নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

শব্দকবিতা : শব্দেই দৃশ্য, শব্দেই অনুভূতি [email protected]

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই

দুঃখের কবিতাই শ্রেষ্ঠ কবিতা। ভালোবাসা হলো দুঃখ, এক ঘরে কবিতা ও নারী।

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই › বিস্তারিত পোস্টঃ

এই যে নদী এঁকেবেঁকে গেছে বহুদূর || একটা দেশের গান দিয়ে আজকের সকালটা শুরু করলাম

১৮ ই জুলাই, ২০২৩ সকাল ৯:২৩

আমি গানের পোস্টগুলো মূলত রাতের বেলায়ই দিয়ে থাকি। সত্যি বলতে কী, আমি বেশিরভাগ পোস্টই রাতে দিয়ে থাকি। সন্ধ্যায় হাঁটাহাঁটি শেষ করে দিনের সব কাজ সারা হবার পর একটু সুস্থির হয়ে বসি। পোস্টটা তখনই পাবলিশ করার প্রস্তুতি নিই। তবে, এ গানটির সুর একটু চঞ্চল ও গতিশীল হওয়ায় দিনের প্রথম ভাগেই শেয়ার করতে ইচ্ছে হলো।

একটা গান প্রস্তুত করতে বেশ সময় লাগে। গান কম্পোজ করতে যেয়ে আমার যে অভিজ্ঞতা হলো, তা হলো, গান লেখা, সুর করা ও গাওয়া হলো সবচাইতে সহজ কাজ। এর মধ্যে গাওয়াটা হলো সহজতম, সুর করাটা আরেকটু কঠিন, আর লেখা হলো এ তিন কাজের মধ্যে কঠিনতম কাজ। কিন্তু এ গুলোর চাইতেও কঠিন কাজটা হলো গানের মিউজিক কম্পোজ করা। মিউজিক কম্পোজ করার জন্য প্রচুর সমন্বয় ও প্র্যাক্টিসের প্রয়োজন। এতে যত ঘাটতি থাকবে, গানের ফাইনাল প্রোডাক্টের মানও তত খারাপ থাকবে।

আমার আগের গানগুলো খুব তাড়াহুড়ো করে তৈরি করা হয়েছিল। আমি জানতাম, সুর ও লিরিক সবসময় গড়গড়িয়ে আসবে না। যখন এগুলো সাময়িকভাবে ব্লকড থাকবে, তখন মিউজিক এডিট করে ইম্প্রুভ করবো। এখন কোনো ব্লক নেই আমার, তবে, আমি ইচ্ছে করেই আগের গানগুলোর মিউজিক ইম্প্রুভ করার কাজে হাত দিয়েছি। মিউজিক ইম্প্রুভ করার বিষয়টিও নেভার এন্ডিং প্রসেসের মতো, যতবার আমি হাত দিব, ততবারই নতুন কিছু যোগ বা বিয়োগ করার সুযোগ থাকবে।

আমার এ গানটি আগেও এ ব্লগে শেয়ার করা হয়েছিল। ব্লগারদের প্রতিক্রিয়া ভালো ছিল। তা থেকে বুঝতে পারি, আমার এ গানটা বেশ ভালোই হয়েছে।

এবার গানটি শুনতে চাইলে - প্লিজ এ লিংকে ক্লিক করুন - এই যে নদী এঁকেবেঁকে গেছে বহুদূর

অথবা নীচের লিংকে ক্লিক করুন।



গানের উপর আমার আগের পোস্টটি দেখুন এখানে - বহুদিন পর নতুন গান করলাম - এই যে নদী এঁকেবেঁকে গেছে বহুদূর - একটা দেশাত্মবোধক গান


লিরিক

এই যে নদী এঁকেবেঁকে গেছে বহুদূর
কল কল ছন্দ তুলে মিষ্টি সুমধুর
এই যে নদী এঁকেবেঁকে গেছে বহুদূর
ঢেউয়ে ঢেউয়ে ছন্দ তুলে মিষ্টি সুমধুর
পাখা মেলে নৌকোগুলো যাচ্ছে সুদূরে
গাংচিল মন আমার হচ্ছে সাথি উড়ে উড়ে
উড়ে উড়ে উড়ে

