নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মানুষ আমি ভুলতো থাকতেই পারে ! তবে গ্যারান্টি দেই, অমানুষ নই !

মো: আবু জাফর

https://www.facebook.com/RajshahirAmm

মো: আবু জাফর › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমার রক্ত ভীতি

০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:৫৩



আমার শারিরীক গঠন হালকা পাতলা হলেও, আমি এক জন শক্ত পাল্লার ছেলে । কতযে বর্ষা মৌসুম পার হয়েছে বেশির ভাগ দিনই বৃস্টিতে ভিজেছি । বৃস্টিতে ভিজলে সর্দি হবে, জর হবে লাইফবয় এর এই এডটা আমার বেলায় খাটে না । রোদের বেলাতেও একই গরমও আমার কাছে তেমন বিষয় না, যদিও গরম ভাত আমার দুচোখের বিষ । কিন্তু দুর্ভেদ্য দুর্গের ও নাকি দুবর্লতা থাকে আমারও আছে, রক্ত আর শীত । শীতে বেশি করে কাপড় চোপড় পরলেই হয়, আর নিজেকে একটু সাস্থ্যবান মনে হয় ।



আমাদের আশেপাসের বাড়ির মুরগী প্রায়ই আমাকেই জবাই করতে হয় । আমি হয়তো নিজে গরু মহিস জবাই করলেও আমার কিছুই হবে না । হাতে ধারাল হাসুয়া থাকলে নিজের মাঝে একটা আলাদা শক্তি অনুভব করি । কিন্তু কাউকে সিরিন্জ বা ব্যাগে কিন্তু কাউকে রক্ত দিতে দেথলেই অজ্ঞান হই না অজ্ঞান এর কাছাকাছি চলে যাই । আমি কখনো অজ্ঞান হইনি, অজ্ঞান এর কাছাকাছি চলে যাওয়ার একটা প্রচন্ড কস্ট আছে যা বলে বুঝানো সম্ভব নয় ।



বছর ২ আগে আমার বউ রক্ত দেওয়ার খুব শখ হলো ! সে কার থেকে জানি শুনেছে রক্ত দিলে নাকি ওজন কমে । তাই সময় করে আমরা রাজশাহী মেডিকেল কলেজে এ সন্ধানীতে গেলাম রক্ত দিতে । আমরা উপস্থিত হয়ে দেখলাম আরো ৩-৪ টা কলেজ পড়ুয়া মেয়েও রক্ত দিচ্ছে । সন্ধানীর রক্ত নেয়া সুন্দরী আপু আমার বউ কে জিগ্গাস করলো আমি তার কে হই । সে আমার পরিচয় দিলো, আপু ও ভাইয়ারা আমাকে ধন্যবাদ দিলেন যে আমি আমার বউকে এই কাজে নিজে নিয়ে এসেছি । এমনিতেই মেডিকেলের গন্ধ আমার নাকে ঢুকার পর থেকে আমার অবস্থা ততটা ভাল ছিল না । এর পরে ইন্টারনীর এক আপু একটা রক্তের খালি ব্যাগ বের করলেন যার এক প্রান্তে একট গরুর ইন্জেকশনের সাইজের সুই । আমি চুপচাপ আমার বউ এর হাত ধরে ছিলাম আমার বউ হয়তো কিছুটা অনুমান করছিলো । এর পরে চার ইন্চি সাইজের সুইটার মোড়ক উন্মেচন দেখলাম এরপরে আর তাকাইনি ।



কিছুক্ষন পরে নিজেকে একটি সোফায় আধসোয়া অবস্থায় আবিস্বার করলাম । আমার চারপাশে বেশ কিছু উদ্বিগ্ন সুন্দর মুখ । আমার অবস্থা দেখে এক ইন্টারনীর ভাই আমাকে সোফায় নিয়ে যান । সব কিছুই ঘটছিলো কিছুটা ধোয়াশার মতোন অবস্থায়, অজ্ঞান হতে পারিনি তাই কস্টটা বেশি হচ্ছিলো । প্রচন্ড চাপ পড়ছিলো হার্টের উপরে নিজের হার্টবিট পরিস্কার সুনতে পাচ্ছিলাম ।



আমার জীবনে এ রকম আরো কিছু ঘটনা আছে, তবে এটার মত মারাত্নক না । এর পর থেকে রক্ত দান করার মানষিকতা থাকলেও এই কারনে দিতে সাহস হয় না ।





মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:১২

নক্‌শী কাঁথার মাঠ বলেছেন: ঠিক একই রকম ঘটনা আমারও হয়েছে। আমার বাবার একবার স্ট্রং ডাইরিয়া হলো, স্যালাইন পুশ করতে হলো সে কারনে। সিরিন্জ ঢোকানোর সময় আমাকে বলা হলো হাত চেপে ধরতে শক্ত করে যেন রগ ফুলে ওঠে এবং সেখানে সিরিন্জ ঢোকানো যায়। তো ধরে আছি, আরেকজন সিরিন্জ রগের মধ্যে ঢোকানোর চেস্টা করছে, কিছুটা রক্ত পাইপ মধ্যেও চলে আসলো। হঠাৎ দেখি আমার খারাপ লাগছে, চোখে অন্ধকার দেখছি। পরে কিছুক্ষন শুয়ে থাকার পর আবার ভালো লাগতে শুরু করলো। এর আগে আমার জানা ছিলোনা আপনজনের রক্ত দেখলে খারাপ লাগে। গরু-ছাগল-মুরগির রক্ত আর আপনজনে রক্ত এক না, সেটা বুঝলাম।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.