নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার তুলনা আমি নিজেই

মাসুুদুর রহমান

বিখ্যাত হওয়ার চেয়ে চরিত্রবান হতে চাই কারণ আমি চরিত্রপিপাষূ।

মাসুুদুর রহমান › বিস্তারিত পোস্টঃ

হিন্দু- তোরা কেন অপমান করিস?

২০ শে জুন, ২০১৬ দুপুর ১:১২

হিন্দু
তোরা কেন ভারতীয়দের কাছে আমাদের অপমান করলি?
আমি লজ্জিত।
ঘৃণায় নিজেকে আপাদমস্তক মাটিতে মিশিয়ে দিতে মন চায়।
এই দেশটা কি তোদের আমাদের সবার না?
তবে আমাদের অভ্যন্তরীন ব্যপারে কেন ভারতের হস্তক্ষেপ চাস?
তোরা হিন্দু কিন্তু আমাদের দেশটা তো হিন্দু মুসলিম বুঝে না তাহলে কেন আজ আমাদের ঘরের ব্যাপারে অন্যের সাহায্য চাস?
বুঝলাম এ দেশের সরকার ব্যর্থ তাই বলে আমাদের সংসারের কথা ভারতকে জানাতে হবে?
কয়েকদিন আগেই তো - ভারতে মুসলমান মারা হলো, কি কারনে মনে আছে?
তবে তোরা কিভাবে ভুলে গেলি?
তবে কি এখনো তোরা এই দেশটা কে আপন ভাবিস না?
অনেক লজ্জা পেয়েছি বাংলাদেশে বসবাস করা হিন্দু তোদের বক্তব্য শুনে।
আমি সরি- আমি ভেবে বসছিলাম তোরা বাঙালী, হিন্দু নয়।

আমার ব্লগ

মন্তব্য ৭ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৭) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে জুন, ২০১৬ দুপুর ১:৪৯

প্রািন্ত বলেছেন: “অনেক লজ্জা পেয়েছি বাংলাদেশে বসবাস করা হিন্দু তোদের বক্তব্য শুনে”। চমৎকার! কি সুন্দর প্রগতিশীল বক্তব্য। ভাই, এদেশের হিন্দুদের জ্বালাটা বোঝেন? এ দেশটা হিন্দুদের। অন্ততঃ ইতিহাস তাই বলে। বৃটিশ বিরোধী আন্দোলনে এদেশের হিন্দুরা জীবন দিয়েছিল অকাতরে। ইংরেজের গুলিতে ও ফাঁসিতে প্রাণ দিয়ে ছিল এই বাংলার হিন্দুরা। কিন্তু তারা কি পেল? ইংরেজদের সাথে পিরিত করে সাম্প্রদায়িতকার জনক মোহাম্মদ আলী জিন্না জন্ম দিল পাকিস্তান নামক অবৈধ সন্তানের। সেখানে হিন্দুরা চরম ভাবে নিগৃহিত হলো। তাদের উপাধি হলো “মালাউন”। আবার স্বাধীনতার ৪৫ বছর পরেও একশ্রেণী পথভ্রষ্ট ধ:র্মের নামে হিন্দুদের মারছে। তারা থেকেও যাচ্ছে ধরা ছোয়ার বাইরে। এদেশের সরকার কিছু করতে পারছেনা। তাহলে তারা যাবে কোথায়?

২| ২০ শে জুন, ২০১৬ দুপুর ২:১৮

মাসুুদুর রহমান বলেছেন: ভাই? ভারতেও তো গরুর মাংসের নামে মুসলমান মারলেন। কই তখন তো তারা আন্য দেশের কাছে হাত বাড়ায় নাই! এ দেশে মুসলমানদেরও কি মারা হয়নি?

৩| ২০ শে জুন, ২০১৬ দুপুর ২:২১

এই আমি রবীন বলেছেন: জনাব মাসুদ, সবাইকে তুই-তোকারী করার অধিকার আপনাকে কে দিয়েছে?
আপনার ব্যাবহারে আপনার, আপনার বংশের ও আপনার র্ধমের পরিচয় দিলেন।

৪| ২০ শে জুন, ২০১৬ দুপুর ২:২৭

মাসুুদুর রহমান বলেছেন: ভাই রবিন? "তুই" শবদটা নেগেটিভলি নিবেন না। শবদটা দিয়ে আমি এটাই বুঝাতে চেয়েছি- হিনদুদেরও আমরা খুব কাছের মানুষ ভাবি।