কাশফুল দোল খায় অভিবাদনে
তটে তটে ডাকে পাখি বন-কাননে
পায়ে পায়ে পথগুলো সদা চঞ্চল
আমাকেও টেনে নেয় উদ্দাম/উচ্ছল মানুষের ঢল

মাঠে মাঠে চারুবীথি, ধানে ফসলে
গ্রামে গ্রামে জাগে প্রাণ সুখে কোলাহলে
যত দেখি তত যেন বাড়ে বাসনা
এ আমার বাংলাদেশ ভালোবাসার প্রিয়/জন্ম সাধনা

১৭ আগস্ট ২০২২

কথা ও সুর : খলিল মাহ্‌মুদ

মন্তব্য ১৫ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (১৫) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই জুলাই, ২০২৩ সকাল ১০:১২

বাকপ্রবাস বলেছেন: কথা খুব সুন্দর। অপিষে তায় গানটা এখন শুনলামনা

১৮ ই জুলাই, ২০২৩ দুপুর ১২:৪২

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধন্যবাদ বাকপ্রবাস।

২| ১৮ ই জুলাই, ২০২৩ সকাল ১০:১৪

বাকপ্রবাস বলেছেন: আমার কন্ঠ খুব বাজে, রান্নার ব্লগ করতে চাই কিন্তু বাজে কন্ঠের জন্য ভয়ে দিতে ভয় পাই। ভয়েস রেকর্ড করার এবং এডিট করার সহজ সফটওয়্যার লিংক থাকলে সাজেস্ট করবেন

১৮ ই জুলাই, ২০২৩ দুপুর ১২:৫৭

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন:


:)

আমার অডিও রেকর্ডিঙের ব্যাপারে আমি অনেক পোস্টেই অনেক কথা লিখেছি। আমার অডিও রেকর্ডিং সিস্টেম খুবই র, মানে কাঁচা, বা আনকোরা। আমি এর নাম দিয়েছি হোম স্টুডিয়ো। আমার অ্যান্ড্রয়েড মোবাইলে আমার সব গান রেকর্ড করে থাকি। এর জন্য কিছু কৌশল অবলম্বন করতে হয়। প্রথমত, ঘরের ফ্যান বা এসি বন্ধ করতে হবে, দরজা-জানালা বন্ধ করতে হবে, যথাসম্ভব দিনের নীরব সময়, বা রাতে, যখন বাইরের ও ঘরের শব্দগুলো কম থাকে বাম একেবারেই থাকে না। মোবাইলটা ধরতে হবে মুখ থেকে একটু দূরে, এক-দেড় ফুটের মতো, মোবাইলের মাইক্রোফোনের মুখটা একটা বাঁকা করে, যাতে নাকের শ্বাসের শব্দটা না লাগে। ছোটো ছোটো মোবাইল স্ট্যান্ড পাওয়া যায়, ওগুলো কিনে নিতে পারেন। আমি অবশ্য বাম হাতে ধরে রাখি মোবাইল। প্লে স্টোর থেকে ভালো একটা ভয়েস রেকর্ডার ডাউনলোড করে ইন্সটল করে নেবেন, যেখানে অনেক ফরম্যাটে অডিও রেকর্ড করা যায়।


এফ এল স্টুডিয়ো-২০ নামক একটা সফটওয়্যার আছে। ওটাতেও অডিও রেকর্ড করা যায়। আমার ছেলেরা ওটাতে রেকর্ড করে, আমিও কিছুদিন করেছি। কিন্তু আমি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি না। আমি ভিডিও মেকিঙের জন্য বর্তমানে ওয়ান্ডারশেয়ার ফিলমোরা নামক সফটওয়্যার ইউজ করি। এটাতেও রেকর্ড করা যায়। সরাসরি ল্যাপটপেও রেকর্ড করার সিস্টেম থাকতে পারে, যা আমি কখনো এক্সপ্লোর করি নাই।

