নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নাইল্যাকাডা

দিনমজুর

নাইল্যাকাডা ১ম বর্ষ, ২য় সংখ্যার প্রাপ্তিস্থানঃ আজিজ সুপার মার্কেট ১। বইপত্র/ ২। জনান্তিক/ ৩। শ্রাবণ/ ৪। প্রথমা (একুশে)/ ৫। তক্ষশীলা/ ৬। লিটল ম্যাগ প্রাঙ্গন লোক/ ৭। বিদিত/ ৮। পলল/ ৯।পাঠশালা মুক্তিভবন (পুরানা পল্টন) ১০। জাতীয় সাহিত্য প্রকাশন

দিনমজুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

তোবা গ্রুপের শ্রমিকদের অনশন করে মরতে হবে কেন?

৩০ শে জুলাই, ২০১৪ দুপুর ১:১৬

“আমি এই মর্মে প্রতিশ্রুতি প্রদান করিতেছি যে তোবা ফ্যাশন লি: এর সকল শ্রমিকদের এপ্রিল-২০১৪ ইং এর বেতন আগামী ২০/০৫/২০১৪ ইং তে লাঞ্চের পূর্বে পরিশোধ করিব এবং মে-২০১৪ ইং এর বেতন পরবর্তী মাসের ১০ তারিখের মধ্যে প্রদান করিব”--- মো: খালেকুজ্জামান, কারখানা ব্যবস্থাপক, তোবা ফ্যাশন লি:, ১৭/০৫/২০১৪।







এই রকম লিখিত অঙ্গীকার করে, মৌখিক প্রতিশ্রুতি দিয়ে দিয়ে দিনের পর দিন শ্রমিকদের কাজ করানো হলো, কিন্তু মাস শেষে মজুরি দেয়া হলো না! শ্রমিকরাতো হুট করে অনশনে বসে নি। নিরুপায় হয়ে ঈদের আগের দিন থেকে আমরণ অনশনে বসার আগে মজুরির দাবীতে তারা বার বার রাস্তায় নেমেছে, কারখানার সামনে উত্তর বাড্ডার রাস্তায় রাস্তায় পুলিশের মার খেয়েছে, রাবার বুলেটে আহত হয়ে বার বার হাসপাতালে গিয়েছে। বিজিএমইএ ঘেরাও করেছে, শ্রম মন্ত্রণালয়েও গিয়েছে। তখন কিন্তু তাদের ঠিকই প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছে, কারখানার ব্যাবস্থাপকদের মতোই মৌখিক ও লিখিত প্রতিশ্রুতি দিয়ে বিজিএমইএও শ্রমিকদের দিয়ে কাজ করিয়ে নিয়েছে, কিন্তু প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী মজুরী পরিশোধ করেনি।



[মালিক দেলওয়ার ছাড়া ২৬ কোটি টাকার বিশ্বকাপের জার্সি বানানোর কাজ করানো যায়, কিন্তু মজুরী দেয়া যায় না! মজুরি যদি নাই দিবি, তাহলে মজুরীর প্রতিশ্রুতি দিয়ে দিনের পর দিন শ্রমিকদেরকে মাগনা খাটালি কেন শুয়োরের বাচ্চারা? আগেই কারখানা বন্ধ করে রাখতি! শ্রমিকের মাগনা শ্রমে মুনাফা লুটতে খুব মজা না?]



সর্বশেষ গত ২৬ জুন ২০১৪ তারিখে শ্রম মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি ফয়েজ আহমেদ এবং অতিরিক্ত সচিব রফিকুল ইসলামের উপস্থিতিতে তোবাগ্রুপের চেয়ারম্যান মাহমুদা আক্তার(মিতা) সহ কারখানার ব্যাবস্থাপক এবং খোদ বিজিএমইএর প্রতিনিধি আব্দুল আহাদ আনসারী লিখিত ভাবে শ্রমিক প্রতিনিধিদের কাছে অঙ্গীকার করে যে- মে মাসের মজুরী ৩ জুলাই এর মধ্যে, জুন মাসের মজুরি ১৫ জুলাইয়ের মধ্যে এবং ঈদ বোনাস ও জুলাই মাসের ১৫ দিনের মজুরী ২৬ জুলাইয়ের মধ্যে প্রদান করা হবে।







আচ্ছা, উল্টো ঘটনা যদি ঘটতো- যদি শ্রমিকরা ৩ মাসের অ্যাডভান্স মজুরী নিয়ে কাজ না করতো, যদি শ্রমিক প্রতিনিধিরা শ্রম সচিবদের উপস্থিতিতে তাদের করা লিখিত অঙ্গীকার ভঙ্গ করতো- তাহলে কি ঘটতো? শ্রমিক প্রতিনিধিরা কি নিশ্চিন্তে ঘরে বসে ঈদ করতে পারতো? শ্রমিকরা অ্যাডভান্সের টাকা হজম করতে পারতো?











