| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
শ্রাবণধারা
" আমাদের মতো প্রতিভাহীন লোক ঘরে বসিয়া নানারূপ কল্পনা করে, অবশেষে কার্যক্ষেত্রে নামিয়া ঘাড়ে লাঙল বহিয়া পশ্চাৎ হইতে ল্যাজমলা খাইয়া নতশিরে সহিষ্ণুভাবে প্রাত্যহিক মাটি-ভাঙার কাজ করিয়া সন্ধ্যাবেলায় এক-পেট জাবনা খাইতে পাইলেই সন্তুষ্ট থাকে......."
লেখাটির শুরুতে একটি ভূমিকা দেওয়া যাক। সর্বশেষ দেশে গিয়ে কয়েকদিন গ্রামের বাড়িতে ছিলাম। উত্তরবঙ্গে, নিতান্ত অনুন্নত আমাদের সেই গ্রামে এতগুলো কওমি মাদ্রাসা হয়েছে দেখে অবাক হয়েছিলাম। আগে গ্রামে আলিয়া মাদ্রাসা থাকলেও কওমি মাদ্রাসা ছিল না। কোথাও পাগড়ি প্রদান অনুষ্ঠান হবে, সেখানে কিছু দিতে হবে। কোথাও ছেলেদের থাকার জায়গার ছাদ নষ্ট হয়ে গেছে, কোথাও পানির কলটি খারাপ, কিছু দিতে হবে। বাড়ির পেছনে মসজিদের সঙ্গে লাগোয়া টিনশেড ঘরে একটি কওমি মাদ্রাসা। ৮-১০ বছরের ছোট ছোট ১০-১২ টা ছেলে সেখানে পড়ে। আমি যখনই মসজিদে নামাজ পড়তে যেতাম, ছেলেদের কেউ কেউ দৌড়ে এসে টিউবওয়েলের হাতল ধরত। যতটা পারতাম, বাধা দিতাম। ওদের পড়ালেখার কথা ভাবলে মনটা ভারাক্রান্ত হয়ে যেত। মনে হতো, শৈশবের কী নিদারুণ অপচয়। আবার নিজেকে বোঝাতাম, এই ছেলেগুলো এখানে পড়তে এসেছে বলেই নিয়মিত খেতে পারছে, এখানে না এলে হয়তো সেটুকুও জুটত না।
এখন আসল কথায় আসি। বাংলাদেশে সাম্প্রতিক সময়ে ইসলামপন্থী রাজনীতির উত্থান ও সহিংসতার ঘটনাগুলো বহু বছর ধরে জমা হওয়া অনাধুনিক শিক্ষাব্যবস্থা ও রাজনৈতিক বিপর্যয়ের ফল। বিপর্যয়ের মূলে আছে পাকিস্তান আমলে তৈরি হওয়া মাদ্রাসা শিক্ষা। এই শিক্ষা আধুনিক বিশ্বের সাথে অসংগতিপূর্ণ এবং বর্তমান সময়ের সমাজ-রাজনীতি ও নাগরিক মূল্যবোধের সাথে সাংঘর্ষিক। বর্তমান বাস্তবতায়, এটি একটি মগজধোলাই বা মতদীক্ষাদান প্রকল্প। এই শিক্ষা স্বল্পমেয়াদে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর শিক্ষা, কর্মসংস্থান এবং রাজনৈতিক অধিকার দিলেও, দীর্ঘমেয়াদে ক্ষমতা আরোহনের রক্তাক্ত সিঁড়ি এবং সাম্রাজ্যবাদী শক্তির ইসলামবিরোধী চক্রান্তকে বৈধতা দেওয়া ছাড়া কিছু নয়। সময়ের সাথে সাথে এই শিক্ষা রাজনৈতিকভাবে দখলকৃত, আদর্শিকভাবে অস্ত্রায়িত এবং সহিংসতা উৎপাদনের কারখানায় রূপ নিয়েছে।
