নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

দীপ ছিলো, শিখা ছিলো, শুধু তুমি ছিলেনা বলে...

শায়মা

দিয়ে গেনু বসন্তেরও এই গানখানি বরষ ফুরায়ে যাবে ভুলে যাবে, ভুলে যাবে,ভুলে যাবে জানি...তবু তো ফাল্গুন রাতে, এ গানের বেদনাতে,আঁখি তব ছলো ছলো , সেই বহু মানি...

শায়মা › বিস্তারিত পোস্টঃ

অস্ট্রেলিয়ার গল্প ২০২৪-১

২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১১:০৮


২২শে ডিসেম্বর ২০২৩ প্লেনে উঠেছিলাম অস্ট্রেলিয়ার উদ্দেশ্যে। কুয়ালালামপুর হয়ে সিডনী কিংসফোর্ড। প্লেনের টিকেট সিলেক্ট করেছিলাম জানালার ধারে কারণ একা একা যাচ্ছি একপাশেই থাকি। জানালা দিয়ে ভোরের, দুপুরের রাতের আকাশ দেখবো! আমার পাশের সিটটা ফাকাই ছিলো। ভাবলাম আরাম করে হাত পা ছড়িয়ে বসা যাবে। কিন্তু বিঁধি বাম এক দল কোনো এক ফার্মেসীর ছেলেমেয়ে বা কলিগেরা যাচ্ছিলো মালায়শিয়া। তারা হই হই করে উঠলো প্লেনে। তাদের মাঝের মেয়েগুলোর একটার সিট পিছের দিকে ছিলো আর তাতেই ছেলেগুলো থেকে অতি পণ্ডিত সবজান্তা শমসের গায়ে মানে না আপনি মোড়ল টাইপ একজন বললো তুমি এইখানে এই আপুর পাশে এসে বসো। বাহ! সব আপুরা একসাথে কত সৌন্দর্য্য! আমি এমনিতে হাসিমুখী কিন্তু এই গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল পণ্ডিত এর পণ্ডিতি পছন্দ হলো না মোটেও। মুখ গম্ভীর করে মাস্টারমশাই মুখ করে জানালার দিকে চেয়ে বসে রইলাম। যাইহোক ঢাকা থেকে মালায়শিয়া এই চার ঘন্টা সবাইকে জ্বালিয়ে পুড়িয়ে ছারখার করে ছেড়েছিলো ঐ ৭২ জনের বিশাল দলটা। একটু পর পর উঠে এসে একেক সিটের সামনে দাঁড়িয়ে হে হে করে গল্প করে। এক্সাইটমেন্টে তারা তখন ওভারস্মার্ট পাগলের দল! যাইহোক ওদের মাঝে একজনের গল্প মনে আছে। ছেলেটার নামও মনে করে রেখেছিলাম কিন্তু এখন ভুলে গেলাম। যাইহোক সে বলছিলো জানোস, আমার মা আসার সময় আমাকে গালে তুলে ভাত খাইয়ে দিয়েছে। আমাকে সারাক্ষন জড়ায় ধরে রেখেছিলো। আমি এখন মইরা গেলেও আমার আর দুঃখ নাই। আহারে বেচারা বড়সড় বালক! সবকিছুর মাঝে এই ছেলেটার এই কথাটার জন্য আমার সারাজীবন মনে থাকবে তাকে।

দুনিয়ায় যত বাস ট্রাক পিকআপ ভ্যান রিক্সা লঞ্চ জাহাজ ফেরী নৌকা যত রকমের যানবাহন আছে তার মাঝে প্লেন জার্নি আমার কাছে সবচেয়ে নিরানন্দের। আমার বোন যাকে বলতে গেলে প্রতি সপ্তাহেই প্লেনে করে একখান থেকে অন্যখানে জবের প্রয়োজনে যেতে হয় । সে বুয়েট থেকে ইঞ্জিনিয়ারিং শেষ করে আমেরিকায় পিএইচডি কমপ্লিট করে বেশ ভালো গুরুত্বপূর্ণ পদেই জব করছে সেও বলে প্লেনে ওঠা আর অপারেশন টেবিলে যাওয়া দুইই এক। হা হা এই কথা প্লেনে বসে আমার সবসময়ই মনে হয়। অপারেশনে যেমন জীবন বাঁধা থাকে ডক্টরের হাতে, চাইলেই সে এক ছুরি বা চাকুর পোঁচে কেটে নিয়ে আসতে পারে হার্ট, ফুসফুস, যকৃৎ, নাড়িভূড়ি গিলা কলিজা, শিরা উপশিরা। চাইলেও অপারেশন বা সার্জারীর রুম ছেড়ে পালানো যায় না ঠিক তেমনই প্লেনেও পাইলটের হাতে জীবন আর প্লেন ছেড়ে পালানো তো দূরের কথা। অপারেশন থিয়েটারের দরজার দিয়ে কোনো রকমে পালাতে পারলেও বাঁচার সম্ভাবনা আছে কিন্তু হায় প্লেনের দরজা! খুলবো কিভাবে আর খুললেও কোথায় ঝাঁপ দেবো!! এই সব সাত পাঁচ কারনেই আমি আমার নিজের ল্যাপটপ, গল্পের বই, নিজের স্নাকস সবই সাথে রাখি দিন দুনিয়া ভুলে থাকার চেষ্টায় আর কি। শূন্যে থাকলে দিন দুনিয়ার কথা ভেবে কি লাভ? যাইহোক লালনের একটা গান আছে "বেঁধেছো এমনই ঘর শূন্যের উপর প্রচ্চা করে" এই গানও মনে পড়ে আমার যখন আমি প্লেনের মাঝে শূন্যে বাঁধা উড়ন্ত ঘরে থাকি।

যাইহোক কুয়ালালামপুরে পৌছে ট্রানজিট ছিলো ২ ঘন্টা। আমি যেই গেট থেকে বের হলাম সেই গেটই ছিলো নেক্সট কানেকন্টিং ফ্লাইটের গেট। আমি সে দিকে না তাকিয়েই সোজা মনিটর খুঁজতে খুঁজতে সামনে হাঁটা দিলাম। একা একা আমি ঢাকা শহরের শপিং সেন্টার ভ্রমনে এক্সপার্ট কিন্তু একা একা আমি বৈদেশ ভ্রমনে বারংবার দারুন ভীত থাকি। ঢাকার বাইরের শহরগুলোতেও আমি কখনও একা একা ভ্রমন করিনি, জীবনে কোনোদিন কোনো ভারচুয়াল বা অনলাইনের পরিচিত শত প্রিয় মানুষ হলেও তার সাথে দেখা করিনি শুধু একজন ছাড়া। এমনই সেফ সাইডার আমি সেই আমাকে আমার জীবনে বহুবার একা একা বৈদেশ ভ্রমন করতে হয়েছে।:( যাইহোক ভয়ে ভয়ে হাঁটতে হাঁটতে ইনফরমেশনে গিয়ে খবর নিতে দেখি যে পথ দিয়ে চলে এলি সে পথ আবার ভুলেও গেলি রে মানে সেই পথের ধারেই গেট ছিলো। :( কি আর করা! ২ ঘন্টা বসে বসে কিছুতেই ইন্টারনেট কানেক্ট করতে পারছিলাম না। তাই রোমিং দিয়ে কল দিলাম বাসায়।

এরমাঝে একজন বয়স্ক মানুষ যাকে দেখে আমার নিজের বাবার কথা মনে হচ্ছিলো সে আমার ফোন দেওয়া দেখে বলে আপনি কি নেট কানেক্ট করতে পেরেছেন? আমি বললাম না পারিনি কিন্তু একই সাথে মহাগৌরবে বলে দিলাম রোমিং দিয়ে কল করেছিলাম বাসায়। সে বলে আমি আমার মেয়ের সাথে কথা বলতে পারছি না কারণ নেট কানেক্ট করতে পারছি না বলে। আমি মনে মনে ভাবলাম হায় হায় এখন আবার তাকে রোমিং দিয়ে আমার ফোন থেকে কথা বলাতে হবে নাকি? যাইহোক তিনি সেটা চাইলেন না কিন্তু বসে বসে বলতে লাগলেন তার জীবনের নানা গৌরবময় ইতিহাস। আগেই বলেছি আমি হাসিমুখী এবং ফ্রেন্ডলী লুক তাই যে কোনো মানুষ আমার সাথে কথা বলতে সাচ্ছন্দ্য বোধ করে। কিন্তু একই সাথে ভেতরে ভেতরে আমার আরেকটা রুপ বা আরওকিছু রুপ আছে যা অনেকেই দেখতে পায় না। যাইহোক তিনি বলতে শুরু করলেন তিনি আমেরিকান সিটিজেনশীপ কেমনে পেয়েছে। তার পরিবারের কতজন মানুষকে আমেরিকান সিটিজেন বানিয়ে দিয়েছেন। তিনি সর্বদাই বিজনেস ক্লাসেই ভ্রমন করেন ইত্যাদি ইত্যাদি সফলতার গল্প! তার জীবনের সফলতা ও আত্মতৃপ্তির গল্পগুলো শুনে খুব ভালো লাগছিলো। নেক্সট ফ্লাইটে আবারও পাশের সিট খালি ছিলো আর ঐ ৭২ জনের পণ্ডিতি ছেলেমেয়েদের দল না থাকায় আমি সেই ৮ ঘন্টার সফর হাত পা ছড়িয়ে নিজের কুইল্ট পাশের সিটের কুইল্ট পাশের সিটের পিলো সব নিয়ে আরামসে পাড়ি দিলাম সাগরের পর সাগর।

সিডনী কিংসফোর্ডে পৌছালাম সেদিন ২৩শে ডিসেম্বর। এয়ারপোর্টে পৌছুবার পরও আবার সেই একই ঝামেলা মানে না মানে ঝামেলা না হলেও আমাকে ঝামেলা পাঁকাতেই হবে। আগেরবারে ২০২৩ এ কোনো লাগেজই আনিনি। শুধু পিঠে কয়েকটা কাপড় আর সাজুগুজু সমেত ব্যাগপ্যাক নিয়ে চলে এসেছিলাম লাগেজ মাগেজের ঝক্কি না পোহাতে। কিন্তু এবার বিশাল এক লাগেজ ভর্তি কাপড় চোপড় জুতা সাজুগুজু গয়নাগাটি, মেডিসিন এই সব নিয়ে এসেছিলাম। কাজেই লাগেজ আমার অমূল্য রতন। সেই লাগেজ ছাড়া আমি সাজুগুজু করবো কেমনে । ছবি তুলে তুলে ফেসবুকে দেবো কেমনে? লাগেজ খুঁজতে গিয়ে তো আমি হিমশিম। আমার লাগেজ খুঁজেই পাচ্ছিলাম না।

হঠাৎ সামনে পেয়ে গেলাম এক ড্যাশিং পুশিং মহিলা। এয়ারপোর্টের সেই ড্যাশিং পুশিং মহিলাকে জিগাসা করতেই সে বলে উঠলো আমার চেহারা সুরৎ দেখেই যে আপনি কি বাংলাদেশী? আমি তো ওরে আমার স্বদেশী বইন রে পাইছি রে তোরে শিঘ্রী আমার লাগেজ খুঁজে দে রে হাউ মাউ খাউ লাগায় দিলাম। সে মহা মাতবরী চালে আমার টিকেটখানা দেখে বলে আরে আমি ১৫ নং আসছেন কেন আপনার তো ১৪ নং এ । আমি তো থ্যাংক ইউ থ্যাংক ইউ করে দৌড় সেদিকে। কিন্তু তারে ছাড়লেও স্বদেশী বইন আমারে ছাড়ে না।

আরে আপা দাঁড়ান দাঁড়ান কই যান? আমার সাথে আসেন চলেন হাঁটেন আমি আপনার রক্ষাকর্তা(এমন ভাব)। মানে আমি তখন পড়ে গেলাম তার খপ্পরে। কিন্তু অভিনয়টাতো আমি ভালোই জানি তাই বোকা বোকা সেজে তার খপ্পর থেকে বেরিয়ে এলাম। আমি প্যাকেট ফুড আর মেডিসিন নিয়ে এসেছিলাম বলে ডেকলেয়ার করেছিলাম আর আমি প্রতিবারই আসার আগে খুব ভালো করেই জেনে বুঝে যা আনা যায় তাই আনি কারণ কোনো উটকো ঝামেলায় পড়তে চাইনা, আগেই বলেছি আমি সেফ সাইডার। যখন আমি সেটা দেখাচ্ছিলাম এয়ারপোর্টের চেকিং এর লোকজন কিছু বলার আগেই সেই স্বদেশী মহিলা ও মাই গড!!!!!!!!! করে কপালে হাত দিয়ে খুবই থার্ড ক্লাস মুকাভিনয় দেখালো আমাদেরকে! যেন এইটা কি করছেন! এখন তো আপনার জেল হবে জরিমানা হবে আপনে তো শেষ বইন! তার থার্ড ক্লাস অভিনয়ে চেকিং এর লোকটা মোটেও মুগ্ধ তো দূরের কথা পাত্তাও দিলো না। বললো ইটস ওকে। আমি বেরিয়ে এলাম হি হি হি হি করতে করতে।

পিছে ঐ স্বদেশী বইন এক ডিসাবল লেডির হুইল চেয়ার ঠেলতে ঠেলতে হাত উঁচু করে আমার পিছন পিছন দৌড়াতে লাগলো। আপা দাঁড়ান দাঁড়ান খাড়ান খাড়ান কি যেন বলছিলো। আমি তো যা ভাগ খারাপ অভিনেত্রী। ধোকাবাজীটাও ভালো মত শিখলি না। তোর কোনো দাম নাই আমার কাছে। মনে হয় ভেবেছিলো এই বোকা গাধী মহিলাকে অভিনয় দেখিয়ে মুগ্ধ করে কিছু টাকা খসিয়ে নেবো। সোজা দৌড়ে গিয়ে সিনামাস্টাইলে ঝাঁপিয়ে পড়লাম যারা আমার জন্য গেইটে ওয়েট করছিলো তাহাদের বুকে। আর পেছনে আড়চোখ দেখলাম সেই মহিলা ঐ ডিসাবল লেডির হুইল চেয়ার ধরে দাঁড়িয়ে করুণ চোখে আমার পথ পানে চেয়ে আছেন। তারপর গাড়িতে বসে চারিদিকের ক্রিসমাসের আলোক সজ্জা দেখে মুগ্ধ হলাম। আহা! ওহ গাড়িতে ওঠার আগে অবশ্য তাড়াতাড়ি এয়ারপোর্টের ক্রিস্টমাস ট্রি আলোকসজ্জার সাথে ছবি তুলে নিয়েছিলাম।

২৪শে ডিসেম্বর ক্রিসমাস ইভ। আমাকে তো ক্রিসমাস ট্রি এর সাথে ছবি তুলতেই হবে। তাই গেলাম প্রথমেই ডার্লিং হারবারে। সেখানে গিয়ে তো আমি অবাক ক্রিসমাস ইভের নাম গন্ধ নাই শুধুই জাহাজ আর জাহাজ! আর এই দিকে কেনো জানিনা আমার অনেক খিধা লাগছিলো সমুদ্দুরের হাওয়ায়।

আর সেখানে একের পর এক দোকান সবখানেই এলকোহল পান চলছে। সব কিছু বার বার দেখতে দেখতে পেয়ে গেলাম মেক্কা বাহ। আহা আলাদীনের প্রদীপ ওয়ালা সেই ফুড শপ আর সাথে মেক্কা নাম দেখে আশস্ত হলাম, এখানে নিশ্চয় হালাল খানাদানা পাওয়া যাবে।
হাতে চাঁদ পেয়েই দৌড়ে ঢুকলাম সেখানে। এরপর মেন্যু উলটে বুঝে গেলাম এই বাহ মানে সেই বাহ নহে এই বাহ মানেও বারই। হা হা হা যাইহোক সব খাবারের দামই আকাশচুম্বী ছিলো।

কিন্তু কি আর করা একটা প্রেস্টিজ আছে না ঢুকেছি আর না খেয়ে বের হবো!! তাই কি হয়! তাই ভেবে চিন্তে অর্ডার দিলাম শীসকাবাব প্লাটার! খেতে ভালোই কিন্তু দেখতে খুবই সুন্দর!

টাউনহলে ক্রিসমাস ইভে সবাই ঘুরতে এসেছিলো।
চারিদিক ক্রিসমাস সাজে রঙ্গীন।

ক্রিসমাস মেলা.... অনেকটা আমাদের দেশের পহেলা বৈশাখের মেলার মত। মানুষ জন ক্রিসমাসের রেইন ডিয়ার বা ছোট ছোট ক্রিসমাস ট্রি মাথায় লাগানো ব্যান্ড পরে হাঁটছিলো। ছবি তুলছিলো। আমি ছাই কোথায় সেটা খুঁজেই পেলাম না সেদিন। পরদিন পেয়েছিলাম। কিন্তু কি লাভ সেদিন সেসব পেয়ে!

এখানটায় এই অপরূপা প্রাচীন ভাস্কার্য্যও ছিলো।এরমাঝে ঝমঝম বৃষ্টি। আমি তো রেইনকোট পরে ভূত সাজলাম। কিছু পরে বৃষ্টি থামলো আমরা গেলাম চায়না টাউন।
অনেক খানা পিনা পার্টি ম্যুড চলছিলো রং বেরং এর দোকানগুলোতে আর গানা বাজনায় মনে হচ্ছিলো সেটা থাইল্যান্ডের পাতায়া।

তবে পোল ড্যান্স ছাড়া আর কি।

যাইহোক ডার্লিং স্কয়ারের একটা আলোকসজ্জিত বাগানে ছবি তুলে সেদিনের মত বেড়াবেড়িতে ইস্তফা দিলাম আমরা।

তবে আমার আর হাঁটার ক্ষমতা ছিলো না তাই লাইট রেলে চড়ে স্টেশনে ফিরলাম। তারপর বাসায়। এত্ত এত্ত হাঁটাহাঁটি করে আমার তখন ক্রিসমাস ইভের রাত বারোটায় নিজের বেঁজেছিলো তেরোটা.........

