নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আগুনের পরশমণি ছোঁয়াও প্রাণে

এলোমেলো ভাবনা সারাক্ষণ মনকে আচ্ছন্ন করে রাখে

লাইলী আরজুমান খানম লায়লা

I love my country

লাইলী আরজুমান খানম লায়লা › বিস্তারিত পোস্টঃ

মেঘ ভাসে - বৃষ্টি নামে

২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৩১

সেই ছোট বেলার কথা। চৈত্রের দাবানলে আমাদের বিরাট পুকুর প্রায় শুকিয়ে যায় যায় অবস্থা। আশেপাশের জমিজমা শুকিয়ে ফেটে চৌচির। গরমে আমাদের শীতল কুয়া হঠাৎই অশীতল হয়ে উঠলো। আম, জাম, কাঁঠাল, বাঁশঝারের ছায়াকেও আর ভরসা করা যায় না। তারাও কেমন যেন বৈরি আচরণ করছে। আমার ক্লাস ফাইভে পড়া বান্ধবীরা বলল,” চল আমরা মেঘ নামামু”। আমি বললাম,”সর্বনাশ, আমারে বাড়ি হতে বাইর হইতে দিব না--”। বান্ধবীরা কইল,” তুই তোগো বড়লোকী নিয়া থাক, আমরা মেঘ নামামু আর মজা করমু”। আমি মাকে, বড় ভাইকে রাজী করালাম।
দুই দিন পরে উদাস কাঁঠফাটা দুপুরে সবাই আমাদের পুকুর পাড়ে একত্রিত হলাম। আমাদের সাথে ছোটবড় মেয়েরাও যোগ দিল। সকলেই একটা করে কুলা নিলাম, দুইজন দুটো বড় কাঠা নিল চাল, ডাল ইত্যাদি সংগ্রহের জন্য। আমরা সবাই সাদার সাথে লাল পারওয়ালা শাড়ী পরলাম। পায়ে আলতা -- হাতে কাঁচের লাল চুড়ি। তারপর দল বেঁধে চললাম। প্রতিটি বাড়ির কিষাণ কিষাণিসহ অন্যান্য সদস্যরা কি খুশি। মনে মনে যেন তারা আমাদেরই খোঁজ করছিলেন। আমরা প্রতিটি বাড়ি যেয়েই গোল হয়ে মাথায় কূলা নিয়ে ঘুরে এক জায়গায় দাঁড়াতাম। তারপর গান শুরু করতাম---
”আল্লাহ মেঘ দে পানি দে
ছায়া দেরে তুই
আল্লাহ মেঘ দে।
আসমান হইল টুডা টুডা
জমিন হইল ফাডা
মেঘ রাজা ঘুমাইয়া রইছে
মেঘ দিব তোর কেডা
আল্লাহ মেঘ দে--।
আলের গরু বাইন্দা
গেরস্থ মরে কাইন্দা,
ঘরের রমনী কান্দে
ডাল খিচুরী রাইন্দা
আল্লাহ মেঘ দে ---।"

প্রতিটি বাড়ির সকলেই কূলার উপরে পানি ঢেলে দিত। সেই সাথে চাল, ডাল ইত্যাদি দিত। এভাবে তিন দিনে আমরা এলাকা/গ্রাম কভার দিলাম।

তিন দিন পর -- ছোট ছেলেরা কলাপাতা দিয়ে ঘর বানালো। সকালে আমরা বাঁশ ঝাড় হতে অনেক কষ্ট করে খুঁজে দুটো ব্যাঙ ধরলাম। তারপর ব্যাঙ এর গাঁয়ে হলুদ দিল গ্রামের বৌঝিরা। তারপর সেই ব্যাঙকে গোসল করানো হলো। ওমা ব্যাঙটা ভারী বেয়াদব--খালি লাফালাফি করে--তারপর কলাপাতার ঘরে ব্যাঙের বিয়ে পড়ানো হলো। বিয়ে পড়ালো ৭ বছরের ছেলে আরিফ !!!! আরিফ বললো," এই ব্যাঙ কবুল কও"। ব্যাঙ কবুল কয় না-- শুধুই লাফাতে থাকে। আরিফ আবার বলে ব্যাঙ কথা কয় না, খালি লাফ দেয়। গ্রামের বৌগণ বললো ওতেই হইব। আমরা সবাই মিলে আনন্দ করতে করতে দুটো ব্যাঙকে বাঁশ ঝারে ছেড়ে দিলাম।

তারপর আমাদের বাড়ির সাথে লাগোয়া জমিতে খিঁচুরি রান্না করলাম। গ্রামের ছোট ছেলেরা কলাপাতা কেটে ছোট টুকরা করে সুন্দর করে গুছিয়ে রাখলো। অনেকে বলছে-- ইস ! কলাপাতায় খিচুরী খামু-- আমাকে একটু বেশিই দিতে হইব।

আকাশে তখন মেঘের ঘনঘটা । আমাদের চোখে মুখে খুশির ঝিলিক -- মেঘ ভাসছে আকাশে----, রোদের তাপ নেই, বাতাসটা ঠান্ডা হয়ে গায়ে লাগছে। সেকি শান্তি !!! আমরা ভাবলাম--এই রান্না গ্রামের সবাইকে একটু একটু করে খাওয়াব। রান্না করেই পুকুরে সকলেই নামলাম। সেকি ডুব সাঁতার আর ঝাপ দেয়া। মেঘ নেমে এল বৃষ্টি হয়ে। তুমুল বৃষ্টি!! আমরা সবাই মিলে রান্না করা খাবারের কাছে গেলা। ইস! সব বৃষ্টির পানিতে একাকার হয়ে গিয়েছে। সবাই মিলে জোরে জোরে চিৎকার করে কান্না করতে লাগলাম। আমাদের কান্না দেখে ভাই বলল,’ তোমরা যদি কান্না কর তাহলে আবার বৃষ্টি শুকিয়ে রোদ হয়ে যাবে, আর কোন দিনই বৃষ্টি নেমে আসবে না এই গ্রামে”। আমরা কান্না থামালাম। আশেপাশের বউঝিরা এসে বলল,” মেঘ আইছে এইডাই বড় কতা, খাওন দাওন বড় কতা নারে মাইয়ারা’। কিন্তু এত কষ্ট কইরা সবাই মিলা রান্না করলাম !!!! আমার গ্রামের এক বড় বোন বলল,” ভালই হইছে । খিচুরীতে নুন দিতে ভুইল্যা গেছিলাম। আমাদের এক বান্ধবী চোখ কপালে উঠায়ে বললো,” তাইলেতো ভালই অইছে, আর কোন দিনই মেঘ নামামু না-”। ভাই বলল,” তোমাদের কথায় বৃষ্টি নামে না--বৃষ্টি নামে তার আপন গতিতে--এখানেই প্রকৃতির লীলাখেলা !! ভূগোল বইটা তোমরা ভাল করে পড়বে--”। এখানেও আবার ভাইয়ের পড়া আর পড়া। মা বললো, " শোন মাইয়ারা! বৃষ্টি নামে আল্লাহর হুকুমে, অনেক মানুষ মন প্রাণ ঢাইলা আল্লাহর কাছে বৃষ্টির জন্য কয় দিন ধইরা দোয়া করছে। তোমরা আনন্দ করছো, ব্যাস! যথেষ্ট হইছে।

আমি বাড়ির দিকে হাটা শুরু করলাম । কিন্তু বার বার ঐ কষ্ট করে রান্না করা খাবারের দিকে তাকাচ্ছিলাম । তখন আকাশ ভেঙ্গে বৃষ্টি পড়ছে গাছের ডালে, টিনের চালে, রাস্তাঘাটে। অনেক দিন পরে পুকুরের পানি বৃষ্টির সাথে যেন লুকোচুরি খেলছে। সব মান অভিমানের যেন অবসান হয়েছে। আমার সব কষ্টগুলো যেন গলে গলে বৃষ্টির পানির সাথে একাকার হয়ে গেল। ।

মন্তব্য ২৪ টি রেটিং +১০/-০

মন্তব্য (২৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৫:১৭

মায়াস্পর্শ বলেছেন: লেখায় অনেক স্মৃতি মনে পরে গেলো। আমরা ঠিক একিভাবেই এমন করতাম।
ভালো লাগলো অনেক।

২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১০:২৪

লাইলী আরজুমান খানম লায়লা বলেছেন: ছোট বেলার স্মৃতিগুলো মনে পড়লে আসলেও মনটা এমনিতেই ভালো হয়ে যায়। আপনারাও ছোট বেলায় বৃষ্টির জন্য এমনটি করতেন শুনে ভালো লাগলো।
অনেক অনেক শুভকামনা রইলো প্রিয় লেখক।

২| ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:৪৬

ভুয়া মফিজ বলেছেন: পুরো ঘটনাটা পড়ে মজা পেলাম। যেভাবেই হোক, অপারেশান সাকসেসফুল হয়েছিল..........এটাই বড় কথা। ''ব্যাঙ এর বিয়ে'' কথাটা অনেক শুনেছি। এই প্রথম বিতং করে জানলাম। ব্যাঙটা কবুল না বলে যে লাফাচ্ছিল..........আমার ধারনা খুশীতে লাফাচ্ছিল। প্রিয়জনকে পাওয়া তো কম কথা না, কি বলেন!!! :P

