নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মন রে, কৃষিকাজ জানো না; এমন মানবজমিন রইল পতিত আবাদ করলে ফলত সোনা! রামপ্রসাদ সেন ([email protected])
আগের পর্বের লিংক Click This Link
খেয়াল
“আমার খুব কষ্ট হয়েছিল তুমি আসোনি বলে।” তূর্য বলল।
“প্রস্তুতিও নিয়েছিলাম। বাবাকে বললাম, বইমেলায় যাব। ওনি মানা করলেন। ভাইও মানা করল।”
“পরীক্ষার পর বাহাদুর শাহ্ পার্কে গিয়ে বসলাম। এত অসহায় লাগছিল যে নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারছিলাম না।”
পরীক্ষা শেষে শরীরটা খারাপ হয়ে যায় তূর্য’র। কিছুক্ষণ পার্কে বসেছিল। মধু’র না আসাটা তার মনে রেখাপাত করেছিল। ভেবেছিল একসঙ্গে বইমেলায় যাবে। তার শরীর- মন দুটোই খারাপ হয়ে যাওয়ায় প্রোগ্রাম বাতিল করেছিল। তাছাড়া শরীরটা খারাপ হয়ে যাওয়ায় চলার মতো অবস্থাও ছিল না। তাই কোনোমতে গাজীপুরের বাস ধরে। উদ্দেশ্য আপাতত এক সহকর্মীর ওখানে থাকা।
মোবাইলের ওপাশে দীর্ঘশ্বাস। বোঝা যাচ্ছে মধু’র খুব মন খারাপ হয়েছে।
“আবার কবে আসবেন?” মধু জিগ্যেস করল।
“তোমার যখন সুবিধে হয়।” তূর্য বলল।
“এত কষ্ট করে আসবেন?” মধু বলল।
তূর্য’র মেজাজ খিঁচড়ে গেল। বলল, “ঠিক আছে আসব না।” অথচ ও ঠিক করে রেখেছিল শীঘ্রই একদিন দেখা করবে। ১৯ মার্চ মধু দেখা করেনি বলে ও মনঃক্ষুণ্ন ছিল। যদিও মধু’র কিছু করার ছিল না।
মেজাজ খিঁচড়ে যাওয়ার পেছনে অন্য কারণও আছে। দেখা করার প্রসঙ্গ তুললে মধু তালবাহানা শুরু করে। যদিও বহুবার বলেছে ইচ্ছে করেই এমন করে।
তূর্য জয়পুরহাট চলে গেল। সেখানে এক বড়ো ভাই চাকরি করেন। তূর্য সিদ্ধান্ত নিল কয়েকদিন ওখানে থাকবে। মধুকে একটা শিক্ষা দেওয়াও দরকার। যখন ঘনিষ্ঠ কোনো প্রসঙ্গ উঠে সে তূর্যকে ক্ষেপানোর চেষ্টা করে। তূর্য’র সাথে কয়েকজনের কথাবার্তা হয়। সে সরল-বিশ্বাসে মধু’র সাথে শেয়ার করে। অথচ মধু সময়ে-অসময়ে খোঁচা দেয়। নিজের অনেককিছুই গোপন করে। এর একটা বিহিত হওয়া দরকার।
এগারো দিন কোনো প্রকার যোগাযোগ হলো না।
কল্পনা
মধুকে কি চমকে দেওয়া যায়? মনে মনে ভাবল তূর্য। কিন্তু সেটা কীভাবে? ১২ সেপ্টেম্বর কলেজ খোলা। ও নিশ্চয়ই ঢাকায় চলে আসবে। ওর কলেজ গেটে গিয়ে হঠাৎ ফোন দিলে কেমন হবে? কিন্তু যদি ফোন না ধরে বা মেসেজ দিলে যদি রিপ্লাই না দেয়? অথবা টিএসসিতে গিয়ে একটা ছবি তুলে ফেসবুকে আপলোড দিলে কেমন হয়? মধু তো ফেসবুকে যুক্ত আছেই। নিশ্চয়ই ছবিটা তার চোখে পড়বে?
তূর্য ভেবে পেল না কী করা যায়। সঙ্কোচ হচ্ছে তার। যদি কোনো কারণে না আসে!
একটু অভিমানও হলো। ভাবল, দাড়োয়ানকে দিয়ে উপহারগুলো ভেতরে পাঠিয়ে দিলে ভালো হবে? ভয়ও হলো। দারোয়ান যদি জিগ্যেস করে সে কে? তাহলে কী উত্তর দেবে?
সাতপাঁচ ভেবে ফেসবুকে স্টেটাস দিল ‘Now or never’. স্টেটাস দেওয়ার কিছুক্ষণ পর হঠাৎ মেসেজ দিল মধু। তূর্য রিপ্লাই দিল। সবকিছু স্বাভাবিক হয়ে গেল।
কিছুক্ষণ কথা বলে জানা গেল মধু’র হল খুলবে ১৯ তারিখ। এর আগে সে ঢাকায় আসতে পারবে না। চাইলে অবশ্য চাচার বাসায় থাকতে পারে। তার এক চাচা ঢাকায়ই থাকেন। সেটা বোধহয় উচিত হবে না।
তূর্য তার কল্পনা বাস্তবায়ন করার তোড়জোড় করছিল। অথচ এখন সে সব মাঠে মারা গেল। এসে যদি মধুকে না পেত মনকে কী বলে সান্ত্বনা দিত?