পর পর দুই বছরেই ২৫শে ডিসেম্বরে যেতে হলো লাকেম্বা বাঙ্গালীপাড়া সিডনীতে। কারণ আর কিছুই না অত্যাবশ্যকীয় কিছু বাঙ্গালী কেনা কাটা যা আমার লাগবেই। তাই চললাম লাকেম্বা। বাসা থেকে বের হলেই সামনেই পার্ক। সেই পার্কে রোজ রোজ আমার ছবি তোলা লাগবেই।
সেদিন আবার বাচ্চাকাচ্চা কেউ না থাকায় আমি পার্কের গোলাপী নুড়ি পাথরে বাচ্চা হয়ে পোজ দিলাম। হা হা

তারপর সিডনীর মেট্রো। মেট্রোর মুখেই দাঁড়িয়ে ছবি তুললাম তারপর চেপে বসলাম মেট্রোতে। যাবার পথে থামলাম হাইড পার্কে! অপরূপা হাইড পার্কের রুপে মুগ্ধ হলাম আমি। আর এই বড়দিনে চার্চে কি কর্মকান্ড হয় সেটা দেখার বড় সাধ ছিলো আমার। পার্কে ঢুকে আমি তার শৈল্পিক সৌন্দর্য্যে আর চারিদিকের মনোরম নৈস্বর্গিক দৃশ্যে মন হারালাম!

চার্চের সামনে অপরূপা সব মনুমেন্ট! চোখ জুড়িয়ে যায়।মন ভরিয়ে দেয়!
এত মানুষের সমাগম। একটু একা একা হতেই পারিনা। কেউ না কেউ চলেই আসে।
অবশেষে অনেক কষ্টে একা একা ছবি!
আর এই জায়গাটা আমার অনেক ভালো লেগেছিলো। চারিদিকে যেন শান্তির পরশ বুলানো.....

ওহ সেখানে ঘাসের উপরে পাতা বিশাল বড় দাবার ছকের সাথে সাথে ছিলো বিশাল সব দাবার গুটিগুলি।
আরও এমন সব চেয়ারে চেয়ারে ছিলো টেবিলে পাতা দাবার ছক। এমন সব টেবিলে বসে অনেকেই খেলছিলো দাবা।

এই লোকটা সোনালী রঙের বিশাল এক ট্রাম্পপেট বাঁজাচ্ছিলো।
এই সেই হাইড পার্ক
পার্কের সাথেই ছিলো চার্চ! আমরা গেলাম সেইন্ট ম্যারী অব দ্যা ক্রস। চার্চের প্রবেশ দ্বারেই বাচ্চাকাচ্চারা বই নিয়ে পড়াশুনে করছিলো। এই স্টাচু আমার ভীষন পছন্দ হয়ে গেলো।

আমিও সেইন্ট ম্যারীর পদতলে বসে ওদেরকে পড়ালেখা করাতে শুরু করে দিলাম। এরপর চার্চের মাঝে অপরুপা সব স্ট্যাচুগুলি। আমি মুগ্ধ আর মুগ্ধ!!

মা মেরীর কোলে শিশু যীশু। কি যে অপরূপ ছবিখানা!!


২৫শে ডিসেম্বর উপলক্ষ্যে যীশু খ্রীষ্ঠের জন্ম ইতিহাস উপস্থাপন...

আরও বিস্তৃত ছবি খানি...

আহা কষ্টকর দৃশ্যটি।

এমন সব অপরুপা শিল্পকার্য্যে সাজানো ছিলো চার্চের অভ্যন্তর!

চার্চ দর্শনের পরে চললাম লাকেম্বাতে। যাবার পথে সেইন্ট জেমস স্টেশনের সৌন্দর্য্যেও মুগ্ধ হলাম আমি।
কত শত বছর আগের এই স্টেশন। এতটুকু নষ্ট না করে বরং সেই অতীত ইতিহাসকে সংরক্ষন করে সাজিয়ে গুছিয়ে রেখেছে তারা। টিকেট কাউন্টার বন্ধ হয়ে গেছে। কিন্তু তার কারুকার্য্যময় দাঁড়াবার স্থানটি যেন অবিকল তার সৌন্দর্য্য ধরে রেখেছে।
কত বছরের পুরোনো ইতিহাস এসব! সেই ইতিহাস জানতে হবে আমাকে।
সেইন্ট জেমস স্টেশনের ইতিহাস
লাকেম্বা বাঙ্গালীপারায় দুপুরের খানা সেখানেই খাবার মনোস্থ করলাম। দোকানটা ছিলো খুশবু স্যুইটস এন্ড রেস্টুরেন্ট! আমরা খেলাম কাবাব পরোটা এবং সাথে করে একই জিনিস টেকএওয়েও নিয়েছিলাম কিন্তু দুঃখের বিষয় নিজেদের খাবারটা ফেলে এলাম। বাসায় ফিরে দেখি ব্যাগে ফুচকা আর ফুচকার ডাল। হায় হায় এই জিনিস কেমনে এলো! আমরা দোকানে ফোন দিলাম। দোকান বলে এই জিনিস তো আমাদের দোকানের না। হায় হায় আমরা ভুল করে আরেক কাস্টমারের প্যাক নিয়ে চলে এসেছি আর সেই লোক আমাদেরটা! এই দুস্ক কোথায় রাখি !!!

শপিংমলের মাঝে সাজানো বাগান ক্রিসমাস ডে উপলক্ষে ...
২৬ আর ২৭ শে তেমন কোনো কাজ ছিলো না শুধুই রান্না করে করে বাঙ্গালী খানাপিনা বিদেশীদেরকে খাওয়ানো ছাড়া। যাইহোক আমার ছোট বোন যার কথা বলেছিলাম আমেরিকা থেকে পি এইচ ডি করে ভালো একখানা জব করছে তবুও প্লেন জার্নীকে অপারেশনের টেবিল ভাবে, সে বার বার বলে দিয়েছিলো ক্রিসমাসের পরেরদিন অবশ্যই ক্রিসমাস ডেকোরেশন কিনতে দোকানে যাবি তখন সব সস্তায় পাওয়া যায়। আমি তো তাই শুনে ছুটলাম শপিং সেন্টারে।
পেয়েও গেলাম ক্রিসমাস দাদু,হরিণের গাড়ি, অপূর্ব ল্যাম্প ! কিন্তু হায়! সেল দেবার পরেও সব আকাশচুম্বী দাম! মনে মনে বললাম কে কিনে এই সব কাঁচকলা! দূর দূর দূর!!!আসলেই আঙ্গুর ফল টক গল্পটা মিথ্যা নহে!

২৭ তারিখও ছিলো এলেবেলে ঘরবাড়ি গুছিয়ে রান্নাবান্না করে কাটিয়ে দেবার দিন। তবে সেদিন গেলাম সিনেমা দেখতে। যাইহোক সিনেমা দেখতে আমরা ইভেন্টে গেলাম।

সবুজ নীল গোলাপী ড্রিংকস সবগুলো থেকে একটু একটু করে নিয়ে এক গাদা টাকা খরচ করে সব মিলিয়ে ভূত বানিয়ে খেলাম। আইস্ক্রিম, চকলেট চিপস যা সামনে পড়লো তাই নিয়ে ম্যুভি দেখতে বসলাম।

ম্যুভির নাম ওঙ্কা! আহা সে একেবারেই আমার মনের মত ম্যুভি চকলেটের রাজ্যের রুপকথা! আমি মুগ্ধ হলাম আমি মুগ্ধ হলাম! :)

২৮ তারিখে গেলাম চ্যাটসউডের খানাপিনা মানে তাদের মজাদার স্ট্রিট ফুড খেতে। তো সেখানে যাবার আগে আমি আগের দিনে ট্রেইন থেকে দেখেছিলাম রোজ গার্ডেন।

আহা কি সুন্দর সবুজ সজীব! সেখানে আমাকে যেতেই হবে। সেখানে কিছুক্ষণ ঘুরে আমরা গেলাম চ্যাটসউডের খানাপিনা খাবার আশায়। কিন্তু হায় ! কোনো খানাই পছন্দ হলো না । শেষ মেশ টাকো আর লেমোনেড খেয়েই ফিরে চললাম বাসার উদ্দেশ্যে।

বাসার পাশের পার্কের চেয়ারে। যেখানে রোজ রোজ বাসা থেকে বের হয়েই প্রথম কাজটাই ছিলো আমার ছবি তোলা। :)
২৯ ডিসেম্বর চললাম অবার্নের উদ্দেশ্যে।তাদের মান্ডি আর হায়দ্রাবাদী বিরিয়ানীর জন্য। আর আমার আরেক উদ্দেশ্য ছিলো। গতবারে ২টা টার্কিশ কুশন কাভার নিয়ে গেছিলাম সেখান থেকে। অনেক বেশি দাম হওয়ায় বেশি কিনতে পারিনি সেই দুঃখ ছিলো। তো এবারে আরও কিছু কিনবোই বাঁচি আর মরি এমনই সাধ ছিলো মনে। আরও একটা সাধ ছিলো তা হলো স্পুন অরগানাইজার। আমি এই জিনিস বাংলাদেশে অনেক খুঁজেছি। কিন্তু পাইনি। কিচেনের ড্রয়ারে ঢুকিয়ে দিলে নানা রকম চামচ কাঁটা, ছুরি কাঁচি নানা খোপে সাজিয়ে রাখা যায়। গতবার শুধুই ব্যাগপ্যাক ছিলো তাই নিতে পারিনি। এবারে নিতেই হবে। যাইহোক প্রথমেই ঢুকতে হলো হায়দ্রাবাদী বিরিয়ানী খেতে তারপর সেই টার্কিশ শপ। যেখানে রানা নামের একজন টার্কিশ মহিলা আছেন যিনি কথায় বড়ই আন্তরিক কিন্তু দরদামে এক্কেবারেই স্ট্যাচু অব দ্যা লিবার্টি। নট নড়ন চড়ন। যত কথাই বলো সে তার দামে অনড় অবিচল।

আমিও কথার রাজা হয়ে গেছি স্টুডেন্ট আর প্যারেন্টস ভুলাতে ভুলাতে কাজেই সেই বিদ্যা কাজে লাগালাম কিন্তু কোনোই লাভ হলো না। সে আমাকে বিউটিক্যুইন বানায় দিলো আমাকে দেখে তার মুগ্ধতা ভালোবাসা জানায় দিলো কিন্তু দামে সে অবিচল রহিলো। কি আর করা আমিও তো আমার সিদ্ধান্তে অবিচল আসলে যতই দাম হোক না কেনো আমি তো নেবোই। :) তো সেই কুশন কাভারগুলো নিয়ে চললাম আরও কিছু এরাবিয়ান মেক্সিকান, পাকিস্তানী আফগানী শপগুলো পরিদর্শনে। প্রথমেই ঢুকলাম এক মহা দশাসই, মহা বেয়াদপ মহিলার দোকানে। দোকান সাজিয়ে সে যেন কাস্টমারদেরকে উদ্ধার করে ফেলেছেন। গতবার অস্ট্রেলিয়ায় এসে দেখেছিলাম একমাত্র বেয়াদপ রেন্ট বাড়ির এজেন্ট আর এবার দেখলাম এই বেয়াদপ দোকানী মহিলাকে। সে সবার সাথে যাচ্ছেতাই বিহেব করছিলো। যাইহোক এর দোকান থেকে কিছুই নেবোনা মনোস্থ করে আমরা বেরিয়ে এলাম।

এরপর ঢুকলাম কাবুল শপে। ঢুকেই আমার মন ভরালো চোখ জুড়ালো। এত সুন্দর সব কারুকার্য্যময় জামাকাপড় গয়না গাটি! আমি বড়ই স্বদেশী পন্য কিনে হও ধন্য টাইপ মানুষ। স্বেদেশী সালোয়ার কামিজ শাড়ি ছাড়া পরিই না বাংলাদেশে। আর যা কিছু পরি না কেন ইন্ডিয়ান বা পাকিস্তানী সালোয়ার কামিজ বা শাড়ি ভুলেও সেদিক মাড়াই না। কিন্তু এই কাবুল শপে ঢুকেই আমার চোখ আটকে গেলো তাদের একটা মাথায় পরা অর্নামেন্টস এ। যার নাম কোলা। এই জিনিস জম্বু কাশ্মীর বা আফগান মেয়েদের মাথায়ই দেখেছি মনে হয়। আমি তো সেই জিনিস না নিয়ে নড়বোই না। কিন্তু তারা দাম হাঁকলো ১২০ ডলার! আমাকে যারা চেনে সবাই জানে শখের তোলা ৮০ টাকা। আমি তো ১২০ বা ২২০ যাইহোক নিতেই হবে। এই জিনিস জীবনে কখনও পরা হবে কিনা জানিনা কিন্তু ছবি তো তোলা হবে আরও বড় কথা সাজিয়ে রাখলেও আমি নিজেই মুগ্ধ হবো। যাইহোক এরপর আরও কিছু আউলফাউল কাজে এক গাদা টাকা নষ্ট করে ফিরলাম বাসায়। তবে সেটা ছিলো শপিং ডে। টাকা তো নষ্ট হবেই। তাই না?

অবার্নের একটা গোলাপী গোলাপী বারবিডল মার্কা মেডিসিন শপের সামনে। এই বারবিডল মার্কা শপটা আমার অনেক ভালো লেগেছিলো। :)

এই ছিলো এ বছরের অস্ট্রেলিয়া ভ্রমনের প্রথম সাত দিনের গল্প......... বাকী গল্প নিয়ে আবারও হাজির হবো একটু অবসরে.......

মন্তব্য ১৪০ টি রেটিং +২২/-০

মন্তব্য (১৪০) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১১:২৮

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:



আপুনি,
তোমার ধৈর্য আছে!
এত বড় কাহিনী কিভাবে লিখছো

২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১১:৩৭

শায়মা বলেছেন: কাহিনী তো আরও আছে ভাইয়ু.....

তোমাদের পড়ার ধৈর্য্য হবে না আর সামু ব্লগ হা হয়ে যাবে। তাই পোস্ট করিনি।

আসলে ভাইয়া রোজ রোজ রোজনামচা লেখা আমার অভ্যাস সে যত রাতই হোক না কেনো।


ভাইয়া পুরা পোস্টে ছবিগুলি দেখলে একটু আধটু বুঝবে কোথায় গেলাম কি হলো কিন্তু প্রথমাংশ মানে প্লেইন জার্নীটুকু পড়ো সেটা আমার কাচে সবচেয়ে হাসির দুস্কের আর মজার আসলে। :P

২| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১১:৫৬

কাওসার_সিদ্দিকী বলেছেন: বাহ্!আন্টি বাহ, তোমার সুন্দর লেখা, সুন্দর ছবি। "কষ্টকর দৃশ্যটি" খুব ভালো লেগেছে। ভালো থেকো!

২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৯

শায়মা বলেছেন: হা হা কষ্টকর দৃশ্য ভালো লাগে নাকি???

তবে আসলেও সৃষ্টিকর্তার পৃথিবীতে নানানস্থানে নানান অপরূপা সৃষ্টি। প্রকৃতি সবখানেই নানা রুপে সুন্দর!!!

৩| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১২:১৪

নীল-দর্পণ বলেছেন: ৭২ জনের একজন যখন পাশে বসলো আর মুখ গোমরা করে রেখেছিলেন আমি ভাবছি ওরা নিশ্চই পরে গল্প করেছে "সুন্দরী হলে কী হবে গোমরামুখো ছিল আপুটা" । :P

মাস্টারনী যেখানে যাবে সেখানেই তার কাজ করবে এটাই তো স্বাভাবিক, তাইতো পড়ানো শুরু করে দিয়েছে হোক না সে পাথরের বেবি । =p~

আমার কিন্তু গোলাপী রংটা বিরক্ত লাগলেও গোলাপী গোলাপ বার্বিসাজে শায়মাপুকে ভালো লাগছে খুব। :D

২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১২:৪৬

শায়মা বলেছেন: ওরা কি বলেছে না বলেছে কে জানে তবে সত্যি আমার এত্ত রাগ লাগছিলো।

আমি যখন রাস্তা দিয়েও কোনো পথে ছুটে চলি একা একা চারিদিক দেখতে ও ভাবতে ভালোবাসি। তখন আমি চুপচাপ থাকি।

আসলে আমি তো বহুরুপী তাই আমার মনেরও বহু রুপ। আর এই সকল বহুরূপের একরূপ চুপচাপ থাকার সময়টাতেই বিঘ্ন ঘটিলোক তাই আমার রাগ লাগছিলো! :(

হা হা একদম ঠিক ঠিক সেখানে গিয়েও মাস্টারনী পণ্ডিতনী হবার সুযোগ পেয়ে গেছিলাম!!!! :)

আর সে সময় কেনো যেন ওদের শপিং মলগুলোতে খুব গোলাপী শার্ট প্যান্ট কোট টাই ঝুলছিলো চারিদিকে।আর আমি আর কিছু নাকিনি সেখানে গিয়ে একের পর এক জামা কিনেছি কিন্তুক!!!

আর জানো গত পরশু ছিলো আমাদের এনুয়াল পিকনিক। সেখানে এই গোলাপী জামা পরেছি বলে একদল দুষ্টু কলিগেরা আমার এই সাজকে এপস দিয়ে বারবি বানায় দিলো। :P

সেটা আমি আমার রিয়েল ফেসবুক আইডিতে প্রোপিকেও রেখেছিলাম। :)

৪| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১:০০

রানার ব্লগ বলেছেন: অনেক বড় পোস্ট। ধীরে সুস্থে পড়বো। এখন কেবল ছবির উপর চোখ বোলালাম। বেশ হয়েছে ছবি গুলা।

২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১:০৫

শায়মা বলেছেন: তুমি এত ফাঁকিবাজ হয়েছো জানতাম না। এই পোস্ট পড়তে সময় লাগে!!!!!

