| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
জুল ভার্ন
এপিটাফ এক নিঃশব্দ প্রচ্ছদে ঢাকা আছে আমার জীবনের উপন্যাস... খুঁজে নিও আমার অবর্তমানে... কোনো এক বর্তমানের মায়াবী রূপকথায়। আমার অদক্ষ কলমে... যদি পারো ভালোবেসো তাকে... ভালোবেসো সেই অদক্ষ প্রচেষ্টা কে, যে অকারণে লিখেছিল মানব শ্রাবণের ধারা.... অঝোর শ্রাবণে।।
"গণভোটে’র চেয়ে আলুর ন্যায্যমূল্য পাওয়া বেশি গুরুত্ত্বপূর্ণ"- বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমানের এই বক্তব্যের যথার্থ। কারণ, গণভোটের আগে মানুষের জীবন!
★ ১ কোটি ১৫ লাখ টন আলু উৎপাদন, কিন্তু কৃষক পাচ্ছেন অর্ধেক দামও না।
★ ৩৫৩টি পোশাক কারখানা বন্ধ, ১.২ লাখ শ্রমিক বেকার।
শিক্ষার্থীর এক-তৃতীয়াংশ ইংরেজি ও আইসিটি-তে অকৃতকার্য।
★ ২৪টি ব্যাংক মূলধন ঘাটতিতে, অর্থনীতি নাজুক।
এই সব বাস্তবতার মাঝে কথিত “গণভোট” কেনো বেশি জরুরি হতে পারে তা 'হাংকিপাংকি রাজনৈতিক নেতা', 'আংগুল ঢুকানো' নেতারা বুঝবে না।
তারেক রহমান বলেছেনঃ
“আলুর ন্যায্যমূল্য, পেঁয়াজ সংরক্ষণাগার, চাকরি, শিক্ষা সংস্কার- এগুলো মানুষের জন্য জরুরি, গণভোট নয়।”- এটা রাজনীতি নয়- এটা মাটির টান, মানুষের দুঃখের টান।
রাষ্ট্রের সামনে যখন অর্থনৈতিক সংকট, কৃষকের হাহাকার, শ্রমিকের আর্তনাদ, শিক্ষার মানের অবনতি আর ব্যাংকিং খাতের চরম অস্থিরতা গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে- তখন কথিত ‘গণভোট’কে কেন্দ্র করে সৃষ্ট কৃত্রিম উত্তেজনার মধ্যে একটা সত্য যেন বারবার হারিয়ে যাচ্ছে।
মানুষ আজ ন্যূনতম জীবনের নিরাপত্তা চায়। ঠিক এই জায়গাটিতেই তারেক রহমানের বক্তব্য দেশবাসীর অন্তরের ক্ষতকে স্পর্শ করেছে। এই বাস্তবতার মুখে তারেক রহমানের প্রশ্ন নিছক রাজনৈতিক নয়- এটা মানবিক প্রশ্ন
“চাকরি ছাড়া হাজার কোটি টাকার গণভোট কার জন্য?”
তারেক রহমান যখন বলেন- “আলু উৎপাদন করে কৃষকরা অর্ধেক দামে বিক্রি করতে পারছেন না"- তখন সেটা শুধু পরিসংখ্যান নয়, এটা একেকটি মানুষের ঘামঝরা শ্রমের বেদনা। একদিকে কৃষকের ঘরে লোকসান,
অন্যদিকে রাষ্ট্রের টাকা ব্যয় করে কথিত গণভোটের আয়োজন- এই তুলনায় স্বাভাবিকভাবেই তারেক রহমানের প্রশ্ন- “গণভোটের চেয়ে কৃষকের ন্যায্যমূল্য কি বেশি জরুরি নয়?”
