নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মানুষ আমি ভুলতো থাকতেই পারে ! তবে গ্যারান্টি দেই, অমানুষ নই !

মো: আবু জাফর

https://www.facebook.com/RajshahirAmm

মো: আবু জাফর › বিস্তারিত পোস্টঃ

আম চাষের এ টু জেড

২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৯:১১





ভুমিকা

বাংলাদেশে যে সব ফল উৎপন্ন হয় তার মধ্যে আমের জনপ্রিয়তা সবচেয়ে বেশি। আমের নানাবিধ ব্যবহার, স্বাদ-গন্ধ ও পুষ্টিমাণের জন্য এটি একটি আদর্শ ফল হিসেবে পরিচিত। তাই আমকে ফলের রাজা বলা হয়। বর্তমানে আরব আমিরাত, আবুধাবী, দুবাই, সৌদি আরব, কুয়েত, কাতার, বাহরাইন, ওমান, ইটালী, জার্মানী ও যুক্তরাজ্যের বাজারে বাংলাদেশ থেকে ফজলি, হিমসাগর এবং ল্যাংড়া জাতের আম রপ্তানী হলেও আরও অনেক দেশে এর রপ্তানীর প্রচুর সম্ভাবনা রয়েছে।



পুষ্টি মূল্য:

পাকা আম ক্যারোটিনে ভরপুর। এছাড়া প্রচুর পরিমানে খনিজ পদার্থ থাকে।



ভেষজ গুণ:

আমের শুকনো মুকুল পাতলা পায়খানা, প্রস্রাবের জ্বালা উপশমে ব্যবহার করা যায়। আম লিভার ও যকৃতের জন্য উপকারি।





উপযুক্ত জমি ও মাটি:



উর্বর দোআঁশ উঁচু ও মাঝারি জমি আম চাষের জন্য উপযোগি। বাগান আকারে আমের চাষ করতে হলে প্রথমে নির্বাচিত জমি ভালেভাবে আড়াআড়ি চাষ ও মই দিয়ে সমতল ও আগাছামুক্ত করে নিতে হবে। জমিতে গাছের গোড়া, ইট, পাথর, কিংবা অন্যান্য কোনরকম জঞ্জাল থাকলে তা সরিয়ে ফেলতে হবে। জমি উত্তমরুপে কর্ষণ করলে গাছের গাছের শিকড় বৃদ্ধিতে সহায়ক হবে।



চারা রোপণ:



ষড়ভূজি পদ্ধতিতে আম চারা রোপণ করলে ১৫ ভাগ চারা বেশি রোপণ করা যায়। জৈষ্ঠ্য থেকে আষাঢ় (মধ্য মে থেকে মধ্য জুলাই) এবং ভাদ্র-আশ্বিন মাস (মধ্য আগস্ট থেকে মধ্য অক্টোবর) চারা রোপণের উপযুক্ত সময়। তবে সেচের সুবিধা থাকলে শীতকাল ছাড়া বছরের যে কোন সময় চারা রোপণ করা যাবে। প্রতি গাছ থেকে গাছের দূরত্ব ৮ থেকে ১০ মিটার রাখতে হয়।



সার ব্যবস্থাপনা:



প্রতি গর্তে সারের পরিমাণ গোবর ২২ কেজি, ইউরিয়া ১৫০ গ্রাম, টিএসপি সার ৫৫০ গ্রাম, এমওপি সার ৩০০ গ্রাম, জিপসাম সার ৩০০ গ্রাম, জিংক সালফেট সার ৬০ গ্রাম প্রয়োগ করতে হয়। গর্ত ভর্তির ১০-১৫ দিন পর চারার গোড়ার মাটির বলসহ গর্তের মাঝখানে রোপণ করতে হবে।



একটি পূর্ণ বয়স্ক ফলন্ত আম গাছে বছরে ৫০ কেজি জৈব সার, ২ কেজি ইউরিয়া, ১ কেজি টিএসপি, ৫০০ গ্রাম এমওপি, ৫০০ গ্রাম জিপসাম ও ২৫ গ্রাম জিংক সালফেট প্রয়োগ করতে হবে। উল্লেখিত সার ২ কিসি-তে প্রয়োগ করতে হবে। প্রথমবার জৈষ্ঠ্য-আষাঢ় মাসে এবং দ্বিতীয়বার আশ্বিন মাসে প্রয়োগ করতে হবে।



সেচ ও আগাছা ব্যবস্থাপনা:



ফলন্ত গাছে মুকুল বের হওয়ার ৩-৪ মাস আগ থেকে সেচ দেওয়া বন্ধ করতে হবে। তবে মুকুল ফোটার পর ও ফল মটর দানা হলে একবার বেসিন পদ্ধতিতে সেচ দেওয়া দরকার। গাছের গোড়া ও গাছের ডালপালা সব সময় পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। কলমের গাছের বয়স ৪ বছর পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত মুকুল ভেঙে দিতে হবে।



ফসল তোলা:



আম যখন হলুদাভ রঙ ধারণ করে তখন আম সংগ্রহ শুরু করতে হয়। গাছ ঝাকি না দিয়ে জালিযুক্ত বাঁশের কৌটার সাহায্যে আম সংগ্রহ করা ভালো।







প্রচারে বিডি এগ্রো মার্কেট ডট কম

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৯:১৯

আমরা তোমাদের ভুলব না বলেছেন: ১++++++++++++++++

২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৯:২১

মো: আবু জাফর বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ

২| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৯:৩২

মুর্তজা হাসান খালিদ বলেছেন: সত্যিই অনেক দরকারি পোস্ট ! আপনাকে ধন্যবাদ !:#P

২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৯:৩৬

মো: আবু জাফর বলেছেন: আপনাকেউ অনেক অনেক ধন্যবাদ

৩| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৯:৪১

আমরা তোমাদের ভুলব না বলেছেন: প্রিয়তে নিছি তা কিন্তু কই নাই।
:)

২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৯:৪৩

মো: আবু জাফর বলেছেন: আপনারে ধন্যবাদ দিছি তা কাউরে কমু না ;) ;)

৪| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৯:৫৫

চারশবিশ বলেছেন: আমাদের পাশের বাসায় একটি আম গাছ আছে

বছরে ৪ বার আম ধরে

২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১০:৪৯

মো: আবু জাফর বলেছেন: সুবহান আল্লাহ

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.