উপমহাদেশে মাদ্রাসা শিক্ষার রূপান্তর শুরু হয় ১৯৪৭ সালে ভারত ও পাকিস্তান, দুই নতুন রাষ্ট্রের স্বাধীনতা লাভের পরে। ভারতে জওহরলাল নেহেরু সেক্যুলার, বিজ্ঞানভিত্তিক শিক্ষাব্যবস্থা গ্রহণ করেন। সেখানে শিক্ষা ছিল আধুনিক রাষ্ট্র তৈরির উপায়। বিজ্ঞান, যুক্তিবোধ ও সাংবিধানিক মূল্যবোধ শেখানোর প্রক্রিয়া। অন্যদিকে পাকিস্তান শুরু থেকেই সামরিক শাসনব্যবস্থার অধীনে ধর্মকে জাতীয়তা ও রাষ্ট্রীয় পরিচয়ের কেন্দ্রে স্থাপন করে। সেখানে শিক্ষা কোনো যুক্তিবুদ্ধি সম্পন্ন নাগরিক তৈরির মাধ্যম হয়নি, বরং ধর্মীয় শিক্ষাকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে। পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী মাদ্রাসা শিক্ষাকে ব্যবহার করেছে আজ্ঞাবহ, অনুগত এবং সহিংস ইসলামপন্থী তৈরির জন্য। জ্ঞান উৎপাদনের জায়গা থেকে এটি ধীরে ধীরে রাজনৈতিক নিয়ন্ত্রণের কৌশলে পরিণত হয়েছে। পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশ স্বাধীন হলেও, পাকিস্তানি আমলের মাদ্রাসা শিক্ষা থেকে বের হতে পারেনি।
মাদ্রাসা শিক্ষার রূপান্তরের পেছনে বৈশ্বিক ভূরাজনৈতিক প্রভাব ছিল ভয়ংকর। মাহমুদ মামদানি তাঁর "গুড মুসলিম, ব্যাড মুসলিম" গ্রন্থে দেখিয়েছেন, ১৯৭০-৮০ দশকে আফগান-সোভিয়েত যুদ্ধের সময়ে তৈরি করা জিহাদি ইসলাম ছিল সাম্রাজ্যবাদী শক্তির হাতে গড়া রাজনৈতিক প্রকল্প। মামদানির ভাষায়, এখানে ইসলামকে শাসন ও সহিংসতার প্রযুক্তি হিসেবে পুনর্গঠন করা হয়। আফগান জিহাদ ছিল সেই পুনর্গঠনের পরীক্ষাগার। স্নায়ুযুদ্ধের স্বার্থে ইসলামকে সংকীর্ণ ও সহিংস ব্যাখ্যায় উপস্থাপন করে আফগান শিশুদের পাঠ্যপুস্তকে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়। এভাবে মাদ্রাসাগুলো পরিণত হয় শত্রু চিহ্নিত করা এবং সহিংসতাকে ধর্মীয় দায়িত্ব হিসেবে তুলে ধরার প্রতিষ্ঠান হিসেবে। মামদানির বিশ্লেষণে, এই ধরনের শিক্ষা ধর্মীয় নয়, রাজনৈতিক; যার উদ্দেশ্য নিয়ন্ত্রিত জনশক্তি উৎপাদন। মামদানির ভাষায়, এটি ধর্মের সমস্যা নয়, এটি রাজনৈতিকভাবে তৈরি করা সহিংসতা।
এখন এই পরিবর্তিত শিক্ষা ব্যবস্থা কীভাবে বাংলাদেশে কাজ করে সেটা দেখা যাক। শিশুদের শিক্ষা দেওয়ার নামে এখানে খুব অল্প বয়সে বাচ্চাদের শেখানো হয়, পৃথিবী গুরুত্বপূর্ণ নয়, মৃত্যুপরবর্তী জীবন বা আখেরাত গুরুত্বপূর্ণ। ধর্ম রক্ষার নামে মৃত্যুও বরণীয়। আইন বলে যেগুলো আমরা মানি, সেগুলো মানুষের তৈরি ভুয়া আইন, আল্লাহর আইন হল আসল আইন। শিশুদের স্বাভাবিক কৌতূহল থেকে যে চিন্তাশীলতা, সৃষ্টিশীলতা, সহানুভূতি নিয়ে দেশের নাগরিক হয়ে ওঠার কথা, সেগুলো ধ্বংস করে আল্লাহর আইন রক্ষায়, আল্লাহর জমিনে তাদের নামিয়ে দেওয়া হয়।
