নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

www.oputanvir.com

অপু তানভীর

আমার চোখে ঠোঁটে মুখে তুমি লেগে আছো

অপু তানভীর › বিস্তারিত পোস্টঃ

হুমায়ূন আহমেদ আমার জীবনের বড় একটা অংশ জুড়ে রয়েছেন

১৪ ই নভেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:৫৯



হুমায়ূন আহমেদের লেখা প্রথম যে বইটা আমি পড়েছিলাম সেটার নাম ছিল বোতলভুত। তখন ক্লাস সিক্সে পড়ি সম্ভবত। বইটার প্রথম কয়েকটা পাতা ছিল না। আমি বইটা পড়া শুরু করি ৩২ নম্বর পাতা থেকে। এই ব্যাপারটা আমার এখনও মনে আছে স্পষ্ট। কম করে হলেও ২৫ বছর আগের ঘটনা এটা। তারপরেও আমার মনে আছে। নানী বাড়ির মামাতো কোন ভাইবোনের বুকসেলফে বইটা ছিল। সেই বইটা সেদিন আমি পড়ে ফেলেছিলাম। যদিও আমার স্পষ্ট মনে নেই তবে সম্ভবত এই বইটাই আমার পড়া প্রথম উপন্যাস ছিল। অবশ্য ভুল হতে পারে। এই বইটার আগে ছোট গল্প টাইপেরই বইটই পড়েছি কিন্তু উপন্যাস পড়েছিলাম কিনা মনে নেই আজ।
এরপর ক্লাস সেভেন আমি স্থানীয় পাব্লিক লাইব্রেরীর সদস্য হই। সেখানে অবশ্য প্রথম দুই বছর আমি কেবল কিশোর ক্লাসিক বইগুলোই পড়েছি। এরপর ক্লাস এইটের শেষের দিক একদিন আমি লাইব্রেরিয়ানকে একটা ভুতের বই দিতে বলি। কারণ ততদিনে লাইব্রেরীতে থাকা ভুতের বই আমি সব পড়ে ফেলেছি। আমি আর কিছু খুজে পাচ্ছি না। লাইব্রেরিয়ান আমাকে হুমায়ূন আহমেদের ''কুটু মিয়া'' বইটা এনে দিল। সেই বই পড়ে আমি ভয় পেয়েছিলাম কিনা আমার মনে নেই তবে বই পড়ার স্বাদে একটা পরিবর্তন যে এল সেটা বুঝতে পারলাম। আছে না এমন একটা বই পড়ার পর লেখকের আরও বই পড়তে ইচ্ছে করে সেই রকম। মনে হয়েছিল যে এই লেখকের আরও বই পড়তে হবে।
তারপর ফাইনাল পরীক্ষার কারণে কয়েকদিন লাইব্রেরীতে আসা বন্ধ ছিল। পরীক্ষা শেষ করে আবার যখন এলাম তখন লাইব্রেরিয়ানই আমাকে হুমায়ূন আহমেদের আরেকটা বই পড়ে দিয়েছিল। বইটার নাম ছিল ‘তোমাকে’। সেই থেকে আমার হুমায়ূন পড়া শুরু। তারপর খোজ পেলাম হিমু সিরিজ, মিসির আলী সিরিজ শুভ্র সিরিজ। স্কুললের শেষ সময় টুকু আর কলেজের পুরো সময়টা আমি হুমায়ূন পড়েই কাটিয়েছি। লাইব্রেরীতে নতুন বই এলেই সবার আগে আমি সেটা পড়ে ফেলতাম। আমার বই পড়তে বেশি সময় লাগত না, বই নেওয়ার এক কি দুইদিনের ভেতরেই বই ফেরত দিয়ে দিতাম তাই লাইব্রেরিয়ান আমাকেই আগে দিত নতুন বই। আমার মনে আছে প্রতিটা বই আমি শেষ করতাম আর তারপর কিছু সময় সেই বই আমার মাথার ভেতরেই ঘুরপাক খেতে থাকত। অন্য কিছু তখন মাথাতেই আসতো না। যারা হুমায়ূন পড়েছেন তারা জানেন যে তার বইয়ের শেষটা কেমন হয়। কিছু কিছু পড়তে পড়তে আমি হো হো করে হেসে উঠতাম আবার কিছু লাইন পরে চোখে পানি চলে আসত। বাংলাদেশ নাইট নামের হুমায়ূনের একটা আত্মজীবনী মূলক লেখা আছে। আমি এখনও যতবার এই লেখাটা পড়ি ততবার আমার চোখ সিক্ত হয়ে আসে। খুব সাধারণ একটা ঘটনা। অথচ তিনি এমন ভাবে লেখাটা লিখেছেন যে প্রতিবার মনের ভেতরে একটা ধাক্কা দিবেই। আমি জীবনে অনেকের লেখা পড়েছি। আজ পর্যন্ত এমন কোনো লেখকই আমি পাই নি। এই ক্ষমতা বুঝি কেবল তারই ছিল।
আমি হুমায়ূন আহমেদের প্রতিটা বই পড়েছি শুধু একটা বই বাদ দিয়ে। তার যত বই প্রকাশিত হয়েছে সব বই আমার পড়া। আমি এক বই সাধারণত দ্বিতীয়বার পড়ি না। কেবল মাত্র তার বেশ কিছু দ্বিতীয় তৃতীয় বার করে পড়েছি। সব কিছু তবে বেশ কয়েকটা বই। শুধু মাত্র একটা বই পড়া হয় নি। তার ‘‘বিখ্যাত কোথাও কেউ নেই’’। এমন না যে বইটা আমার কাছে নেই। তারপরেও আমি এই বইটা পড়ি নি। বারবার মনে হয়েছে যে এই বইটা পড়ে ফেললেই তো তার সব বই পড়া শেষ হয়ে যাবে। তার বই আর ধরা হবে না। বরং এই একটা বই না পড়া থাকলে মনে হবে একটা বই এখনও পড়া হয় নি। এই একটা বই তার পড়তে হবে। আমি জানি অদ্ভুত চিন্তা তারপরেও!