চলবে...
৩০ শে নভেম্বর, ২০২১ দুপুর ১২:৩৪
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: সামনের পর্বটা বড়ো হবে। তখন হয়ত আগ্রহ জাগতে পারে।
২| ৩০ শে নভেম্বর, ২০২১ দুপুর ১২:২০
রানার ব্লগ বলেছেন: চলুক !!!!
৩০ শে নভেম্বর, ২০২১ দুপুর ১২:৩৫
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: আচ্ছা।
৩| ৩০ শে নভেম্বর, ২০২১ দুপুর ২:৪২
চাঁদগাজী বলেছেন:
ঢাকায় ছাত্রীদের থেকে গার্মেন্টস'এর মেয়ে বেশী; ওদের হৃদয়ে প্রেম ট্রেম আসে না?
৩০ শে নভেম্বর, ২০২১ বিকাল ৩:০৫
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: গার্মেন্টস'র মেয়েরাও ধুমসে প্রেম করে।
৪| ৩০ শে নভেম্বর, ২০২১ রাত ৮:১০
ইসিয়াক বলেছেন: গল্পটা কি দীর্ঘ হবে? উপন্যাসে রূপ নেবে? যদি এর আগে কোন বড় গল্প বা উপন্যাস না লিখে থাকেন তো প্রথমে ছোট ছোট গল্প লিখুন। ব্লগে দিন। আলোচনা সমালোচনা হবে, নানা দিক নির্দেশনাও পাবেন নিশ্চয়।
এই গল্প / উপন্যাসটি খসড়া হিসাবে প্রথমে লিখে শেষ করুন। তার আগে কাগজে গল্পের সিনোপসিস ( সারাংশ) লিখে ফেলুন। তাতে গল্পটি দিকভ্রান্ত হবে না। আপনারও আত্মাবিশ্বাস বাড়বে।
গল্প লিখে বারবার পড়ুন। লেখার কাজটা ফেসবুকে "অনলি মি" সেভ করে রাখুন। পড়ুন আর এডিট করুন নিজের মনের মত। আর ডায়লগ বা সংলাপ লেখার ক্ষেত্রে নিজে লেখা নিজে জোরে জোরে পড়ুন আর নিজে যেভাবে কথা বলেন সেভাবে শব্দ জুড়ে দিন। একজন গল্পকারকে অভিনেতাও হতে হয় কিন্তু। হা হা হা...
লিখতে থাকুন প্রিয় ব্লগার। পাশে আছি। পাশে থাকবো।
শুভ কামনা সতত।
০১ লা ডিসেম্বর, ২০২১ সকাল ১০:২১
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: আপাতত আর একটা অংশ রাখছি। তারপর ভাবব আরও দীর্ঘ করা যায় কি না। আসলে আমি চাচ্ছিলাম মনস্তাত্ত্বিক একটা কাহিনি লিখতে। পুরোপুরি মনোযোগ দিতে পারছি না। তাই লেখাটা গোছাতে পারছি না। তাছাড়া স্মরণশক্তিও কম হওয়ায় কাহিনির ধারাবাহিকতা রাখতে পারছি না। এই লেখাটা লিখছি মোবাইলে, তাও অফিসে বসে। চতুর্মুখী চাপের মুখে যতটুকু পারি, লিখছি। পরে লিখলে হয়ত এতটুকু কাহিনিও মনে থাকবে না। অস্বস্তিকর পরিস্থিতি!
৫| ৩০ শে নভেম্বর, ২০২১ রাত ৮:৫৭
রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: সামনের পর্বটা বড়ো হবে। তখন হয়ত আগ্রহ জাগতে পারে।
ওকে।
অপেক্ষায় থাকলাম।
০১ লা ডিসেম্বর, ২০২১ সকাল ১০:২২
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: তাড়াতাড়িই পোস্ট করব।
৬| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০২১ সকাল ১০:২৭
ইসিয়াক বলেছেন: স্মরণ শক্তি আমরও খুব কম। কি আর করা।
০১ লা ডিসেম্বর, ২০২১ সকাল ১০:৩৩
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: নির্জন পরিবেশ আর যথেষ্ট সময় পেলে ভালো হতো। বড়ো গল্প লিখতে গেলে সময় দরকার।
©somewhere in net ltd.
১| ৩০ শে নভেম্বর, ২০২১ সকাল ১১:৪০
রাজীব নুর বলেছেন: আপনি আগের পোষ্টে চাঁদগাজীর এক মন্তব্যের উত্তরে বলেছেন, এটা খসড়া লেখা। পড়ে মালমশলা দিয়ে লেখা ভারী করবেন।
কাজেই এখন আমি আপনার এই ধারাবাহিক পড়ার আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছি।