| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
র্যাবের আরেকটি কল রেকর্ড থেকে জানা যায় যে, লেফটেন্যান্ট কর্নেল আব্দুল মুকিম সরকার (সিও ২৫ রাইফেল ব্যাটেলিয়ন, পঞ্চগড়) যিনি পিলখানায় দরবারে যোগ দিয়েছিলেন এবং অক্ষতভাব বেচে গিয়েছিলেন, তাকে ২৫ তারিখ রাত সাড়ে ন'টায় সুবেদার মেজরকে বলতে শোনা গিয়েছিল, " আমাদের নির্দেশ হলো সৈনিকদের যাতে কোন ক্ষতি না হয়। যারা পালিয়ে গেছে তো গেছে-- আপনারা ডিএডি সাহেবকে নিয়ে ভাল থাকেন; আর কোন বাহিনী যাতে ভিতরে ঢুকতে না পারে। ডিএডি সাহেবকে এনাদের সাথে কথা বলতে বলবেন--। " যা ডিএডি তৌহিদকে ভারপ্রাপ্ত ডিজি হিসাবে তাপসের ঘোষণার কিছু পরে হয়েছিল। স্পষ্টভাবেই সরকার এ ষড়যন্ত্রে জড়িত ছিল; তবে সে কোন আদেশ দিয়েছিল? ঘটনা হচ্ছে, লেফটেন্যান্ট কর্নেল শামস্ ও কামরুজ্জামানের মত লেফটেন্যান্ট কর্নেল সরকার অক্ষত ছিল বলে বোঝা যায়।
তাদের প্রাথমিক তদন্তকালে ভাড়াটে বিদেশী খুনীরা যে জাল ইউনিফর্ম পরিধান শেষে ফেলে গিয়েছিল তার প্রস্তুতকারী দর্জি ও দর্জির দোকান র্যাবের কর্মকর্তারা খুজে পেয়েছিল। সে সকল খুনীদের পিলখানা থেকে পলায়নে ও এয়ারপোর্টে যাবার কাজে ব্যবহৃত এমবুলেন্স ও মাইক্রোবাস সম্পর্কে তারা তথ্য নিতে পারত। মাইক্রেবাসগুলোতে ভূয়া নম্বর প্লেট ছিল এবং সেগুলোর চালক ও মালিকদের খুজে বের করা কঠিন ছিল। তবে নিদেনপক্ষে তারা এ ঘটনা বুঝতে দিয়েছিল যে, আওয়ামী লীগের একজন সহানুভূতিশীল ব্যক্তি রেড ক্রিসেন্ট হাসপাতালকে সামাল দিয়েছিল এবং প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসকের মেডিকেল ক্লিনিক থেকে এমবুলেন্স সরবরাহ প্রশ্নসাপেক্ষ ছিল। পিলখানা হত্যাকান্ডের প্রকৃত সত্য বেরিয়ে আসতে শুরু করলে ডিজি ডিজিএফআইয়ের ফজলে আকবর ব্যক্তিগত ব্রিফিংয়ে ঘটনার সাথে আওয়ামী লীগের সংশ্লিষ্টতা বাদ দিয়ে তদন্ত কার্যক্রম চালানোর জন্য তার কর্মকর্তাদের নির্দেশ দানের কথা জানান। কিছু জুনিয়র কর্মকর্তা গুঞ্জন করতে থাকেন, যারা বিরোধী বলে চিহ্নিত তাদেরকে দ্রতু ডিজিএফআই থেকে অন্যত্র সরিয়ে দেয়া হয়; বাকীদের কাছে সংবাদটি অক্ষুণ্ণ থাকে। মার্চের শুরু থেকে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মামুন খালেদের নেতৃত্বে ডিজিএফআই টিম সকল টিভি চ্যানেল ও সংবাদপত্রে কাজ শুরু করেন যাতে অপ্রিয় সত্য বেরিয়ে আসতে না পারে।
