somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বহুদিন পর নতুন গান করলাম || এই যে নদী এঁকেবেঁকে গেছে বহুদূর || একটা দেশাত্মবোধক গান

১৯ শে আগস্ট, ২০২২ রাত ১২:৫৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

এর আগে, এ গানটার ট্রায়াল ভার্সনের উপর একটা পোস্ট দিয়েছিলাম, কীভাবে একটা সুর তৈরি হয়। এ সুরটার জন্য আপনি লিরিক লিখতে পারেন। শিরোনামে। ঐ পোস্টে শুধু সুরটাই শেয়ার করা হয়েছিল এবং কেউ লিরিক লিখতে চাইলে এ সুরের উপর লিখে পাঠাতে পারেন, বলেছিলাম। কেউ কোনো লিরিক পাঠান নি :( তবে, প্রিয় জটিল ভাই সেই সুরের উপর জনাব দমুহাম ললিখ-কে নিয়ে লিখিত একটা মজার গান গেয়ে শেয়ার করেছিলেন :)

বড়ো ছেলে বন্ধুদের নিয়ে একটা ব্যান্ড করার প্ল্যান করছে অনেকদিন হলো। কী একটা নামও দিয়েছে। অ্যালবাম বের করার চেষ্টা অব্যাহত। কয়েকদিন আগে বোধহয় একটা গান শেষ করেছে। সেই সূত্র ধরেই বড়ো ছেলে হঠাৎ করে জানতে চাইল, একটা গান তৈরি করতে আমার কত সময় লাগে! তো, সময় তো কোনোদিন রেকর্ড করে রাখি নি :( ছেলেকে বললাম। লিরিক থাকলে তার উপর সুর তৈরি করতে সময় লাগে না। আমি তো হা করলেই সুর তৈরি হয়, সেই কবে থেকে যে-কোনো গানই আমি নিজের সুরে গেয়ে থাকি, যে ইতিহাস এখানে সোনার অক্ষরে লিখিত রয়েছে। সিরিয়াসলি, সুর আকাশে বাতাসে ছোটাছুটি করছে, হা করলেই কণ্ঠে ঢুকে পড়ে। কিন্তু, যে জিনিসটার খুব বেশি দরকার, তা হলো লিরিক। লিরিক লেখা আমার কাছে বেশ কষ্টসাধ্য মনে হয়। ভালো লিরিকের জন্য সময়ের প্রয়োজন। অজস্র 'র' (ফার্স্ট/সেকেন্ড ভার্সন) সুর তৈরি হয়ে আছে, লিরিক পেলেই তার উপর সুর চড়ানো হবে। লিরিক আর সুর দুটো এক সাথে চালানো গেলে সুর যেমন রিফাইন্ড হবে, লিরিকের ত্রুটিগুলো বা ঘাটতিগুলোও ইম্প্রুভ করা যাবে।

এ সুরটি মূলত শিশু-কিশোরদের জন্য একটা উদ্দীপনামূলক গানের জন্য ভাবা হয়েছিল। কিংবা দেশাত্মবোধক বা ভ্রমণকারী একদল তরুণের কোরাসও হতে পারতো।

আমার দৃঢ় বিশ্বাস ছিল, মিস শায়মা মণি তার ছাত্রছাত্রীদের উদ্দেশে এ সুরের উপর একটা গান লিখবেন। কিন্তু তিনি পগার পারে না কোথায় গেছেন, শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত তার কোনো খবর পাওয়া যায় নাই :)


ইতিমধ্যে বেশকিছু সুর জমা হয়ে গেছে, ব্যক্তিগত ব্যস্ততার জন্য লিরিক লেখার সময় পাচ্ছি না। ব্লগ থেকে কোনো লিরিক না পেয়ে গতকাল নিজেই লিরিক লিখে ফেললুম।

সুরটা খুব রিদমিক, নিজের সুরের প্রশংসা নিজেই একটু করে নিলাম :) কেউ গাইলে খুশি হতাম :)

এই যে নদী এঁকে বেঁকে গেছে বহুদূর
কল কল ছন্দ তুলে মিষ্টি সুমধুর
এই যে নদী এঁকে বেঁকে গেছে বহুদূর
ঢেউয়ে ঢেউয়ে ছন্দ তুলে মিষ্টি সুমধুর
পাখা মেলে নৌকোগুলো যাচ্ছে সুদূরে
গাংচিল মন আমার সাথি হয় উড়ে উড়ে
উড়ে উড়ে উড়ে

কাশফুল দোল খায় অভিবাদনে
তটে তটে ডাকে পাখি বন-কাননে
পায়ে পায়ে পথগুলো সদা চঞ্চল
আমাকেও টেনে নেয় উদ্দাম/উচ্ছল মানুষের ঢল


মাঠে মাঠে চারুবীথি, ধানে ফসলে
গ্রামে গ্রামে জাগে প্রাণ সুখে কোলাহলে
যত দেখি তত যেন বাড়ে বাসনা
এ আমার বাংলাদেশ ভালোবাসার প্রিয়/জন্ম সাধনা

১৭ আগস্ট ২০২২

কথা, সুর ও মিউজিক কম্পোজিশন : খলিল মাহ্‌মুদ
মিউজিক কম্পোজিশন গাইড : বেবি লাবিব (আমার ছোটো ছেলে)