আমি হুমায়ূন আহমেদকে কখন সামনা সামনি দেখি নি। আমার তাকে দেখার ইচ্ছাও জাগে নি। আমার কোন দিন ইচ্ছাও হয় নি তার কাছে গিয়ে তার একটা অটোগ্রাফ নিই বা তার সাথে একটা ছবি তুলি! লেখক আর লেখা কখনোই এক হয় না। অনেকে লেখকের লেখা পড়ে তার ছবি আঁকে। তাকে সেই চরিত্রে বসিয়ে ফেলে। কিন্তু বাস্তবে লেখকের লেখার সাথে তার বাস্তব চরিত্রের আকাশ পাতাল পার্থক্য থাকতে পারে। এবং বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায় যে এই পার্থক্যটা অনেক বেশি। তাই পছন্দের লেখকের সাথে কখনই দেখা করা উচিৎ না বাস্তবে। তাহলে তার লেখা পড়ে মনের ভেতরে তার যে ছবি আঁকা ছিল সেটা ভেঙ্গে যেতে পারে।

শুভ জন্মদিন হুমায়ূন আহমেদ। আপনি এই দেশে না জন্মালে হয়তো কত মানুষ বই-ই পড়তো না জীবনে!

(গতকাল ছিল হুমায়ূন আহমেদের জন্মদিন। গতকালই লেখাটা পোস্ট করার দরকার ছিল কিন্তু গতকাল যে সার্কাস চলছিল ব্লগে তাতে আর ইচ্ছে হয় নি।)

মন্তব্য ৩২ টি রেটিং +৯/-০

মন্তব্য (৩২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই নভেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:১১

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: আসলে হুমায়ুন আহমেদ কে নিয়ে যারা রাইটার (যেমন: আপনি) তাদের লেখা পড়তে বেশি ভালো লাগে । আপনি কিংবা রাজিব নুরের থেকে কিছু আশা করছিলাম ।

বোতল ভুত দিয়ে আমারও হুমায়ুন আহমেদের সাথে পরিচয় । আমার পরলোকগত নানিজান হুমায়ুন আহমেদের বই পড়তেন । উনার বই পড়া এবং গিফট করা ছিলো শখের মতো। আমাকে গিফট করেছিলেন বোতল ভুত ।

জাফর ইকবালকে আমি বেশি ভালো পেতাম । উনার বই পড়া শুরু করেছিলাম : ইশকুলের নাম পথচারি এবং কাবিল কোহকাফি দিয়ে । লোকটা বিগত এক দশকে আউলাইয়া গেল । কিসব টুনটুনি মুনটুনি নিয়ে বই লিখেছেন ।

