নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মানব মঙ্গল আমার একান্ত কাম্য

মহাজাগতিক চিন্তা

একদা সনেট কবি ছিলাম, ফরিদ আহমদ চৌধুরী ছিলাম, এখন সব হারিয়ে মহাচিন্তায় মহাজাগতিক চিন্তা হয়েছি। ভালবাসা চাই ব্লগারদের, দোয়া চাই মডুর।

মহাজাগতিক চিন্তা › বিস্তারিত পোস্টঃ

যার উপর স্বয়ং রাসূল (সা.) ও তাঁর সাহাবীগণ (রা.) প্রতিষ্ঠিত ছিলেন যারা এর উপর প্রতিষ্ঠিত থাকবে তারা মুসলিমদের একমাত্র জান্নাতি দল

১১ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৭:৩২



সূরাঃ ৩ আলে-ইমরান, ১০৩ নং আয়াতের অনুবাদ-
১০৩। তোমরা একত্রে আল্লাহর রজ্জু দৃঢ়ভাবে ধর! আর বিচ্ছিন্ন হবে না। তোমাদের প্রতি আল্লাহর অনুগ্রহ স্মরণ কর।যখন তোমরা শত্রু ছিলে তখন তিনি তোমাদের অন্তরে প্রীতি সঞ্চার করেছেন, ফলে তাঁর দয়ায় তোমরা পরস্পর ভাই হয়ে গেলে।তোমরাতো অগ্নি কুন্ডের প্রান্তে ছিলে, আল্লাহ উহা হতে তোমাদেরকে রক্ষা করেছেন। এভাবে আল্লাহ তোমাদের জন্য তাঁর নিদর্শনসমূহ স্পষ্টভাবে বিবৃতকরেন যাতে তোমরা সৎপথ পেতে পার।

# সূরাঃ ৩ আলে-ইমরান, ১০৩ নং আয়াতের তাফসির - তাফসিরে ইবনে কাছির
বেশ কয়েকটি হাদিসে এমন বর্ণিত রয়েছে- একতার সময় মানুষ ভুল ও অন্যায় থেকে রক্ষা পায়। আবার অনেক হাদিসে মতানৈক্য থেকে ভয় প্রদর্শন করা হয়েছে, কিন্তু এতদ সত্ত্বেও উম্মতের মধ্যে মতপার্থক্য ও অনৈক্যের সৃষ্টি হয়ে গেছে এবং তাদের মধ্যে তেয়াত্তরটি দল হয়েগেছে, যাদের মধ্যে একটি দল মাত্র জান্নাতে প্রবেশ করবে এবং জাহান্নামের আগুনের শাস্তি থেকে মুক্তি পেয়ে যাবে। এরা ঐসব লোক যারা এমন বস্তুর উপর প্রতিষ্ঠিত রয়েছে যার উপর স্বয়ং রাসূল (সা.) ও তাঁর সাহাবীগণ (রা.) প্রতিষ্ঠিত ছিলেন।

# স্বয়ং রাসূল (সা.) ও তাঁর সাহাবীগণ (রা.) কিসের উপর প্রতিষ্ঠিত ছিলেন?

সূরা: ৯ তাওবা, ১২২ নং আয়াতের অনুবাদ-
১২২। আর মু’মিনদের এটাও উচিৎ নয় যে (জিহাদের জন্য) সবাই একত্রে বের হয়ে পড়বে। সুতরাং এমন কেন করা হয় না যে, তাদের প্রত্যেক বড় দল হতে এক একটি ছোট দল (জিহাদে) বের হয় যাতে অবশিষ্ট লোক ফিকাহ (দীনের গভীর জ্ঞান) অর্জন করতে থাকে। আর যাতে তারা নিজ কওমকে ভয় প্রদর্শন করে, যাতে তারা সাবধান হয়।

* স্বয়ং রাসূল (সা.) ও তাঁর সাহাবীগণ (রা.) যার উপর প্রতিষ্ঠিত ছিলেন সেটি ছিল ফিকাহ। কারণ ফিকাহ দ্বারা কওমকে ভয় প্রদর্শন করতে হয় এবং ফিকাহ অনুযায়ী কওমকে সাবধান হতে হয়।

