নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সবার উপরে মানুষ সত্য

তাহার উপরে নাই

মিসকল মফিজ

ভালো আছি ভালো থেকো, আকাশের ঠিকানায় চিঠি লিখো।

মিসকল মফিজ › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমিও বিশ্বাস করি শেখ মুজিব জাতির পিতা: কর্নেল রশীদ

০৭ ই নভেম্বর, ২০০৭ সকাল ১১:২৭

বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলায় মৃতুদণ্ডপ্রাপ্ত ফেরারি আসামি বরখাস্ত লেফটেনেন্ট কর্নেল খন্দকার আব্দুর রশীদ বলেছেন, শেখ মুজিবুর রহমান জাতির পিতা। আর তখনকার মেজর জিয়াউর রহমানের যে ভূমিকা সেটা শেখ মুজিবুরের সঙ্গে তুলনীয় নয়। তাকে সে জায়গায় স্থান দেওয়ার চেষ্টা করা হলে সেটা হবে সংকীর্ণতা।



"জিয়ার ভূমিকা মুক্তিযুদ্ধে জোরালোভাবে সহযোগিতা করেছিল" উল্লেখ করে আব্দুর রশীদ বলেন, "আওয়ামী লীগ মনে করে শেখ মুজিব জাতির পিতা। আমিও এটা বিশ্বাস করি।" শেখ মুজিবের সঙ্গে জিয়ার তুলনা করা ছোট মনের পরিচয় মন্তব্য করে তিনি বলেন, "৭ মার্চের ভাষণ কি জিয়া দিয়েছে না মুজিব দিয়েছে। যারা জিয়াকে শেখ মুজিবের সঙ্গে সমপর্যায়ের বলতে চায়- সেটা অনেক ছোট মানসিকতা।" বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল আই-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে অকপটে নিজের এই উপলব্ধির কথা বলেছেন আব্দুর রশীদ। (আরও তথ্যসহ-২)



"আমি জিয়াউর রহমানের কনট্রিবিউশান অস্বীকার করছি না" জানিয়ে তিনি বলেন, "অনেক এখন জেনারেল জিয়াকে মুজিবের সমপর্যায়ে নিয়ে আসার চেষ্টা করছেন, কোন অবস্থাতেই তার ভ্যালিডিটি নাই।"



মঙ্গলবার রাত ১টায় চ্যানল আই এর 'তৃতীয় মাত্রা' নামের অনুষ্ঠানে সাক্ষাৎকারটি প্রচারিত হয়।



জনগণ ও রাজনীতিই ছিল মুক্তিযুদ্ধের শক্তি এবং পাকিস্তানিদের ভুলের কারণে মুক্তিযুদ্ধ অনিবার্য হয়ে দাঁড়িয়েছিলÑএই বিশ্বাস ব্যক্ত করে রশীদ বলেন "৭ মার্চের পর পাকিস্তান আর্মি যে ক্র্যাকডাউন করেছিল সেখানে তারা কি বাংলাদেশ আর্মির সঙ্গে ফাইট দিয়েছে না জনগণের সঙ্গে ফাইট দিয়েছে? মুক্তিযুদ্ধ ছিল ২৫ বছরের রাজনৈতিক সংগ্রামের ফল।



আব্দুর রশীদ বলেন, "৭ মার্চের ভাষণের সময় আমি সেখানে ছিলাম। আমি গাড়িতে ছিলাম। শেখ মুজিব বলেছিলেন, এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম। সেখানে জনগণের যে আকাক্সক্ষা, ফিলিংস দেখেছি তাতে মনে হয়েছিল তারা স্বাধীনতার জন্য প্রস্তুত।"



মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে তার সে সময়ের ভাবনার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, "স্বাধীনতা সংগ্রাম প্রয়োজন হয়ে দাঁড়িয়েছিল। যুদ্ধকে শেষ পর্যন্ত পরিণতির দিকে নিয়ে যাওয়া বাংলাদেশের সবার দায়িত্ব হয়ে দাঁড়িয়েছিল। এক পর্যায়ে পরিস্থিতি এমন হয়েছিল যুদ্ধ ছাড়া কোনো উপায় ছিল না। বাংলাদেশের জনগণ এমন একটি পর্যায়ে চলে গিয়েছিল।"



রশীদ জানান, ৭ মার্চ শেখ মুজিবের ভাষণের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তাকে পাকিস্তান চলে যেতে হয়েছিল। "তখন বুঝতে পারছিলাম বাংলাদেশ যুদ্ধের দিকে যাচ্ছে এবং দেশ স্বাধীন হবে।"



'২৫ মার্চ রাত থেকে ১৭ এপ্রিল মুজিব নগর সরকার গঠনের আগ পর্যন্ত সামরিক নেতৃত্বের অধীনে মুক্তিযুদ্ধ হয়েছে'Ñকর্নেল অলির পিএইচডি থিসিসের এই বক্তব্য সম্পর্কে তার কী মতামত জানতে চাওয়া হলে রশীদ বলেন, "আমি মনে করি যারা এ ধরনের কথা বলে তারা আত্মপ্রচারের জন্যই এটা বলে। এতে সত্যতা থাকতে পারে না। সামরিক বাহিনী যদি মনে করে তারা যুদ্ধ করবে তাহলে সেটা মুক্তি যুদ্ধ হয় না, সেটা হয় বিদ্রোহ।"