গানের ইউটিউব লিংক : এখানে ক্লিক করুন : এই যে নদী এঁকে বেঁকে গেছে বহুদূর

অথবা, নীচের ভিডিওতে ক্লিক করুন




এ গানের একটা প্রোমো করা হয়েছিল শুধু প্রথম ৪ লাইন নিয়ে


আগের পোস্ট - কীভাবে একটা সুর তৈরি করা হয়

ও, ইম্পর্টেন্ট কথাটা বলে নিই। আগের পোস্টে বিশিষ্ট ভবিষ্যত বক্তা, অতীব ট্যালেন্ট ব্লগার সবার প্রিয় ডলি আপা ভবিষ্যত বাণী করেছিলেন যে, যদিও আমি ব্লগারদের কাছে লিরিকের আবেদন করেছি, শেষ পর্যন্ত এই লিরিক আমিই লিখবো!! আমি তো অ্যাস্টোনিশ্‌ড, হাউ ওয়াজ শি সো শিউর!!! মিরাক্‌ল ঘটে গেল, আর লিরিক লিখে ফেললুম আমিই!!

গতকাল অন্য একজন একটা লিরিক দিয়েছেন সুর করার জন্য। আজ সন্ধ্যায় হাঁটতে বেরিয়েছি (এক্সারসাইজের হাঁটা), সেই লিরিকের সুর বানানোর ইচ্ছায় হা করলাম, অমনি একটা সুর হইয়া গেল, কিন্তু তার লিরিক তো আমি পড়ি নাই, কাজেই লিরিকও আমিই বানাইয়া ফালাইলাম আমাকে তুমি বেইমান বলেছ।। এটা গানের স্টার্টিং লিরিক। কিন্তু গানটা গাওয়ার পর মনে হলো, এই তিন বা সাড়ে তিন লাইনেও তো একটা গান হইতে পারে, যেমন এর আগে আমি এক লাইনের গানও বানাইছি এক লাইনের গান - আমাদের এই ভালোবাসা। পরে অবশ্য পূর্ণাঙ্গ গানের রূপান্তর করা হয়েছে - আমাদের এই ভালোবাসা

তিন লাইনের গানটা আর বাড়ানো নাও হতে পারে। একটা তিন লাইনের গানই না হয় হয়ে থাকলো এটা।







সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে আগস্ট, ২০২২ রাত ১১:০৮
১৫টি মন্তব্য ১৫টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। ভারতে পচা রুটি ভাত ও কাঠের গুঁড়ায় তৈরি হচ্ছে মসলা

লিখেছেন শাহ আজিজ, ১৪ ই মে, ২০২৪ রাত ৮:৩০

আমরা প্রচুর পরিমানে ভারতীয় রান্নার মশলা কিনি এবং নিত্য রান্নায় যোগ করে খাই । কিন্তু আমাদের জানা নেই কি অখাদ্য কুখাদ্য খাচ্ছি দিন কে দিন । এর কিছু বিবরন নিচে... ...বাকিটুকু পড়ুন

মন যদি চায়, তবে হাতটি ধরো

লিখেছেন সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই, ১৪ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:৪৩

মন যদি চায়, তবে হাতটি ধরো
অজানার পথে আজ হারিয়ে যাব
কতদিন চলে গেছে তুমি আসো নি
হয়ত-বা ভুলে ছিলে, ভালোবাসো নি
কীভাবে এমন করে থাকতে পারো
বলো আমাকে
আমাকে বলো

চলো আজ ফিরে যাই কিশোর বেলায়
আড়িয়াল... ...বাকিটুকু পড়ুন

One lost eye will open thousands of Muslims' blind eyes

লিখেছেন জ্যাক স্মিথ, ১৫ ই মে, ২০২৪ রাত ২:২৭



শিরোনাম'টি একজনের কমেন্ট থেকে ধার করা। Mar Mari Emmanuel যিনি অস্ট্রেলীয়ার নিউ সাউথ ওয়েলসের একটি চার্চের একজন যাজক; খুবই নিরীহ এবং গোবেচারা টাইপের বয়স্ক এই লোকটি যে... ...বাকিটুকু পড়ুন

চাকরি বয়সসীমা ৩৫ বৃদ্ধি কেনো নয়?

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৫ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:৪২



চাকরির বয়সসীমা বৃদ্ধি এটা ছাত্র ছাত্রীদের/ চাকরি প্রার্থীদের অধিকার তবুও দেওয়া হচ্ছে না। সরকার ভোটের সময় ঠিকই এই ছাত্র ছাত্রীদের থেকে ভোটের অধিকার নিয়ে সরকার গঠন করে। ছাত্র ছাত্রীদের... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাঁচতে হয় নিজের কাছে!

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৫ ই মে, ২০২৪ সকাল ১১:২৮

চলুন নৈতিকতা বিষয়ক দুইটি সমস্যা তুলে ধরি। দুটিই গল্প। প্রথম গল্পটি দি প্যারবল অব দ্যা সাধু।  লিখেছেন বোয়েন ম্যাককয়। এটি প্রথম প্রকাশিত হয় হার্ভার্ড বিজনেস রিভিউ জার্নালের ১৯৮৩ সালের সেপ্টেম্বর-অক্টোবর সংখ্যায়। গল্পটা সংক্ষেপে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×