এই ধর্মীয় শিক্ষা থেকে এমন প্রজন্ম তৈরি হয়েছে, যারা ধর্ম অবমাননার অভিযোগ শুনলে হিংস্র হয়ে ওঠে। সহিংসতাকে তারা অপরাধ মনে করে না, বরং এটি পুণ্যের কাজ বা দায়িত্ব বলে মনে করে। সাম্প্রতিক সময়ে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে দেখা যায়, এক মাদরাসা শিক্ষক শিশুদের শেখাচ্ছেন, আল্লাহ বা রাসুল সম্পর্কে কটুক্তি করলে তাকে হত্যা করা বৈধ।
হরকাতুল জিহাদ, জামাতুল মুজাহিদিন, কিংবা আনসারুল্লাহ, এই সংগঠনগুলো এমন এক শিক্ষা ও চিন্তার পরিবেশ থেকে এসেছে, যেখানে ভিন্ন দর্শন বা মতকে অপরাধ হিসেবে দেখা হয়। এদের দমন করার জন্য সহিংসতাকে উচিত কাজ মনে করা হয়। জামাত সরাসরি জঙ্গি সংগঠন না হলেও, তাদের রাজনৈতিক ও ধর্মীয় চিন্তাধারা, উগ্রপন্থী ভাবধারাকে গ্রহণযোগ্য হিসেবে সমাজে প্রতিষ্ঠার রাস্তা তৈরি করেছে। মানুষের তৈরি আইন অস্বীকার করা, সার্বভৌমত্ব শুধু মাত্র আল্লাহর বলা বা বাঙালী সংস্কৃতিকে ইসলামবিরোধী হিসেবে লক্ষ্যবস্তু করা - সবগুলোর সাথেই জঙ্গি সংগঠনগুলোর আদর্শের মিল আছে।
বাংলাদেশের প্রায় সব রাজনৈতিক দলই একে ব্যবহার করেছে, কেউই এর মুখোমুখি দাঁড়াতে চায়নি। কখনো ভোটের সমীকরণে, কখনো ধর্মানুভূতি রক্ষার অজুহাতে, কখনো স্থিতিশীলতার নামে ইসলামপন্থী বয়ানকে রাজনৈতিক পুঁজি হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে। এই ব্যবস্থাকে আমূল সংস্কার না করে, এর পাঠ্যক্রম ও রাজনৈতিক ব্যবহারের প্রশ্নে সিদ্ধান্ত না নিলে বাংলাদেশের নিরাপত্তা ঝুঁকি ও ধর্মের নামে সহিংসতা কমবে না।
তবে, এই পরিবর্তন কোনো ঘৃনা দিয়ে করা যাবে না। কারণ এই শিক্ষা বহু মানুষের জীবনের অংশ। বহু দরিদ্র পরিবারকে এই মাদ্রাসাগুলো আশ্রয় দিয়েছে, শিক্ষা দিয়েছে, পরিচয় দিয়েছে। এটি আমাদের সামাজ ইতিহাসেরই অংশ, যা আমাদের পরিচয়ের অংশ হয়ে উঠেছিল। এই শিক্ষাব্যবস্থাকে পরিবর্তন করতে হবে নিজের ঘর সংস্কার করার মতো দায়িত্ব ও সংবেদনশীলতা নিয়ে।
২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:৩৪
শ্রাবণধারা বলেছেন: ইসলামের বিভিন্ন বিষয়ের ব্যাখ্যা বিভিন্ন রকমের হতে পারে। আর সেটা আমার এই লেখার বিষয়বস্তু নয়।
২|
২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৮:৫৬