যাইহোক ছবিগুলো তো পিঁপড়া পিঁপড়া হয়ে আসে পোস্টে। তবুও ভালা বলছো তাই থ্যাংকস!!! :)

ধীরে সুস্থে এসে পড়তে ভুলোনা কিন্তু!!! :)

৫| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১:১৫

রাজীব নুর বলেছেন: কেউ মুখে তুলে খাইয়ে দিচ্ছে, বিষয়টা আমার মোটেও পছন্দ না। সেটা মা হোক বা স্ত্রী হোক। তবে ছোট বাচ্চাদের হিসাব আলাদা। আমার মা স্ত্রী বা অন্য কেউ নলা করে খাইয়ে দিলেও আমি খাবো না। এটা আমার পছন্দ না।

প্লেনের জার্নি বিরক্তকর হলেও, এই বিরক্তি ভাবটা কাটানোর কিছু কৌশল আছে।
বেশি বেশি ভ্রমন করবেন। তাহলে সরকার ভ্রমন কর পাবে। দেশ এগিয়ে যাবে।

২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১:২৩

শায়মা বলেছেন: একদম সত্য কথা বলেছো! আমারও ভালো লাগে না ঢং ঢাং করে মুখে তুলে খাইয়ে দেওয়া। তবে ঐ ছেলে এইটা নিয়ে আপ্লুত ছিলো। আর সে মনে হয় তার মায়ের আদরের মানে অনেক আদরের ছেলে তাই সেটা আবার বোকার মত বলছিলোও এক গাদা মানুষের সামনে। যা অন্য কোনো চালাক মানুষ হলে বলতো না। সহজ সরল মানুষেরা তো অনেক কিছুই করে ভাইয়া। তোমাকেও আমার সহজ সরল মনে হয়।

যাইহোক প্লেনের জার্নীর বিরক্তিকর ভাবটা কাটানোর জন্য আমি চকলেট বিস্কিট আচার চাটনী চিপস যেমন নিজের খানা নিজের সাথে রাখি ঠিক তেমনই বই এবং ল্যাপটপও রাখি আর কি কি উপায় আছে শুনি। দেখি তুমি কেমন পণ্ডিত! :)

গত বছর থেকে ভ্রমনের উপরেই আছি। তবে আহা যদি হাঁটাপথে বা হন্টনপথে ভ্রমন করা যেত! বা উট বা ঘোড়া বা গরুর পিঠে করে কিংবা জলপথেও তবুও আমার শান্তি হত । কিন্তু আকাশপথে!!!!!! দোয়া পড়তে পড়তে পড়তে পড়তে আমার মরার পরের সকল আজাব মাফ হয়ে যাবে মনে হয় এতই আল্লাহকে ডাকাডাকি করি আকাশপথে ভ্রমনকালে।

৬| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১:১৭

আরইউ বলেছেন:



বিমান ভ্রমন আমার ২য় সবচেয়ে প্রিয়; নিজে ড্রাইভ করা অবশ্যই নাম্বার এক!

অস্ট্রেলিয়াতে কম ট্রাভেল করিনি তবে কখনো কোন বিমানবন্দরে (সম্ভাব্য) ঠগবাজের খপ্পরে পরিনি। মাস্কট এয়ারপোর্টের ড্যাশিং-পুশিং মহিলার ঘটনাটায় একটু অবাক হলাম। অবশ্য অস্ট্রেলিয়ার অন্যান্য শহরগুলোর তুলনায় সিডনি চারিত্রিক দিক থেকে একটু ভিন্ন।

আপনার লেখায় আবার আসছি...

২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১:৩৪

শায়মা বলেছেন: ভাইয়া!!!!!!!!!!!!

আমার সবচেয়ে প্রিয় অপ্রিয় ভাইয়া বলেছেন আমার ব্লগিং নাকি শেষের পথে!!!!!!!!! :((

এক্কেরে লড়রবড়র নাকি!!!!!!!!!! :(( :((

আমি নাকি আর বেশি দিন এইখানে টিকতে পারবো না!!!!!!!! :(( :(( :(( ভেউ ভেউ ভেউ!!!!!!!! আমি তো সেই কথা শুনে কাঁদতে কাঁদতে শেষ!!!!!!!!!!!


যাইহোক ভাইয়া নিজের ড্রাইভ আমারও তো কত্ত প্রিয়!!! কত কত ডেরাইভিং করে করে সাজুগুজু করে ভিডিও বানাই জানোনা তো!!! সে সব তো আর ব্লগে দিতে পারি না আমার পারসোনাল ফেসবুকে আত্মীয় স্বজন বন্ধু বান্ধব আর কলিগদেরকে দেখাই। :)

তবে হ্যাঁ সেটাই আমার বেশি প্রিয় মানে ঢংঢাং করে ডেরাইভিং ভিডিও নইলে কে কষ্ট করে আবার গাড়ি চালাতে যায় বলো!!! :)

আর আকাশপথে!!!!!!!!!!! নহে নহে নহে!!! আকাশ থেকে ঠাস করে পড়ে গেলে আর কি কোনো বাঁচার আশা আছে বলো??
সড়কপথে হাত পা খোড়া হয়েও বেঁচে যেতে পারি, জলপথে সাতরে মাতরে জলকন্যা বা জলকুমারের সহায়তায়ও বেঁচে উঠতে পারি কিন্তু অত্ত বড় আকাশ থেকে পড়ে গেলে কি আর হাড্ডিগুড্ডি মাংস রক্ত কিছুই অবশিষ্ঠ থাকবে!!! তাই তো সারা আকাশপথে আয়াতুল কূরশী পড়তে পড়তে আর আল্লাহকে ডাকতে ডাকতে আমি মরার আগেই বেহসত নিয়ে নেই।:)

ভাইয়া অস্ট্রেলিয়ায় সবকিছুই অনেক সৎ ও সুন্দর তবে আগের বছরে এমন এক রেন্ট বাড়ির এজেন্টের পাল্লায় পড়েছিলাম। বেটা ভাই চাইনিজ নচ্ছার!!! X((

আর এবারে দেখেছিলাম এক এরাবিয়ান বেয়াদপ মহিলাকে। সবার সাথে যাচ্ছেতাই আচরণ করছিলো।

আর এই মহিলা বাংলাদেশী একজন। ঠগ কিনা জানিনা তবে মহা পণ্ডিত। নিজের পাণ্ডিত্য জাহির করতে গিয়ে বেশি বেশি অতি অভিনয় করে ফেলেছিলো। :)

সিডনীতে আরও কিছু সমস্যা দেখেছি যেমন ম্যুভার বা রিম্যুভালিস্ট যারা তাদের লেবারেরা অন্যান্য দেশের কর্মচারী যারা তাদের আচরণে। যদিও আমাদের দেশের তুলনায় উহা নস্যি!

৭| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ২:০২

আলামিন১০৪ বলেছেন: আপনার এত ছবি কে তুলে দিল, ভাইয়াকে সাথে নিয়েছিলেন বুঝি?
বাই দ্যা ওয়ে, ওয়ান প্লাস বদলে একখান ‍স্যামসাং ফ্লাগশিপ বা আইফোন নিয়ে নিন জলদি, আমরা আরো সুন্দর ছবি দেখতে চাই

২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ২:০৮

শায়মা বলেছেন: হা হা না ভাইয়া সঙ্গে যায়নি। তবে সেখানে পৌছুবার পর অন্য আরও অনেকেই ছিলো। যদিও ভ্রমনকালীন আমি একাই ছিলাম।
এবারেই স্যামসাং কিছু মিছু একটা কিনে এনেছি। এখনও ইউজও করিনি। আমি ফোন নিয়ে নো পাত্তা মানুষ! যা উঠে যেই ফোনে তাহাতেই খুশ! তবে ভাইয়া। এইখানে যেই ছবি দেখছো তাহা ফোনের দোষ নহে। দোষ সামুভাইয়ার। সামুতে ছবি এইভাবেই ছোট আর হেজী করে আসে। যদি না সেখানে অন্য কেরামতী করি। এই ছবি এইখানে এখুনি আমি সুন্দর করে দিতে পারি। কিন্তু সব ছবি সুন্দর কেরামতী করতে গেলে আমার সুস্থ শরীর ব্যস্ত হবে তাই এই কাজে যাইনি!

ওকে তোমাকে সুন্দর ছবিটা দেখাই। :)

২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৩:১৪

শায়মা বলেছেন:

৮| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ২:২২

আরইউ বলেছেন:



আপনাকে এবং আপনার ব্লগিং ক্যারিয়ার নিয়ে আমি চিন্তিত আছি। অবশ্য তেল তেলে দু’ একটা কমেন্ট করেই আপনি ব্লগার হিসেবে জাতে উঠতে পারেনঃ বলবেন আপনি ব্লগে আসেন কেবল লিলিপুটগাজী আর চোরা সাগরেদের পোস্ট পড়তে।

অস্ট্রেলিায়ায় অনেক সৎ মানুষ বিষয়টা যেমন সত্য তেমনি অসৎ মানুষের অভাব নেই এটাও অস্বীকার করা যাবেনা। রেন্টাল এজেন্ট, প্রপার্টি ম্যানেজমেন্ট এজেন্ট এরা কিন্তু অস্ট্রেলিয়ার সবচেয়ে বেশি অনৈতিক পেশাজীবীর দল (২৫ নং পাতা)। রিম্যুভালিস্ট সহ অন্যান্য ট্রেডিরা একটু রাফ এন্ড টাফ— ওদের সাথে ডিল করতে একবার শিখলে বোঝা যায় ওদের মত দিলখোলা ভালো মানুষ কমই আছে।

২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ২:৪৫

শায়মা বলেছেন: ঠিক ঠিক ভাইয়া আমি ব্লগে আসিবোক শুধু তোমার লিলিপুটগাজী আর আমার অতি প্রিয় অপ্রিয়ভাইয়ার আর তার সাগরেদের পোস্ট পড়িতেই! নইলে তো জাঁত গেলো জাঁত গেলো বলে লালন সঙ্গীত গাইতে হইবেক হামাকে! :(


ভাইয়া অস্ট্রেলিয়ার রেন্ট বাসা নিতে গিয়ে কি ঝক্কি পোহাতে হয়েছিলো পাজী এজেন্ট মাইকেলের পাল্লায় পড়ে সেই ঘটনাবলী লিখলে আরেক পূর্ণ দৈর্ঘ্য ব্লগ পোস্ট হয়ে যাবে। তবে আমি কি ছাড়িবার পাত্রী! ফেয়ার ট্রেডিং এ কমপ্লেইন দিয়ে বেটার সানডে মানডে ক্লোজ করে দিয়েছি! ভাইয়া আমার সেসব মেইল টেক্সট বা তাহার সহিত কথোপোকথন পড়লে তুমি সত্যি হাসতে হাসতে মরেই যাবে। হা হা হা আমি মাঝে মাঝে নিজেই পড়ে নিজেই হাসি। সে তো রেগে মেগে আমাকে রাবিশ মাবিশ একদম লিলিপুটভাইয়া স্টাইল বাট আমিও হেসে হেসে তাহার পিত্তি জ্বলিয়ে দিয়েছি এবং শেষমেষ ফেয়ার ট্রেডিং এ জানিয়ে দিয়েছি। বেটার সাহস কত বলে আমার নামে কমপ্লেইন দিলে নাকি আমি আর কোনো বাসা ভাড়াও পাবো না কিনতেও পাবো না ভিসা এফেক্টেট হবে কত্ত কি!!!!

বেটা কত বড় ঠগ জানো? বাড়ির ওনার সাজিয়ে তারই কম্পানীর এক মহিলা এমপ্লয়ীকে দিয়ে ফোন দিয়েছে। আমার সন্দেহ হলো কাগজপত্রে এক নাম পুরোপুরি উল্টো নাম এই মহিলার। তারপর আবার মেইলও দিয়েছে। যদিও চাইনিজরা তাদের নাম বদলায়। এই কাজটা করেই বেটা একদম ফেসে গেছিলো। যাইহোক তুমি ঠিকই বলেছো এজেন্টরা খুবই পাঁজি সে মনে হয় স্বর্গে গেলেও তারা বদলাবে না।

রিম্যুভালিস্টরা তেমন কিছু করেনি। শুধু স্টেপসের জন্য যেই টাকা কম্পানীকে দেবার কথা ছিলো সেটা তিন গুন বেশি চাইছিলো এবং কম্পানীকে না দিয়ে তাদেরকেই দিতে বলছিলো ক্যাশে। তবে আমরা বাংলাদেশী না? আমাদের সাথে পারবে??? :P

ওখানে যারা ওয়ার্কার মানে সোজা কথা লেবারেরা আছেন তারা যেমনই হাসিখুশি আনন্দময় মানুষ তেমনই সুখী। সেটা বুঝাই যায়। ভাইয়া তার মানে এতদিনে বুঝলাম তুমি অস্ট্রেলিয়ায় আছো!!!!!!!!!

তাড়াতাড়ি এড্রেস মেইল করো আমাকে। আমি আসছি তোমার বাড়িতে!!!!!!!!!! :)

৯| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ২:২৫

জাহিদ অনিক বলেছেন: ওয়াও গুড গুড!
ছবিগুলো দেখলাম যাস্ট। এক নজরে কিছুটা পড়েছি। পুরোটা পড়ে আবার আসবো।
ফেসবুকে দেখলাম এখন বোধয় অঞ্জন দত্ত লাইভ গাইছে মেলবর্নে।

তোমার পাসপোর্টে আরও বেশি ভিসা লেগে থাকুক এই প্রত্যাশায় আপাতত বাই

২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ২:৪৭

শায়মা বলেছেন: ভিসা তো লেগেই থাকবে। অস্ট্রেলিয়ায় ২য় নিবাস গড়তে হলো।
যাইহোক ভাইয়ু ছবিগুলো তো ভালো করে আসেনি। নইলে অস্ট্রেলিয়ার নৈস্বর্গিক সৌন্দর্য্য অতুলনীয়! :)

১০| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ২:২৬

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আপাতত বলদ বালকের মায়ের হাতে তুলে খাওয়ানো পর্যন্ত এলাম। আমরা যখন ১২ ক্লাস পরীক্ষা দেই তখন আমাদের এক সহপাঠীর নাম তীর্থ, তিন তিন ছয় ঘন্টার পরীক্ষার মাঝে একঘন্টার টিফিন ব্রেকে ওর মা ওকে গালে তুলে খাইয়ে দিচ্ছিল। ওই দেখে আমরা বেশ কয়েকজন বন্ধু পরীক্ষা শেষে ওকে বলেছিলাম পরের দিন থেকে মাকে ফিডিং বোতল নিয়ে আসতে বলবি।।ব্যাস মা আর পরীক্ষা হলে ঢোকেনি। ও ওর মাকে বলেছিল তুমি যদি এক্সাম হলে ঢোকো তাহলে আমি পরীক্ষাই দেব না। চোখের সামনে বলুন দেখি এরকম আদিখ্যেতা সহ্য হয়?

২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ২:৪৯

শায়মা বলেছেন: হা হা অনেকেই আছে এমন। তবে এই আদিখ্যেতা কজনের কপালে জোটে?? তাই তারা বড় ভাগ্যবানও বটে।

কিন্তু ঐ ছেলের গল্পের সারল্যে আমি মুগ্ধ হয়েছিলাম! আর যেন দিব্য চোখে দেখতে পাচ্ছিলাম সেই দৃশ্য!

অনেক থ্যাংকস ভাইয়া আমার পোস্ট কষ্ট করে ব্লগে ঢুকে পড়ার জন্য!

আশা করি তোমার ব্লগে ঢোকার সমস্যার সমাধান হয়েছে!

১১| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ২:৪৯

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আপনার সাথে অস্ট্রেলিয়া ঘুরে এলুম, শপিং করলুম। সব ছবিই দিয়েছেন, একটা বাদে। যা যা গয়নাগাঁটি কিনেছেন, সবগুলো একসাথে পরে এবং অন্যান্য যেসব সরঞ্জাম কিনেছেন, ওগুলো একজায়গায় জড়ো করে তার পেছনে দাঁড়িয়ে, বসে, অ্যাক্রোবেটিক স্টাইলে কিছু ছবি তুলে শেয়ার দিলে খুবই ভালো লাগিত।

লো অল্টিচুডে ১ থেকে দেড় ঘণ্টার বিমান ভ্রমণ আনন্দদায়ক। এর বেশি সময় হলে সেটা খুব যন্ত্রণাদায়ক হয়। তবে, আমার এবং আমার স্ত্রীর দীর্ঘ সময় ধরে হেলিকপ্টার ভ্রমণের অভিজ্ঞতা আছে। ইন্ডিয়ার কোনো এক প্রভিন্স থেকে হেলিকপ্টারে গিয়েছিলাম অন্য এক প্রভিন্সে, ফিরেছিলাম একইভাবে। বিমানের মতো হেলিকপ্টারে ওয়াশরুম ফ্যাসিলিটিজ, এসি, সিটিং অ্যারেঞ্জমেন্ট ছিল না। ওটা যে কী পরিমাণ যন্ত্রণা দিয়েছিল, তা কখনো ভোলা যাবে না।

দীর্ঘ রচনার কোনো কোনো জায়গায় যতিচিহ্নের ভুল ব্যবহারে অর্থ বুঝতে সমস্যা হয়েছে, ছোটোখাট কিছু বানানভুলও আছে। তবে, সব মিলিয়ে লেখাটা ভালো ছিল।

২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ২:৫৪

শায়মা বলেছেন: ভাইয়া গয়নাগাঁটির ছবি দিলে বিশ্বাস করো কেউ কেউ হার্টফেইল করতে পারে!!! :P
কসম ভাইয়া। বিশ্বাস করো আমার কথা! সেই ভয়েই দেইনি।
আমি অস্ট্রেলিয়া থেকে এইবার যেি অসাধারণ গহনাগাঁটি কিনেছি তাহা দেখিলে কারো কারো চক্ষু ছানাবড়া তো দূরের কথা কোন বড়াই যে হবে আল্লাহ জানেন। :)

তবে যেহেতু তুমি বলছো তখন একবার এই চেষ্টা করে দেখা যেতে পারে। আগে থেকেি সাবধানবাণী দিয়ে দিলাম। কারো চোখ ছানাবড়া হবার জন্য আমি দায়ী নহি!!!!!!!! হা হা হা

হেলিকপ্টার!!!!!!!!! সে তো আরও ভয়ংকর!!!!!!!!! অত্তটুকুন জায়গায় এতক্ষন বসে থাকা!!!!!!!