বাই দ্য ওয়ে, ছোটবেলায় আপনারা বড়লোক ছিলেন, এখন কি অবস্থা? :-B

কিছু মনে নিয়েন না; এতো চমৎকার একটা লেখায় বেশ অনেকগুলো বানান ভুল, এটা মেনে নেয়া যায় না। বানানের কারনে একটা দারুন লেখাও অনেক সময়ে সাধারন মানের হয়ে যায়।

২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১০:৩৫

লাইলী আরজুমান খানম লায়লা বলেছেন: আপনার মন্তব্য পড়ে হাসতেই আছি-- :) :D =p~ । হুমম ব্যাঙের বিয়ে বলে কথা !!!! ছোট বেলার এসব স্মৃতিকথা মনে পড়লে হাসতে থাকি।
আসলে আমার দাদার ছিল প্রচুর জমি। আগে যার যত জমি থাকতো তার তত পাওয়ার থাকতো। আমার বাবা এবং কাকা আসলে কোন জমিই আর কিনেন নাই। তারা দাদার জমিই ভাগাভাগি করে নিয়েছেন। আর আমার ভাইয়েরা এবং চাচাত ভাইয়েরা সকল জমি বিক্রি করতে করতে তলানিতে নিয়ে এসেছে। যাইহোক সে অনেক কথা ----
বানানের ব্যাপারে আমি খুবই অসতর্ক। এটা আসলে ঠিক নয়। জী ! আমি এখন হতে এ ব্যাপারে সতর্ক হতে চেষ্টা করবো ভাই।

৩| ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ২:৫৯

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:




মেঘ ভাসে বৃষ্টি নামে , খুব ভাল ও হৃদয়শ্পর্শী লেখা ।

আমরাও ছোটকালে চৈত্রের মাঠ ঘাট ফাটানো দাবতাহে
মেঘের জন্য মাদ্রাসার বড় মাঠে বৃষ্টির জন্য দোয়ার
আয়োজন করার লাগি টাকা পয়সা দান হিসাবে বাড়ী
বাড়ী হতে তোলার জন্য দল বেধে এই গানটি গেয়ে
চাদা তুলতে যেতাম । মাদ্রাসার মাঠে বৃষ্টির জন্য
সমবেতভাবে সকলের দোয়ায় বাড়ী ফিরতে না
ফিরতেই আকাশে দেখা যেতো মেঘের আগাগোনা ,
অনেক বছর মাঠ হতে বাড়ী ফিরার পথেই ফোটায়
ফোটায় বৃষ্টি শুরু হত , তাতে কি যে ভাল লাগত ।

শুভেচ্ছা রইল


২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১০:৪০

লাইলী আরজুমান খানম লায়লা বলেছেন: বৃষ্টি নামার বিষয়ে আপনার ছোট বেলার অভিজ্ঞতা জেনে ভীষণ আনন্দিত হলাম। শৈশব এবং কৈশরে আমরা কত কাজ আনন্দের সাথে করতে পারতাম। আর এখনকার শিশুরা তা পারে না। তারা যেন অনেকটা ফার্মের মুরগীর মতই বড় হচ্ছে--কত আনন্দ হতে তারা বঞ্চিত হচ্ছে।
আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইলো।

৪| ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:০৩

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: আমাদের এখানেও এমন হত ব্যাঙা ব্যাঙির বিয়ে হত। এক দল ছেলে এই কাজ করতো

২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:১২

লাইলী আরজুমান খানম লায়লা বলেছেন: আপু ! আপনার অভিজ্ঞতার কথা জেনে আনন্দিত হলাম। আমাদের এখানে শুধুমাত্র ছোট মেয়েরা এই কাজ করতো, ছোট ছেলেরা অন্যান্য কাজে সহযোগিতা করতো। কত আনন্দ করে যে আমরা এইসব কাজ করতাম তা বলে বোঝাতে পারবো না।
অনেক অনেক দোয়া রইলো প্রিয় আপু।

৫| ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:১৩

রানার ব্লগ বলেছেন: শৈশবের স্মৃতি সব সময় সুন্দর । হোক তা কষ্টের বা বেদনার ।

২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:৩৭

লাইলী আরজুমান খানম লায়লা বলেছেন: আপনি ঠিকই বলেছেন ভাই। শৈশবের স্মৃতিগুলো মনকে বার বার নাড়িয়ে দেয়-মাঝে মাঝে মনটাকে ভাললাগায় ভরে যায়।
শুভকামনা রইলো।