১৪ ই নভেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:১৯

অপু তানভীর বলেছেন: বেশির ভাগ মানুষই আগে জাফরইকবাল পড়ে তারপর হুমায়ূন আহমেদ পড়ে। আমার হয়েছে উল্টা। আমি আগে হুমায়ূন পড়েছি পরে পড়েছি জাফরইকবাল। জাফর ইকবালের লেখার হত হারিয়ে গেছে। আমি তার লেখা ২০১৪/১৫ সালের পরে আর পড়ি নি। আগে তার লেখা পড়ে যে একটা ভাল মনভাব তৈরি হয়েছিল সেটা নষ্ট করতে চাই নি বলেই তার নতুন বই পড়া বন্ধ করে দিয়েছি।

২| ১৪ ই নভেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:৩২

শ্রাবণধারা বলেছেন: চমৎকার লিখেছেন!

আমার পড়া প্রথম হুমায়ূন আহমেদের বই নির্বাসন। বোধহয় তখন সেভেনে পড়ি। জন্মভুমির মফস্বল শহরের এক মেলায় গিয়ে বইটা কিনেছিলাম। বইয়ের দাম আমার বাজেটের চেয়ে কিছু বেশি ছিল বলে মেলার দোকানি কিছু ডিসকাউন্ট দিয়েছিলেন। এই বইয়ের শেষটাও আপনার উল্লেখিত সেই হৃদয়-অবশ করা অনুভূতির তৈরি করেছিল। পড়ার পরে বেশ কয়েকদিন ঘোরের মধ্যে ছিলাম।

সে কথা যাক। হুমায়ূন আহমেদকে নিয়ে আমার একটা লেখা লিখব লিখব করে বছর খানেক ধরে জমা হয়ে আছে। গতবছর তার স্মৃতিবিজড়িত নর্থ ডাকোটার ফার্গো শহরে ঘুরতে গিয়েছিলাম। স্টেট ইউনিভার্সিটি অব নর্থ ডাকোটার অলিগলি দিয়ে ঘোরার সময় স্ত্রী-সন্তানদের সাথে "হোটেল গ্রাভারইন" এর গল্প করছিলাম। "বাংলাদেশ নাইট" এর গল্পও বাদ যায়নি। যে ভদ্রমহিলা বাংলাদেশ নাইটে এসেই সসপ্যানের সব খিচুড়ি ফেলে দিয়ে, চুলোয় নতুন করে খিচুড়ি বসিয়েছিলেন, তিনি যে শহর থেকে বাংলাদেশ নাইটে এসেছিলন, তার সেই ছোট শহর গ্র্যান্ড ফর্কসে (ফার্গো থেকে ঘণ্টাখানেক দূরে) আমরা এক রাত ছিলাম।

আর জানেন, হুমায়ূন আহমেদের শিক্ষক মার্ক গর্ডন এখনও বেঁচে আছেন। নর্থ ডাকোটার পরে আরেকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে বহু বছর অধ্যাপনা করে এখন অবসরে গেছেন!

১৪ ই নভেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:৪৯

অপু তানভীর বলেছেন: কেবল বাংলাদেশ নাইটই নয় এমন বলা যায় তার প্রতিটা বইতেই এমন কোন কোন না স্থান থাকতোই যেটা পড়লে মন সিক্ত হয়ে উঠত আবার কোথাও পড়লে হো হো করে হেসে উঠতাম। অনুভূতিকে এতো সহজ কথায় এতো তীব্রভাবে আর কোন লেখক নাড়া দিতে পারে না। অন্তত আমার ক্ষেত্রে পারে নি।

লেখকদের বর্ণনা করা এই শহরে ঘুরে বেড়ানোর মধ্যে সত্যিই একটা আলাদা আনন্দ আছে। তার শিক্ষক এখনও জীবিত আছে এটা জেনে আনন্দিত হলাম।

আপনি আপনার লেখা দ্রুত লিখে ফেলুন। অপেক্ষা করে রইলাম।

মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

৩| ১৪ ই নভেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:৩২

নতুন নকিব বলেছেন:



হুমায়ূন আহমেদ দারুণ লিখতেন। তাঁর লেখায় পাঠকের খোরাক থাকতো। পড়ার অভ্যাসকে আনন্দময় করে তুলতে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন।