১৫ ই নভেম্বর, ২০২৫ দুপুর ২:৫১
জুল ভার্ন বলেছেন: ধন্যবাদ।
২|
১৫ ই নভেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:৪৯
বাকপ্রবাস বলেছেন: আগে ছিল ম্যাংগো পিপল এখন হবে পটেটো পিপল, আলুর জন্য কত দরদ ক্ষমতায় আসলে দেখিয়ে দিবে, অপেক্ষায় রইলাম
১৫ ই নভেম্বর, ২০২৫ দুপুর ২:৫১
জুল ভার্ন বলেছেন: ম্যাংগো পিপল, পটেটো পিপল- সবই চটুল কথার খেলা। কিন্তু বাস্তবে আলু কিনতে গিয়ে কৃষকরা যখন অর্ধেক দামেও বিক্রি করতে পারছেন না, তখন এ ধরনের উত্সবমুখর ব্যঙ্গ কি কোনো সমাধান দিতে পারবে? অজস্র নিরীহ মানুষ হত্যা করে গুম করার পড়েও "এবসিউলুট পাওয়ার" এর দাবী করে ক্ষমতা দেখানোর নাটক নয়, "১০ টাকা কেজি চাল দেওয়ার কথা বলে ৭০ টাকায় চাল কিনতে বাধ্য করা নয়", দরকার বাস্তব পদক্ষেপ- ন্যায্যমূল্য, সঠিক সংরক্ষণ ও কৃষকের নিরাপত্তা। আলুর জন্য অপেক্ষা নয়, কাজের সময় এসেছে।
--
৩|
১৫ ই নভেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:২১
কলিমুদ্দি দফাদার বলেছেন:
অবশ্যই গণভোটের চেয়ে কৃষক তথা মানুষের জীবনের মুল্য অনেক বেশি। কিন্তু কথাটি এমন একজন মানুষ বলেছেন যারা বিএনপির ০১-০৬ এর শাসনামল দেখেছেন উনাকে খুব ভালো মতো চিনেন। তারেক সাহেব এতো ভালো মানুষ হলে বিএনপির সময় সার সংকট কে কেন্দ্র করে আন্দোলন দেশব্যাপী যে ১২ জন কৃষক কে গুলি করে হত্যা করা হয়েছিল তার জন্যে ক্ষমা চাইতো।
১৫ ই নভেম্বর, ২০২৫ দুপুর ২:৫৩
জুল ভার্ন বলেছেন:
ঠিক বলেছেন। গণভোট নয়, মানুষের জীবনই প্রথম। কিন্তু যারা অতীতের কুখ্যাত শাসনামল দেখেছেন, তারা জানেন- কথার মধুরতা যথেষ্ট নয়, কাজে নৈতিকতা ও দায়বোধ থাকতে হবে। কৃষকের প্রতি সহমর্মিতা শুধু বক্তব্যে নয়, সরাসরি ক্ষমা, স্বীকৃতি ও প্রতিকার দিয়ে প্রমাণ করতে হয়। সেই সংগে সরকার প্রধানের নির্দেশে অজস্র ছাত্র-জনতা- নারী শিশু হত্যার বিচারের জন্য সোচ্চার হতে হবে। যতদিন তা হবে না, “ভালো মানুষ” হওয়ার দাবি শূন্যের ওপরে।
৪|
১৫ ই নভেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১:৫২
ফেনা বলেছেন: আমি কিন্তু আ আর বি বা জা কোনটাই না। আমি শান্তি আর পরিবার নিয়ে শান্তিতে বেচে থাকার চিন্তায় মগ্ন থাকা একজন মানুষ। বাংলাদেশের রাজনীতি করা মানুষগুলির মূলধন হল মিথ্যা বলা, মিথ্যা আশা দেওয়া, মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দেওয়া। এদের আর কোন ভাবেই বিশ্বাস করা সম্ভব হচ্ছে না।
১৫ ই নভেম্বর, ২০২৫ দুপুর ২:৫৫
জুল ভার্ন বলেছেন: এদেশের কোটি কোটি মানুষের কাছে আপনি, আমি বা আমরা ধর্তব্য নই। ঠিক বলেছেন, শান্তিতে বেঁচে থাকা মানুষের ভাবনাই প্রকৃত। কিন্তু সত্যি বলতে- রাজনীতির ময়দানে শুধু “মিথ্যা” নয়, মেধা, কর্মদক্ষতা আর সাহসও রয়েছে। সব দলকে এক চোখে মাপা ঠিক নয়। নীতির সঙ্গে থাকা মানুষও আছে, যারা সত্যিই দেশের স্বার্থে কাজ করতে চায়- বিদেশে বসে তাদের অবমূল্যায়ন করাটা অন্যায়ের সমান।
৫|
১৫ ই নভেম্বর, ২০২৫ দুপুর ২:৩৫
অপলক বলেছেন: যদি তোর সাথে কেউ নাই আসে তবে একলা চলরে...