৬| ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:২০

আহমেদ রুহুল আমিন বলেছেন: আমার মন্তব্যটি ধর্মীয় মূল্যবোধবিহীন সেটা আগেই বলে রাখছি । আসলে মেয়েরা জীবন সৃষ্টির একটি অংশ বলে তারা আমাদের প্রকৃতিরও একটি অংশ । এই প্রকৃতিকে টিকিয়ে রাখতে বৃষ্টির পানি যেমন অপরিহার্য্য তেমনি জীবনের স্বাভাবিক পরিস্থিতি ঠিক রাখতে সেই বৃষ্টির আলিঙ্গন ঘটাতে ছেলেদের থেকে মেয়েদের বিশেষ করে উঠতিবয়সী অবিবাহিত মেয়েদের দিয়ে প্রকৃতি তথা সৃষ্টিকর্তার কাছে ব্যাঙের বিয়ে ঘটানোর মাধ্যমে এইসব আয়োজন করা হতো সেইসময় । এখনও প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে এই সংস্কৃতি চালু আছে...।

২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৪৮

লাইলী আরজুমান খানম লায়লা বলেছেন: আপনার গঠণমূলক মন্তব্যের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ। আগে আমাদের এলাকায় এমন প্রচলন ছিল যে ছোট মেয়েরা ব্যাঙের বিয়ে দিলে এবং তাদের দ্বারা রান্না করা খাবার খেলে বৃষ্টি আসবে। আসলে এটা ঐ সময় এক ধরনের কালচার ছিল। আগে মানুষের মধ্যে এত সচেতনতা ছিল না। এখন আমাদের এলাকায় আর ব্যাঙের বিয়ে দেয় না। কারণ এখন প্রায় প্রতি বাড়িতে টিভি আছে, প্রায় সবাই মোবাইলে চালায়। তথ্যকেন্দ্রিক যোগাযোগের কারণে অনেক কুসংস্কারগুলো ধীরে ধীরে বিদায় নিচ্ছে।

আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইলো।

৭| ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১০:৪৩

শায়মা বলেছেন: এত মজার একটা লেখা!! এমন লেখাও এখনও কেউ কেউ লেখে!! অনেক মজা লাগলো আপুনি!! আমি কিন্তু সত্যিই স্বপ্নেও ভাবতে পারি না ব্যাঙ ধরে মানুষ জোর করে বিয়ে দেয় তাদেরকে। শুনেই আমার ভয়ে ব্যাঙের মতই লাফ দিয়ে ওঠার অবস্থা। তবে কুলোয় করে চাল ডাল যোগাড় করে মানত করা শিন্নী দেওয়া এসব আমি রুপাই সাজু নক্সী কাঁথার মাঠ, সোজন বাঁধিয়ার ঘাট নৃত্যনাট্য করতে গিয়েই শিখেছিলাম।

লেখাটা প্রিয়তে রাখলাম আপুনি!

২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৭

লাইলী আরজুমান খানম লায়লা বলেছেন: আপনার এত সুন্দর মন্তব্য পেয়ে ভীষণ খুশি হলাম। আমাদের এলাকায় আগে এই পদ্ধতিতে বৃষ্টি নামানোর চেষ্টা করা হতো আপু। এতে এলাকার বড়দের প্রচ্ছন্ন সাপোর্ট থাকতো। যখন এটা করা হতো তখন এলাকায় এক ধরনের আনন্দের বন্যা বয়ে যেত।

এই নগন্য অধমের লেখা আপনার প্রিয়তে স্থান পাবে ! এটাতো আমার জন্য বড় সৌভাগ্যের ব্যাপার আপুনি ! আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইলো।

৮| ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:১৭

করুণাধারা বলেছেন: খুবই চমৎকারভাবে লিখেছেন। ব্যাঙের বিয়ের কথা শুনেছি, কিন্তু তার বিশদ বিবরণ এভাবে পড়া হয়নি কখনো। এখনো কি গ্রামের শিশুরা এইসব আনন্দ করে!!