রাজীব নুর বলেছেন: মুসলমান এবং ধার্মিকদের আসল সমস্যা, তারা মুসলমান হতে পেরেছে, ধার্মিক হতে পেরেছে কিন্তু 'মানুষ' হতে পারেনি। এটাই আসল সমস্যা।
আমাদের দেশের জন্য মাদ্রাসা একটা অভিশাপ।
২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:৩৭
শ্রাবণধারা বলেছেন: @রাজীব নুর বলেছেন: মাদ্রাসা একটা অভিশাপ।
আমি এভাবে বলার পক্ষপাতী নই। অনেক সময় একটি ভালো ব্যবস্থাও কালের পরিবর্তনে পরিবর্তনযোগ্য হয়। কেন সেটি পরিবর্তনযোগ্য, সেটাই এখানে আলোচনা করেছি।
৩|
২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:১০
কিরকুট বলেছেন: লীগের পোলাপান মাদ্রাসায় যেয়ে বোম ফুটিয়ে এসেছে।
২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:৩৯
শ্রাবণধারা বলেছেন: সেটা এখনও কেউ না বললেও, অতীতের ঘটনাগুলোকে ভারত আর আওয়ামী লীগের তৈরি নাটক বলা হয়েছে! ![]()
৪|
২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:৩৯
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: ভারত এবং আওয়ামী লীগের চক্রান্ত। এই মাদ্রাসার টাকা ভারত থেকে আসে। সহজ সরল হুজুরদের ট্রাপে ফেলেছে র এর এজেন্টরা।
২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:৪৪
শ্রাবণধারা বলেছেন: হা হা
, তর্কের খাতিরে যদি সেটা হয়েও থাকে, তবু এই শিক্ষাব্যবস্থাকে আমাদের পাল্টাতেই হবে। আমার মূল যুক্তিটা বোমা তৈরির নয়, বরং এই শিক্ষাব্যবস্থা একটি মগজধোলাই ও মতদীক্ষাদান (indoctrination) প্রকল্প এটা।
৫|
২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:১৯
অপু তানভীর বলেছেন: বাংলাদেশে মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠানগুলো টিকে আছে কিভাবে এবং কেন? এর জন্য আমাদের দূর্বল আর্থ-সামাজিক কাঠামো দায়ী।
আপনি একটু খোজ খবর নিলেই জানতে পারবেন যে এই সব মাদ্রাসাগুলোর বেশির ভাগ ছাত্র-ছাত্রীই হচ্ছে দরিদ্র ঘরের সন্তান। যদিও আমাদের দেশে প্রাইমারি পর্যন্ত সাধারণ শিক্ষা ফ্রি, তারপরেও দরিদ্রঘরের মানুষেরা তাদের সন্তানকে এই মাদ্রাসায় দিতে পছন্দ করে বেশি। ধর্মীয় কারণ যে নেই সেটা আমি বলব না তবে তার থেকেও বড় কারণ হচ্ছে আর্থিক। এই সমস্ত মাদ্রার বেশির ভাগই চল দানের টাকায়। এখানে মানুষ সন্তানদের পাঠিয়ে অতি নাম মাত্র অর্থ বা বিনামূল্যে পড়াচ্ছে এবং লালন পালন করছে। থাকা খাওয়া সব। এখন একবার আপনি তাদের দিক থেকে চিন্তা করে দেখুন, আপনার দিন আনতে পান্তা ফুরোয়, এমন অবস্থায় আপনি আপনার সন্তানকে কোথায় পড়াবেন?