দেশবাসী কে নানা উপায় বাতলে আলু চাষীদের জন্যে এগিয়ে আসতে বলেছিলাম কিছু দিন আগে, কেউ কথা রাখেনি... বিস্তারিত এখানে
১৫ ই নভেম্বর, ২০২৫ দুপুর ২:৫৫
জুল ভার্ন বলেছেন: ধন্যবাদ।
৬|
১৬ ই নভেম্বর, ২০২৫ রাত ১:১২
আহমেদ জী এস বলেছেন: জুল ভার্ন,
৭১ এর পর থেকে দেশে যা যা ঘটেছে এবং এখনও ঘটে চলেছে তাতে একজন নাবালকও বুঝতে পারে, এদেশের রাজনীতিকরা কখনও মানুষের জন্যে কথা বলেনি, মানুষের জন্যে রাজনীতি করেনি। সব দলের নেতারাই নিজেদের আখের গোছানোর কাজটিই করে গেছেন।
সামনের সংসদ নির্বাচনকে লক্ষ্য রেখে কেবলমাত্র ক্ষমতায় যাওয়ার লোভে তাদের নিজেদের ভেতরের কামড়াকামড়ি দিন দিন বেড়েই চলেছে । এতে দেশের ভবিষ্যত যে অন্ধকারে ঢেকে যাবে তা তেনারা ধর্তব্যের মধ্যেই আনছেন না বা ক্ষমতায় যাওয়ার উদগ্র লোভে চোখে দেখছেন না।
দেশ ও জনমানুষের আকাঙ্খার কথা ভাবার মতো বিবেচনাবোধ সম্পন্ন-প্রজ্ঞাবান কোনও নেতা কি কখনও ছিলেন বা এখন আছেন? নেই , ছিলোনা কোনও কালেও। এখানেই আমাদের হতাশা আর দীর্ঘশ্বাস ফেলতে হয়। আর এই ফেলার শুরুটা হয় “ভোট” দেয়ার মধ্যে দিয়ে । যার অংশগ্রহনকারী আমরা জনগণ, আবার কিছুদিনের মধ্যেই দীর্ঘশ্বাস ফেলতে ফেলতে হেচকিও তুলে ফেলি আমরা জনগণই । যার কেচ্ছা কাহিনী ব্লগের পাতাতে তো বটেই পত্র-পত্রিকাতেও আমরা প্রতিদিনই দেখতে পাই । প্রতিদিনের খবরের কাগজের পাতাতে আমাদের স্বপ্নপুরনের কোন কথা নেই বরং স্বপ্ন ভঙ্গের ফন্দিফিকিরেরই জয়গান সেখানে । দেশের দক্ষিনাঞ্চলে একটি পুরোনো প্রবাদ আছে –
“ ডিম পাড়ে হাসে, খায় বাঘডাঁশে (বড় বন-বেড়াল)” ।
রসিকতা করে বলা হলেও কঠিন একটি সত্য ধরা পড়েছে এতে । আপনার পরিশ্রমের ফসল চলে যাচ্ছে অন্যের পেটে, এই সরল সত্যটিই প্রবাদটির উপপাদ্য । আমরা ডিম (৭১, ৯০, ২৪ সহ সকল গণঅভ্যুত্থান) পেরেই যাচ্ছি আর সব ডিমই খেয়ে ফেলছে রাজনীতিকরা!
ভেবে দেখুন, ভোট সর্বস্য এই রাজনীতিতে আমরা কি পেয়েছি ?
