| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
শব্দ দেয়া নামে পরিচয়
“প্রাণের জাগরণে তুমি আলোর দিশারী,
উর্ধ্বশিরে তুমি বরেন্য,
তুমি অজেয়, তুমি নব শতকের পাঞ্জেরী”
হে যাত্রা পথিক স্নেহের বড় ভাই,
যে পথ একদিন তোমায় নিয়ে এসেছিল এই
সবুজ অঙ্গনে সে পথই তোমাকে দিয়েছে
ডাক। একদিকে চলা নেশা আর একদিকে পিছুটান!
বেহাগ রাগিণীতে বাজছে বিদায়ের সুর। সে সুর
এখন মূর্চ্ছিত হচ্ছে এই সবুজের অঙ্গনে, মূর্চ্ছিত
হচ্ছে প্রতিটি প্রাণে।
হে অমোঘ পথের যাত্রী,
এই সবুজের প্রান্তরে তোমাদের কেটেছে স্মৃতিমধুর
প্রীতিম জীবনের কিছুকাল । নিরলস শ্রম, অধ্যবসায়,
আন্তরিক আগ্রহ নিজেদের আলোকিত মানুষ
হিসেবে গড়ার সাধনায় আপনি ছিলে সচেষ্ট।
সৃষ্টিলগ্ন থেকে শুরু হয়েছে বিদায় দেওয়া-
নেওয়ার মর্মস্পর্শী রেওয়াজ। কবির ভাষায়
তাইতো হৃদয়ের অনুভূতি-
যেতে নাহি দিব হায় –
তবু যেতে দিতে হয়, তবু চলে যায়।
কিন্তু অবুঝ মন তো বুঝতে চায়না। শুধু বলে –
মায়ার বাধনে কেন জড়ালে,
ছেড়ে যদি যাবে হায়।
হে পথের দিশারি,
‘ভুবনের ঘাটে ঘাটে
এক ঘাটে লও বোঝা,
শূণ্য করে দাও অন্য ঘাটে
তোমাদের পরশে জীবন আমাদের হয়েছে সরস ও
উর্বর নবজীবনের আহ্বানে, আলোকিত জীবনের
সন্ধানে তোমরা এগিয়ে যাচ্ছ নবদিগন্তের
পাণে। জাতি আজ প্রত্যাশা করে দুঃখ, দারিদ্র
অন্ধকার ঘুচিয়ে আপনি হবেন একদিন চট্টলার মহান ব্যক্তি । আপনি আনবে সোনালি রবির আলোকিত দিন।
কিছু স্মৃতি আজো মলিন,
হৃদয়ের ব্যাথা অনুভব এই প্রথম।বিদায় শব্দটা অপরিচিত ছিল এতদিন।কিন্তু হেমন্তের সন্ধার হিমেলতা মাঝে উত্তাপ্ততা বিরাজমান ছিল শুধু আপনার শূন্যতায়।আজ বড্ড বেশী অসহায় মনে হয় বাস্তব জীবনে।প্রথম আমি শহরে গিয়েছি আপনার হাত ধরে, প্রত্যেকটা কাজের প্রারম্ভিকতা আপনি।তাই তো প্রতি কুরবানে ষাঁড় কেনার মহোৎসবে আপনি ছিলেন,দাদুর অসুস্থতার সময় হাসপাতালে থেকে হাসপাতাল, কত রাত নির্ঘুম কাঁটালেন,সবার পড়ালেখা খবর নিতেন।কে কি করছে সব আপনাকে জানানো হতো আর শুনে খুব সুন্দর পদ্ধতিভিত্তিক পরামর্শ দিতেন তার সাথে যতটুকু সাধ্য নিজের কাজের চেয়ে গুরুত্ব দায়ে কাজগুলো সম্পন্ন করতেন।নিজের ক্যারিয়ার চেয়ে ছোট ভাইদের ক্যারিয়ার ছিল আপনার প্রাধান্যতা।তাইতো নিজের ফাইলান পরিক্ষার সময় নিজের পরিক্ষার কথা না ভেবে আপনি আমায় নিয়ে পাড়ি দিলেন চাপাঁই,আমার ক্যারিয়ারের পিচনের মানুষটি আপনি।আপনার প্রত্যকটা কদম কারো না কারো উপকারের। তাই কলম হাতে স্মৃতিগুলো বিশাল কাব্য হতো। তোমাকে হারিয়ে শুধু পবিবার নয় আমরা নিজেকে হারাতে বসেছি, বাস্তব বড়ই কঠিন।খুব মিস করি ভাইয়া, খুব বেশি মিস করি।
হে মুক্তির অগ্রদূত,
আপনি আমাদের খুঁড়ে ঘরের সোনার হৃদয়ের বড় ভাই।
প্রত্যেক প্রতিকূলতায় ও সমস্যার সহজ সমাধান ছিল আপনার আগমন।খুব সহজভাবে আপনাকে আমি দেখেছি।তাই
শুধু মনে রাখবেন ,’
স্বাধীনতা অর্জনের চেয়ে স্বাধীনতা রক্ষা করা কঠিন।’
কবির ভাষায়,
‘অজস্র মৃত্যুরে লঙ্ঘি হে নবীন,চলো
অনায়াসে, মৃত্যুজয়ী জীবন উল্লাসে।’
হে আজকের প্রত্যাশা,
জীবনকে বিকশিত করার অদ প্রয়াসকে সামনে
রেখেই আপনার পদচারণা শুরু হয়েছিল।শত
আকাঙ্ক্ষার সিঁড়ি বেয়ে আপনি আজ শত দূর প্রান্তে
উপনীত ।তাইতো অনুরোধ অন্যায় -অবিচার, জুলুম
নির্যাতনের বিরুদ্ধে আপনি থাকবেন প্রথম
কাতারের অগ্রনায়ক ।
আপনার নতুন যাত্রাপথ নতুন সাফল্যে ভরে
উঠুক। দেশ জাতির ঐতিহ্যগর্ব ইতিহাস হোক
আপনার একমাত্র সাধনার অঙ্গিকার।
(হালকা কিছু সংগ্রহ ও সংযোজন করা হয়েছে)
©somewhere in net ltd.
১|
১১ ই নভেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১২:৪৬
ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: মন্দ লাগেনি।