আপনি ইউটিউবে সার্চ দিন How to record voice in laptop - অনেক কিছুই পেয়ে যাবেন।

৩| ১৮ ই জুলাই, ২০২৩ সকাল ১০:৪৪

দারাশিকো বলেছেন: আপাতত শোনার সুযোগ নাই বলে কেবল পড়ে গেলাম। সাউন্ডক্লাউডে অডিওটা আপলোড করতে পারেন।

১৮ ই জুলাই, ২০২৩ দুপুর ১:০৬

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আমি একটু অবাক হলাম আপনার কাছে সাউন্ড ক্লাউডে আপলোডের কথা শুনে। আজ ঘুম ভাঙবার পর থেকেই ভাবছিলাম গানগুলো সাউন্ডক্লাউডে আপলোড করার কথা। আমার ছোটোছেলে অনেক আগে থেকেই বলে আসছিল, আমি সাইন আপ করে রেখেছি সেই কতদিন আগে, নিজেও জানি না। ওখানে সমস্যা হলো, প্রো ভার্সনের জন্য ৯৯ ডলার খরচ করতে হয়, যা কখনো সম্ভব না আমার দ্বারা। আবার, ফ্রি ভার্সনে অল্প কয়েকটা গান আপলোড করা যায়। এই লিমিটেশনের জন্য এখানে আর মজা পাই নাই।

যাই হোক, আপনার সৌজন্য আজ আপলোড শুরু করলাম। সব মিলিয়ে হয়ত গোটা দশেক গান আপলোড করতে পারবো। আজ ৩টা করেছি। আপনার জন্য এটা - সাউন্ডক্লাউড - এই যে নদী এঁকেবেঁকে গেছে বহুদূর

ধন্যবাদ দারাশিকো ভাই।

৪| ১৮ ই জুলাই, ২০২৩ সকাল ১১:১১

অপু তানভীর বলেছেন: আপনার এই গানে দেখা যাচ্ছে মিউজিক আছে । আগের সব গুলো কিছু মিউজিক ছাড়া । আপনার চ্যানেল থেকেই গানটা শুনে এলাম । বেশ চমৎকার ।

একটা প্রশ্ন ছিল, এই গানের সাথে ভিডিও এডিটিং কি আপনি নিজেই করেছেন?
কোন সফটওয়্যার ব্যবহার করেছেন ?

আমি কদিন থেকে প্রিমিয়ার প্রোর কাজ শেখার চেষ্টা করছি । আপনার যদি আপত্তি না থাকে এরপরে গান আপলোড দেওয়ার আগে আপনি ফাইলটা পাঠাতে পারেন । আমি নিজের প্রাক্টিসের জন্য গানের সাথে ভিডিও এড করে দেওয়ার চেষ্টা করবো । যদিও শিক্ষানবিশ যেহেতু খুব যে ভাল হবে সেটার নিশ্চয়তা দিতে পারছি না ।

১৮ ই জুলাই, ২০২৩ দুপুর ১:৪২

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আমার প্রথম দিকের গানগুলোর প্রায় সবক'টাই ছিল খালি গলায় গাওয়া, মাঝেমধ্যে ছেলেদের ধরে ওদের গিটারের টুংটাং জুড়ে দিতাম। একদিন ছোটোছেলে এফ এল স্টুডিয়ো-২০ এনে দিল। ইউটিউব টিওটোরিয়াল দেখে এফ এল স্টুডিয়োতে মিউজিক কম্পোজিশন শিখে নিলাম। এখন এটাতেই মিউজিক কম্পোজ করছি।