২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:৩০
শ্রাবণধারা বলেছেন: ধন্যবাদ অপু তানভীর। মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠানগুলো টিকে থাকার পেছনের আর্থ-সামাজিক বাস্তবতা নিয়ে আমি আপনার সঙ্গে পুরোপুরি একমত। আমাদের সমাজের দুর্বল অর্থনৈতিক কাঠামোই এখানে বড় চালিকাশক্তি।
আমার নিজের পরিবারই এ ধরনের একাধিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত। সর্বশেষ দেশে গিয়ে কয়েকদিন গ্রামের বাড়িতে ছিলাম। নিতান্ত অনুন্নত সেই গ্রামটিতে এতগুলো কওমি মাদ্রাসা দেখে তখন অবাক হয়েছিলাম। আগে আলিয়া মাদ্রাসা থাকলেও কওমি মাদ্রাসা ছিল না। কোথাও পাগড়ি প্রদান অনুষ্ঠান হবে, সেখানে কিছু অর্থ সাহায্য দিতে হবে। কোথাও ছেলেদের থাকার জায়গার ছাত নস্ট, কোথাও পানির কলটি খারাপ, কিছু দিতে হবে।
বাড়ির পেছনে মসজিদের সঙ্গে লাগোয়া টিনশেড ঘরে একটি কওমি মাদ্রাসা। ৮-১০ বছরের ছোট ছোট ১০-১২ টা ছেলে সেখানে পড়ে। আমি যখনই মসজিদে নামাজ পড়তে যেতাম, ওদের কেউ কেউ দৌড়ে এসে টিউবওয়েলের হ্যান্ডেল ধরত। যতটা পারতাম, বাধা দিতাম। ওদের পড়ালেখার কথা ভাবলে মনটা ভারাক্রান্ত হয়ে যেত। মনে হতো, শৈশবের কী ভয়াবহ অপচয়। আবার নিজেকেই বোঝাতাম, এই ছেলেগুলো এখানে পড়তে এসেছে বলেই নিয়মিত খেতে পারছে, এখানে না এলে হয়তো সেটুকুও জুটত না।
৬|
২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:২২
মাথা পাগলা বলেছেন: সৈয়দ কুতুব বলেছেন: ভারত এবং আওয়ামী লীগের চক্রান্ত।
সৈয়দ কুতুব@ বলেছেন মানেই সত্য… সোর্স "trust me bro"। আবার নিজেই বলবে দেশে লীগের চিহ্ন নাই। সব দোষ হাসিনার আর টুকটাক সমস্যাগুলা মনে হয় আবহাওয়া দপ্তর সামলায়। আবার বলেন তৌহিদী জনতা সব সময় খারাপ কাজ করে না, ভালো কাজও করে। ভাগ্য ভালো ঘুরাইয়া প্যাচাইয়া ইসকনের ঘাড়ে ফেলে নাই।
বিগত ১৬ বছর হাসিনা যা যা বলেছে সবই সত্য প্রমানিত হচ্ছে। জুলাই বিপ্লবের এনসিপি নেতারা সব জামাতের ক্রিয়েশন। জামাত ব্যান হতে পারে বলে A, B, C, D টিম বানিয়েছে। এখন এসব দলের প্রয়োজন নাই।
শ্রাবণধারা @ ভালো ব্যবস্থা হলে মাদেসা চেঞ্জ হবে কিনা - সময় থাকলে "সাইফুল বাতেন টিটো - বিষফোঁড়া" বইটা পড়ে দেখতে পারেন। লেখক অনেক গবেষণা করে বইটা লিখেছেন। পৃথিবীতে শিশুদের জন্য যদি কোন দোজখ থাকে সেটা হচ্ছে মাদেসা।
২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:৩৯
শ্রাবণধারা বলেছেন: ধন্যবাদ মাথা পাগলা। আমি সাইফুল বাতেন টিটোর বিষফোঁড়া - এই বইয়ের নাম আগে শুনিনি। আপনি বলায় আগ্রহ তৈরি হল।
আমি আলী রিয়াজের "বাংলাদেশে মাদ্রাসাশিক্ষা: প্রতিযোগিতা, সমঝোতা এবং আদর্শিক দ্বন্দ্ব" অনলাইনে এই লেখাটা পড়েছিলাম। বিশেষ ভালো লেখা মনে হয়নি যদিও, তবে বেশ কিছু তথ্য আছে।
৭|
২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১:১৩
কিরকুট বলেছেন: লেখক বলেছেন: সেটা এখনও কেউ না বললেও, অতীতের ঘটনাগুলোকে ভারত আর আওয়ামী লীগের তৈরি নাটক বলা হয়েছে!