গনতন্ত্র পেয়েছি বলে আনন্দে বগল চাপড়ানো একদল সুবিধাবাদী সুশীল শ্রেনী পেয়েছি । দেশের সম্পদ লুট এবং রাষ্ট্রীয় কোষাগার উজার করে পয়দা হওয়া হাযার খানেক কোটিপতি পেয়েছি । আর “ভাত দে হারামযাদা” বলা এক জনগোষ্ঠী পেয়েছি। এই তো আমাদের অর্জন!!!!
তাই ভোটের জন্যে আমার নিজের কোনও মাথাব্যথা নেই। তথাকথিত রাজনীতিকদের নিয়েও কোনও আশাবাদ নেই।
প্রাসঙ্গিক মন্তব্য হলো কিনা জানিনে তবে মনের ঝাল কিছুটা বোঝাতে পেরেছি মনে হয়।
১৬ ই নভেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:২২
জুল ভার্ন বলেছেন: ভাইজান, আপনার কথাগুলো পড়তে গিয়ে মনে হলো- এটা কোনো রাজনৈতিক বিশ্লেষণ নয়,
এটা পঞ্চাশ বছরের জমে থাকা জাতিগত বেদনার ইতিহাস।
যে বেদনার শুরু ৭১-এ, কিন্তু শেষ এখনও হয়নি…
আপনি একদম ঠিক- এদেশে রাজনীতি কখনোই জনগণের জন্য হয়নি।
দল বদলেছে, মুখ বদলেছে, স্লোগান বদলেছে-
কিন্তু চরিত্র বদলায়নি।
মানুষের রক্ত, ঘাম, স্বপ্ন, আত্মত্যাগ-
সবই রাজনীতিকদের হাতের “ডিম”,
আর ক্ষমতাশালী “বাঘডাঁশরা” সেটাই খেতে খেতে হাঁ হয়ে আছে!
আজও তাই
ভোট মানে আশা নয়- ভোট মানে ভয়।
ভোট মানে পরিবর্তন নয়- ভোট মানে ধোকা।
ভোট মানে আমরা পরিশ্রম করবো…
আর ভোগ করবে অন্যরা।
দশকের পর দশক আমরা একই চক্রে ঘুরছি-
স্বাধীনতার স্বপ্ন থেকে গণঅভ্যুত্থানের জোয়ার,
তারপর আবারও বিশ্বাসভঙ্গ, লুটপাট, গুণ্ডামি, দখলদারিত্ব।
আর এই সময়
যে সুশীলেরা গণতন্ত্রের বর্ম পরে সুবিধা নেয়,
যে নেতারা ক্ষমতায় ছাড়ে না এক চুল জায়গা,
যে ব্যবসায়ীরা কোষাগার গিলে ফেলে,
যে রাজনীতিকরা জনগণকে বোঝে “হারামজাদা” বলে—
এই প্রহসন আমরা প্রতিদিন চোখের সামনে দেখি।
আপনার শেষ লাইনটা-
“ভোটের জন্যে আমার কোনও মাথাব্যথা নেই”-
এটা আসলে এক ব্যক্তির ক্লান্তি নয়,
এটা একটি পুরো প্রজন্মের হৃদয়ভাঙা স্বীকারোক্তি।
আমাদের প্রত্যাশা, আমাদের বিশ্বাস, আমাদের ত্যাগ-
সবই আজ কেবল ছোট ছোট ভাঙা কাঁচের মতো বুকে বিঁধে পড়ে আছে।
এই যন্ত্রণা, এই হতাশা, এই দীর্ঘশ্বাস-
এটা ব্যক্তিগত নয়,
এটা আমরা সবাই মিলে বহন করা জাতীয় ট্র্যাজেডি।
আপনার লেখা সেই ট্র্যাজেডির আতঙ্কজনক সত্যটাই আরেকবার মনে করিয়ে দিল।
©somewhere in net ltd.
১|
১৫ ই নভেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:৩৯
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: তারেক রহমান সঠিক কথা বলেছেন। সরকার কৃষক থেকে আলু কিনবে বলেও কিনে নাই। গণভোট আর জাতীয় নির্বাচন নিয়ে তারেক সঠিক কথা বলেছেন। মৌলবাদি দের নিয়ে দৌড় কেবল সোশাল মিডিয়ায়।