছেলেকেও যদি জেলে চালান করা হত তাহলে আকাশ-বাতাস কাপার বিষয়টা আসত। অন্যায়ের প্রতিবাদ সবসময় হওয়া উচিৎ।

১৪ ই নভেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:২৫

অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: ওই ছেলের বিরুদ্ধে সুস্পষ্ট অভিযোগ ছিল। এর বিরুদ্ধে কী অভিযোগ? আর এই মহিলার কী দোষ? মারও খেল আবার জেলও খাটছে। বিচারের নামে এমন প্রহসন চললে তো মুশকিল। দিন কি সবসময় একরকম যাবে? আ হ্যাঁ, অন্যায়ের প্রতিবাদ সবসময় হওয়া উচিত। অথচ হচ্ছে যার যার সুবিধামতো।

৪| ১৪ ই নভেম্বর, ২০২৫ রাত ১০:২০

কলিমুদ্দি দফাদার বলেছেন: গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল সোয়া ১০টার দিকে ধানমন্ডির ৩২ নম্বর এলাকা থেকে এক কিশোরকে আটক করেছিল পুলিশ। তার পরনে ছিল প্যান্ট-কোট-টাই। হাতে ছিল একটি ব্যাগ। সে আসলে স্কুলছাত্র ছিল। তার ব্যাগে ছিল মুক্তিযুদ্ধের বই। প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন সংগ্রহ করা তার নেশা।

আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় না থাকলে কোমলমতি কিশোর-কিশোরীদের ৭১, ৩২ মুক্তিযুদ্ধের চেতনার দন্ড একদম ১০ সুতার রডের শক্ত হয়ে উঠে। ৯০ সালে "কাকলি" নামের এক কিশোরী নাকি সাইকেল চালায়ে কর্নেল ফারুককের বাসায় যেয়ে বলে "তুই বংগবন্ধু কে মারলি কেন"?

এর কারন কি বলতে পারেন নাকি?

১৫ ই নভেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:৪৫

অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: কিছু কিছু ভক্ত থাকে, এরা নিঃস্বার্থভাবে ভালোবাসে। আপনার নিজেরও হয়তো আছে। ক্ষমতায় থাকলে এই দরদটা মনে হয় স্বার্থসিদ্ধির জন্য, কিন্তু যখন ক্ষমতার বাইরে থাকলে এই দরদ দেখালে এই দরদটা যে খাঁটি বোঝা যায়। এই দরদের প্রতি শ্রদ্ধা থাকা উচিত।

৫| ১৪ ই নভেম্বর, ২০২৫ রাত ১১:০৯

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: জেনারেশন আলফাকে নিয়ে ভাবতে হবে আগামির সরকারকে । আর যাতে কোনো জুলাই মাস না আসে । জেন-আলফা কে নিয়ে বিশেষ ভাবে উদ্বিগ্ন : ১- গত রাতে তিনটা টিনএইজ ছেলে মিরপুর বেড়িবাধ এক বাসে আগুন লাগাতে গিয়েছিলো লিগের থেকে টাকা পেয়ে । তারা আগুন লাগানোর পর যে টাকা পাবে সেটা নিয়ে নাকি পারটি করবে । একজন জনতার ধাওয়া খেয়ে পানিতে পড়ে মারা গেল। ঘটনাটা জানেন ? কেনো একজন কিশোরকে লোভে ফেলে তার লাইফটাকে শেষ করা হলো ? সাধারণ মানুষের আপনার ছবির জেনারেশন আলফাকে নিয়ে আসমান কাপার কথা ? মানুষ তো বুঝে গেছে এরা ইউজ হইতেসে । ২- আপনার ছবির আলফার কি ৩২ এর ইট কি অবরোধের দিন কালেকশন করার খুব দরকার ছিলো ? এসব সাজানো ঘটনা নিয়ে মানুষের আসমান কাপবে মনে হয় ? ৩- জামায়াতের কিছু নেতা ইশকুলে গিয়ে গিয়ে আলফাদের বাবা-মা যাতে জামাতকে ভোট দেয় সেই কথা বলে ,কিছু আলফা complain করেছে হেড টিচারের নামে যে তিনি এসবে মদদ দিতেসেন। আলফাদের আরো দেখতে পেলাম তারা slogan দিতেসে তুমিও জানো আমিও জানি ..ওরা সবাই ... । এদের কাজ কি slogan দেয়া ? পুরো আলফা জেনারেশন সংকটের মাঝে আছে । :(

১৫ ই নভেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:৪৭

অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: তবে আপনার কমেন্টটা কিন্তু আকাশ-বাতাস কাঁপানো। ৮০% সহমত।

৬| ১৪ ই নভেম্বর, ২০২৫ রাত ১১:৩১

মেঠোপথ২৩ বলেছেন: এই ছেলে বা ঐ মহিলা গ্রেফতার হবার মত কোন অপরাধই করে নাই। কিন্তু মামলা বানিজ্য হচ্ছে এই দেশের সবচেয়ে বড় ব্যবসা। জুলাই গনঅভ্যূত্থানে নিহত ছাত্র-জনতা এখন মামলা করার একটা উসিলা হিসাবে ব্যবহ্রত হচ্ছে। ইচ্ছে হলেই যে কাউকে এই মামলায় ফাসিয়ে দেয়া যায়। আর জামিন পেতে খরচ করেত হয় লাখ লাখ টাকা !! মানুষ আশা করেছিল যে , স্বৈরাচারের পতনের পর কিছুটা পরিবর্তন হয়ত হবে। কিন্তু দুঃখজনক যে কোণ কিছুই পরিবর্তন হয় নাই !