১৪ ই নভেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:৪৯

অপু তানভীর বলেছেন: তার জন্যই এদেশে প্রচুর পাঠক তৈরি হয়েছে। তিনি না থাকলে এতো এতো মানুষ বই পড়ত না এই দেশে।

৪| ১৪ ই নভেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:০২

সন্ধ্যা রাতের ঝিঁঝিঁ বলেছেন: কালকে খুব মন খারাপ হয়েছিল, এমন একটা সময়ে এসে পৌঁছেছি আমরা বই নিয়ে কথা বলার মত কোনো মানুষই খুঁজে পাই না। চারদিকে এত অস্থিরতা।
আমি হুমায়ুন আহমেদের প্রথম বই পড়েছিলাম, তিথির নীল তোয়ালে। কলেজে প্রচুর পড়েছি। আমার মন খারাপ হলে হুমায়ূন আহমেদ পড়ি। আমার ফ্রেন্ড, রুমমেট ওরা সবসময় বলতো, তুমি বায়াসড। ওরা সবসময় ব্যাক্তি জীবন দিয়ে জাজ করতো। আমি লেখককে তার লেখার বাইরে অন্য কিছু নিয়ে জাজ করতে একেবারেই আগ্রহী না।
কোথাও কেউ নেই, এটা পড়ার পরে যে অনুভূতি হবে, এটা আসলে কাউকে বলার মত না। পৃথিবীটাকে শূন্য শূন্য মনে হবে।
এই বিস্ময়কর মানুষটার জন্য শুধুই ভালোবাসা ।

১৪ ই নভেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:১১

অপু তানভীর বলেছেন: কথাটা একেবারে মিথ্যা বলেন নি। আমরা এমন এক অস্থির সময়ে এসে পৌছেছি যে বই মুভি আর্ট নিয়ে কথা বলার মানুষই খুজে পাওয়া যাবে না। আগে এক সময়ে ব্লগে মুভি বই নিয়ে কত লেখা আসতো অথচ এখন দেখেন !

সব থেকে খারাপ মানুষটিও চমৎকার গল্প লিখতে পারে। অনেকে এই কথাটা মানতে চায় না। আর হুমায়ূন আহমেদের বেলায় তো সবাই এক কাঠি উপরে। একটু খেয়াল করে দেখবেন যারা যারা হুমায়ূনের লেখা নিয়ে সমালোচনা করে তাদের কেউই জীবনে দুইর চারটা বেশি বই পড়ে নি। এরা শুনে শুনেই সমালোচক হয়ে গেছে।

৫| ১৪ ই নভেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:২২

নতুন বলেছেন: হুমায়ূন আহমেদ আমার জীবনের বড় একটা অংশ জুড়ে রয়েছেন


হুমায়ুন আহমেদ মারা যাবার খবর শুনে সারাটা দিন খারাপ লেগেছে, মনে হয়েছে কাছের কোন আত্নীয় বা বন্ধু হারিয়েছি।

একজন লেখক পাঠকদের মনের মাঝে এতটুকু স্থান করে নেওয়া মানে তিনি সার্থক লেখক।

আমার মনে হয় না বাংলা সাহিত্যের কোন লেখক পাঠকের মনে এতোটা স্থান করতে পারেন নাই।

১৬ ই নভেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:১৫

অপু তানভীর বলেছেন: আমারও মনে আছে তিনি যেদিন মারা গিয়েছিলেন। ঈদের ছুটিতে সম্ভবত বাসায় গিয়েছিলাম। রাতে আমার স্টুডেন্ট ফোন দিয়ে জানালো যে হুমায়ূন আহমেদ মারা গেছেন। আমার ঘুমের কোন সমস্যা হয় না কখনই সেদিন ভোর রাত পর্যন্ত আমার ঘুম আসে নি। কত কথা মনে হচ্ছিল তাকে নিয়ে!