সূরাঃ ৫ মায়িদাহ, ৩ নং আয়াতের অনুবাদ-
৩। তোমাদের জন্য হারাম করা হয়েছে মৃত, রক্ত, শূকরমাংস, আল্লাহ ব্যতীত অপরের নামে যবেহকৃত পশু, আর শ্বাসরোধে মৃত জন্তু, প্রহারে মৃত জন্তু, শৃংগাঘাতে মৃত জন্তু এবং হিংস্র পশুতে খাওয়া জন্তু, তবে যা তোমরা যবেহ করতে পেরেছ তা’ ব্যতীত, আর যা মূর্তি পুজার বেদির উপর বলি দেওয়া হয় তা এবং জুয়ার তীরদ্বারা ভাগ্য নির্ণয় করা, এ সব পাপ কাজ। আজ কাফেরগণ তোমাদের দ্বীনের বিরুদ্ধাচরণে হতাশ হয়েছে; সুতরাং তাদেরকে ভয় করবে না, শুধু আমাকে ভয় কর। আজ তোমাদের জন্য তোমাদের দ্বীন পূর্ণাঙ্গ করলাম ও তোমাদের প্রতি আমার অনুগ্রহ সম্পূর্ণ করলাম এবং ইসলামকে তোমাদের দ্বীন মনোনীত করলাম। তবে কেহ পাপের দিকে না ঝুঁকে ক্ষুধার তাড়নায় বাধ্য হলে তখন আল্লাহ তো ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।

সূরাঃ ৩ আলে-ইমরান, ১০৫ নং আয়াতের অনুবাদ-
১০৫। তোমরা তাদের মত হবে না যারা তাদের নিকট সুস্পষ্ট প্রমাণ আসার পর বিচ্ছিন্ন হয়েছে ও নিজেদের মাঝে মতভেদ সৃষ্টি করেছে। তাদের জন্য মহাশাস্তি রয়েছে।

* কোরআন দ্বারা আল্লাহ ইসলামকে পূর্ণাঙ্গ দ্বীন ঘোষণা করায় হযরত ওমর (রা.) কোরআনকে দ্বীনের জন্য যথেষ্ট বলেছেন।কারণ কোরআন নির্দেশিত ফিকাহ আসলেই দ্বীনের জন্য যথেষ্ট।যাঁদের ফিকাহ বিষয়ে দক্ষতা কম ছিল তাঁরা হযরত ওমরের (রা.) সাথে মতভেদে লিপ্ত হয়েছেন। এখনো সঠিক ফিকাহ না জানা মতভেদের প্রধান কারণ।সঠিক ফিকাহ না জেনে যারা মতভেদে লিপ্ত হয় তারা মহাশাস্তির দিকে এগিয়ে যায়।

সূরাঃ ৪ নিসা, ৫৯ নং আয়াতের অনুবাদ-
৫৯। হে মুমিনগণ! যদি তোমরা আল্লাহ ও আখিরাতে বিশ্বাস কর তবে তোমরা (ইতায়াত) আনুগত্য কর আল্লাহর, আর (ইতায়াত) আনুগত্য কর রাসুলের, আর যারা তোমাদের মধ্যে আমির।কোন বিষয়ে তোমাদের মধ্যে বিরোধ দেখাদিলে উহা উপস্থাপিত কর আল্লাহ ও রাসুলের নিকট। ওটা উত্তম এবং পরিনামে ভাল।

সূরাঃ ৩৫ ফাতির, ২৮ নং আয়াতের অনুবাদ-
২৮। এভাবে রং বেরং- এর মানুষ, জন্তু ও আন’আম রয়েছে। নিশ্চয়ই আল্লাহর বান্দাদের মধ্যে (ওলামা) আলেমরাই তাঁকে ভয় করে।নিশ্চয়্ই আল্লাহ পরাক্রমশালী ক্ষমাশীল।

সূরাঃ ১০১ কারিয়া, ৬ নং ও ৭ নং আয়াতের অনুবাদ-
৬। তখন যার পাল্লা ভারী হবে
৭। সেতো লাভ করবে সন্তোষ জনক জীবন।

সূরাঃ ২ বাকারা, ২৫৩ নং আয়াতের অনুবাদ-
২৫৩। ঐসব রাসূলদের আমরা তাদের কোন জনের উপর কোন জনকে শ্রেষ্ঠত্ব দিয়েছি। তাদের মধ্যে কোন জনের সঙ্গে আল্লাহ কথা বলেছেন।আর কোন জনকে উচ্চ মর্যাদায় উন্নীত করেছেন। আর আমরা মরিয়ম পুত্র ঈসাকে প্রকাশ্য মুজেযা দান করেছি। আর তাকে পবিত্র আত্মা দ্বারা সাহায্য করেছি।আর আল্লাহ ইচ্ছা করলে নবিগণের পরবর্তী লোকেরা পরস্পরের সঙ্গে যুদ্ধ-বিগ্রহে লিপ্ত হতো না। কিন্তু তারা পরস্পর ইখতিলাফ (মতভেদ) করেছিল।তাতে তাদের কিছু লোক মুমিন এবং কিছু লোক কাফের হয়ে গেল। আল্লাহ ইচ্ছা করলে তারা পরস্পর যুদ্ধ-বিগ্রহে লিপ্ত হতো না। কিন্তু আল্লাহ যা ইচ্ছা তাই করে থাকেন।

সূরাঃ ৪৯ হুজরাত, ১০ নং আয়াতের অনুবাদ-
১০। মু’মিনগণ পরস্পর ভাই ভাই; সুতরাং তোমরা ভাইদের মাঝে ইসলাহ (শান্তি স্থাপন) কর, আর আল্লাহকে ভয় কর যাতে তোমরা অনুগ্রহ প্রাপ্ত হও।

* রাসূলের (সা.) পর ওলামার পাল্লাভারী জামায়াতের আনুগত্যপ্রাপ্ত আমিররের আনুগত্য হলো কোরআন নির্দেশিত সঠিক ফিকাহ। যারা এমন আমির হযরত আবু বকর (রা.), হযরত ওমর (রা.) ও হযরত ওসমানের (রা.) আনুগত্য অস্বীকার করে তারা কাফের। তারা শিয়া। তাদের কারণে সাহাবায়ে কেরাম (রা.)পরস্পরের সঙ্গে যুদ্ধ-বিগ্রহে লিপ্ত হন। এসব যুদ্ধের দায় শিয়াদের ছিল বিধায় এসব যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী যাহাবায়ে কেরাম (রা.) মুমিন থাকলেও এসব যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী শিয়া কাফের ছিল।সিফফিন যুদ্ধের পর হযরত আলী (রা.) ও হযরত মুয়াবিয়ার (রা.) মধ্যে ইসলাহ হয়। এটি ছিল কোরআন নির্দেশিত ফিকাহ। এটি অমান্য করে যারা হযরত আলীর (রা.) সাথে যুদ্ধ করে তারা খারেজী। তারা শিয়াদের থেকেও নিকৃষ্ট কাফের। তারা জাহান্নামের কুকুর হবে।

সূরাঃ ৯ তাওবা, ১০১ নং আয়াতের অনুবাদ-
১০১। মরুবাসীদের মধ্যে যারা তোমাদের আশেপাশে আছে তাদের কেউ কেউ মুনাফিক। মদীনাবাসীদের মধ্যেও কেউ কেউ মোনাফেকী রোগে আক্রান্ত। তুমি তাদের সম্পর্কে জান না। আমরা তাদের সম্পর্কে জানি।আমারা সিগ্র তাদেরকে দু’বার শাস্তি দেব। এরপর তারা মহা শাস্তির দিকে যাত্রা করবে।

সূরাঃ ৯ তাওবা, ১০৭ নং আয়াতের অনুবাদ-
১০৭। আর যারা মসজিদ নির্মাণ করেছে ক্ষতি সাধন, কুফুরী ও মুমিনদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টির উদ্দেশ্যে এবং ইতিপূর্বে আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের বিরুদ্ধে যে সংগ্রাম করেছে তার গোপন ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহারের জন্য, তারা শপথ করেই বলবে তারা ভাল কিছু করার জন্যই ওটা করেছে; আর আল্লাহ সাক্ষি দিচ্ছেন নিশ্চয়ই তারা মিথ্যাবাদী।

সহিহ বোখারী ৪৯৯ নং হাদিসের (সালাতের ওয়াক্ত সমূহ অধ্যায়) অনুবাদ-
৪৯৯। হযরত যুহুরী (র.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি দামেশকে আনাস ইবনে মালেকের (রা.) নিকট গিয়ে দেখতে পেলাম, তিনি কাঁদছেন। আমি তাঁকে জিজ্ঞেস করলাম, আপনি কাঁদছেন কেন? তিনি বললেন, আমি যা যা দেখেছি তার মধ্যে এ নামাযই আজ পর্যন্ত অবশিষ্ট ছিল। কিন্তু এখন নামাজও নষ্ট হতে চলেছে।