পিঠ বাচানোর ও জনগন কে ভুল বোঝানোর একটা পন্থা ।
২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১১:১৭
শ্রাবণধারা বলেছেন: হ্যাঁ, তা ঠিক। পিঠ বাচানোর এবং জনগন কে ভুল বোঝানোর বাইরে, কোন রাজনৈতিক দলকে আমরা পাইনি।
৮|
২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ২:৩৩
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: মাথা পাগলা@সব দোষ শেখ হাসিনার । তিনি কওমি জননীী হিসাবে পরিচিত । সাইফুল বাতেন টিটোর মতো হনুমান কি ভাবে বিদেশে থেকে মাদরাসা নিয়ে লিখবে ?
২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১১:২১
শ্রাবণধারা বলেছেন: কওমি জননী এমনিতেই ইসলাম বিরোধী হিসেবে প্রচার পেয়েছিলেন। কওমিদের খুশি রেখে, ধর্মান্ধদের সাথে মানিয়ে চলার নিতি নিয়েছিলেন।
৯|
২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:৩১
সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: মাদ্রাসা শিক্ষা ব্যবস্থা যুগোপযোগী করা এখন শুধু সময়ের দাবিই নয় এটা অপরিহার্য হয়ে উঠেছি।
২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১১:২২
শ্রাবণধারা বলেছেন: হ্যাঁ, ধন্যবাদ। এটা অপরিহার্য, কিন্তু বিড়ালের গলায় ঘন্টা বাধবে কে?
১০|
২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:৪০
মাথা পাগলা বলেছেন: সৈয়দ কুতুব@
হাসিনা কওমী জননী। কিন্তু তিনি মাদেসার পোলাপাইন দিয়ে উগ্রবাদ দেখিয়েছেন কি? বা তার এমন কোন পরিকল্পনা ছিলো? উগ্র মৌলবাদের বিরুদ্ধে কথা বলার জন্য ৭৩ বা ৭৪ এ দাউদ হায়দার সর্বপ্রথম দেশ থেকে বিতাড়িত লেখক/কবি। শেখ সাহেব না চাইলেও চাপে পড়ে কাজটি করতে বাধ্য হোন।
বাতেন টিটো বিদেশে থাকার কারন কি? সাইফুল বাতেন টিটোকে বিদেশে থাকার কারনে হনুমান ডাকলে শ্রাবণধারাকেও কি আপনি সেই চোখে দেখেন? আর আপনিই বা বাংলাদেশে থেকে ভারত-পাকিস্তান নিয়ে লেখেন কিভাবে? অদ্ভুত সব যুক্তি।
২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১১:২৪
শ্রাবণধারা বলেছেন: বাংলাদেশে মৌলবাদের দমন করা সহজ কাজ নয়। তবে তাদের দমনের সাথে সাথে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করা প্রয়োজন, যেটা হয়ত আরো কঠিন।
১১|
২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:৫০
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: মাথা পাগলা@মাদরাসা গড়ে উঠেছে উইক সিসটেমের কারনে । উহাতে সব সরকারের অবদান আছে। শেখ হাসিনার অবদান সরবাধিক ।
কার সাথে কার তুলনা করেন ? সাইফুল বাতেন টিটো সরফে হনুমান সাহেবের মুখ চোখ ভেংচি আপনি দেখে বিনোদিত লাভ করি ।
শ্রাবণধারা নামের মাঝেই একটা দেশের প্রতি ভালোবাসা প্রকাশ পায় ।
২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১১:৩০
শ্রাবণধারা বলেছেন: সৈয়দ কুতুব বলেছেন: মাদরাসা গড়ে উঠেছে উইক সিসটেমের কারনে। উহাতে সব সরকারের অবদান আছে। শেখ হাসিনার অবদান সর্বাধিক।
হাসিনার অবদান সর্বাধিক নাও হতে পারে, তবে তার সময়ে ফলাফল গুলো সবচেয়ে মারাত্মক আকারে প্রকাশ পেয়েছে।
দুইজনে মিলে তো আমাকে ভালোই পচাচ্ছেন দেখি!