৬| ১৪ ই নভেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১:২৬

ভুয়া মফিজ বলেছেন: সকাল সকাল ব্লগে উকি দিয়ে আপনের পোষ্টটা নজরে আসলো। আপনের পোষ্ট যেহেতু; ভাবলাম, কিছু বলি। :)

শুধু মাত্র একটা বই পড়া হয় নি। তার বিখ্যাত ''কোথাও কেউ নেই''। এমন না যে বইটা আমার কাছে নেই। তারপরেও আমি এই বইটা পড়ি নি। বারবার মনে হয়েছে যে এই বইটা পড়ে ফেললেই তো তার সব বই পড়া শেষ হয়ে যাবে। তার বই আর ধরা হবে না। বরং এই একটা বই না পড়া থাকলে মনে হবে একটা বই এখনও পড়া হয় নি। এই একটা বই তার পড়তে হবে। আমি জানি অদ্ভুত চিন্তা তারপরেও! চিন্তাটা অদ্ভুত মনে হলেও এই কথা কয়টার মধ্যেই লেখক হুমায়ূন আহমেদ এর প্রতি আপনার অপরিসীম ভালোবাসার প্রকাশ পেয়েছে।

প্রতি বছর হুমায়ূন ভাইয়ের জন্মদিন আসলেই কিছু একটা লিখতে ইচ্ছা করে। কতো স্মৃতি, কতো কথা। আবার একটা অপরাধবোধেও ভুগি। শেষমেষ আর লেখা হয়ে উঠে না। তবে আপনারা......... হুমায়ূনভক্তরা ঠিকই লিখেন। আপনাদের মধ্যেই উনি বেচে থাকবেন আজীবন। আমার ধারনা, বাংলা ভাষা যতোদিন থাকবে, হুমায়ূন আহমেদ ততোদিনই প্রাসঙ্গিক থাকবেন।

প্রিয় মানুষটার জন্য অনেক অনেক জন্মদিনের শুভেচ্ছা!!!

১৬ ই নভেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:২০

অপু তানভীর বলেছেন: আপনাকে আমার মাঝে মাঝে একটু হিংসেই হয়। আপনি এই হুমায়ূন আহমেদের কত কাছাকাছি থেকেছেন।

দেরি না করে দ্রুত লিখে ফেলুন দেখি। হুমায়ূন আহমেদের লেখা পড়তে আমি যেমন পছন্দ করি ঠিক তেমনি তাকে নিয়ে মানুষের লেখা পড়তেও আমার ভাল লাগে। আজই একটা লেখা লিখতে শুরু করে দিন। যতই দেরি হোক লিখে শেষ করুন। আপনার লেখা পড়ার জন্য অপেক্ষা করে রইলাম!

আপনার এই ধারণা সত্য। এই তিনি আমাদের মত পাঠকদের মাঝেই জীবিত থাকবেন। আমাদের দেশে পাঠিক ছেলে মেয়েদের বেশির ভাগই হুমায়ূন আহমেদের লেখা পড়েই পড়ুয়া হয়ে ওঠে। তিনি থাকলে এতো পড়ুয়া তৈরি হত না।

চমৎকার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। আর লেখা দ্রুত শেষ করুন।

৭| ১৪ ই নভেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:০২

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: আমার অল্প বয়সে এসব বই পড়ার সুযোগ ছিল না। অনার্সে ভর্তি হওয়ার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের লাইব্রেরীতে হুমায়‍ূন আহমেদের অনেক বই পড়েছি। তবে বেশি পড়া হয়েছে পিডিএফ। দেশি-বিদেশি বিভিন্ন লেখকের মোটামুটি ২৫০০- এর ওপর ই-বুক আমার সংগ্রহে ছিল।

তাঁর আত্মজৈবনিক লেখা আমারও দারুণ লাগত।

১৬ ই নভেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:৩৪

অপু তানভীর বলেছেন: আমার সুযোগ হত না যদি আমি আমাদের জেলার পাব্লিক লাইব্রেরীটার সন্তান পেতাম। আমার এতো বই পড়া সম্ভব হয়েছে লাইব্রেরীর সদস্য হতে পেরে। মাসিক দশ টাপা বেতন দিয়ে যদি ২০টা বই পড়ার সুযোগ পাওয়া যায় তবে এর থেকে ভাল কিছু কি আর হতে পারে!

