নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মহিউদ্দিন নসু

মনের কথা- সত্য কথা- বাস্তবতা- গবেষণা- সমস্যা- সম্ভাবনা- ইতিহাস- ঐতিহ্য- স্থাপত্য- ফোক কালচার সহ ইত্যাদি বিষয়ে সাংবাদিকতার দৃষ্টিতে লেখা-লিখি।

গোলাম মহিউদ্দিন নসু

মনের কথা- সত্য কথা- বাস্তবতা- গবেষণা- সমস্যা- সম্ভাবনা- ইতিহাস- ঐতিহ্য- স্থাপত্য- ফোক কালচার সহ ইত্যাদি বিষয়ে সাংবাদিকতার দৃষ্টিতে লেখা-লিখি।

গোলাম মহিউদ্দিন নসু › বিস্তারিত পোস্টঃ

নোয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কাজ ৪ বছরেও শুরু হয়নি

২৫ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ১১:০৫





হাসপাতাল ভবনটি নোয়াখালী শহরে স্থানান্তরের সংবাদটি গুজব বললেন কলেজ অধ্যক্ষ



গোলাম মহিউদ্দিন নসু ,নোয়াখালী প্রতিনিধিঃ

তত্বাবধায়ক সরকার আমলে ২০০৯সালে নোয়াখালী মেডিকেল কলেজ প্রতিষ্ঠা হলেও গত ৪ বছরে অনুমোদিত ৫শ ছিটের হাসপাতালটি নির্মানের কাজ আজো শুরু হয়নি। তাছাড়া মেডিকেল কলেজের ৫শ ছিটের হাসপাতালটি নোয়াখালী সদর হাসপাতালে সাথে স্থাপনের গুজবটি সত্য নয় বলে জানিয়েছেন কলেজের অধ্যক্ষ প্রফসর ডাঃ আবদুল সালাম।

২০০৮ সালে দেশের ৫টি নতুন মেডিকেল কলেজ স্থাপনের অনুমোদেনের সাথে নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার চৌরাস্তার পার্শ্বেই মিরওয়ারিশপুর ইউনিয়নে ২৬ দশমিক ৫৩ একর জায়গায় নোয়াখালী মেডিকেল কলেজ স্থাপনের অনুমোদন হয়।২০০৮ সালের অক্টোবরে ১ম ব্যাচের শিক্ষার্থী ভর্তির মধ্য দিয়ে এ কলেজের কার্যক্রম শুরু হয়। ২৪ কোটি টাকা ব্যায়ে একাডেমিক ভবন নির্মান শেষ ।

৬ কোটি টাকা ৭৫ লাখ টাকা ব্যায়ে একটি ছাত্র এবং একটি ছাত্রী হোষ্টেল নির্মান কজ চলছে। দ্রুততম সময়ের মধ্যে ৫শ ছিটের একটি হাসপাতাল নির্মান কাজ শুরু করা নোয়াখালী বাসীর জোরালো দাবী।

সম্প্রতি সময়ে নোয়াখালী মেডিকেল কলেজের নাম পরিবর্তন করে নোয়াখালী আবদুল মালেক মেডিকেল কলেজ নাম করন করা হয়। ঠিক একই কায়দায় একটি মহল মেডিকেল কলেজের অনুমোদিত হাসপাতালটি বেগমগঞ্জ থেকে প্রায় ১৫ কিলো মিটার দুরে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতলের ছিট বৃদ্ধি করে সদরে স্থানান্তরের চেষ্টা করছে বলে পুরো জেলায় গুঞ্জন চলছে।

এ বিষয়ে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের সুপার ডাঃ আছানউল্যার সাথে আলাপে তিনি জানান, এমন একটি কথা তিনি শুনেছেন। তবে তাঁর কাছে নির্ভরযোগ্য কোন তথ্য নেই। তিনি মনে করেন মেডিকেল কলেজ ক্যাম্পাসের অনুমোদিত হাসপাতাল কলেজ ক্যাম্পাসেই হওয়া উচিৎ । বেগমগঞ্জ উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান ভিপি মোহাম্মদ উল্যা বলেন, তিনিও শুনেছেন। তবে মেডিকেল কলেজটি বেগমগঞ্জবাসীর অনেক কষ্টের সম্পদ, তেমনি হাসপাতালটিও সম্পদ। যদি কেউ এটিকে বানচাল করতে চায় তার বিরুদ্ধে বেগমগঞ্জবাসী অবশ্যই সম্মিলিতভাবে প্রতিবাদ করবে। নোয়াখালী মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ডাঃ আবদুস ছালাম জানান, এমন ধরনের গুঞ্জন সম্পূন গুজব। তিনি গনগূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলীর বরাদ দিয়ে বলেন, দ্রুততম সময়ের মধ্যে কলেজ ক্যাম্পাসে হাসপাতাল নির্মানের কাজ শুরু করা হবে। হাসপাতাল নির্মান বিষয়ে তাঁর কাছে কোন চিঠি অসেনি।