তাহলে লিখিত অঙ্গীকার করে শ্রমিকদের খাটিয়ে নিয়ে তারপর মজুরী না দেয়ার অপরাধে কারখানার মালিক- ব্যাবস্থাপক সহ বিজিএমইএ প্রতিনিধিদের ধরা হবে না কেন? কেন রাষ্ট্র দ্বায়িত্ব নিয়ে বিজিএমইএ ও মালিক প্রতিনিধিদেরকে বাধ্য করবে না তাদের লিখিত অঙ্গীকার বাস্তবায়ন করতে?কেন শ্রমিকদেরকে ন্যায্য পাওনা আদায়ে অনশন করে মরতে হবে? কেন?







[একের পর এক অসুস্থ হয়ে পড়ছেন তোবা গ্রুপের আমরণ অনশনরত শ্রমিকরা। এখন পর্যন্ত ১২ জনকে সেলাইন দিয়ে রাখা হয়েছে। ৪ জন কে কমিউনিটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। জরুরী ভিত্তিতি পালা করে শ্রমিকদের শারীরিক অবস্থা নিয়মিত চেকআপ করার জন্য ডাক্তার/নার্স প্রয়োজন। যোগাযোগ: হোসেন সুপারমার্কেট, ৭ম তলা, উত্তর বাড্ডা, ঢাকা(গুলশান বাড্ডা লিংক রোডের মাথায় গেলেই যেখানে পুলিশের গাড়ি ও জলকামান চোখে পড়বে, সেটাই হোসেন মার্কেট।]

মন্তব্য ১০ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে জুলাই, ২০১৪ দুপুর ১:৪৭

কানা দাজ্জাল বলেছেন: দুই চারজন মরিয়া প্রমান করুক তারা আমরন অনশন করিয়াছিল। অত:পর উপায়ান্তর না দেখিলে অন্য সকল তার ছিড়া ছাগলদের মতই কোন কাজ হইবে না জানিয়াও প্রধানমন্ত্রীর হাত মারা বা হ্যান্ডেল কামনা করিয়া বসিবেন।

২| ৩০ শে জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৪:০১

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


দেশের অর্থনীতির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই সেক্টরটার প্রতি এত অবহেলা অত্যন্ত আশঙ্কাজনক অশনি সংকেত দিচ্ছে বারবার !!! এখানে কেউ অনশন করে মরে গেলেও মনে হয়না উচ্চ পর্যায় কোন রকম টনক নড়বে।

৩| ৩০ শে জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৫:০০

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: কিছু অতি মুনাফালোভি মালিক এবং তাদের নির্বাচিত চাটুকার ম্যানেজম্যান্টের কুবুদ্ধিতে এইসব ঘটনা ঘটে। এদের বেতন দেয়া এমন কোন মহা বিশাল ব্যাপার না। তারপরও এরা দেয় না।

এদের বিরুদ্ধে অবিলম্বে ব্যবস্থা গ্রহন করা হোক। এই গার্মেন্টসটি সরকার বাজেয়াপ্ত করে নিন।

৪| ৩০ শে জুলাই, ২০১৪ রাত ৯:১১

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: ""আচ্ছা, উল্টো ঘটনা যদি ঘটতো- যদি শ্রমিকরা ৩ মাসের অ্যাডভান্স মজুরী নিয়ে কাজ না করতো, যদি শ্রমিক প্রতিনিধিরা শ্রম সচিবদের উপস্থিতিতে তাদের করা লিখিত অঙ্গীকার ভঙ্গ করতো- তাহলে কি ঘটতো? শ্রমিক প্রতিনিধিরা কি নিশ্চিন্তে ঘরে বসে ঈদ করতে পারতো? শ্রমিকরা অ্যাডভান্সের টাকা হজম করতে পারতো?"

"তাহলে লিখিত অঙ্গীকার করে শ্রমিকদের খাটিয়ে নিয়ে তারপর মজুরী না দেয়ার অপরাধে কারখানার মালিক- ব্যাবস্থাপক সহ বিজিএমইএ প্রতিনিধিদের ধরা হবে না কেন? কেন রাষ্ট্র দ্বায়িত্ব নিয়ে বিজিএমইএ ও মালিক প্রতিনিধিদেরকে বাধ্য করবে না তাদের লিখিত অঙ্গীকার বাস্তবায়ন করতে?কেন শ্রমিকদেরকে ন্যায্য পাওনা আদায়ে অনশন করে মরতে হবে? কেন?"