৮| ১৪ ই নভেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:০৩

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: জোছনা ও জননীর গল্প, ১৯৭১, বাদশাহ নামদার, মধ্যাহ্ন- এই বইগুলো ক্ল্যাসিকের মর্যাদা রাখে।

১৬ ই নভেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:৩৫

অপু তানভীর বলেছেন: বাদশাহ নামদার কেন জানি আমার কাছে অতোটাও ভাল লাগে নি। তবে জোছনা ও জননীর গল্প, আর মধ্যাহ্ন সেরাদের সেরা সেটা বলার অপেক্ষা রাখে না।

৯| ১৪ ই নভেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৫:৫১

সুম১৪৩২ বলেছেন: উনার বই গুলো থাকে বুজা যায়, উনি খুব আমুদি মানুষ ছিল। জানি না এখন তার ফ্যামিলি কিভাবে উনার জন্মদিন পালন করে।

আপনার লেখা টা খুব সুন্দর হয়েছে।

১৬ ই নভেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:৩৬

অপু তানভীর বলেছেন: তার মত রসবোধ আর কোন লেখকের ছিল না, এখনও নেই। এই কারণে এখনও প্রিয় লেখকের তালিকায় তার নামই সবার উপরে আসে।

১০| ১৪ ই নভেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:৪১

কামাল১৮ বলেছেন: তার প্রথম বইটি ছিলো একটি সার্থক উপন্যাস।লেখকের চেয়ে পরিচালক হিসাবেই বেশি সার্থক।

১৬ ই নভেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:৩৬

অপু তানভীর বলেছেন: লেখকের চেয়ে পরিচালক হিসাবেই বেশি সার্থক।
আপনারে কইছে! :-<

১১| ১৪ ই নভেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:৫৫

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:



বিবিধ ধরনের ব্যস্ততার কারণে ব্লগে বিচরণ অনেকটাই কমে গেছে । তাছাড়া ব্লগে প্রকাশিত লেখালেখির বর্তমান
ট্রেন্ড দেখে ভনেকটাই বিতশ্রদ্ধ হয়ে পড়ছি । ব্লগের এমন একটি ক্রান্তি লগ্নে আজকে এখানে এসে আমার পরম
প্রিয় লেখকের উপর পোস্টের শিরোনাম দেখে চোখ আটকে যায় । পরম মমতায় এক টানে লেখাটি পাঠ করি ।

হুমায়ূন আহমেদকে নিয়ে আপনার এমন আন্তরিক স্মৃতিচারণ হৃদয় ছুঁয়ে যায়। আপনার লেখা পড়তে পড়তে যেন
নিজের শৈশবের লাইব্রেরির গন্ধ, প্রথম পড়া ভৌতিক গল্পের উত্তেজনা আর নতুন লেখক আবিষ্কারের সেই অদ্ভুত
টানগুলো ফিরে ফিরে আসছিল।

বিশেষ করে “কোথাও কেউ নেই” বইটি ইচ্ছা করেও না পড়া—এই অনুভূতিটা অত্যন্ত অনন্য। প্রিয় লেখকের কাছে
আরেকটু পথ বাকি থাকা, পড়ার আনন্দটুকু পড়ে থাকা এ যেন পাঠকের নিবিড় ভালবাসা ও মমতার এক বিশেষ রূপ।
আপনার অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে খুব স্পষ্ট হয়ে ওঠে কেন হুমায়ূন আহমেদ শুধু একজন লেখক নন, বরং বহু মানুষের
বেড়ে ওঠার গল্পের অনিবার্য অংশ। তার লেখার হাসি-কান্না, জীবনের ছোটখাটো মুহূর্তগুলোর জাদুকরী বর্ণনা সবই
আবারও মনে করিয়ে দেয়, তিনি সত্যিই বাংলা সাহিত্যের এক বিস্ময়।

এ প্রসঙ্গে আপনার লেখায় থাকা হুমায়ুন আহমেদের ‘বোতল ভূত’ সঙক্রান্ত কথামালা আমাকে অনেকদিন পড়ে হলেও
এই বইটি আরো একবার পড়তে অনুপ্রানীত করছে । বোতল ভুত সত্যিই হুমায়ুন আহমেদের কিশোর সাহিত্যধারার
একটি স্মরণীয় সংযোজন , হালকা রহস্য, কৌতুক আর মানবিকতার মিশেলে লেখা এমন এক গল্প, যা পাঠকের বয়স
নির্বিশেষে আনন্দ দেয়। কারণ হুমায়ুন আহমেদের গল্প বলার সহজ-সাবলীল ভাষাশৈলী ‘বোতল ভূত’এ বিশেষ উজ্জ্বল
হয়ে ওঠে। তিনি কিশোরদের মানসিক জগত, তাদের কৌতূহল, ভয় এবং সাহসকে এমনভাবে গল্পে বুনেছেন যে
পাঠক গল্পের চরিত্রদের সঙ্গে একাত্ম হয়ে যায় যেমনটি আপনি ও আমি হয়েছি ।