২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৪১

লাইলী আরজুমান খানম লায়লা বলেছেন: আপনার সুন্দর মন্তব্য পেয়ে খুশি হলাম। এখন গ্রাম আগের মত নেই। গ্রামে এখন ঘরে ঘরে টিভি, ইন্টারনেট বাসা বেঁধেছে। গ্রামের ছেলে-মেয়েরা এখন শহুরে পদ্ধতিতে জীবন-যাপন করতেই বেশি পছন্দ করছে। অনেক কালচার এখন ধীরে ধীরে বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে। আগে কত সুন্দর ছিল আমাদের গ্রামীন জীবন !!
আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইলো।

৯| ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৪১

শায়মা বলেছেন: আহা এমন করে বলছো যেন আমি এমনই এক বিরাট কিছু!!!!!!!!!!

এমন করে বলবা না !!!!! তুমি আসলেও অনেক ভালো লেখো বুঝাই যাচ্ছে!!!

অনেক ভালোবাসা আপুনি!!!!!!!

২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৪৯

লাইলী আরজুমান খানম লায়লা বলেছেন: শায়মা আপু ! সেই কত বছর আগের কথা। তখন বড় বড় ব্লগারদের পদাচরণায় ব্লগ মুখরিত থাকতো। সেই সময় নিয়মিত ব্লগে আসতাম, মাঝে মাঝে ছিটেফোটা লিখতাম। অন্যান্য ব্লগারদের লেখা পড়তাম। কত গঠণমূলক লেখা থাকত। কত গঠনমূলক কমেন্টস থাকতো। তখন ব্লগারদের মাঝে তর্ক হলেও তাতে একটা সুন্দরতম ভাব থাকতো। আমি কিন্তু তোমার লেখা পড়তাম। তোমার প্রতিটি লেখায় থাকতো নতুনত্ব। আমরা অপেক্ষা করতাম তোমার লেখার। তুমিই আমাদের সেই শায়মা আপু ! অন্তরের মধ্যখানে সেই মিষ্টি শায়মা আপুই আছো।

তোমার জন্যও ভালোবাসা পাঠিয়ে দিলাম প্রিয় আপুনি।

১০| ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৩৭

মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: আমি তখন ছোট (প্রাইমারীতে পড়ি) এমন করতে দেখেছিলাম আমার মামার বাড়ির দিকে। বাড়ি বাড়ি ওদের সাথে যাওয়ার জন্য পিছু নিতাম। আহা মনে করিয়ে দিলেন সেই শৈশব! অনেক ভাল লাগা থাকল পোষ্টে। শুভ কামনা নিরন্তর।

২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:২৫

লাইলী আরজুমান খানম লায়লা বলেছেন: শৈশবের দিনগুলো আসলেও কত আনন্দময় ছিল। মাঝে মাঝে মনের খাতা খুলে শৈশবে হারিয়ে যাই ।
প্রিয় ব্লগার ! আপনি ভালো আছেন তো ! আপনার শরীর ভালো আছে তো ! এখন লিখছেন না কেন ! যার লেখা এত সুন্দর, এত গঠণমূলক--সে কেন লিখছে না ! লিখুন সুজন ভাই। মন খুলে লিখুন। অনেক দিন ধরে আপনার নতুন লেখা পড়ি না। আপনার নতুন লেখা পড়তে চাই।
আপনার জন্য অনেক অনেক দোয়া রইলো।

১১| ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:২২

শায়মা বলেছেন: তো এখন আর আমার লেখা পড়োনা কেনো!!!! :-B

২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:৪৬

লাইলী আরজুমান খানম লায়লা বলেছেন: আপু ! এখন ব্লগে আসি, তবে তেমন একটা সময় নিয়ে আসি না। ব্লগে আসি, এক ঝলক দেখেই চলে যাই। আর তাই অনেক প্রিয় ব্লগারের লেখা তেমন পড়া হয় না। তোমার লিখা শেষ পোস্টটা পড়লাম। অসাধারণ সব ছবি আর শক্তিধর লেখনীর ছড়াছড়ির সেই গল্পে। মনটা আনন্দে ভরে উঠলো।
তোমার জন্য ভালোবাসা রেখে গেলাম গো আপু।

১২| ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৩৮

এম ডি মুসা বলেছেন: বাস্তব, আল্লাহ মেঘ দে পানি দে গানের কথা গুলো আসলেই, দোয়া দরুদ মত

০২ রা মে, ২০২৪ সকাল ৯:৪৭

লাইলী আরজুমান খানম লায়লা বলেছেন: ছোট বেলায় এই গানটা অনেক গাইতাম-বিশেষ করে বৃষ্টি যখন হতো না, চারিদিকে কাঠফাটা রোদ, জীবনে যেন ত্রাহি ত্রাহি অবস্থা তখন আমরা ছোটরা এই গানটি বেশ গাইতাম।
আল্লাহ আপনাকে সব সময় ভালো রাখুন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.