ভাইয়া বানানভুল যতিচিহ্ন এই সব আমার আর ইহজীবনে যাবেনা। যেমনে রেলগাড়ির মত ননস্টপ কথা বলি গল্প বলা পোস্টেও আমার তেমনই হয়ে যায়! :(

১২| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৫:০৭

শেরজা তপন বলেছেন: প্রথম দিনের গল্প বেশ বড় তারপর ধাই ধাই করে দিন চলে গেল।
কেনা-কাটি আর খাবার দাবারে বেশ পয়সা খরচ হয়ে গেছে, এখন কি সেই নিয়ে মন খারাপ?
মিরোর-আপুর সাথে দেখা করার কথা ছিল হয়েছে কোন যোগাযোগ?
পরের গল্প শোনার প্রতীক্ষায় রইলাম ...

২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৫:১৭

শায়মা বলেছেন: এটা প্রথমদিন না ভাইয়া প্রথম সাত দিনের গল্প! :)

দিন ধাই ধাই করে গেছে বটে তবে বেড়ানোর চাইতেও কাজ ছিলো বেশি।
পয়সা খরচ নিয়ে মন খারাপ করে লাভ আছে ভাইয়া। পয়সা তো খরচ হবার জন্যই! :(

মিররমনি কারো সাথে কখনও দেখা করবে না এই বাস্তব জগতে তাই যোগাযোগের চেষ্টা করিনি। আমিও অবশ্য বাস্তব আর ভারচুয়াল জগতকে এক করার পক্ষপাতি নহি তবে এক্কেবারেই অধরা বা অদেখা হয়ে নেই আর আগের মত।

প্রকাশ্যে এসেছি। ছবি এবং ভিডিও তে। তবে এখনও মুখোমুখি হইনি কারো একমাত্র প্রতিফলন ছাড়া।

পরের গল্প আরও বাকী সাত দিনের পরের আর কি সে সব খুব শিঘ্রী নিয়ে আসবো ভাইয়ু! :)

আগেরবারের অস্ট্রেলিয়ার গল্পের পার্ট ৩ দেওয়াই হলো না। সেটা দেবার আগে নিজেই আবার অস্ট্রেলিয়া চলে গেলাম! :)

১৩| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৫:৫৮

সোনাগাজী বলেছেন:


আপনি বলেছেন যে, বাহিরে আপনি হাসিহাসি, ফ্রেন্ডলী রূপ; ভেতরে আরেকটা রূপ আছে! সেই রূপটাই আপনার আসল রূপ; সেটা আপনার লেখার মাঝে ছিলো; আমি ব্লগে আসার ২/১ দিনের মাঝে বুঝতে পেরেছি। আপনার সকল ছবিতে সেই রূপটা আছে।

২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:২৬

শায়মা বলেছেন: হা হা ঠিকই বলেছো ভাইয়া।

আমি একটা বা দুইটা না আমি বহুরূপী।

যেহেতু হাসিমুখে থাকি আর অনেক কথা বলি মানুষের সাথে তাই মানুষ ফ্রেন্ডলী ভাবে আর আমি হাসির নাটক, হাসির গল্প হাসির সিনেমাও পছন্দ করি। তবে একা থাকতে আমার বেশি ভালো লাগে। একা থাকার সময় আমি ভাবতে পারি, লিখতে পারি, আঁকতে পারি, গলা সাধতে পারি। আমার ভেতর ভয়াবহ প্রতিযোগীতামূলক ব্যপার আছে। আমি সব কাজে ১০০% এফোর্ট দেই তাই ফলাফলটাও অনেক বেশি চাই। তবে শত এফোর্ট দিয়েও কিন্তু সব সময় জেতা যায় না। সেই ব্যপারটা খুব একটা পছন্দ করি না আমি। তবে ছোট থেকে এই এত বড় বেলার আমি অনেকটা বদলেছি।

কিন্তু কেউ আমাকে কিছু অপমান করে চলে যাবে বা আমার সাথে বাড়াবাড়ি করবে? তাহলে তার আমি রক্ষা রাখিনা। জীবন বাঁজি রেখে ঝাঁপিয়ে পড়ি! হা হা হা সেই রকম একটা উদাহরন আমি দিয়েছি ভাইয়া। রেন্ট বাড়ির এজেন্টের সাথে লড়াই। তবে হ্যাঁ আমি কখনও আগ বাড়িয়ে কাউকে ভুলেও হার্ট করতে চাই না। কেউ যদি আমার সাথে খারাপ কিছু করে তবেই আমি তলোয়ারের খাপ খুলতে দ্বিধা করি না।

আর তুমি আমার ছবিতে কি দেখেছো আমি বলে দিচ্ছি। তুমি দেখতে পাচ্ছো হাসিমুখে এক ডাইনী, রাক্ষুসী শয়তানী এই সকল রূপ। হা হা হা কারণ যারে দেখতে নারি তার চলন বাঁকা। :P

তুমি ব্লগে আসার ২/১ দিন কেনো বহু বছর আমি আমার কোনো ছবি ব্লগে দেইনি। আমি কোভিডের সময় টিভি প্রোগ্রাম ইউটিউব থেকে একটু বের হয়ে পড়েছিলাম তাই বেরিয়ে এসেছি। নয়ত ব্লগে ছবি দেওয়া আমার রুলে ছিলো না। :)

তোমার একখানা ছবি দাও আমিও দেখবো সেই ছবির মাঝে এক রাক্ষস খোক্ষস বসে আছে। :)

১৪| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:১৪

মিরোরডডল বলেছেন:





সেইম এজ আরইউ, আমিও অবাক হলাম, সিডনি এয়ারপোর্টে কখনও এই ধরণের পরিস্থিতি ফেইস করিনি, কেউ করেছে বলেও
কখনও শুনিনি।

২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৫৭

শায়মা বলেছেন: হ্যাঁ আমিও শুনেছিলাম সেখানে সব লোকজন দেবতা আর ফেরেসতাদের মতই ভালো ভালো। কিন্তু আমি নিজেই গাধার মত কাজ করায় সে একটু অতি পণ্ডিতি করতে গেছিলো আর কি। ভেবেছিলো পেয়েছি এক গাধাকে এইবার......

১৫| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৪৩

মিরোরডডল বলেছেন:




আরইউ কে চিমটি।
আমারও সবচেয়ে ভালো লাগে রোড ট্রিপ বাই কার।
সেকেন্ড বেস্ট এয়ার ট্র্যাভেল।

২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ৮:০১

শায়মা বলেছেন: আমারও তো রোড ট্রিপ ভালো লাগে!!!!!!!! কোনো চিন্তা নেই খাান খন্দে পড়ে গেলেও হাত পা ভেঙ্গে বাঁচার সম্ভাবনা আছে। এমনকি আরেক গাড়ি ধাক্কা দিলেও!!!


কিন্তু এয়ার ট্রাভেল!!!!!!!!!!!!! যতক্ষন প্লেনের মধ্যে আটকায় থাকি ততক্ষন তো শূন্যে বন্দিনী!!!!!!!!!!


না না আমার ক্লাস্টোফোবিয়া আছে একটু আর কি!!! যেমন লিফট, যেমন প্লেন মানে মনে করলেই হয়েছে আর কি আমি এমন কোথাও আটকে আছি যেখান থেকে দৌড়ে বের হওয়া যাবে না তাহলেই ...... :P

১৬| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৪৬

মিরোরডডল বলেছেন:




ছবিগুলো সুন্দর শায়মাপু।
নেক্সট পর্বে আরও ছবি দিও।

২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ৮:০৫

শায়মা বলেছেন: ছবিগুলো সুন্দর কারণ চারিদিকের সৌন্দর্য্যের জন্য। কিন্তু ছবিগুলো তো ভালো করে দেখাই যায় না সামুতে অনেক ছোট হয়ে আসে। ওকে নেক্সট টাইম কষ্ট করে ইমগুর দিয়ে দিয়ে বড় করে দেবো।

তুমি কি এই হাইড পার্কে গেছিলে মিররমনি?? আমি ২৫শে ডিসেম্বরে সেখানের চার্চে গিয়েছিলাম দেখতে কি করে তারা। :)

১৭| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ৮:১৩

মিরোরডডল বলেছেন:




হাইড পার্কের কাছেই আমার আগের অফিস ছিলো। তখন প্রতিদিনই সেখানে যাওয়া হতো।
পার্কের উল্টো দিকেই Starbucks Coffee shop.

২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ৮:২৮

শায়মা বলেছেন: খুবই সুন্দর একটা পার্ক! আর সবচেয়ে মজা লেগেছে দাবা খেলার টেবিলগুলো!

পার্কের উল্টোদিকের Starbucks Coffee shop এ রোজ কফি খেতে নাকি!!!

১৮| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ৮:১৫

মিরোরডডল বলেছেন:





ডিসেম্বরে আমি ঢাকায় ছিলাম, মিড জানুয়ারি পর্যন্ত।

২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ৮:৩২

শায়মা বলেছেন: একদম তুমি এখানে আমি সেখানে ছিলাম!!!

কিন্তু মিররমনি আমাদের শুভভাইয়া?

তার খবর কি কোনোদিনই পাবো না???

আমি রোজ মনে করি আর যে একমাত্র উপায় অবশিষ্ঠ আছে তার খবর জানার সেই উপায়ে খোঁজ নেবো কিন্তু নেওয়া হয় না। :(


শেষ চেষ্টা করে দেখতে হবে।

তবে সত্যি কথা কি জানো শুভভাইয়া কখনও এমন করতেই পারেনা। আমাদেরকে ছেড়ে থাকবে এইভাবে যদি না বিশেষ কিছু এমন কিছু না হয় যেখানে সে আর আসতেই পারছে না। :(

খুবই মন খারাপ হয় আমার তার জন্য! সব সময় লুকিয়ে থাকতে চাইতো। কোনো রকম হদিস যেন না পাই সেটাও চাইত। তাই তাকে খুঁজে পেতে ট্রাই করিনি আমি।

এমনকি ক্ষুদের নামটা পর্যন্ত জানিনা। :(

কি করিলে বলো পাইবো তাহারে ?

১৯| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ৮:৩২

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: কিন্তু অস্ট্রেলিয়া থেকে আমার জন্য কিছু না আনা কি ঠিক হলো? একটা চকলেট অন্তত আনতে পারতেন।

২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ৮:৪৩

শায়মা বলেছেন: এখনও অনেকগুলো চকলেট আছে। বেশিদিন হয়নিতো। ঠিকানা দাও পাঠিয়ে দিচ্ছি তোমার জন্য তোমার বেবির জন্য আর বেবির আম্মুর জন্য! :)

২০| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ৮:৩৫

মিরোরডডল বলেছেন:




Starbucks তুলনামুলকভাবে বেস্ট বলা যায়।
অফিস লোকেশন চেঞ্জ হবার পর, এখন আর ওদিকটায় আগের মতো যাওয়া হয় না।

২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ৮:৪৪

শায়মা বলেছেন: হুম বুঝেছি।

এখন ছুটির দিনগুলোতে কি করো?

তুমি কি জীমে যাও?

২১| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ৮:৩৮

মিরোরডডল বলেছেন:




একমাত্র উপায় অবশিষ্ঠ আছে তার খবর জানার সেই উপায়ে খোঁজ নেবো কিন্তু নেওয়া হয় না

কি সেটা?
অবশ্যই খবর নাও।

আমিও ওকে অনেক মিস করি।
যদি সে সত্যি ফিরে আসে, ওকে খুন করবো তখন।


২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ৮:৪৮

শায়মা বলেছেন: হ্যাঁ সেই চেষ্টাটাই শুরু করে দিলাম।
আমি বিশ্বাস করি না সে আমাদেরকে ছেড়ে থাকবে এতদিন যদি তার সাধ্য থাকতো।

তার শেষ মন্তব্য ছিলো ১৫ ই জুলাই, ২০২৩ রাত ১১:১৯


এরপর আর কোনোদিন আসলো না ভাইয়া।:(


সামু পাগলাও এমন করে হারিয়ে গিয়েছিলো একদিন হঠাৎ! :(

২২| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ৮:৪৯

মিরোরডডল বলেছেন:




আপু, লুক শুভ এখন অনলাইনে।
ইজ ইট টেলিপ্যাথি?

২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ৮:৫২

শায়মা বলেছেন: হা হা শেষ চেষ্টা অন করেছিলাম কেবলই!!!!


আর ওমনি এসে গেছে!!!!!!!!!!!!!!!!!!

নট টেলিপ্যাথি!!!!!!!!!!!!!!!!! হি হি হি


আসুক এই পোস্টে........ হাত পা ভেঙ্গে গুড়া করে ওষুধ বানিয়ে ......... X((

২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ৮:৫৪

শায়মা বলেছেন: নতুন নোটিশ (০)
সাম্প্রতিক যারা ব্লগ দেখেছেন
একলব্য২১
শামসুদ্দীন হাবিব
আলামিন১০৪
জাহিদ অনিক
সোনাগাজী


আসিতেছে আসিতেছে!!!!!!!!!!!

আসো আসো ভাইয়ু তোমার খবর আছে আজ!!!!!!!!!!!!!!!!!!!! X((

২৩| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ৮:৫৬

মিরোরডডল বলেছেন:




লেখক বলেছেন: হা হা শেষ চেষ্টা অন করেছিলাম কেবলই!!!!

বললে নাহতো কি সেটা।
আরও আগে করোনি কেনো তাহলে?

আই উইশ কোন খারাপ নিউজ যেনো না থাকে!
শুভ এবং তার ফ্যামিলির সবাই যেনো ভালো থাকে।

এখন যদি একটিভ নাও হয়, তাও শান্তি, দেখলাম যে বেঁচে আছে।

২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ৯:০০

শায়মা বলেছেন: আমার এটাই ভয় হত। বেঁচে আছে তো!! কারণ বেঁচে থাকলে আমাদেরকে ভুলে থাকবে এটা বিশ্বাাস করা কঠিন ছিলো!

এই ব্লগে তার মত নিস্বার্থ ভালোবাসা আর কেউ বেসেছিলো কিনা আমাদেরকে জানা নেই। :(


ভাইয়ু কুলকুল পুল পার্টি পোস্টে কমেন্ট করেছে।

নিশ্চয় ভাইয়ার কোনো কঠিন সমস্যা ছিলো। যাইহোক বলুক না বলুক আমরা খুশি ভাইয়াকে দেখে।

আর হ্যাঁ শেষ চেষ্টা আমি অন করতে চাইনি কারণ ভাইয়া সেটা চাইতোনা তার কোনো পারসোনাল ইনফরমেশন শেয়ার করতে। কিন্তু করতে হলো । এতদিন ওয়েট করে যখন কোনো ইনফো পেলাম না তখন কি আর করা বলো?

২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ৯:০৭

শায়মা বলেছেন: মিররমনি
খারাপ নিউজ তো বটেই। শুভভাইয়া খুব খুব খারাপ ছিলো। :(


৭৭. ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ৮:৫৮০

একলব্য২১ বলেছেন: আমি দুর্ঘটনায় মাথায় আঘাত পাই। মাথায় অপারেশন হয়েছে। সব স্মৃতি প্রায় চলে গিয়েছিল। এখন ভাল আছি।৫০-৫০ চান্স ছিল বাচার। কয়েকদিন আগে একলব্যের পাস ওয়াড মনে পড়লো। এগ ইন করলাম মোবাইল দিয়ে। আসবো আবার।

২৪| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ৯:০৪

ঢাবিয়ান বলেছেন: ছবি , পোস্ট , কমেন্টবক্স সবই খুব উপভোগ্য হয়েছে !:#P আপনি কি অস্ট্রেলিয়ায় মাইগ্রেট করার পরিকল্পনায় আছেন নাকি স্রেফ ঘুরাঘুরি ?

২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ৯:০৬

শায়মা বলেছেন: মাইগ্রেট করবো কিনা জানিনা তবে শুধু ঘুরাঘুরির জন্য যাচ্ছিনা অন্য কাজ আছে ভাইয়ামনি! :)

২৫| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ৯:০৪

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:

ভ্রমণ কাহিনী যত লম্বা হোক কখনোই পড়তে বিরক্ত লাগে না।
অনেক ডিটেইল সহ লিখেছেন
ছবিগুলো খুবই সুন্দর প্রাণবন্ত হয়েছে।
প্লেন জার্নির ব্যাপারে আপনার সাথে আমার মিল আছে। খুবই বোরিং প্লেন জার্নি। আসলে একটানা দীর্ঘ সময় লং ডিস্টেন্স ট্রাভেল বাস হোক বা প্লেন হোক ক্লান্তি আর বিরক্তি লাগবেই।

তবে নিজে ড্রাইভিং করে ট্রাভেল করা কখনো বিরক্তি লাগে না, সেটা যত লং ডিস্টেন্স হোক। কারণ স্বাধীনতা। যখন তখন যখন ইচ্ছা থামতে পারি, গ্যাস স্টেশন বা রেস্টুরেন্টে খেতে পারি তারপর আবার চালাই। মজা চালাতেই মজা।

সুন্দর আপনার ভ্রমণ কাহিনী। ভালো লাগলো। অস্ট্রেলিয়াতে কখনো যাওয়া হয়নি, তবে যাওয়ার ইচ্ছে আছে।

২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ৯:১৫

শায়মা বলেছেন: হ্যাঁ ভাইয়া ঠিক বলেছো স্বাধীনতা। এই স্বাধীনতা নেই বলেই তো এত ভয় লাগে প্লেনে আমার। এমনিতেই দরজা জানালা বন্ধ আটকে থাকো তাই আবার সিট বেল্ট দিয়েও বন্ধ করে রাখো।

ভালো লাগে এই সব!!!!


হা হা ভাইয়া এই ভ্রমন কাহিনীর শুধু প্রথম সাতদিনের কথা লিখেছি পরের আরও সব সাতদিন নিয়েও লিখবো এরপর।

অনেক অনেক ভালোবাসা আর শুভকামনা লেখাটা পড়ার জন্য! :)

২৬| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ৯:৫৮

আহমেদ জী এস বলেছেন: শায়মা,




আউলফাউল কেনাকাটার মতো আউলফাউল লেখা! :|
তবে "স্বভাব যায় না ম'লে" , ঐ যে পাথরের বাচ্চাকে পড়িয়ে মানুষ বানানো............ :P

২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ১০:০২

শায়মা বলেছেন: হা হা ভাইয়া পিনোকিও গল্পটার মত আর কি। কাঠের পুতলাকে ঐ বেটা জেপিটো না গেপিটো মানুষ বানাতে স্কুলে পাঠিয়েছিলো আমিও তেমন পাথরের বাচ্চাকে ধরে পড়া শিখায় মানুষ বানিয়ে ছেড়েছি!