বোতলের মধ্যে বন্দী রহস্যময় “ভূত”। গল্পটি মোটেও ভয়ের নয়; বরং এতে আছে কৌতূহল, হাস্যরস এবং একটু
রহস্যের স্বাদ। ‘বোতল ভূত’এ এই বৈপরীত্যকে তিনি অতি মমতা ও রসবোধ দিয়ে তুলে ধরেছেন। আমি যতটুকু
আপনার লেখাগুলি পাঠ করেছি তাতে দেখি আপনিও অত্যন্ত পারঙ্গমতায় কিছু কিছু বৈপরিক্তকে অতি মমতা ও
রসবোধ দিয়ে সাজিয়ে তুলতে পারেন ।

হুমায়ুন আহমেদকে নিয়ে আপনার বর্তমান স্মৃতিচারণ আমাদের মনে একইসঙ্গে নস্টালজিয়া ও কৃতজ্ঞতার ঢেউ তোলে।
হুমায়ূন আহমেদের জন্মদিনে এর চেয়ে সুন্দর শ্রদ্ধা আর কী-ই বা হতে পারে ।

শুভেচ্ছা রইল

১৬ ই নভেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:৪৩

অপু তানভীর বলেছেন: আপনার মতই আমারও মনভাব। অনেক কারণেই ব্লগে আসা কমে গেছে। এখন বেশির লেখাই রাজনীতির বস্তাপচা কপচানী আর গলাবাজি মন্তব্য। এই কারণে ব্লগে পোস্ট দেওয়া হয় কম। আগে যেমন নিয়ম করে ব্লগে আসাই লাগত এখন সেই ধারাবাহিকতা কমে গেছে।

অনেকের কাছেই আমার এই এক বই না পড়ে রেখে দেওয়ার ব্যাপারটা পাগ্লামী মনে হয়। আমার নিজের কাছেও তাই মনে হয় কিন্ত তারপরেও এই যে একটা অনুভূতি যে তার একটা বই এখনও পড়া বাকি, এই অনুভূতিটা তাকে আমার ভেতরে আরও বেশি জীবন্ত করে রাখবে সব সময়।

আমাদের সবার সাথেই হুমায়ূন আহমেদের সম্পর্ক বুঝি এমনই। আমরা এভাবেই তাকে মনে রাখি নিজেদের মত করে। এমন করেই তিনি সব সময় আমাদের মাঝে জীবত থাকবে

ভাল থাকুন সব সময়। এই কামনা করি।

১২| ১৪ ই নভেম্বর, ২০২৫ রাত ১০:০৭

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
- আমি ঠিক কোন বইটি দিয়ে হুমায়ন পড়া শুরু করেছি মনে নেই। তবে প্রচুর পড়েছি। প্রায় সবকটি উপন্যাস ২বার পড়েছি। কয়েকটি তারচেয়েও বেশি। কোনো উপন্যাস বাকি আছে কিনা মনে পরে না।

১৬ ই নভেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:৪৪

অপু তানভীর বলেছেন: আজকে হিসাব করে দেখবেন যে কোন কোন বই এখনও পড়া বাকি! সময় করে পড়ে শেষ করে ফেলবেন ।

১৩| ১৪ ই নভেম্বর, ২০২৫ রাত ১১:১৯

সামিয়া বলেছেন: কুটু মিয়া প্রথম পড়ার সময় আমার বেলায় এই ঘটনা ঘটেছিল, এক বসায় পড়তে পড়তে শেষের দিকে এসে দেখি দুই তিন পাতা নেই, বইটা পড়তে দিয়েছিল ক্লাসের নিলু নামের খুবই রুক্ষ স্বভাবের এক মেয়ে, উল্টো আমাকে ঝাড়ি দিয়ে বলেছিল পুরা বইটা পড়তে দিছি এখন শেষ তিন পাতার জন্য আফসোস তোকে বইটা পড়তে দেয়াই ভুল হইছে। যাইহোক হুমায়ূন আহমেদ স্যার ভালো থাকুক ওপাড়ে।

