নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মানব মঙ্গল আমার একান্ত কাম্য

মহাজাগতিক চিন্তা

একদা সনেট কবি ছিলাম, ফরিদ আহমদ চৌধুরী ছিলাম, এখন সব হারিয়ে মহাচিন্তায় মহাজাগতিক চিন্তা হয়েছি। ভালবাসা চাই ব্লগারদের, দোয়া চাই মডুর।

মহাজাগতিক চিন্তা › বিস্তারিত পোস্টঃ

কোনটা ইসলামী শিক্ষা? আল্লাহ কি বলেন?

০৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১১:২২



সূরাঃ ১৬ নাহল, ১২৫ নং আয়াতের অনুবাদ-
১২৫।ডাক তোমার রবের পথে, হিকমাত (কৌশল) ও উত্তম ওয়াজের মাধ্যমে। আর তাদের সাথে তর্ক কর উত্তম পন্থায়। নিশ্চয়ই তোমার রব খুব জানেন কে তাঁর পথ ছেড়ে পথভ্রষ্ট হয়। আর তিনি খুব জানেন কোন সব লোক হেদায়াত প্রাপ্ত।

* আল্লাহর পথে ডাকতে যে শিক্ষা লাগে সেইটা ইসলামী শিক্ষা। এটি হিকমাত, উত্তম ওয়াজ এবং তর্কের উত্তম পন্থা। হিকমাত কি?

সূরাঃ ২ বাকারা, ২৬৯ নং আয়াতের অনুবাদ-
২৬৯। তিনি যাকে ইচ্ছা হিকমাত দান করেন। আর যাকে হিকমাত দান করা হয় এর ফলে সে নিশ্চয়ই প্রচুর কল্যাণ লাভ করে।মূলত জ্ঞানী ব্যক্তিরা ছাড়া কেউই বুঝতে পারে না।

সূরাঃ ৮ আনফাল, ৬০ নং আয়াতের অনুবাদ-
৬০। তোমরা তাদের মোকাবেলার জন্য যথাসাধ্য শক্তি ও অশ্ব-বাহিনী প্রস্তত রাখবে। এর দ্বারা তোমরা সন্ত্রস্ত রাখবে আল্লাহর শত্রুকে, তোমাদের শত্রুকে, এছাড়া অন্যদেরকে যাদের সম্পর্কে তোমরা জাননা, আল্লাহ জানেন।আল্লাহর পথে তোমরা যা ব্যয় করবে এর পূর্ণ প্রতিদান তোমাদেরকে দেওয়া হবে এবং তোমাদের প্রতি জুলুম করা হবে না।

সূরাঃ ৩১ লোকমান, ১২ নং আয়াতের অনুবাদ-
১২। আমরা লোকমানকে হিকমাত দান করেছিলাম এবং বলেছিলাম যে আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ কর।যে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে সে তো তা’ করে নিজের জন্য। আর কেউ অকৃতজ্ঞ হলে আল্লাহ তো ধনি ও প্রশংসিত।

* হিকমাত হলো প্রচুর কল্যাণ লাভের হিকমাত। এর প্রধান হিকমাত হলো নিজের শত্রু, আল্লাহর শত্রু ও অদৃশ্য শত্রুকে সন্ত্রস্ত রাখার হিকমাত।নিজের শত্রু ও আল্লাহর শত্রুকে সন্ত্রস্ত রাখার হিকমাত হলো সামরিক হিকমাত। জে. মোহাম্মদের (সা.) সামরিক হিকমাত ছিল। সেজন্য পারস্য ও রোমান সাম্রাজ্য তাঁকে আক্রমণ করার সাহস পায়নি।অদৃশ্য শত্রুকে সন্ত্রস্ত রাখার হিকমাত হলো জীবাণু নাশক হিকমাত। হযরত লোকমানের (আ.) ছিল চিকিৎসা হিকমাত ও কাঠের কাজের হিকমাত। হযরত দাউদের (আ.) ছিল সামরিক ও প্রকৌশল হিকমাত। হযরত সুলাইমানের (আ.) ছিল সামরিক ও ভাষা সংক্রান্ত হিকমাত। হযরত আদমের (আ.) ছিল কৃষি হিকমাত। হযরত হাওয়ার (আ.) ছিল বস্ত্রবুনন হিকমাত। হযরত ইদ্রিসের (আ.) ছিল সেলাই হিকমাত।তথ্য প্রযুক্তি হিকমাতের মূলে রয়েছে গানিতিক হিকমাত।ব্যবসায় হিকমাতও একটি জরুরী হিকমাত। সুতরাং প্রচুর কল্যাণ লাভের সকল হিকমাত ইসলামী শিক্ষার অংশ।