৫| ২০ শে জুন, ২০১৬ বিকাল ৪:৪৪

শিশিরসিক্ত বলেছেন: @প্রান্ত#আপনি জিন্নাহকে সাম্প্রদায়িকতার জনক বললেন?কথাটা ঠিক নয়।উনি কখন,এবং কেন টু নেশান থিউরির প্রস্তাব করেছিলেন?তা আপনি নিশ্চুই জানেন?" ইংরেজদের সাথে পিরিত করে সাম্প্রদায়িতকার জনক মোহাম্মদ আলী জিন্না জন্ম দিল পাকিস্তান নামক অবৈধ সন্তানের"???। ১৯৩৭-৩৮ খ্রিঃ আগপর্যন্ত কি মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ মুসলমানদের জন্য পৃথক রাষ্ট্রের কথা ভেবেছিলেন? ভাবেননি। কখন ভাবলেন?যখন দেখলেন সি আর দত্তের ব্যাংঘল প্যাক্ট মানে বাংলা চুক্তি হিন্দুদের প্রবল বিরোধীতার কারনে আকার্যকর হয় তখন।১৯২৮ খ্রিঃ নেহরু রিপোর্ট,১৯২৯ খ্রিঃ জিন্নাহর ১৪দফা,সবকিছুই সাম্প্রদায়িক সম্প্রতি বজায় রাখার চেষ্টা ব্যর্থ হয়।এবং জিন্নাহ প্রাদেশিক নির্বাচনের আগপর্যন্ত চেষ্টা করেছেন হিন্দু-মুসলিম ঐক্য বজায় রাখার জন্য।১৯৩৭ সালের প্রাদেশিক নির্বাচনের পর কংগ্রেস সভাপতি জওহর লাল নেহরুর "সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টকারী বক্তব্যের পরই ১৯৩৮ খ্রিঃ সিন্ধুতে প্রাদেশিক মুসলিম লীগ সভায় (হিন্দু-মুসলিম)দুই জাতী,অর্থাৎ টু নেশান থিউরি প্রস্তাব করেন।কারন ১৯৩৭ খ্রিঃ নির্বাচনের তিক্ত অভিজ্ঞতা এবং নির্বাচনের পরে বিজয়ী কংগ্রেস সভাপতির বক্তব্যে তিনি বুঝতে পারেন যে সংখ্যালঘু মুসলিম সমপ্রদায়ে আশা-আকাঙ্ক্ষা হিন্দু নেতৃবৃন্দের শাসনাধীনে বাস্তব রূপ লাভ করবে না। সার্বিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি, অতীতের তিক্ত অভিজ্ঞতা এবং মুসলমানদের স্বার্থের কথা বিবেচনা করে ১৯৩৯ খ্রিঃ জিন্নাহ তাঁর বহু আলোচিত-সমালোচিত দ্বি-জাতি তত্ত্বের ঘোষণা দেন।

৬| ২১ শে জুন, ২০১৬ দুপুর ২:০৭

প্রািন্ত বলেছেন: “মাসুুদুর রহমান বলেছেন: ভাই? ভারতেও তো গরুর মাংসের নামে মুসলমান মারলেন। কই তখন তো তারা আন্য দেশের কাছে হাত বাড়ায় নাই! এ দেশে মুসলমানদেরও কি মারা হয়নি?”

তা কি করে হয়? ১৯৪৭ সালে দেশ ভাগের সময়ও তো কোন মুসলমান ভারত ছেড়ে পাকিস্তান কিংবা বাংলাদেশে আসেনি। বরং মুসলমানরা এখনও ভারতে যায় স্থায়ী বসবাসের জন্য। আসামে ৪৯ লক্ষ এবং পশ্চিমবঙ্গে প্রায় ১ কোটি বাংলাদেশী মুসলমান রয়েছে। কারণ তারা জানে হিন্দুরা কতটা সহনশীল।

৭| ২২ শে জুন, ২০১৬ সকাল ১০:০৮

শিশিরসিক্ত বলেছেন: @প্রান্ত#"(১৯৪৭ সালে দেশ ভাগের সময়ও তো কোন মুসলমান ভারত ছেড়ে পাকিস্তান কিংবা বাংলাদেশে আসেনি। বরং মুসলমানরা এখনও ভারতে যায় স্থায়ী বসবাসের জন্য। আসামে ৪৯ লক্ষ এবং পশ্চিমবঙ্গে প্রায় ১ কোটি বাংলাদেশী মুসলমান।কারণ তারা জানে হিন্দুরা কতটা সহনশীল";)।???
১৯৪৭ সালে দেশ ভাগ হওয়ার জন্য হিন্দুরাই দায়ী। কারন মোসলমানরা হারে হারে টের পেয়েছিল,যে হিন্দুরা কি!!!আপনি যখন বুঝবেন,আমার সাথে থাকলে আপনি কোন সুযোগসুবিধা পাবেননা,জীবনের,ধর্মের সব ব্যাপারেই ঝুকি আছে, তখন কি আপনি আমার সাথে থাকতে চাইবেন? তা চাইবেনা,এটাই বাস্তব।

আপনি বোঝাতে চাইছেন,মোসলমানেরা জানে হিন্দুরা ওদের প্রতি অনেক সহনশীল???