বিজিএমইএঃ ব্যবসায়ী নামধারী রাজনৈতিক বেশ্যা দের আড়ত।

৫| ৩০ শে জুলাই, ২০১৪ রাত ১১:৩৩

ঢাকাবাসী বলেছেন: দুনিয়াতে সবচাইতে লোভী, ইতর, হৃদয়হীন, অসৎ, নির্লজ্জ, অমানুষ, দুশ্চরিত্র, অভদ্র, অশিক্ষিত ব্যাবসায়ী হল বাংলাদেশের গার্মেন্টস মালিকরা।

৬| ৩১ শে জুলাই, ২০১৪ রাত ১২:৩৭

মি. আলম বলেছেন: দুনিয়াতে সবচাইতে লোভী, ইতর, হৃদয়হীন, অসৎ, নির্লজ্জ, অমানুষ, দুশ্চরিত্র, অভদ্র, অশিক্ষিত ব্যাবসায়ী হল বাংলাদেশের গার্মেন্টস মালিকরা।

---------ঢাকাবাসী আপনাকে ধন্যবাদ

৭| ৩১ শে জুলাই, ২০১৪ রাত ১২:৫০

মি. আলম বলেছেন: Click This Link

৮| ৩১ শে জুলাই, ২০১৪ দুপুর ২:৫৪

মুনতাসির নাসিফ (দ্যা অ্যানোনিমাস) বলেছেন: খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটা পোস্ট প্রিয় দিনমজুর ...

বিজিএম ই এ বরাবরই এহেন আচরণ দেখিয়ে আসছে ...

আর কান্ডারি অথর্বের এ কথাটুকুর সাথে সহমত এখানে কেউ অনশন করে মরে গেলেও মনে হয়না উচ্চ পর্যায় কোন রকম টনক নড়বে

এই ঈদ আনন্দে আমরা যখন দামী ড্রেস গায়ে চড়াচ্ছি, ঈদি শুভেচ্ছা বিনিময়ে খাওয়া দাওয়া বেড়ানোতে রত ঠিক সে মুহূর্তে কতগুলো মানুষ এভাবে ন্যায্য পাওনাটুকু পর্যন্ত না পেয়ে ধুঁকছে মৃত্যু দুয়ারে ...!

এই মুহূর্তে ওই কর্তৃপক্ষ সহ বিজিএম ই এর ভন্ডগোষ্ঠীর টুঁটি চেপে ধরে আদায় করা গেলে অনেক অভিশাপ থেকে জাতি মুক্তি পেত ...

ব্লগে শৈশব সহ নানা ধরণের ঈদ আনন্দ অনুভূতি শেয়ার হচ্ছে, আমি মনে করছি ওই আনন্দানুভূতি গুলির সাথে আমাদের এই নির্মম বাস্তবতা গুলোও একবার স্মরণ করা এবং যথাসাধ্য প্রতিবাদ জানানো উচিত ...

সে যতটুকুই সম্ভবপর হয় ...

ব্লগারদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি ...

৯| ৩১ শে জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৩:০৪

মুনতাসির নাসিফ (দ্যা অ্যানোনিমাস) বলেছেন: শেয়ার করছি ...

১০| ০২ রা আগস্ট, ২০১৪ রাত ৮:২৮

মুনতাসির নাসিফ (দ্যা অ্যানোনিমাস) বলেছেন: তোবা গ্রুপের মালিক দেলোয়ার তাজরিনেরও মালিক। ১১১টা মানুষের পোড়া ছাইয়ে কয়লায় তার আমলনামা লেখা। তিনি এখন জেলে।

আইন সবার জন্যে সমান। সাধু।

আজব ব্যাপার! দেলোয়ার ছাড়া শ্রমিকগুলোর বেতন দেয়ার কেউ সিগনেটরি নাই তুবা গ্রুপে, বিজেএমইএ-তে, সারা বাংলাদেশে। তাই শেষমেশ শ্রমিক নামের গতর খাটানো পশুগুলা খাবেনা বলে ঠিক করেছে- আপনারা শিক্ষিত লোকেরা বলেন অনশন। দেলোয়ারকে জেল থেকে ছাড়ানোর জন্যেই যেন শ্রমিকদের বেতন বোনাস দেয়া হয় নাই এতদিন।

আইন যদি সবার জন্য সমান হয়, বে-আইনও সবার জন্যে সমান।

এখন আলহামদুলিল্লাহ, তিনি জামিন পাচ্ছেন, স্বরাষ্ট্রপ্রতিমন্ত্রী সেটা নিশ্চিত করেছেন। (আল্লামালুম নির্বাহী বিভাগ কিভাবে জানেন স্বাধীন বিচার বিভাগ কাকে জামিন দেবেন!!)

আইন আর বে-আইনের সমতা বিধান করার পর দাঁড়ালো এই যে, শ্রমিকেরা শেষপর্যন্ত দেলোয়ারের মুক্তির জন্য আন্দোলন করেছে !! শ্রমিকদের আন্দোলনের ফল দেলোয়ারের মুক্তি !!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.