নামের মধ্যে আসলে কিছু প্রকাশ পায় না, আবার বিশ্বাসের মধ্যেও কিছু প্রকাশ পায় না। প্রকাশ পায় কর্মে।
১২|
২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৫:৩৬
মাথা পাগলা বলেছেন: সৈয়দ কুতুব@
গতকাল "আমার দেশ" সম্পাদক মাহমুদুর রহমানের তুরস্কের নাগরিকত্বের সংবাদ পড়েছেন নিশ্চয়ই? ২~৩ টা দেশের নাকরিত্ব কোন দোষের কিছু না, কিন্তু সমস্যা হচ্ছে তিনি এই ব্যাপারটা লুকিয়েছেন। আপনি নিশ্চয় জানেন, জামাতসহ বিভিন্ন উগ্রপন্থী সংঘটনকে তুরস্ক সহায়তা করে, ইনক্লূডেড সিরিয়া। আপনি বাকিদের ছাড়া লীগের সব অপকর্মই বিশ্লেষণ করতে পারেন, আবার কোন কারন ছাড়াই লীগের দোষ দেখেন। যেমন মাহমুদুর রহমানের ঘটনার পরও ব্যাপারটা ক্লিক করে নাই, শেষ মেশ সেই ভারত-লীগের উপরই দোষটা চাপালেন। আর এই ন্যারেটিভগুলা ধর্মগাধায় ভরা দেশের মানুষ শুনবে, শুনে বুকে বোমা বেঁধে ঝাপিয়ে ভারত-লীগের হাত থেকে দেশকে বাঁচাবে।
হাসিনার অনেক মূর্খাতামি আছে, তাই বলে বর্তমান সমস্যাগুলোকে কিভাবে সলভ করা যায় - সেই ব্যাপারগুলো নিয়ে চিন্তা-ভাবনা না করে কারন অকারনে শুধুমাত্র হাসিনার দোষ দেয়াটা কি যুক্তিসংগত দেখায়?
২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১১:৩৬
শ্রাবণধারা বলেছেন: জামাতের উগ্রপন্থীরা তুরষ্কে একটা সেকেণ্ড হোম তৈরি করেছে সেটা আমার অজানা নয়। তুরস্ক বাশের কেল্লা থেকে মাঝে মাঝে ফেসবুকে লেখা দেখি। জামাতের জামাতের আদর্শ, জামাতের যুক্তি, জামাতের বিজ্ঞান সবই গুয়ের মত। তবে মল পরিষ্কার সহজ কাজ নয়। লাথি দিলে ঘরময় ছড়িয়ে যাবে, খুবই ধৈর্যের সাথে পরিষ্কার করতে হয়।
১৩|
২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:১৯
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: মাথা পাগলা@ঘুরে ফিরে সবার ব্যাপারেই লিখি।
২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১১:৩৭
শ্রাবণধারা বলেছেন: হ্যাঁ, লিখুন। আউলায় না গেলেই হলো!
১৪|
২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:২১
জ্যাক স্মিথ বলেছেন: অবহেলায় অযত্নে বেড়ে উঠা এসব শিশুরাই হচ্ছে আমাদের ভবিষ্যৎ, এসব শিশুরাই একসময় দেশ পরিচালনায় গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করবে, এ থেকেই বুঝা যায় এই জাতির ভবিষ্যৎ কেমন হবে।
সরকারের উচিৎ ১০ম শ্রেণী পর্যন্ত শিক্ষা একদম ফ্রী করা সাথে কর্মমুখী শিক্ষা ব্যবস্থা চালু করতে হবে যাতে গরীব ছাত্ররা লেখাপড়ার পাশাপাশি কিছু টাকা উপর্জন করতে পারে, তাহলে শিশুশ্রম অনেকাংশে দূর হবে।
দেশে যত এতিমখানা আছে যার বেশীরভাগই মাদ্রাসা, মানুষ এখানে দান করে সওয়াবের আশায় শিক্ষার জন্য না। জেনারেল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ডোনেশন করার জন্য দেশের ধনী শ্রেণীদের আগ্রহী করে তুলতে হবে তাহলে এতিমখানাগুলো মাদ্রাসায় রুপান্তর না হয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে রুপান্তর হবে।