* ফিকাহ অলিখিত ছিল বিধায় ক্ষতি সাধন, কুফুরী ও মুমিনদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টির উদ্দেশ্যে মোনাফেক মিথ্যা হাদিস বানিয়ে প্রচার করলে ফিকাহ নষ্ট হয়ে ইসলাম নষ্ট হয়।মোনাফেক জাহান্নামের সর্ব নিম্নস্তরে থাকবে।

সূরা: ৪৫ জাছিয়া, ৬ নং আয়াতের অনুবাদ-
৬। এগুলি আল্লাহর আয়াত, যা আমি তোমার নিকট যথাযথভাবে তিলাওয়াত করছি। সুতরাং আল্লাহর এবং তাঁর আয়াতের পরিবর্তে তারা কোন হাদিসে বিশ্বাস করবে?

* আল্লাহ এবং তাঁর আয়াতে সাব্যস্ত ফিকাহের পরিবর্তে উপস্থাপিত হাদিস বাতিল। যারা এসব ফিকাহ বিরোধী বাতিল হাদিসের অনুসারী তারা বাতিল। এরা লামাযহাবী সম্প্রদায়।

সূরাঃ ৬২ জুমুআ, ২ নং থেকে ৪ নং আয়াতের অনুবাদ।
২। তিনিই উম্মীদের মধ্যে একজন রাসুল পাঠিয়েছেন তাদের মধ্য হতে, যে তাদের নিকট আবৃত করে তাঁর আয়াত সমূহ; তাদেরকে পবিত্র করে এবং শিক্ষা দেয় কিতাব ও হিকমাত; এর আগে তো এরা ছিল ঘোর বিভ্রান্তিতে।
৩। আর তাদের অন্যান্যের জন্যও যারা এখনো তাদের সহিত মিলিত হয়নি। আল্লাহ পরাক্রমশালী প্রজ্ঞাময়।
৪। ওটা আল্লাহরই অনুগ্রহ, যাকে ইচ্ছা তিনি ওটা দান করেন। আর আল্লাহ তো মহা অনুগ্রহশীল।

# সূরাঃ ৬২ জুমুআ, ৩ নং আয়াতের তাফসির- তাফসিরে ইবনে কাছির
৩। এ আয়াতের তাফসিরে আবু হুরায়রা হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, একদা আমরা রাসূলুল্লাহর পার্শ্বে বসে ছিলাম, এমন সময় তাঁর উপর সূরা জুমুয়া অবতীর্ণ হয়। জনগণ জিজ্ঞাস করেন হে আল্লাহর রাসূল (সা.)! ‘ওয়া আখারিনা মিনহুম লাম্মা ইয়ালহাকু বিহিম’ দ্বারা কাদেরকে বুঝানো হয়েছে? কিন্তু তিনি কোন উত্তর দিলেন না। তিন বার এ প্রশ্ন করা হয়। আমাদের মধ্যে সালমান ফারসীও (রা.) ছিলেন। রাসূলুল্লাহ (সা.) তাঁর হাতখানা সালমান ফারসীর (রা.) উপর রেখে বললেন, ঈমান যদি সারিয়্যা নক্ষত্রের নিকট থাকত তাহলেও এই লোকগুলোর মধ্যে এক কিংবা একাধিক ব্যক্তি এটা পেয়ে যেত।(ফাতহুলবারী ৮/৫১০, মুসলিম ৪/১৯৭২, তিরমিযী ৯/২০৯, ১০/৪৩৩, নাসাঈ ৫/৭৫, ৬/৪৯০, তাবারী ২৩/৩৭৫)।

সহিহ তিরমিযী, ৩৭১২ নং হাদিসের [ রাসূলুল্লাহ (সা.) ও তাঁর সাহাবীগণের মর্যাদা অধ্যায়] অনুবাদ-
৩৭১২। হযরত আবু বকর (রা.) বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) মিম্বরে উঠে বলেন, আমার এ পুত্র (হাসান) ইমাম হবে এবং আল্লাহ তার দ্বারা দুটি ঝগড়া পূর্ণ দলের মধ্যে সন্ধি স্থাপন করাবেন।

সহিহ তিরমিযী, ৩৭০৭ নং হাদিসের [ রাসূলুল্লাহ (সা.) ও তাঁর সাহাবীগণের মর্যাদা অধ্যায়] অনুবাদ-
৩৭০৭। হযরত আবু সাঈদ আল-খুদরী (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, আল-হাসান ও আল-হোসাইন জান্নাতী যুবকদের সর্দার।