১৬ ই নভেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:৪৮

অপু তানভীর বলেছেন: নিলু তো ঠিকই বলেছে, পুরো বই পড়তে পারছেন এই দুই তিনটা পাতা না থাকলেই বা কী! :D


এই রকম ছোট ছোট গল্প জড়িয়ে থাকে বুঝি সবার সাথেই।

১৪| ১৫ ই নভেম্বর, ২০২৫ সকাল ৮:৩৯

কিরকুট বলেছেন: হুমায়ুন আহমেদ মানুষের মনের ভেতরে সহজ কথাটা বলে দিতে পারতেন। যে কথা নিয়ে আমি আপনি ইতস্তত করি হুমায়ুন আহমেদের চরিত্র সেই কথা অবলীলায় বলে দেয় এটাই বৈশিষ্ট্য তার। হুমায়ুন আহমেদ কে আমারও ভালো লাগে কিন্তু শাওন চ্যাপ্টার পছন্দ না। কিন্তু একজন লেখক কে বোঝার ক্ষমতা যেহেতু আমার নাই তাই এই বিষয়ে আমার মন্দ লাগাটা নিজের মধ্যেই রেখে দেই। এখানে হুমায়ুন আহমেদের কোন চরিত্র হলে অবশ্য বলে দিতো, শাওন ছেড়িডা বালা না গো।

১৬ ই নভেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:৫৪

অপু তানভীর বলেছেন: শাওনকে কেউই ঠিক পছন্দ করে না। তার জীবনের এই চ্যাপ্টার নিয়ে অনেকেরই সমস্যা রয়েছে। আমি যদি তার ব্যতিগত জীবন ভাবি তবে আমারও হয়তো পছন্দ হবে না এসব। কিন্তু সেই হিসাব যদি বিচার করতে যাই তাহলে বই পড়াই দুষ্কর হয়ে উঠবে।

১৫| ১৬ ই নভেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১:১৮

নতুন বলেছেন: লেখক বলেছেন: শাওনকে কেউই ঠিক পছন্দ করে না। তার জীবনের এই চ্যাপ্টার নিয়ে অনেকেরই সমস্যা রয়েছে। আমি যদি তার ব্যতিগত জীবন ভাবি তবে আমারও হয়তো পছন্দ হবে না এসব। কিন্তু সেই হিসাব যদি বিচার করতে যাই তাহলে বই পড়াই দুষ্কর হয়ে উঠবে।

লেখকের ভাবনা আমাদের মতন সাধারন মানুষের থেকে আলাদা তাই তারা জীবনকেও অন্য রকমের করে দেখেন। তাই তাদের জীবনের কাজ আমাদের ভাবনার সাথে না মেলাটাই সাভাবিক।

ঘরোয়া পরিবেশে শাওনের এই গান যেই দরদ, হুমায়ুন আহমেদের চোখের পানি, এতে আমার মনে হয় শাওন আর হুমায়ুন আহমেদের সম্পর্কে যেই বিষয়টা ছিলো সেটা অন্য রকমের একটা বিষয়।

১৭ ই নভেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:০৪

অপু তানভীর বলেছেন: অনেকেই লেখকের ব্যক্তি জীবন দিয়ে তার লেখাকে বিচার করেন। আপনি এমন অনেক বিখ্যাত লেখক/অভিনেতা।সংগীত শিল্পী পাবেন যাদের নামে নানান কেলেঙ্কারি রয়েছে। আমি সাধানত কখনই কোন শিল্পীর ব্যক্তি জীবন ফলো করি না। তার শিল্পগুণ উপভোগ করার চেষ্টা করি। কিন্তু অনেকেই তাদের ব্যক্তিজীবন দিয়ে তাদের শিল্পকে বিচার করতে চায়!

১৬| ১৬ ই নভেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:১৬

শায়মা বলেছেন: হুমায়ুন আহমেদ মনে হয় আমাদের সবার মনেই এক বিশেষ জায়গায় থেকেই যাবে যে যাই বলুক না কেনো।

১৭ ই নভেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:০৫

অপু তানভীর বলেছেন: নিন্দুকেরা তো কত কথাই কইবে! এটা তো তাদের কাজ!
তিনি ছিলেন আছেন আর থাকবেন!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.