মুক্তিযুদ্ধে অবদান রাখার জন্য তিনি ভারতকে ধন্যবাদ জানান। তবে তার ভাষায়, "স্বাধীনতার পর ভারত যে কাজ করেছে সেটা বাংলাদেশের বিরুদ্ধে গেছে। সৈন্য রেখে দেওয়া এবং মিল কারখানার যন্ত্রপাতি নিয়ে যাওয়া তাদের ঠিক হয়নি।"



তিনি বলেন, "বাংলাদেশের মানুষ মুক্তিযুদ্ধে অবদান রাখার জন্য ভারতকে ধন্যবাদ জানাতে পারে। তার মানে এ নয় যে ভারতের সৈন্য বাংলাদেশে বসে থাকুক এটা তারা মেনে নেবে।"



ভারতীয় সৈন্যদের ফেরত পাঠানো সম্পর্কে তিনি বলেন, "এছাড়া বঙ্গবন্ধুর কোন উপায় ছিল না। যদি তারা না যেত তাহলে এ দেশের মানুষের সঙ্গে ভারতের সৈন্যবাহিনীকে যুদ্ধ করতে হতো।"



স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশের প্রতি ভারত বিরূপ আচরণ করছে জানিয়ে আব্দুর রশীদ বলেন, "বাংলাদেশ একটি ছোট দেশ হিসেবে স্বাধীন হয়ে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হোক সেটা তারা চায়নি। এটা না চাওয়ার কারণ হতে পারে যদি আমরা স্বাধীন দেশ হিসেবে দাঁড়িয়ে যেতে পারি তাহলে ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলো স্বাধীনতার জন্য অনুপ্রাণিত হবে।"



ভারতের সঙ্গে ২৫ দফা চুক্তির ব্যাপারে তার ভাষ্য, "চুক্তিতে কিছু কিছু ভুল ছিল।"



যুদ্ধাপরাধীদের বিচার সম্পর্কে তিনি বলেন, একবার কাউকে ক্ষমা করা হলে দ্বিতীয়বার তার বিচার চাওয়া উচিত নয়। আমার মতে মানুষের ভুলকে ক্ষমার চোখে দেখা ভাল। এটাকে এখন ইস্যু করা হলে জনগণের ঐক্য নষ্ট হবে। দেশ ক্ষতিগ্রস্ত হবে।



স্বাধীনতার পর জাতীয় সরকার গঠন করা হলে কি ভাল হতোÑএমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, "আওয়ামী লীগের যাত্রাটা ভালই ছিল। যুদ্ধের আগে তারাই নির্বাচনে জিতেছে। তাদের সরকার গঠন করা...এটা অন্যায় কোনো কাজ নয়। এরপর সংবিধান রচিত হয়। তাও ছিল গণতান্ত্রিক। সব ঠিকমতো এগিয়ে যাচ্ছিল। পরবর্তীতে সরকার ভুল করে।"



সাক্ষাৎকারের শুরুতে তিনি ফাঁসির দণ্ড মাথায় নিয়ে তার জীবনযাপনের কথা তুলে ধরতে গিয়ে বলেন, সত্যি কথা বলার সুযোগ এসেছে। দিনও এসেছে। ব্যক্তি স্বার্থের কথা চিন্তা করে কিছু করিনি। এমন কোনো কাজ করিনি যা বাংলাদেশের নাগরিক, বাংলাদেশ ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। মনের জোর আছে বলেই, আত্মবিশ্বাস আছে বলেই, দেশের অনেক মানুষের ভালবাসা আছে বলেই আমি ভাল আছি।



প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান "১৯৬৬ সালে কমিশন সেনাবাহিনীতে পাই। ১৯৬৯ সালে বিয়ে করি। যুদ্ধের সময় পাকিস্তানে ছিলাম। অক্টোবর মাসে ছুটিতে এসে নভেম্বরে মুক্তিযুদ্ধে যোগ দিই। এর আগে মুক্তিযুদ্ধে যোগ দেওয়া উচিত কি না, দেশ স্বাধীন হওয়া উচিত কি না তা ভেবেছি।"



চ্যানেল আই জানিয়েছে সাক্ষাৎকারের দ্বিতীয় পর্বটি বুধবার রাত ১টায় প্রচারিত হবে।

----------------------------



সংগৃহীতঃ বিডিনিউজ২৪ ডট কম থেকে

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +১/-১

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই নভেম্বর, ২০০৭ সকাল ১১:৩৬

পজিটিভ বলেছেন: এইতো দাদা, আপনে আপনার কাজ করছেন। কপি এবং পেস্ট।

২| ০৭ ই নভেম্বর, ২০০৭ সকাল ১১:৪১

চন্দন বলেছেন: আমাদের দেশে সেই ছেলে কবে ?
কপি পেস্ট না করে নিজের লিখা লিখবে ?

৩| ০৭ ই নভেম্বর, ২০০৭ দুপুর ১২:২৭

সুমি বলেছেন: প্প্ম্র +

৪| ০৭ ই নভেম্বর, ২০০৭ দুপুর ১২:৩৪

চন্দন বলেছেন: রশিদ হলো ভুত
আচমকা ভুতের মুখে রাম নাম শোনা যাচ্ছে না ?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.