২৭| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ১০:৩৫

একলব্য২১ বলেছেন: পড়বো। সময় করে সব পড়বো। :)

২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ১০:৩৮

শায়মা বলেছেন: হ্যাঁ এক এক করে তুমি যতদিন ছিলে না সব পোস্ট পড়বে ভাইয়ু!!!

সব পোস্টেই তোমাকে স্মরণ করেছিলাম।

মাঝে মাঝে মনে হত পোস্ট দিয়ে কি হবে তুমি তো আসবেনা। :(

আমি আর মিররমনি জানতাম বেঁচে থাকলে তুমি না এসে পারবেনা। :)

২৮| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ১১:৩৮

কামাল১৮ বলেছেন: আমি ভবন কাহিনী খুব একটা পড়ি না।কিন্তু পড়া শুরু করে আর বেরতে পারলাম না।আকর্ষণীয় লেখার ধরন,মনোহর সব ছবি।কিন্তু আটকে গেলাম,বারে ঢুকে হালাল খাবার খোঁজার এখানে এসে।আমার ধারনা ছিলো যারা বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে পারে তারা এসবের উর্ধে।পরে বুঝলাম,প্রত্যের নিজস্ব একটা পছন্দ আছে,নিজস্ব একটা মতামত আছে।
পরের পর্বের অপেক্ষায় থাকলাম।

২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ১১:৫৭

শায়মা বলেছেন: থ্যাংক ইউ ভাইয়া। তুমি সব সময় আমার লেখার প্রশংসা করো। হ্যাঁ আমি হালাল খাবার শুধু না বারেই ঢুকবোনা ভেবেছিলাম। কিন্তু ভুল করে বেহ বা বাহ কে অন্য কিছু ভেবেছিলাম যা আসলে বারই ছিলো। হা হা

আর আমি বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলি বটে তবে আমার ভেতরে একান্ত আমি আছে যা একান্তই আমার কিছু কঠিন রুলে চলে ভাইয়া। :)


হ্যাঁ পরের পর্ব তাড়াতাড়ি এনে ফেলবো।

২৯| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ১১:৪৬

কামাল১৮ বলেছেন: ভ্রমন হবে

২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ১২:০২

শায়মা বলেছেন: ওকে ভাইয়া। বুঝেছি তো। নো প্রবলেম।:)

৩০| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ১২:৫০

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:



দারুণ কাহিনী! প্লেনে তোমার পাশে যে বসেছিলো, সে যদি সিট চেঞ্জ করে বসে থাকে, রুলস ভেঙ্গেছে।

যুক্তরাজ্যে থাকতে আমার একটা অস্ট্রেলিয়ান ফিমেইল কোচ ছিলো। দারুণ সাহসী। এক পাহাড় থেকে আরেক পাহাড়ে লাফাতে পারতো। সাগরে সাঁতরাতে পারতো। পাহাড় বাইতে পারতো।

আমার অস্ট্রেলিয়া যাওয়ার কথা ছিলো। পড়তে। পরে, শুনলাম, ঘরে সাপ চলে আসে!!!

২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৫:৩৬

শায়মা বলেছেন: হা হা সাপ শুধু আসে না। আমি এমনও ছবি দেখেছি সাপ কমোডের ভেতরে কুন্ডলী পাঁকিয়ে সিট বেল্টের নীচ ঘেষে বসে থাকে।

কি ভয়ানক!!!


আমার এক মামা ব্রিসবেন থাকেন সেখানে ইয়া বড় অজগর সাপই মনে হয় হেলে দুলে রাস্তা পার হচ্ছিলো। সেই ছবি তুলে পাঠিয়েছিলেন মামা। বাপরে!!!


কিন্তু সিডনীতে এমন হয় না। তবুও আমি মনের আনন্দে ঘুরে বেড়ানো হাসিখুসী সাপ দেখেছি তার গল্প নেক্সট পর্বে আনবো।

৩১| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ১:১০

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:




২২শে ডিসেম্বর ২০২৩ প্লেনে কুয়ালালামপুর হয়ে সিডনী কিংসফোর্ড , কত কথাই না হয়েছে বলা । গাঁয়ে মানেনা
আপনি মোড়ল পণ্ডিত এর পণ্ডিতি পছন্দ না হ ওয়ারই কথা, মুখ গম্ভীর করে জানালার দিকে চেয়ে বসে থেকে
ঠিক কাজটিই করেছ ।
সবকিছুর মাঝে ঐ ছেলেটার কথা আসলেই সারাজীবন মনে রাখার মতই ।

দুনিয়ার সকল জার্নির মধ্যে আসলেই প্লেন জার্নি সবচেয়ে নিরানন্দের। এই সব সাত পাঁচ কারনেই নিজের
ল্যাপটপ, গল্পের বই, নিজের স্নাকস সবই সাথে রেখে দুনিয়া ভুলে থাকার চেষ্টা বেশ ভাল ব্যবস্থা। তবে এত
কিছুর দরকার হতোনা যদি তুমি সামুতে থাকা আমার সর্বশেষ রূপ কথার পাখির মেরাথন পোষ্টটি খুলে দেখতে
তাহলে ঢাকা হতে অস্ট্রেলিয়া পর্যন্ত সারা পথেও তা দেখে আর পাঠে শেষ করতে পারতে না ।
যাহোক, লালনের গানটা বড় শান্তনাই বটে ।

হঠাৎ সামনে পেয়ে গেলে এক ড্যাশিং পুশিং মহিলা বা্প্পুসরে! তারে ছাড়লেও স্বদেশী বইন বলে সে তোমারে'
ছাড়ে না ড্যাসিং পুশিং ই বটে !!
২৪শে ডিসেম্বর ক্রিসমাস ইভ এ সমুদ্দুরের হাওয়া এটাই ছিল বড় পাওয়া ।।
দাম আকাশচুম্বী হলেই বা ক্ষতি কি ?প্রেস্টিজ বলে কথা ।
চারিদিক ক্রিসমাস সাজে রঙ্গীন মেলায় বৈশাখী আমেজ.। সেই সুদুর অস্ট্রেলিয়াতে বসেও , বেশ এইতো চাই ।
ছবি দেখে মনে হলো রেইনকোট পরে ভুত নয় নীজেই যেন প্রবীন এক ভাস্কর্য বনে গেছ ।

ডার্লিং স্কয়ারের আলোকসজ্জিত বাগানে ছবি তুলে বেড়াবেড়িতে ইস্তফা দেয়ার সময় তোমার তাকেওতো ইস্তফা
দিয়ে দাওনিতো , নাকি সাথেই ছিল না ।

পার্কের গোলাপী নুড়ি পাথরে বাচ্চা হয়ে পোজ দিয়ে নীজে নীজেই হেসে নিলে , এটা দেখে যাদের হাসার কথা
তাদের কি হাল হয়েছিল তাত বললেনা ।

পার্কের শৈল্পিক সৌন্দর্য্যে আর চারিদিকের মনোরম নৈস্বর্গিক দৃশ্যে মন হারালে চলবে কি করে , বাকি কথা শুনব
কার কাছে । বুঝলাম মন হারিয়ে কষ্টে একা একাই তুলেছ ছবি!
হাইড পার্ক এর স্টাচুটি দেখে আমারো ভীষন পছন্দ হয়ে গেলো।
শুনেছিলাম ডুলি যদি ডুল না পায় তাহলে বসে বসে পেট বাজায় ।
তোমার দশা দেখি কিছুটা তাই, মাষ্টারনী সুযোগ পেয়েই বসে গেল বাচ্চা পড়ানোর তালে ।
চার্চের অভ্যন্তরের সব ছবিই দেখতে খুবই সুন্দর ।

পুরাতন স্টেশন সব কিছু আগের মতই রেখে কত সুন্দর করে ইতিহাসকে সংরক্ষন করে সাজিয়ে গুছিয়ে রেখেছে
তা সেই ইতিহাস জেনে আমাদেরকে জানাও , শুনে হই সমৃদ্ধ ।
লাকেম্বা বাঙ্গালীপারায় দুপুরের খানা, বাসায় ফিরে ব্যাগে ফুচকা আর ফুচকার ডাল। এটা তো দেখি আসলেই হয়েছে
এক ভারি মঝার ভুল ।
]২৬ শে ডিসেম্বর বক্সিং ডে শপিং সেন্টারে গিয়ে দেখা যায় ভালইতো হলো কিছুটা সস্তায় কেনা কাটা যদিউ
সেল দেবার পরেও সব আকাশচুম্বী দাম! আর মনে মনে বলা কে কিনে এই সব কাঁচকলা! দূর দূর দূর!!!আসলেই
আঙ্গুর ফল টক গল্পটা মিথ্যা নহে!
মহা বেয়াদপ মহিলার দোকান কিছুই না নিয়ে বেরিয়ে এসে খুব ভাল কাজ করেছ ।।
কাবুল শপের মাথায় পরা অর্নামেন্টস কোলা পরে সাজুগুজু করে ছবি তুলে দেখালে আমরাও মুগ্ধ হবো।

তুমিতো ক্যাংগারুর দেশে লাফিয়ে লাফিয়ে ভালই বেড়াচ্ছ, এদিকে কিচেনে টাইলসের উপরে পিছলে পড়ে গিয়ে
হাতের ব্যথায় তোমার এই পোষ্টের উপরে বেশি কিছু আর লিখতে পারলাম না ।
তবে তোমার বাকি গল্প শুনার অপেক্ষায় থাকলাম ।

শুভেচ্ছা রইল

২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ৮:১৫

শায়মা বলেছেন: একদম অতি সত্য কথন ভাইয়া। ঠিকই বলেছো রূপ কথার পাখির মেরাথন পোষ্টটি পড়তে পড়তে পড়তে পড়তে দিন গড়িয়ে রাত আর রাত গড়িয়ে দিন হত। এরপরের বার আর ভুল হবে না। বড় বড় জার্নীতে তোমার এক একখানা পোস্ট খুলে বসলেই সময় পেরিয়ে যাবে।

হা হা না ভাইয়া আমার তাকে ইস্তফা দেইনি সাথেই ছিলো না । আমি একাই গিয়েছিলাম সেখানে। আর পার্কের নুড়িতে তো আশে পাশে কেই ছিলোনা আমি আর ফটোগ্রাফার ভাই/বোইনজান ছিলো। হা হা।

ভাইয়া স্টেশন আর হাইড পার্কের ইতিহাসের লিংক দিয়েছি তো পোস্টেই।
আর সেই সাজুগুজু ছবিও এনে ফেলবো কোলামোলা পরে খুব খুব শিঘ্রিই! :)

ভাইয়া কিচেনে কি করে পিছলালে?? :( এমনিতেই তোমার ব্যাথা হয়। খুবই সাবধানে থাকতে হবে ভাইয়া।:(

৩২| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ২:২২

রিয়াদ( শেষ রাতের আঁধার ) বলেছেন: বাহ বাহ। ইদানীং ভ্রমণ কাহিনী বেশি পড়া হচ্ছে আমার। আপনার এই লেখাও তাই ভীষণ উপভোগ করলাম। আমি বড় লেখা পছন্দ করি সামুতে। কিন্তু বড় লেখা খুব কম আসে। এই লেখাটা ভালো লাগার এটাও একটা কারণ৷ আমি কখনও বিমানে চড়িনি৷ তবে আমার স্ত্রীর না-কি পছন্দের ভ্রমণ বিমান। তাই ভেবেছিলাম, এ জিনিস বড় আনন্দের।

কিন্তু আপনার থেকে জানলাম, ও জিনিস, অপারেশন থিয়েটারের মতন নিরানন্দের।

অস্ট্রেলিয়ার মতন দেশের বিমান বন্দরেও ধান্ধাবাজ আছে শুনে অবাক হলাম৷ আমি ভেবেছিলাম ধান্ধাবাজ খালি, এই উপমহাদেশে৷

দেশের বাইরে গেলে কখনও ক্রিসমাসেই যাবার ইচ্ছা আছে, ওদের উৎসব আনন্দ তাহলে ঠিকঠাক উপভোগ করা যাবে।

Wonka গতকালই নামালাম, দেখতে হবে সিনেমাটা৷

যীশু খ্রিস্টের জন্মের ইতিহাসের ছবিটা আলাদাভাবে ভালো লাগলো।

আপনি শখের ভুংচুং জিনিস কিনে টাকা খরচ করেছেন, আমারও সুপার শপে ঢুকলে আর নীলক্ষেতে বইয়ের পাড়ায় গেলে, পকেটের সব শেষ হয়ে যায়৷

আরও কী কী যেন বলতে চেয়েছিলাম মনে নাই এখন। দারুণ বর্ণনার বিস্তৃত ভ্রমণকাহিনী ও মন্তব্য-প্রতিমন্তব্য উভয়ই বেশ উপভোগ করলাম।

২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ৮:২১

শায়মা বলেছেন: ভাইয়া স্ত্রী মানে আমাদের ভাবীজির কথায় ভুলেও ভুলো না মানে বিমান ভ্রমন কখনই আনন্দের নহে। যদি আমার মত হয়ে থাকো তো কোন দিক দিয়ে দৌড় দেবে ভাবতে ভাবতেই শেষ হয়ে যাবে ভাইয়ামনি!:(

ভাইয়া সেই দেশের আমার দেখা ধান্ধাবাজখানাও আমাদের দেশেরই আমদানী ছিলো মানে ঐ মহিলা বাংলাদেশী ছিলো। তবে তার ধান্ধাবাজী বলতে একটু বেশি পণ্ডিতি দেখানোটাই ছিলো। সে ভেবেছিলো আমি এক আস্ত গাধা মহিলা তাই তার বীরত্ব দেখাতে চেয়েছিলো। থার্ড ক্লাস অভিনয় করে কি সর্বনাশ করছো ফুড আইটেম আনছো এই সব দেখানো আসো আসো আমি এখন তোমার রক্ষাকর্তা ভাব দেখানো দেখে মনে মনে আমার এক চড়ে তার দাঁত ফেলে দিতে ইচ্ছা হচ্ছিলো কিন্তু ভালো মানুষ সেজে কিছুই বললাম না আর কি।

হ্যাঁ ক্রিসমাসটা ঠিক ঠাক কেমন হয় সেটা তো ঐ ক্রিসমাস পালন করা দেশেই সবচাইতে বেশি বুঝা যাবে।:)
হা হা ভাইয়া আমি একটু অপচয়কারী আছি। এই অপচয়টাকেই সান্তনা দিতে নাম দিয়েছি শখ। যাইহোক কি আর করা টাকা পয়সা তো খরচ করবার জন্যই জমিয়ে রেখে কি হবে বলো? কোন দিন ঠাস করে মরে যাবো তখন টাকাগুলো তো অন্যেরা মনের আনন্দে খরচই করবে তাইনা?? :P

৩৩| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১০:১৮

শ্রাবণধারা বলেছেন: অস্ট্রেলিয়ার গল্প ভালো লাগলো।

অস্ট্রেলিয়ায় নেমেই ক্রিসমাস বিষয়টা দেখে আনন্দ পেলাম। বছর দশেক আগে ডিসেম্বর মাসে প্যারিসে গিয়ে একবার একরকম ক্রিসমাসের আয়োজনের মধ্যে পড়েছিলাম। তবে তখন প্যারিসে ছিলো বেজায় ঠান্ডা। অস্ট্রেলিয়ায় মজার বিষয়টা হলো এর উল্টো ঋতু - দক্ষিণ গোলার্ধে বলে অন্য সব দেশে যখন অনেক শীত, তখন সেখানে গ্রীষ্মকাল। ক্রিসমাস মানেই যে আমাদের ছোটবেলায় দেখা "Home Alone" মুভির মত ঠান্ডা, তুষার পড়া ব্যাপার অষ্ট্রেলিয়ায় তা নয়।

প্লেন ভ্রমন আসলেই খুব ক্লান্তিকর। তবে এয়ারপোর্ট আমার কাছে খুবই কৌতূহলপূর্ণ একটা জায়গা মনে হয়। এত দেশের, এত সংস্কৃতির, এত বর্ণের, এত ভাষায় কথা বলা মানুষ শুধু বোধহয় এয়ারপোটেই দেখা যায়।

লেখাটার পাশাপাশি ছবিগুলোও অনেক সুন্দর - সব মিলে পুরোদস্তুর একটা ভ্রমণ-বৃত্তান্ত।

২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ৮:২৪

শায়মা বলেছেন: একদম তাই ভাইয়া। ক্রিসমাসে যে বৃষ্টি পড়ে গরম লাগে সেটা অস্ট্রেলিয়া না গেলে জানাই হত না।

এই যে আমার আসল ভাইয়া পেয়েছি ওরা সবাই বলছে প্লেন জার্নী খুব আনন্দের আনন্দের! কিসে নিরানন্দের তুমি আর আমিই জানি সেটা। :)

এর পরের পোস্টে ছবিগুলো ইমগুর দিয়ে বড় করে দেবো। এই পোস্টে তো একদম পিপিলিকা ছবি হয়েছে।

অনেক ভালোবাসা ভাইয়ামনি!