আমি প্রিমিয়ার প্রো-তে কখনো কাজ করি নি। শুরুর দিকে, সম্ভবত ২০০১/২-এর দিকে উইন্ডোজের ডিফল্ট ভিডিও মেকার দিয়ে কাজ করতাম। খুবই র টাইপের ছিল ওটা, এখন বুঝতে পারি। এরপর ২০০৬/৭-এর দিকে পাই ইউলিড ভিডিওস্টুডিয়ো প্লাস, যা দিয়ে ২০১৪/১৫ পর্যন্ত কাজ করি খুবই স্বাচ্ছন্দ্যে। এ নিয়ে ব্লগে একটা পোস্ট আছে - ভিডিও সম্পাদনা - কিভাবে ঘরে বসে এ্যামেচার এডিটর হবেন, আর হোম ভিডিও বানাবেন। এরপর ধরি ফিলমোরা ওয়ান্ডারশেয়ার। এখন পর্যন্ত এটাই আমার কাছে সেরা।

দারাশিকো ভাইকে একটা লিংক দিয়েছি। আপনি ওটা দিয়ে ভিডিও বানাতে পারেন।। আসপেক্ট রেশিও হতে হবে ১৬ : ৯। আউটপুট এমপি-ফোর। ফ্রেম রেট : ৬০, রেজ্যুলেশন ১৯২০ গুণ ১০৮০, ভিডিও বিট রেট ১০০০০, অডিও স্যাম্পল ও বিট রেট যেটা হাইয়েস্ট আছে, সেটা দিবেন। এই ফিচারগুলো আপনার সফটওয়্যারে আছে কিনা জানি না। না থাকলে যা আছে তাই দিয়েই করুন। ভিডিও ও অডিও কোয়ালিটি ঠিক রাখার জন্য এসব ফিচার ঠিকভাবে দিতে হয়। ২০ বছর হলো আমার ভিডিও মেকিঙের বয়স, তবু মনে হয় কিছুই জানি না :)



৫| ১৮ ই জুলাই, ২০২৩ দুপুর ১:২২

রাজীব নুর বলেছেন: আপনার পোস্ট আমাকে মনে করিয়ে দেয়, অনেকদিন গান শুনি নাই।

৬| ১৮ ই জুলাই, ২০২৩ দুপুর ২:১৩

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
- আমিও এই গানটি আগে শুনেছি মনে হচ্ছে।

১৮ ই জুলাই, ২০২৩ বিকাল ৩:৫০

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: হ্যাঁ জলদস্যু ভাই, আপনি এ গানটা আগেও শুনেছিলেন। তবে, মিউজিক চেঞ্জ করা হয়েছে এবার। ধন্যবাদ গানটা শোনার জন্য।

৭| ১৮ ই জুলাই, ২০২৩ বিকাল ৩:৩৪

প্রামানিক বলেছেন: গানটি শুনলাম, গান দুই চারটা যাই লিখেছি সুর করার লোক পাই না নিজেও কিছু জানি না।

১৮ ই জুলাই, ২০২৩ বিকাল ৩:৫২

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: গানটা শোনার জন্য অনেক ধন্যবাদ প্রামানিক ভাই। সবচাইতে ভালো হয়, নিজের গান নিজেই সুর করে নিজেই গেয়ে ফেলা। কয়েকটা গান খেয়াল করে শুনুন, তবেই বুঝবেন কীভাবে সুর তুলতে হবে। শুভ কামনা।

৮| ১৯ শে জুলাই, ২০২৩ সকাল ৯:৪২

সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: চমৎকার গান। বর্তমান প্রজন্ম এগানগুলো পছন্দ করেনা। তাদের পছন্দ কেমন যেন এলোমেলো!

১৯ শে জুলাই, ২০২৩ সকাল ১০:২১

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: এ গানটার ব্যাপারে আপনার প্রশংসা আমাকে অনেক আনন্দ দিল।

আপনার পরের কথাটা শতভাগ সঠিক। আমার ছেলেমেয়েদের গানের পছন্দ থেকেই বুঝি, ওদের জগত আমাদের জগত থেকে অনেক ভিন্নতর। আমাদের পছন্দ নিয়েও ওদের কটাক্ষের অন্ত নাই :)

শুভেচ্ছা মশিউর ভাই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.