নোয়াখালী গনপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী নাসির খান জানান, নোয়াথালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল নির্মানের জন্য ২শ কোটি টাকা বরাদ্ধ চেয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে । এখনো কোন জবাব পওয়া যায়নি।

নোয়াখালী-৩ বেগমগঞ্জ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব মামুনুর রশিদ কিরন বলেন, এ ধরনের গুঞ্জন শুনা যায়্ তবে বিষয়টি সম্পূর্ন গুজব। সঠিক বিষয়টি জানা এবং কবে নাগাদ হাসপাতালের কাজ শুরু হবে জানার জন্য তিনি মন্ত্রীর সাথে দু/একদিনের মধ্যে দেখা করবেন।

প্রসঙ্গতঃ দেশ স্বাধীন হবার পর সাবেকমন্ত্রী মরহুম আবদুল মালেক উকিল নোয়াখালী সদর হাসপাতালের উন্নয়ন করেছেন। মেডিকেল কলেজ স্থাপনের স্বপ্নও দেখতেন। পরে এক সময় বিএনপি সরকার মাইজদীতে মেডিকেল কলেজের ভিত্তি প্রস্তর দিয়েছিলেন। কিন্তু আর্থিক বরাদ্ধ বা বাস্তবায়নের কোন উদ্যোগ কারো চোখে আসেনি। বর্তমানে যেখানে মেডিকেল কলেজ ভবন নির্মান হয়েছে, জায়গাটি সরকারের হলেও পারটেক্্র গ্র“পের চেয়ারম্যনে সাবেক এমপি আবুল হাসেমের নামে লীজ নেয়া । যেখানে তিনি ব্যক্তিগত উদ্যোগে মেডিকেল কলেজ করার প্রতিশ্র“তি বদ্ধ ছিলেন। কিন্তু একাধিকবার তিনি শর্ত ভঙ্গ করেন। যার ফলে সম্পত্তি সরকারের হাতে যাওয়ার সূযোগ ঘটে। পরবর্তী সময়ে তত্বাবধায়ক সরকার আমলে কয়েকজন মাতৃপ্রেমিক লোকের চেষ্টায় মিনহাজ আহাম্মদ জাবেদের প্রত্যক্ষ সহায়তায় এখানে সরকারী অর্থে মেডিকেল কলেজ স্থাপনের সুযোগ তৈরী হয়।যা নিয়ে হাসেম কোম্পানীর সাথে বিরোধ ঘটে। এলাকার সকল মানুষ মেডিকেল কলেজ স্থাপনের পক্ষ নেয়।গনিপুরের সাবেক চেয়ারম্যান মরহুম আবদুর রব,উপজেলা চেয়ারম্যান ভিপি মোহাম্মদ উল্যা, চৌমুহনী ব্যবসায়ী সমিতির সাবেক সভাপতি মোহাম্মদউল্যা, সাংবাদিক গোলাম মহিউদ্দিন নসু,সাংবাদিক সাইফুল্্যা কামরুল,সাংবাদিক রূদ্র মাসুদ,চৌমুহনী পৌরসভার সাবেক কমিশনার মুক্তিযোদ্ধা আবদুল মানাœন, মোরশেদ আলম ফয়সলসহ অনেকে ঝুিক নিয়ে সভা সমাবেশে নেমে পড়ে। সাংবাদিকরা সম্বিলিত ভাবে সংবাদ প্রকাশ করতে থাকে। উত্তেজিত জনতায় এমপি হাসেমের চৌমুহনীর বাড়ী ভাংচুরের ঘটনায় হাসেম সাহেবের সাথে টেলি কন্পারেন্স করে সাংবাদিকরা মীমাংসার উদ্যোগ নেয়। যার ফলশ্্রতিতে ভিপি মোহা¤ম্মদ উল্যা ও আবদুর রব চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে এমপি হাসেমের ঢাকার বাসায় বসে মীমাংসা হয়। সে সভায় চৌমুহনী কলেজের সাবেক ছাত্র নেতা মুক্তিযোদ্ধা ভিপি হায়াত খান,ভিপি ছাত্তার এবং পরে এমপি বরকত উল্যা ভুলু অংশ গ্রহন করে। যার ভিডিও চিত্র এখনো অনেকের কাছে রয়েছে। ##



গোলাম মহিউদ্দিন নসু

নোয়াখালী

০১৭১৪৮৪০৮৯৪



মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে আগস্ট, ২০১৪ সকাল ১১:১৩

ইমতিয়াজ ১৩ বলেছেন: বিষটি মিমাংশিত হোক।





সামহোয়্যার ইন ব্লগটাকে যেমন দেখতে চাই... ... ... ... পোষ্টে আপনার মন্তব্য আশা করিছি আর ছদ্ম নামে নয় যারা পোষ্টে আপনার নাম ব্যবহার করা হয়েছে। যদি আপত্তি থাকে তবে নাম সরিয়ে নিবো। জানাবেন প্লিজ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.