৩৪| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ২:০৪

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: তোমার লেখা পড়া হলো কমেন্টও পড়া হলো । এখন বেশ ঘুরাঘুরি করছো মনে হয় । দোকানে বেয়াদব মহিলা থাকলে তো ঝমেলা । সতর্ক থেকো। ব্লগের লেডি বতুতা এখন ভ্রমন কাহিনী লিখছেনা না বেশি। তুমি বেশি লিখছো। ভ্রমন অভিজ্ঞতা থেকে অনেক কিছু দরকারি জানা যায়। ছফর থেকে মানুষ অনেক কিছু শিখে। তোমার জানার ভান্ডার দেখার ভান্ডার সমৃদ্ধ হবে দিনে দিনে । আমরাও শিখবো অনেক কিছু । ডলিমনি তো তোমার পোস্টে বেশি কমেন্ট করে। প্রতিফলন আর মিরোর নামেও মিল আছে। মিররে প্রতিফলন হয়। যাই হোক এখন অষ্ট্রেলিয়ার গল্পে তোমার ব্লগ ভরে যাবে বলেইে আমার বিশ্বাস।

পোস্ট খানি ভালোলেগেছে আমার। এত বড় মাপের রাধুনী হওয়ার পরও তোমার বাইরের খাবার খেতে ভালো লাগে এতে অবাক হই আমি। হেল্থ গ্রাউন্ড বিবেচনায় নিলে বাইরের খাবার যতকম খাওয়া যায় ততটুকু মঙ্গল জনক। ওখানে দোকানের প্রায় সব খাবারে পর্ক থাকতে পারে। আমি আবার হালাল হারাম বিবেচনা করি। অষ্ট্রেলিয়ান আপেলের বেশ খ্যাতি। আপেলের বনে বেড়াতে গেলে একটা পোস্ট দিতে পারো।

২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ৮:২৯

শায়মা বলেছেন: হা হা সফর থেকে জানা হয় বটে। তারপরও দেখা হয় নাই চক্ষু মেলিয়া ঘর হতে শুধু দুই পা ফেলিয়া একটি ধানের শীষের উপর একটি শিশির বিন্দুও রয়ে যায় অনেক সময়ই।

আর ডলিমনি প্রতিফলন মিরর কি বললে এসব!!!!!!!!!!!! হা হা হা হা হা মরে গেলাম হাসতে হাসতে!!!!!!!!! শুনো ২০০৮ সালে বসন্তদিন লিখেছিলাম আমরা মানে আমি আর প্রতিফলন । এই সেই প্রতিফলন! সে আমার বসন্তদিনের নায়ক এবং দ্বৈত্ লেখক।:)

না না পর্ক সব খাবারে থাকে না বটে তবে সব সময় কি মনে থাকে বলো কোনটায় পর্ক আছে কি নেই তাই ভুল হয়ে যেতে পারে। আমারও এমন ভুল হয়েছে। তাতে আমার কিছু যায় আসে না । ভুল তো ভুল । ইচ্ছা করে কিছু করলেই সেটা দোষ।:)

আচ্ছা আপেল বনে বেড়াতে গিয়ে পোস্ট দেবো এরপর।:)

তারপর কমলার বন তারপর আঙ্গুরের বন, তারপর স্ট্রবেরী, পীচ, নাশপাতি বাঁশপাতি যা যা পাবো সব বনে বনে ঘুরে বেড়াবো ওকে???

৩৫| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৪:২৯

রাজীব নুর বলেছেন: পোষ্টে আবার এলাম। কে কি মন্তব্য করেছেন সেটা জানতে।

২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ৮:২৯

শায়মা বলেছেন: হা হা সব কমেন্ট পড়েছো তো আমার সহজ সরল ভাইয়ু?? :)

৩৬| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ৮:১৩

একলব্য২১ বলেছেন: তোমার ভ্রমণ কাহিনি পড়লাম। প্রায় ৭ মাস পর সামুতে ঢুকেই প্রথমেই তোমার এই লেখাটা পড়লাম। সেই pattern. সেই লেখার স্টাইল। যার অনুরক্ত ছিলাম আমি। যে ধরনের লেখার পড়ার জন্য সামুতে লোভে পড়ে আসতাম তোমার ব্লগে। শায়মা আপু সত্যি বলতে কি ভুলে গেছিলাম তোমার লেখার ধরণ। মাথা ন্যাড়া করে মাথার খুলি খুলে জমাট রক্ত বের করে ফেলে দিয়েছে। রক্তের সাথে বেশ কিছু নিউরনও বেড়িয়ে গেছে। ফলে আপাতত কিছু স্মৃতি আমার নেই। তোমার লেখা পড়ে সেই স্মৃতি জেগে উঠছে অনেকটা ফিল্মের গপ্পোর মত। পরে আবার আসবো। বাই দ্যা ওয়ে তোমার ছবিগুলো বেশ হয়েছে। তোমাকে অনেকটাই trimmed আর সুন্দর, স্মার্ট লাগছে। ভাল আছি কিন্তু এখনও ধোকা ধোকা লাগে। আবার আসবো। :)

২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ৮:৩৬

শায়মা বলেছেন: হ্যাঁ আমার লেখার তুমি ১ নং ভক্ত! আর তাই আর যারা যারা আমার লেখা আনন্দ নিয়ে পড়তো যেমন মিররমনি, সাড়ে চুয়াত্তর ভাইয়া, মা হাসান ভাইয়া, ঢুকিচেপা আরও অনেকেই তাদের জন্যই গল্প লিখতাম। এখন অনেকেই আর আসেনা । তুমিও একেবারেই হারিয়ে গেছো ভেবেছিলাম। :( এসে গেছো এখন আবার গল্প লিখবো ওকে!!!!!!!!!!!:)


যাই বলো আর তাই বলো তোমার জীবনের এই ঘটনা একেবারেই সিনেমাটিক!!!!!!!!!!!
এমনই হয় কারো জীবনে সত্যি সত্যি জানা ছিলো না আমার!
যাইহোক শেষ মেষ তুমি ফিরে এসেছো এই অনেক!!!


ধোকা ধোকা লাগে মানে কি??

এই এক্সসিডেন্ট কিভাবে হয়েছিলো বলবে? মানে কার এক্সিডেন্ট নাকি অন্য কিছু জানাও আমাদের প্লিজ! :(

৩৭| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ৯:৩০

মিরোরডডল বলেছেন:





ওয়েলকাম ব্যাক শুভ।
ভেবেছিলাম ফিরে আসার পর বকা দিবো কিন্তু কারণটা জেনে কষ্ট পেলাম।
আমাদের শুভ এতো ভয়াবহ অবস্থার মধ্যে ছিলো অথচ আমরা কিছুই জানিনা।

thanks God you're okay now.
we missed you a lot.
good to see you again.
ভালো থাকবে, কথা হবে।


২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ১১:৪৪

শায়মা বলেছেন: হ্যাঁ আমি জানতাম শুধু শুধু অকারণে ভাইয়ু আমাদেরকে ছেড়ে থাকতেই পারবেনা। :(

৩৮| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ১১:৪১

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: কিউট একলব্য ২১ই যে শুভ এই প্রথম জানলাম।

২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ১১:৪৩

শায়মা বলেছেন: হ্যাঁ তার প্রথম নিক শুভই ছিলো। শুভ থেকে কেনো যে একলব্য হয়েছিলো ভাইয়া সেটা অবশ্য জানিনা। তবে ভাইয়া বড়ই লাজুক! লুকাতে লুকাতে শেষ নিজেকে..... :)

৩৯| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ১১:৪৩

করুণাধারা বলেছেন: আপাতত লাইক দিয়ে বিদায় নিলাম। পরে আসবো আবার।

২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ১১:৪৬

শায়মা বলেছেন: আচ্ছা পরে আসো আপুনি। আমিও ঘুমাতে যাই। গুডনাইট!!!

৪০| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ১২:২৮

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: একলব্য ২১ বহুদিন পরে ব্লগে ফিরে এসেছে। তুমি এতো বার তার নাম উল্লেখ করেছো তোমার পোস্টে যে কেউ সহজেই বুঝে যাবে সে তোমার অনেক প্রিয় ব্লগার


যাইহোক এত বনে ঘুরার দরকার নাই। শুধু আপেল বাগানে গেলেই চলবে। তুমি আমাদের ড্রিলিঙ সাইটে আসো যদি পারো। এই টা তোমার দেখিতে গিয়াছি .... এর চেয়ে কম হবে না। আমরা খনিজ সম্পদ আবিষ্কার করি। যতগুলো কয়লা খনি আছে এদেশে তার একটি বাদে সবগুলো আমাদের আবিষ্কার। তবে পরিবেশ বান্ধব বলে‌শুধু প্রাকৃতিক গ্যাসের উপর সিংহ ভাগ চাপ দেয়াটা যুক্তি সংগত হয়নি। কয়লা সম্পদের উত্তোলন এবং সর্বাধিক ব্যবহার দেশের চলমান শক্তি সংকট নিরসনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। কিসের মধ্যে কি বলে ফেললাম। আমাদের ড্রীলিঙ সাইটে তোমার নিমন্ত্রণ থাকলো।

২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:২৩

শায়মা বলেছেন: হ্যাঁ একলব্য তো অনেক প্রিয় আর আমার এক নিষ্ঠ ভক্ত পাঠক। তাকে ছাড়া কি আমার লেখালিখি চলবে?

তোমার ড্রিলিং সাইট নিয়ে তুমি একখানা পোস্ট লেখো ভাইয়ু!!!

আর এর পরের পোস্ট খানা দূর্গম গিরি ঘুরাঘুরি নিয়েই দেবো।

৪১| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১১:৪৭

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: একা গেলা কেন। দুলাভাই বাচ্চারা যায় নি। একা বেড়ানোতে আনন্দ যদিও নেই তবুও একা গেলে ছবি তোলা যায়।

আবার আসতেছি

২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৩০

শায়মা বলেছেন: একা গেলাম কেনো এই কথাও বলতে হবে!!!!!!!!!!!
হায় হায় এত কিছু তো বলবো না আপুনি!!!!!!!!!! :)

আর একা একা গেলে ছবি তোলা যায় এইটা কি বললে!!!!!!!!!! হা হা হা তুমি কি সেলফি তোলার কথা বলছো????

মাথায় তো মনে হয় গন্ডগোল লেগে গেছে তোমার আপুনিমনি!!!!

৪২| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১২:১৮

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: তোমার ছবিগুলো ছোট ছোট দেখা যায় হাহাহা বড় বড় করে দেও চেহারা দেখি।

যে সাহস। আমি তো একা যেতেই পারবো না

২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৩২

শায়মা বলেছেন: এরপরের পোস্টে বড় করে দেবো। কিন্তু চেহারা দেখতে হবে কেনো?? দেখেছো তো আগেই।


হ্যাঁ কথা সত্যি আমার সাহস আছে বটে তবে আমার অবশ্য একা যেতে তারপরেও ভুই ভুই লাগে।:(

৪৩| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১:৩০

শ।মসীর বলেছেন: দেখে নিলাম অস্ট্রেলিয়া :)

২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৫৯

শায়মা বলেছেন: ভাইয়া আরও দেখার বাকী আছে তো!! এটা কেবলই ১ পর্ব!

৪৪| ২৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৫:২৩

করুণাধারা বলেছেন: অসংখ্য ছবি, সাথে অসংখ্য বিষয়! কাপড়, চকলেট, আইসক্রিম, সিনেমা, কুশন কভার, কাবাব, ক্রিসমাস, এয়ারপোর্টের মহিলা...

আমি পুরোটাই পড়েছি। পড়ার পর ভাবলাম, আমার স্মৃতি শক্তির পরীক্ষা নেই, কী কী লিখেছ সেসব কতটুকু মনে আছে, কোন কোন ছবি কেমন ছিল, কী কী পোশাক পড়লে সেসব মনে করে দেখি। দেখলাম, অনেক কিছুই ভালই মনে আছে। বরাবরের মতোই গোছানো পরিবেশন কিনা!!

সব ছবিই ভালো, দীর্ঘশ্বাস ফেলে দেখলাম। একসময় আমার খুব অস্ট্রেলিয়া যেতে ইচ্ছা করতো, The thorn birds যখন বারবার পড়তাম তখন। :( এখন চার্চের ছবিগুলো দেখে আবার থর্ণ বার্ডসের কথা মনে পড়ল। এই বইটা তুমি পড়েছ কি? না পড়লে অবশ্যই পড়বে। তোমার কঙ্কাবতীর শেষ দিক পড়তে গিয়ে আমার বারবার থর্ণ বার্ডসের শেষ অংশের কথা মনে পড়ছিল... জানিনা কোথায় মিল, কিন্তু দুটো গল্পই একই রকম মন খারাপ করা...

অবশ্য আমি কোথাও যাবার কথা ভাবতে পারিনা। তোমার মতো প্লেন ভয় পাই খুব। ছোটবেলায় সিলেট আর যশোর থেকে ঢাকা আসতাম পুরো সময় তারস্বরে চিৎকার করতে করতে। আমার মা খুব বিব্রত হতেন। পরে জেনেছি একে বলে aerophobia.

হাইড পার্ক দেখলাম লন্ডন আর নিউইয়র্কেও আছে। পার্কের নামের আকাল পড়েছিল কিনা কে জানে, তিন মহাদেশে একই নামের পার্ক!!

দ্বিতীয় পর্ব দিয়ে দাও তাড়াতাড়ি, ভার্চুয়াল অস্ট্রেলিয়া সফর হয়ে যাক!

২৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৫৬

শায়মা বলেছেন: যাক পেলাম আরেকজন প্লেনভুই পাওয়া মানুষ! :) একে এরোফোবিয়াও বলে নাকি!!! গুড গুড ভালো করে এই ফোবিয়া লক্ষন ও চিকিৎসা পড়ে নেবো আজ রাতেই। :)

আমিও আসলে নেপালে ইউএস বাংলা ক্রাশ করার পর সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম জীবনে আর প্লেনে করে কোথাও যাচ্ছি না। তবুও বিঁধির বিধাান না যায় খন্ডন!!! আবারও যেতে হচ্ছে।:(

যাইহোক আমিও দেখলাম হাইড পার্কের মনে হয় নানাস্থানে নানান ব্রান্চ আছে। হা হা
থর্নবার্ডস পড়বো। আমার কঙ্কাবতীর কথা পড়া পাঠকেরা এমনভাবেই নানান অনুভুতি প্রকাশ করেছে যা জেনে আমি সত্যি আপ্লুত হয়েছি আপুনি। খোকাভাই বা চিলেকোঠার প্রেমও অনেকেই পড়েছে অনেক মন দিয়েই পড়েছে তবুও কঙ্কাবতীর কথার অন্য রকম এক মূল্য আছে আমার জীবনে তার কারণ মনে হয় তুমি জানো।:)


দ্বিতীয় পর্ব কাল পরশুর মাঝেই দিয়ে দেবো ইনশাআল্লাহ!!!

২৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৮

শায়মা বলেছেন:



হাইড পার্কের চার্চের আরও কিছু ছবি! :)

৪৫| ২৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:১২

করুণাধারা বলেছেন: দারুন ছবি!!

২৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:১৪

শায়মা বলেছেন: এমন অনেক ছবি আছে আপুনি!!! নেক্সট পোস্টগুলোতে আনবো। :)

৪৬| ০১ লা মার্চ, ২০২৪ রাত ১:৩১

আরইউ বলেছেন:




লেখক বলেছেন: ... ভাইয়া তার মানে এতদিনে বুঝলাম তুমি অস্ট্রেলিয়ায় আছো!!!!!!!!!

সেটাতো বলা যাবেনা! তবে, আমি অস্ট্রেলিয়া ঘুরেছি; অনেক ঘুরেছি, এভারেজ একজন অজির চেয়ে বেশি ঘুরেছি নিঃসন্দেহে।

আমি জানিনা আপনি ইতমধ্যে ঘুরে এসেছেন কিনা— সময় পেলে বটানি বে ন্যাশনাল পার্ক যেতে পারেন; এখানে লা পেরোজ বেয়ার আইল্যান্ড আর কর্নেল কুকস ল্যান্ডিং প্লেস হচ্ছে “মাস্ট ভিজিট”। জায়গাগুলো যেমন দেখতে চমৎকার তেমিন ঐতিহাসিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ।

এই ছবিটা আমার তোলা - ক্যাপ্টেন কুক যেখানে এসে নেমেছিলেন ওখানকার একটা মনুমেন্টের।

০১ লা মার্চ, ২০২৪ সকাল ৮:২৫

শায়মা বলেছেন: ভাইয়া আমি আগের বছরে রয়েল বোটানিক গার্ডেনে গিয়েছিলাম আর এ বছরে অবার্নের জাপানিজ বোটানিক গার্ডেনে। এই গার্ডেনে যেমনে যেমন ছবি তুলেছি দেখলে তুমি হাসতে হাসতে হাসতে হাসতে কি যে ভাববে!!!!!!!!!!! হা হা যাইহোক নেক্সট কোনো পোস্টে নিয়ে আসবো সেই সব ছবি। হা হা

আর নেক্সট টাইম অবশ্যই যাবো তোমার বটানি বে ন্যাশনাল পার্ক। তারপর ছবি দেবো। এ বছরে সেপ্টেম্বর অক্টোবারেই যাবো হয়ত আবার।:) নয়ত নেক্সট ইয়ার জুন জুলাই।:)

বেঁচে থাকলে অবশ্যই যাবো। তারপর ঐতিহাসিক শিক্ষামূলক পোস্ট দেবো। :)



ভাইয়া আজও জানলাম না তুমি কোন ভাইয়াটা আর আগে কোন নিকে ছিলে। এই প্রশ্নের উত্তর জানতে মন আকুলি বিকুলি করে। :) যদিও তুমি বহুবার ক্লু দিয়েছো কিন্তু তবুও নিশ্চিৎ হতেই পারিনি।যাক কি আর করা??? :(

আজ আর কাল দুদিন ছুটি পেয়েছি। যাই নেক্সট পার্ট অস্ট্রেলিয়া লিখি।
এরপরের কয়েক সপ্তাহ যাবে একের পর এক অনুষ্ঠান আর কাজে। :)

৪৭| ০১ লা মার্চ, ২০২৪ সকাল ৯:৫৫

শার্দূল ২২ বলেছেন: মেজাজ কেন খারাপ হয়েছিলো ? পাশের সিটে ছেলে না হয়ে মেয়ে হবার জন্য?হাহাহাহা

আমি এই যাবৎ যতগুলো এয়ারপোর্ট দেখেছি সব চেয়ে বেশি ভয় হয় আমাদের এয়ার পোর্টএ, এখানে যে কোন মুহুর্তে অপমানিত হবার সম্ভাবনা থাকে।যে কেউ এসে আপনাকে হেনেস্তা করে ফেলতে পারে।

শুভ কামনা

০১ লা মার্চ, ২০২৪ সকাল ১০:২২

শায়মা বলেছেন: হা হা না আগেই বলেছি লেখাতেই যে আমি একা একা হাত পা ছড়িয়ে আরাম করে বসে সারা পথ পাড়ি দিতে চেয়েছিলাম। নিশ্চয়ই এটা জানো যে আমি খুবই আত্ম সচেতন ব্যাক্তি। পাশের সিটে কেউ বসা মানেই একটু সাবধানে থাকা হাত পা জামা কাপড় ভুলেও যেন তার গায়ে না লেগে যায়। আরেকটা ব্যপার আছে যেটা শুনলে মানুষ আমাকে খুবই উন্নাসিক ভাববে তাই বললাম না। কানে কানে বলবো তোমাকে পরে।

আরেকটা কথা শুনে রাখো আসার সময় এক দিল্লী যুবক আমার পাশে বসেছিলেন। যিনি যেমনই নায়কোচিত চেহারার তেমনই মিষ্টভাষী এবং জেন্টেলম্যান। তবে আবার মালায়শিয়া থেকে যেই বাংলাদেশী লেবার সাহেব আমার পাশে পাশে এলেন তাহার গল্প শুনে তো হাসতে হাসতে মরে যাবেই আরও মনে মনে বলবে ঠিক হয়েছে। তুমি যে পাঁজীর পাঝাড়া!!!!!!!!!!!