আসলেই কি হিন্দুরা মুসলিমদের প্রতি সহনশীল ছিল?না আছে?

সাম্প্রতিক সময়ে ভারতের বর্তমান সরকারের কিছু উগ্রপন্থী নেতাদের মুসলিম বিদ্বেষী মন্তব্য নিশ্চুই আপনি জানেন?বিজিপি নেতা, 'আদিত্যনাথ'বলেছেন,"মুসলিম মেয়েদের কবর থেকে তুলে ধর্ষণ কর"!!!

এটা মোসলমানদের প্রতি নিশ্চুই সহনশীলতার পরিচয়???

গুজরাটের মুসলিম নিধন দাঙ্গার কথা অবশ্য ভুলে যাওয়ার কথা নয়।এক মুসলিম মহিলার পেট কেটে ৯মাসের ভ্রূনকে বের করে আগুনে পুড়িয়েছিল মুদির দলের ঘনিষ্ঠ সহযোগী 'বাবু বজরঙ্গি'!!!গুজরাটে এখনো হাজার হাজার মুসলিম পরিবার ভিটেবাড়ী হারিয়ে বস্তিতে মানবেতর জীবনযাপন করছে!কত সরকার আসে যায়,অথচ ওদের পূনর্বাসনের কোন খবর নাই!দারুণ সহনশীলতা তাইনা???

বাবরীমসজিদ দাঙ্গায় প্রায় ৮০% মুসলিম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল!১৯৬১ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত ভারতে মুসলিম নিধন দাঙ্গায় শতকরা ৭৫% লোক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
কাশ্মিরে এই পর্যন্ত কত হাজার মুসলিমের প্রাণহানি ঘটেছে ইন্ডিয়ান আর্মির দ্বারা?৯০,০০০ হাজারের মতো!!!হিসেবের বাইরে আরোও অনেক।

হিন্দু মহাসভা নামে একটি সন্ত্রাসী সংঠন "ইসাম মুক্ত ভারত' চায়। ক্যাম্পেইন বানিয়ে রাস্তায় মিছিল করা নিশ্চুই সহনশীলতার পরিচয়?

মুসলিমদের প্রতি হিন্দুরা কখনই সহনশীল ছিলনা।তার একটা প্রমান দেখুন, বাংলাদেশ সরকারের সাবেক সচিব এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক জনাব আসাফউদ্দৌলাহ। ঢাকায় আয়োজিত আলোচনা সভায় স্মৃতীচারণ করতে গিয়ে তিনি বলেন, “পড়তাম ফরিপুর জেলা স্কুলে। কোনদিন ক্লাসে দ্বিতীয় ছাড়া প্রথম হতে পারিনি। প্রথম হলাম ১৯৪৮ সালে। হিন্দু শিক্ষকদের কাছে আমরা ছিলাম মোছলা। পাজামা পড়তাম বলে বলতো দোনালা। আমার নাম আসাফউদ্দৌলাহ, অথচ হিন্দুরা সে নামে না ডেকে বলতো ফসফসা। হিন্দু বন্ধুদের বাসায় গিয়েছি এবং একবার ভূলে বই ফেলে আসি। বই আনতে গিয়ে দেখি আমার বন্ধুর মা তীব্র ভাষায় গালী-গালাজ করছে। বলছে সব অপবিত্র হয়ে গেছে। আমি যেখানে বসেছিলাম সে জায়গা ও সে চেয়ার পানি ঢেলে ধুচ্ছে। হাফইয়ার্লী পরীক্ষার খাতায় বাবরকে ভারতের শ্রেষ্ঠ শাসক লেখেছিলাম। কেন চন্দ্রগুপ্ত, সমুদ্রগুপ্ত বা অশোক লিখলাম না সে অপরাধে আমাকে বেঞ্চের উপর দাঁড়াতে বলা হয়েছে। পিয়নকে দিয়ে হাতের তালুতে বেতের ঘা মারা হয়েছে।” হিন্দু মনে ঘৃনার মাত্রাটা এতটাই অধিক ছিল যে, মুসলমানদের পৃতৃদত্ত নামটাকেও তারা সঠিক ভাবে বলতো না। কোলকাতার হিন্দু পত্রিকাগুলো প্রখ্যাত মুসলিম লীগ নেতা ও দৈনিক আজাদ পত্রিকা সম্পাদক জনাব মাওলানা আকরাম খাকে বলতো আক্রমণ খাঁ। আরেক নেতা জনাব হোসেন শহীদ সোহরোয়ার্দীকে বলতো সুরাবর্দী।

ইতিহাস ঘাটলে আপনিও এমন হাজার হাজার প্রমান পাবেন যে আসলে ওরা কখনই মুসলিমদের কে আপন করে দেখেনি।মোসলমানদের জন্য ঘৃনা আর বিদ্বেষ ছাড়া ওদের অন্তরে কিছুই নেই।অন্তত ইতিহাস তাই বলে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.