সহিহ তিরমিযী, ৩৭২১ নং হাদিসের [ রাসূলুল্লাহ (সা.) ও তাঁর সাহাবীগণের মর্যাদা অধ্যায়] অনুবাদ-
৩৭২১। হযরত আল-বারায়া ইবনে আযেব (রা.) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (সা.) হাসান ও সোসাঈনকে দেখে বললেন, হে আল্লাহ আমি এ দু’জনকে ভালোবাসি, সুতরাং তুমিও এদেরকে ভালবাস।

সহিহ আল বোখারী, ৬৫৭২ নং হাদিসের (কিতাবুল ফিতান)-
৬৫৭২। হযরত ওসামা ইবনে যায়েদ (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা নবি করিম (সা.) মদীনার এক সুউচ্চ অট্টালিকার উপর আরোহন করে বললেন, আমি যা কিছু দেখছি, তোমরা কি তা’ দেখছ? তারা বলল, জী না। তিনি বললেন, আমি দেখছি যে, তোমাদের ঘরের ভিতরে বৃষ্টি পাতের ন্যায় ফিতনা পতিত হচ্ছে।

* রাসূলের (সা.) পর ওলামার পাল্লাভারী জামায়াতের আনুগত্যপ্রাপ্ত আমিররের আনুগত্য হলো কোরআন নির্দেশিত সঠিক ফিকাহ। এ সূত্রে খোলাফায়ে রাশেদার চার খলিফা সঠিক আমির। তাঁদের বিরোধী শিয়া, খারেজী ও লা মাযহাবী কোরআন নির্দেশিত ফিকাহ বিরোধী কাফের। এদের সাথে মোনাফেক যোগে কাফের সংখ্যা বেড়ে গেলে ঈমান পৃথিবী ছেড়ে সারিয়্যা নক্ষত্রের নিকট চলে যায়। হযরত ইমাম হাসান (রা.) ও হযরত মুয়াবিয়ার (রা.) ইসলাহ কোরআন নির্দেশিত ফিকাহ। এ ফিকাহ অনুযায়ী হযরত মুয়াবিয়ার (রা.)পর আমির হযরত ইমাম হোসেন (রা.)। আমির হযরত ইমাম হোসেনের (রা.) আনুগত্য পরিহার করে কারবালায় যারা তাঁর সাথে যুদ্ধ করেছে তাদের সবাই কাফের ছিল। তারা ইমামের মাথা কেটে ইয়াজিদকে উপহার দিলে মদীনাবাসী এর প্রতিবাদ করে। ইয়াজিদ মদীনাবাসীগণকে লাঞ্চিত করে। তখন মদীনার ঘর সমূহের ভিতর বৃষ্টি পাতের ন্যায় ফিতনা পতিত। আমির ইমাম হোসেনের (রা.) আনুগত্য পরিহারকারী ইয়াজিদকে লা মাযহাবীরা তাবেঈ বলে- আসতাগফিরুল্লাহ।

সূরাঃ ৪ নিসা, ৫৯ নং আয়াতের অনুবাদ-
৫৯। হে মুমিনগণ! যদি তোমরা আল্লাহ ও আখিরাতে বিশ্বাস কর তবে তোমরা (ইতায়াত) আনুগত্য কর আল্লাহর, আর (ইতায়াত) আনুগত্য কর রাসুলের, আর যারা তোমাদের মধ্যে আমির।কোন বিষয়ে তোমাদের মধ্যে বিরোধ দেখাদিলে উহা উপস্থাপিত কর আল্লাহ ও রাসুলের নিকট। ওটা উত্তম এবং পরিনামে ভাল।

সহিহ মুসলিম, ৪৫৭৬ নং হাদিসের (কিতাবুল ইমারাহ) অনুবাদ-
৪৫৭৬। হযরত জাবির ইবনে সামুরা (রা.)কর্তৃক বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহকে (সা.) বলতে শুনেছি, বারজন খলিফা অতিবাহিত না হওয়া পর্যন্ত ইসলাম পরাক্রান্ত অবস্থায় চলতে থাকবে। তারপর তিনি যে কি বললেন, তা’ আমি বুঝতে পারিনি। তখন আমি আমার পিতার নিকট জিজ্ঞাস করলাম তিনি কি বলেছেন? তিনি বললেন নবি করিম (সা.) বলেছেন, তাঁদের সকলেই হবে কোরাইশ বংশোদ্ভুত।