অপমানিত হেনস্থা করতে পারে সে সব এয়ারপো্র্টের লোকজন অবৈধ কিছু সন্দেহ করে আমাদের মত ভালামানুষদেরকেও।

তবে ঐ মহিলা ছিলো গাঁয়ে মানে না আপনি মোড়ল। আমি যেহেতু লাগেজ খুঁজে পেতে একটু ভুল করেছি অমনি তার অতি অভিনয়ে আমাকে একটু ঘায়েল করার চেষ্টা করেছিলো মনে হয়। :P

৪৮| ০১ লা মার্চ, ২০২৪ সকাল ১০:১৬

রানার ব্লগ বলেছেন: বেশ কায়দা করে মন্তব্য করবো ভেবেছিলাম, তার আগে দেখে নিলাম কে কি মন্তব্য করলো, আর সেখানেই ভুল করলাম, যা যা মন্তব্য করবো ভেবেছিলাম তার সব করা হয়ে গেছে। তাই ব্লগ পাঠ বিদায় নিলাম /:)

০১ লা মার্চ, ২০২৪ সকাল ১০:২৮

শায়মা বলেছেন: তুমি যে বড় বড় পোস্ট দেখলেই ফাঁকিবাজী করো আর অন্যের মন্তব্য দেখে বুঝে নিয়ে মন্তব্য দেবার চেষ্টা করো সে আমি ভালোই জানি ভাইয়ু। তুমি শুধু গুরুভাইয়ার পোস্টের মত ছোট ছোট পোস্টই পড়ো। ঠিক বলেছি না??? :)
বড় মন্তব্য বড় পোস্ট সবই তো আগাছা আর আবর্জনা মনে হয় কোনো কোনো গাঁয়ে মানে না আপনি মোড়ল পণ্ডিতের!

তবে হ্যাঁ তোমার গল্প লেখা কিন্তু সত্যিই ভালো।:) মানে তুমি ভালো গল্প লেখক! :)


কমেন্টটাও কিন্তু কে কি মন্তব্য করেছে দেখে গেলাম স্টাইলে হলো!!!

এখন এর শাস্তি কি জানো? :P



৪৯| ০১ লা মার্চ, ২০২৪ সকাল ১১:১৬

রানার ব্লগ বলেছেন: আরে না, আমি পুরাটাই পড়েছি। ওই যে যে মহিলা তোমাকে ঘোল খাওয়াতে চেয়েছিলো সেটা পড়ে মজা পাইছি। মহিলার জন্য আফসোস হইছে, সে জানেই না সে কার ফাদে পরেছিলো। শায়মা হলো বাংলার ঘোল মেকার তারেই নাকি ঘোল খাওয়াতে গেছে, ভাবা যায়?


আমি সব বড় পোস্ট পড়ি।

০১ লা মার্চ, ২০২৪ সকাল ১১:১৮

শায়মা বলেছেন: হা হা হা তুমি এত্ত বড় শয়তানের লাঠি হইসো কেমনে?????????????????

হাসতে হাসতে শেষ আমি। ঘোল মেকার এই উপমা মানে আমাকে দেওয়া এই খেতাব আমার বড়ই পছন্দ হইসে ভাইয়ু!!!!!!

তো তুমি কি মেকার শুনি একবার??

৫০| ০১ লা মার্চ, ২০২৪ সকাল ১১:৫৭

আরইউ বলেছেন:



লাকেম্বা জায়গাটা আমার ভালোলাগে। এখানে ওখানে বাঙলায় কথা বলা মানুষের দেখা পাওয়া যায়। দেশী খাবারের জন্য রকডেল এবং গ্লেনফিল্ডও ভালো তবে লাকেম্বা দ্য বেস্ট! লাকেম্বার ইফতার বাজার কিন্তু খুব জনপ্রিয়।

০১ লা মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১২:১৯

শায়মা বলেছেন: হ্যাঁ সেটাই শুনেছি কিন্তু লাকেম্বা একটু নোংরা নোংরাও আছে ভাইয়া। ভাইয়া পুরা সিডনীতে যত বাংলা, হিন্দী আর চাইনিজ ভাষা ভাষী আছে তার থেকে অস্ট্রেলিয়ান লোকজনই মনে হয় কম। হা হা সব দোকান পাট অফিস আদালতেই চাইনিজ আর চাইনিজ।

তারপরই হিন্দী আর বাংলাভাষাও বটে। আজকাল বহু বাংলাদেশী স্টুডেন্ট অস্ট্রেলিয়া যাচ্ছে। অনেক অনেক বেশি বেড়েছে এই যাত্রা।

সকল কিছুর পরেও নিজের দেশের চাইতে আমার আর কোথাও আসলে ভালো লাগে না ভাইয়া। এই কথা শুনে কেউ নেকামী ভাবলেও অতি সত্য কথা।:)

৫১| ০১ লা মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১২:৪৩

আরইউ বলেছেন:




শুধু নোংরা না, বেশ ভালো মাত্রায় নোংরা। আমি থাকি বাঙালী বিবর্জিত এলকায়; কাজ করি যেখানে সেখানে বাঙালা ভাষায় কথা বলা কেউ নেই। তাই বাংলা বলা শোনার সুযোগ খুব কম। লাকেম্বা গেলে বাঙলা শোনা হয়, দেশকে একটু হলেও দেখা হয়।

অস্ট্রেলিয়ার বড় সব শহরের একই অবস্থা। মিক্সড কালচার, বিভিন্ন ভাষা-ধর্ম-বর্ণ-ভাবনার মানুষজনে ভরা। ইন্ডিয়ান-এইশান ই সম্ভবত বেশি। বেশ বড় একটা অংশ আছে এরাবিয়ান। সাদাদের মানে ককয়েশিয়ানদের আলাদাভাবে বোঝা না গেলেও ওয়েস্টার্ন ইউরোপের ট্যুরিস্টদের দেখেই বোঝা যায় এরা ঘুরতে এসেছেন। রিজিওনাল এবং রুরাল এরিয়ার চিত্র অবশ্য ভিন্ন—প্রায় সবাই সাদা।

০১ লা মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১২:৫০

শায়মা বলেছেন: @আরইউ ভাইয়া

ব্রিসবেনে আমার এক ডক্টর মামা আছেন এবং মামীও ডক্টর। যদিও তিনি ৭৫ বছরের বৃদ্ধ তবুও এখনও জবে আছেন। প্রতিবার আমাকে ব্রিসবেন আসতে বলেন। নেক্সট টাইম ঠিকই যাবো। তবে রোড ট্রিপে গেলে কত ঘন্টা লাগবে কে জানে? তুমিই জানো আর বটে।

দিন সাতেক হাতে রাখা কেনো?

লেক ম্যকুয়ারী, উরমি ন্যাশনাল পার্ক, টাংকারি-ফরস্টার, পোর্ট ম্যকুয়ারী, কফস হারবার, বেরন বে, টুইড হেডস-গোল্ড কোস্ট হয়ে চলে আসবেন ব্রিসবেনে। শীতে ব্রিসবেনের ওয়েদার অসাধারণ। আর অবশ্যই গ্রেট ব্যারিয়ার রিফ যাবেন (ব্রিসবেন টু কেয়ান্স; ২ ঘন্টার মত ফ্লাইট টাইম)। সম্ভবত অস্ট্রেলিয়া এসে গ্রেট ব্যারিয়ার রিফ না ঘোরা একটা মহাপাপ!

এই সব যেতে গেলে কি সবখানেই নাইটস্টে করে থাকতে হবে নাকি??


এই মন্তব্য অপুভাইয়ার পোস্টে করেছি ভাইয়া। এখানে আবার দিলাম।

হ্যাঁ অবার্নে আর কোন একটা জায়গার নামটা মনে পড়ছে না সেখানে এরাবিয়ানরা ভালোই বাস করছেন অস্ট্রেলিয়ায়।:)
কত বছর আছো অস্ট্রেলিয়া ভাইয়া ৩০/৪০ বছর আছো মনে হচ্ছে!

৫২| ০১ লা মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:০৯

আরইউ বলেছেন:



কী একটা অবস্থা অস্ট্রেলিয়ার পোস্ট রেখে অপুর পোস্টে গিয়ে অস্ট্রেলিয়ার গল্প করছি আমরা। বেচারা অপু!!

ব্রিসবেন থেকে সিডনি মোটামুটি ৯০০/১০০০ কিমি। শহর থেকে বেড়িয়ে এলে পুরো রাস্তাই হাইওয়ে, মোটরওয়ে, বেশিরভাগটাই ১০০ বা ১১০ কিমি/ঘন্টার রাস্তা। একবার আমি ব্রিসবেন থেকে সিডনি গিয়েছি ১০ ঘন্টায়— দু‘জন ছিলাম, হাফ-হাফ ড্রাইভ করেছি। খুব একটা ক্লান্তিকর লাগেনি।

দিন সাতেক হাতে রাখবেন ঘোরাঘুরির জন্য। ধরুন দিনে ২/৩ ঘন্টা ড্রাইভ করবেন; একটা জায়গায় এসে হোটেলে উঠবেন; ঐ জায়গাটাকে কেন্দ্র করে ঘোরাঘুরি করবেন একদিন দু‘দিন; এরপর আবার আরেকটা পয়েন্টে চলে যাবেন; ঘোরাঘুরি করবেন... ...। বিশ্বাস করুন এত এত দেখার আছে, এত সমুদ্র সৈকত, লাইট হাউজ, লুকআউট, ন্যাশনাল পার্ক ৭ দিনও কম মনে হবে!

৩০/৪০ বছর!! আমার বয়স ৪০ হয়েছে নাকি!!!

কত বছর আছি/ থেকেছি তা বলছিনা তবে আমি অস্ট্রেলিয়ায় ঘুরেছি। এখানকার পথে-ঘাটে ঘোরা আমার প্রিয় কাজের একটা।

০১ লা মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৩:৩৯

শায়মা বলেছেন: ৩০/৪০ বছর!! আমার বয়স ৪০ হয়েছে নাকি!!!

হা হা তোমার এই কমেন্ট পড়ে হাসতে হাসতে মরলাম ভাইয়া। ৪০ না হলে ৭০ এর সাথে লড়াই করবে কেমনে!!! না না তোমাকে অন্তত ৫০/৬০ হতেই হবে। হা হা হা হা হা :P

আর তোমার থেকে পাওয়া সিডনী টু ব্রিসবেন ভ্রমন বর্ণনা শুনে মনে হচ্ছে এবারেই কেনো গেলাম না!:(

নেক্সট টাইম নো মিস!!!

আমার ব্রিসবেনে থাকা আত্মীয় বলেছিলো গতবছরেরই বন্যার সময় নাকি বিশাল এক অজগর সাপ বন থেকে উঠে এসে রাস্তা পার হচ্ছিলো। তিনি ছবিও তুলে রেখেছিলেন।

সিডনীতেও এত বিশাল সব জঙ্গল। আমার তো মনে হয় সেখানেও অজগর থাকার কথা! :(

০৩ রা মার্চ, ২০২৪ রাত ৯:১৫

শায়মা বলেছেন: ভাইয়া ঐ পাগলার মাথায় ছিট আছে! আমি একদিন তাকে ফান করে জবাব দিয়েছি যার আগে পিছে আশে পাশে তাকে হেয় করার কোনো শব্দও ছিলো না কিন্তু ঐ পাগলের বাচ্চা ছাগল লাফ দিয়ে পড়ে বলে আপনার কথা হেন তেন খারাপ আপনার সাথে আমি নাই এই সব কি যেন।

এরপর সে সহজ পন্থা ধরেছে চামচামী! একটা জিনিস খেয়াল করেছো নিশ্চয়ই। দূর্বলেরা সব সময় অপশক্তির পূজারী হয়। এই ছাগলা পাগলাও সেই অপশক্তির পূজা ধরেছে। হা হা এমন হাসি পায় নিজে এক লাইনে দশ বানান ভুল করে গুরুর মত আবার বলেন উনি নাকি কোন বিখ্যাত সব গরুদের শিষ্য!

আমার ধারনা সে জীবন যুদ্ধে পরাজিত সৈনিক!

৫৩| ০২ রা মার্চ, ২০২৪ সকাল ১০:০৭

শার্দূল ২২ বলেছেন: আরে ফান করছি, এত সিরিয়াস হচ্ছো কেন?

আমাদের এক ফ্রেন্ড আছে সে হাতে ঘড়ি পড়ে কিন্তু ঘড়িকে সে উল্টো করে রাখে, বললাম কিরে তুই এভাবে ঘড়ি পড়লি কেন? বার বার হাত উল্টে সময় দেখতে হয়। তার জবাবে বলে- আরে এত দামি ঘড়ি কিনেছি , মানুষ দুর থেকে সময় দেখে ফেলে, আমার অনুমতি ছাড়াই, তাই এভাবে পড়ি, আমার অনুমতি ছাড়া কেউ সময় দেখতে পারবেনা। তুমি আমার সেই বন্ধুর মত। তোমার পাশে ঘেষে বসাতো দুরের কথা তোমার অনুমতি কিংবা বাস্তবতা বাইরে তোমাকে নিয়ে ভাবনা কল্পনা বা স্বপ্ন দেখারও কোন সুযোগ নেই । সে আমি জানি। আর এমনি হওয়া উচীৎ।

নেক্সট আবার কবে যাবে সিডনি? আমিও ভাবছি পরের বার আমি তুমি ওয়াটসন বে কফিসেটে বসে দুজন কফি খাবো। কি বলো? :)

ভালো থেকো

০২ রা মার্চ, ২০২৪ সকাল ১০:৪৬

শায়মা বলেছেন: শুধু কফি কেনো তুমি তো আমার সাথে একই প্লেনেও যেতে পারো তাইনা???

সেটাই আগে তারপর কফি খাওয়া যাবে।

এই নাও আমার জন্য ফুলফুল কফিটা আর তোমার জন্য কালো ভূত কফিটা।:)

৫৪| ০৩ রা মার্চ, ২০২৪ রাত ৯:২৩

আরইউ বলেছেন:



লিলিপুট, ডোডো, পিগমী, ছাগল, গরু, গাধা এসব মানুষ করাই আমার কাজ!

জীবন যুদ্ধে পরাজিত কেউ হলে তার প্রতি আমার সহমর্মীতা থাকবে। তবে এ বস্তু সম্ভবত সহজে আমেরিকান ভিসার ধান্ধায় আছে। হা হা হা!

০৩ রা মার্চ, ২০২৪ রাত ৯:২৮

শায়মা বলেছেন: আমেরিকা তারে নিলে পাগলা গারদে একখানা সিট আগে থেকে যেন ঠিক করে রাখে তার জন্য। তবে তিনি যেই সহজ আমেরিকান ভিসার জন্য যে ধান্ধা ধরেছেন উহা জীবনেও সফল হইবেক নাহে। :P

লিলিপুট, ডোডো, পিগমী, ছাগল, গরু, গাধা এসব মানুষ করাই আমার কাজ! মানে কি ভাইয়া!!! তুমি কি টিচার নাকি এদের!!!!


তবে যাই বলো তাই বলো জীবনে অনেক পাগল দেখেছি এত বড় আমি এই ব্লগে প্রথম দেখলাম। কি বলে না বলে মাথা মুন্ডু কিচ্ছু নেই। আমি সত্যি অবাক হয়ে গেছিলাম যেদিন আমার সাথে লাগতে এসেছিলো। কারণ মানুষ যে এই রকম সোজা কথাও বাঁকা বুঝে সেই মানুষের মস্তিস্কের কতখানী বিকৃতি আমি ভেবেই পাচ্ছিলাম না।

০৩ রা মার্চ, ২০২৪ রাত ৯:৩৩

শায়মা বলেছেন: ভাইয়া যাই বলো তাই বলো তিনি একজন আস্ত পাগলের ডাবল পাগল যোগ্য সহচর! সবাই এত করে বলছে তবুও উনি গোঁ ধরে আছেন ষাড়ের মতন যে তিনি সর্বেসর্বা ছাগলম্যান! :)

৫৫| ০৩ রা মার্চ, ২০২৪ রাত ৯:৪৯

আরইউ বলেছেন:



ওনার জন্য সবচেয়ে ভালো কাজ হবে আমার প্রশ্ন, মন্তব্য এড়িয়ে যাওয়া। যত আমার মন্তব্যের জবাব দেবে তত নিজের জাত চেনাবে। ব্লগ ইজ আ ক্রুয়েল প্লেস—এখানে আন্ডি চাড্ডি হারানো খুব সহজ।

০৩ রা মার্চ, ২০২৪ রাত ৯:৫৯

শায়মা বলেছেন: হা হা ভাইয়া এইভাবে গোবর মগজ শিষ্য বাড়তে থাকলে আর আন্ডি চাড্ডি হারাতে থাকলে তো সব নাঙ্গাবাবার আশ্রম হয়ে যাবে। :P

শেষে তারা ঘুটে জ্বালাবে আর জাবর কাটবে ....... :P

৫৬| ০৩ রা মার্চ, ২০২৪ রাত ১০:০৭

শায়মা বলেছেন: ০৩ রা মার্চ, ২০২৪ রাত ১০:০৪১

আরইউ বলেছেন:


হা হা হা ভাইয়া সত্যিই আমি হাসতে হাসতে মরে যাবো!!! পুরাই পাগলে কিনা বলে ছাগলে কিনা খায়!!! :P

৫৭| ০৩ রা মার্চ, ২০২৪ রাত ১০:১৬

আরইউ বলেছেন:




ব্লগে অনেকদিন এত মজা পাইনি। সত্যি বলছি! হা হা হা।

০৩ রা মার্চ, ২০২৪ রাত ১০:১৮

শায়মা বলেছেন: কসম ভাইয়া
আমিও হাসতে হাসতে আমার ঘুম ঘুম আসছিলো ঘুম ভেঙ্গে গেছে....... বিশেষ করে ১৩. ০৩ রা মার্চ, ২০২৪ রাত ১০:১১ এই মন্তব্য দেখে মনে হয়েছে বয়স ৪/৫ না হলে কেউ এইভাবে কথা বলে না।

হা হা হা এত বড় হাঁদারাম মনে হয় আগে কখনও দেখিনি।

৫৮| ০৩ রা মার্চ, ২০২৪ রাত ১০:৩২

আরইউ বলেছেন:




আমার এখানে ২:৩১ রাত। অথচ আমি এই করছি। বুঝুন তাহলে কতটা মজা পেয়েছি। গুড গড!!

