নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি ঘুরতে ভালোবাসি। আমি খুব নেট পাগল। আমি নবম শ্রেণী থেকে অনার্স পযর্ন্ত নানী বাড়িতে ছিলাম।

নাহল তরকারি

আমি ধার্মিক। আমি সব কিছু ধর্মগ্রন্থ অনুযায়ী বিচার বিশ্রেশণ করি। আমি সামাজিক রীতিনীতি, সমাজিক কু সংস্কার, আবেগ দিয়ে কোন কিছু বিচার করি না।

নাহল তরকারি › বিস্তারিত পোস্টঃ

শোক সংবাদ

১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৪৯

আমার নানী হালিমা আক্তার গত ১৪ ই ফেব্রুয়ারি তে মারা গেছেন। তিনি শ্বাসকষ্ট রোগে আক্রান্ত ছিলেন। তাহার জন্য সবাই দোয়া করিবেন।

আমার নানীকে গত ৩১ জানুয়ারি ২০২৪ ইং তারিখে মুগদা সরকারি মেডিকেল এ ভর্তি করা হয়। আমার নানীর আগে শ্বাসকষ্ট অসুখ ছিলো না। করোনার পর থেকে তার শ্বসকষ্ট রোগ এট্যাক করতে থাকে। তারই ধারাবাহিকতার সেদিন মুগদা মেডিকেলে ভর্তি করা হয়। এর আগে শুধু ইমারজেন্সি বিভাগে জরুরী সেবা নিলে ঠিক হয়ে যেতো। এবার অবস্থা এত খারাপ হয়ে যে তাকে আইসিইউ তে ভর্তি করেন। আমারা নানা ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা। সেই সুবাধে হয়তো তাড়াতাড়ি আইসিউ বেড পায়। মোট ১৪ দিন আমার নানী হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। সকালে মা খালারা হাসপাতালে থাকতেন। রাতে আমি থাকতাম। গত ৪ বা ৬ তারিখে রাত ২ টায় আমার নানীর অবস্থা খারাপ হয়। পরে তাকে লাইভ সাপোর্ট এ নেওয়া হয়। এই রাত ২টা বাজে ফার্মেসী থেকে ঔষুধ সংগ্রহ করা খু্ব রোমাঞ্চকর ব্যাপার। অন্যজনের জন্য বিরক্তিকর ব্যাপার হতে পারে।

১৪ ই ফেব্রুয়ারি তে রাত ৩ টায় নার্স আসেন। আর বলেন আপনার নানীর অবস্থা ভালো না। যত সকালে পারেন, সবাইকে আসতে বলিয়েন। তখনই আমার কলিজায় কামড় দিয়ে ওঠে। এই কথার অর্থ কি তখন বুঝে গিয়েছিলাম। তারপর সকাল ৬টায় বড় ডা্ক্তার এসে সব পরীক্ষা করে মৃত ঘোসনা করেন।

এই ১৪ দিন হাসপাতাল আমার বাসা হয়ে যায়। আমার পাশে যারা ঘুমাতেন, তারা আমার প্রতিবেশী হয়ে যান। আন্টি বয়সী এক মহিলার প্রেমে পড়ে যাই। এটা তাকে বলা হয়নি। হয়তো ব্যাপারটা তিনিও বুঝেছেন। এই ১৪ দিন ছিলো এক অদ্ভত অভিজ্ঞতা।

বর্তমানে এই আইসিইউ দেখলাম খুব ভালো। খুব মর্ডানাইজ। সেবার মান ভালো। আন্সারেরা ভালো ব্যাবহার করেন। নার্স, পরিস্কার কর্মীরাও ভালো। যাই...... হউক। এখন থেকে নিয়মিত ব্লগে থাকার চেষ্টা করিবো।


ছবিতে মুগদা মেডিকেল। আমি যে মেঝেতে ঘুমাতাম। আইসিউ। ও শেষের ছবিতে আমার নানীর ছোট বোন ও ছোট ভাই।

মন্তব্য ১০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৩২

সোনাগাজী বলেছেন:




নানীর বাড়ীতে থেকে পড়ালেখা করেছিলেন; উনি আপনাকে সাহায্য করেছিলেন, ইহা আপনার জন্য বড় স্মৃতি হয়ে থাকবে।

২| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৩৫

সোনাগাজী বলেছেন:


হাসপাতালে আপনার অবস্হানের সময় কাউকে ( আন্টি বয়সের? ) ভালোলাগাটা একেবারে অস্বাভাবিক কিছু না; তবে, প্রেমে পড়ে গেছেন বলাটা ভালো শুনায় না।

৩| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ৮:৪৪

আলামিন১০৪ বলেছেন: ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাযিউন-
আল্লাহ আমাদের ক্ষমা করুন এবং মৃত্যুর জন্য প্রস্তুতি নেয়ার তওফিক দিন- আমিন

৪| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ৯:১৮

কামাল১৮ বলেছেন: শোক সইবার শক্তি অর্জন করুন এই কামনা করি।

৫| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ১০:৪৬

কাছের-মানুষ বলেছেন: ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাযিউন

আপনার নানির বয়স কেমন হয়েছিল?

৬| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ১১:০৪

ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: রাব্বুল আলামিন আপনার নানীর আত্মাকে শান্তি দিন এটাই প্রার্থনা করছি। ধন্যবাদ।

৭| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ১২:৪০

আরইউ বলেছেন:



নাহল,
খুবই দুঃখিত আপনার আপনজনের মৃত্যু সংবাদ শুনে। আপনি এই শোক সামলে উঠুন। ভালো থাকুন।

৮| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সকাল ৯:৫৬

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:



বয়স একটা বিরাট ফ্যাক্টর।
উনি যদি পরিণত বয়সে মারা যান তাহলে ঠিক আছে।
অপরিণত বয়সের মৃত্যু খুবই বেদনাদায়ক।

৯| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১:০২

মোগল সম্রাট বলেছেন:


ধৈর্য ধারন করুন এই কামনা করি।

১০| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১:০৩

রাজীব নুর বলেছেন: আপনি ভাগ্যবান।
অনেক বছর নানীকে পেয়েছেন। আমার বয়স যখন দুই বছর তখন আমার নানী মারা যান।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.