* অবশেষে একশতবার আল্লাহর দিদার প্রাপ্ত পারসিক ফকিহ ইমাম আবু হানিফা (র.) ফিকাহ সংকলন ও শিক্ষার ব্যবস্থা করলে সবচেয়ে পরাক্রান্ত আব্বসীয় কুরাইশ খলিফা আমির হারুনুর রশিদ ইমাম আবু হানিফার ফিকাহ পরিশোধন করে অনুমোদন করলে সারিয়্যা নক্ষত্রের নিকট থেকে ঈমান পৃথিবীতে ফিরে আসে। দুই তৃতীয়াংশ মুমিন তখন থেকে এ ফিকাহের অনুসারী।

সূরাঃ ২, বাকারা। ১০৬ নং আয়াতের অনুবাদ-
১০৬। আমরা কোন আয়াত মানসুখ বা রহিত করলে অথবা ভুলে যেতে দিলে তা’হতে উত্তম বা তার সমতুল্য কোন আয়াত আমরা প্রদান করে থাকি।তুমি কি জান না যে আল্লাহ সর্ব বিষয়ে সর্ব শক্তিমান।

সূরা: ৪৫ জাছিয়া, ৬ নং আয়াতের অনুবাদ-
৬। এগুলি আল্লাহর আয়াত, যা আমি তোমার নিকট যথাযথভাবে তিলাওয়াত করছি। সুতরাং আল্লাহর এবং তাঁর আয়াতের পরিবর্তে তারা কোন হাদিসে বিশ্বাস করবে?

সূরাঃ ৬ আনআম, ১৫৩ নং আয়াতের অনুবাদ-
১৫৩। আর এপথই আমার সিরাতাম মুসতাকিম (সরল পথ)। সুতরাং তোমরা এর অনুসরন করবে, এবং বিভিন্ন পথ অনুসরন করবে না, করলে তা’ তোমাদেরকে তাঁর পথ হতে বিচ্ছিন্ন করবে। এভাবে আল্লাহ তোমাদেরকে নির্দেশ দিলেন যেন তোমরা সাবধান হও।

সূরাঃ ৪ নিসা, আয়াত নং ১১৫ এর অনুবাদ-
১১৫। কারো নিকট সৎপথ প্রকাশ হওয়ার পর সে যদি রাসুলের বিরুদ্ধাচরণ করে এবং মু’মিনদের পথ ব্যতিত অন্যপথ অনুসরন করে, তবে সে যে দিকে ফিরে যায় সে দিকেই তাকে ফিরিয়ে দেব এবং জাহান্নামে তাকে দগ্ধ করব, আর উহা কত মন্দ আবাস।

* রাসূলের (সা.) পর ওলামার পাল্লাভারী জামায়াতের আনুগত্যপ্রাপ্ত আমির হারুনুর রশিদ অনুমোদীত হানাফী ফিকাহ মূলত কোরআন অনুমোদীত ফিকাহ।আল্লাহর এবং তাঁর আয়াতে সাব্যস্ত এ ফিকাহের পরিবর্তে কোরআন মানসুখ ও হাদিস বাতিল হবে। যারা এ ফিকাহের সাথে মতভেদে লিপ্ত তারা আল্লাহর সিরাতাম মুসতাকিম (সরল পথ) ছেড়ে জাহান্নামের পথের যাত্রী হয়েছে।

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:২৩

রাজীব নুর বলেছেন: চাচাজ্বী আমি জান্নাতে চাই না। জান্নাত বোরিং।

১১ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:৪৪

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: আপনাকে হয়ত জোর করে জান্নাত দেওয়া হবে না।

২| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১:০৯

অগ্নিবাবা বলেছেন: আমাকে জোর করলেও জন্নাতে যাবো না, যা বর্ননা শুনি তাতে জানা যায় জন্নাত হল মদ খাও আর গ্রুপ সেক্স করো, কাজ নাই কর্ম নাই, শুধু খাও আর লাগাও। এই রকম মগজহীন পশুর জীবন চাই না। আমি জন্নাত জহান্নাম থেকে মুক্ত।

১১ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:৩৭

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: আপনার ইচ্ছাতেই সব হবে এমনটা নাও হতে পারে।

৩| ১২ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:১২

রাজীব নুর বলেছেন: জান্নাতে যাবো না। বয়কট করলাম জান্নাত।

১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:১১

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: ওকে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.