০৩ রা মার্চ, ২০২৪ রাত ১০:৩৭

শায়মা বলেছেন: ভাইয়া তোমার কি আজকাল ছুটি যাচ্ছে? এত মজাতে আছো? ব্যপার কি?

তাই বলে এই কথাও সত্যি আমি অনেকদিন আগে এই গরু মাথার কমেন্ট পেয়ে অবাক হয়ে গেছিলাম। তখনই বুঝেছিলাম যুক্তি দিয়ে ঝগড়া করতে এলে একটা কথা কিন্তু মস্তিস্কবিহীন একজনের সাথে কি বলবো আর? নিজেই বোকা হয়ে গেছিলাম। তারপর থেকে গরু হাম্বা হাম্বা করে আর আমি চেয়ে চেয়ে দেখি।

৫৯| ০৩ রা মার্চ, ২০২৪ রাত ১০:৪৩

আরইউ বলেছেন:



নাহ, আমার সকাল ৯:০০ টায় ফ্লাইট। একটা কাজে কেয়ার্নস এসেছিলাম। এখানকার কাজ শেষ, আরেকটা কাজে আগামীকাল কুইন্সটাউন যাবো এক সপ্তাহের জন্য। আমার না আবার ফ্লাইট মিস হয়!

০৩ রা মার্চ, ২০২৪ রাত ১০:৪৮

শায়মা বলেছেন: যাও যাও ঘুমাও ভাইয়া। পাগলের জন্য সময় নষ্ট করে লাভ নেই। বেস্ট উইশ!! গুড লাক!! :)

৬০| ০৪ ঠা মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১২:৫৩

আরইউ বলেছেন:



একটা কৌতুক পড়ুনঃ

“সোনাগাজী বলেছেন: উনাকে কমেন্ট-ব্যান করলে, উনি খুবই হতাশ হয়ে যান, আপনি শান্ত হোন, ব্যান করার কি দরকার! উনি নিজের লেজে আগুন দিয়ে লাফ মারেন, দেখতে ভালোই লাগে।”

কত বড় কাপুরুষ আমাদের লিলিপুটগাজী। নিজে কমেন্ট ব্যান করে সাগরেদদের বলে “ব্যান করার কি দরকার!“ এর আগে উহার সমালোচনা করা কমেন্ট মুছে দিয়েছিল কিন্তু রাজীবকে নিয়ে করা মন্তব্য ঠিকই রেখে দিয়েছে। হা হা লু খু গে!

০৪ ঠা মার্চ, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৫৩

শায়মা বলেছেন: এমনই গুরু শিষ্যদেরকে আগুনে ঠেলে দিয়ে, আগুনে পুড়তে দেখেও মহা মহা বাণী দেন নিজের দূয়ার এটে। হা হা ভাইয়া। এ যেন নরবলী সাধক ব্যাপার স্যাপার!!! :P

০৪ ঠা মার্চ, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৫৬

শায়মা বলেছেন: যাইহোক ভাইয়া প্লেন মিস করোনিতো সারারাত গরুছাগল তাড়িয়ে?

৬১| ০৪ ঠা মার্চ, ২০২৪ রাত ১০:১৮

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: কালো পোশাক পড়াটা আর তারপরে বেঞ্চে বসা ছবি দুটি বেশী ভালো হয়েছে।

আর প্লেনে একসাথে একদলের এতো লোক উঠানো ঠিক না।

লালনের গান 'বেধেছে এমনই ঘর শূন্যের উপর পোস্তা করে,ধন্য ধন্য বলি তারে' এই গানটা এক সময় অনেক বাজতো আমাদের বাসায়। অবশ্য লালনের গান না শোনাই ভালো। :)

০৪ ঠা মার্চ, ২০২৪ রাত ১১:২৭

শায়মা বলেছেন: ঐ সব ভালো হয়েছে বলো!!!!!!!!!!!!!!!!! :(

একদম সত্য! একদল উঠলেই জ্বালায় মারে।

অনেক অনেক শুনি লালনের গান!!! লালনের ছেউড়িয়া গিয়েও গান শুনেছিলাম একবার।:)

৬২| ০৪ ঠা মার্চ, ২০২৪ রাত ১১:৪২

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: বাকিগুলিও মনে হয় ভালো। কিন্তু এতো দূর থেকে তোলা যে আপনাকে চিনতে কষ্ট হয়। চশমা ছাড়া দেখাই যায় না আপনাকে। ফটোগুলি আরও কাছে থেকে তোলা উচিত ছিল।

০৫ ই মার্চ, ২০২৪ রাত ৮:০৭

শায়মা বলেছেন: কাছে থেকেই তুলেছি কিন্তু সামু ছোট বানায় দিলো!!!:(

৬৩| ০৪ ঠা মার্চ, ২০২৪ রাত ১১:৪৪

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: ছবিগুলো সব দূরবর্তী দ্বীপ ।

০৫ ই মার্চ, ২০২৪ রাত ৮:০৮

শায়মা বলেছেন: হ্যাঁ সামুর দোষে!!!

৬৪| ০৫ ই মার্চ, ২০২৪ রাত ৯:৪৯

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ছবিতে আপনাকে খুব সুন্দর লাগছে।

০৬ ই মার্চ, ২০২৪ রাত ১০:১৫

শায়মা বলেছেন: আহা তাই না??

৬৫| ৩১ শে মার্চ, ২০২৪ সকাল ১১:০৪

খায়রুল আহসান বলেছেন: সেই 'বেচারা বড়সড় বালক'টার সেই কথাটার জন্য তাকে আপনার সারাজীবন মনে থাকবে কেন? তার মায়ের অপত্য স্নেহের জন্য, নাকি 'বেচারা বড়সড় বালক' এর নাবালকত্বের জন্য?
তথাকথিত 'ওভারস্মার্ট' ছেলেপুলেরা কিন্তু কোথাও দলবদ্ধ হলেই ওভারস্মার্ট বনে যায়। এমনিতে ইনডিভিজুয়ালি কিন্তু সবাই 'মিউমিউ মার্কা'।

ভাসমান শূন্যতায় নিজের অসহায়ত্বের ভাবনাটা চমৎকার ফুটিয়ে তুলেছেন। অপারেশন টেবিলে শোয়ানো রোগীর সাথে তুলনাটাও যথার্থ হয়েছে। আমার তো এই অসহায়ত্বের ভাবনাটা বোর্ডিং এর পর সীটবেল্ট বাঁধার আদেশ পাবার সাথে সাথেই মাথায় আসে। প্লেন যখন টেক-অফের জন্য প্রথমে খানিক গুটি গুটি পায়ে হেঁটে তারপর দৌড়ানো শুরু করে, তখনই আমি এ ভাবনাটাকে ঝেড়ে ফেলে নিয়তির কাছে সমর্পিত হয়ে যাই এবং টেক অফের দৃশ্যটাকে উপভোগ করার চেষ্টা করি। ল্যান্ডিং এর সময়ও আমি বহির্দৃশ্যের প্রতি নিবিড় মনোনিবেশ করি। (বালকসুলভ ঔৎসুক্যে ভিডিও তো করিই!)

কোন উচ্চস্থানে (যেমন প্লেনে, পাহাড়ে) কিংবা বদ্ধ স্থানে (যেমন লিফট/এলিভেটরে এবং প্লেনে) ভয়ে দম বন্ধ হয়ে আসার উপক্রম হবার মত অবস্থার দুটো গালভরা নাম আছে। প্রথমটা acrophobia (fear of height) আর পরেরটা claustrophobia (fear of small spaces)। আমার জানাশোনা অনেকেরই এ রোগ আছে। ওরা লিফটে উঠতে ভয় পায়, প্লেনে চড়তে কিংবা পাহাড়ে উঠতে ভয় পায়। এমন কি উচ্চ ইমারতের ছাদে উঠতেও ভয় পায়। আপনার মাঝেও বোধকরি এ দুটো সিম্পটমের কিছুটা আঁচ পাওয়া যাবে।
আপনার এ পোস্টের কল্যাণে লালনের "বেঁধেছো এমনই ঘর শূন্যের উপর প্রচ্চা করে" গানটি আবার নতুন করে শোনা ও দেখা (ইউটিউবে) হলো। আচ্ছা, "প্রচ্চা করে" করে মানে কী? উঁচু করে, নাকি গাছ-গাছালির প্রচ্ছায়া দিয়ে ঢেকে রেখে?

প্রথম কয়েকটি অনুচ্ছেদ পরেই আপনার জার্নি'র দৃশ্যটা যেন চোখের সামনে দেখতে পাচ্ছি। বোঝা যাচ্ছে, সুন্দর করে কিছু ট্যুর নোটস টুকে রেখেছিলেন। আমিও তাই করি। কিন্তু আপনি যেমন সুন্দর করে সেই সব ট্যুর নোটসকে একটি চমৎকার একটি পোস্টে রূপান্তর করেছেন, আমার ক্ষেত্রে বেশিরভাগ সময়েই তা হয় না, ঝামেলা ও আলস্যের কারণে।

৩১ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৪

শায়মা বলেছেন: সেই 'বেচারা বড়সড় বালক'টার সেই কথাটার জন্য তাকে আপনার সারাজীবন মনে থাকবে কেন? তার মায়ের অপত্য স্নেহের জন্য, নাকি 'বেচারা বড়সড় বালক' এর নাবালকত্বের জন্য?

আজকালকার বালকেরা অতি অল্পেই নাড়ির টান মায়ার টান ভুলে নিজেরাই এক প্রকার অভিভাবক শ্রেনী হয়ে যায়। সেই অভিভাবকত্ব হলো কোনো রকম দায় দায়িত্বহীন অভিভাবকত্ব। নিজেদের মহা পন্ডিত ভাবে। ভাবে জীবনের সব তাদের জানা হয়ে গেছে। বাবা মায়ের তেমন কোনো মূল্য নেই তাদের কাছে। তারা একাই একশো। এই কারণেই তারা ভালোবাসা হারিয়ে ফেলে। এটা হতে পারে হতাশা, হতে পারে বাবা মায়ের অত্যধিক চাহিদা মেটাতে না পারার দ্বন্দ। আমার ধারণা এই ছেলেটার মাঝেও এমন কিছু হয়েছিলো। তাই সে মা যখন তাকে গালে তুলে খাইয়ে দিলো সে ভাবলো এই ভালোবাসার পরে তার মরে গেলেও আর কোনো দুঃখ নেই। আমার কাছে মায়ের ভালোবাসা এবং ছেলের মনের মাঝে সুপ্ত ভালোবাসার হাহাকার দুই এর জন্যই এই বড়সড় বালককে আমার আজীবন মনে থাকবে।

হা হা ভাইয়া প্লেনে বিরক্তি বা ভীতির যে বর্ণনা দিলে তাহা আমারই মনের কথা। সব প্লেন ভীতুদের মনের কথাই মনে হয় এক।

না আমার উচ্চস্থান ভীতি নেই। ক্লাসটোফোবিয়া আছে মনে হয়। মানে চারিদিকে বন্ধ ভাবলেই ....... হা হা

আসলে প্রচ্চা শোনা যায় কথাখানা আসল শব্দ পোস্তা করে। পোস্তা মানে শক্ত। এমনই শুনেছি গানের গুরুর কাছে। মনে হয় এই মানে ঠিকই আছে তবে আমার সন্দেহও আছে উনি নিজেই ভেবে নিয়েছেন কিনা। পোস্ত বলে এক খাদ্য উপকরণ আছে কিন্তু পোস্তা মানে শক্ত এই কথা তো কস্মিনকালেও কাউকে বলতে শুনলাম না।

আমাদের এক ব্লগার ভাইয়া কবীর হুমায়ুন- তার লালন লেখায় বলেছিলেন-
জীবাত্মা আর পরমাত্মা পৃথক সত্ত্বা নয়। এ জীবাত্মা মানব দেহের ( শুন্য) ভেতর শক্ত ( পোস্তা) করে কেমন করে অবস্থান করছে , এ বিস্ময় বাউল লালনকে অভিভূত করে তোলে।এই কালামটা মূলতঃ দেহতত্ত্ব ভিত্তিক একটি রূপক বাণীবদ্ধ। আপনার বিকশিত চিন্তাধারা , আরো সুন্দর ব্যাখ্যা হয়তো তুলে ধরতে পারে।

আমার মতেও কিছু মানে জানা হোক বা না হোক নিজের মুক্ত চিন্তাধারা ব্রেইন স্টর্মিং এর মাধ্যমে এই সব গানকে আরও বেশি বিকশিত করতে পারে।

ভাইয়া তুমিও আমার মত আমি জানি অনেক কিছু লিখে রাখো জার্নীতে। তবে তুমি একটু গুরু গম্ভীর এবং ভাব গাম্ভীর্য্যে থাকো। সেটা তোমার সাথেই মানানসই। আর আমি তো সেই ছোট থেকেই পাঁজির পাঝাড়া আছিলাম। :) যদিও আমি নানাস্থানে নানা রুপ ধারণ করতে পারি। আর ঝামেলা থাকলেও আমার আলস্য নেই আরও একখানা কথা এই ব্লগ আমার বাড়িঘর।এই ব্লগের কিছু মানুষ আমার আত্মীয় স্বজন বন্ধু বান্ধব। কিছু শত্রু প্রতিবেশী। :) কাজেই যা খুশি মন খুলে লিখে যাই আমি নির্দ্বিধায়।

৬৬| ৩১ শে মার্চ, ২০২৪ সকাল ১১:৫৬

খায়রুল আহসান বলেছেন: আমার বেলায় যতদূর মনে পড়ে, আমি কুয়ালালামপুর বিমানবন্দরে অল্পায়াসেই ওয়াইফাই কানেক্ট করতে পেরেছিলাম, তবে সেটা ছিল স্বল্পস্থায়ী; বারে বারেই অফ হয়ে যেত, বারে বারেই রিকানেক্ট করতে হতো। আর দুবাই বিমানবন্দরে প্রথম চেষ্টাতেই ওয়াইফাই কানেক্ট করতে পারলেও, কয়েকবার ট্রাই করে বুঝেছিলাম যে সেটা দিয়ে কোথাও ভয়েস কল করা যায় না, তবে অতি সহজেই টেক্সট করা যায় এবং ইন্টারনেট ব্রাউজিং করা যায়। ট্রানজিট যাত্রীরা যেন হোম কল করে অহেতুক 'খাজুইরা আলাপ' করে ওয়াইফাই জ্যাম সৃষ্টি না করতে পারে, সে জন্যেই এ ব্যবস্থা। এতে অল্প কয়েকজনের পরিবর্তে বৃহদাংশ যাত্রী ওয়াইফাই ব্যবহারের সুযোগ পেয়ে থাকে। বুদ্ধির তারিফ করতে হয় বটে!

অসফল মেকি অভিনেত্রী "স্বদেশী বইন" এর কার্যকলাপের বর্ণনাটা মারাত্মক হয়েছে। আর সেই বেয়াদব দোকানি'রটাও।

৩১ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৭

শায়মা বলেছেন: ভাইয়া আমি রোমিং দিয়ে কানেক্ট করেছিলাম অস্ট্রেলিয়ায়।

আর অসফল স্বদেশী বইন যে কি তা কি সে আমার চোখকে ফাকি দিতে পারবে? যদিও সহজ সরল মিররমনি আর আমার ভালোমানুষ আর ইউ ভাইয়া বুঝতেই পারছেন না তিনি কিনি ছিলেন।

আর বেয়াদপ দোকানীকে তার দোকানের লম্বা লম্বা ছাতা তুলেই মাথায় এক বাড়ি মেরে আসা উচিৎ ছিলো আসলে। :P

৬৭| ০১ লা এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১০:১৯

খায়রুল আহসান বলেছেন: হাইড পার্কের ছবিগুলো সুন্দর। ৪৬ নং মন্তব্যে আরইউ এর দেয়া ক্যাপ্টেন কুক'স ল্যান্ডিং প্লেস এর ছবিটা চমৎকার; ছবিটা এখানে দেয়ার জন্য তাকে ধন্যবাদ। উনি দীর্ঘদিন ধরে অস্ট্রেলিয়ায় ছিলেন (বা এখনো আছেন কি?) বলে তার মন্তব্যে অস্ট্রেলিয়া সম্পর্কে অনেক তথ্য পাওয়া যায়।

দুর্বলেরা সব সময় অপশক্তির পূজারী হয় - অতি চমৎকার একটি পর্যবেক্ষণ এবং কঠিন একটি সত্য কথা!

০১ লা এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:১৪

শায়মা বলেছেন: হ্যাঁ আর ইউ ভাইয়া অস্ট্রেলিয়া চষে খেয়েছেন। ভাইয়া এখনও ঐ দেশেই আছেন। তবে আমার অস্ট্রেলিয়ার গল্পের ৩ পর্বে এখনও ভাইয়াকে দেখাই যায়নি।

বিজি আছেন মনে হয়।

আর

দুর্বলেরা সব সময় অপশক্তির পূজারী হয় - অতি চমৎকার একটি পর্যবেক্ষণ এবং কঠিন একটি সত্য কথা!


এমনই মনে হয়েছে আমার আসলেই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.