র্যাবের লেফটেন্যান্ট কর্নেল মজিদ এবং মেজর হামিদ বিদ্রোহ ও হত্যাকান্ডে আওয়ামী লীগের সংশ্লিষ্টতার দৃঢ় প্রমাণ সংগ্রহ করেছিলেন। মজিদকে সরিয়ে প্রধানমন্ত্রীর চাচাতো ভাই শেখ হেলাল এম.পির ঘনিষ্ট আত্মীয় মেজর আজিমকে র্যাবের গোয়েন্দা বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক করা হয়েছিল, একইসাথে হামিদকে র্যাব থেকে বদলী করা হয়েছিল। দায়িত্ব নিয়ে আজিম, যিনি পরবর্তী পদে পদোন্নতি লাভের অযোগ্য বলে বিবেচিত ছিলেন, মেজর আতিককে পিলখানা হত্যাকান্ডের সাথে জেএমবি, বিএনপি অথবা অন্য কোন সামরিক সংস্থার সাথে যোগাযোগ করতে নির্দেশ দেন। তাছাড়া মজিদ ও হামিদের সংগৃহীত সকল অবৈধ রূপে প্রতীয়মাণ আলামত তিনি ধ্বংস করে ফেলেন।
সে সময়ে নানকের উপরস্থ এলজিআরডি মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম প্রকাশ্যে বিদ্রোহের সাথে জেএমবি বা কোন স্বাধীনতা বিরোধী চক্রের যোগসাজশের প্রমাণ না পাওয়ার জন্য আর্মি তদন্ত বোর্ডকে তিরস্কার করেন। আজিমের নেতৃত্বে র্যাবের গোয়েন্দা শাখা মোকদ্দমাটি অনুসরণ করতে থাকে। হঠাৎ মাওলানা আব্দুস সোবহানকে নিরাপত্তা হেফাজতে নিয়ে র্যাবের হেফাজতে রাখা হয়। প্রধানমন্ত্রী যাকে তদন্ত সমন্বয়ের দায়িত্ব দিয়েছিলেন সেই লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অবঃ) ফারুক খান দাবী করেন যে, বিদ্রোহে কিছু ইসলামী সন্ত্রাসী জড়িত রয়েছে। আজিমের পরিকল্পনা ছিল মাওলানা সোবহানকে চাপ প্রয়োগ করে মিথ্যা জবানবন্দি নেয়া যে, হত্যাকান্ডে ইসলামী জঙ্গীরা জড়িত রয়েছে। সে সময় ঢাকার একটি দৈনিকে তদন্ত প্রতিবেদনে মন্ত্রীর দাবীর বিরুদ্ধে বেশ কিছু তথ্য প্রমাণ উপস্থাপন করা হয়। প্রতিবেদনটি ছিল যথার্থ; যাতে হত্যাকান্ডে সাথে ইসলামী জঙ্গীর জড়িত থাকার বিষয়টি সরকারকে পরিত্যাগ করতে বলা হয়। তখন আব্দুস সোবহানকে নিরাপত্তা হেফাজত থেকে ছেড়ে দেয়া হয়। কিছুদিন পরে কয়েকজন দলীয় সদস্য নিয়ে সে প্রধানমন্ত্রীর সাথে সাক্ষাৎ করে সরকারের সাথে সংহতি প্রকাশের ঘোষণা দেন।
কারা ছিল পিলখানা হ'ত্যাকাণ্ডের নেপথ্যে
তাদের এ অভিযানের ধারাবাহিকতায় এলপিআর থেকে আব্দুল কাফফার আকন্দকে ফিরিয়ে এনে সিআইডির তদন্ত টিমের প্রধান করা হয়; যিনি প্রধানমন্ত্রীর একজন চেনা সমর্থক বলে পরিচিত। দু'দশক আগে একদল তরুণ সামারিক কর্মকর্তা কর্তৃক প্রধানমন্ত্রীর পিতার হত্যাকান্ডের এফআইআর তদন্তে তার সাফল্য তেমনটি ছিল না। বিগত সাধারণ নির্বাচনে একটি আসনে প্রার্থিতার জন্য তিনি আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চেয়েছিলেন তবে এলপিআর এ থাকার কারণে তিনি দাড়াতে পারেননি। তাই স্পষ্টতঃই তার দলীয় আনুগত্য ও তদন্তকারী হিসাবে অলৌকিক দক্ষতা প্রদর্শনকে অস্বীকার করার জো নেই; পিলখানা হত্যাযজ্ঞে তার দায়িত্ব ছিল সহজ; যাতে সামরিক তদন্তের প্রামাণ্য আলামত থেকে বেরিয়ে আসা সকল গুরুত্বপূর্ণ আলামত ধ্বংস করা যায়