সূরা: ৯ তাওবা, ১২২ নং আয়াতের অনুবাদ-
১২২। আর মু’মিনদের এটাও উচিৎ নয় যে (জিহাদের জন্য) সবাই একত্রে বের হয়ে পড়বে। সুতরাং এমন কেন করা হয় না যে, তাদের প্রত্যেক বড় দল হতে এক একটি ছোট দল (জিহাদে) বের হয় যাতে অবশিষ্ট লোক ফিকাহ (দীনের গভীর জ্ঞান) অর্জন করতে থাকে। আর যাতে তারা নিজ কওমকে ভয় প্রদর্শন করে, যাতে তারা সাবধান হয়।

সূরাঃ ২, বাকারা। ১০৬ নং আয়াতের অনুবাদ-
১০৬। আমরা কোন আয়াত মানসুখ বা রহিত করলে অথবা ভুলে যেতে দিলে তা’হতে উত্তম বা তার সমতুল্য কোন আয়াত আমরা প্রদান করে থাকি।তুমি কি জান না যে আল্লাহ সর্ব বিষয়ে সর্ব শক্তিমান।

* উত্তম ওয়াজ হলো ফিকাহ। কারণ এর মাধ্যমে আল্লাহ ভয় প্রদর্শন করতে ও সাবধান হতে বলেছেন। {কিতাব(কোরআন+হাদিস)-মানসুখ=ফিকাহ।তর্কের উত্তম পন্থা হলো উত্তম ভাষা। {নিজস্ব ভাষা(মাতৃ ভাষা+আরবী ভাষা)+বিদেশী ভাষা (ইংরেজী ভাষা)= উত্তম ভাষা। কারণ ভাষাগত দিক ঠিক না থাকলে তর্ক উত্তম হয় না।

# ইসলামী শিক্ষার বিষয় হলো ১। গণিত ২। কমপক্ষে একটি হিকমাত শিক্ষা ৩। মাতৃভাষা ৪। আরবী ভাষা ৫। ইংরেজী ভাষা ৬। কোরআন ৭। হাদিস ৮। ফিকাহ। হিকমাতের কথা আল্লাহ নিজেই আগে বলেছেন। কোরআন, হাদিস ও ফিকাহ বুঝতে মাতৃভাষা ও আরবী ভাষা লাগে এবং এটা বুঝাতে ইংরেজী ভাষা লাগে। ফিকাহ বুঝতে কোরআন ও হাদিস ‍বুঝতে তো হবেই। সবচেয়ে জরুরী শিক্ষা হিসাবে ফিকাহ শিক্ষা ফিনিশিং স্থানে রাখা হয়েছে। উক্ত আটটি বিষয়ের কম শিক্ষা দ্বারা কেউ আলেম হয় না।

সূরাঃ ৯ তাওবা, ১১৯ নং আয়াতের অনুবাদ-
১১৯। হে মুমিনগণ! আল্লাহকে ভয় কর এবং সাদেকীনদের (সত্যবাদী) সাথে থাক।

* মানুষের এক জীবনে আলেম হওয়াই মহাকঠিন। আল্লামা হওয়া অসম্ভব। লোকদেরকে আলেম ও আল্লামা খেতাব প্রদান করা মূলত মিথ্যাকথা। এসব মিথ্যাবাদীদের সাথে থাকতে আল্লাহ নিষেধ করেছেন।

মন্তব্য ১০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১:২১

জেন একাত্তর বলেছেন:



আল্লাহ আপনাকে কি কি বলেছেন, আপনি সেটা বলুন।

০৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:২৬

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: আল্লাহ টেকনোলোজি শিক্ষার কথা বলেছেন।

২| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ ভোর ৬:১৯

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:



আল্লাহ পাকের সাথে কি আপনার কথা হয়।
হলে কী কী কথা হয় সেই বিষয়ে একটা জ্ঞানগর্ভ পোস্ট দিন।
আমরা পাঠ করে ধন্য হৈ।

০৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:২৯

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: পোষ্ট যা দিচ্ছি আপাতত সেইটা পড়ুন।

৩| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:০৬

রাজীব নুর বলেছেন: দরকার আধুনিক শিক্ষা।

০৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:৫২

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: ইসলাম এর বিরোধী নয়।

৪| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:৩৬

সুষমা তাসনিম বলেছেন: আল্লাহ নিশ্চয় উত্তম পরিকল্পনার অধিকারী। প্রত্যেক মুসলিমের ইসলামের রীতি মেনে চলা উচিত।

০৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:৫৪

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: কিন্তু নামে মুসলিমগণ ইসলাম বিরোধী হয়ে থাকেন।

৫| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১:৫৯

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:


আল্লাহই উত্তম পরিকল্পনাকারী।
এটা জানার পরও আল্লাহ পরিকল্পনা বদলানোর জন্য মোনাজাত করা কি সঠিক?

৬| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:৩০

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:



আলেম ও আল্লামা নিযে চমতকার কথা বলেছেন ।
এখন জানিনা আল্লামার চাইতেও আর কোন ডিগ্রি বাজারে চালু হয় , আল্লামাতে দেশ ভরে গেছে
অবশ্য মাঝে মধ্যে দেখি হুজুরদের নামের াআগে পরে আরো অনেক কথাই লেখা থাকে যেমন
হুসেনপুরি , কাশিমজুরি , আজহারি এগুলি কোন পর্যায়ের ডিগ্রী তা বুঝতে পারিনা । কোন প্রতিষ্ঠান
হতে শিক্ষা নীলে তা নামের আগে লটকিয়ে রাখতে হবে , বিষয়টা তাজ্জব বলে মনে হয় ।
যাহোক এটা যার যার অভিরুচী ।


ইসলামী শিক্ষা ও আলেম নিয়ে কোরানের প্রাসঙ্গিক আয়াত দিয়ে সুন্দরভাবে লিখেছেন ।
আমরা সকলেই জানি বর্তমান যুগ নিঃসন্দেহে বিজ্ঞানের জয়যাত্রার যুগ। প্রযুক্তি, গবেষণা,
আধুনিক চিকিৎসা, মহাকাশ জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে বিজ্ঞান আমাদের সামনে নতুন দিগন্ত
খুলে দিচ্ছে। এই বাস্তবতায় নতুন প্রজন্ম আগের যে কোনো সময়ের তুলনায় বিজ্ঞানমনস্ক,
অনুসন্ধানী ও প্রশ্নপ্রবণ।তাই সমাজের প্রত্যেক স্তরের মানুষের কাছে ইসলামকে সঠিকভাবে,
যুক্তিনির্ভরভাবে এবং সমসাময়িক বৈজ্ঞানিক প্রেক্ষাপটে উপস্থাপন করা আজ সময়ের দাবি।

কিন্তু দুঃখজনকভাবে দেখা যায় যে আমাদের লেখালেখিতে এই দিকটি এখনো তেমন
জোড়ালো নয় । অন্য দিকে দেখা যায় যে, আমাদের মসজিদ মাদ্রাসার শিক্ষার ক্ষেত্রে প্রায়ই শুধু
ইসলামী শিক্ষা ব্যাকগ্রাউন্ডের ব্যক্তিদের নিয়োগ দেওয়া হয়। যদিও তাঁরা ধর্মীয় জ্ঞানে সমৃদ্ধ,
বিজ্ঞানের আধুনিক দৃষ্টিভঙ্গি, প্রযুক্তিগত অগ্রগতি ও সমসাময়িক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় তাঁদের
প্রস্তুতি অনেক সময় সীমিত থেকে যায়। ফলে তরুণ প্রজন্মের প্রশ্নের জবাবে যুক্তির ঘাটতি
দেখা যায়, আর এতে তাদের মনে ইসলামের প্রতি ভুল ধারণা তৈরির ঝুঁকি থাকে।