২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১১:৪৪
শ্রাবণধারা বলেছেন: ধন্যবাদ জ্যাক স্মিথ, সঠিক চিন্তা। মাদ্রাসা শিক্ষার যে দান কেন্দ্রিক মডেল তৈরি হয়েছে, এটা আমরা মোটামুটি সবাই জানি, কিন্তু এটাকে পরিবর্তন করা কঠিন, তবে অসম্ভব নয়। আমার বিশ্বাস আমাদের শিশুদের শিক্ষার জন্য টাকা পয়সার জোগান তৈরি করা কঠিন হলেও চেষ্টা করলেও আমরা জোগাড় করতে পারবো।
এ কাজের জন্য আমি আলুন মাস্ক, বল গেটস এমন কি ট্রাম্পু সাহেবের পা ধরতে রাজি আছি! ![]()
১৫|
২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৩০
জ্যাক স্মিথ বলেছেন: দেশে মাদ্রাসা বিস্তারের অন্যতম কারণ হচ্ছে- যেহেতু মাদ্রাসা থেকে পাশ করে তাদের টেকনিক্যাল বা অন্য কোন সাধারণ স্কিল থাকে না তাই তারা উন্নয়নমূলক কোন প্রতিষ্ঠানে চাকরি পায় না, বাধ্য হয়ে তারা আরেকটি মাদ্রাসা খুলে বসে, অথবা ওয়াজ মাহফিল করা শুরু করে কারণ ধর্মীয় লাইনে উপার্জনের এ দুটি পথ হচ্ছে সবচেয়ে সেরা। ঈমামতি, মূয়াজ্জিন করে যে টাকা বেতন পায় ওই টাকা দিয়ে সংসার চলে না কারণ তাদের ৫/৬ টি করে সন্তান থাকে, যে কারণে দেশে ব্যঙ্গের ছাতার মত মাদ্রাসার বিস্তার ঘটছে যেখানে সেখানে।
২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১১:৪৯
শ্রাবণধারা বলেছেন: আপনার এই মন্তব্য টিও গুরুত্বপূর্ন। একেবারে পিউর ফিনান্সিয়াল মডেলের দিক থেকে এই মাদ্রাসা শিক্ষাটাকে বিশ্লেষন করার প্রয়োজন আছে। এই দান মডেল কে এনজিও মডেল দিয়ে রিপ্লেস করা সম্ভব, আবার এই শিক্ষাব্যবস্থায় আরো ভালো, টেকসই ফাইনান্সিং নিয়ে ভাবার অবকাশ আছে।
১৬|
২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৩৬
জ্যাক স্মিথ বলেছেন: আবার এক একটি এতিমখানা থেকে বেশ কয়েকজন হুজুরের বেতন হয়ে যায়/ বা কর্ম সংস্থান হয়, যে কারণে এতিমখানার নামে মাদ্রাসা চালানোও আজকাল একটি লাভজনক ব্যবসা।
২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১১:৫৭
শ্রাবণধারা বলেছেন: হ্যাঁ, এটা একটা আর্থিক মডেল হিসবে সমাজে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, আবার এটা একটা দারিদ্র্যের দুষ্টচক্র।
টেরোরিস্ট ফাইনান্সিং বলে একটা বিষয় আমার এমএ ক্লাসে পাঠ্য ছিল। ইন্টারেস্টিং বিষয় হল, আমাদের দেশের রাজনীতি, ইসলামপন্থীদের কার্যক্রম, মাদ্রাসা শিক্ষা এই বিষয়গুলো কেও একেবারে নিখাদ ফাইনান্সিং এর দৃষ্টিকোন থেকে দেখার সুযোগ আছে। যেটা আমি দেশে কোন প্রকার আলোচনায় অন্তর্ভুক্ত হতেই দেখিনি।
©somewhere in net ltd.
১|
২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৭:০৫
কামাল১৮ বলেছেন: প্রকৃত ইসলাম তাই বলে,আল্লাহ ও তার রাসুলের নিন্দা করলে তাকে হত্যা করতে হবে।ইসলাম মানুষকে মানুষ করে না তাকে ধার্মিক করে।