পিলখানায় র্যাবকে ঢুকতে বাধা দেন যে কর্মকর্তা
১০ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১০:৪২
মেহেদী আনোয়ার বলেছেন: ভাই, এরা তো মানুষ না। এরা আওয়ামীলীগ। এইটা আপনাকে বুঝতে হবে। এদেরকে আওয়ামীলীগ আর হাসিনার অপকর্মের প্রমান, সাক্ষ্য, লাইভ ভিডিও ইত্যাদি যাই দেখান না কেন এরা এইটারে গ্রহণই করবে না, মেনে নেওয়া, অনুশোচনা তো বহু দূরের কথা। এরা দলকানা না। দলকানাও অন্তত দলের বা নেত্রীর অপকর্মের কথা "ভুল হইসে" বলে নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে। হাসিনা হচ্ছে একজন সাইকোপ্যাথ আর এর অনুসারীরা হচ্ছে "সেলফ ডিনায়াল "নামক মানসিক ব্যাধিতে আক্রান্ত। এদের কাছে আয়নাঘর স্ক্রিপ্টেট, ৫ আগস্ট ষড়যন্ত্র, হেলিকপ্টার দিয়ে গুলি করা মিথ্যা, আবু সাঈদ AI দিয়ে বানানো, মুগ্ধ ইমাজিনেশন, রিয়া গোপ মিথ্যা, শহীদ ইয়ামিন সন্ত্রাসী, বাংলাদেশ নতুন জঙ্গিস্থান, রিকশার পা-দানিতে থাকা শহীদ নাফিস মিথ্যা, শহীদ নাইমা-নাফিসা মিথ্যা, স্নাইপার দিয়ে গুলি চালানো বানোয়াট, কোটি জনতা মিথ্যা!! শুধু সত্য হচ্ছে ওগো নেত্রী, পিও আপার অমর বাণী- "কি দোষ ছিল আমার?"
"স্বজন হারানোর বেদনা যে কত কঠিন...... " আর সত্যি চট করে ঢুকে পট করে দেশের প্রধানমন্ত্রী হওয়া এবং স্লোগান "জিতবে এবার নৌকা" । হিটলার এর মৃত্যুর মাধ্যমে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সমাপ্তি এবং বিশ্বের অন্যতম পরাশক্তির অবস্থান থেকে জার্মানির পতনের পর জার্মানির লোকজন কি ভেবে ছিল "হিটলারের সময়ই ভালো ছিলাম" ? যদি এমনটা ভাবতো তাহলে তারা বর্তমান বিশ্বের অন্যতম উন্নত দেশে পরিণত হতো না। কিন্তু এরা এমনটাই ভাবে। এদের জাস্ট সামাজিক ভাবে ইগনোর করুন আর এই গান শুনুন https://youtu.be/xuwENbU4xkk
২|
১০ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:০১
একজন নিষ্ঠাবান বলেছেন: বিডিআর হত্যাকান্ড জাতির মেরুদন্ড ভাঙ্গার সামিল।
৩|
১০ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:৩৬
কিরকুট বলেছেন: সেবা প্রকাশনী আপনাকে খুজতেছে ।
৪|
১১ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:২৮
রাজীব নুর বলেছেন: না এখানে আওয়ামীলীগের কোনো দোষ নাই।
©somewhere in net ltd.
১|
১০ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ২:৪৬
যারীন তাসনীম আরিশা বলেছেন: আওয়ামীলীগের লোকজন ইহা বিশ্বাস করেনা।