এ অবস্থায় প্রয়োজন এমন নেতৃত্ব, যারা একদিকে ইসলামের গভীর ও বিশুদ্ধ জ্ঞানে সমৃদ্ধ,
অন্যদিকে বিজ্ঞানের আধুনিক অগ্রগতি সম্পর্কে উচ্চ পর্যায়ের শিক্ষায় সমৃদ্ধ। মসজিদের
ইমাম হোন বা মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল এই দায়িত্ব তাঁদেরই হাতে অর্পণ করা উচিত যারা
ইসলাম ও বিজ্ঞানে সমানভাবে দক্ষ, সমন্বিত দৃষ্টি সম্পন্ন এবং সময়োপযোগী যুক্তি দিয়ে
নতুন প্রজন্মকে পথ দেখাতে সক্ষম।

আমার এই প্রস্তাবের পক্ষে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ যুক্তি হলো:
বিজ্ঞান ও ইসলাম পরস্পরের পরিপূরক, ইসলামের অসংখ্য আয়াতে চিন্তা, গবেষণা ও সৃষ্টির রহস্য
অন্বেষণের আহ্বান রয়েছে। ফলে বিজ্ঞানমনস্ক নেতৃত্ব ইসলামকে আরও শক্তিশালী যুক্তির ভিত্তিতে
উপস্থাপন করতে পারে।
নতুন প্রজন্মের প্রশ্ন মুখর বাস্তবতায় দক্ষ উত্তরদাতা প্রয়োজন কেবল ধর্মীয় জ্ঞান দিয়ে আজকের
প্রজন্মের বিজ্ঞানভিত্তিক প্রশ্নের উত্তর দেওয়া কঠিন। বিজ্ঞান দক্ষ আলেমরা সহজেই তাদের প্রশ্নকে
সম্মান দিয়ে সত্যনিষ্ঠ উত্তর দিতে সক্ষম হবেন।

মসজিদ মাদ্রাসাকে আধুনিক জ্ঞানচর্চার কেন্দ্র বানানো প্রয়োজন । যখন ইমাম বা প্রিন্সিপাল নিজেই
বিজ্ঞানে উচ্চশিক্ষিত হন, তখন প্রতিষ্ঠানগুলো আধুনিক চিন্তা, নৈতিকতা ও প্রযুক্তিনির্ভর শিক্ষার
মেলবন্ধনে এগিয়ে যাবে।

চরমপন্থা ও ভুল ব্যাখ্যার বিরুদ্ধে তাঁরা কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারবেন । বিজ্ঞানসম্মত ও
যুক্তিনির্ভর ইসলামী ব্যাখ্যা তরুণদের বিভ্রান্তি থেকে রক্ষা করে। জ্ঞানসমৃদ্ধ নেতৃত্ব সমাজকে
অন্ধবিশ্বাস ও চরমপন্থা থেকে দূরে রাখে।

সমাজে সম্মান ও গ্রহণযোগ্যতাও বৃদ্ধি পাবে । সমসাময়িক শিক্ষায় পারদর্শী ইমাম ও প্রিন্সিপালগন
দ্রুত সমাজের আস্থা অর্জন করতে পারেন। এতে মসজিদ মাদ্রাসার মর্যাদাও বৃদ্ধি পায়।

সুতরাং, বর্তমান সময়ের দাবি হতে পারে মসজিদের ইমাম ও মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল পদে এমনসব
ব্যক্তিদের নিয়োগ দেওয়া, যারা ইসলামিক স্টাডিজের পাশাপাশি বিজ্ঞান বিষয়ে উচ্চশিক্ষিত।
এতে শুধু ধর্মীয় শিক্ষার মান উন্নত হবে না, নতুন প্রজন্মের হৃদয়ে বিজ্ঞানসম্মত ইসলাম সম্পর্কে
গভীর শ্রদ্ধা, ভালোবাসা ও আস্থা জন্মাবে। এর মধ্যেই ভবিষ্যৎ সমাজ ও উন্মুক্ত জ্ঞানভিত্তিক
ইসলামচর্চার ভিত্তি গড়ে উঠবে।

আপনি খেয়াল করলে দেখতে পাবেন আমার সাম্প্রতিক পোষ্টগুলিতে ধর্মবিশ্বাস ও বিজ্ঞান বিষয়ক
কোরানের আয়াত এর সাথে বিজ্ঞানের সমন্বয় সাধন মুলক লেখালেখি হচ্ছে, যদিও অনেকেই
বিষয়টিতে বিরোক্তি প্রকাশ করেছেন আমার লেখার মুল লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যটি ভালভাবে
অনুধাবন না করেই ।

শুভেচ্ছা রইল

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.