১৫ ই নভেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:৪৯

অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: ঠিকই বলছেন। একটা হুজুগ চলছে। তবে ভয়ঙ্কর ব্যাপার হলো, প্রজন্মটাকে একদম খেয়ে দেওয়া হয়েছে গত দুই দশকে। এরা হানাহানি, মারামারি ছাড়া কিছু বোঝে না।

৭| ১৫ ই নভেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:০২

আমি নই বলেছেন: লেখক বলেছেন: ওই ছেলের বিরুদ্ধে সুস্পষ্ট অভিযোগ ছিল। এর বিরুদ্ধে কী অভিযোগ? আর এই মহিলার কী দোষ? মারও খেল আবার জেলও খাটছে। বিচারের নামে এমন প্রহসন চললে তো মুশকিল। দিন কি সবসময় একরকম যাবে? আ হ্যাঁ, অন্যায়ের প্রতিবাদ সবসময় হওয়া উচিত। অথচ হচ্ছে যার যার সুবিধামতো।

বাংলাদেশে অভিযোগ বিষয়টা পরিবর্তনশীল। যার বিরোদ্ধে সুস্পষ্ট অভিযোগের কথা বলতেছেন তার বিরোদ্ধে যারা অভিযোগ করেছিল তারাও বিভিন্ন অভিযোগে অভিযুক্ত।

ছবির ছেলেটা গ্যান্জামের সম্ভাবনা থাকার দিনই ইট সংগ্রহে করতে যাওয়াটা আপনার কাছে স্বাভাবিক মনে হয়? আমার কাছেতো উস্কানি মনে হয়, অথবা ভাইরাল হওয়ার ধান্দা। ঐটা আমার সন্তান হলে সুযোগ-সুবিধা মত আমি নিজেই ২টা ইট সংগ্রহ করে দিতাম, প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট কারো সাথে কথা বলে অনুমতি নিয়ে সংগ্রহ করে দিতাম, কিন্তু ঐদিন সন্তানকে কোনো অবস্থাতেই যেতে দিতাম না।

১৫ ই নভেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:৫৬

অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: আমিও এটা ভাবছিলাম। জয় বাংলা স্লোগান লেখার অভিযোগে দুটো বাচ্চা ছেলেকে ৬-৭ মাস আগে পিটিয়ে মেরে ফেলা হলো। আমারও জিজ্ঞাসা ছিল এমন সময়ে তাদের কেন জয় বাংলা স্লোগান দিতে হবে? কিন্তু সমস্যা হলো এরা উন্মাদনায় চলে দুটো পক্ষই, বয়স একই রকম হলেও। এবং এসব হাঙ্গামার পরিণতি যে ভালো না; এরা কিন্তু বোঝে না। এই ছেলেপেলেদের তো বয়স কম। আলাদা পক্ষ হলেও আমরা বড়রা তো ভালোমন্দ কিছু বলতে পারি। কিন্তু দেখা যাচ্ছে নিজেদের স্বার্থে অরাজকতাকে প্রশ্রয় দেওয়া হচ্ছে। এভাবে কি একটা জাতি সঠিক পথে এগোতে পারে?

৮| ১৫ ই নভেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:৩৫

রাজীব নুর বলেছেন: আমাদের দেশের পুলিশ অযোগ্য অদক্ষ।
তারা ভালো ও সঠিক কাজ করতে পারে না। পুলিশ এবং এটিএম বুথের সিকিউরিটি গার্ড একই রকমের।

১৬ ই নভেম্বর, ২০২৫ রাত ৮:৫৫

অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: যেমনে চালায় তেমনে চলে, আবার কিছু আছে অতিউৎসাহী।

৯| ১৬ ই নভেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:৪৩

অপু তানভীর বলেছেন: ''প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন সংগ্রহ করা তার নেশা। ধানমন্ডির ৩২-এ সে গিয়েছিল ইট সংগ্রহ করতে।''
সিরিয়াসলী? এই জিনিস আপনি গিললেন?

আমি প্রতিদিন ৩২ নম্বর দিয়ে বাসায় ফিরি। এতো দিন রেখে তাকে এই ১৩ তারিখেই যেতে হল এখানে? আপনি কি আসলেই এতোই সহজ সরল?

১৬ ই নভেম্বর, ২০২৫ রাত ৮:৫৪

অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: এই ছেলের ব্যাকগ্রাউন্ড দেখে তো বিষয়টা সহজই মনে হয়। তাকে সামনে রেখে কেউ স্বার্থ উদ্ধার করেছে এমন কিছু দেখছি না। বিশেষ দিনগুলোতে হুজুগ বেশি থাকে, এ কারণেও হয়তো সে সেখানে গিয়েছিল। এখন কথা হলো এদিন গেলেই তাকে পুলিশের ধরতে হবে বা ওই নারীকে মারতে হবে? মববাজিকে কি সাপোর্ট দিতে হবে?

১০| ১৭ ই নভেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:০৬

রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন:
- আগে আমার মনখারাপ হলে বই পড়তাম,কম্পিউটারে গেইম খেলতাম। এখন মেজাজ খারাপ হয়।

২৮ শে নভেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১:০৩

অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: পরে কাঁচের জিনিস ভাঙেন?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.